আসহাবুল আইকাহ
আসহাবে আইকাহ (আরবি: أصحاب الأيكة) এমন একটি গোত্র যাদেরকে কুরআনে, ওজনে কম দেওয়া এবং মূর্তিপূজার জন্য ভর্ৎসনা করা হয়েছে। তাফসীর এবং হাদীস সূত্র অনুযায়ী, আসহাবে আইকাহ বা আইকাহ গোত্রের লোকেরা তাদের নবী শুয়াইব (আ.)-এর পক্ষ থেকে গুনাহ থেকে দূরে থাকা এবং বিশেষ করে ওজনে কম দেওয়ার আহ্বান জানানো হলে তারা তা গ্রহণ না করে উল্টো তাঁর লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করে। পরিশেষে, তারা আযাবে এলাহীর মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে যায়। আসহাবে আইকাহ হিজাজ থেকে শামের বানিজ্যিক রুটের একটি অঞ্চলে বসবাস করত। কুরআনে "আসহাব আইকাহ" নামটি চারবার উল্লেখিত হয়েছে।
পরিচিতি ও অবস্থান
আসহাবে আইকাহ এমন একটি গোত্র ছিল, যারা হিজাজ থেকে শামের বানিজ্যিক পথের আইকাহ নামক অঞ্চলে বসবাস করত।[১]বিখ্যাত জনবসতি আইকাহ’র অবস্থান ছিল মাদায়েনের নিকটে।[২] আসহাবুল আইকাহ «اصحاب الایکه» কুরআনে চারবার এসেছে: সূরা হিজর ৭৮ নং আয়াত, সূরা শুআরা ১৭৬ নং আয়াত, সূরা সোয়াদ ১৩ নং আয়াত, এবং [৩] সূরা কাফ এর ১৪ নং আয়াতে। মুফাস্সিরগণের ভাষ্যমতে, বহুবিধ পাপাচারের কারণে এই জাতিকে তিরস্কার করা হয়েছে। এছাড়াও তারা তাদের নবী শুয়াইব (আ.)-এর আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে।[৪] তারা তাদের নবীকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করলে আযাবে এলাহীর সম্মুখীন হয় এবং ধ্বংস হয়ে যায়।[৫]
আসহাবে আইকাহ ও আহলে মাদায়েন
আসহাবে আইকাহ এবং মাদায়েন গোত্র কি একই সম্প্রদায় ছিল, যাদেরকে কুরআনে দুটি ভিন্ন নামে উল্লেখ করা হয়েছে, নাকি একই নবীর সাথে সংশ্লিষ্ট এবং অনুরূপ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন দুটি ভিন্ন সম্প্রদায় ছিল, এ ব্যাপারে তাফসীরকারকগণের মধ্যে মতপার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে।[৬] কোন কোন গবেষক অধিকাংশ তাফসীরকারকগণের উদ্ধৃতি দিয়ে, হযরত শুয়াইবকে (আ.) প্রথমে আহলে মাদায়েনের নবী হিসেবে জ্ঞান করেন, যিনি তাদের ধ্বংসের পর আসহাব আইকাহ’র হেদায়েতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।[৭]
তাদের দলিল হচ্ছে মহানবী (স.)-এর একটি রেওয়ায়েত,[৮] কুরআনের মুফাসসির কাতাদাহ ইবনে দিয়ামা’র একটি বক্তব্য[৯] এবং কুরআনে আসহাবে আইকাহ এবং মাদায়েন সম্প্রদায়ের শাস্তি সম্পর্কিত বর্ণনার ভিন্নতা: কুরআনে আসহাবে আইকাহ’র আযাবের ক্ষেত্রে «عَذابُ یَوْمِ الظُّلَّةِ» "মেঘলা দিনের আযাব" এবং আহলে মাদায়েনের আযাবের ক্ষেত্রে «رَجْفه» "তীব্র কম্পন" এবং «صَیحه» "ভয়ানক শব্দ" হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।[১০] অধিকন্তু, কুরআনের সূরা আ’রাফের ৮৫ নং আয়াতে হযরত শুয়াইব "আহলে মাদায়েনের ভাই" বলে অভিহিত করা হয়েছে; কিন্তু "আসহাব আইকাহ’র ভাই" বলে আখ্যায়িত করা হয় নি।[১১]
বৈশিষ্ট্যসমূহ
আসহাব আইকাহ’র বৈশিষ্ট্য হিসেবে ওজনে কম দেওয়া এবং মূর্তিপূজার উল্লেখ করা হয়েছে:
ব্যবসায় ওজনে কম দেওয়া
গবেষণা অনুসারে, আসহাব আইকাহ’র সবচেয়ে বড় বিচ্যুতি ছিল ওজনে কম দেওয়া।[১২] বিভিন্ন সূত্রানুসারে, তারা ব্যবসার ক্ষেত্রে ওজন এবং পরিমাপে কম দেওয়া[১৩], পরিমাপক যন্ত্র ও বাটখারায় জালিয়াতি এবং এমনকি পণ্যসমূহের রঙ ও প্রকৃতিতে পরিবর্তন ঘটানোর[১৪] মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা ও অপকর্মে লিপ্ত হতো।[১৫] কুতুবুদ্দিন রাওয়ান্দি তাঁর "কাসাসুল আম্বিয়া" গ্রন্থে ইমাম সাজ্জাদ (আ.)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করেছেন যে, হযরত শুয়াইব (আ.) নিজ হাতে দাঁড়িপাল্লা তথা পরিমাপক সারঞ্জাম তৈরি করেন, যেন মানুষ সঠিকভাবে পরিমাপ করতে এবং অন্যের অধিকার বজায় রেখে ব্যবসা করতে পারেন। এমতাবস্থায় মানুষ প্রথম প্রথম সঠিক ও ন্যায় সঙ্গতভাবে ওজন করত, কিন্তু আবার ধীরে ধীরে তারা ওজনে কম দেওয়ায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে এবং মাপের ক্ষেত্রে অন্যের অধিকারকে উপেক্ষা করতে থাকে।[১৬]
আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজী কর্তৃক রচিত তাফসীরে নেমুনেহ’তে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই গোত্রটি তাদের অনুকূলে থাকা ব্যবসায়িক অবস্থানের সুযোগ নিয়ে[১৭] মানুষের পণ্য কম মূল্যে ক্রয় করতো এবং নিজেদের পণ্যকে সর্বোচ্চ মূল্যে বিক্রয় করতো;[১৮]অনুরূপভাবে, যখন নিজেদের পণ্য পরিমাপ করতো তখন অত্যন্ত মনযোগসহকারে করতো; অথচ অন্যদের পণ্যগুলোকে একেবারে অমনযোগিতা ও উদাসীনতার সহিত পরিমাপ করতো।[১৯] হিজরী তৃতীয় ও চতুর্থ শতাব্দীর বিশিষ্ট ঐতিহাসিক তাবারি’র ভাষ্য অনুসারে, তারা তাদের সমৃদ্ধ জীবনের ব্যবস্থা এভাবেই করেছিল।[২০]
মূর্তিপূজা
বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী, আসহাবে আইকাহ প্রাকৃতিক এবং পরিবেশগত নেয়ামতসমূহ থেকে উপকৃত ছিল; অথচ তারা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা পোষণের পরিবর্তে বিভিন্ন মূর্তিপূজা[২১] এবং সবুজ শ্যামল গাছের ইবাদতে মগ্ন হয়ে পড়েছিল;[২২] এছাড়াও তারা কিয়ামত দিবসকে অস্বীকার করেছিল।[২৩]
হযরত শুয়াইব (আ.)-এর আহ্বান এবং তাদের প্রতিক্রিয়া
ঐতিহাসিক এবং তাফসীরগত উৎস অনুযায়ী, আসহাবে আইকাহর মধ্যে শিরক এবং পাপাচার বৃ্দ্ধি পেতে থাকলে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হযরত শুয়াইব (আ.)-কে তাদের নিকট প্রেরণ করেন[২৪] হযরত শুয়াইব (আ.) মানুষকে আল্লাহর ইবাদত,[২৫] তাক্বওয়া অর্জন করা, পাপাচার থেকে দূরে থাকা, ইবাদতের ক্ষেত্রে এখলাস এবং আল্লাহর নির্দেশসমূহে মেনে চলার আহ্বান জানাতেন।[২৬] পক্ষান্তরে, শিরক ও মূর্তিপূজার বিরুদ্ধে সতর্ক করতেন।[২৭]
একইভাবে, তিনি আইকাহ’র অধিবাসীদেরকে ওজমে কম দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলতেন[২৮] এবং ফিতনা-ফ্যাসাদ, [২৯] হত্যা,[৩০]ধন-সম্পদ লুণ্ঠন ও রাহাজানি থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানাতেন।[৩১] তিনি তাদের সতর্ক করেন যে, যদি তারা তাদের কৃত গুনাহের জন্য তওবা না করে, তাহলে তারা আল্লাহর আযাবে নিপতিত হবে।[৩২]
পক্ষান্তরে, ইবনে আব্বাসের মতে, আসহাবে আইকাহ পথের ধারে বসে হযরত শুয়াইব (আ.)-কে মানুষের শত্রু এবং তাদের ধর্মের বিকৃতিকারক হিসেবে উপস্থাপন করত।[৩৩] তাফসির আল-মুনিরের উদ্ধৃতি অনুযায়ী, তারা হুমকির মাধ্যমে হযরত শুয়াইব (আ.)-এর অবস্থানকে দুর্বল এবং তার আহ্বানকে অকার্যকর করার চেষ্টা করতো।[৩৪] বিভিন্ন উৎসের তথ্য অনুযায়ী, আসহাবে আইকাহ হযরত শুয়াইব (আ.)-এর উদাত্ত আহ্বানের মোকাবেলায় তাঁকে প্রত্যাখ্যান করে[৩৫] এবং তাঁকে পাগল,[৩৬] মিথ্যাবাদী,[৩৭] জাদুকর[৩৮] এবং নিজেদের মতো সাধারণ একজন মানুষ (যার তাদের উপর কোনো বিশেষত্ব নেই) বলে অভিহিত করে।[৩৯]
ধ্বংস
আসহাবে আইকাহ, হযরত শুয়াইব (আ.)-কে প্রত্যাখ্যান করা[৪০] ছাড়াও তাঁকে বলতো যে, যদি তিনি সত্য বলে থাকেন, তবে আকাশ থেকে যেন তাদের উপর পাথর পড়ে এবং তিনি তাদেরকে যে বিপদের হুমকি দিয়ে থাকেন তা যেন তাদের উপর নেমে আসে।[৪১] হুজ্জাত তামাম (প্রমাণ সম্পূর্ণ) হওয়ার পর তথা হযরত শুয়াইব (আ.)-এর আহ্বানের পরিপূর্ণতা শেষে, তারা আল্লাহর আযাবের শিকার হয়।[৪২]
তাফসীর এবং হাদীস সূত্র অনুযায়ী, আসহাবে আইকাহ সাত দিন ধরে তীব্র গরমের মুখে পড়ে; এমনভাবে যে তাদের শহর এবং অঞ্চলে কোন ধরনের বাতাস প্রবাহিত হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। তারপর একটি মেঘ দেখা দেয় এবং তারা গরম থেকে বাঁচার জন্য তার ছায়ায় আশ্রয় নেয়; কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে, সেই মেঘ থেকে আগুন নেমে আসে এবং সবাইকে পুড়িয়ে দেয়।[৪৩]
তথ্যসূত্র
- ↑ ইবনে কাসির, আল-বিদায়াতু ওয়ান নিহায়াহ, বৈরুত, খণ্ড ১, পৃ. ১৮৫; মাকারেম শিরাজি, তাফসীরে নেমুনেহ, ১৩৭১ ফার্সি সন, খণ্ড ১৫, পৃ. ৩৩০।
- ↑ মাকারেম শিরাজি, তাফসীরে নেমুনেহ, ১৩৭১ ফার্সি সন, খণ্ড ১৫, পৃ. ৩৩০।
- ↑ দাশতি, “আসহাবে আইকাহ”, পৃ. ৩৮৯।
- ↑ তাইয়্যেব, আতইয়াবুল বায়ান ফি তাফসীরিল কুরআন, ১৩৬৯ ফার্সি সন, খণ্ড ১০, পৃ. ৮৩; মাকারেম শিরাজী, তাফসীরে নেমুনেহ, ১৩৭১ ফার্সি সন, খণ্ড ১৫, পৃ. ৩৪১; যুহাইলি, আত তাফসীরুল মুনির, ১৪১১ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ২৮৯।
- ↑ তাফসীরে জাওয়ামেউল জামেঅ, ১৪১২ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৭০।
- ↑ দাশতি, “আসহাবে আইকাহ” পৃ. ৩৮৯; মাকারেম শিরাজী, তাফসীরে নেমুনেহ, ১৩৭১ ফার্সি সন, খণ্ড ১৫, পৃ. ৩৩১; তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খণ্ড ৭, পৃ. ৩১৭; মেইবদি, কাশফুল আসরার, ১৩৭১ ফার্সি সন, খণ্ড ৭, পৃ. ১৪৭।
- ↑ দাশতি, “আসহাবে আইকাহ”, পৃ. ৩৮৯।
- ↑ ইবনে আবি হাতেম, তাফসীরুল কুরআনিল আযিম, ১৪১৯ হি., খণ্ড ১৩, পৃ. ৭৭৪।
- ↑ সুয়ুতি, আদ দুররুল মানসুর, ১৪০৪ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৭১।
- ↑ খোসরাভানি, তাফসীরে খোসরাভি, ১৩৯০ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ২৮৯।
- ↑ খোসরাভানি, তাফসীরে খোসরাভি, ১৩৯০ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ২৮৯।
- ↑ দাশতি, “আসহাবে আইকাহ”, পৃ. ৩৮৭।
- ↑ মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১২, পৃ. ৩৮০।
- ↑ মাকারেম শিরাজী, তাফসীরে নেমুনেহ, ১৩৭১ ফার্সি সন, খণ্ড ১৫, পৃ.৩৩৩; তাইয়্যেব, আতইয়াবুল বায়ান, ১৩৬৯ ফার্সি সন, খণ্ড ১০, পৃ. ৮৩; আমিন, তাফসীরে মাখযানুল ইরফান, খণ্ড ৯, পৃ. ২৪৮।
- ↑ ইবনে আসির, আল-কামিলু ফিত তারিখ, ১৩৮৫ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ১৫৭।
- ↑ রাওয়ান্দি, কাসাসুল আম্বিয়া (আ.), ১৪০৯ হি., পৃ. ১৪২।
- ↑ মাকারেম শিরাজি, তাফসীরে নেমুনেহ, ১৩৭১ ফার্সি সন, খণ্ড ১৫, পৃ. ৩৩৩।
- ↑ মাকারেম শিরাজি, তাফসীরে নেমুনেহ, ১৩৭১ ফার্সি সন, খণ্ড ১৫, পৃ. ৩৩৩।
- ↑ মাকারেম শিরাজি, তাফসীরে নেমুনেহ, ১৩৭১ ফার্সি সন, খণ্ড ১৫, পৃ. ৩৩৩।
- ↑ তাবারি, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩২৬।
- ↑ আল-নুওয়াইরি, নিহায়াতুল আরাব, আল-নুওয়াইরি, ১৪২৩ হি., খণ্ড ১৩, পৃ. ১৬৮;।
- ↑ শিবানি, নাহজুল বায়ান, ১৪১৩ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৯৮।
- ↑ সাবযভারি, আল-জাদিদ, ১৪০৬ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ১০; মাকারেম শিরাজী, তাফসীরে নেমুনেহ, ১৩৭১ ফার্সি সন, খণ্ড ২২, পৃ. ২৪১।
- ↑ হুসাইনি, আনওয়ার দেরাখশান, ১৩৮০ হি., খণ্ড ১২, পৃ. ৭৬।
- ↑ আল-নুওয়াইরি, নিহায়াতুল আরাব, আল-নুওয়াইরি, ১৪২৩ হি., খণ্ড ১৩, পৃ. ১৬৯।
- ↑ তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খণ্ড ৭, পৃ. ৩১৭।
- ↑ হুসাইনি, আনওয়ার দেরাখশান, ১৩৮০ হি., খণ্ড ১২, পৃ. ৭৬।
- ↑ আল-নুওয়াইরি, নিহায়াতুল আরাব, আল-নুওয়াইরি, ১৪২৩ হি., খণ্ড ১৩, পৃ. ১৬৯।
- ↑ আমিন, তাফসীরে মাখযানুল ইরফান, খণ্ড ৯, পৃ. ২৮৪।
- ↑ সাকাফি তেহরানী, রাওয়ান জাভিদ দার তাফসীরে কুরআনে মাজিদ, ১৩৯৮ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ১২৫।
- ↑ ইবনে কাসির, আল-বিদায়াতু ওয়ান নিহায়াহ, বৈরুত, খণ্ড ১, পৃ. ১৮৫; জারজানি, জিলাউল আযহান, ১৩৭৮ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ২৬৭।
- ↑ তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খণ্ড ৭, পৃ. ৩১৮।
- ↑ যুহাইলি, আত তাফসীরুল মুনির, ১৪১১ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ২৮৯।
- ↑ যুহাইলি, আত তাফসীরুল মুনির, ১৪১১ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ২৮৯।
- ↑ মাকারেম শিরাজি, তাফসীরে নেমুনেহ, ১৩৭১ ফার্সি সন, খণ্ড ১৫, পৃ. ৩৪১।
- ↑ মাকারেম শিরাজি, তাফসীরে নেমুনেহ, ১৩৭১ ফার্সি সন, খণ্ড ১৫, পৃ. ৩৩৮।
- ↑ তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খণ্ড ৭, পৃ. ৩১৭।
- ↑ যুহাইলি, আত তাফসীরুল মুনির, ১৪১১ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ২৮৯।
- ↑ জারজানি, জিলাউল আযহান, ১৩৭৮ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৯৭।
- ↑ আশকওয়ারী, তাফসীর শরীফ লাহিজী, ১৩৭৩ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ৩৯৪।
- ↑ মাকারেম শিরাজি, তাফসীরে নেমুনেহ, ১৩৭১ ফার্সি সন, খণ্ড ১৫, পৃ. ৩৩৯।
- ↑ শাহ আব্দুল আযিমি, তাফসীরে ইসনা আশারি, ১৩৬৩ ফার্সি সন, খণ্ড ১২, পৃ. ২২১।
- ↑ মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১২, পৃ. ৩৮০; তাবারি, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩২৭; তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খণ্ড ৭, পৃ. ৩১৭।
গ্রন্থপঞ্জি
- ইবনে আসির, আলী ইবনে মুহাম্মাদ, আল-কামিলু ফিত তারিখ, বৈরুত, দারুস সাদির, ১৩৮৫ হি.।
- ইবনে কাসির, হাফেজ ইবনে কাসির, আল-বিদায়াতু ওয়ান নিহায়াহ, বৈরুত, দারুল ফিকর, তারিখ অজ্ঞাত।
- আশকওয়ারী, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, তাফসীর শরীফ লাহিজী, তাসহীহ: জালাল উদ্দিন মুহাদ্দিস, তেহরান, দাফতারে নাশরে দাদ, প্রথম সংস্করণ, ১৩৭৩ ফার্সি সন।
- আল-নুওয়াইরি, আহমাদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব, নিহায়াতুল আরাব ফি ফুনুনিল আদাব, কায়রো, দারুল কুতুব ওয়াস সায়েকুল কাওমিয়্যাহ, প্রথম সংস্করণ, ১৪২৩ হি.।
- আমিন, নুসরাত বেগম, তাফসিরু মাখজান আল-ইরফান দার উলুমে কুরআন, স্থান অজ্ঞাত, প্রকাশনা অজ্ঞাত, প্রথম সংস্করণ, তারিখ অজ্ঞাত।
- সাকাফি তেহরানী, মুহাম্মাদ, রাওয়ান জাভিদ দার তাফসীরে কুরআনে মাজিদ, তেহরান, বুরহান, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৩৯৮ হি.।
- জারজানি, হুসাইন বিন হাসান, জিলাউল আযহান ওয়া জালাউল আহযান, জালাল উদ্দীন মুহাদ্দিস, তেহরান, তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়, প্রথম সংস্করণ, ১৩৭৮ হি.।
- হুসাইনি হামেদানি, মুহাম্মাদ, আনোয়ার দেরাখশান দার তাফসীরে কুরআন, তেহরান, লোতফি, ১৩৮০ হি.।
- দাশতি, সাইয়্যেদ মাহমুদ, "আসহাবে আইকাহ" দার দানেশনামেয়ে দায়েরাতুল মাআরেফে কুরআনে কারিম (খণ্ড ৩), কোম, মুআসসেসেয়ে বুস্তানে কিতাব, ১৩৮২ ফার্সি সন।
- যুহাইলি, ওয়াহবা, আত তাফসীরুল মুনির ফিল আকিদাতি ওয়াশ শারিয়াতি ওয়াল মানহাজ, দামেস্ক, দারুল ফিকর, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪১১ হি.।
- সাবযভারি, মুহাম্মাদ, আল-জাদিদ ফি তাফসীরিল কুরআনিল মাজিদ, বৈরুত, দারুত তাআরিফু লিল মাতবুআত, প্রথম সংস্করণ, ১৪০৬ হি.।
- শাহ আবদুল আজিমি, হুসাইন, তাফসীরু ইসনা আশারি, তেহরান, নাশরে মীকাত, প্রথম সংস্করণ, ১৩৬৩ ফার্সি সন।
- তাবারসি, ফাযল ইবনে হাসান, তাফসীরু জাওয়ামেউল জামেঅ, তাসহিহ: আবুল কাসিম গোরজি, কোম, মারকাযে মুদিরিয়্যাতে হাওযা ইলমিয়্যাহ কোম, প্রথম সংস্করণ, ১৪১২ হি.।
- তাবারসি, ফাযল ইবনে হাসান, মাজমাউল বায়ান ফি তাফসীরিল কুরআন, তাসহিহ: ফাযলুল্লাহ ইয়াযদি তাবাতাবাঈ, হাশেম রাসুলী, তেহরান, নাসের খোসরু, তৃতীয় সংস্করণ, ১৩৭২ ফার্সি সন।
- তাবারি, মুহাম্মাদ ইবনে জারির, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, বৈরুত, দারুত তুরাস, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৩৮৭ হি.।
- তাইয়্যেব, আব্দুল হুসাইন, আতইয়াবুল বায়ান ফি তাফসীরিল কুরআন, তেহরান, নাশরে ইসলাম, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৩৬৯ ফার্সি সন।
- কুতুব উদ্দিন রাওয়ান্দি, সাঈদ ইবনে হিবাতুল্লাহ, কাসাসুল আম্বিয়া (লিল রাওয়ান্দি), গোলাম রেজা এরফানিয়ান ইয়াজদি দ্বারা সম্পাদিত, মাশহাদ, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, প্রথম সংস্করণ, ১৪০৯ হি.।
- কুতুব, সাইয়্যেদ, ফি যিলালিল কুরআন, বৈরুত, দারুশ শুরুক , ৩৫তম সংস্করণ, ১৪২৫ হি.।
- মাজলিসী, মুহাম্মাদ বাকের, বিহারুল আনওয়ার, মুহাক্কেক, জাম-ই আয মুহাক্কেকান, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৩ হি.।
- মুগনিয়াহ, মুহাম্মাদ জাওয়াদ, আত-তাফসীরুল কাশিফ, কোম, দারুল কিতাবিল ইসলামিয়্যাহ, প্রথম সংস্করণ, ১৪২৪ হি.।
- মাকারেম শিরাজী, নাসের, তাফসীরে নেমুনেহ, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়্যাহ, ১০ম সংস্করণ, ১৩৭১ ফার্সি সন।
- মাহরান, মুহাম্মাদ বায়ুমি, দারাসাতুন তারিখিয়্যাতু মিনাল কুরআনিল কারিম, বৈরুত, দারুন নাহযাতিল আরাবিয়্যাহ, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৮ হি.।
- মেইবদি, আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ, কাশফুল আসরার ওয়া উদ্দাতুল আবরার (তাফসীরে খাজা আবদুল্লাহ আনসারী হিসাবে পরিচিত), তাহকিক: আলী আসগার হিকমাত, তেহরান, আমির কবির, পঞ্চম সংস্করণ, ১৩৭১ ফার্সি সন।
- ইবনে আবি হাতেম, আব্দুর রহমান বিন মুহাম্মাদ, তাফসীরুল কুরআনিল আযিম, রিয়াদ, মাক্তাবাতু নাযারু মুস্তাফাল বায, তৃতীয় সংস্করণ, ১৪১৯ হি.।
- খোসরাভানি, আলী রেজা, তাফসীরে খোসরাভি, তাহকিক: মুহাম্মাদ বাকির বেহবুদি, তেহরান, কিতাব ফুরুশিয়ে ইসলামিয়্যাহ, প্রথম সংস্করণ, ১৩৯০ হি.।
- সুয়ুতি, আব্দুর রাহমান ইবনে আবি বাকর, আদ দুররুল মানসুর ফিত তাফসীর বিল মা’সূর, কোম, কিতাব খানেয়ে উমুমিয়ে হযরত আয়াতুল্লাহ আল-উযমা মারআশি নাজাফি (রহ.), প্রথম সংস্করণ, ১৪০৪ হি.।
- শিবানি, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, নাহজুল বায়ান আন কাশফি মাআনিউল কুরআন, কোম, নাশরুল হাদি, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৩ হি.।