শিয়া ইমামগণ

wikishia থেকে
(শিয়া ইসনা আশারি থেকে পুনর্নির্দেশিত)
এ প্রবন্ধটি বারো ইমামের পরিচয় সম্পর্কিত। শিয়াদের বারো ইমামের পরিচয় (সংক্ষিপ্ত জীবনী) এবং তাঁদের ইমামতের সপক্ষে দলীল সম্পর্কে জানতে দেখুন।

শিয়ারা মহানবির (সা.) বর্ণিত হাদীসানুযায়ী তাঁর আহলে বাইতের (বংশের) বারো জন ব্যক্তিকে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে আল্লাহর রাসূলের উত্তরসূরি এবং স্থলাভিষিক্ত মনে করে যারা তাঁর পর মুসলিম উম্মাহর নেতৃত্বের দায়িত্বপ্রাপ্ত। প্রথম ইমাম হলেন হযরত আলী (আ.) আর বাকী ইমামরা হলেন হযরত আলী ও ফাতেমার (আ.) সন্তান ও বংশধর।

বারো ইমামী শিয়ারা বিশ্বাস করে ইমামগণ মহান আল্লাহর দ্বারা মনোনীত এবং তাঁরা অবশ্যই আল্লাহ প্রদত্ত গায়েবী জ্ঞান, নির্ভুল হওয়া ও নিষ্পাপতার বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। আর তাঁরা আল্লাহর পক্ষ থেকে শাফায়াতের অধিকার লাভ করেছেন। ইমামগণ ওহি লাভ (নবুওয়াত) ও শরীয়তের অধিকারী হওয়া ছাড়া মহানবির (সা.) ওপর যে সকল দায়িত্ব অর্পিত ছিল তার সবগুলোরই দায়িত্বপ্রাপ্ত। আহলে সুন্নাত আহলে বাইতের ইমামদের নেতৃত্বকে মানে না; কিন্তু তাঁদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে থাকে এবং অন্যান্য ফকিহদের পাশাপাশি তাদেরকেও আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় জ্ঞানের অধিকারী ব্যক্তিত্ব হিসাবে স্বীকার করে।

পবিত্র কোরআনে ইমামদের নাম আসেনি (তবে ঐশী ইমামতের অধিকারীদের বৈশিষ্ট্যসমূহ সূরা আম্বিয়ার ৭৩, সূরা সিজদার ২৪,সূরা বাকারার ১২৪ ও অন্যান্য সূরার আয়াতসমূহে বর্ণিত হয়েছে); কিন্তু মহানবির (আ.) হাদীসসমূহে যেমন জাবির ইবনে আবদুল্লাহ আনসারির বর্ণিত হাদীসে ইমামদের সংখ্যা তাঁদের নামসহ উল্লিখিত হয়েছে। তাছাড়া মহানবী (সা.) থেকে বর্ণিত অনেক হাদীসেই তাঁর বারো জন স্থলাভিষিক্তের কথা বলা হয়েছে যাদের সকলেই কুরাইশ থেকে হবে।

বারো ইমামী শিয়াদের মতে ইমাম আলী (আ.) মহানবির (সা.) প্রত্যক্ষ ও অকাট্য ঘোষণার দ্বারা ইমামতে দায়িত্ব লাভ করেন। অতঃপর প্রত্যেক ইমাম অকাট্য ও সুস্পষ্টভাবে তাঁর পরবর্তী ইমামকে পরিচয় করিয়ে গিয়েছেন। মহানবির (সা.) বারোজন স্থলাভিষিক্ত যথাক্রমে: আলী ইবনে আবি তালিব, হাসান ইবনে আলী, হোসাইন ইবনে আলী, আলী ইবনে হোসাইন, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, জাফর ইবনে মুহাম্মাদ, মুসা ইবনে জাফর, আলী ইবনে মুসা, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, আলী ইবনে মুহাম্মাদ, হাসান ইবনে আলী ও মুহাম্মাদ ইবনে হাসান (আলাইহিমুস সালাম)

শিয়াদের প্রসিদ্ধ মতে এগার জন ইমাম শহীদ হয়েছেন এবং দ্বাদশ ইমাম প্রতিশ্রুত মাহদী (আ.) গায়বাতে (লোকচক্ষুর অন্তরালে) রয়েছেন যিনি ভবিষ্যতে আত্মপ্রকাশ করে পৃথিবীকে ন্যায়বিচার ও সত্যের আলোয় পূর্ণ করবেন।

আহলে সুন্নাত শিয়াদের অনুসৃত বারো ইমামকে মহানবির (সা.) অব্যবহিত পরের বারো জন স্থলাভিষিক্ত হিসাবে মানে না; কিন্তু তাঁদের ভালবাসে। শিয়া ইমামদের জীবনী নিয়ে শিয়ারা যেমন গ্রন্থ রচনা করেছে যেমন- আল ইরশাদ ও দালায়িলুল ইমামাহ, তেমনি আহলে সুন্নাতের আলেম ও মনীষীরাও বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা করেছেন যেমন ইয়ানাবিউল মাওয়াদ্দাহ, তাযকিরাতুল খাওয়াছ।

মাকাম ও বৈশিষ্ট্যসমূহ

বারো ইমামের ইমামতে বিশ্বাসের বিষয়টি বারো ইমামী শিয়াদের মৌল বিশ্বাসের অন্তর্ভুক্ত।[১] শিয়াদের দৃষ্টিতে ইমামকে অবশ্যই আল্লাহর পক্ষ থেকে মনোনীত এবং আল্লাহর রাসূলের (আ.) মাধ্যমে ঘোষিত হতে হবে।[২] শিয়ারা বিশ্বাস করে যদিও পবিত্র কোরআনে ইমামদের নাম উল্লিখিত হয়নি; কিন্তু বিভিন্ন আয়াতে যেমন উলুল আমরের আয়াত (সূরা নিসা ৫৯নং আয়াত), আয়াতে তাতহীর (সূরা আহযাব ৩৩নং আয়াত), আয়াতে বেলায়েত (সূরা মায়িদাহ ৫৫নং আয়াত), দ্বীন পূর্ণতার আয়াত (সূরা মায়িদা ৩নং আয়াত), তাবলীগের আয়াত (সূরা মায়িদাহ ৬৭নং আয়াত) এবং সত্যবাদিদের সাথে থাকার নির্দেশের আয়াত (সূরা তাওবা ১১৯নং আয়াত) তাঁদের চিহ্ন ও বৈশিষ্ট্যাবলী বর্ণনা করেছেন।[৩] অবশ্য রেওয়ায়েতসমূহে তাঁদের সংখ্যা ও নামসমূহ বর্ণিত হয়েছে।[৪]

শিয়ারা বিশ্বাস করে যে, ইমামরা মহানবির (সা.) ওপর আরোপিত সকল দায়িত্ব পালনের নির্দেশপ্রাপ্ত। যেমন- কোরআনের আয়াতের ব্যখ্যাদান, শরীয়তের বিধিবিধান বর্ণনা, সমাজের মানুষদের প্রশিক্ষিত করা, ধর্মীয় সকল প্রশ্নের জবাব দান, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, রাজনৈতিক নেতৃত্ব দান এবং ইসলামের ভূখণ্ডগত, নৈতিক ও আধ্যাত্মিক সীমার প্রতিরক্ষা। আল্লাহর রাসূলের (সা.) সাথে তাঁদের একমাত্র পার্থক্য হল তাঁরা ওহিপ্রাপ্ত হন না এবং স্বতন্ত্র শরীয়তের অধিকারী নন (বরং তাঁরা মহানবির (সা.) আনীত দ্বীনের রক্ষক ও নির্ভুল ব্যাখ্যাদাতা)।[৫]

বৈশিষ্ট্যসমূহ

বারো ইমামী শিয়াদের দৃষ্টিতে ইমামরা ঐশী প্রদত্ত বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। তন্মধ্যে কতিপয় নিম্নরূপ:

১. নির্ভুল হওয়া ও নিষ্পাপতা: ইমামরা সকল প্রকার ভুল-ভ্রান্তি ও পাপ থেকে মুক্ত।[৬]

২. শ্রেষ্ঠত্ব: শিয়া আলেমদের দৃষ্টিতে ইমামরা মহানবির (সা.) পর শ্রেষ্ঠ মানুষ। তাঁরা মহানবী (সা.) ছাড়া সকল নবী, ফেরেশতামণ্ডলী ও মানুষের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।[৭] এ দাবির সপক্ষে শুধু মুস্তাফিয পর্যায়ের নয় বরং মুতাওয়াতির পর্যায়ে হাদীস বিদ্যমান।[৮]

৩. গায়েবী জ্ঞান: ইমামরা আল্লাহর পক্ষ থেকে গায়েবী জ্ঞানের অধিকারী।[৯]

৪. তাকভীনি ও তাশরীয়ী বেলায়েত: অধিকাংশ শিয়া আলেম ইমামদের তাকভীনি বেলায়েতে (সৃষ্টিগত কর্তৃত্ব ও প্রভাব রাখার ক্ষমতায়) বিশ্বাসী।[১০] আর সকল শিয়া আলেম ও মনীষী ইমামদের বেলায়েতে তাশরীয়ীতে- এ অর্থে যে তাঁরা মানুষের জীবন ও সম্পদের ওপর কর্তৃত্বের অধিকারী- বিশ্বাসী।[১১] তাফভিয (সমর্পণ ও অধিকার দান) সম্পর্কিত রেওয়ায়েতসমূহের ভিত্তিতে ইমামদের এ অর্থেও তাশরীয়ী বেলায়েত রয়েছে যে, তাঁরা আইন প্রণয়ন ও প্রবর্তনের অধিকারপ্রাপ্ত।[১২] (তবে কখনই তাঁরা পবিত্র কোরআন ও মহানবির সুন্নাতের পরিপন্থী বিধান প্রণয়ন করেন না। তাঁরা কেবল বিভিন্ন পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে কোরআন ও সুন্নাহর সার্বিক নীতিমালার ভিত্তিতে বিধান দেন।)

৫. শাফায়াতের মর্যাদা: ইমামরা (আ.) মহানবির (সা.) শাফায়াতের মাকামের উত্তরসূরি।[১৩]

৬. দ্বীনি ও জ্ঞানগত কর্তৃপক্ষ: প্রসিদ্ধ হাদীসসমূহের যেমন হাদীসে সাকালাইন[১৪], হাদীসে সাফিনাহ[১৫] ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত যে, ইমামরা (আ.) ধর্মীয় জ্ঞানের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ এবং সকল মানুষের জন্য দ্বীনি বিষয়ে তাঁদের শরণাপন্ন হওয়া বাধ্যতামূলক।[১৬]

৬. সামাজিক নেতৃত্ব: ইমামরা মহানবির (সা.) পরে মুসলিম উম্মাহকে পরিচালনা ও নেতৃত্ব দানের দায়িত্বপ্রাপ্ত।[১৭]

৭. আনুগত্য ফরজ: উলুল আমরের আয়াতের ভিত্তিতে ইমামদের আনুগত্য ফরজ। যেমনভাবে সকল মুমিনের জন্য নিঃশর্তভাবে মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করা ফরজ ঠিক তেমনিভাবে তাঁদের আনুগত্য করাও আবশ্যক[১৮]

৮. অধিকাংশ শিয়া আলেমের দৃষ্টিতে সকল শিয়া ইমাম শাহাদাতবরণ করেছেন অথবা শহীদ হবেন।[১৯] তাদের এ দাবির সপক্ষে বেশ কিছু রেওয়ায়েত রয়েছে তন্মধ্যে এ রেওয়ায়েতটি প্রসিদ্ধ যে, ‘আল্লাহর শপথ, আমাদের সকলেই নিহত ও শহীদ হব।’ এগুলোর ভিত্তিতে বলা যায় ইমামরা সবাই শহীদ হবেন।[২০]

ইমামদের ইমামতের সময়কাল

আরোও দেখুন: শিয়া ইমামদের ইমামতকাল

ইমাম আলী (আ.) [১১-৪০ হিজরী], ইমাম হাসান (আ.) [৪০-৫০ হিজরী], ইমাম হোসাইন (আ.) [৫০-৬১ হিজরী], ইমাম সাজ্জাদ (আ.) [৬১-৯৪ হিজরী], ইমাম বাকির (আ.) [৯৪-১১৪ হিজরী], ইমাম সাদিক (আ.) [১১৪-১৪৮ হিজরী], ইমাম কাযিম (আ.) [১৪৮-১৮৩ হিজরী], ইমাম রেজা (আ.) [১৮৩-২০৩ হিজরী], ইমাম জাওয়াদ (আ.) [২০৩-২২০ হিজরী], ইমাম হাদী (আ.) [২২০-২৫৪ হিজরী], ইমাম আসকারী (আ.) [২৫৪-২৬০ হিজরী], ইমাম মাহদী (আ.) [২৬০ হিজরী- এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে]

শিয়া ইমামদের ইমামতের দলীল

শিয়া আলেমরা বারো ইমামের ইমামতের সপক্ষে বুদ্ধিবৃত্তিক, যেমন- ইমামদের মাসুম (নির্ভুল ও নিষ্পাপ) হওয়া ও অন্যদের ওপর সবক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠতার দলীল এবং নাকলী (হাদীসভিত্তিক) দলীল, যেমন- জাবির বিন আবদুল্লাহ আনসারির হাদীস, লাওহের হাদীস [যে হাদীসের ফলক রাসূল (সা.) হযরত ফাতেমাকে উপহার দিয়েছিলেন ও তাতে ইমামদের নাম ও পরিচয় লেখা ছিল] ও বারো খলিফার হাদীস দলিল হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।[২১]

জাবির বিন আবদুল্লাহ আনসারির হাদীস

আরোও দেখুন: হাদীসে জাবের

«يا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللهه وَ أَطِيعُوا الرَّسُولَ وَ أُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ»[২২] -আয়াতটি অবতীর্ণ হলে সাহাবী জাবির বিন আবদুল্লাহ আনসারী মহানবীর (সা.) কাছে আয়াতে উল্লিখিত ‘উলুল আমর কারা?’ এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি (সা.) বলেন, ‘তাঁরা হলেন আমার স্থলাভিষিক্ত এবং আমার পর মুসলমানদের ইমাম ও নেতা। তাদের প্রথম হল আলী। তারপর পর্যায়ক্রমে ইমাম হল হাসান ইবনে আলী, হোসাইন ইবনে আলী, আলী ইবনে হোসাইন, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, জাফর ইবনে মুহাম্মাদ, মুসা ইবনে জাফর, আলী ইবনে মুসা, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, আলী ইবনে মুহাম্মাদ, হাসান ইবনে আলী এবং তারপর হল তার সন্তান যার নাম ও কুনিয়া (ডাকনাম) হল আমার নামে…।[২৩]

মহানবির (সা.) প্রশংসায় আবদুর রহমান জামী’র কবিতার এক পঙক্তি ক্যালিওগ্রাফি করা হয়েছে যার কেন্দ্রে আরবি ‘তা’ অক্ষরের মধ্যে শিয়া বারো ইমামের নাম খচিত হয়েছে। এ ক্যালিওগ্রাফিটি হোসাইন যাররিন কালাম লিখেছেন যাতে তিনি গোলযার লিখন পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন।

বারো খলিফার হাদীস

মূল নিবন্ধ: বারো খলিফার হাদীস

আহলে সুন্নাতের সূত্রে মহানবি (সা.) থেকে বর্ণিত অনেক রেওয়ায়েতে তাঁর পর বারো জন খলিফার আগমনের কথা বলা হয়েছে যারা সকলেই কুরাইশ বংশ থেকে হবেন। জাবির বিন সামুরাহ রাসূল (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন: ‘এ দ্বীন কিয়ামত পর্যন্ত, যতক্ষণ না বারো জন খলিফা তোমাদের ওপর কর্তৃত্ব করবেন, বহাল থাকবে। এ খলিফারা সবাই কুরাইশ বংশোদ্ভূত হবেন।[২৪]

তেমনি অন্য হাদীসে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ সূত্রে রাসূল (সা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে তাদের সংখ্যা বনি ইসরাইলের নকিবদের সমান। আহলে সুন্নাতের হানাফী মাযহাবের প্রসিদ্ধ আলেম সুলাইমান ইবনে ইবরাহিম কুন্দুযি বলেছেন যে, রাসূলের এ হাদীসে উল্লিখিত বারো জন খলিফা হলেন শিয়াদের মধ্যে প্রচলিত বারো জন ইমাম; কারণ তাঁরা ব্যতিত অন্য কারো ওপর তা প্রয়োগ করা যায় না।[২৫]

ইমামদের পরিচয়

বারো ইমামী শিয়ারা বিভিন্ন আকলী[২৬] (বুদ্ধিবৃত্তিক) ও নাকলী (হাদীসগত) দলীল, যেমন- মুতাওয়াতির সূত্রে বর্ণিত গাদীরের হাদীস ও মানযিলাতের হাদীসের ভিত্তিতে বিশ্বাস করে যে মহানবির (সা.) পরপরই তাঁর স্থলাভিষিক্ত প্রকৃত উত্তরাধিকারী ও খলিফা হলেন হযরত আলী ইবনে আবি তালিব (আ.)।[২৭] হযরত আলীর পর পর্যায়ক্রমে ইমাম হাসান ইবনে আলী, হোসাইন ইবনে আলী, আলী ইবনে হোসাইন, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, জাফর ইবনে মুহাম্মাদ, মুসা ইবনে জাফর, আলী ইবনে মুসা, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, আলী ইবনে মুহাম্মাদ, হাসান ইবনে আলী এবং মাহদী মুসলিম উম্মাহর নেতৃত্বভার গ্রহণ করেন।[২৮]

ইমাম আলী (আ.)

মূল নিবন্ধ: ইমাম আলী (আ.)

আলী ইবনে আবি তালিব, ইমাম আলী (আ.) নামে প্রসিদ্ধ ও তাঁর উপাধি হল আমিরুল মুমিনীন, শিয়াদের প্রথম ইমাম। তিনি হযরত আবু তালিবফাতেমা বিনতে আসাদের সন্তান এবং ৩০তম হস্তী বছরের (আবরাহার বাহিনী মক্কায় হামলার ৩০তম বছরে) ১৩ রজবে মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন।[২৯] হযরত আলী প্রথম ব্যক্তি যিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি শিশুকাল থেকে সবসময় মহানবির (সা.) সান্নিধ্যে থাকতেন এবং তাঁর কন্যা ফাতেমাকে (আ.) বিবাহ করেন।[৩০]

যদিও মহানবী (সা.) গাদীরের দিবস ছাড়াও অসংখ্যবার হযরত আলীকে (আ.) নিজের পরবর্তী স্থলাভিষিক্ত হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন [৩১], তবুও তাঁর ইন্তেকালের পর সকিফায়ে বনি সায়েদায় ভিন্ন এক প্রক্রিয়ায় আবু বকর ইবনে আবি কোহাফা মুসলমানদের খলিফা হন।[৩২] আলী (আ.) মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও বৃহত্তর স্বার্থের (কল্যাণের) কথা চিন্তা করে খেলাফত হস্তগত করার জন্য কোনরূপ সশস্ত্র সংগ্রামে না গিয়ে ২৫ বছর যাবৎ (প্রথশ তিন খলিফার সময়কালে) ধৈর্য ধারণ করেন। অতঃপর ৩৫ হিজরী সালে মুসলমানরা তাঁর সাথে খলিফা হিসাবে বাইয়াত করেন।[৩৩] তাঁর খেলাফতের মেয়াদ চার বছর ও নয় মাস ছিল। এ সীমিত কয়েক বছরে তাঁর ওপর তিনটি যুদ্ধ (জামালের যুদ্ধ, সিফফিনের যুদ্ধনাহরাওয়ানের যুদ্ধ) চাপিয়ে দেয়া হয়। ফলে তাঁকে তাঁর খেলাফতের অধিকাংশ সময় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ নিরসনের জন্য ব্যস্ত থাকতে হয়।[৩৪]

ইমাম আলী (আ.) ৪০ হিজরী সালের ১৯ রমজান ফজরের নামাজের সময় মসজিদে কুফায় ইবনে মুলজিম মুরাদির তরবারির আঘাতে গুরুতর আহত হন। এ আঘাতের ফলে তিনি ২১ রমজান শাহাদাতবরণ করেন। অতঃপর তাঁকে নাজাফে দাফন করা হয়।[৩৫] তিনি অসংখ্য ফজিলত ও মর্যাদার অধিকারী ছিলেন।[৩৬] আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তাঁর শানে (প্রশংসায়) পবিত্র কোরআনের ৩০০ আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে।[৩৭] ইবনে আব্বাস আরো বর্ণনা করেছেন যে, কোরআনে যেখানেই «یا أیها الذین آمنوا» (হে যারা ইমান এনেছো) বলা হয়েছে তার শীর্ষে হযরত আলী (আ.) রয়েছেন এবং তিনি তাদের নেতা।

ইমাম হাসান মুজতাবা

মূল নিবন্ধ: ইমাম হাসান মুজতাবা (আ.)

হাসান ইবনে আলী (আ.), ইমাম হাসান মুজতাবা নামে প্রসিদ্ধ, ইমাম আলী (আ.) ও হযরত ফাতেমার (আ.) প্রথম সন্তান। তিনি ৩য় হিজরির ১৫ রমজানে মদীনায় জন্মগ্রহণ করেন।[৩৮]

ইমাম হাসান তাঁর পিতার শাহাদাতের পর মহান আল্লাহর নির্দেশে ও স্বীয় পিতার ওসিয়ত অনুযায়ী ইমামতের পদ গ্রহণ করেন। তিনি তাঁর ইমামতের প্রথম ছয় মাস মুসলমানদের খলিফা হিসাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন।[৩৯] তাঁর খেলাফতের সময় মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান ইরাকে হামলা চালায়। ইমাম হাসান (আ.) তাকে প্রতিরোধের পদক্ষেপ নিলে সে তাঁর সেনাপতিদের প্রতারিত করে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলে এবং তাদের একদলকে প্রলোভন দেখিয়ে নিজের দলে ভিড়ায়। ফলে ইমাম হাসান নিরুপায় হয়ে মুয়াবিয়ার সাথে সন্ধি করেন। তিনি শর্তসাপেক্ষে (মুয়াবিয়ার মৃত্যুর পর পুনরায় খেলাফতকে ইমাম হাসানের হাতে অর্পিত হবে এবং কোন অবস্থাতেই যেন নবী পরিবারের সদস্য ও শিয়াদের নির্যাতন করা না হয়) খেলাফতের পদকে মুয়াবিয়ার হাতে ছেড়ে দেন।[৪০] ইমাম হাসান ১০ বছর ইমামতের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ৫০ হিজরির ২৮ সফরে মুয়াবিয়ার প্ররোচনায় তারঁ স্ত্রীর (জো’দাহ বিনতে আশআসের) দেয়া বিষ পানে শহীদ হন। তাঁকে বাকি কবরস্থানে দাফন করা হয়।[৪১]

ইমাম হাসান (আ.) আসহাবে কিসার[৪২] সদস্য (রাসূলের সাথে কিসার নিচে স্থান লাভকারীদের অন্যতম) এবং খ্রিস্টানদের সাথে মুবাহিলায়[৪৩] অংশগ্রহণকারী মহানবির আহলে বাইতের - যাদের ব্যাপারে আয়াতে তাতহীর (সূরা আহযাবের ৩৩ নং আয়াতের শেষাংশ) অবতীর্ণ হয়েছে- অন্যতম সদস্য।[৪৪]

ইমাম হোসাইন (আ.)

মূল নিবন্ধ: ইমাম হোসাইন (আ.)

হোসাইন ইবনে আলী (আ.), আবা আবদিল্লাহসাইয়েদুশ শুহাদা নামে প্রসিদ্ধ, শিয়াদের তৃতীয় ইমাম। তিনি হযরত আলী (আ.) ও ফাতেমার (আ.) দ্বিতীয় সন্তান। তিনি চতুর্থ হিজরির শাবান মাসের ৩ তারিখে মদীনায় জন্মগ্রহণ করেন।[৪৫] ইমাম হোসাইন (আ.) আল্লাহর রাসূলের স্পষ্ট নির্দেশ এবং পিতার আলীর (আ.) ওসিয়ত অনুসারে স্বীয় ভ্রাতা ইমাম হাসানের মৃত্যুর পর ইমামতের পদ গ্রহণ করেন।[৪৬]

ইমাম হোসাইন (আ.) দশ বছর ইমামতের দায়িত্ব পালন করেন।[৪৭] তাঁর ইমামতকালের শেষ ছয় মাস ব্যতীত বাকি সময় মুয়াবিয়ার শাসনকাল ছিল।[৪৮] মুয়াবিয়া ৬০ হিজরী সালে মুত্যুবরণ করে এবং তার পুত্র ইয়াযিদ তার স্থলাভিষিক্ত হয়।[৪৯] ইয়াযিদ ক্ষমতা গ্রহণের পর ইমাম হোসাইন থেকে বাইয়াত নেয়ার জন্য মদীনার গভর্নরকে নির্দেশ দেয়। মদীনার গভর্নর ইমাম হোসাইনকে বিষয়টি জানালে তিনি বাইয়াত না করে রাতে স্বীয় পরিবার নিয়ে মক্কার দিকে রওয়ানা হন।[৫০] তিনি মক্কায় অবস্থানকালে কুফার জনগণের দাওয়াত পেয়ে পরিবারের সদস্য ও সঙ্গীদের নিয়ে কুফার দিকে যাত্রা করেন।[৫১] কুফায় পৌঁছার পূর্বেই তাঁকে তাঁর সঙ্গীদের সহ কারবালায় অবরুদ্ধ করা হয় এবং ১০ মুহাররামে উমর ইবনে সাদের নেতৃত্বে পরিচালিত ইয়াযিদের সেনাদের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হতে বাধ্য হন। এ যুদ্ধে তিনি ও তাঁর সঙ্গীগণ এবং পরিবারের পুরুষ সদস্যরা শহীদ হন। অতঃপর তাঁর সন্তান ইমাম সাজ্জাদ ও নারিরা ইয়াযিদ বাহিনীর হাতে বন্দী হন।[৫২]

ইমাম হোসাইন (আ.) আসহাবে কিসার[৫৩] অন্যতম সদস্য এবং মুবাহালার[৫৪] ঘটনায় অংশগ্রহণকারী আহলে বাইতের অন্তর্ভুক্ত। যাদের শানে আয়াতে তাতহীর অবতীর্ণ হয়েছে তিনি তাঁদের পঞ্চম ব্যক্তি।[৫৫]

ইমাম সাজ্জাদ (আ.)

মূল নিবন্ধ: ইমাম সাজ্জাদ (আ.)

আলী ইবনে হোসাইন (আ.), উপাধি সাজ্জাদ ও যাইনুল আবেদীন, শিয়াদের চতুর্থ ইমাম। তিনি ইমাম হোসাইন ও শাহরবানুর (তৃতীয় ইয়াযদ গার্দের কন্যা) সন্তান এবং ৩৮ হিজরিতে জন্মগ্রহণ করেছেন। [৫৬]

ইমাম সাজ্জাদ (আ.) কারবালার ঘটনায় বন্দী হন এবংতাঁকে কারবালার অন্যান্য বন্দীদের সাথে কুফা[৫৭]শামে[৫৮] (সিরিয়া) নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি দামেস্কে নিজের ও তাঁর মহান পিতৃবর্গের পরিচয় তুলে ধরে একটি বক্তব্য রাখেন যা সকলকে প্রভাবিত করে।[৫৯] তিনি বন্দীদশা থেকে মুক্ত হওয়ার পর পরিবারসহ মদীনায় ফিরে আসেন। মদীনায় তিনি অধিকাংশ সময় ইবাদতে রত থাকতেন এবং শিয়াদের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের যেমন আবু হামযাহ সিমালিআবু খালেদ কাবুলী ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক রাখতেন না। আর এই বিশেষ ব্যক্তিরা তাঁর কাছে শিক্ষা গ্রহণ করে শিয়াদের মধ্যে প্রচার করতেন।[৬০]

ইমাম সাজ্জাদ ৩৪ বছর ইমামতের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ৯৫ হিজরিতে ৫৭ বছর বয়সে ওয়ালিদ ইবনে আবদুল মালিকের দ্বারা বিষপ্রয়োগে শাহাদাতবরণ করেন। তাঁকে জান্নাতুল বাকীতে তাঁর চাচা ইমাম হাসানের পাশে দাফন করা হয়।[৬১]

ইমাম সাজ্জাদ (আ.) থেকে দোয়াসমগ্র ও মুনাজাতসমূহ বর্ণিত হয়েছে যেগুলো দ্বীনের অনেক মূল্যবান জ্ঞান সম্বলিত। তাঁর দোয়াগুচ্ছ সাহিফায়ে সাজ্জাদিয়া গ্রন্থে স্কলিত হয়েছে।

ইমাম বাকির (আ.)

মূল নিবন্ধ: ইমাম বাকির (আ.)

মুহাম্মাদ ইবনে আলী (আ.), ইমাম মুহাম্মাদ বাকির নামে প্রসিদ্ধ, শিয়াদের পঞ্চম ইমাম। তিনি ইমাম সাজ্জাদ ও ফাতেমা বিনতে হাসানের[৬২] পুত্র। তাঁর জন্ম ৫৭ হিজরিতে মদীনায় হয়েছে।[৬৩] তিনি তাঁর পিতার পর আল্লাহর নির্দেশ ও তাঁর পূর্ববর্তী ইমামদের ওসিয়তে ইমামতের পদে অধিষ্ঠিত হন।[৬৪] তিনি ১১৪ হিজরিতে উমাইয়া খলিফা হিশামের ভ্রাতুষ্পুত্র ইবরাহিম ইবনে ওয়ালিদ ইবনে আবদুল মালিকের দ্বারা বিষপ্রয়োগে শহীদ হন। তাঁকে জান্নাতুল বাকিতে তাঁর পিতার পাশে দাফন করা হয়।[৬৫] ইমাম বাকির (আ.) কারবালায় উপস্থিত ছিলেন এবং সেসময় তাঁর বয়স চার বছর ছিল।[৬৬]

ইমাম বাকিরের ইমামতকাল ১৮ বা ১৯ বছর ছিল। একদিকে এ সময়ে বনি উমাইয়ার জুলুম ও নিপীড়নের প্রতিবাদে একের পর এক বিদ্রোহ ও আন্দোলন হচ্ছিল। বনি উমাইয়া এসব আন্দোলন দমনে ব্যতিব্যস্ত থাকায় আহলে বাইতের প্রতি কঠোরতা আরোপের সুযোগ পায়নি।[৬৭] অন্যদিকে কারবালার ঘটনা এবং আহলে বাইতের মজলুম ও অত্যাচারিত হওয়ার বিষয়টি মুসলমানদের দৃষ্টিকে তাঁর দিকে আকৃষ্ট করে। এ পরিস্থিতি তাঁর জন্য আহলে বাইতের শিক্ষা ও ইসলামের প্রকৃত জ্ঞানকে প্রচারেরে এক সুবর্ণ সুযোগ এনে দেয়। তাঁর পূর্ববর্তী ইমামদের পক্ষে এরূপ করা সম্ভব ছিল না। এ কারণেই ইমাম বাকির থেকে অসংখ্য হাদীস বর্ণিত হয়েছে।[৬৮]

শেইখ মুফিদের মতে ইসলামী জ্ঞানের ক্ষেত্রে ইমাম বাকির থেকে বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা এত অধিক যে ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইনের সন্তানদের অন্য কারো থেকেই এত পরিমাণ হাদীস বর্ণিত হয়নি।[৬৯]

তথ্যসূত্র

  1. মুহাম্মাদী, শারহে কাশফুল মুরাদ, ১৩৭৮ সৌরবর্ষ, পৃ. ৪০৩; মুসাভি যানজানী, আকায়েদুল ইমামিয়াতিল ইসনা আশারিয়াহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৭৮।
  2. মুহাম্মাদী, শারহে কাশফুল মুরাদ, ১৩৭৮ সৌরবর্ষ, পৃ. ৪২৫; মুসাভি যানজানী, আকায়েদুল ইমামিয়াতিল ইসনা আশারিয়াহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৮১ ও ১৮২।
  3. দ্রষ্টব্য: মাকারেম শিরাজী, পায়ামে কুরআন, ১৩৮৬ সৌরবর্ষ, খণ্ড ৯, পৃ. ১৭০ ও১৭১ এবং ৩৬৯ ও ৩৭০।
  4. দ্রষ্টব্য: হাকিম, আল-ইমামাহ ওয়া আহলুল বাইত, ১৪২৪, পৃ. ৩০৫-৩৩৮।
  5. সুবহানী, মানশুরু আকায়িদিল ইমামিয়াহ, ১৩৭৬, পৃ ১৬৫ ও ১৬৬।
  6. দেখুন: আল্লামা হিল্লী, কাশফুল মুরাদ, ১৩৮২ সৌরবর্ষ, পৃ. ১৮৪; ফাইয়ায লাহিজী, সারমায়ে-এ ঈমান দার উসুলে এ'তেকাদাত, ১৩৭২, পৃ. ১১৪ ও ১১৫।
  7. দেখুন: সাদুক, আল-এ'তেকাদাত, ১৪১৪ হি., পৃ. ৯৩; মুফীদ, আওয়ায়েলুল মাকালাত, ১৪১৩ হি. পৃ. ৭০ ও ৭১।
  8. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ২৬, পৃ. ২৯৭; শুব্বার, হাক্কুল ইয়াকীন, ১৪২৪ হি. পৃ. ১৪৯।
  9. দেখুন: কুলাইনী, আল-কাফী, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৫৫ ও ২৫৬ এবং ২৬০ ও ২৬১; সুবহানী ইলমে গেইব, ১৩৮৬ সৌরবর্ষ, পৃ.৬৩-৭৯।
  10. হামুদ, আল-ফাওয়াইদুল বাহিয়্যাতু ফি শারহি আকাইদিল ইমামিয়্যাহ, ১৪২১ হি., খঃ২, পৃঃ১১৭ ও ১১৯।
  11. সাফি গুলপায়গানী, ভেলায়াতে তাকভিনি ওয়া ভেলায়াতে তাশরিয়ি, ১৩৯২ (সৌরবর্ষ), পৃঃ১৩৩, ১৩৫ ও ১৪১।
  12. সাফ্ফার, বাছাইরুদ্ দারাজাত, ১৪০৪ হি., পৃঃ৩৮৩-৩৮৭।
  13. শেইখ তুসী, আত্-তিবয়ান, দারু ইহয়াইত তুরাসিল আরাবি, খঃ১, পৃঃ২১৪।
  14. সাফ্ফার, বাছাইরুদ্ দারাজাত, ১৪০৪ হি., পৃঃ৪১২-৪১৪।
  15. সাফ্ফার, বাছাইরুদ্ দারাজাত, ১৪০৪ হি., খঃ৪ পৃঃ২৯৭।
  16. সুবহানী, সিমায়ে আকায়েদে শিয়া, ১৩৮৬ (সৌরবর্ষ), পৃঃ২৩১-২৩২।
  17. সুবহানী, মানশুরে আকায়েদ ইমামি, ১৩৭৬ (সৌরবর্ষ), পৃৃঃ১৪৯-১৫০।
  18. মুহাম্মাদী, শারহে কাশফুল মুরাদ, ১৩৭৮ সৌরবর্ষ, পৃ. ৪১৫।
  19. মাজলেসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খঃ২৭, পৃঃ২০৯ ও ২১৬।
  20. ইবনে শাহরআশুব, মানাকেবে আলী, ১৩৭৯ হি., খঃ২, পৃঃ২০৯।
  21. হাকিম, আল-ইমামাহ ওয়া আহলুল বাইত, ১৪২৪, পৃ. ৩০৫-৩৫১।
  22. সুরা নিসাঃ৫৯।
  23. শেইখ সাদুক, কামালুুদ্দিন, ১৪৯৫ হি., খঃ১, পৃঃ২৫৩-২৫৪।
  24. বুখারী, সহিহ বুখারী, ১৪০১ হি., খঃ৮, পৃঃ১২৭, মুসলিম নিশাপুৃরী, সহিহ মুসলিম, দারুল ফিকর, খঃ৬, পৃঃ৩-৪, আহমাদ বিন হাম্বল, মুসনাদে আহমাদ, দারু সাদের, খঃ৫, পৃঃ৯০,৯৩,৯৮,৯৯,১০০ ও ১০৬, তিরমিযী, সহিহ তিরমিযী, ১৪০৩ হি., খঃ৩, পৃঃ৩৪০।
  25. কুন্দুযি, ইয়ানাবিউল মাওয়াদ্দাহ, খঃ৩, পৃঃ২৯২-২৯৩।
  26. মুসাভি যানজানী, আকায়েদুল ইমামিয়াতিল ইসনা আশারিয়াহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ৩, পৃ.৭ ও ৮।
  27. মুসাভি যানজানী, আকায়েদুল ইমামিয়াতিল ইসনা আশারিয়াহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ৩, পৃ.৩-১৫।
  28. মুহাম্মাদী, শারহে কাশফুল মুরাদ, ১৩৭৮ সৌরবর্ষ, পৃ.৪৯৫।
  29. শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খঃ১, পৃঃ৫।
  30. তাবাতাবায়ী, শিয়া দার ইসলাম, ১৩৮৩ (সৌরবর্ষ), পৃঃ২০০।
  31. মুহাম্মাদী, শারহে কাশফুল মুরাদ, ১৩৭৮ সৌরবর্ষ, পৃ. ৪২৭-৪৩৬।
  32. তাবারসি, ইলামুল ওয়ারা বি আলামিল হুদা, ১৩৯০ হি., পৃঃ১৩৮-১৩৯।
  33. তাবাতাবায়ী, শিয়া দার ইসলাম, ১৩৮৩ (সৌরবর্ষ), পৃঃ২০১।
  34. তাবাতাবায়ী, শিয়া দার ইসলাম, ১৩৮৩ (সৌরবর্ষ), পৃঃ২০১-২০২।
  35. তাবারসি, ইলামুল ওয়ারা বি আলামিল হুদা, ১৩৯০ হি., পৃঃ১৫৪।
  36. শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খঃ১, পৃঃ২৭-৬৬
  37. কুন্দুযি, ইয়ানাবিউল মাওয়াদ্দাহ, খঃ১, পৃঃ৩৩৭।
  38. শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খঃ২, পৃঃ৫।
  39. তাবারসি, ইলামুল ওয়ারা বি আলামিল হুদা, ১৩৯০ হি., পৃঃ২০৫ ও তাবাতাবায়ী, শিয়া দার ইসলাম, ১৩৮৩ (সৌরবর্ষ), পৃঃ২০৫।
  40. তাবাতাবায়ী, শিয়া দার ইসলাম, ১৩৮৩ (সৌরবর্ষ), পৃঃ২০৫-২০৬।
  41. তাবারসি, ইলামুল ওয়ারা বি আলামিল হুদা, ১৩৯০ হি., পৃঃ২০৬।
  42. কুলাইনী, আল-কাফী, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৮৭।
  43. শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খঃ১, পৃঃ১৬৮।
  44. কুলাইনী, আল-কাফী, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৮৭।
  45. তাবারসি, ইলামুল ওয়ারা বি আলামিল হুদা, ১৩৯০ হি., পৃঃ২১৪-২১৫।
  46. শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খঃ২, পৃঃ২৭।
  47. তাবারসি, ইলামুল ওয়ারা বি আলামিল হুদা, ১৩৯০ হি., পৃঃ২১৫।
  48. তাবাতাবায়ী, শিয়া দার ইসলাম, ১৩৮৩ (সৌরবর্ষ), পৃঃ২০৮।
  49. তাবাতাবায়ী, শিয়া দার ইসলাম, ১৩৮৩ (সৌরবর্ষ), পৃঃ২২২।
  50. মুসাভি যানজানী, আকায়েদুল ইমামিয়াতিল ইসনা আশারিয়াহ, ১৪১৩ হি., খণ্ডঃ১, পৃ. ১৪৮ ও ১৪৯।
  51. তাবাতাবায়ী, শিয়া দার ইসলাম, ১৩৮৩ (সৌরবর্ষ), পৃঃ২০৯-২১০।
  52. মুসাভি যানজানী, আকায়েদুল ইমামিয়াতিল ইসনা আশারিয়াহ, ১৪১৩ হি., খণ্ডঃ১, পৃ. ১৫০।
  53. কুলাইনী, আল-কাফী, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৮৭।
  54. শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খঃ১, পৃঃ১৬৮।
  55. কুলাইনী, আল-কাফী, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৮৭।
  56. শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খঃ২, পৃঃ১৩৭ ও ইবনে শাহরআশুব, মানাকেবে আলী, ১৩৭৯ হি., খঃ৪, পৃঃ১৭৫-১৭৬।
  57. শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খঃ২, পৃঃ১১৪।
  58. শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খঃ২, পৃঃ১১৯।
  59. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ডঃ৪৫, পৃ.১৩৮-১৩৯।
  60. তাবাতাবায়ী, শিয়া দার ইসলাম, ১৩৮৩ (সৌরবর্ষ), পৃঃ২১৬।
  61. শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খঃ২, পৃঃ১৩৮; ইবনে শাহরআশুব, মানাকেবে আলী, ১৩৭৯ হি., খঃ৪, পৃঃ১৭৬ ও তাবারসি, ইলামুল ওয়ারা বি আলামিল হুদা, ১৩৯০ হি., পৃঃ২৫৬।
  62. শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খঃ২, পৃঃ১৫৫।
  63. শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খঃ২, পৃঃ১৫৭-১৫৮।
  64. শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খঃ২, পৃঃ১৫৮-১৫৯।
  65. শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খঃ২, পৃঃ১৫৭-১৫৮।
  66. ইয়াকুবী, তারিখে ইয়াকুবী, দারু সাদের, খঃ২, পৃঃ৩২০।
  67. তাবাতাবায়ী, শিয়া দার ইসলাম, ১৩৮৩ (সৌরবর্ষ), পৃঃ২১৭।
  68. তাবাতাবায়ী, শিয়া দার ইসলাম, ১৩৮৩ (সৌরবর্ষ), পৃঃ২১৭-২১৮।
  69. শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খঃ১, পৃঃ১৫৭।


গ্রন্থপঞ্জি

  • আগা বুজুর্গ তেহরানী, মুহাম্মাদ মুহসিন, আয-যারিয়াতু ইলা তাসানিফুশ শিয়াহ, বৈরুত, দারুল আযওয়াঅ, তৃতীয় সংস্করণ, ১৪০২ হি.।
  • আবু যারয়া দামেশকী, আব্দুর রহমান বিন উমার, তারিখু আবি যারয়া দামেশকী, দামেশক, মাজমাউল লুগাতিল আরাবিয়্যাহ...
  • ইবনে জুওযী, বিন ইউসুফ কাযাউগলী, তাযকিরাতুল খাওয়াস; তাহকিক-হোসাইন তাক্বী যাদেহ, কোম, মাজমাউল আলামি লি আহলিল বাইত (আল.), ১৪২৬ হি.।
  • ইবনে হাব্বান, মুহাম্মাদ বিন হাব্বান, আস-সিকাতু, হায়দারাবাদ, দায়েরাতুল মায়ারেফুল উসমানিয়্যাহ, প্রথম সংস্করণ, ১৩৯৩ হি.।
  • ইবনে হাজার আসকালানী, আহমাদ বিন আলী, তাহযিবু আত্-তাহযিব, ভারত, দায়েরাতুল মায়ারেফুন নিযামিয়্যাহ, প্রথম সংস্করণ, ১৩২৬ হি.।
  • ইবনে শাহরআশুব, মুহাম্মাদ বিন আলী, মানাকেবে আলী, কোম, আল্লামা, প্রথম সংস্করণ, ১৩৭৯ হি.।
  • ইবনে আসাকির, আলী বিন হাসান, তারিখে দামেশক; তাহকিক-উমার বিন গারামা, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪১৫ হি.।
  • আহমাদ বিন হাম্বল, আহমাদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাম্বল, মুসনাদে আহমাদ, বৈরুত, দারু সাদের...
  • বুখারী, মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাইল, বুখারী, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪০১ হি.।
  • বাগদাদী, খাতিব, তারিখে বাগদাদী, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, ১৪১৭ হি.।
  • পিশওয়ায়ী, মাহদি, সিরেয়ে পিশওয়ায়ান, কোম, মুয়াসসাসাতু ইমাম সাদেক (আ), ১৩৯৭ (সৌরবর্ষ)।
  • তিরমিযী, মুহাম্মাদ বিন ঈসা, তিরমিযী; তাহকিক ও তাছহিহ- আব্দুর রহমান মুহাম্মাদ উসমান, বৈরুত, দারুল ফিকর, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৩ হি.।
  • তাফতাযানী, সাদুদ্দিন, শারহুল মাকসেদ, কোম, শারিফ রাযি, ১৪০৯ হি.।
  • জাফারিয়ান, রাসুল, হায়াতে ফিকরিয়ে সিয়াসিয়ে ইমামানে শিয়া, কোম, আনসারিয়ান, ১১তম সংস্করণ, ১৩৮৭ (সৌরবর্ষ)।
  • হাকেম নিশাপুরী, মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ, আল-মুসতাদরাকু আলা সাহিহাইন, হায়দারাবাদ, ১৩৩৪ হি.।
  • হুসাইনী মিলানী, সাইয়্যেদ আলী, ইসবাতুল ভেলায়াতুল আম্মাতু লিন নাবিয়্যি ওয়াল আইম্মাতি, কোম, নাশরুল হাকায়েক্ব, প্রথম সংস্করণ, ১৪৩৮ হি.।
  • হাকেম, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ বাকের, আল-ইমামাতু ওয়া আহলুল বাইতি (আ.) নাযারিয়্যাতু ওয়াল ইসতিদলাল, কোম, মারকাযুল ইসলামিয়্যাতুল মুয়াসের, প্রথম সংস্করণ, ১৪২৪ হি.।
  • হামুদ, মুহাম্মাদ জামিল, আল-ফাওয়াইদুল বাহিয়্যাতু ফি শারহি আকাইদিল ইমামিয়্যাহ, বৈরুত, মুয়াসসাসাতুল আলামি, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪২১ হি.।
  • খুয়ী, সাইয়্যেদ আবুল কাশেম, মিসবাহুল ফিকাহা; তাকরির-মুহাম্মাদ আলী তাওহিদী, কোম, আনসারিয়ান, ১৪১৭ হি.।
  • যাহাবী, শামসুদ্দিন মুহাম্মাদ বিন আহমাদ, আলামুন নুবালা, মুয়াসসাসাতুর রিসালা, তৃতীয় সংস্করণ, ১৪০৫ হি.।
  • যামাখশারী, মাহমুদ বিন উমার, আল-কাশ্শাফ; তাছহিহ-মুস্তাফা হোসাইন আহমাদ, বৈরুত, দারুল কুতুবিল আরাবি, প্রথম সংস্করণ, ১৪০৭ হি.।
  • সুবহানী, জাফর, সিমায়ে আকায়েদে শিয়া; অনুবাদ-জাওয়াদ মুহাদ্দেসী, তেহরান, নাশরে মাশয়ার, প্রথম সংস্করণ, ১৩৮৬ (সৌরবর্ষ)।
  • সুবহানী, জাফর, ইলমে গাইব, কোম, মুয়াসসাসাতু ইমাম সাদিক (আ.), প্রথম সংস্করণ, ১৩৮৬ (সৌরবর্ষ)।
  • সুবহানী, জাফর, ফারহাঙ্গে আকায়েদ ও মাযাহেবে ইসলামি, কোম, তাওহিদ, ১৩৯৫ (সৌরবর্ষ)।
  • সুবহানী, জাফর, মানশুরে আকায়েদ ইমামি, কোম, মুয়াসসাসাতু ইমাম সাদিক (আ.), প্রথম সংস্করণ, ১৩৭৬ (সৌরবর্ষ)।
  • শাবর্, সাইয়্যেদ আব্দুল্লাহ, হাক্বুল ইয়াক্বিন, কোম, আনওয়ারুল হুদা, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪২৪ হি.।
  • শাহিদী, সাইয়্যেদ জাফর, যেন্দাগানিয়ে ইমাম সাদিক বিন মুহাম্মাদ (আ.), তেহরান, দাফতারে নাশরে ফারহাঙ্গে ইসলামি, প্রথম সংস্করণ, ১৩৭৭ (সৌরবর্ষ)।
  • সাফি গুলপায়গানী, লুতফুল্লাহ, ভেলায়াতে তাকভিনি ওয়া ভেলায়াতে তাশরিয়ি, কোম, দাফতারে তানযিম ও নাশরে আসারে আয়াতুল্লাহ আল-উযমা সাফি গুলপায়গানী, প্রথম সংস্করণ, ১৩৯২ (সৌরবর্ষ)।
  • শেইখ সাদুক, মুহাম্মাদ বিন আলী, আল-ইতিকাদাত, কোম, শেইখ মুফিদ সম্মেলন, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪১৪ হি.।
  • শেইখ সাদুক, মুহাম্মাদ বিন আলী, আল-খিছাল; তাহকিক ও তাছহিহ-আলী আকবর গাফ্ফারী, কোম, জামেয়ে মুদার্রেসিন, প্রথম সংস্করণ, ১৩৬২ (সৌরবর্ষ)।
  • শেইখ সাদুক, মুহাম্মাদ বিন আলী, উয়ুনে আখবারুর রেযা; তাহকিক-মাহদি লাজুরদী, তেহরান, নাশরে জাহান, প্রথম সংস্করণ, ১৩৭৮ (সৌরবর্ষ)।
  • শেইখ সাদুক, মুহাম্মাদ বিন আলী, কামালুুদ্দিন; তাছহিহ-আলী আকবর গাফ্ফারী, তেহরান, ইসলামিয়্যাহ, ১৪৯৫ হি.।
  • সাফ্ফার, মুহাম্মাদ বিন হাসান, বাছাইরুদ্ দারাজাত, কোম, মাকতাবাতু আয়াতুল্লাহ মারাশী নাজাফী, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৪ হি.।
  • তাবাতাবায়ী, সাইয়্যেদ আব্দুল আযিয, আহলুল বাইত ফি মাকতাবাতিল আরাবিয়্যাতি, কোম, মুয়াসসাসাতু আলিল বাইত (আ.) লি ইহয়াইত তুরাস...
  • তাবাতাবায়ী, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হোসাইন, শিয়া দার ইসলাম, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামি, ১৩৮৩ (সৌরবর্ষ)।
  • তাবারসি, ফাযল বিন হাসান, ইলামুল ওয়ারা বি আলামিল হুদা, তেহরান, ইসলামিয়্যাহ, চতুর্থ সংস্করণ, ১৩৯০ হি.।
  • শেইখ তুসী, মুহাম্মাদ বিন হাসান, আত্-তিবয়ান; তাছহিহ-আহমাদ হাবিব আমেলী, বৈরুত, দারু ইহয়াইত তুরাসিল আরাবি...
  • আলী বিন হোসাইন, সহিফা সাজ্জাদিয়া; অনুবাদ ও শারহ্-ফাইযুল ইসলাম, তেহরান, ফাকিহ, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৩৭৪ (সৌরবর্ষ)।
  • ফখরুদ্দিন রাযি, মুহাম্মাদ বিন উমার, তাফসিরে কাবির, বৈরুত, দারু ইহয়াইত তুরাসিল আরাবি, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪২০ হি.।
  • কুন্দুযি, সুলাইমান বিন ইবরাহিম, ইয়ানাবিউল মাওয়াদ্দাহ, বৈরুত, দারুল উসওয়াহ...
  • শেইখ কুলাইনী, মুহাম্মাদ বিন ইয়াকুব, তেহরান, ইসলামিয়্যাহ, তৃতীয় সংস্করণ, ১৪২০ হি.।
  • মাজলেসী, মুহাম্মাদ বাকের, বিহারুল আনওয়ার, বৈরুত, দারু ইহয়াইত তুরাসিল আরাবি, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৩ হি.।
  • মুহাম্মাদী, আলী, শারহে কাশফুল মুরাদ, কোম, দারুল ফিকর, চতুর্থ সংস্করণ, ১৩৭৮ (সৌরবর্ষ)।
  • মুসলিম নিশাপুৃরী, মুসলিম বিন হাজ্জাজ, সহিহ মুসলিম, বৈরুত, দারুল ফিকর...
  • শেইখ মুফিদ, মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ, আল-ইরশাদ, কোম, শেইখ মুফিদ কনফারেন্স, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৩ হি.।
  • শেইখ মুফিদ, মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ, আওয়াইলুল মাকালাত, কোম, শেইখ মুফিদ কনফারেন্স, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৩ হি.।
  • মাকারেম শিরাজি, নাসের, পায়ামে কুরআন, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়্যাহ, নবম সংস্করণ, ১৩৭৪ (সৌরবর্ষ)।
  • নোমানী, মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহিম, কিতাবুল গাইবাহ, বৈরুত, মুয়াসসাসাতুল আলামি লিল মাতবুয়াত, ১৪০৩ হি.।
  • ইয়াকুবী, আহমাদ বিন ইসহাক, তারিখে ইয়াকুবী, বৈরুত, দারু সাদের...