আঁইশযুক্ত মাছ

wikishia থেকে

আঁইশযুক্ত মাছ (আরবি: الأسماك ذوات الفلس) হচ্ছে ঐ মাছ যা খাওয়া হালাল। শিয়া ফিকাহ শাস্ত্র অনুসারে, মাছ হালাল হওয়ার অন্যতম মানদণ্ড হলো আঁইশযুক্ত হওয়া। কোন কোন ফিকাহবিদ এই হুকুমটিকে ইমামিয়াদের একটি বিশেষ বিধান বলে মনে করেন। ইসলামী রেওয়ায়েতসমূহে, এই বিধানের উপর ভিত্তি করে কিছু কিছু মাছকে হালাল এবং হারাম বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। আঁশবিহীন মাছ খাওয়ার জন্য ক্রয়-বিক্রয়কে ফকীহগণ বাতিল এবং হারাম বলে জ্ঞান করেন। তাদের ফতওয়া অনুসারে, যদি কোন মাছের শরীরের কিছু অংশেও আঁইশ থাকে, তবে সেটাই যথেষ্ট এবং ঐ মাছ খাওয়া হালাল। যে সমস্ত মাছের আঁইশ অতিক্ষুদ্রাকৃতির; যা যন্ত্র ব্যতিত খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়, সেই সমস্ত মাছের হুকুম নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে মতপার্থক্য বিদ্যমান।

পরিচিতি

যে সমস্ত মাছের শরীরের বাইরের আবরণ আঁইশ বিশিষ্ট তাকে আঁইশযুক্ত মাছ বলে।[১] ইসলামী ফিকাহ শাস্ত্রে শিকার, জবাই করা, খাওয়া এবং পান করা (খাদ্য ও পানীয়সমূহ) অধ্যায়ে আঁশযুক্ত মাছ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।[২] মাছ হালাল হওয়ার অন্যতম মানদণ্ড হচ্ছে আঁইশযুক্ত হওয়া।[[৩] শিয়া রেওয়ায়েতি গ্রন্থসমূহে আঁইশযুক্ত মাছের হুকুম সংক্রান্ত রেওয়ায়েত সংকলিত হয়েছে।[৪]

ফিকহী বিধান

ইমামিয়া ফকিহগণ আঁইশযুক্ত মাছ খাওয়া হালাল এবং আঁইশ বিহীন মাছ খাওয়া হারাম জ্ঞান করেন।[৫] আঁইশ বিহীন মাছ বলতে ঐ সমস্ত মাছকে বোঝানো হয়েছে, যেসব মাছের প্রকৃতিগতভাবেই আঁইশ নেই।[৬] এই দৃষ্টিকোন থেকে যেসব মাছের আঁইশ আছে কিন্তু আঁইশগুলো যদি পড়ে যেয়ে থাকে, তবে তা আঁইশবিহীন মাছের অন্তর্ভূক্ত হবে না।[৭]

আঁইশ বিহীন মাছ খাওয়া হারাম হওয়ার কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এই মাছগুলো মূলত মাংসাশী বা মরা খেকো এবং আঁইশ না থাকায় এদের শরীরের মাংস দূষিত।[৮]

মাছের ডিমের হুকুম

অধিকাংশ ফিকাহবিদগণের ফতওয়া অনুসারে, মাছের ডিম খাওয়ার হুকুমও স্বয়ং মাছ খাওয়ার ন্যায়। এই দৃষ্টিকোন থেকে যদি মাছ খাওয়া হালাল হয়, তবে মাছের ডিম খাওয়াও হালাল হবে।[৯] কেউ কেউ আবার অন্য সমাধান নিয়ে এসেছেন; যেমন: মাছের ডিম খসখসে ও শক্ত হলে হালাল এবং যদি নরম হয়, তবে হারাম;[১০] তবে কেউ কেউ এই সমাধানকে সেই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বলে মনে করেন, যে ক্ষেত্রে মাছের মাংস হালাল ও হারাম হওয়ার বিষয়টি চিহ্নিত হয় নি ।[১১] বিশিষ্ট মারজায়ে তাক্বলীদ আয়াতুল্লাহ সিস্তানির মতে, হালাল মাছের ক্যাভিয়ার এবং ডিম হালাল এবং হারাম মাছের ক্যাভিয়ার এবং ডিম হচ্ছে হারাম। আর এক্ষেত্রে খসখসে ও শক্ত হওয়া এবং নরম ও মসৃণ হওয়ার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।[১২]

শেখ তুসি এবং সাইয়্যেদ মুর্তাযার ন্যায় শিয়া ফকিহগণের কেউ কেউ, আঁইশযুক্ত মাছ হালাল এবং অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী হারাম হওয়াকে একান্তভাবে ইমামিয়াদের আহকাম বলে মনে করেন।[১৩] অন্য কেউ কেউ আবার এই প্রসঙ্গে তাওয়াতুর রেওয়ায়েত[১৪] এবং সাহাবাদের মধ্যে এর শোহরাতের[১৫] প্রতি ইঙ্গিত করে এর জন্য ইজমা’র দাবী[১৬] করে এটাকে শিয়া মাযহাবের বৈশিষ্ট্যের অন্তর্গত বলে মনে করেন।[১৭]

ইমামিয়া ব্যতিত অন্যান্য ফকিহগণ হালাল হওয়ার বিষয়টিকে শুধুমাত্র আঁইশযুক্ত মাছের মধ্যে সীমাবদ্ধ মনে করেন না। আবু হানিফা সমস্ত প্রকারের মাছকে হালাল জ্ঞান করেন। এছাড়াও শাফেয়ী এবং মালেক বিন আনাস সকল সামুদ্রিক প্রাণীকে হালাল হিসেবে পরিচয় করিয়েছেন।[১৮] এই দিক থেকে কিছু সংখ্যক ফিকাহবিদ আঁইশযুক্ত মাছের হালাল হওয়াকে মুসলমানদের ইজমা এবং আঁইশ বিহীন মাছ ও মাছ ব্যতিত অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী’র হারাম হওয়াকে ইজমা-এ- আসহাবে ইমামিয়া বলে মনে করেন।[১৯]

রেওয়ায়েতি উদাহরণ

ফিকাহবিদদের কেউ কেউ বিভিন্ন রেওয়ায়েতের প্রতি লক্ষ্য রেখে হালাল এবং হারাম মাংস সম্বলিত কোন কোন মাছের নামের প্রতি ইশারা করেছেন[[২০]] এবং এই প্রসঙ্গে পণ্ডিতগণের হুকুম সংকলিত করেছেন।[ফাযেল আবি, কাশফুর রুমুয, ১৪১৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩৬১।] কচ্ছপ, ব্যাঙ, কাঁকড়া হচ্ছে অন্যতম সামুদ্রিক প্রাণী যেগুলো মাছ না হওয়ার কারণে বা আঁইশ না থাকার কারণে হারাম হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।[২১] একইভাবে, স্যামন মাছ, সূক্ষ্ন আঁইশযুক্ত ছোট মাছ ও চিংড়িকে হালাল মাছের অন্তর্গত বলে বিবেচনা করা হয়েছে।[২২]

শেখ তুসি,[২৩] মুহাক্কেক হিল্লি[২৪] এবং এসবাহুশ শিয়া গ্রন্থের প্রণেতা কেইদারির ন্যায় ফকিহগণ[২৫] রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে বাইম মাছ, যাহু এবং যেমারের ন্যায় সামুদ্রিক প্রাণীর মাংস খাওয়াকে মাকরুহ মনে করেন। আবার কেউ কেউ ঐ গুলোকে মাছের অন্তর্ভূক্ত হিসেব না করা বা আঁইশযুক্ত মনে না করার কারণে হারাম জ্ঞান করেন।[২৬] এই দলটি মাকরুহ হওয়ার দলিল সম্বলিত রেওয়ায়েতের উপর নির্ভরশীল হয়েছেন।[২৭] রেওয়ায়েতে উদাহরণ হিসেবে যে সব মাছের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে সে ব্যাপারেও মতপার্থক্য বিদ্যমান।[২৮]

আঁইশের পরিমাণ

কোন কোন মুজতাহিদের ফতওয়া অনুসারে মাছের সমস্ত শরীরে আঁইশ থাকা জরুরী নয়; বরং মাছের শরীরের কিছু অংশে আঁইশ থাকাই যথেষ্ট।[২৯] মাছের শরীরে আঁইশ আছে কিনা তা স্বয়ং ব্যক্তিই নির্ণয় করবেন[৩০] অথবা বিশেষজ্ঞ মাছকে আঁইশযুক্ত বলে মনে করবেন।[৩১]

কারও কারও মতে, যদি কোন ব্যক্তি মাছের আঁইশ থাকা নিয়ে সন্দেহপোষণ করে থাকে, তবে অবশ্যই হারাম বলে ধরে নিবেন;[৩২] তবে ব্যতিক্রম হচ্ছে যদি কিনা তা মুসলমানদের বাজারে বিক্রয় হয়ে থাকে[৩৩] অথবা কোন ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি আঁইশ থাকার ব্যাপারে সাক্ষ্য দেয়।[৩৪] সুতরাং, অমুসলিমদের বাজারে বিক্রয় হওয়া মাছ সম্পর্কে যদি সন্দেহ থাকে, অবশ্যই তা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।[৩৫]

যেসব মাছের আঁইশ অতিসূক্ষ্ন যা যন্ত্র ব্যতিত খালি চোখে দেখা যায় না, সেসব মাছ নিয়ে ফিকাহবিদদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। এদিক থেকে স্টারজিওন প্রজাতির মাছ যেমন, বেলুগা স্টারজিওন মাছ,[৩৬] হাঙ্গর[৩৭] এবং সাদা স্টারজিওন[৩৮] মাছ হচ্ছে এমন ধরনের মাছ যেগুলোর হালাল হওয়ার সম্পর্কে ফকিহগণের নিকট জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। কোন কোন মারজা’ মনে করেন যে, মাছের আঁইশ অবশ্যই যন্ত্র ব্যতিত খালি চোখে এবং অনুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া দেখা আবশ্যক এবং সমাজের উরফের দৃষ্টিতে যেন সেটাকে আঁইশ বলা হয়।[৩৯] এদিক থেকে আয়াতুল্লাহ তাবরিযী মনে করেন, ক্যাভিয়ার মাছের আঁইশযুক্ত হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত নয়।[৪০] অন্যদের মধ্য হতে যেমন আয়াতুল্লাহ বাহজাত মনে করেন, আঁইশযুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে যন্ত্র দিয়ে দেখতে সক্ষম হওয়াই যথেষ্ট।[৪১] হাঙ্গর হালাল কিনা- এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজী, মাছ হালাল হওয়ার জন্য উরফ তথা প্রথাগত দৃষ্টিভঙ্গি[৪২] অথবা বিজ্ঞজনদের সত্যায়নকে[৪৩] যথেষ্ট বলে মনে করেন। গবেষকদের একদল বিশ্বাস করেন যে, মাছ খাওয়া জায়েয হওয়ার জন্য আঁইশ থাকা বাঞ্ছনীয়; চাই সেই আঁইশ যন্ত্র দিয়ে দেখা হোক বা খালি চোখে।[৪৪]

তথ্যসূত্র

  1. জাম-ই আয মুয়াল্লেফান, মাজাল্লে-এ ফিকহে আহলে বাইত (আ.), কোম, খণ্ড ৯, পৃ. ২৬৮।
  2. মুআসসেসেয়ে দায়েরাতুল মাআরেফে ফিকহে ইসলামি বার মাযহাবে আহলে বাইত, ফারহাঙ্গে ফিকহ মোতাবেকে মাযহাবে আহলে বাইত (আ.), ১৪২৬ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২৯১।
  3. দ্র: খোমেনী, তাহরীরুল ওয়াসিলাহ, কোম, খণ্ড ২, পৃ. ১৫৫।
  4. দ্র: সাদুক, মান লা ইয়াহদ্বুরুহল ফাকিহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৩২৩; হুররে আমেলি, ওয়াসায়েলুশ শিয়া, ১৪০৯ হি., খণ্ড ২৪, পৃ. ১২৯; তুসি, তাহযিবুল আহকাম, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৯, পৃ. ২।
  5. দ্র:শারীফ মুর্তাযা, আল-ইন্তেসার, ১৪১৫ হি., পৃ. ৪০০; মুহাক্কেক হিল্লি, শারায়েউল ইসলাম, ১৪০৮ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৬৯।
  6. গাফ্ফারি, তরজমা ও শারহে মান লা ইয়াহদ্বুরুহুল ফাকিহ, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৪৪৪।
  7. আল্লামা হিল্লি, কাওয়ায়েদুল আহকাম, ১৪১৩ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৩২৪; গাফ্ফারি, তরজমা ও শারহে মান লা ইয়াহদ্বুরুহুল ফাকিহ, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৪৪৪; শহীদ সানি, আর-রাওযাতুল বাহিইয়া, ১৪১০ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ২৬৩।
  8. https://www.mashreghnews.ir/news/581497/, মাশরেক ওয়েব সাইট।
  9. দ্র: আল্লামা হিল্লি, তাহরীরুল আহকামিশ শারীয়্যাহ, মাশহাদ, খণ্ড ২, পৃ. ১৬০; শহীদে আউয়াল, আল-লু’মাতু দিমাস্কিয়া, ১৪১০ হি., পৃ. ২৩৫।
  10. দাইলামি, আল-মারাসেমুল আলাভিয়্যাহ, ১৪০৪ হি., পৃ. ২০৭।
  11. দ্র: আল্লামা হিল্লি, তাহরীরুল আহকামিশ শারীয়্যাহ, মাশহাদ, খণ্ড ২, পৃ. ১৬০; শহীদে আউয়াল, আল-লু’মাতু দিমাস্কিয়া, ১৪১০ হি., পৃ. ২৩৫।
  12. https://www.sistani.org/persian/book/26576/7445/
  13. তুসি, আল-মাবসুত, ১৩৭৮ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ২৭৬।
  14. কুহ কামারেঈ, তাহকিক বার তানকীহুর রায়ে’, ১৪০৪ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৩১।
  15. আরদেবিলী, মাজমাউল ফাওয়ায়েদ, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১১, পৃ. ১৮৭।
  16. রাভান্দি, ফিকহুল কুরআন, ১৪০৫ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২৪৯।
  17. ইবনে ইদ্রিস হিল্লি, আস-সারায়ের, ১৪১০ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৯৯।
  18. ফাযিল মিকদাদ, কানযুল ইরফান, ১৪২৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩২৮।
  19. আরদেবিলী, মাজমাউল ফাওয়ায়েদ, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১১, পৃ. ১৮৭।
  20. দ্র: মুফিদ, আল-মুকনিআহ, ১৪১৩ হি., পৃ. ৫৭৬; তুসি, আন-নেহায়াহ, ১৪০০ হি., পৃ. ৫৭৬; তুসি, আল-মাবসুত, ১৩৭৮ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ২৭৬; মুহাক্কেক হিল্লি, শারায়েউল ইসলাম, ১৪০৮ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৬৯; আল্লামা হিল্লি, তাবসীরাতুল মুতাআল্লেমীন, ১৪১১ হি., পৃ. ১৬৩।
  21. শহীদে আউয়াল, আল-লুমআতুদ দিমাশকিয়াহ, ১৪১০ হি., পৃ. ২৩৫।
  22. শেখ বাহাঈ, জামেউল আব্বাসি, ১৪২৯ হি., পৃ. ৭৫৪।
  23. তুসি, আন-নিহায়াহ, ১৪০০ হি., পৃ. ৫৭৬।
  24. মুহাক্কেক হিল্লি, শারায়েউল ইসলাম, ১৪০৮ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৬৯।
  25. কেইদারি, ইসবাহুশ শীয়া, ১৪১৬ হি., পৃ. ৩৮৭।
  26. ইবনে ইদ্রিস হিল্লি, আস-সারায়ের, ১৪১০ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৯৯।
  27. শহীদে আউয়াল, আদ-দুরুসুশ শারীয়্যাহ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৮।
  28. দ্র: আবুল হাসান শা’রানি, তরজমা ওয়া শারহে তাবসিরাতুল মুতাআল্লেমীন, ১৪১৬ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৬৩৪।
  29. মুআসসেসেয়ে দায়েরাতুল মাআরেফে ফিকহে ইসলামি বার মাযহাবে আহলে বাইত, ফারহাঙ্গে ফিকহ মোতাবেকে মাযহাবে আহলে বাইত (আ.), ১৪২৬ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২৯১।
  30. গুলপাইগানি, মাজমাউল মাসায়েল, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৬৩।
  31. বাহজাত, ইস্তেফতাআত, ১৪২৮ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৩৭৬।
  32. হাকিম, মিনহাজুস সালেহীন, ১৪১০ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩৬৭।
  33. তাবরিযী, ইস্তেফতাআতে জাদিদ, কোম, খণ্ড ২, পৃ. ৩৯৩।
  34. খুয়ী, সীরাতুন নাজাত, ১৪১৬ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪০৬; বোজনাওয়ারদি, আল-কাওয়ায়েদুল ফিকহিয়্যাহ, ১৪১৯ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৪১।
  35. তাবরিযী, সীরাতুন নাজাত, ১৪২৭ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৪০৬।
  36. গুলপাইগানি, মাজমাউল মাসায়েল, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৬৩।
  37. তাবরিযী, ইস্তেফতাআতে জাদিদ, কোম, খণ্ড ১, পৃ. ২৮৬; বাহজাত, ইস্তেফতাআত, ১৪২৮ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৩৭৬; মাকারেম শিরাজী, ইস্তেফতাআতে জাদিদ, ১৪২৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৮৬; সাফি গুলপাইগানি, জামেউল আহকাম, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৮৬।
  38. তাবরিযী, সীরাতুন নাজাত, ১৪২৭ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৪০৬; গুলপাইগানি, মাজমাউল মাসায়েল, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৬৩।
  39. তাবরিযী, ইস্তেফতাআতে জাদিদ, কোম, খণ্ড ২, পৃ. ৩৯০।
  40. তাবরিযী, সীরাতুন নাজাত, ১৪২৭ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৪০৬।
  41. বাহজাত, ইস্তেফতাআত, ১৪২৮ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৩৭৬।
  42. ইস্তেফতাআতে জাদিদে মাকারেম, খণ্ড ১, পৃ. ২৮২।
  43. মাকারেম শিরাজী, ইস্তেফতাআতে জাদিদ, ১৪২৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৮৬।
  44. জাম-ই আয মুআল্লেফান, মাজাল্লে-এ ফিকহে আহলে বাইত (আ.), খণ্ড ৪৩, পৃ. ২৩৭।

গ্রন্থপঞ্জি

  • ইবনে ইদ্রিস হিল্লি, মুহাম্মাদ ইবনে মানসুর, আস-সারায়েরুল হাউয়ি লি তাহরীরিল ফাতাউয়ি, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামি, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪১০ হি.।
  • আরদেবিলী, আহমাদ ইবনে আলী, মাজমাউল ফায়েদাহ ওয়াল বুরহান ফি শারহি ইরশাদিল আযহান, তাহকিক: আগা মুজতাবা আরাবি ওয়া আলী পানাহ এশতাহারদি, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামি, ১৪০৩ হি.।
  • বোজনাওয়ারদি, সাইয়্যেদ হাসান, আল-কাওয়ায়েদুল ফিকহিয়্যাহ, তাহকিক: মাহদি মেহরিযি ওয়া মুহাম্মাদ হাসান দেরায়াতি, কোম, নাশরুল হাদি, ১৪১৯ হি.।
  • বাহজাত, মুহাম্মাদ তাকি, ইস্তেফতাআত, কোম, দাফতারে হযরত আয়াতুল্লাহ বাহজাত, ১৪২৮ হি.।
  • তাবরিযী, জাওয়াদ, ইস্তেফতাআতে জাদিদ, কোম, তারিখ অজ্ঞাত।
  • জাম-ই আয মুআল্লেফান, মাজাল্লে-এ ফিকহে আহলে বাইত (আ.), ফার্সি কোম, মুআসসেসেয়ে দায়েরুল মাআরেফ ফিকহে ইসলামি বার মাযহাবে আহলে বাইত (আ.), তারিখ অজ্ঞাত।
  • হুররে আমেলি, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, ওয়াসায়েলুশ শিয়া, কোম, মুআসসেসাতু আলিল বাইত (আ.), ১৪০৯ হি.।
  • হাকিম, সাইয়্যেদ মুহসিন, মিনহাজুস সালেহীন (আল-মোহাশশা), বৈরুত, দারুত তাআরেফ লিল মাতবুআত, ১৪১০ হি.।
  • খোমেনী, সাইয়্যেদ রুহুল্লাহ, তাহরীরুল ওয়াসিলাহ, কোম, মুআসসেসেয়ে মাতবুআত দারুল ইলম, তারিখ অজ্ঞাত।
  • খুয়ী, সাইয়্যেদ আবুল কাসেম, সীরাতুন নাজাত (আল-মোহাশ্শা), কোম, মাক্তাবু নাশরিল মুন্তাখাব, ১৪১৬ হি.।
  • দেইলামি, সালার, আল-মারাসেমুল আলাভিয়্যাতু ওয়াল আহকামিল নাবাবিয়্যাহ, তাহকিক: মাহমুদ বাস্তানি, কোম, মানশুরাতুল হারামাইন, ১৪০৪ হি.।
  • রাওয়ান্দি, কুতবুদ্দিন, ফিকহুল কুরআন লিল রাওয়ান্দি, কোম, ইন্তেশারাতে কিতাব খনেয়ে আয়াতুল্লাহ মারআশি, ১৪০৫ হি.।
  • শরীফ মুর্তাযা, আলী ইবনে হুসাইন মুসাভি, আল-ইন্তেসারু ফি ইনফিরাদাতিল ইমামিয়্যাহ, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামি, ১৪১৫ হি.।
  • শা’রানি, আবুল হাসান, তাবসিরাতুল মুতাআল্লেমীন ফি আহকামিদ দীন, তরজমা ওয়া শারহ, তেহরান, মানশুরাতে ইসলামিয়া, পঞ্চম সংস্করণ, ১৪১৯ হি.।
  • শহীদে আউয়াল, মুহাম্মাদ ইবনে মাক্কি, আদ-দুরুসুশ শারীয়্যাহ ফি ফিকহিল ইমামিয়্যাহ, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামি, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪১৭ হি.।
  • শহীদে আউয়াল, মুহাম্মাদ ইবনে মাক্কি, আল-লুমআতুদ দিমাস্কিয়্যাহ ফি ফিকহিল ইমামিয়্যাহ, মুহাম্মাদ তাকি ওয়া আলী আসগার মুরওয়ারিদ, বৈরুত, দারুত তুরাস, ১৪১০ হি.।
  • শহীদ সানি, যাইনুদ্দিন ইবনে আলী, আর-রাওযাতুল বাহিইয়া ফি শারহিল লুমআতিল দিমাস্কিয়্যাহ, কোম, কিতাব ফুরুশিয়ে দাভারি, ১৪১০ হি.।
  • শহীদ সানি, যাইনুদ্দিন ইবনে আলী, মাসালেকুল আফহাম ইলা তানকিহি শারায়েয়িল ইসলাম, কোম, মুআসসেসাতুল মাআরেফিল ইসলামিয়্যাহ, ১৪১৩ হি.।
  • শেইখ বাহাঈ, বাহা উদ্দিন, জামে’ আব্বাসি ওয়া তাকমিলে অন মোহাশ্শা, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামি, নতুন সংস্করণ, ১৪২৯ হি.।
  • সাফি গুলপায়গানি, লুৎফুল্লাহ, জামেউল আহকাম, কোম, ইন্তেশারাতে হযরত মা’সূমা (সা. আ.), ১৪১৭ হি.।
  • সাদুক, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, মান লা ইয়াহদ্বুরুহুল ফাকিহ, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামি, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪১৩ হি.।
  • তুসি, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, আল-মাবসুত ফি ফিকহিল ইমামিয়্যাহ, তাহকিক: সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ তাকি কাশফি, তেহরান, মাক্তাবাতুল মুর্তাযাভিয়্যাহ, তৃতীয় সংস্করণ, ১৩৮৭ হি.।
  • তুসি, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, আন-নিহায়াতু ফি মুজাররাদিল ফিকহ ওয়াল ফাতাউয়ি, বৈরুত, দারুল কুতুব আল-আরাবি, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০০ হি.।
  • তুসি, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, তাহযীবুল আহকাম, তাহকিক: হাসান আল-মুসাভি, তেহরান, দারুল কুতুব আল-ইসলামিয়্যাহ, ১৪০৭ হি.।
  • আল্লামা হিল্লি, হাসান ইবনে ইউসুফ, তাবসীরাতুল মুতাআল্লেমীন ফি আহকামিদ দীন, তাহকিক: মুহাম্মাদ হাদি ইউসুফি গারভি, তেহরান, মুআসসেসেয়ে চাপ ওয়া নাশর, ১৪১১ হি.।
  • আল্লামা হিল্লি, হাসান ইবনে ইউসুফ, তাহরীরুল আহকামিশ শারীয়্যাহ আলা মাযহাবিল ইমামিয়্যাহ, মাশহাদ, মুআসসসেসাতু আলিল বাইত (আ.)।
  • আল্লামা হিল্লি, হাসান ইবনে ইউসুফ, কাওয়ায়েদুল আহকাম ফি মা’রিফাতিল হালাল ওয়াল হারাম, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামি, ১৪১৩ হি.।
  • গাফ্ফারি, আলী আকবার ওয়া মুহাম্মাদ জাওয়াদ সাদর বালাগি, তরজমা ওয়া নাশরে মান লা ইয়াহদ্বুরুহুল ফাকিহ, তেহরান, নাশরে সাদুক, ১৪০৯ হি.।
  • ফাযেল আবি, হাসান ইবনে আবি তালিব, কাশফুর রুমুয ফি শারহিল মুখতাসারিন নাফে’, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামি, তৃতীয় সংস্করণ, ১৪১৭ হি.।
  • ফাযিল মিকদাদ, মিকদাদ ইবনে আব্দুল্লাহ, আত-তানকীহুর রায়ে’ লি মুখতাসারিশ শারায়ে’, কোম, ইন্তেশারাতে কিতাব খানেয়ে আয়াতুল্লাহ মারআশি নাজাফি, ১৪০৪ হি.।
  • ফাযিল মিকদাদ, মিকদাদ ইবনে আব্দুল্লাহ, কানযুল ইরফান ফি ফিকহিল কুরআন, কোম, ইন্তেশারাতে মুর্তাযাভি, ১৪২৫ হি.।
  • কেইদারি, মুহাম্মাদ ইবনে হুসাইন, ইসবাহুশ শীয়া বি মিসবাহিশ শারীয়্যাহ, কোম, মুআসসেসেয়ে ইমাম সাদিক (আ.), ১৪১৬ হি.।
  • গুলপাইগানি, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ রেযা, মাজমাউল মাসায়েল লিল গুলপাইগানি, কোম, দারুল কুরআনিল কারিম, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৯ হি.।
  • মুআসসেসেয়ে দায়েরাতুল মাআরেফ ফিকহে ইসলামি বার মাযহাবে আহলে বাইত, ফারহাঙ্গে ফিকহ মোতাবেকে মাযহাবে আহলে বাইত (আ.), ১৪২৬ হি.।
  • মাজলিসী, মুহাম্মাদ বাকের, বিহারুল আনওয়ারিল জামেআতু লি দুরারি আখবারিল আইম্মাতিল আতহার, বৈরুত, মুআসসেসাতুত তাব-ই ওয়ান নাশর, ১৪১০ হি.।
  • মুহাক্কেক হিল্লি, জাফার ইবনে মুহাম্মাদ, শারায়েউল ইসলাম ফি মাসায়েলিল হালাল ওয়াল হারাম, কোম, মুআসসেসেয়ে ইসমাঈলিয়ান, ১৪০৮ হি.।
  • মুফিদ, মুহাম্মাদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে নো’মান, আল-মুকনিআহ, কোম, কনগ্রেয়ে জাহানিয়ে শেইখ মুফিদ, ১৪১৩ হি.।
  • মাকারেম শিরাজী, নাসের, ইস্তেফতাআতে জাদিদ, কোম, ইন্তেশারাতে মাদ্রাসায়ে ইমাম আলী ইবনে আবি তালিব (আ.), ১৪২৭ হি.।
  • «علت حرام گوشت بودن ماهیان بدون پولک چیست؟», মাশরেক ওয়েব সাইট, প্রকাশের তারিখ, ১৪/১০/১৩৯৫ ফার্সি সন, দেখার তারিখ: ২৫/১০/১৩৯৮ ফার্সি সন।