উলিল আমরের আয়াত
আয়াতের নাম | উলুল আমরের আয়াত |
---|---|
সূরার নাম | নিসা |
আয়াত নম্বর | ৫৯ |
পারা নম্বর | ৫ |
অবতীর্ণের স্থান | মদিনা |
বিষয় | আকাইদ |
প্রসঙ্গ | ইসমাত ও শিয়া ইমামগণের ইমামত |
উলুল আমরের আয়াত (আরবি: آية أولي الأمر) (নিসা: ৫৯); ঈমানদারদেরকে আল্লাহ, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এবং উলুল আমর এর আদেশ মানতে নির্দেশ দিয়েছে। শিয়া এবং কিছু সুন্নী মতানুযায়ী, যেমন- ফখরুদ্দি রাজী -এই আয়াতটি উলুল আমর এর ইসমাতের (নিষ্পাপতা) প্রতি নির্দেশ করে।
রেওয়ায়েত অনুসারে, শিয়ারা ‘উলুল আমর’ বলতে তাদের ইমামদের মনে করে এবং বিশ্বাস করে যে এই আয়াতটি শিয়া ইমামদের নিষ্পাপতা এবং তাঁদের আনুগত্যের বাধ্যবাধকতা প্রতি নির্দেশ করে; তবে এ বিষয়ে সুন্নিদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
আহলে সুন্নতের মতে, খোলাফায়ে রাশেদিন, প্রত্যেক ন্যায়পরায়ণ শাসক, ধর্মীয় আলেমগণ এবং সমগ্র ইসলামী সম্প্রদায় ‘উলুল আমর’ এর প্রকৃত অর্থ ও উদ্দেশ্য।
টেক্সট ও অনুবাদ
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُوْلِى الْأَمْرِ مِنْكُمْ فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ فِى شَىءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللهِ وَالرَّسُولِ إِنْ كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلً
(অর্থ: হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর-যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম।)
সূরা নিসা: ৫৯
উলুল আমরে’র আনুগত্যের আবশ্যকতা
শিয়া মুফাস্সিরদের মতে, উলুল আমরের আয়াতটি উলুল আমর -এর নিষ্পাপতাকে নির্দেশ করে।[১] আল্লামা তাবাতাবায়ী এর ভাষ্যমতে, উলুল আমর এর আনুগত্য «أَطیعُوا» ক্রিয়াপদের পুনাবৃত্তি ছাড়াই আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর আনুগত্যের সাথে ‘আতফ’ (সম্পৃক্ত) হওয়ার কারনে যেমনি ভাবে আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর আনুগত্য করা নিরঙ্কুশ ফরজ, তেমনি উলুল আমর এর আনুগত্য করাও কোনো প্রকার শর্তহীনভাবে ফরজ।[২] যদি আল্লাহ কারো কাছ থেকে নিঃশর্ত আনুগত্যের আদেশ দেন, তাহলে সেই ব্যক্তি হবে মাসুম বা নিষ্পাপ; কারণ সে যদি নির্দোষ না হয় এবং গুনাহের আদেশ দেয়, পারষ্পরিক সাংঘর্ষিক বিষয়ের সৃষ্টি হবে। অর্থাত্, অবশ্যই তার আনুগত্য করা উচিত (আল্লাহর প্রদত্ত আদেশ অনুসারে) এবং তার আনুগত্য করা উচিত হবে না (কারণ মানুষের পাপ করা উচিত নয়)।[৩]
সুন্নী মুফাসসির ফখরুদ্দিন রাযীও বিশ্বাস করেন যে এই আয়াত উলুল আমর -এর ইসমাতের (নিষ্পাপতা) প্রতি নির্দেশ করে; কিন্তু এর প্রকৃত অর্থ হিসাবে শিয়া ইমামদের মনে করেন না।[৪]
সালাফি ও ওয়াহাবী ধারার আলেম ইবনে তাইমিয়া[৫] এবং নাসের আল-খাফারী অভিমত পোষণ করেন যে, «فَإِنْ تَنازَعْتُمْ فِی شَیْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَی اللهِ وَ الرَّسُولِ» (যদি কোনো বিষয়ে মতভেদ কর, তবে তা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর) এই আয়াতটি নির্দেশ করে যে, আমাদের কাছে রাসূল (সাঃ) ছাড়া আর কেউই নেই যিনি মাসুম বা নিষ্পাপ; কারণ এই আয়াতে মুমিনদেরকে -যখন তারা কোনো মতবিরোধে জড়ায়- আল্লাহ ও রাসূল (সাঃ) এর দিকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের মতে, রাসূল (সাঃ) ছাড়া দ্বিতীয় কোনো মাসুম বা নিষ্পাপ ব্যক্তির অস্তিত্ব থাকত, তাহলে মহান আল্লাহ তাদের শরণাপন্ন হতে নির্দেশ দিতেন।
জবাবে বলা হয়েছে যে, আয়াতে মতবিরোধ ও বিবাদের দ্বারা উদ্দেশ্য হল আহকাম ও ইসলামের সাধারণ নিয়ম-কানুন নিয়ে মতপার্থক্য, যেগুলোর প্রয়ণন ক্ষমতা আল্লাহ ও রাসূলের (সাঃ) হাতে এবং ইমামগণ সর্বদা সেগুলো প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের প্রচেষ্টায় আছেন।[৬]
সূরা নিসার ৮৩ নং আয়াত অনুসারে, ইমামদের (আ.) শরণাপন্ন হওয়ার অর্থ হল আল্লাহ এবং নবীর (সা.) শরণাপন্ন হওয়ার ন্যায়; কারণ ইমামগণ শরিয়তের হেফাযত ও রক্ষণাবেক্ষণে নবী (সাঃ) এর মত ভূমিকা পালন করেন।[৭]
উলুল আমর কারা?
‘উলুল আমর’ এর প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কে শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। শিয়ারা বিশ্বাস করে যে ‘উলুল আমর’ অর্থ হল বারোজন ইমাম; কিন্তু সুন্নীদের মতে, ন্যায়পরায়ণ খলিফা বা ন্যায়পরায়ণ শাসক বা ধর্মীয় আলেমগণই ‘উলুল আমর’ এর প্রকৃত উদ্দেশ্য।
শিয়া ইমামগণ শিয়া[৮] এবং সুন্নি[৯] সূত্রে বেশ কিছু হাদিস ‘উলুল আমর’ দ্বারা ইমামগণকে বুঝিয়েছে।[১০] এই হাদিসগুলোর উপর ভিত্তি করে, শিয়া আলেমগণ ‘উলুল আমর’ বলতে বারো ইমামকে বিশ্বাস করেন।[১১] এই হাদিসগুলোর কতিপয় নিম্নরূপ-
১, জাবির ইবনে আবদুল্লাহ আনসারী, জাবিরের হাদিস নামে পরিচিত একটি বর্ণনায় নবী (সা.)-কে ‘উলুল আমর’ শব্দটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। নবী (সাঃ) উত্তর দিলেন যে, তারা আমার উত্তরসূরী এবং আমার পরে মুসলমানদের ইমাম, যাদের মধ্যে প্রথম আলী ইবনে আবি তালিব এবং তাঁর পরে তিনি ক্রমানুসারে বারোজন ইমামের নাম উল্লেখ করেছেন।[১২]
২, উলুল আমর -এর আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম বাকির (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, ‘উলুল আমর’ হচ্ছে সেই ইমমাগণ যারা আলী ও ফাতিমা (আঃ) এর সন্তানদের থেকে এবং কিয়ামত পর্যন্ত তারা বিদ্যমান থাকবে। ইমাম ইমাম বাকির (আ.)-এর অন্য একটি বর্ণনায় বলা হয়েছে যে, আল্লাহ্ শুধুমাত্র আমাদেরকে ‘উলুল আমর’ নির্বাচিত করেছেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত সকল মুমিনদেরকে আমাদের অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।[১৩]
৩, ইমাম জাফর সাদিক (আ.): তারা (উলুল আমর) হলেন আলী বিন আবি তালিব, হাসান, হোসাইন, আলী বিন হুসাইন, মুহাম্মাদ বিন আলী এবং জাফর, অর্থাৎ আমি। মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় কর যে, তিনি এমন সময়ে তোমাদের ইমাম এবং পথনির্দেশকদের পরিচিয় করিয়েছেন যখন লোকেরা তাঁদেরকে অস্বীকার করে।[১৪]
তাফসিরে আল-মিজানে আল্লামা তাবাতাবায়ী বলেছেন যে ‘উলি আল-আমর’ এর অর্থ হচ্ছে এমন ব্যক্তি যারা মাসুম এবং যাদের আদেশ অনুযায়ী আমল করা ওয়াজিব, যেমন- নবীগণ এবং এটা সাংঘর্ষিক নয় যে উলিল আমরের অর্থ ব্যাপকতা রাখে। কিন্তু এর প্রকৃত উদ্দেশ্য সুনির্দিষ্ট এবং সীমিত; যেমন এই আয়াতে ‘রাসুল’ শব্দের ব্যাপক অর্থ রয়েছে; যদিও এর উদ্দেশ্য হচ্ছে শুধুমাত্র নবী মুহাম্মদ (সা.)।[১৫]
খোলাফায়ে রাশেদিন ও যে কোনো ন্যাপরাপয়ণ শাসক ‘উলুল আমর’ -এর প্রকৃত অর্থ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে সুন্নি আলেমদের ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে, ‘উলুল আমর’ অর্থ খোলাফায়ে রাশেদিন। অন্য একটি দলের বিশ্বাস অনুসারে, এর অর্থ ধর্মীয় আলেমগণ, কেউ কেউ বলেছেন যে, সারিয়া যুদ্ধের কমান্ডাররা এর প্রকৃত উদ্দেশ্য। [১৬]
সুন্নি মুফাসসির যামাখশারীর মতে, এর অর্থ যে কোনো ন্যায়পরায়ণ শাসক যিনি ধর্মের ভিত্তিতে শাসন করেন; খোলাফায়ে রাশেদিন ও শাসকদের মধ্যে যারা তাদের মত কাজ করে।[১৭] ফখরুদ্দিন রাযীর মতে, এর প্রকৃত উদ্দেশ্য ‘আহলে হাল ওয়া আক্বদ’ যা উম্মাহর ঐকমত্য দ্বারা প্রমাণিত।[১৮]
তথ্যসূত্র
- ↑ তাবারসী, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ (সৌরবর্ষ), খ:৩, পৃ:১০০ ও তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৯০ হি., খ:৪, পৃ:৩৯১।
- ↑ তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৯০ হি., খ:৪, পৃ:৩৯১।
- ↑ মুযাফাফার, দালাইলুস সিদ্ক্ব, খ:২, পৃ:১৭।
- ↑ ফখরুদ্দিন রাযী, তাফসিরে কাবির, ১৪২০ হি., খ:১০, পৃ:১১৩-১১৪।
- ↑ ইবনে তাইমিয়া, মিনহাজুস সুন্নাহ, ১৪০৬ হি., খ:৩, পৃ:৩৮১।
- ↑ মাকামে শিরাজী, তাফসিরে নেমুনেহ, ১৩৭১ (সৌরবর্ষ), খ:৩, পৃ:৪৪১ ও তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৯০ হি., খ:৪, পৃ:৩৮৮-৩৮৯।
- ↑ তাবারসী, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ (সৌরবর্ষ), খ:৩, পৃ:১০০ ও শেইখ তুসী, আত্-তিবয়ান, দারু ইহয়াইত তুরাসিল আরবি, খ:৩, পৃ:২৩৬।
- ↑ বাহরানী, গায়াতুল মারাম, ১৪২২ হি., খ:৩, পৃ:১০৯-১১৫।
- ↑ হাকিম হাসকানী, শাওয়াহিদুত্ তানযিল, ১৪১১ হি., খ:১, পৃ:১৯০-১৯১।
- ↑ মাকামে শিরাজী, আয়াতে ভেলায়াত দার কুরআন, ১৩৮৬ (সৌরবর্ষ), পৃ:১১৬।
- ↑ তাবারসী, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ (সৌরবর্ষ), খ:৩, পৃ:১০০ ও তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৯০ হি., খ:৪, পৃ:৩৯৯।
- ↑ কুন্দুযী, ইয়ানাবিউল মাওয়াদ্দাহ, ১৪২২ হি., খ:১, পৃ:৩৪১ ও খাযযায রাযী, আল-কিফায়াতুল আসার, ১৪০১ হি., পৃ:৫৪-৫৫।
- ↑ বাহরানী, তাফসিরে আল-বুরহান, ইসমাইলিয়ান, ৩৮৩ ও ৩৮৬।
- ↑ আইয়্যাশী, তাফসিরে আইয়্যাশী, ১৩৬৩ (সৌরবর্ষ), পৃ:২৫২, হাদিস নং-১৭৪।
- ↑ তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৯০ হি., খ:৪, পৃ:৪০১।
- ↑ ফখরুদ্দিন রাযী, তাফসিরে কাবির, ১৪২০ হি., খ:১০, পৃ:১১৩-১১৪।
- ↑ যামাখশারী, আল-কাশশাফ, ১৪০৭ হি., খ:১, পৃ:৫২৪।
- ↑ ফখরুদ্দিন রাযী, তাফসিরে কাবির, ১৪২০ হি., খ:১০, পৃ:১১৩।
গ্রন্থপঞ্জি
- ইবনে তাইমিয়া, আহমাদ বিন আব্দুল হালিম, মিনহাজুস সুন্নাহ; তাহকিক- রিশাদ সালেম, জামিয়াতুল ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাউদ আল-ইসলামিয়্যাহ, প্রথম প্রকাশ, ১৪০৬ হি.।
- বাহরানী, সাইয়্যেদ হাশেম, তাফসিরে আল-বুরহান, কোম, ইসমাইলিয়ান...
- বাহরানী, সাইয়্যেদ হাশেম, গায়াতুল মারাম; তাহকিক-সাইয়্যেদ আলী আশুর, বৈরুত, মুয়াসসেসেয়ে তারিখে ইসলামি, প্রথম প্রকাশ, ১৪২২ হি.।
- হাকিম হাসকানী, আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল্লাহ, শাওয়াহিদুত্ তানযিল, তেহরান, ভেযারাতুস সিকাফা ও ইরশাদুল ইসলামি, প্রথম প্রকাশ, ১৪১১ হি.।
- খাযযায রাযী, আলী বিন মুহাম্মাদ, আল-কিফায়া; তাছহিহ-আব্দুল লতিফ হোসাইনী, কোম, বিদার, ১৪০১ হি.।
- যামাখশারী, মাহমুদ বিন উমার, আল-কাশশাফ, বৈরুত, দারুল কুতুবিল আরাবি, তৃতীয় প্রকাশ, ১৪০৭ হি.।
- তাবাতাবায়ী, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হোসাইন, আল-মিযান, বৈরুত, মুয়াসসেসেয়ে আলামি, দ্বিতীয় প্রকাশ, ১৩৯০ হি.।
- তাবারসী, ফাযল বিন হাসান, মাজমাউল বায়ান; তাছহিহ-ফাযলুল্লাহ ইযাযদী ও হাশেম রাসুলী মাহাল্লাতী, তেহরান, নাসের খুসরূ, তৃতীয় প্রকাশ, ১৩৭২ (সৌরবর্ষ)।
- শেইখ তুসী, মুহাম্মাদ বিন হাসান, আত্-তিবয়ান, বৈরুত, দারু ইহয়াইত তুরাসিল আরবি, প্রথম প্রকাশ...
- আইয়্যাশী, মুহাম্মাদ বিন মাসউদ, তাফসিরে আইয়্যাশী; তাহকিক ও তাছহিহ-হাশেম রাসুলী মাহাল্লাতী, তেহরান, মাকতাবাতু ইলমিয়্যাতি ইসলামিয়্যাহ, ১৩৬৩ (সৌরবর্ষ)।
- ফখরুদ্দিন রাযী, মুহাম্মাদ বিন উমার, তাফসিরে কাবির, বৈরুত, দারু ইহয়াইত তুরাসিল আরবি, তৃতীয় প্রকাশ, ১৪২০ হি.।
- কুন্দুযী, সুলাইমান বিন ইবরাহিম, ইয়ানাবিউল মাওয়াদ্দাহ, কোম, উসওয়াহ, ১৪২২ হি.।
- মুযাফাফার, মুহাম্মাদ হাসান, দালাইলুস সিদ্ক্ব, তেহরান, মাকতাবাতুয যুজাজ...
- মাকামে শিরাজী, নাসের, আয়াতে ভেলায়াত দার কুরআন, কোম, ইন্তেশারাতে নাসলে জাওয়ান, ১৩৮৬ (সৌরবর্ষ)।
- মাকামে শিরাজী, নাসের, তাফসিরে নেমুনেহ, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়্যাহ, দশম প্রকাশ, ১৩৭১ (সৌরবর্ষ)।