কাবায় ইমাম আলীর জন্ম

wikishia থেকে

কাবায় ইমাম আলীর জন্ম (وَلِيدُ الکَعبَة); নিবন্ধটি তাঁর কাবা গৃহে জন্মগ্রহণ সংশ্লিষ্ট এবং ঘটনাটি তাঁর অনন্য ফজিলতগুলোর অন্যতম। আহলে সুন্নতের অন্তত ১৬টি এবং শিয়াদের ৫০টি সূত্রে ইমাম আলীর (আ.) কাবা অভ্যন্তরে জন্মের ঘটনাটি উল্লেখ করেছে। অবশ্য ঘটনার খুঁটিনাটি বিষয়াদিতে মতভেদ রয়েছে। ইমাম আলীর (আ.) কাবা অভ্যন্তরে জন্মগ্রহণ প্রসঙ্গে বিভিন্ন স্বতন্ত্র গ্রন্থও রচিত হয়েছে; যেমন মির্জা মুহাম্মাদ আলী ওর্দুবাদী (১৩১২-১৩৮০ হি.) রচিত ‘আলী ওয়ালিদুল কাবা’; গ্রন্থটি ফার্সি ভাষায় ‘ইয়েগানে মৌলুদে কাবা’ শিরোনামে অনূদিত হয়েছে।

আহলে সুন্নতের কিছু কিছু সূত্রে ইমাম আলীর (আ.) ফজিলতকে অস্বীকার করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন রেওয়ায়েত জাল করা হয়েছে, যেগুলোতে এ ফজিলতটি অপর ব্যক্তিদের সাথেও সম্পৃক্ত করা হয়েছে।

ইসলামি সূত্রে

(وَلِيدُ الکعبة) বা (مولودِ کعبة) বলতে শিয়াদের প্রথম ইমাম আলীর (আ.) কাবা অভ্যন্তরে জন্মের ঘটনাটি বোঝানো হয়েছে।[১] আল্লামা আমিনী, হযরত আলীর (আ.) কাবা অভ্যন্তরে জন্মের ঘটনাটি আহলে সুন্নতের ১৬টি এবং শিয়াদের ৫০টি সূত্র থেকে বর্ণনা করেছেন।[২] এছাড়া তিনি হিজরী দ্বিতীয় থেকে চতুর্দশ শতাব্দি পর্যন্ত ৪১ জন কবির নাম উল্লেখ করেছেন; যারা নিজেদের কবিতায় ইমাম আলীর (আ.) কাবাগৃহে জন্মের ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।[৩]

শরহে ইহকাকুল হাক্ব গ্রন্থে বলা হয়েছে, কাবা ঘরে ইমাম আলীর জন্ম আহলে সুন্নতের ১৭টি সূত্র থেকে বর্ণিত হয়েছে।[৪] সিবতে ইবনে জাওযি,[৫] ইবনে সাব্বাগ মালেকি[৬] এবং আলী ইবনে বুরহানুদ্দীন হালাবি[৭] প্রমুখ সুন্নি আলেম যারা ইমাম আলীর কাবায় জন্মগ্রহণের বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেছেন। মুস্তাদরাক আলাস সাহিহাইন[৮]কিফায়াতুত তালিব[৯] গ্রন্থে ইমাম আলীর কাবাগৃহে জন্মের ঘটনাটি তাওয়াতুর পর্যায়ে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঘটনা

কাবায় ইমাম আলীর ভূমিষ্ট হওয়ার ঘটনাটি ৩ ভাবে বর্ণিত হয়েছে;

  • মানাকিবে ইবনে মাগযেলী’ (মৃত্যু ৪৮৩ হি.) গ্রন্থে ইমাম সাজ্জাদ (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, আবু তালিবকে উদ্বিগ্ন দেখে মহানবি (স.) কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তার স্ত্রী ফাতেমা বিনতে আসাদের প্রসব বেদনা শুরু হয়েছে। অতঃপর তারা উভয়ে মহানবির (স.) সাথে কাবায় এলেন। আবু তালিব ফাতেমা বিনতে আসাদকে কাবায় বসালেন এবং আলী ভূমিষ্ট হওয়ার পর মহানবি (স.) তাকে বাড়িতে নিয়ে যান।[১০]
  • শেইখ সাদুক তার হাদীস গ্রন্থসমূহ ‘ইলালুশ শারায়ে,[১১] মায়ানিল আখবার[১২]আমালী’তে[১৩] এবং তারপর অন্যান্য মুহাদ্দিসরাও[১৪] ইয়াযিদ ইবনে কা’নাব থেকে বর্ণনা করেছেন যে, ফাতেমা বিনতে আসাদ কাবার পাশেই ছিলেন এমন সময় তার প্রসব বেদনা শুরু হল। তিনি সন্তান প্রসবের বিষয়টি সহজ করে দেওয়ার জন্য মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইলেন। এমন সময় কাবার দেয়াল ফেটে গেল এবং ফাতেমা বিনতে আসাদ কাবার ভেতরে প্রবেশ করলেন। অতঃপর দেয়াল পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেল। তিনি ইয়াযিদ ইবনে কা’নাব থেকে আরও বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেন: আমরা বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেও কাবার দরজা খুলতে না পেরে বুঝলাম, বিষয়টি মহান আল্লাহর ইচ্ছায় ঘটেছে। ফাতেমা বিনতে আসাদ ৪ দিন পর আলীকে কোলে নিয়ে কাবা থেকে বেরিয়ে আসেন।
  • হাসান ইবনে আলী তাবারি (৭১০ হিজরীতে জীবিত ছিলেন) তার ‘তুহাফুল আবরার’ গ্রন্থে লিখেছেন, হযরত আলীর মা ফাতেমা বিনতে আসাদের কাবাগৃহ তাওয়াফ করা অবস্থায় প্রসব বেদনা শুরু হয় এবং বাড়ী পর্যন্ত যাওয়ার শক্তিও তার ছিল না, এ কারণে তিনি কাবার দিকে এগিয়ে গেলেন, এমন সময় কাবার দরজা খুলে গেল এবং তিনি কাবার ভেতর প্রবেশ করলেন। অতঃপর দরজা বন্ধ হয়ে গেল এবং তিনি কাবার ভেতর তার সন্তানকে জন্ম দিলেন। তিনি ৩ দিন কাবার ভেতর ছিলেন।[১৫]

বিহারুল আনওয়ারে উল্লেখিত একটি রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে, ইমাম আলীকে (আ.) জন্মদানের জন্য কাবার ভেতর প্রবেশের ঘটনাকে ফাতেমা বিনতে আসাদ হযরত মারিয়ামআসিয়া’র উপর নিজের শ্রেষ্ঠত্বের স্বপক্ষে দলীল হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।[১৬]

হাকিম ইবনে হিযামের ঘটনা

কাবা অভ্যন্তরে ইমাম আলীর (আ.) ভূমিষ্ট হওয়ার ঘটনাটিকে শেইখ মুফিদ তাঁর (আ.) অনন্য ফজিলত হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ইতিপূর্বে কারও ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটেনি এবং ভবিষ্যতেও ঘটবে না।[১৭] এতদসত্ত্বেও আহলে সুন্নতের কিছু কিছু সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, মহানবির (স.) সাহাবি হাকিম ইবনে হিযামও [নোট ১] কাবার অভ্যন্তরে জন্মগ্রহণ করেছেন।[১৮] অবশ্য অনেকের বিশ্বাস এই বর্ণনাটি হযরত আলীর (আ.) ফজিলতটি অস্বীকার করার লক্ষ্যে জাল করা হয়েছে। বনু যুবাইর (মহানবির (স.) সাহাবি) কর্তৃক আত্মীয়তা জনিত ঘনিষ্টতার কারণে বর্ণনাটি জাল করেছে বলে বলা হয়; কারণ হাকিম ইবনে হিযাম ইবনে খুওয়াইলাদ ইবনে আসাদ ইবনে আব্দুল উজ্জা’র বংশধারা এবং যুবাইরের বংশধারা আসাদ ইবনে আব্দুল উজ্জা’তে যেয়ে পরস্পরের সাথে মিলে যায়।[১৯]

আলোচ্য রেওয়াতটিতে বেশ কিছু ত্রুটির পরিলক্ষিত:

  1. মুসআব ইবনে উসমান একজন মাজহুল (অজ্ঞাত) রাভি এবং রিজাল গ্রন্থসমূহে তার নাম উল্লেখিত হয়নি।
  2. রেওয়ায়েতটি মুরসাল; কেননা এ ঘটনার বর্ণনাকারী মুসআব ইবনে উসমানের জন্ম ঘটনার বহু বছর পর। অতএব, কোন মাধ্যম ছাড়া এ ঘটনা তিনি বর্ণনা করতে পারেন না।[২০]

সাহিত্য ও কবিতায় ঘটনার বর্ণনা

শিয়া ও সুন্নি কবি সাহিত্যিকদের কবিতা ও লেখনীতে কাবাতে ইমাম আলীর ভূমিষ্ট হওয়ার ঘটনাটি উল্লেখিত হয়েছে। সাইয়্যেদ হিমইয়ারি (মৃত্যু ১৭৯ হি.), (ولدته فی حرم الاله و امنه والبیت حیث فناؤه و المسجد) তাঁর মা তাঁকে আল্লাহর হেরেম শরিফ এবং আল্লাহর নিরাপদ গৃহে জন্ম দিয়েছে যে, ওটা তার চৌকাঠ ও সিজদার স্থান’ -এই বাক্যের মাধ্যমে হযরত আলীর কাবায় জন্মের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।[২১] ইবনে আবিল হাদিদ মু’তাযেলি (মৃত্যু ৬৫৬ হি.) এ ঘটনা উল্লেখ করতে গিয়ে লিখেছেন: (هوالذی بیت الله مولده/ فطهر البیت من ارجاس و اوثان) তিনি সেই সুউচ্চ ব্যক্তিত্বের অধিকারী যার জন্মস্থান (আঁতুড় ঘর) ছিল কাবা, আর তিনিই আল্লাহর গৃহকে মূর্তিগুলোর কলুষতা ও অপবিত্রতা থেকে পবিত্র করেছেন।[২২]

ঘটনার রহস্য বর্ণনায় আল্লামা তেহরানির মন্তব্য

হিজরী চতুর্দশ শতাব্দির বিশিষ্ট শিয়া আলেম সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হুসাইন হুসাইনি তেহরানি বলেছেন, কাবা অভ্যন্তরে ইমাম আলীর (আ.) জন্মের অন্যতম রহস্য এমন হতে পারে যে, মহান আল্লাহ্ বলছেন: হে কাবা, আমি অতি শীঘ্রই এ নবজাতকের মাধ্যমে তোমার অভ্যন্তর থেকে মূর্তিগুলোর অপবিত্রতা, আনসাব (মূর্তী ও পূজার বেদী) ও আযলাম (ভাগ্য নির্ধারক তীর) থেকে পবিত্র করবো।[২৩]

স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচনা

  • হযরত আলীর (আ.) কাবায় জন্মগ্রহণের বিষয়ে স্বতন্ত্র বিভিন্ন গ্রন্থ রচিত হয়েছে: মুহাম্মাদ আলী ওর্দুবাদী প্রণীত ‘আলী ওয়ালিদুল কাবা’; গ্রন্থটি স্বতন্ত্রভাবেও প্রকাশিত হয়েছে আবার ‘মাওসুআতুল আল্লামা ওর্দুবাদী’র রচনা সংকলনেও প্রকাশিত হয়েছে। গ্রন্থটি ‘ইয়েগানেহ মৌলুদে কাবা’ শিরোনামে ফার্সিতেও অনুবাদ হয়েছে।
  • সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ রেযা হুসাইনি জালালি রচিত ‘ওয়ালিদুল কাবা’; গ্রন্থটিতে কাবায় হযরত আলীর (আ.) জন্মের বিষয়ে কয়েকটি রিসালাহ (সন্দর্ভ) ও প্রবন্ধ সমন্বিত হয়েছে এবং ১৩৮৩ ফার্সি সনে প্রকাশিত হয়েছে।
  • সাইয়্যেদ নাবিল হাসানির লেখা ‘আল-মৌলুদু ফী বাইতিল্লাহিল হারাম আলী ইবনি আবি তালিব আম হাকিম ইবনে হিযাম’; গ্রন্থটিতে লেখক এ বিষয় প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে, কাবায় জন্মগ্রহণ ইমাম আলীর (আ.) অনন্য ফজিলত এবং ইমাম আলীর (আ.) সাথে শত্রুতার কারণে যুবাইর ইবনে বাক্কর ও তার চাচা মুসআব ইবনে আব্দুল্লাহ, হাকিম ইবনে হিযামের জন্য এ ফজিলত জাল করেছে।[২৪]

তথ্যসূত্র

  1. মাসউদি, মুরুজুয যাহাব, ১৪০৯ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩৪৯; মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৪ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫।
  2. আমিনী, আল-গাদীর, ১৪১৬ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ৩৭-৪৩।
  3. আমিনী, আল-গাদীর, ১৪১৬ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ৪৪-৫১।
  4. মারআশী নাজাফী, শারহু ইহকাকিল হাক্ক, মাকতাবাতু আয়াতুল্লাহ মারআশী, খণ্ড ৭, পৃ. ৪৮৬-৪৯১।
  5. সিবতে ইবনে জাওযি, তাযকিরাতুল খাওয়াছ, ১৪০১ হি., পৃ. ২০।
  6. ইবনে সাব্বাগ, আল-ফুসুলুল মুহিম্মাহ, ১৪২২ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৭১।
  7. হালাবি, আস-সিরাতুল হালাবিয়াহ, ১৪০০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২২৬।
  8. হাকিম নিশাবুরী, আল-মুস্তাদরাক আলাস-সাহিহাইন, ১৪২২ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৪৮৩।
  9. গাঞ্জি শাফেয়ী, কিফায়াতুত তালিব, ১৪০৪ হি., পৃ. ৭০৭।
  10. ইবনে মাগাযেলী, মানাকেবুল ইমাম আলী ইবনে আবি তালিব, ১৪২৪ হি., পৃ. ৫৮-৫৯; ইবিনে হাতিম শামি, আদ-দুররুন নাযীম, ১৪২০ হি., পৃ. ২২৫।
  11. শেইখ সাদুক, ইলালুশ শারায়ে, ১৩৮৫ ফার্সী সন, খণ্ড ১, পৃ. ১৩৫।
  12. শইখ সাদুক, মায়ানিল আখবার, ১৪০৩ হি., পৃ. ৬২।
  13. শেইখ সাদুক, আল-আমালী, ১৩৭৬ ফার্সি সন, পৃ. ১৩২।
  14. মুহাম্মাদি রেই শাহরি, দানেশনামেয়ে আমিরুল মু’মিনীন আলাইহিস সালাম বার প-য়েয়ে কুরআন, হাদীস ওয়া তারিখ, ১৩৮৯ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ৭৮।
  15. তাবারি, তোহফাতুল আবরার, ১৩৭৬ হি., পৃ. ১৬৪-১৬৫।
  16. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৩৫, পৃ. ৯।
  17. মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৪ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫।
  18. কারাশি আসাদি, জামহারাতু নাসাবি কুরাইশ ওয়া আখবারিহা, ১৩৮১ হি., পৃ. ৩৫৩।
  19. শুশতারি, কামুসুর-রিজাল, ১৪১০ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৩৮৭; মুর্তাযা আমেলী, আস-সাহীহ মিন সীরাতিন নাবী, ১৪২৬ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১৬০।
  20. শুশতারি, কামুসুর-রিজাল, ১৪১০ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৩৮৭; মুর্তাযা আমেলী, আস-সাহীহ মিন সীরাতিন নাবী, ১৪২৬ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১৬০।
  21. ইবনে শাহরে আশুব, মানাকেবে আলে আবি তালিব, তাবাউল মাকতাবাতুল হাইদারিয়াহ, খণ্ড ২, পৃ. ২৪।
  22. ইবনে আবিল হাদীদ, শারহে নাহযুল বালাগাহ।
  23. হুসাইনি তেহরানি, ইমাম শেনাসী, ১৪২৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১১৭; মাকামে আমিরুল মু'মিনীন ওয়া কেইফিয়্যাতে বেলাদাতে অন হযরত দার খনেয়ে ববগাহে মাকতাবে ওহী।
  24. হাসানি, আল-মৌলুদু ফী বাইতিল্লাহিল হারাম আলী ইবনি আবি তালিব আম হাকিম ইবনে হিযাম, ১৪৩৩ হি., পৃ. ৯৯-১০৪।

গ্রন্থপঞ্জি

  • ইবনে সাব্বাগ মালেকি, আলী ইবনে মুহাম্মাদ, আল-ফুসুলুল মুহিম্মাহ ফী মা’রিফাতিল আইম্মাহ, কোম, দারুল হাদীস, ১৪২২ হি.।
  • ইবনে মাগাযেলী, আলী ইবনে মুহাম্মাদ, মানাকিবুল ইমাম আলী ইবনে আবি তালিব, বৈরুত, দারুল আদ্বওয়া, ১৪২৪ হি.।
  • আমিনী, আব্দুল হুসাইন, আল-গাদীর ফীল কিতাবি ওয়াস সুন্নাতি ওয়াল আদাব’, কোম, মারকাযুল গাদীর, ১৪১৬ হি.।
  • হাকিম নিশাবুরী, মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ, আল-মুস্তাদরাক আলাস সাহিহাইন, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪২২ হি.।
  • হাসানি, সাইয়্যেদ নাবিল, ‘আল-মৌলুদু ফী বাইতিল্লাহিল হারাম আলী ইবনি আবি তালিব আম হাকিম ইবনে হিযাম’, আল-আতাবাতুল হুসাইনিয়াহ আল-মুকাদ্দাসাহ, সাংস্কৃতিক বিভাগ, ১৪৩৩/২০১২ খ্রি.।
  • হুসাইনি তেহরানি, মুহাম্মাদ হুসাইন, ইমাম শেনাসী, মাশহাদ, আল্লামা তাবাতাবাঈ, ১৪২৫ হি.।
  • হালাবি, আলী ইবনে বুরহানুদ্দীন, আস-সিরাতুল হালাবিয়াহ ফী সীরাতিল আমিন ওয়াল মা’মুন, বৈরুত, দারুল মা’রেফাহ, ১৪০০ হি.।
  • মুহাম্মাদি রেই শাহরি, মুহাম্মাদ, দানেশনামেয়ে আমিরুল মু’মিনীন আলাইহিস সালাম বার প-য়েয়ে কুরআন, হাদীস ওয়া তারিখ, কোম, মোআসসেসেয়ে ইলমি ফারহাঙ্গিয়ে দারুল হাদীস, ১৩৮৯।
  • সিবতে ইবনে জাওযি, ইউসুফ ইবনে ফারগালি ইবনে আব্দুল্লাহ আল-বাগদাদী, তাযকিরাতুল খাওয়াছ, বৈরুত, মোআসসিসাতু আহলিল বাইত, ১৪০১ হি.।
  • শামি, ইউসুফ ইবনে হাতিম, আদ-দুররুন নাযীম ফী মানাকিবি আইম্মাহ আল-হামীম, কোম জামেয়ে মোদাররেসীন, ১৪২০ হি.।
  • শুশুতারি, মুহাম্মাদ তাকী, কামুসুর রিজাল, কোম, মুআসসিসাতিন নাশরিল ইসলামি, ১৪১০ হি.।
  • শেইখ সাদুক, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, আল-আমালী, তেহরান, কেতাবচি পাবলিকেশন্স ১৩৭৬ ফার্সি সন।
  • শেইখ সাদুক, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, মায়ানিল আখবার, কোম, দাফতারে ইনতিশারাতে ইসলামি, ১৪০৩ হি.।
  • শেইখ সাদুক, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, ইলালুশ শারায়ে, কোম, দাভারি গ্রন্থ বিতান, ১৩৮৫ ফার্সি সন।
  • শেইখ মুফিদ, মুহাম্মাদ ইবনে মুহাম্মাদ, আল-ইরশাদ ফি মা’রিফাতি হুজাজিল্লাহি আলাল ইবাদ, মুআসসিসাতু আহলিল বাইত আলাইহিমুস সালাম, ১৪১৪ হি.।
  • তাবারি, মুহাম্মাদ ইবনে আলী ইবনে রুস্তাম তাবারি, বাশারাতুল মুর্তাযা লি-শিয়াতিল মুর্তাযা, তাহকীক: জাওয়াদ কাইয়ুমি ইসফাহানী, কোম, জামেয়ে মুদাররেসীন সংশ্লিষ্ট মুআসসিসাতুন নাশরিল ইসলামি, ১৪২০ হি.।
  • তাবারি, ইমাদুদ্দীন হাসান ইবনে আলী, তোহফাতুল আবরার, তেহরান, মীরাসে মাকতুব, ১৩৭৬ হি.।
  • কারাশি আসাদি মাক্কি, যুবাইর ইবনে বাক্কার, জামহারাতু নাসাবি কুরাইশ ওয়া আখবারিহা, তাহকীক: মাহমুদ মুহাম্মাদ আশ-শাকের, মাতবায়াতুল মাদানি, ১৩৮১ হি.।
  • গাঞ্জি শাফেয়ী, মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ, কিফায়াতুত তালিব ফী মানাকিবি আলী ইবনে আবি তালিব, তেহরান, দারু ইহিয়াইত তুরাসি আহলিল বাইত (আ.), ১৪০৪ হি.।
  • মুর্তাযা আমেলী, সাইয়্যেদ জাফার, আস-সাহীহ মিন সীরাতিন নাবীয়্যিল আ’যাম (স.), কোম, দারুল হাদীস, ১৪২৬ হি.।
  • মারআশী নাজাফী, সাইয়্যেদ শাহাবুদ্দীন, শারহু ইহকাকিল হাক, কোম, আয়াতুল্লাহ মারআশি নাজাফি’র কার্যালয়।
  • মাসউদি, আলী ইবনে হুসাইন, মুরুজুয যাহাব ওয়া মাআদিনুল জওহার, তাহকীক: আসাদ দাগের, কোম, দারুল হিজরাহ প্রকাশনী, ১৪০৯ হি.।