বেলায়েতের আয়াত
বেলায়েতের আয়াত (আরবি: آية الولاية, সূরা মায়িদাহ : ৫৫); মহান আল্লাহ, রাসূল (স.) এবং মু’মিনদের ঐ দলটির বেলায়েত (অভিভাবকত্ব) সম্পর্কে যারা রুকু অবস্থায় যাকাত প্রদান করে। শিয়া ও আহলে সুন্নতের মুফাসসিরদের মতে, আয়াতটি হযরত আলীর (আ.) রুকু অবস্থায় যাকাত প্রদানের ঘটনায় অবতীর্ণ হয়েছে বলে এর শানে নুযুলে উল্লেখিত হয়েছে। এরই ভিত্তিতে, শিয়ারা হযরত আলীর (আ.) বেলায়েত ও জা-নশিনীর বিষয়টি প্রমাণের ক্ষেত্রে আয়াতটিকে দলীল হিসেবে এনে থাকেন।
আহলে সুন্নতের আলেমগণ ((ولیّ)) শব্দটিকে ‘বন্ধু’ অর্থে নিয়ে হযরত আলীর (আ.) বেলায়েত প্রমাণে শিয়াদের এ যুক্তিকে গ্রহণ করেন না। এর বিপরীতে শিয়া আলেমদের ভাষ্য হল, আয়াতের শানে নুযুল ও ‘ওয়ালি’র দৃষ্টান্ত গণ্ডিবদ্ধ হওয়ায় এখানে ওয়ালি বন্ধু অর্থে হতে পারে না; বরং বেলায়েত ও অভিভাবকত্ব অর্থে।
আয়াতটি সম্পর্কে তাফসির, কালাম ও ফিকহী গ্রন্থে আলোচনা হয়ে থাকে। ফকিহগণ এ আয়াত থেকে ফিকাহ সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়ও অন্বেষণ করেছেন; যেমন: নামাযরত অবস্থায় সামান্য নড়াচড়া নামাযকে বাতিল করে দেয় না ইত্যাদি।
মূল আয়াত
إِنّما وَلیُّکُمُ اللهُ و رَسولُهُ والَّذینَ ءَامَنوا الَّذینَ یُقِیمُونَ الصَّلوةَ و یُؤتُونَ الزَّکوة و هُم راکِعونَ
নিঃসন্দেহ তোমাদের ওয়ালি হচ্ছেন কেবলমাত্র আল্লাহ্ এবং তাঁর রসূল, আর যারা ঈমান এনেছে, আর যারা নামায কায়েম করে, আর যাকাত প্রদান করে রুকু অবস্থায়।
অবস্থান
বেলায়েতের আয়াতটি, ইমাম আলীর (আ.) বেলায়েত ও তাঁর (আ.) মহানবির (স.) জা-নশিন ও স্থলাভিষিক্ত হওয়ার বিষয়টি প্রমাণে অন্যতম দলীল।[১] কেউ কেউ হযরত আলীর (আ.) ইমামত প্রমাণে আয়াতটিকে সবচেয়ে শক্তিশালী দলীল বলে উল্লেখ করেছেন।[২]
শিয়া[৩] ও সুন্নি মুফাসসিরগণ[৪] আয়াতটি হযরত আলীর (আ.) নামাযরত অবস্থায় এক দুস্থ ব্যক্তিকে দান করা প্রসঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। এ কারণে এ আয়াত এবং এর পাশাপাশি তাঁর (আ.) কর্তৃক আংটি প্রদানের ঘটনাটি তাঁর জন্য ফজিলত হিসেবে গন্য হয়। ‘আল-মুস্তারশিদ ফিল ইমামাহ’ গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে যে, ৬ সদস্য বিশিষ্ট শুরার ঘটনায় ইমাম আলী (আ.) নিজের অধিকার প্রমাণে আয়াতটির শানে নুযুল তাঁর সম্পর্কে হওয়ার বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।[৫]
এ কারণে আয়াতটি সম্পর্কে কালাম শাস্ত্র,[৬] তাফসির[৭] ও ফিকাহ[৮] সংশ্লিষ্ট গ্রন্থাবলীতে আলোচনা করা হয়েছে। ওয়ালি শব্দের অর্থকে কেন্দ্র করে শিয়া ও সুন্নি মনীষীদের মাঝে মতপার্থক্যের কারণে এ আয়াতের তাফসীরে বিস্তারিত আলোচনা ও পর্যালোচনা হয়েছে।
শানে নুযুল
বিভিন্ন রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে একদা জনৈক দুস্থ ব্যক্তি মসজিদ নববিতে (স.) প্রবেশ করে সাহায্যের আবেদন জানায়; কিন্তু কেউ তাকে কিছু দান না করায় তিনি আসমানের দিকে হাত উঁচু করে বলেন: ‘হে আল্লাহ্! তুমি সাক্ষী থেক যে, আমি তোমার রাসূলের মসজিদে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছি, কিন্তু কেউ আমাকে সাহায্য করে নি’। ঐ সময় রুকুতে থাকা ইমাম আলী (আ.) নিজের হাতের আংটিটির প্রতি ইঙ্গিত করলেন, দুস্থ লোকটি এগিয়ে এল এবং তাঁর হাত থেকে আংটিটি খুলে নিল, অতঃপর আলোচ্য আয়াতটি অবতীর্ণ হল।[৯]
ঘটনাটি ও বেলায়েতের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার দিনটি ছিল ২৪শে জিলহজ্জ বলে শেইখ মুফিদ উল্লেখ করেছেন।[১০]
শানে নুযুলের রেওয়ায়েতের গ্রহণযোগ্যতা
এ আয়াত সম্পর্কে যে সংখ্যক রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে যদি সেগুলোকে উপেক্ষা করা হয় তবে তাফসীরে কুরআন থেকে পরিপূর্ণরূপে হাত গুটিয়ে নিতে হবে। কেননা, কোন এক আয়াত সম্পর্কে এতগুলো আয়াতের উপর আস্থা না রাখলে, কিভাবে অপর আয়াতগুলো সম্পর্কে একটি বা দু’টি রেওয়ায়েতের উপর আস্থা রাখা সম্ভব হবে? (তাবাতাবায়ী, আল-মীযান, ১৩৯০ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ৮)
বেলায়েতের আয়াতের শানে নুযুল সংশ্লিষ্ট মূল রেওয়ায়েতটি ইবনে আব্বাস,[১১] আম্মার,[১২] আনাস ইবনে মালিক,[১৩] আবু রাফি’ মাদানি,[১৪] ও মিকদাদের[১৫] মত সাহাবাদের থেকে বর্ণিত হয়েছে। সুন্নি আলেম কাজী ইজী’র ভাষ্যানুযায়ী, আয়াতটি যে হযরত আলীর (আ.) শানে অবতীর্ণ হয়েছে এ প্রসঙ্গে মুফাসসিরগণের ইজমা রয়েছে।[১৬] এতদসত্ত্বেও ইবনে তাইমিয়া,[১৭] ইবনে কাসির[১৮] ও ফাখরে রাযি [১৯] আয়াত সংশ্লিষ্ট বর্ণনাটিকে যঈফ ও দুর্বল বলে আখ্যায়িত করেছেন। এছাড়া, আহলে সুন্নতের কয়েকটি তাফসীরে আয়াতটি কার সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে এ প্রসঙ্গে ৪ ধরণের মত উল্লেখিতত হয়েছে; ইমাম আলী (আ.), উবাদাহ ইবনে সামিত, আবু বাকর ইবনে আবি কুহাফা ও সকল মুসলমান।[২০]
ইবনে শো’বা হাররানি তার তোহাফুল উকুল গ্রন্থে বেলায়েতের আয়াতের শানে নুযুল সংশ্লিষ্ট হাদীসগুলোকে সহিহ এবং ঐ সকল রেওয়ায়েতের অন্তুর্ভুক্ত বলে জ্ঞান করেছেন যেগুলো সম্পর্কে আলেমগণের ইজমা রয়েছে।[২১] তাফসীরে আল-মীযানে আল্লামা তাবাতাবায়ী’র মত হলো, আয়াতটির শানে নুযুলে বর্ণিত রেওয়ায়েতগুলো কুরআনের ভাষ্যের সমর্থক।[২২] তিনি বলেন: তাফসির ও হাদীস শাস্ত্রের মহান পণ্ডিতগণ এ হাদীসগুলোকে বর্ণনা করেছেন এবং এগুলোর বিরোধিতা করেন নি। ইবনে তাইমিয়া’র মত যারা বিরোধিতা করেছেন তারা চরম পর্যায়ে শত্রুতা পোষণ করেছে।[২৩]
ইমাম আলীর (আ.) বেলায়েতের প্রতি নির্দেশক
শিয়া আলেমগণ আয়াতটিকে ইমাম আলীর (আ.) খেলাফত ও বেলায়েতের প্রমাণ হিসেবে জ্ঞান করেন। তাদের দৃষ্টিতে আয়াতটি ((اِنّما)) (কেবলমাত্র অর্থে) শব্দ দ্বারা শুরু হয়েছে এবং আরবি ব্যাকরণের দিক থেকে যখনই কোন বাক্য ইন্নামা শব্দ দ্বারা শুরু হয় তখন তা বাক্যের অর্থকে গণ্ডিবদ্ধ করে দেয়;[২৪] অর্থাৎ আলোচ্য আয়াতে বেলায়েত কেবলমাত্র আল্লাহ, নবি (স.) এবং যারা রুকুরত অবস্থায় যাকাত প্রদান করে তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।[২৫] আয়াতের শানে নুযুলের সাক্ষ্য অনুযায়ী যারা রুকু অবস্থায় যাকাত দেয় তারা।[২৫] আর আয়াতের শানে নুযুলের ভিত্তিতে, রুকু অবস্থায় দানকারী একমাত্র ব্যক্তি ইমাম আলী (আ.)।[২৬]
ইমাম সাদিক (আ.) থেকে বর্ণিত একটি রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে আল্লাহর ওয়াছিগণের আনুগত্য আবশ্যক হওয়ার বিষয়টি প্রমাণে আলোচ্য আয়াত এবং উলুল আমরের আয়াতটিকে উল্লেখযোগ্য।[২৭]
((ولیّ)) শব্দের অর্থে শিয়া ও সুন্নিদের মাঝে পার্থক্য
আহলে সুন্নাতের বহুসংখ্যক আলেম আলোচ্য আয়াতটি হজরত আলীর (আ.) শানে অবতীর্ণ হয়েছেন বলে জ্ঞান করলেও ((ولیّ)) শব্দের ক্ষেত্রে মনে করেন শব্দটি ‘বন্ধু’ ও ‘সাথী’ অর্থে এবং ‘অভিভাবক’ অর্থে নয়।[২৮] কিন্তু শিয়া আলেমরা মনে করেন ((ولیّ)) শব্দটি ‘অভিভাবক’ ও ‘কর্তৃত্বশীল’ অর্থে।[২৯] মাকারেম শিরাজির মতে বন্ধুত্ব শুধু রুকু অবস্থায় যাকাত প্রদানকারী ব্যক্তির মাঝে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি গণ ও সার্বিক একটি এবং প্রত্যেক মুসলমানের উচিত পরস্পরকে ভালোবাসা ও সহযোগিতা করা। অথচ আয়াতের শানে নুযুলের ভিত্তিতে আলোচ্য আয়াতে ((ولیّ))-এর একমাত্র দৃষ্টান্ত হল হজরত আলী (আ.)। সুতরাং আয়াতে ((ولیّ)) শব্দটি বেলায়েত ও অভিভাবকত্ব অর্থে; কেননা, উল্লেখ্য বেলায়েতটি আল্লাহ এবং মহানবির (স.) বেলায়েতের পাশে স্থান পেয়েছে।[৩০]
আয়াতে ফিকহি বিধান
সামান্য নড়াচড়ায় নামায বাতিল না হওয়া: সামান্য নড়াচড়ায় নামায বাতিল না হওয়ার বিষয়টি প্রমাণে ফকিহগণ রুকু অবস্থায় হজরত আলীর (আ.) আংটি প্রদানের ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন।[৩১]
- মুস্তাহাব সদকাও যাকাতের অন্তর্ভুক্ত হয়: আয়াতে আংটি দান করাকে যাকাত হিসেবে গন্য করা হয়েছে। এর থেকে উপকৃত হয়ে কিছু কিছু ফকীহ এ ফলাফলে পৌঁছেছেন যে, মুস্তাহাব সদকাও যাকাতের অন্তর্ভুক্ত হয়।[৩২]
- নিয়্যত অন্তরে উচ্চারণ করাটাই যথেষ্ট এবং মুখে উচ্চারণের প্রয়োজন নেই: এ বিষয়টি প্রমাণে কিছু কিছু ফকীহ এ আয়াতটিকে প্রমাণ হিসেবে এনেছেন।[৩৩]
- নামাজরত অবস্থায় যাকাত প্রদান নামাজে একাগ্রতার সাথে সাংঘর্ষিক নয় : আল্লামা মাজলিসী’র ভাষায়, নামাজরত অবস্থায় অন্য কোন ইবাদতের দিকে মনোযোগী হওয়ার বিষয়টি নামাজের পূর্ণতার সাথে সাংঘর্ষিক নয় এবং একাগ্রতা (নিরবিচ্ছিন্ন মনোযোগ) নষ্ট করে না।[৩৪] একইভাবে বলা হয়েছে যে, হজরত আলীর নামাজ ও দান দু’টোই মহান আল্লাহর জন্য ছিল, এ কারণে তাঁর নামাজরত অবস্থায় দুস্থ ব্যক্তির আবেদন শ্রবণ ও আল্লাহর সন্তুষ্টি কল্পে তাকে আংটি দান, বিষয় দু’টি পরস্পরের সাথে সাংঘর্ষিক নয়।[৩৫] ইলালুশ শারায়ে গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে যে, মহানবি (স.) নামাজরত অবস্থায় কোন শিশুর ক্রন্দনের আওয়াজ শুনলে নামাজ দ্রুত শেষ করতেন, যাতে শিশুর মা শিশুর দিকে মনোযোগী হতে পারে।[৩৬]
তথ্যসূত্র
- ↑ শেইখ মুফিদ, আল-ইফসাহু ফিল ইমামাহ, আল-মু’তামারুল আলিমি লি-আলফিয়াতিশ শেইখ আল-মুফিদ, পৃ. ১৩৪; তুসি, আল-তিবইয়ান, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ৩, পৃ. ৫৫৯।
- ↑ তুসি, তালখিছুশ শাফি, ১৩৮২ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ১০।
- ↑ দ্র: তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ৩২৪; তুসি, আল-তিবইয়ান, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ৩, পৃ. ৫৫৮-৫৫৯; ফাইয কাশানি, তাফসির আল-ছাফি, ১৪১৫ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪৪; তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৯০ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ৮।
- ↑ দ্র: হাকিম হাসকানি, শাওয়াহেদুত তানযিল, ১৪১১ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২০৯-২৩৯।
- ↑ তাবারি, আল-মুস্তারশাদ, ১৪১৫ হি., পৃ. ৩৫৩।
- ↑ দ্র: সাইয়্যেদ মুর্তাযা, আল-যাখিরা, ১৪৩১ হি., পৃ. ৪৩৯।
- ↑ দ্র: আল-মিযান, ১৩৯০ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ৮।
- ↑ ফাযিল মিকদাদ, কানযুল ইরফান, ১৪২৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৫৮।
- ↑ হাকিম হাসকানি, শাওয়াহেদুল তানযিল, ১৪১১ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২০৯-২৩৯; কুম্মি, তাফসিরুল কুম্মি, ১৪০৪ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৭০; আইয়াশি, তাফসিরুল আইয়াশি, ১৩৮০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩২৭, ১৩৭।
- ↑ শেইখ মুফিদ, মাসাররুশ শিয়া, ১৪১৪ হি., পৃ. ৪১।
- ↑ শাওয়াহেদুল তানযিল, ১৪১১ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৩২।
- ↑ সুয়ূতি, আল-দুররুল মানসুর, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১০৬।
- ↑ শাওয়াহেদুল তানযিল, ১৪১১ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২২৫।
- ↑ তাবারানি, আল-মু’জামুল কাবির, তারিখ অজ্ঞাত, খণ্ড ১, পৃ. ৩২০-৩২১, হা. ৯৫৫৯।
- ↑ শাওয়াহেদুল তানযিল, ১৪১১ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২২৮।
- ↑ ইজি, আল-মুওয়াফিক, আলিমুল কুতুব, পৃ. ৪০৫।
- ↑ ইবনে তাইমিয়া, মিনহাজুস সুন্নাহ, ১৪০৬ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৭-৯।
- ↑ ইবনে কাসির, তাফসিরুল কুরআনিল আযিম, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, খণ্ড ৩, পৃ. ১২৫-১২৭।
- ↑ ফাখরে রাযি, তাফসিরুল ফাখর আল-রাযি, ১৪২০ হি., খণ্ড ১২, পৃ. ৩৮৩-৩৮৫।
- ↑ ইবনে জাওযি, যাদুল মাসির, দারুল কিতাব আল-আরাবি, খণ্ড ১, পৃ. ৫৬১।
- ↑ ইবনে শো’বা হাররানি, তোহাফুল উকুল, ১৪০৪ হি, পৃ. ৪৫৯।
- ↑ তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৯০ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ২০।
- ↑ তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৯০ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ২৫।
- ↑ ইবনে হিশাম, আল-মুগনি আল-লাবিব, ১৪১০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩৯।
- ↑ সাইয়্যেদ মুর্তাযা, আল-যাখিরা, ১৪৩১ হি., পৃ. ৪৩৯।
- ↑ শুশতারি, ইহকাকুল হাক্ব, ১৪০৯ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪০০; শাওয়াহেদুল তানযিল, ১৪১১ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২০৯-২৩৯।
- ↑ কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., পৃ. ১৮৭।
- ↑ ইজি, আল-মাওয়াকিফ, আলিমুল কিতাব, খণ্ড ১, পৃ. ৪০৫।
- ↑ দ্র: তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৯০ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ৮; ফায়ুমি, আল-মিসবাহুল মুনির, ১৪১৪ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৬৭২; শুশতারি, ইহকাকুল হাক্ব, ১৪০৯ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪০৮।
- ↑ মাকারেম, তাফসিরে নেমুনেহ, ১৩৭৪ ফার্সি সন, খণ্ড ৪, পৃ. ৪২৩।
- ↑ ফাযিল মিকদাদ, কানযুল ইরফান, ১৪২৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৫৮।
- ↑ ফাযিল মিকদাদ, কানযুল ইরফান, ১৪২৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৫৮।
- ↑ মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৮১, পৃ. ২৮১।
- ↑ মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৮১, পৃ. ২৮১।
- ↑ তাবাসি, নেশানে বেলায়াত ওয়া জারইয়ানে খতাম বাখশি, পৃ. ৪৯।
- ↑ সাদুক, ইলালুশ শারায়ে, মানশুরাতুল মাক্তবাতুল হাইদারিয়া ফিন নাজাফ, খণ্ড ২, পৃ. ৩৪৪।
গ্রন্থপঞ্জি
- ইবনে তাইমিয়া, আহমাদ বিন আব্দুল হালিম, মিনহাজুস সুন্নাহ আল-নাবাবিয়্যাহ ফি নাজযি কালাম আল-শিয়া, তাহকিক রিশাদ সালিম, রিয়াদ্ব, জামেয়াতুল ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাউদ আল-ইসলামিয়্যাহ, ১৪০৬ হি.।
- ইবনে জাওযি, আব্দুর রহমান বিন আলী, যাদুল মাসির ফি ইলমিত তাফসির, তাহকিক আব্দুর রাজ্জাক মাহদি, বৈরুত, দারুল কিতাব আল-আরাবি, তারিখ অজ্ঞাত।
- ইবনে শো’বা হাররানি, হাসান বিন আলী, তোহফাল উকুল, তাসহিহ ওয়া তাহকিক আলী আকবার গাফফারী, কোম, জামেয়ে মাদাররেসীন, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৪ হি.।
- ইবনে কাসির, ইসমাঈল বিন উমর, তাফসিরুল কুরআনিল আযিম, তাহকিক মুহাম্মাদ হুসাইন শামসুদ্দিন, বৈরুত, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, তারিখ অজ্ঞাত।
- ইবনে হিশাম, আব্দুল্লাহ বিন ইউসুফ, মুগনি আল-লাবিব আন কিতাবিল আরাইব, তাহকিক মুহাম্মাদ মুহিউদ্দিন আব্দুল হামিদ, কোম, মাক্তাবাতু আয়াতু্ল্লাহ আল-মারআশি, ১৪১০ হি.।
- ইজি, আব্দুর রহমান, আল-মাওয়াকিফু ফি ইলমিল কালাম, বৈরুত, আলিমুল কুতুব, তারিখ অজ্ঞাত।
- হাকিম হাসকানি, উবায়দুল্লাহ, শাওয়াহেদুত তানযিল লি কাওয়ায়িদিল তাফযিল, তাহকিক মুহাম্মাদ বাকিরুল মাহমুদি, কোম, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪১১ হি.।
- সাইয়্যেদ মুর্তাযা, আলী বিন হুসাইন, আল-যাখিরাতু ফি ইলমিল কালাম, তাহকিক সাইয়্যেদ আহমাদ হুসাইনি, কোম, মুআসসাসাতুল নাশরিল ইসলামি, ১৪৩১ হি.।
- সুয়ূতি, জালালুদ্দিন, আল-দুররুল মানসুর ফিত তাফসিরি বিল মাসুর, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪০৩ হি.।
- শুশতারি, নুরুল্লাহ বিন শারিফুদ্দিন, ইহকাকুল হাক্ব ওয়া ইযহাকুল বাতিল, কোম, মাক্তাবাতু আয়াতুল্লাহ আল-মারআশি, ১৪০৯ হি.।
- শেইখ সাদুক, মুহাম্মাদ বিন আলী, ইলালুশ শারায়ে, মুকাদ্দামেয়ে সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ সাদিক বাহরুল উলুম, কোম, মাক্তাবাতুদ দাওয়ারি, তারিখ অজ্ঞাত।
- শেইখ মুফিদ, মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ, আল-ইফসাহু ফিল ইমামাহ, কোম, আল-মু’তামারুল আলিমি লি আলফিয়াতিল শেইখ আল-মুফিদ, তারিখ অজ্ঞাত।
- শেইখ মুফিদ, মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ, মাসারুশ শিয়া, বৈরুত, দারুল মুফিদ, ১৪১৪ হি./১৯৯৩ খ্রি.।
- তাবাতাবায়ী, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হুসাইন, আল-মিযান ফি তাফসিরিল কুরআন, বৈরুত, মুআসসাসাতুল আ’লামি লিল মাতবুআত, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৩৯০ হি.।
- তাবারানি, সুলাইমান বিন আহমাদ, আল-মু’জামুল কাবির, তাহকিক হামদি আব্দুল মাজিদ আল-সালাফি, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাস, দ্বিতীয় সংস্করণ, তারিখ অজ্ঞাত।
- তাবারসি, ফাযল বিন হাসান, মাজমাউল বায়ান ফি তাফসিরিল কুরআন, তাসহিহ ফাযলুল্লাহ ইয়াযদি তাবাতাবায়ী ওয়া হাশিম রাসুলি, তেহরান, নাসের খসরু, তৃতীয় সংস্করণ, ১৩৭২ ফার্সি সন।
- তাবারি, মুহাম্মাদ বিন জুরাইর, আল-মুস্তারশিদ ফি ইমামাতি আলী বিন আবি তালিব (আ.), তাসহিহ: আহমাদ মাহমুদি, কোম, কুশানপুর, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৫ হি.।
- তাবাসি, মুহাম্মাদ জাওয়াদ, নেশানে বেলায়াত ওয়া জারইয়ান "খতাম বাখশি", ফারহাঙ্গে কাওসার, সংখ্যা ৪৮, ১৩৭৯ ফার্সি সন।
- তুসি, মুহাম্মাদ বিন হাসান, আত তিবইয়ান ফি তাফসিরিল কুরআন, তাহকিক আহমাদ হাবিব আমেলি, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, তারিখ অজ্ঞাত।
- তুসি, মুহাম্মাদ বিন হাসান, তালখিছ আল-শাফি, কোম, ইন্তেশারাতুল মুহিব্বিন, ১৩৮২ ফার্সি সন।
- আইয়াশি, মুহাম্মাদ বিন মাসউদ, তাফসিরুল আইয়াশি, তাহকিক: হাশিম রাসুলি, তেহরান, মাক্তাবাতুল ইলমিয়্যাহ আল-ইসলামিয়্যাহ, প্রথম সংস্করণ, ১৩৮০ হি.।
- ফাযিল মিকদাদ, মিকদাদ বিন আব্দুল্লাহ, কানযুল ইরফান ফি ফিকহিল কুরআন, কোম, ইন্তেশারাতে মুর্তাযাভি, ১৪২৫ হি.।
- ফাখরে রাযি, মুহাম্মাদ বিন উমর, তাফসিরুল ফাখর আল-রাযি, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, তৃতীয় সংস্করণ, ১৪২০ হি.।
- ফাইয কাশানি, মুহাম্মাদ বিন শাহ মুর্তাযা, তাফসির আল-ছাফি, মুকাদ্দামে ওয়া তাসহিহ: হুসাইন আ’লামি, তেহরান, মাক্তাবাতুস সাদর, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪১৫ হি.।
- ফায়ুমি, আহমাদ বিন মুহাম্মাদ, আল-মিসবাহুল মুনির, কোম, মুআসসাসাতু দারুল হিজরাহ, ১৪১৪ হি.।
- কুম্মি, আলী বিন ইব্রাহিম, তাফসিরুল কুম্মি, তাসহিহ ওয়া তাহকিক: তায়্যেব মুসাভি জাযায়েরি, কোম, দারুল কিতাব, তৃতীয় সংস্করণ, ১৪০৪ হি.।
- কুলাইনি, মুহাম্মাদ বিন ইয়াকুব, আল-কাফি, তাসহিহ আলী আকবার গাফ্ফারি ওয়া মুহাম্মাদ আখুন্দি, তেহরান, দারুল কুতুব আল-ইসলামিয়্যাহ, ১৪০৭ হি.।
- মাজলিসী, মুহাম্মাদ বাকের বিন মুহাম্মাদ তাকী, বিহারুল আনওয়ার, তাহকিক আলী আকবার গাফ্ফারি এবং অন্যান্যরা, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, ১৩৬৮ ফার্সি সন/১৪০৩ হি.।
- মাকারেম শিরাযি, নাসির, তাফসিরে নেমুনেহ, কোম, দাফতারে তাবলীগাতে ইসলামি, ১৩৭৪ ফার্সি সন।