প্রধান পাতা
উইকি শিয়া
স্বাগতম আহলে বাইত (আ.)-এর মাযহাবের অনলাইন বিশ্বকোষ, আহলে বাইত (আ.) বিশ্বসংস্থার অধিভুক্ত। বাংলাতে
57 টি নিবন্ধ।. | |
![]() হযরত আলীর (আলাইহিস সালাম) ফজিলত; শিয়াদের প্রথম ইমাম হযরত আলীর (আ.) ফজিলত যা পবিত্র কুরআন, রেওয়ায়েত এবং ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনায় উল্লেখিত হয়েছে। মহানবি হযরত মুহাম্মাদ (সা.) থেকে বর্ণিত: ‘আলী ইবনে আবি তালিবের (আ.) ফজিলত (উত্তম চারিত্রিক গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্যসমূহ) গণনার উর্ধ্বে’। অপর এক হাদীসে তিনি (সা.) বলেছেন, ‘হযরত আলীর (আ.) ফজিলত বর্ণনা করা, লেখা, সেগুলোকে পড়া ও শোনাও ইবাদত এবং গুনাহসমূহের ক্ষমার কারণ হয়’।
ইমাম আলীর (আলাইহিস সালাম) ফজিলত দু’ধরনের: এককভাবে যে সকল ফজিলতের অধিকারী এবং আহলে বাইতের (আলাইহিমুস সালাম) সাথে যৌথভাবে যেসকল ফজিলতের অধিকারী। বেলায়েতের আয়াত, নফস বিক্রির আয়াত, ইনফাকের আয়াতসহ হাদীসে গাদ্বীর, ভাজা পাখির হাদীস, হাদীসে মানযিলাত, কা’বায় জন্মগ্রহণ এগুলো তাঁর অনুপম ও একক বৈশিষ্ট্যগুলোর অন্যতম। অপরদিকে আহলে বাইতের (আ.) সকল সদস্য যে সকল বৈশিষ্ট্যের অধিকারী সেগুলোতে তিনিও অন্তর্ভুক্ত; যেমন তাতহীরের আয়াত, আহলুয যিকরের আয়াত, মাওয়াদ্দাতের আয়াত, হাদীসে সাক্বালাইন ইত্যাদি। বনি উমাইয়া শাসনামলে ইমাম আলীর (আ.) ফজিলত বর্ণনা ও প্রসারে বাধা প্রদান করা হত। এ যুগে যারা তাঁর (আ.) ফজিলত বর্ণনা করত তাদেরকে হত্যা করা হত অথবা কারাগারে পাঠানো হত। পক্ষান্তরে ইমাম আলীর (আ.) ফজিলতের বিপরীতে ৩ খলিফা সম্পর্কে রেওয়ায়েত জাল কারী দলটিকে এ কাজে উৎসাহিত ও পুরস্কৃত করা হত স্বয়ং মুয়াবিয়ার নির্দেশেই। সালাফিদের নেতা ইবনে তাইমিয়া ও তার শিষ্য ইবনে কাসীর দামেশকী এবং ইবনে কাইয়িম জাওযি’র মত কেউ কেউ হযরত আলীর (আ.) ফযিলতে বর্ণিত কিছু কিছু আয়াত ও রেওয়ায়েতকে ত্রুটিযুক্ত ও জাল বলে উল্লেখ করেছেন। হযরত আলীর (আ.) ফজিলত বর্ণনা ও প্রসার রোধে তাঁর বিরোধিদের আপ্রাণ চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও শিয়া ও সুন্নি সমাজে ইমাম আলী ইবনে আবি তালিবের (আ.) বহুসংখ্যক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। এছাড়া উভয় মাযহাবের আলেমগণ এ সম্পর্কে স্বতন্ত্র গ্রন্থাদিও রচনা করেছেন; এগুলোর মধ্যে ইমাম ইবনে হাম্বাল রচিত ‘ফাদ্বায়েলু আমিরিল মু’মিনীন (আ.)’ ইমাম নাসায়ী রচিত খাসায়েসু আমিরিল মু’মিনীন, ইবনে বাতরিক রচিত ‘উমদাতু উয়ূনি সিহাহিল আখবার ফি মানাকিবি ইমামিল আবরার’ ইত্যাদি গ্রন্থের নাম উল্লেখযোগ্য। বিস্তারিত...![]() |