ইমাম আলী নাকী আলাইহিস সালাম

wikishia থেকে
ইমাম আলী নাকী
বারো ইমামি শিয়াদের ১০ম ইমাম
ইমাম আলী ইবনে মুহাম্মাদ নাকী (আ) এর পবিত্র মাজার
ইমাম আলী ইবনে মুহাম্মাদ নাকী (আ) এর পবিত্র মাজার
নামআলী ইবনে মুহাম্মাদ (আ)
উপনামআবুল হাসান সালেস
জন্ম তারিখ১৫ই জিলহজ্জ, ২১২ হি,
জন্মস্থানসারইয়া • মদিনা
ইমামতকাল৩৪ বছর (২২০-২৫৪)
শাহাদাত৩রা রজব, ২৫৪ হি,
দাফনের স্থানসামাররাইরাক
বসবাসের স্থানমদিনা • সামাররা
উপাধিসমূহহাদী, নাকী
পিতাইমাম মুহাম্মাদ তাকী (আ)
মাতাসামানা মাগরিবিয়্যাহ
স্ত্রীগণহুদাইস
সন্তানহাসানমুহাম্মাদ • হোসাইন • জাফর
জীবনকাল৪২ বছর
শিয়া ইমামগণ
ইমাম আলী • ইমাম হাসান মুজতাবাইমাম হুসাইন • ইমাম সাজ্জাদ • ইমাম বাকের • ইমাম জাফার সাদিকইমাম কাযেমইমাম রেযাইমাম জাওয়াদইমাম হাদীইমাম হাসান আসকারি • ইমাম মাহদী


ইমাম আলী ইবনে মুহাম্মাদ ( আরবি: الإمام علي بن محمد ); ওরফে ইমাম হাদী বা ইমাম আলী নাকী (আ.) (২১২-২৫৪ হি.), শিয়াদের ১০ম ইমাম ও ইমাম জাওয়াদ (আ.)-এর সন্তান। তিনি ২২০ হিজরি থেকে ২৫৪ হিজরি নাগাদ ইমামতের মহান দায়িত্ব পালন করেন। ইমাম আলী নাকী (আ.)-এর ইমামতকাল মুতাওয়াক্কিলসহ কয়েকজন আব্বাসি খলিফার খেলাফতকালের সামসময়িক। তিনি তার ইমামতকালীন বেশীরভাগ সময় সামেরাতে আব্বাসি হুকুমতের নজরবন্দী ছিলেন।

ইমাম আলী নাকী (আ.) থেকে আকিদা (বিশ্বাস), তাফসীর, ফিকাহআখলাক (নৈতিকতা) বিষয়ে বিভিন্ন হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এর কিছু অংশে কালাম শাস্ত্র বিষয়ক তাশবীহ, তানযীহ, জাবরএখতেয়ার ইত্যাদি বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। যিয়ারতে জামেয়া কাবিরাহযিয়ারতে গাদীরিয়া’র মত প্রসিদ্ধ যিয়ারত মহান এ ইমাম থেকেই বর্ণিত হয়েছে।

আব্বাসি খলিফারা ইমাম আলী নাকী (আ.)-কে নজরবন্দী করে রেখে শিয়াদের সাথে তার যোগাযোগের পথ রোধ করতো। এ কারণেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি সাযমানে ভেকালাত (প্রতিনিধি নেটওয়ার্ক)-এর মাধ্যমে -যা তার ওয়াকীল ও প্রতিনিধিদের একটি দল নিয়ে গঠিত ছিল- শিয়াদের সাথে যোগাযোগ রাখতেন। আব্দুল আযিম হাসানি, উসমান ইবনে সাঈদ, আইয়ুব ইবনে নূহহাসান ইবনে রাশিদ প্রমুখ ছিলেন তাঁর সাহাবিদের অন্যতম।

ইরাকের সামেরায় অবস্থিত তাঁর মাযার মুসলমানদের -বিশেষকরে আহলে বাইত (আ.)-এর ভক্তদের যিয়ারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর অন্যতম। ইমাম আলী নাকী (আ.) ও তাঁর সন্তান ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-কে উক্ত স্থানে দাফন করায় তা ‘হারামে আসকারিইয়ান’ (আসকারিইয়াইনের মাযার/হারাম শরিফ) নামে প্রসিদ্ধ। ২০০৬ সালের সন্ত্রাসী হামলায় আসকারিইয়ানের মাযার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়, এছাড়া ২০০৮ সালের বোমা বিস্ফোরণে মাযারের বড় একটি অংশ বিধ্বস্ত হয়। অতঃপর ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল নাগাদ ইরানের মাযার বিষয়ক বিশেষ সংস্থা মাযারটিকে পুনর্নির্মাণ করে।

নাম, বংশ ও উপাধি

আলী ইবনে মুহাম্মাদ, ওরফে ইমাম হাদী ওরফে ইমাম আলী নাকী (আ.); শিয়াদের ১০ম ইমাম। তাঁর পিতা শিয়াদের নবম ইমাম হযরত মুহাম্মাদ তাকী (আ.) এবং তাঁর সম্মানিত মাতার নাম ‘সামানাহ মাগরিবিয়াহ[১] (যিনি ছিলেন এক কানিয)[২] অথবা সুসান[৩]

১০ম ইমামের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ উপাধি হল ‘নাকী’ ও ‘হাদী’।[৪] বলা হয়েছে যে, ‘হাদী’ উপাধিতে তাঁর প্রসিদ্ধ হওয়ার কারণ হলো, তৎকালে জনগণকে কল্যাণের পথে সর্বোত্তম নির্দেশনা দানকারী ব্যক্তি ছিলেন তিনি।[৫] এছাড়া মুর্তাযা (مرتضی), আলিম (عالم), ফাকীহ (فقیه), আমীন (أمین), নাসেহ (ناصح), খালেস (خالص) ও তাইয়্যেব (طَيّب) ইত্যাদি উপাধিও তার জন্য উল্লিখিত হয়েছে।[৬]

শেইখ সাদুক (মৃত্যু ৩৮১ হি.) তার উস্তাদগণ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, ইমাম আলী নাকী (আ.) ও তাঁর পুত্র ইমাম হাসান আসকারী (আ.) ইরাকে অবস্থিত সামেরা অঞ্চলের আসকারী নামক স্থানে বসবাসের কারণ এ দুই ইমামকে আসকারী বলা হতো।[৭] বিশিষ্ট সুন্নি আলেম ইবনে জাওযি (মৃত্যু ৬৫৪ হি.) তার তাযকিরাতুল খাওয়াছ (تذکرة الخواص) গ্রন্থে ইমাম আলী নাকীকে ‘আসকারী’ নামকরণ একই কারণে বলে উল্লেখ করেছেন।[৮]

তাঁর কুনিয়া ‘আবুল হাসান’[৯], হাদিস সূত্রসমূহে তাকে তৃতীয় আবুল হাসান (ابوالحسن الثالث) বলা হয়েছে,[১০] যাতে প্রথম আবুল হাসান (ইমাম কাযিম) ও দ্বিতীয় আবুল হাসান (ইমাম রেযা)-এর সাথে তার নাম ভুল না হয়।[১১]

জীবনী

কুলাইনি,[১২] শেইখ তুসি,[১৩] শেইখ মুফিদ[১৪]ইবনে শাহরে আশুবের মতে[১৫] ইমাম আলী নাকী (আ.) ২১২ হিজরীর ১৫ জিলহজ্ব মদিনার নিকটবর্তী ‘সারইয়া’ নামক এলাকায় ভূমিষ্ট হন। আবার কেউ কেউ বলেছেন একই বছর ২ বা ৫ই রজব,[১৬] গবেষকদের আরেকটি দল ২১৪ হিজরির রজব মাসে এবং অপর একটি দল ২১৫ হিজরি’র জমাদিউস সানী মাসে[১৭] তিনি ভূমিষ্ট হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।

হিজরি চতুর্থ শতাব্দির বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ‘মাসউদি’ বলেন, যে বছর ইমাম মুহাম্মাদ তাকী (আ.) তাঁর স্ত্রী উম্মুল ফাযলের সাথে হজ্ব করেছেন সেই বছর ইমাম আলী নাকী (আ.)-কে মদিনায় নিয়ে আসেন, ঐ সময় তিনি (১০ম ইমাম) শিশু ছিলেন।[১৮] তিনি ২৩৩ হিজরি নাগাদ মদিনায় বসবাস করেন। হিজরি তৃতীয় শতাব্দির বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ইয়াকুবি লিখেছেন ঐ বছর মুতাওয়াক্কিল আব্বাসি ইমাম মুহাম্মাদ আলী নাকী (আ.)-কে সামেরায় ডেকে পাঠায়[১৯] এবং ‘আসকার’ নাম এলাকায় তাঁকে গৃহবন্দী করে রাখে; এরপর থেকে জীবনের শেষাবধি তিনি সেখানেই ছিলেন।[২০]

অপর ইমামগণ (আলাইহিমুস সালাম)-এর তুলনায় ইমাম মুহাম্মাদ তাকী, ইমাম আলী নাকী ও ইমাম হাসান আসকারি (আলাইহিমুস সালাম)-এর জীবনী সম্পর্কে খুব বেশী তথ্য বিদ্যমান নেই। ইতিহাস বিষয়ক গবেষক ও লেখক ‘মুহাম্মাদ হুসাইন রাজাবি দাওয়ানি’ হযরত ইমাম থেকে বর্ণিত হাদিসের সংখ্যা কম হওয়া প্রসঙ্গে ইমামগণের অল্প বয়সে শাহাদাত প্রাপ্তি, তাঁদের গৃহবন্দী অবস্থায় নজরবন্দী থাকা এবং তৎকালে ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থের লেখকদের সুন্নি হওয়াকে দায়ী করেছেন।[২১]

জুনাইদি’র শিয়া হওয়ার ঘটনা

ইসবাতুল ওয়াসিয়া গ্রন্থে উল্লিখিত বর্ণনার ভিত্তিতে, ইমাম মুহাম্মাদ তাকী (আ.)-এর শাহাদাতের পর আব্বাসি সরকারের পক্ষ থেকে ‘আবু আব্দুল্লাহ জুনাইদি’ নামক জনৈক গোঁড়া ও উগ্র ব্যক্তিকে -আহলে বাইতের দুশমন হিসেবে যার পরিচিতি ছিল- ইমাম আলী নাকী (আ.)-এর প্রশিক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয় যাতে সে প্রশিক্ষণের পাশিপাশি হযরত ইমামকে চোখে চোখে রাখতে পারে এবং এর মাধ্যমে শিয়াদের সাথে তাঁর যোগাযোগের পথে বাধা হতে পারে; কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই জুনাইদি ইমামের সমৃদ্ধ জ্ঞান ও ব্যক্তিত্বের প্রভাবে শিয়া হয়ে যায়।[২২]

সন্তান-সন্তুতি

শিয়া সূত্রগুলোতে হযরত ইমাম আলী নাকী (আ.)-এর হাসান, মুহাম্মাদ, হুসাইন ও জাফার নামের ৪ পুত্র সন্তানের কথা উল্লিখিত হয়েছে [২৩] একইভাবে তাঁর একজন কন্যার কথাও উল্লিখিত হয়েছে, শেইখ মুফিদ তার নাম ‘আয়েশাহ’[২৪] এবং ইবনে শাহরে আশুব[২৫] ইল্লিয়্যাহ (عِلِّيّه) বলে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া, দালায়িলুল ইমামাহ গ্রন্থে হযরত ইমামের ‘আয়েশাহ’ ও ‘দাল্লালাহ’ নামক দু’টি কন্যার নাম উল্লিখিত হয়েছে।[২৬] বিশিষ্ট সুন্নি আলেম ইবনে হাজার হাইসামি তার ‘আস-সাওয়ায়েকুল মুহরেকা’ গ্রন্থে ইমাম আলী নাকী (আ.)-এর ৪টি পুত্র ও ১টি কন্যা সন্তানের কথা লিখেছেন।[২৭]

শাহাদাত ও মাযার

শেইখ মুফিদের (মৃত্যু ৪১৩ হি.) বর্ণনার ভিত্তিতে ইমাম আলী নাকী (আ.) ২৫৪ হিজরীর রজব মাসে সামেরাতে দীর্ঘ ২০ বছর ৯ মাস অবস্থানের পর ৪১ বছর বয়সে রেহলাত ফরমান।[২৮] এছাড়া, দালায়েলুল ইমামাহকাশফুল গুম্মাহ গ্রন্থের প্রতিবেদন অনুযায়ী মু’তায আব্বাসি’র হুকুমতকালে (২৫২-২৫৫ হি.) তাঁকে বিষপ্রয়োগ করা হয় এবং ঐ বিষয়প্রয়োগের ঘটনায় তিনি শহীদ হন।[২৯] ইবনে শাহরে আশুবে’র (মৃত্যু ৫৮৮ হি.) মতে, তিনি ‘মু’তামিদ আব্বাসির’ হুকুমতের (২৫৬-২৭৮ হি.) শেষের দিকে শহীদ হয়েছেন এবং ইবনে বাবওয়াইহ থেকে বর্ণিত আছে যে, মু’তমাদি আব্বাসি তাঁকে বিষপ্রয়োগ করেছিল।[৩০]

কিছু কিছু সূত্রে তিনি ৩ রজব[৩১] শহীদ হয়েছেন বলে উল্লিখিত হয়েছে এবং অপর কিছু সূত্রে ২৫ অথবা ২৬ জামাদিউস সানিকে তার শাহাদাতের তারিখ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।[৩২]

হিজরী চতুর্থ শতাব্দির বিশিষ্ট ঐতিহাসিক মাসউদির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, ইমাম হাসান আসকারি (আ.) তাঁর পিতার জানাযায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। হযরত ইমামের দেহ মোবারক ‘মুসা ইবনে বাগা’-এর বাড়ির সামনে রাখা হয় এবং আব্বাসি খলিফা হযরত ইমামের জানাযার নামাযে অংশগ্রহণের পূর্বে ইমাম আসকারি (আ.) তাঁর পিতার জানাযার নামায সম্পন্ন করেন। হযরত ইমামের জানাযায় বিপুল সংখ্যক লোক অংশগ্রহণ করেছিল বলে মাসউদির প্রতিবেদনে উল্লিখিত হয়েছে।[৩৩]

হারামে আসকারিইয়াইন

সামেরায় যে বাড়িতে ইমাম আলী নাকী (আ.) বসবাস করতেন তাঁকে সেখানেই সমাহিত করা হয়।[৩৪] সামেরাতে ইমাম আলী নাকী ও ইমাম হাসান আসকারি (আলাইহিমাস সালাম)-এর দাফনের স্থানটি ‘হারামে আসকারিইয়াইন’ নামে প্রসিদ্ধ। ইমাম আলী নাকীকে তাঁর বাড়িতে দাফন করার পর তাঁর কবর দেখাশুনা করার জন্য ইমাম হাসান আসকারি একজন খাদিম নিয়োগ দেন। ৩২৮ হিজরিতে প্রথমবারের মত ইমামদ্বয়ের মাযারের উপর গম্বুজ নির্মাণ করা হয়।[৩৫] মহান এ দুই ইমামের মাযার শরিফ বিভিন্ন সময় সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হয়েছে।[৩৬] প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আহলে বাইত (আ.)-এর অনুসারীরা ইমাম আলী নাকী ও ইমাম আসকারী (আ.)-এর মাযার যেয়ারত করতে সামেরায় উপস্থিত হয়।

২০০৬ ও ২০০৮ সালের সন্ত্রাসী হামলায় মাযারের বিভিন্ন অংশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।[৩৭] অতঃপর ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল নাগাদ ইরানের মাযার বিষয়ক বিশেষ সংস্থা মাযারটিকে পুনর্নির্মাণ করে। এর মূল যারীহ আয়াতুল্লাহ সিস্তানি’র সহযোগিতায় নির্মিত হয়েছে।[৩৮]

ইমাম আলী নাকী (আ.) বলেছেন:

النّاسُ فِي الدُّنْيا بِالاْمْوالِ وَفِى الاْخِرَةِ بِالاْعْمالِ

‘দুনিয়াতে মানুষের কাজ (ও ব্যস্ততা) ধন-সম্পদের সাথে আর আখেরাতে তাদের আমলের সাথে।’[আতারুদি, মুসনাদুল ইমামিল হাদী, প্রকাশকাল ১৪১০ হি., পৃ. ৩০৪]

ইমামত

ইমাম আলী ইবনে মুহাম্মাদ (ইমাম আলী নাকী) ২২০ হিজরিতে ৮ বছর বয়সে ইমামতের মহান দায়িত্ব প্রাপ্ত হন।[৩৯] ইমামতের দায়িত্বের শুরুতে ইমাম আলী নাকী (আ.)-এর বয়সের স্বল্পতা শিয়াদের মাঝে তাঁর ইমামতের বিষয়ে দ্বিধার জন্ম দেয় নি; কারণ ইমাম মুহাম্মাদ তাকী (আ.)-এর ইমামতও কম বয়সে শুরু হয়েছিল।[৪০] শেইখ মুফিদের ভাষায়, ৯ম ইমামের পর শিয়াদের নগন্য একটি সংখ্যা ব্যতীত সকলেই ইমাম আলী নাকী (আ.)-এর ইমামতকে গ্রহণ করে নেয়।[৪১] ক্ষুদ্র ঐ দলটি মুসা মুবারকা’কে ইমাম মনে করতো। কিছুকাল পরে তারাও ইমাম আলী নাকীর ইমামতকে গ্রহণ করে নেয়।[৪২]

সাঈদ ইবনে আব্দুল্লাহ আশআরির মতে, মুসা মুবারকা’ (موسی مبرقع) ঐ দলটির সাথে সম্পর্কোচ্ছেদ করলে তারা ইমাম আলী নাকী (আ.)-এর ইমামতে প্রত্যাবর্তন করে।[৪৩] শেইখ মুফিদ[৪৪]ইবনে শাহরে আশুব[৪৫]-এর মতে ইমাম আলী নাকীর ইমামতের বিষয়ে শিয়াদের ঐকমত্য ছিল, আর হযরত ইমাম আলী নাকী (আ.) ব্যতীত অন্য কারো পক্ষ থেকে ইমামতের দাবি উত্থাপিত না হওয়ার কারণে এমনটি ঘটেছিল বলে তারা মনে করেন।[৪৬] মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব কুলাইনি ও শেইখ মুফিদ হযরত ইমামের ইমামতের সপক্ষে দলিল-প্রমাণগুলোকে নিজেদের গ্রন্থসমূহে লিপিবদ্ধ করেছেন।[৪৭]

ইবনে শাহরে আশুবের ভাষ্যানুযায়ী, পূর্ববর্তী ইমামগণের স্পষ্ট বয়ানের (নস্) মাধ্যমে শিয়ারা ইমাম আলী নাকী (আ.)-এর ইমামতের বিষয়ে অবগত হয়; যে সকল নস্ ইসমাঈল ইবনে মেহরান ও আবু জাফার আশআরির মত রাভি মারফত বর্ণিত হয়েছে।[৪৮]

ইমাম আলী নাকী (আ.):

‘পাপাসক্ত ও নষ্ট হয়ে যাওয়া প্রকৃতির (স্বভাব) উপর প্রজ্ঞা প্রভাব ফেলে না।’ (আতারুদি, মুসনাদুল ইমামিল হাদী, প্রকাশকাল ১৪১০ হি., পৃ. ৩০৪)

সামসময়িক খলিফাগণ

ইমাম আলী নাকী (আ.) প্রায় ৩৩ বছর (২২০-২৫৪ হি.) ইমামতের মহান দায়িত্ব পালন করেন।[৪৯] এ সময় কয়েকজন আব্বাসি খলিফার হুকুমত ছিল। তাঁর ইমামতের শুরুর সময়টা ছিল মু’তাসিম আব্বাসির সামসময়িক এবং শেষ ছিল মু’তায আব্বাসির সময়কালে।[৫০] অবশ্য ইবনে শাহরে আশুবের মতে ইমাম আলী নাকী (আ.)-এর শাহাদাত মু’তামিদ আব্বাসির সামসময়িক।[৫১]

শিয়াদের ১০ম ইমামের ইমামতকালীন সময়ের ৭ বছর ছিল মু’তাসিম আব্বাসির সামসময়িক।[৫২]তারিখে সিয়াসিয়ে গাইবাতে ইমামে দাওয়াযদাহোম (আজ্জালাল্লাহু তায়ালা ফারাজাহুশ শারিফ)’ গ্রন্থের লেখক জাসেম হুসাইনের ভাষায়, ইমাম মুহাম্মাদ তাকী (আ.)-এর যুগের তুলনায় ইমাম আলী নাকী (আ.)-এর যুগে শিয়াদের বিরুদ্ধে মু’তাসিম আব্বাসির কঠোরতা কিছুটা শিথিল ছিল এবং আলাভিদের সাথে তার আচরণ সহযোগিতাপূর্ণ ছিল। মু’তাসিমের আচরণে এমন পরিবর্তনের কারণে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটে এবং আলাভিদের পক্ষ থেকে সরকার বিরোধী সংগ্রাম কমে আসে।[৫৩] এছাড়া হযরত ইমামের ইমামতকালের প্রায় ৫ বছর ওয়াসিক (واثق) আব্বাসি, ১৪ বছর মুতাওয়াক্কিল আব্বাসি, ৬ মাস মুস্তানসার আব্বাসি, ২ বছর ৯ মাস মুস্তাঈন আব্বাসি এবং ৮ বছরের বেশী সময় মু’তায আব্বাসির হুকুমতাকালীন সময়ের সামসময়িক ছিল।[৫৪]

সামেরাতে তলব

২৩৩ হিজরিতে মুতাওয়াক্কিল আব্বাসি ইমাম আলী নাকী (আ.)-কে মদিনা থেকে সামেরা যেতে বাধ্য করে।[৫৫] অবশ্য শেইখ মুফিদের মতে ঘটনাটি ২৪৩ হিজরির;[৫৬] কিন্তু রাসূল জাফারিয়ানের মতে এ তারিখ সঠিক নয়।[৫৭] বলা হয়েছে, মদিনায় আব্বাসি সরকারের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ[৫৮] এবং মক্কা ও মদিনায় আব্বাসি প্রশাসন কর্তৃক নিয়োগকৃত জুমআর খতিববুরাইহা আব্বাসি’ কর্তৃক ইমাম আলী নাকী (আ.) সম্পর্কে তৎকালীন শাসক মুতাওয়াক্কিল আব্বাসির নিকট নিন্দা-মন্দ ও গীবতের কারণে মুতাওয়াক্কিল এ পদক্ষেপ নিয়েছিল।[৫৯] এছাড়া, আরেকটি প্রতিবেদনে ১০ম ইমামের প্রতি জনসাধারণের বিশেষ আগ্রহের কারণে ঐ পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছিল বলে উল্লিখিত হয়েছে।[৬০]

মাসউদির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, বুরাইহা এক চিঠিতে মুতাওয়াক্কিলকে বলে: ‘যদি মক্কা ও মদিনাকে (বাঁচাতে) চান তাহলে আলী ইবনে মুহাম্মাদ (ইমাম আলী নাকী)-কে এখান (মদিনা) থেকে বহিষ্কার করুন; কেননা তিনি জনগণকে নিজের দিকে আহবান জানাচ্ছেন এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোককে নিজের পাশে জড়ো করেছেন।’[৬১] এ কারণে হযরত ইমামকে মদিনা থেকে সামেরাতে স্থানান্তরে দায়িত্ব ইয়াহিয়া ইবনে হারসামাকে (یحیی بن هرثمه) প্রদান করা হয়। ইমাম আলী নাকী (আ.) এক চিঠিতে তাঁর বিরুদ্ধে উত্থাপিত বিষয়গুলো ও যে সকল বিষয়ে তাঁর নিন্দা ও বিরোধিতা করা হয়েছিল সেগুলোকে প্রত্যাখ্যান করেন;[৬২] কিন্তু মুতাওয়াক্কিল হযরত ইমামের জবাবে সম্মানের সাথে তাঁকে সামেরার উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার অনুরোধ করে।[৬৩] মুতাওয়াক্কিলের চিঠিটি শেইখ মুফিদশেইখ কুলাইনির গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে।[৬৪]

রাসূল জাফারিয়ানের মতে, ইমাম আলী নাকী (আ.)-কে স্থানান্তরের বিষয়ে পাঠানো চিঠিটি এমনভাবে লেখা হয়েছিল যেন জনগণ উত্তেজিত না হয় এবং ইমামকে এ সফরে বাধ্য করার বিষয়টি যেন উল্টো প্রতিক্রিয়ার জন্ম না দেয়।[৬৫] কিন্তু সুন্নি আলেম সিবতে ইবনে জাওযি, ইয়াহিয়া ইবনে হারাসামা থেকে যা কিছু বর্ণনা করেছে তার ভিত্তিতে, মদিনার জনগণ খলিফার এহেন পদক্ষেপে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হয় এবং মদিনায় চরম বিশৃঙ্খল দেখা দেয়। মুতাওয়াক্কিলের এ পদক্ষেপে তারা এতটাই অসন্তুষ্ট হয়েছিল যে, তারা উচ্চৈস্বরে ক্রন্দন শুরু করে এবং ঐদিন পর্যন্ত মদিনায় কখনো এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় নি।[৬৬] মদিনা থেকে সামেরার পথে হযরত ইমাম কাযেমাইনে প্রবেশ করেন এবং সেখানেও বিপুল সংখ্যক জনতা তাকে স্বাগত জানায়।[৬৭] কাযেমাইনে তিনি ‘খুযাইমাহ ইবনে হাযিমে’র বাড়িতে যান এবং সেখান থেকে তাঁকে সামেরার উদ্দেশে রওয়ানা করা হয়।[৬৮]

শেইখ মুফিদের ভাষ্যানুযায়ী, ইমাম আলী নাকী (আ.) বাহ্যিকভাবে মুতাওয়াক্কিলের সম্মানের পাত্র ছিলেন; কিন্তু মূলতঃ মুতাওয়াক্কিল হযরত ইমামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল।[৬৯] তাবারসি’র প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, মুতাওয়াক্কিলের মূল উদ্দেশ্য ছিল জনগণের মাঝে হযরত ইমামের বিশেষ মহত্ব, ব্যক্তিত্ব ও গাম্ভির্যে হ্রাস ঘটানো।[৭০] শেইখ মুফিদের ভাষায়, সামেরাতে প্রবেশের পর প্রথম দিন মুতাওয়াক্কিল হযরত ইমামকে ‘খানে সাআলীক’-এ (যেখানে ভিখারী ও দুস্থ ব্যক্তিরা জড়ো হতো) রাখে। পরবর্তী দিন তাঁর জন্য নির্ধারিত বাড়িতে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়।[৭১] সালেহ ইবনে সাঈদের মতে, হযরত ইমামকে হেয় করার উদ্দেশ্যে ঐ পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছিল।[৭২]

ইমাম আলী নাকী (আ.) যতদিন সামেরাতে ছিলেন তাঁর উপর আব্বাসি শাসকদের কড়া নজরদারী ছিল এবং তাঁর সাথে তারা কঠোর আচরণ করতো; যেমন, তাঁর বসবাসের স্থানে একটি কবর খোঁড়া হয়েছিল, পূর্ব অবগতি ছাড়াই যখন তখন তাঁকে খলিফার প্রাসাদে তলব করা হতো এমনকি রাতের বেলায়ও এবং শিয়াদের সাথে তাঁর যোগাযোগর পথে বাধা দিত।[৭৩] কিছু কিছু গ্রন্থকার মুতাওয়াক্কিলের এমন কঠোর আচরণের কারণ হিসেবে নিম্নের বিষয়গুলোকে উল্লেখ করেছেন:

কালাম শাস্ত্রের দিক থেকে মুতাওয়াক্কিল ছিল আহলে হাদিস ফির্কা’র প্রতি বিশেষ আগ্রহী; যা ছিল মু’তাযেলিশিয়া আকিদা পরিপন্থী। আহলে হাদিস মুতাওয়াক্কিলকে শিয়াদের বিরুদ্ধে উস্কানী দিত।

মুতাওয়াক্কিল নিজের সামাজিক অবস্থানের বিষয়ে উদ্বিগ্ন থাকার পাশাপাশি শিয়াদের সাথে তাঁদের ইমামের যোগাযোগের ব্যাপারে সন্ত্রস্ত ছিল; তাই ইমাম ও শিয়াদের মধ্যকার যোগাযোগ বিছিন্ন করার লক্ষ্যে সে চেষ্টার ত্রুটি করে নি।[৭৪] এরই ধারাবাহিকতায় মুতাওয়াক্কিল ইমাম হুসাইন (আ.)-এর মাযারকে ভেঙ্গে ফেলে। এছাড়া ইমাম হুসাইন (আ.)-এর যিয়ারতকারীদের সাথে তার আচরণ ছিল অত্যন্ত  কঠোরতাপূর্ণ।[৭৫]

মুতাওয়াক্কিলের পর তার পুত্র মুস্তানসির ক্ষমতায় বসে। এ সময় ইমাম আলী নাকী (আ.)সহ ইমাম আলী (আ.)-এর বংশধরদের উপর সরকারের চাপ তুলনামূলক কম ছিল।[৭৬]

গূলুকারীদের সাথে আচরণ

ইমাম আলী নাকী (আ.)-এর ইমামতকালে গূলুকারীদের (غلات) তৎপরতার প্রতিবেদন রয়েছে। তারা নিজেদেরকে ইমাম আলী নাকী’র সাহাবি ও ঘনিষ্টজন বলে পরিচয় দিত এবং বিভিন্ন বিষয়কে ইমাম আলী নাকীসহ শিয়াদের ইমামগণ (আলাইহিমুস সালাম)-এর সাথে সম্পৃক্ত করতো। ইমাম আলী নাকী (আ.)-এর উদ্দেশে আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে মুসা আশআরি’র লেখা পত্রের বিষয়বস্তু পড়লে অন্তরগুলো কেঁপে উঠতো। যেহেতু বিষয়গুলো ইমামগণ (আ.)-এর সাথে সম্পৃক্ত করা হতো এ জন্য সেগুলোকে অস্বীকার বা প্রত্যাখ্যান করার সাহস দেখানোও কষ্টকর ছিল। তারা ওয়াজিবহারাম কর্মগুলোকে তা’ভিল (কোন বিষয়কে অন্য অর্থে ব্যাখ্যা করা) করতো। উদাহরণ স্বরূপ,  وَأَقِيمُواْ الصَّلاَةَ وَآتُواْ الزَّكَاةَ (নামায কায়েম করো এবং যাকাত প্রদান করো)[৭৭]-‘এ আয়াতে তাদের ভাষ্য হলো, সালাত ও যাকাত বলতে এখানে বিশেষ ব্যক্তিদেরকে বোঝানো হয়েছে, নামায কায়েম করা ও সম্পদের যাকাত প্রদান করা অর্থে নয়’।

ইমাম আলী নাকী (আ.) আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদের চিঠির জবাবে লিখেন এ ধরণের তা’ভিল ও ব্যাখ্যা আমাদের দ্বীনে নেই। তাদের থেকে বেঁচে চলো।[৭৮] ফাতহ ইবনে ইয়াযিদ জোরজানি এ আকিদ পোষণ করতো যে, পানাহার করার বিষয়টি ইমামতের মাকামের সাথে সামঞ্জস্যশীল নয় এবং ইমামগণ (আ.) পানাহারের প্রয়োজন রাখেন না। ইমাম আলী নাকী (আ.) তার উত্তরে নবিগণ (আলাইহিমুস সালাম) কর্তৃক পানাহার করা ও বাজারে তাঁদের পদচারণার বিষয়টিকে প্রমাণ হিসেবে এনে বলেন: ‘প্রত্যেক শরীরই এমন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী (পানাহারের প্রয়োজনীয়তা রাখে) একমাত্র ঐ আল্লাহ ব্যতীত (যার কোন শরীর নেই এবং) যিনি (সকল) শরীরকে শরীর রূপে সৃষ্টি করেছেন।’[৭৯]

সাহল ইবনে যিয়াদ ইমাম আলী নাকীকে লেখা এক চিঠিতে ‘আলী ইবনে হাসকা’র গূলু ও আকিদাগত বিষয়ে বাড়াবাড়ির কথা জানান। জবাবে ইমাম আহলে বাইতের সাথে আলী ইবনে হাসকা’র সম্পৃক্ততাকে প্রত্যাখান করে তার কথা বাতিল সাব্যস্ত করেন এবং শিয়াদেরকে তার থেকে দূরে থাকতে বলে তাকে হত্যার হুকুম জারি করেন। ঐ চিঠির ভিত্তিতে আলী ইবনে হাসকাহ হযরত ইমাম আলী নাকী (আ.)-এর জন্য উলুহিয়্যাতের মাকামের বিশ্বাসে বিশ্বাসী ছিল এবং নিজেকে সে ‘বাব’ বলে জানতো এবং নিজেকে তাঁর পক্ষ থেকে নবি বলে পরিচয় দিত।[৮০] ইমাম আলী নাকী (আ.) নুসাইরিয়া ফির্কা’র প্রবক্তা মুহাম্মাদ ইবনে নুসাইর নুমাইরি,[৮১] হাসান ইবনে মুহাম্মাদ ওরফে ইবনে বাবা ও ফারস ইবনে হাতেম কাযভিনীদের মত গূলু আকিদার অধিকারী লোকদেরকে লানত করেছেন।[৮২]

যে সকল গূলূকারী নিজেকে ইমাম আলী নাকী (আ.)-এর সাহাবি বলে পরিচয় দিত আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ সাইয়ারি তাদেরই একজন[৮৩], বেশীরভাগ রেজাল শাস্ত্রবিদ তাকে গূলূকারী ও ফাসিদুল মাযহাব (যার দ্বীন/মাযহাব ধ্বংস হয়ে গেছে) বলে আখ্যায়িত করেছেন।[৮৪] সাইয়ারি’র ‘আল-ক্বিরাআত’ বইটি পবিত্র কুরআনের তাহরিফ প্রমাণে যে সকল রেওয়ায়েত উপস্থাপিত হয় সেগুলোর মূল সূত্রগুলোর একটি হিসেবে গণ্য।[৮৫] ইমাম আলী নাকী (আ.) এক রিসালায় (সন্দর্ভ) -ইবনে শো’বাহ হাররানি যা বর্ণনা করেছেন- পবিত্র কুরআনের সকল প্রকার তাহরিফ থেকে সুরক্ষিত থাকার বিষয়টির উপর তাগিদ দেওয়া হয়েছে এবং এ মহাগ্রন্থকে রেওয়ায়েতের সঠিক বা ভুল পরিমাপের সবচেয়ে সূক্ষ্ম ও সঠিক মানদণ্ড বলে পরিচয় করিয়েছেন।[৮৬] এছাড়া, তিনি (আ.) যে সকল শিয়ারা ভুল বশতঃ গূলু আকিদার মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত হতো তাদের পক্ষে কথা বলতেন। যেমন, কোম্মিরা (কোম শহরের অধিবাসীরা) মুহাম্মাদ ইবনে আওরামা’কে গূলু’র অভিযোগে কোম শহর থেকে বহিষ্কার করলে হযরত ইমাম (আ.) কোমের জনগণের উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে তাকে গূলু’র অভিযোগ থেকে মুক্ত ঘোষণা করেন।[৮৭]

শিয়াদের সাথে যোগাযোগ

ইমাম আলী নাকী (আ.)-এর সময়কার পরিস্থিতি আব্বাসি খলিফাদের চাপের কারণে শ্বাসরুদ্ধকর থাকা সত্ত্বেও হযরত ইমাম আলী নাকী এবং ইরাক, ইয়েমেন, মিসর ও এর আশেপাশের এলাকাগুলোর শিয়াদের মাঝে যোগাযোগ অবিচ্ছিন্ন ছিল।[৮৮] তিনি সাযমানে ভেকালাত (প্রতিনিধি নেটওয়ার্ক) ও চিঠি-পত্র আদান-প্রদানের মাধ্যমে শিয়াদের সাথে যোগাযোগ নিরবিচ্ছিন্ন রেখেছিলেন।

রাসূল জাফারিয়ানের মতে ইমাম আলী নাকী (আ.)-এর সমসময়ে কোম ছিল ইরানের শিয়াদের সবচেয়ে বড় সমাবেশস্থল এবং কোমের শিয়াদের সাথে ইমামগণ (আ.)-এর নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ছিল।[৮৯] মুহাম্মাদ ইবনে দাউদ কোম্মিমুহাম্মাদ ইবনে তালহা কোম এবং এর আশেপাশের শহর থেকে খুমস্, যাকাত, হাদিয়া ও তাদের প্রশ্নগুলো ইমামের হাতে পৌঁছে দিতেন।[৯০] জাফারিয়ানের মতে, ওয়াকীল ও প্রতিনিধিরা খুমস লব্ধ অর্থ সংগ্রহ করে ইমামের নিকট প্রেরণ ছাড়াও, শিয়াদের কালাম ও ফিকাহ শাস্ত্র বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি পরবর্তী ইমামের ইমামত প্রমাণে নিজেদের এলাকাগুলোতে ভূমিকা রাখতেন।[৯১] সাযমানে ভেকালাত গ্রন্থের লেখক মুহাম্মাদ রেযা জাব্বারি ‘আলী ইবনে জাফার হামানি’, ‘আবু আলী ইবনে রাশেদ’, ‘হাসান ইবনে আব্দি রাব্বিহি’র নাম ইমাম আলী নাকী (আ.)-এর ওয়াকীল হিসেবে উল্লেখ করেছেন।[৯২]

খালকে কুরআন প্রসঙ্গে

ইমাম আলী নাকী (আ.) জনৈক শিয়ার উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে তাকে বলেন, ‘খালকে কুরআন (কুরআন সৃষ্টি হওয়া) প্রসঙ্গে মতামত ব্যক্ত না করতে এবং কুরআনের ‘হুদুস’ (কুরআন কোন এক সময়ে সৃষ্টি হয়েছে) বা ‘কিদাম’ (এমন কোন সময় বা যুগ ছিল না যখন কুরআন ছিল না) হওয়ার ইস্যুতে কোন পক্ষ অবলম্বন না করতে। ঐ শিয়া তার প্রেরিত চিঠিতে ‘খালকে কুরআন’ শীর্ষক বিষয়কে ফিতনা বলে আখ্যায়িত করে এ ধরণের আলোচনায় প্রবেশ করাকে ধ্বংসে পতিত হওয়া বলে উল্লেখ করে। একইভাবে পবিত্র ‘কুরআন’-কে আল্লাহর কালাম বলে তাগিদ করে এ গ্রন্থ সম্পর্কে আলোচনাকে বিদআত আখ্যা দিয়ে বলে, এ সম্পর্কে প্রশ্নকারী ও উত্তর দানকারী ঐ (বিদআতের) গুনাহে অংশীদার।[৯৩] ঐ সময়ে কুরআনের হুদুস বা কিদাম হওয়া সম্পর্কে বাক-বিতণ্ডা আহলে সুন্নতের মাঝে বিভিন্ন ফির্কাহ ও দলের জন্ম হওয়ার কারণ হয়েছিল। মা’মুন ও মু’তাসিম ‘খালকে কুরআন’-এর পক্ষাবলম্বন করেছিল এবং এ মতের বিরোধীদের উপর চাপ সৃষ্টি করতো; এমনভাবে যে, ঐ সময়কে তাদের জন্য কষ্টের (মেহনতের) সময় বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কিন্তু মুতাওয়াক্কিল কুরআনের কাদিম (এমন কোন সময় বা যুগ ছিল না যখন কুরআন অনুপস্থিত ছিল না) হওয়ার পক্ষাবলম্বন করেছিল এবং শিয়ারাসহ এর বিরোধীদেরকে বিদআত প্রণয়নকারী আখ্যায়িত করতো।[৯৪]

হাদিসসমূহ

শিয়া হাদিস সূত্রগুলোতে -যেমন কুতুবে আরবাআ, তুহাফুল উকুল, মিসবাহুল মুজতাহিদ, আল-ইহতিজাজতাফসীরে আইয়াশী গ্রন্থে ইমাম আলী নাকী (আ.) থেকে বিভিন্ন হাদীস বর্ণিত হয়েছে। যে সংখ্যক হাদীস তাঁর থেকে বর্ণিত হয়েছে সেগুলোর সংখ্যা পূর্ববর্তী ইমামদের তুলনায় কম। আতারুদির মতে, হযরত ইমামের সামেরাতে নজরবন্দী অবস্থায় জীবন-যাপনের কারণে তিনি উলুম ও মাআরেফ (দ্বীনি শিক্ষা) প্রসারে বাধার সম্মুখীন ছিলেন, এ কারণেই তাঁর থেকে বর্ণিত রেওয়ায়েতের সংখ্যা কম।[৯৫] ইমাম আলী নাকী (আ.) থেকে বর্ণিত রেওয়ায়েতগুলোতে তাঁর নাম আবিল হাসান আল-হাদী, আবিল হাসান আস-সালেস, আবিল-হাসান আল-আখির, আবিল হাসান আল-আসকারি, আল-ফাকীহ আল-আসকারি, আর-রাজুল, আত-তাইয়্যেব, আল-আখির, আস-সাদিক ইবনুস সাদিক ও আল-ফাকীহ নামে স্মরণ করা হয়েছে; বলা হয়েছে যে, তাঁর জন্য এতগুলো নামের ব্যবহার তাকাইয়্যা জনিত কারণে করা হয়েছে।[৯৬]

ইমাম আলী নাকী (আ.) থেকে বর্ণিত রেওয়ায়েতগুলো তাওহিদ, ইমামত, যিয়ারাত, তাফসীর এবং ফিকাহ বিষয়ক বিভিন্ন অধ্যায় যেমন- পবিত্রতা, নামায, রোযা, খুমস, যাকাত, বিবাহ ইত্যাদি বিষয়কে কেন্দ্র করে।[৯৭]

ইমাম আলী নাকী (আ.) থেকে জাবর (মানুষের কোন স্বাধীনতার অধিকারী নয় যা কিছু তার জন্য ধার্য করা হয়েছে সে তা-ই করতে বাধ্য; অদৃষ্টবাদ) ও এখতিয়ারের বিষয়ে একটি রিসালাহ (সন্দর্ভ) বর্ণিত হয়েছে। ঐ রিসালায় لا جبر و لا تفویض بل امر بین الاَمرین শীর্ষক হাদিসটি পবিত্র কুরআনের ভিত্তিতে বর্ণিত হয়েছে এবং এতে জাবর ও এখতিয়ারের বিষয়ে শিয়াদের কালাম শাস্ত্রের মাপকাঠি উপস্থাপিত হয়েছে।[৯৮] ইমাম আলী নাকী (আ.) থেকে ইহতিজাজ বিষয়ক যে সকল হাদিস বর্ণিত হয়েছে সেগুলোর অধিকাংশই জাবরতাফভিযের বিষয়ে।[৯৯]

যিয়ারাতসমূহ

যিয়ারাতে জামেয়া কাবিরা[১০০] এবং যিয়ারাতে গাদীরিয়া ইমাম আলী নাকী (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে।[১০১] যিয়ারতে জামেয়া কাবিরাকে ইমাম পরিচিতির একটি কোর্স হিসেবে গণনা করা হয়।[১০২] এছাড়া, যিয়ারাতে গাদীরিয়াকে তাওয়াল্লাতাবাররার অক্ষ হিসেবে গণনা করা হয়; এর বিষয়বস্তু হলো ইমাম আলী (আ.)-এর ফাযায়েল ও শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করা[১০৩]

মুতাওয়াক্কিলের সভায় ইমাম আলী নাকীর কবিতা

হিজরি চতুর্থ শতাব্দির বিশিষ্ট ঐতিহাসিক মাসউদির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, মুতাওয়াক্কিলকে ইমাম আলী নাকীর বাড়ীতে যুদ্ধের সরঞ্জাম ও শিয়াদের চিঠি থাকার মিথ্যা তথ্য দেওয়া হলে মুতাওয়াক্কিলের নির্দেশে তার লোকেরা ইমামের বাড়ীতে আকস্মিক হামলা চালায়।[১০৪] যখন হযরত ইমাম (আ.)-কে মুতাওয়াক্কিলের দরবারে আনা হয় তার (মুতাওয়াক্কিল) হাতে মদের একটি পেয়ালা ছিল এবং সে তা ইমামকে পান করতে বলে।[১০৫] হযরত ইমাম আলী নাকী (আ.) বলেন: ‘আমার রক্ত ও মাংস মদ দ্বারা অপবিত্র হয় নাই’। এ কথা বলে ইমাম (আ.) মুতাওয়াক্কিলের ঐ প্রস্তাবকে প্রত্যাখান করেন।[১০৬] এরপর মুতাওয়াক্কিল হযরত ইমাম আলী নাকী (আ.)-কে এমন একটি কবিতা আবৃত্তি করতে অনুরোধ করে যা তাকে আন্দোলিত করবে [১০৭] ইমাম প্রথমে তার অনুরোধ গ্রহণ না করলেও তার পীড়াপীড়িতে নিম্নের কবিতাটি আবৃত্তি করেন:

باتوا علی قُلَلِ الأجبال تحرسهم                       غُلْبُ الرجال فما أغنتهمُ القُللُ

واستنزلوا بعد عزّ عن معاقلهم                        فأودعوا حُفَراً، یا بئس ما نزلوا

ناداهُم صارخ من بعد ما قبروا                        أین الأسرة والتیجان والحلل؟

أین الوجوه التی کانت منعمة                           من دونها تضرب الأستار والکللُ

فأفصح القبر عنهم حین ساء لهم                      تلک الوجوه علیها الدود یقتتل (تنتقل)

قد طالما أکلوا دهراً وما شربوا                        فأصبحوا بعد طول الأکل قد أُکلوا

وطالما عمروا دوراً لتحصنهم             ففارقوا الدور والأهلین وانتقلوا

وطالما کنزوا الأموال وادخروا                       فخلفوها علی الأعداء وارتحلوا

أضحت مَنازِلُهم قفْراً مُعَطلة                            وساکنوها إلی الأجداث قد رحلوا.[১০৮]


কবিতার ভাবার্থ:

সুরক্ষিত থেকে রাত্রি যাপনে তারা পাহাড়ের চূড়াকে বেছে নিয়েছিলো এবং তাদের পাহারায় ছিল শক্তিশালী প্রহরীরা, কিন্তু পাহাড়ের চূড়া তাদের কোন কাজে আসে নি।

সম্মানের আড়ালে থাকা তাদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে তাদেরকে বের করে এনে তাদেরকে গর্তে রাখা হলো, কতই না নিকৃষ্ট ছিল সেই পতন।

তাদের কবরের বাহির থেকে জনৈক ব্যক্তি আওয়াজ দিলো: ‘তোমাদের সিংহাসন, মুকুট ও অলংকারগুলো কোথায়?’

নি’মাতে অভ্যস্ত চেহারাগুলো কোথায়? কোথায় চেহারার সামনে ঝুলানো সেই পর্দাগুলো?

কবর সবাক হয়ে বললো: ঐ চেহারাগুলোর উপর পোকা-মাকড় হেটে বেড়াচ্ছে,

দীর্ঘদিন ধরে তারা খেয়েছে ও পান করেছে, অতঃপর পর দেখলো তারা নিজেরাই ভক্ষিত হয়েছে।

নিরাপদে থাকতে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করেছে, তারা তাদের বাড়ি-ঘর ও আত্মীয়-স্বজন থেকে পৃথক হয়ে অন্যত্র চলে গেছে।

দীর্ঘদিন ধরে সঞ্চিত ও গচ্ছিত সম্পদগুলোকে তারা শত্রুদের জন্য ফেলে রেখে চলে গেছে।

বাসগৃহগুলো খালি পড়ে আছে এবং এর বাসিন্দারা কবরে সফরে করেছে।[১০৯]

মাসউদি বর্ণনা করেছেন যে, কবিতাটি মুতাওয়াক্কিল ও তার সভাসদদেরকে এমনভাবে প্রভাবিত করলো যে মুতাওয়াক্কিলের চিবুক অশ্রুতে ভিজে গেল এবং সে মদের সরঞ্জাম সরিয়ে নিয়ে হযরত ইমামকে সসম্মানে তাঁর বাড়ীতে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিল।[১১০]

আসহাব এবং রাভিগণ

সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ ক্বাযওয়িনিআল-ইমাম আল-হাদী মিনাল মাহদি ইলাল লাহাদ’ (الامام الهادی من المهدی إلی اللحد) গ্রন্থে ৩৪৬ জনকে ইমামের সাহাবি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।[১১১] রাসুল জাফারিয়ানের মতে, ইমাম আলী নাকী (আ.)-এর রাভিগণের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৯০ জন; যার মধ্যে প্রায় ১৮০ জন থেকে হাদিস বর্ণিত হয়েছে।[১১২] রেজালে শেইখ তুসির বর্ণনা অনুযায়ী, ইমাম আলী নাকী (আ.) থেকে যারা হাদীস বর্ণনা করেছেন তাদের সংখ্যা ১৮৫ জনেরও বেশি।[১১৩] আতারুদি তার ‘মুসনাদুল ইমামিল হাদী’ গ্রন্থে ১৭৯ জনকে ইমামের রাভী হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন ঐ সকল রাভিদের মাঝে সিকাহ, যায়িফ, হাসান, মাতরুক ও মাজহুল রাভিরাও রয়েছেন।[১১৪] আতারুদির ভাষায়, যে সকল রাভির নাম তিনি উল্লেখ করেছেন তাদের কারো কারো নাম ‘রেজালে শেইখ তুসিতে পাওয়া যায় নি এবং কিছু রাভি যাদের নাম শেইখ তুসি উল্লেখ করেছেন তাদের নাম আতারুদির মুসনাদে উল্লেখিত হয়নি।[১১৫]

আব্দুল আযিম হাসানি, উসমান ইবনে সাঈদ,[১১৬] আইয়ুব ইবনে রূহ,[১১৭] হাসান ইবনে রাশিদহাসান ইবনে আলী নাসের[১১৮] প্রমুখ ছিলেন হযরত ইমামের সাহাবিদের অন্যতম।[১১৯]

এদের কেউ কেউ ইরানি ছিলেন বিষয়টি প্রমাণ করতে তাদের নামের শেষের অংশকে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন ঐতিহাসিক রাসুল জাফারিয়ান। তিনি বুশর ইবনে বাশশার নিশাবুরি, ফাতহ ইবনে ইয়াযিদ জোরজানি, হুসাইন ইবনে সাঈদ আহওয়াযি, হামদান ইবনে ইসহাক খোরাসানি, আলী ইবনে ইব্রাহিম তাকানি, মুহাম্মাদ ইবনে আলী কাশানী,[সাদুক, আত-তাওহিদ, ১৩৯৮ হি., পৃ. ১০১।] ইব্রাহিম ইবনে শাইবাহ ইসফাহানিআবু মাকাতিল দেইলামি[১২০] প্রমুখকে ইরানে হযরত ইমামের সাহাবিদের অন্যতম বলে আখ্যায়িত করেছেন।[১২১] জাফারিয়ান হামেদানে হযরত ইমামের ওয়াকীলের উদ্দেশে লেখা এক চিঠিকে প্রমাণ হিসেবে এনে -যাতে বলা হয়েছে, আমি হামেদানে আমার বন্ধু ও ঘনিষ্টজনদের কাছে তোমার বিষয়ে সুপারিশ করেছি-[১২২] বলেছেন, তার সাহাবিদের কেউ কেউ হামেদানে বসবাস করতেন। এছাড়া, বিদ্যমান তথ্যের ভিত্তিতে কাযভিনেও তাঁর কিছু কিছু সাহাবি বসবাস করতেন বলে তিনি মত দিয়েছেন।[১২৩]

গ্রন্থ পরিচিতি

ইমাম আলী নাকী (আ.) সম্পর্কে আরবি ও ফার্সি ভাষায় বিভিন্ন গ্রন্থ রচিত হয়েছে। কিতাব শেনাসিয়ে ইমাম আলী নাকী (আ.) নিবন্ধে ফার্সি ও আরবি ভাষায় প্রায় ৩০টি গ্রন্থের কথা বলা হয়েছে।[১২৪] সেগুলোর কয়েকটি নিম্নরূপ:

আযিযুল্লাহ আতারুদি রচিত মুসনাদুল ইমামিল হাদী: গ্রন্থটি ইমাম হাদী (আ.)-এর প্রায় ৩৫০টি হাদীস উল্লিখিত হয়েছে।

বাকির শারিফ কারাশি রচিত ‘হায়াতুল ইমাম আলী আল-হাদী’: গ্রন্থটি ইমাম আলী নাকী (আ.)-এর জীবনীর উপর রচিত।

আব্দুল হুসাইন শাবিস্তারি রচিত ‘আন-নূরুল হাদী ইলা আসহাবিল ইমামিল হাদী’: গ্রন্থটি ইমাম হাদী (আ.)-এর ১৯৩ জনকে ইমাম আলী নাকী (আ.)-এর সাহাবি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘মাওসুআত ইমামিল হাদী’: গ্রন্থটি ৪ খণ্ডে ২০১৯ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়েছে।

এছাড়া, ‘শোকুহে সামেররা’; এতে ইমাম আলী নাকী ও ইমাম আসকারি (আলাইহিমাস সালাম) সম্পর্কে বিভিন্ন নিবন্ধ রয়েছে। এটি ইমাম সাদিক (আ.) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশনী বিভাগ ১৩৯০ ফার্সি সনে ৫০৮ পৃষ্ঠায় প্রকাশ করেছে।[১২৫]

তথ্যসূত্র

  1. মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২৯৭।
  2. মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২৯৭; মাসউদি, ইসবাতুল ওয়াসিয়্যাহ, ১৪২৬ হি., পৃ. ২২৮।
  3. নৌবাখতি, ফিরাকুশ শিয়া, দারুল আদ্বওয়া, পৃ. ৯৩।
  4. ইবনে শাহরে আশুব, মানাকিবু আলে আবি তালিব, ১৩৭৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৪০১।
  5. কারাশি, হায়াতুল ইমাম আলী আল-হাদী, ১৪২৯ হি., পৃ. ২১।
  6. ইবনে শাহরে আশুব, মানাকিবু আলে আবি তালিব, ১৩৭৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৪০১।
  7. সাদুক, ইলালুশ শারায়ে’, ১৩৮৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৪১।
  8. ইবনে জাওযি, তাযকিরাতুল খাওয়াছ, ১৪২৬ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪৯২।
  9. ইবনে শাহরে আশুব, মানাকিবু আলে আবি তালিব, ১৩৭৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৪০১; তুসি, তাহযিবুল আহকাম, ১৪১৮ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ১০৪।
  10. দ্র: কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৯৭, ৩৪১।
  11. কারাশি, হায়াতুল ইমাম আলী আল-হাদী, ১৪২৯ হি., পৃ. ২১।
  12. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৪৯৭।
  13. তুসি, তাহযিবুল আহকাম, ১৪১৮ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ১০৪।
  14. মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২৯৭।
  15. ইবনে শাহরে আশুব, মানাকিবু আলে আবি তালিব, ১৩৭৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৪০১।
  16. মাসউদি, ইসবাতুল ওয়াসিয়্যাহ, ১৪২৬ হি., পৃ. ২২৮।
  17. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৪৯৭।
  18. মাসউদি, ইসবাতুল ওয়াসিয়্যাহ, ১৪২৬ হি., পৃ. ২২৮।
  19. ইয়াকুবি, তারিখে ইয়াকুবি, বৈরুত, খণ্ড ২, পৃ. ৪৮৪।
  20. দ্র: ইবনে জাওযি, তাযকিরাতুল খাওয়াছ, ১৪২৬ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪৯২।
  21. https://farsi.khamenei.ir/others-note?id=19933
  22. মাসউদি, ইসবাতুল ওয়াসিয়্যাহ, ১৪২৬ হি., পৃ. ২৩০-২৩১।
  23. মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩১১-৩১২; ইবনে শাহরে আশুব, মানাকিবু আলে আবি তালিব, ১৩৭৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৪০২।
  24. মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২৯৭।
  25. ইবনে শাহরে আশুব, মানাকিবু আলে আবি তালিব, ১৩৭৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৪০২।
  26. তাবারি, দালায়েলুল ইমামাহ, ১৪১৩ হি., পৃ. ৪১২।
  27. ইবনে হাজার হাইসামি, আস-সাওয়ায়েকুল মুহরেকা, কায়রো লাইব্রেরি, পৃ. ২০৭।
  28. মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩১১ ও ৩১২; কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৪৯৭-৪৯৮; তুসি তাহযিবুল আহকাম, ১৪১৮ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ১০৪।
  29. তাবারি, দালায়েলুল ইমামাহ, ১৪১৩ হি., পৃ. ৪০৯; ইরবিলি, কাশফুল গুম্মাহ, ১৩৮১ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩৭৫।
  30. ইবনে শাহরে আশুব, মানাকিবু আলে আবি তালিব, ১৩৭৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৪০১।
  31. নৌবাখতি, ফিরাকুশ শিয়া, দারুল আদ্বওয়া, পৃ. ৯২; ইবনে শাহরে আশুব, মানাকিবু আলে আবি তালিব, ১৩৭৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৪০১।
  32. ইরবিলি, কাশফুল গুম্মাহ, ১৩৮১ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩৭৫।
  33. মাসউদি, ইসবাতুল ওয়াসিয়্যাহ, ১৪২৬ হি., পৃ. ২৪৩।
  34. তুসি, তাহযিবুল আহকাম, ১৪১৮ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ১০৪।
  35. মাহাল্লাতি, মাসিরুল কুবরা, ১৩৮৪ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ৩১৮।
  36. দ্র: মাহাল্লাতি, মাসিরুল কুবরা, ১৩৮৪ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ৩১৮।
  37. https://www.ilna.ir/%D8%A8%D8%AE%D8%B4, ইলনা নিউজ।
  38. https://farsnews.ir/Culture/1354912860000081500/%D8%A2%D8%, ফারস নিউজ।
  39. কুম্মি, মুন্তাহাল আমাল, ১৩৭৯ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ১৮৭৮।
  40. হুসাইন, তারিখে সিয়াসিয়ে গাইবাতে ইমামে দাওয়াযদাহোম, ১৩৮৫ ফার্সি সন, পৃ. ৮১।
  41. মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩০০।
  42. নৌবাখতি, ফিরাকুশ শিয়া, দারুল আদ্বওয়া, পৃ. ৯২-৯৩।
  43. আশআরি কুম্মি, আল-মাকালাতু ওয়াল ফিরাক, ১৩৬১ ফার্সি সন, পৃ. ৯৯।
  44. মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩০০।
  45. ইবনে শাহরে আশুব, মানাকিবু আলে আবি তালিব, ১৩৭৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৪০২।
  46. ওতারেদি, মুসনাদুল ইমাম আল-হাদী, ১৪১০ হি., পৃ. ২০।
  47. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩২৩-৩২৫; মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২৯৮
  48. ইবনে শাহরে আশুব, মানাকিবু আলে আবি তালিব, ১৩৭৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৪০২।
  49. মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২৯৭; তাবারসি, এ’লামুল ওয়ারা, ১৪১৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১০৯।
  50. তাবারসি, এ’লামুল ওয়ারা, ১৪১৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১০৯।
  51. ইবনে শাহরে আশুব, মানাকিবু আলে আবি তালিব, ১৩৭৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৪০১।
  52. পিশওয়াঈ, সীরে-এ পিশওয়া ইয়ান, ১৩৭৪ ফার্সি সন, পৃ. ৫৯৫।
  53. জাসেম, তারিখে সিয়াসিয়ে গাইবাতে ইমামে দাওয়াযদাহোম, ১৩৭৬ ফার্সি সন, পৃ. ৮১।
  54. তাবারসি, এ’লামুল ওয়ারা, ১৪১৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১০৯ ও ১১০।
  55. ইয়াকুবি, তারিখে ইয়াকুবি, বৈরুত, খণ্ড ২, পৃ. ৪৮৪।
  56. মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩১০।
  57. জাফারিয়ান, হায়াতে ফিকরি ওয়া সিয়াসিয়ে আইম্মা, ১৩৮১ ফার্সি সন, পৃ. ৫০৩।
  58. মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩০৯।
  59. মাসউদি, ইসবাতুল ওয়াসিয়্যাহ, ১৪২৬ হি., পৃ. ২৩৩।
  60. ইবনে জাওযি, তাযকিরাতুল খাওয়াছ, ১৪২৬ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪৯৩।
  61. মাসউদি, ইসবাতুল ওয়াসিয়্যাহ, ১৪২৬ হি., পৃ. ২৩৩।
  62. মাসউদি, ইসবাতুল ওয়াসিয়্যাহ, ১৪২৬ হি., পৃ. ২৩৩।
  63. মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩০৯।
  64. মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩০৯; কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫০১।
  65. জাফারিয়ান, হায়াতে ফিকরি ওয়া সিয়াসিয়ে আইম্মা, ১৩৮১ ফার্সি সন, পৃ. ৫০৫।
  66. ইবনে জাওযি, তাযকিরাতুল খাওয়াছ, ১৪২৬ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪৯২।
  67. মাসউদি, ইসবাতুল ওয়াসিয়্যাহ, ১৪২৬ হি., পৃ. ২৩৬-২৩৭।
  68. মাসউদি, ইসবাতুল ওয়াসিয়্যাহ, ১৪২৬ হি., পৃ. ২৩৭।
  69. মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩১১।
  70. তাবারসি, এ’লামুল ওয়ারা, ১৪১৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১২৬।
  71. মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩১১।
  72. মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩১১।
  73. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৫৯, পৃ. ২০।
  74. তাবারসি, এ’লামুল ওয়ারা, ১৪১৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪৩৭।
  75. আবুল ফারাজ ইস্ফাহানি, মাকাতিলুত তালেবিয়্যিন, ১৯৮৭ খ্রি., পৃ. ৪৭৮।
  76. জাফারিয়ান, হায়াতে ফিকরি ওয়া সিয়াসিয়ে আইম্মা, ১৩৮১ ফার্সি সন, পৃ. ৫১১।
  77. সূরা বাকারা, আয়াত ৪৩।
  78. কাশশি, রিজালুল কাশশি, ১৪০৯ হি., পৃ. ৫১৭।
  79. ইরবিলি, কাশফুল গুম্মাহ, ১৩৮১ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩৩৮।
  80. কাশশি, রিজালুল কাশশি, ১৪০৯ হি., পৃ. ৫১৮-৫১৯।
  81. নৌবাখতি, ফিরাকুশ শিয়া, দারুল আদ্বওয়া, পৃ. ৯৩।
  82. কাশশি, রিজালুল কাশশি, ১৪০৯ হি., পৃ. ৫২০।
  83. ওতারেদি, মুসনাদুল ইমাম আল-হাদী, ১৪১০ হি., পৃ. ৩২৩।
  84. দ্র: নাজ্জাশি, রিজালুন নাজ্জাশি, ১৩৬৫ ফার্সি সন, পৃ. ৮০; তুসি, ফেহরেস্ত, ১৪২০ হি., পৃ. ৫৭।
  85. জাফারিয়ান, আকযুবাতু তাহরিফিল কুরআন বাইনাশ শিয়া ওয়াস সুন্নাহ, ১৪১৩ হি., পৃ. ৭৬-৭৭।
  86. ইবনে শো’বাহ হাররানি, তুহাফুল উকুল, ১৪০৪ হি., পৃ. ৪৫৮-৪৫৯।
  87. নাজ্জাশি, রিজালুন নাজ্জাশি, ১৩৬৫ ফার্সি সন, পৃ. ৩২৯।
  88. জাফারিয়ান, হায়াতে ফিকরি ওয়া সিয়াসিয়ে আইম্মা, ১৩৮১ ফার্সি সন, পৃ. ৬৩১।
  89. জাফারিয়ান, হায়াতে ফিকরি ওয়া সিয়াসিয়ে আইম্মা, ১৩৮১ ফার্সি সন, পৃ. ৬৫৪।
  90. ওতারেদি, মুসনাদুল ইমাম আল-হাদী, ১৪১০ হি., পৃ. ৪৫।
  91. জাফারিয়ান, হায়াতে ফিকরি ওয়া সিয়াসিয়ে আইম্মা, ১৩৮১ ফার্সি সন, পৃ. ৬৩১।
  92. জাব্বারি, সাযমানে ভেকালাত, ১৩৮২ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ৫১৩, ৫১৪, ৫৩৭।
  93. শেইখ সাদুক, আত-তাওহিদ, ১৩৯৮ হি., পৃ. ২২৪।
  94. জাফারিয়ান, হায়াতে ফিকরি ওয়া সিয়াসিয়ে আইম্মা, ১৩৮১ ফার্সি সন, পৃ. ৬৫০।
  95. ওতারেদি, মুসনাদুল ইমাম আল-হাদী, ১৪১০ হি., পৃ. ১০।
  96. ওতারেদি, মুসনাদুল ইমাম আল-হাদী, ১৪১০ হি., পৃ. ১০।
  97. ওতারেদি, মুসনাদুল ইমাম আল-হাদী, ১৪১০ হি., পৃ. ৮৪-৯৪।
  98. ওতারেদি, মুসনাদুল ইমাম আল-হাদী, ১৪১০ হি., পৃ. ১৯৮-২১৩।
  99. ওতারেদি, মুসনাদুল ইমাম আল-হাদী, ১৪১০ হি., পৃ. ১৯৮-২২৭।
  100. সাদুক, মান লা ইয়াহদ্বুরুহুল ফাকিহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৬০৯।
  101. ইবনে মাশহাদি, আল-মাযার, ১৪১৯ হি., পৃ. ২৬৩।
  102. https://qazvin.iqna.ir/fa/news/4033772/%D8, ইকনা।
  103. https://qazvin.iqna.ir/fa/news/4033772/%D8, ইকনা।
  104. মাসউদি, মুরুজুয যাহাব, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ১১।
  105. মাসউদি, মুরুজুয যাহাব, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ১১।
  106. মাসউদি, মুরুজুয যাহাব, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ১১।
  107. মাসউদি, মুরুজুয যাহাব, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ১১।
  108. মাসউদি, মুরুজুয যাহাব, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ১১।
  109. পয়ান্দে, তরজমা-এ মুরুজুয যাহাব, ১৩৭৪ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ৫০৩।
  110. মাসউদি, মুরুজুয যাহাব, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ১২।
  111. ক্বাযওয়িনি, আল-ইমাম আল-হাদী মিনাল মাহদি ইলাল লাহাদ, ১৪১৩ হি., পৃ. ১৪০-৪৬৭।
  112. জাফারিয়ান, হায়াতে ফিকরি ওয়া সিয়াসিয়ে আইম্মা, ১৩৮১ ফার্সি সন, পৃ. ৫১২।
  113. তুসি, রিজালুত তুসি, ১৩৭৩ ফার্সি সন, পৃ. ৩৮৩-৩৯৩।
  114. ওতারেদি, মুসনাদুল ইমাম আল-হাদী, পৃ. ৩০৭।
  115. ওতারেদি, মুসনাদুল ইমাম আল-হাদী, পৃ. ৩০৭।
  116. তুসি, রিজালুত তুসি, ১৩৭৩ ফার্সি সন, পৃ. ৩৮৯-৪০১।
  117. তুসি, রিজালুত তুসি, ১৩৭৩ ফার্সি সন, পৃ. ৩৮৪।
  118. তুসি, রিজালুত তুসি, ১৩৭৩ ফার্সি সন, পৃ. ৩৮৫।
  119. ইবনে শাহরে আশুব, মানাকিবু আলে আবি তালিব, ১৩৭৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৪০২।
  120. ওতারেদি, মুসনাদুল ইমাম আল-হাদী, ১৪১০ হি., পৃ. ৩১৭।
  121. জাফারিয়ান, হায়াতে ফিকরি ওয়া সিয়াসিয়ে আইম্মা, ১৩৮১ ফার্সি সন, পৃ. ৫৩০-৫৩৩।
  122. কাশশি, রিজালুল কাশশি, ১৪০৯ হি., পৃ. ৬১২।
  123. জাফারিয়ান, হায়াতে ফিকরি ওয়া সিয়াসিয়ে আইম্মা, ১৩৮১ ফার্সি সন, পৃ. ৫৩০-৫৩৩।
  124. কারাজি, “কিতাব শেনাসিয়ে ইমাম হাদী (আ.)”, পৃ. ১৯৭-১৯৯।
  125. https://bookroom.ir/book/36391/%D8%B4%DA%A9%D9%88%D9%87

গ্রন্থপঞ্জি

  • আবুল ফারজ ইস্ফাহানি, আলী ইবনে হুসাইন, মাকাতিলুত তালেবিয়্যিন, বৈরুত, মুআসেসাতুল আ’লামি লিল মাতবুআত, ১৯৮৭ খ্রি.।
  • ইবনে হাজার হাইতামি, আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ, আছ-ছাওয়ায়েকুল মুহরিকাতু আলা আহলির রাফযি ওয়ায যালালি ওয়ায যান্দাকাহ, কায়রো, কায়রো লাইব্রেরি, তারিখ অজ্ঞাত।
  • ইবনে জাওযি, ইউসুফ ইবনে কাযাওগালি, তাযকিরাতুল খাওয়াছ, কোম, লায়লা, ১৪২৬ হি.।
  • ইবনে শাহরে আশুব, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, মানাকিবু আলে আবি তালিব, কোম, আল্লামা, ১৩৭৯ হি.।
  • ইরবিলি, আলী ইবনে ঈসা, কাশফুল গুম্মাহ ফি মা’রিফাতিল আইম্মাহ, তাসহিহ: সাইয়্যেদ হাশেম রাসূলি মাহাল্লাতি, তাবরিয, বানি হাশেমি, ১৩৮১ হি.।
  • আশআরি কুম্মি, সা’দ ইবনে আব্দুল্লাহ, আল-মাকালাতু ওয়া ফিরাক, তেহরান, ইন্তেশারাতে ইলমি ওয়া ফারহাঙ্গি, ১৩৬১।
  • পয়ান্দে, আবুল কাসেম, তরজমা-এ মরুজুয যাহাব ওয়া মাআদিনুল জাওহার, তেহরান, ইন্তেশারাতে ইলমি ওয়া ফারহাঙ্গি, পঞ্চম সংস্করণ, ১৩৭৪ ফার্সি সন।
  • পিশওয়াঈ, মাহদি, সীরে-এ পিশওয়া ইয়ান, কোম, মুআসসেসেয়ে ইমাম সাদেক (আ.), ১৩৭২ ফার্সি সন।
  • খামেইয়ার, আহমাদ, তাখরিবে যিয়ারাতগাহ হায়ে ইসলামি দার কেশভারহায়ে আরাবি, কোম, দারুল এ’লামু লি মাদ্রাসাতি আহলিল বাইত (আ.), ১৩৯৩ ফার্সি সন।
  • জাসেম, মুহাম্মাদ হুসাইন, তারিখ-এ সিয়াসিয়ে গায়বাতে ইমাম দাওয়াযদাহোম, মোতারজেম: সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ তাকী আয়াতুল্লাহি, সেভ্ভম, তেহরান, আমীর কবির, ১৩৮৫ ফার্সি সন।
  • জব্বারি, মুহাম্মাদ রেযা, সাযমানে ভেকালাত ওয়া নাকশে অন দার আছরে আইম্মা (আ.), কোম, মুআসসেসেয়ে ইমাম খোমেনী (র.), ১৩৮২ ফার্সি সন।
  • জাফারিয়ান, রাসূল, আকযুবাতু তাহরিফিল কুরআন বাইনাশ শিয়া ওয়াস সুন্নাহ, তেহরান, মাশআর, ১৪১৩ হি.।
  • জাফারিয়ান, রাসূল, হায়াতে ফিকরি ওয়া সিয়াসি-এ আইম্মা, কোম, আনছারিয়ান, ১৩৮১ ফার্সি সন।
  • সাদুক, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, আত-তাওহীদ, কোম, জামে-এ মুদাররেসীন, ১৩৯৮ হি.।
  • সাদুক, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, ইলালুশ শারায়ে’, নাজাফ, মাক্তাবাতুল হাইদারিয়্যাহ, ১৩৮৫ হি.।
  • সাদুক, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, মান লা ইয়াহদ্বুরুহুল ফাকিহ, তাসহিহ: আলী আকবার গাফ্ফারি, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামি, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪১৩ হি.।
  • তাবারসি, ফাযল ইবনে হাসান, এ’লামুল ওয়ারা বি এ’লামুল হুদা, কোম, মুআসসেসাতু আলিল বাইত (আ.) লি ইহিয়ায়িত তুরাস, ১৪১৭ হি.।
  • তাবারি, মুহাম্মাদ ইবনে জারির, দালায়েলুল ইমামাহ, কোম, বে’সাত, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৩ হি.।
  • তুসি, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, তাহযিবুল আহকাম, তাহকিক: আলী আকবার গাফ্ফারি, তেহরান, নাশরে সাদুক, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৮ হি.।
  • তুসি, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, রিজালুত তুসি, তাসহিহ: জাওয়াদ কাইয়্যুমি ইস্ফাহানি, কোম, মুআসসেসাতুন নাশর আল-ইসলামি, তৃতীয় সংস্করণ, ১৩৭৩ ফার্সি সন।
  • তুসি, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, ফেহরেস্তু কুতুব আশ-শিয়াতি ওয়া উসুলিহিম, কোম, মাক্তাবাতুল মুহাক্কেক আত-তাবাতাবায়ী, ১৪২০ হি.।
  • ওতারেদি, আযিযুল্লাহ, মুসনাদুল ইমামিল হাদী আলাইহিস সালাম, কোম, আল-মু’তামারুল আলামি লিল ইমাম আর-রেযা (আ.), ১৪১০ হি.।
  • কারাশি, বাকের শরীফ, হায়াতুল ইমাম আলী আল-নাকী, তাহকিক: বাকের শরীফ কারাশি, মেহের দেলদার, ১৪২৯ হি./২০০খ্রি.
  • কাযভিনি, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ কাযিম, আল-ইমামুল হাদী মিনাল মাহদি ইলাল লাহাদ, কোম, মারকাযে নাশরে আসারে শিয়া, ১৪১৩ হি.।
  • কুম্মি, শেইখ আব্বাস, মুন্তাহাল আমাল, কোম, দালিলে মা, ১৩৭৯ ফার্সি সন।
  • কাশশি, মুহাম্মাদ ইবনে উমর, রিজালুল কাশশি-ইখতেয়ারু মা’রিফাতির রিজাল, তালখিছ: মুহাম্মাদ ইবনে হাসান তুসি, তাসহিহ: হাসান মুস্তাফাভি, মাশহাদ, মুআসসেসেয়ে নাশরে দানেশগাহে মাশহাদ, ১৪০৯ হি.।
  • কুলাইনি, মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব, আল-কাপি, তাসহিহ: আলী আকবার গাফ্ফারি ওয়া মুহাম্মাদ আখুন্দি, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়্যাহ, ১৪০৭ হি.।
  • মাজলিসী, মুহাম্মাদ বাকের, বিহারুল আনওয়ার, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, বৈরুত, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৩ হি.।
  • মাহাল্লাতি, যাবিহুল্লাহ, মাআসিরুল কুবরা ফি তারিখিস সামাররা, কোম, মাক্তাবাতুল হাইদারিয়্যাহ, ১৩৮৪ ফার্সি সন/১৪২৬ হি.।
  • মাসউদি, আলী ইবনে হুসাইন, ইসবাতুল ওয়াসিয়্যাহ লিল ইমাম আলী ইবনে আবি তালিব, কোম, আনসারিয়ান, ১৪২৬ হি.।
  • মাসউদি, আলী ইবনে হুসাইন, মুরুজুয যাহাব ওয়া মাআদিনুল জাওহার, কোম, মানশুরাতু দারুল হিজরাহ, ১৪০৪ হি.।
  • মুফিদ, মুহাম্মাদ ইবনে মুহাম্মাদ, আল-ইরশাদ ফি মা’রিফাতি হুজাজিল্লাহি আলাল ইবাদ, তাসহিহ: মুআসসেসাতু আলিল বাইত (আ.), কোম, কনগ্রেয়ে শেইখ মুফিদ, ১৪১৩ হি.।
  • নাজ্জাশি, আহমাদ ইবনে আলী, রিজালুন নাজ্জাশি, কোম, জামেয়ে মুদাররেসীন হাওযা ইলমিয়্যাহ কো, ১৩৬৫ ফার্সি সন।
  • নৌবাখতি, হাসান ইবনে মুসা, ফিরাকুশ শিয়া, বৈরুত, দারুল আদ্বওয়া, দ্বিতীয় সংস্করণ, তারিখ অজ্ঞাত।