ইমাম হাসান আসকারি আলাইহিস সালাম

wikishia থেকে
ইমাম হাসান আসকারি (আ.)
বারো ইমামি শিয়াদের ১১তম ইমাম
হারাম-এ আসকারাঈন
হারাম-এ আসকারাঈন
নামহাসান ইবনে আলী ইবনে মুহাম্মাদ
উপনামআবু মুহাম্মাদ
জন্ম তারিখ৮ রবিউস সানি, ২৩২ হি.
জন্মস্থানমদীনা
ইমামতকাল৬ বছর (২৫৪-২৬০ হি.)
শাহাদাত৮ রবিউল আউয়াল, ২৬০ হি.
দাফনের স্থানসামেরা, ইরাক (হারাম-এ আসকারাঈন)
বসবাসের স্থানসামেরা
উপাধিসমূহইবনুর রেযা • সামিত • হাদী • রাফিক • যাকি • নাকী
পিতাইমাম আলী নাকী (আ.)
মাতাহুদাইস অথবা সালিল
স্ত্রীগণনারজিস
সন্তানইমাম মাহদি (আ.)
জীবনকাল২৮ বছর
শিয়া ইমামগণ
ইমাম আলী • ইমাম হাসান মুজতাবাইমাম হুসাইন • ইমাম সাজ্জাদ • ইমাম বাকের • ইমাম জাফার সাদিকইমাম কাযেমইমাম রেযাইমাম জাওয়াদইমাম হাদীইমাম হাসান আসকারি • ইমাম মাহদী


হাসান ইবনে আলী ইবনে মুহাম্মাদ (আ.), ইমাম হাসান আসকারি (আ.) নামে যিনি প্রসিদ্ধ (২৩২-২৬০ হি.); ইসনা আশারি শিয়াদের একাদশ ইমাম, ৬ বছর যাবত ইমামতের মহান দায়িত্ব পালন করেছেন, ইমাম হাদির (আ.) পুত্র এবং ইমাম মাহদির (আজ্জালাল্লাহু তায়ালা ফারাজাহুশ শারিফ) সম্মানিত বাবা।

তাঁর সবচেয়ে প্রসিদ্ধ লকব হলো ‘আসকারি’; যা বাধ্যতামূলকভাবে তাঁর সামেরায় অবস্থানের বিষয়টিরই ইঙ্গিতবাহী। তিনি সামেরা’তে আব্বাসি শাসকের কড়া নজরদারিতে ধর্মীয় তৎপরতার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধা ও সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি ছিলেন। ইমাম আসকারি (আ.) স্বীয় প্রতিনিধিবর্গ এবং চিঠিপত্রের মাধ্যমে শিয়াদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। ইমাম মাহদির (আ. ফা.) প্রথম নায়েবে খাস (বিশেষ প্রতিনিধি) উসমান ইবনে সাঈদ ছিলেন তাঁর বিশেষ প্রতিনিধিদের অন্যতম।

ইমাম হাসান আসকারি (আ.) ২৬০ হিজরীর ৮ই রবিউল আওয়াল ২৮ বছর বয়সে সামেরাতে শাহাদাত বরণ করেন এবং তাঁর পিতার পাশেই তাঁকে দাফন করা হয়। ইরাকে অবস্থিত এই দুই ইমামের মাজার হারামে আসকারিইয়াইন নামে প্রসিদ্ধ এবং শিয়াদের প্রসিদ্ধ যিয়ারতের স্থানগুলোর অন্যতম।

তাফসিরে কুরআন, আখলাক (নৈতিকতা), ফিকাহ শাস্ত্র, আকাইদ, দোয়াযিয়ারাত ইত্যাদি বিষয়ে ইমাম আসকারি (আ.) থেকে বিভিন্ন রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে।

জীবনী

  • বংশ: ইমাম হাসান আসকারির (আ.) বংশধারা ৮ পুরুষের মাধ্যমে শিয়াদের প্রথম ইমাম হযরত আলী ইবনে আবি তালিব (আ.)-এ পৌঁছায়।[১] তার সম্মানিত পিতা বারো ইমামি শিয়াদের দশম ইমাম হযরত ইমাম হাদি (আ.)। বিভিন্ন শিয়া সূত্রের বর্ণনার ভিত্তিতে তাঁর সম্মানিত মাতা ছিলেন একজন কানিয এবং তাঁর নাম ছিল হুদাইস অথবা হাদিসাহ।[২] অপর কিছু সূত্রে তাঁর নাম ‘সুসান’,[৩] ‘আসফান’[৪] ও ‘সুলাইল’[৫] বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। ইমাম আসকারির (আ.) জাফার নামের এক ভাই ছিল; যে জাফার কাযযাব নামে অধিক প্রসিদ্ধ। ইমাম আসকারির (আ.) শাহাদাতের পর সে ইমামতের দাবী করে বসে এবং ইমাম আসকারির (আ.) কোন সন্তান জন্মগ্রহণের বিষয়কে অস্বীকার করে ইমামের একমাত্র উত্তরাধিকার হিসেবে দাবী করে বসে।[৬] তাঁর অপর ভাইগণ ছিলেন সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ ও হুসাইন (আ.)।[৭]
  • উপাধিসমূহ: হাদী, নাকী, যাকী, রাফিক ও সামেত ইত্যাদি উপাধি তার জন্য উল্লেখ করা হয়েছে। কিছু কিছু ঐতিহাসিক তার জন্য ‘খালিছ’ উপাধির কথাও উল্লেখ করেছেন।[৮] ইমাম জাওয়াদ (আ.), ইমাম হাদি (আ.) ও ইমাম হাসান আসকারি (আ.) ৩ ইমামই ‘ইবনুর রিযা’ উপাধিতে প্রসিদ্ধ ছিলেন।[৯] ‘আসকারি’ উপাধিটি ইমাম হাদি (আ.) ও ইমাম আসকারি (আ.) দুই ইমামের ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়েছে। কেননা তাঁরা উভয়েই বাধ্যতামূলকভাবে সামেরাতে বসবাস করেছেন। সামেরা’র অপ্রসিদ্ধ একটি নাম ছিল ‘আসকার’।[১০] এছাড়া ‘হাসান’ নামটিতে তার এবং ইমাম হাসানে মুজতাবার (আ.) সাথে মিল থাকার কারণে তাকে ‘হাসানে আখির’ও বলা হয়েছে।[১১]
  • কুনিয়াহ: তার কুনিয়াহ ছিল ‘আবু মুহাম্মাদ।[১২] অপর সূত্রসমূহে ‘আবুল হাসান’,[১৩] আবুল হুজ্জাহ,[১৪] ও আবুল কায়েম[১৫] ইত্যাদি কুনিয়ার কথাও উল্লেখিত হয়েছে।
  • জন্ম: বেশীরভাগ সূত্রে তার জন্ম মদিনায় বলে উল্লেখ করা হলেও[১৬] কেউ কেউ তার জন্ম সামেরা’তে বলেও উল্লেখ করেছেন।[১৭] শিয়াদের বেশীরভাগ পুরাতন সূত্রে তার জন্ম ২৩২ হিজরীর রবিউস সানি মাসে বলে উল্লেখিত হয়েছে।[১৮] ইমাম হাসান আসকারি (আ.) থেকে বর্ণিত একটি রেওয়ায়েতেও একই তারিখ উল্লেখ রয়েছে।[১৯] অপর কিছু শিয়াসুন্নি সূত্রে তাঁর জন্ম ২৩১ হিজরীর উক্ত তারিখে বলে উল্লেখিত হয়েছে।[২০] শেইখ মুফিদ তার ‘মাসারুশ শিয়া’ গ্রন্থে ইমামের জন্ম ১০ রবিউস সানী বলে উল্লেখ করেছেন।[২১] ৬ষ্ঠ হিজরীতে উক্ত মত উপেক্ষিত হয়ে তাঁর জন্ম ৮ রবিউস সানী বলে প্রসিদ্ধি পায়[২২] ইমামিয়াদের নিকট যে মতটি অধিক প্রসিদ্ধ।
  • শাহাদাত: ইমাম আসকারি (আ.) ২৬০ হিজরীর ৮ রবিউল আওয়াল[২৩] মু’তামিদ আব্বাসির খেলাফতকালে ২৮ বছর বয়সে শহীদ হন।[২৪] কোন কোন বর্ণনায় তার শাহাদাতের মাস হিসেবে রবিউস সানিজমাদিউল উলা’র কথাও উল্লেখিত হয়েছে।[২৫] শেইখ মুফিদের ভাষ্য হলো তিনি অসুস্থতার কারণে ইন্তেকাল করেন;[২৬] কিন্তু ফাযল ইবনে হাসান তাবারসি’র ‘এ’লামুল ওয়ারা’ গ্রন্থে এবং ইমামিয়া আলেমদের বিরাট একটি অংশের মত হল অন্যান্য ইমামগণের (আলাইহিস সালাম) মত ইমাম আসকারিকেও (আ.) বিষপ্রয়োগে শহীদ করা হয়েছে।[২৭] দলিল হিসেবে তারা ইমাম সাদিক (আ.) থেকে বর্ণিত  ((و الله ما منّا الّا مَسموم أو مَقتول)) -এই রেওয়ায়েতটি উল্লেখ করে থাকেন।[২৮] এছাড়া বিশিষ্ট ইতিহাস গবেষক সাইয়্যেদ জাফার মুর্তাযা আমেলি, শেইখ মুফিদের মতকে ‘তাকিয়া’ বশতঃ বলে উল্লেখ করেছেন।[২৯] ইতিহাসের বিভিন্ন বর্ণনার ভিত্তিতে মু’তিমিদের পূর্বের ২ খলিফাও ইমাম আসকারিকে হত্যার পরিকল্পনায় ছিল। একটি রেওয়ায়েতে এসেছে যে, আব্বাসি খলিফা মু’তাজ্জ, কুফার পথে ইমাম আসকারিকে (আ.) হত্যার জন্য নিজের বিশ্বস্ত এক ব্যক্তিকে নির্দেশ দেয়, কিন্তু জনগণ বিষয়টি সম্পর্কে টের পেয়ে যাওয়ায় তারা তাদের উদ্দেশ্যে ব্যর্থ হয়।[৩০] অপর এক বর্ণনার ভিত্তিতে মুহতাদি আব্বাসিও কারাগারে ইমামকে (আ.) হত্যার পরিকল্পনা করে ব্যর্থ হয় এবং তার হুকুমতের সমাপ্তি ঘটে।[৩১] ইমাম আসকারিকে (আ.) সামেরাতে তার বাড়িতেই দাফন করা হয়; যেখানে আগেই ইমাম হাদিকে (আ.) দাফন করা হয়েছিল।[৩২] আব্দুল্লাহ মু’তামিদ আব্বাসির মন্ত্রি[৩৩] ইবনে খাকানের বর্ণনার ভিত্তিতে, ইমাম আসকারির (আ.) শাহাদাতের পর বাজারগুলো বন্ধ হয়ে যায়, বনি হাশিম, রাজনৈতিক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সাধারণ জনগণ তাঁর জানাযায় অংশ নেয়[৩৪] ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে দিনটি ইমাম মাহদির (আ.) ইমামতের অভিষেক দিবস হিসেবে সরকারি ছুটি থাকে।[৩৫]
  • স্ত্রী: একটি প্রসিদ্ধ বর্ণনার ভিত্তিতে ইমাম আসকারির বংশধারা একজন কানিযের মাধ্যমে অব্যাহত রয়েছে; যিনি হলেন হযরত ইমাম মাহদির (আ.) মা[৩৬] সূত্রগুলোতে ইমাম মাহদির (আ.) মায়ের বিভিন্ন নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ঐ সকল সূত্রের বর্ণনানুযায়ী ইমাম আসকারির (আ.) বেশ কয়েকজন রুমি, সাকলায়ী ও তুর্কি খাদেম ও কানিয ছিল।[৩৭] হয়তবা এ কারণেই ইমামে যামানার (আ.) মায়ের নামে এখতেলাফ রয়েছে। একদিকে কানিযের সংখ্যাধিক্য, অপরদিকে ইমাম মাহদির (আ.) জন্মের বিষয়টি গোপন রাখার কারণে হয়তবা এই এখতেলাফ।[৩৮]
  • সন্তান: বেশীরভাগ শিয়া সূত্রের বর্ণনার ভিত্তিতে, ইমাম আসকারির (আ.) একমাত্র পুত্র ছিলেন ইমামে যামানা (আ. ফা.) যার নাম ((م ح م د))।[৩৯] ইবনে আসীর, শাবলাঞ্জি ও ইবনে সাব্বাগ মালেকি’র মত আহলে সুন্নতের আরও কিছু আলেম ইমাম আসকারির (আ.) সন্তানের নাম মুহাম্মাদ বলে উল্লেখ করেছেন।[৪০]
  • তাঁর সন্তানদের সম্পর্কে অন্যান্য মতও রয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, তিনি ৩ পুত্র ও ৩ কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন।[৪১] ইমাম মাহদি (আ. ফা.) ছাড়াও ফাতেমা ও দাল্লালাহ নামের আরও দু’টি কন্যা সন্তান তাঁর ছিল বলে মত দিয়েছেন খুছাইবি[৪২] ইবনে আবিস সালাজ লিখেছেন, ইমাম মাহদি (আ.) ছাড়াও মুসা নামের আরেক জন পুত্র এবং ফাতেমা ও আয়েশা (অথবা উম্মু মুসা) নামের আরও দু’টি কন্যা সন্তান ছিল ইমাম আসকারির (আ.)।[৪৩] কিন্তু নসব ও বংশ বিষয়ক কিছু কিছু গ্রন্থে উল্লেখিত নামগুলো সম্ভবত ইমাম হাসান আসকারির (আ.) ভাই ও বোনদের নাম যা তার সন্তানদের নামের সাথে মিশ্রিত হয়ে গেছে। [৪৪] এর বিপরীতে আহলে সুন্নতের কিছু কিছু গ্রন্থে ইমাম হাসান আসকারির (আ.) কোন সন্তান থাকার বিষয়টিকে অস্বীকার করা হয়েছে।[৪৫] দ্বাদশ ইমামের জন্মের বিষয়টি গোপন থাকা এবং তার জন্মের তথ্য সম্পর্ক অনাবগতির কারণে এই মত ব্যক্ত হয়েছে (বলে অনেকের ধারণা)।[৪৬]
  • সামারাতে স্থানান্তর: ইমাম হাসান আসকারিকে (আ.) শৈশবে নিজ পিতা ইমাম হাদীর (আ.) সাথে ইরাকে আসতে বাধ্য করা হয় এবং তৎকালীন আব্বাসীয় খেলাফতের রাজধানী (দারুল খিলাফাহ) সামেরাতে তাদেরকে নজরদারীতে রাখা হয়। এই সফরে ইমাম আসকারি (আ.) নিজ পিতার সাথেই ছিলেন। সফরটি ২৩৬ হিজরীতে ঘটেছিল বলে মাসউদি উল্লেখ করেছেন[৪৭] এবং নৌবাখতি বলেছেন ২৩৩ হিজরীতে[৪৮]

ইমাম হাসান আসকারি নিজের জীবনের বেশীরভাগ সময় সামেরাতে কাটিয়েছেন এবং এ বিষয়টি প্রসিদ্ধ যে, তিনিই একমাত্র ইমাম যে হজ্জ করতে পারেন নি। কিন্তু উয়ুনু আখবারির রিযাকাশফুল গুম্মাহ গ্রন্থে একটি রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে, রেওয়ায়েতটি বর্ণনাকারী মক্কায় ইমাম হাসান আসকারি (আ.) থেকে বর্ণনা করেছেন।[৪৯]


ইমামতের প্রমাণ ও মেয়াদকাল

ইমাম আসকারির (আ.) ইমামতের মেয়াদকাল ছিল ৬ বছর (২৫৪ থেকে ২৬০ হি.)। ইমাম হাদীর (আ.) শাহাদতের পর ইমাম আসকারির (আ.) ইমামতের পক্ষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দলীল হলো ইমাম হাদীর (আ.) ওসিয়ত এবং নিজের স্থলাভিষিক্তের বিষয়ে তার থেকে বর্ণিত হাদীসসমূহ।[৫০] শেইখ মুফিদ তার আল-ইরশাদ গ্রন্থে ১০ এর অধিক রেওয়ায়েত ও চিঠি এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছেন।[৫১] ইমাম হাদীর (আ.) শাহাদাতের পর তাঁর অধিকাংশ সাথী ও শিয়ারা ইমাম হিসেবে ইমাম হাসান আসকারির (আ.) প্রতি রুজু করেন।[৫২] কিন্তু নগন্য সংখ্যার একটি দল ইমাম হাদীর (আ.) অপর পুত্র জাফার বিন আলী ওরফে জাফার কাযযাবকে ইমাম হিসেবে গ্রহণ করে নেয় এবং অপর একটি দল ইমাম হাদীর (আ.) অপর সন্তান সাইয়্যেদ মুহাম্মাদের ইমামতে বিশ্বাসী হয় -যিনি ইমাম হাদীর (আ.) জীবদ্দশাতেই ইন্তেকাল করেছিলেন-।[৫৩] যারা জাফার কাযযাবকে ইমাম হিসেবে মেনে নিয়েছিল তারা ইমাম আসকারির (আ.) ইমামতের বিষয়ে বিভিন্ন সংশয় উত্থাপন করতে থাকে; এরা ইলমি দিক থেকে বিশেষ স্থানের অধিকারী ছিল না। তারা কখনো দাবী করতো, তারা ইমামের (আ.) জ্ঞানকে যাচাই করে দেখেছে এবং ইমামের জ্ঞানে যে পূর্ণতা থাকা প্রয়োজন তা তারা ইমাম আসকারির জ্ঞানে খুঁজে পায় নি।[৫৪] আবার কখনো দাবী করতো যে, তারা ইমামের চিঠিতে ব্যাকরণগত ভুল পেয়েছে।[৫৫] তারা কখনো কখনো ইমামের পরিধেয় পোশাকের ধরনের সমালোচনা করতো।[৫৬] আবার কখনো ইমামতের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতো এবং ইমামের প্রতিনিধিদের তৎপরতার সমালোচনা করতো।[৫৭] একইভাবে, কখনো ইমামের নির্দেশাবলী ও ইমাম কর্তৃক প্রেরিত ব্যক্তিকে মানতেন না।[৫৮] আর এ কারণেই ইমাম আসকারি (আ.) বলতেন তাঁর কোন পূর্বপুরুষই তার মত শিয়াদের পক্ষ থেকে সন্দেহের মুখে পড়েন নি।[৫৯] ইমাম এ ধরনের আচরণ অব্যাহত থাকাকে ঐশী নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।[৬০] মুদাররেস তাবাতাবায়ী’র মতে সম্ভবত এ ধরনের অকৃতজ্ঞতাপূর্ণ আচরণ ও নিয়ামতের বিপরীতে কুফরি আচরণের কারণেই শিয়া সমাজ ইমামে মাসুমের উপস্থিতি থেকে বঞ্চিত হয়েছে।[৬১]

রাজনৈতিক অবস্থা

ইমাম আসকারির (আ.) ইমামতকালে ৩ জন আব্বাসি খলিফা খেলাফত করেছে; মু’তাজ আব্বাসী (২৫২-২৫৫ হি.), মুহতাদি আব্বাসি (২৫৫-২৫৬ হি.) এবং মু’তামিদ আব্বাসি (২৫৬-২৭৯ হি.)। ইমাম আসকারির (আ.) সর্বপ্রথম রাজনৈতিক যে অবস্থান লিপিবদ্ধ হয়েছে তা তাঁর ২০ বছর বয়স থাকাকালীন সময়কার, তখন তাঁর পিতাও জীবিত ছিলেন। আব্বাসীয় খেলাফতে বিশেষ প্রভাবের অধিকারী আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে তাহেরকে -যে তৎকালীন খলিফা মুস্তাঈনের শত্রু ছিল- লেখা এক চিঠিতে খলিফাকে অবাধ্য হিসেবে আখ্যায়িত করে ইমাম মহান আল্লাহর দরবারে তার পতনের জন্য দোয়া করেন।[৬২]

মুস্তাঈনকে হত্যার পর ক্ষমতাসীন হওয়া মু’তায শাসনের শুরুতে ইমাম হাদী (আ.) ও ইমাম আসকারির (আ.) সাথে শত্রুতাপূর্ণ আচরণ করেছেন বলে কোন বর্ণনায় উল্লেখিত হয় নি। ইমাম হাদীর (আ.) শাহাদাতের পর ইমাম হাসান আসকারির কর্মকাণ্ড নানা ধরনের বিধিনিষেধের মুখোমুখি থাকলেও তিনি (আ.) অপেক্ষাকৃতভাবে স্বাধীন ছিলেন। তার ইমামতকালের শুরুর দিকে কিছু কিছু শিয়ার সাথে তার সাক্ষাত এ বিষয়টিরই সমর্থক। কিন্তু ১ বছর পরই খলিফা ইমাম সম্পর্কে বিরূপ ধারণা পোষণ করতে শুরু করে ফলে ২৫৫ হিজরীতে তাঁকে কারারুদ্ধ করে। পরবর্তী খলিফার (মুহতাদি) ১ বছর মেয়াদকালেও ইমাম কারারুদ্ধ ছিলেন।

২৫৬ হিজরীতে মু’তামিদের খেলাফতকালের শুরুটা হয় বিভিন্ন শিয়া আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। এ সময় ইমাম মুক্তি পেয়ে ইমামিয়াদেরকে সংগঠিত করার দিকে মনোযোগী হন। এ কারণে ২৬০ হিজরীর সফর মাসে মু’তামিদের নির্দেশে পূনরায় ইমামকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এ সময় খলিফা প্রতিদিন ইমামের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়াদি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিত।[৬৩] ১ মাস পর ইমাম কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন তবে তাঁকে ওয়াসিত শহরের কাছে খলিফা মা’মুনের মন্ত্রী হাসান বিন সাহলের বাড়িতে কড়া নিরাপত্তায় স্থানান্তরিত করা হয়।[৬৪]

ইমাম হাসান আসকারি (আ.) ও শিয়াদের জন্য রাজনৈতিক পরিস্থিতি যে সকল কারণে মন্দের দিকে যাচ্ছিল দ্বাদশ ইমামের উত্থান সংশ্লিষ্ট তথ্য চারিদিকে ছড়িয়ে পড়া সেগুলোর অন্যতম। শেইখ মুফিদ ইমাম হাসান আসকারির (আ.) সময়কালকে অত্যন্ত কঠিন বলে আখ্যায়িত করেছেন।[৬৫] তার মতে, ইমামিয়া শিয়াদের মাঝে প্রতিক্ষীত ইমামের আগমনের বিষয়টি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং খলিফা জানতো যে, শিয়ারা তাদের ইমামের আগমনের অপেক্ষায় ইমাম হাসান আসকারির (আ.) সন্তানের সন্ধানে রয়েছে এবং তাঁর সম্পর্কে যেকোন তথ্য লাভের লক্ষ্যে বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ কারণেই ইমাম আসাকারি (আ.) নিজ সন্তানের জন্মের ঘটনাকে গোপন করেছিলেন।[৬৬] শেইখ তুসি’র মতে এই পরিস্থিতির কারণেই ইমাম আসকারি (আ.) নিজের ওসিয়তে সমস্ত ওয়াকফ ও সদকাকে তাঁর মা হুদাইসের কাছে হস্তান্তর করে যান।[৬৭]

বিভিন্ন আন্দোলন ও বিদ্রোহ

ইমাম হাসান আসাকারির (আ.) সমসময়ে বিভিন্ন আন্দোলন ও বিদ্রোহের কথা ইতিহাসে উল্লেখিত হয়েছে; এর মধ্যে কতক স্বয়ং শিয়াদের পক্ষ থেকে ছিল এবং কতক ছিল আলাভিদের নামের অপব্যবহার করে।

  • আলী ইবনে যাইদ ও ঈসা ইবনে জাফারের আন্দোলন: উভয়ই ছিলেন আলাভি এবং ইমাম হাসান মুজতাবার (আ.) বংশধর; ২৫৫ হিজরীতে তারা কুফায় আন্দোলন শুরু করেন। মু’তায আব্বাসী সাঈদ ইবনে সালেহ’র নেতৃত্বে একটি বাহিনী পাঠিয়ে ঐ আন্দোলনকে দমন করে।[৬৮]
  • আলী ইবনে যাইদ ইবনে হুসাইনের আন্দোলন: ইমাম হাসানের (আ.) বংশধর, তিনি মুহতাদি আব্বাসির যুগে কুফায় কিয়াম করেন। শাহ ইবনে মিকইয়াল নিজ বাহিনী নিয়ে তার মোকাবেলায় গেলে পরাজিত হয়। মু’তামিদ আব্বাসি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর সে ‘কাইজুর তুর্কি’কে আলী ইবনে যাইদের আন্দোলনকে দমন করার জন্য পাঠায়, ২৫৭ হিজরীতে কয়েক দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর আলী ইবনে যাইদ প্রাণ হারান।[৬৯]
  • আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ’র আন্দোলন: মু’তামিদ আব্বাসির খেলাফতকালে তিনি মিসরের বারকা ও আলেকজান্দ্রিয়ার মধ্যবর্তী স্থানে আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় বহুসংখ্যক সমর্থকও তার সমর্থনে এগিয়ে এলে তিনি খেলাফতের দাবী করেন। এ সময় অত্র এলাকায় নিয়োজিত তুর্কি বংশোদ্ভূত খলিফার গভর্নর আহমাদ ইবনে তুলুন তার উদ্দেশ্যে একটি বাহিনী প্রেরণ করে তার সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করে তাকে হত্যা করে।[৭০]
  • সাহেব আল-যানজে’র আন্দোলন: আলী ইবনে মুহাম্মাদ ওরফে সাহিব আল-যানজ ২৫৫ হিজরীতে আন্দোলন শুরু করে।[৭১] এই আন্দোলনের স্থায়িত্ব ছিল ১৫ বছর; এ সময় তিনি বিশাল এলাকার উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন।[৭২] ইমাম হাসান আসকারি (আ.) এ বিষয়টি স্পষ্ট করেছিলেন যে, সাহিব আল-যানজ আহলে বাইত থেকে নয়।[৭৩]

ইমাম ও শিয়াদের মাঝে যোগাযোগ

আব্বাসীদের পক্ষ থেকে শিয়াদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগের কারণে শিয়া সমাজ তাকাইয়্যাহ’র মাঝে দিনাতিপাত করছিল। এতদসত্ত্বেও ইমাম হাসান আসকারি (আ.) শিয়াদের বিষয়াদি পরিচালনা ও ধর্মীয় উজুহাত (খুমস, যাকাত ও সদকাহ ইত্যাদি) সংগ্রহের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বের সাথে এগিয়ে নিতে থাকেন এবং বিভিন্ন প্রান্তে ওয়াকিল ও প্রতিনিধি প্রেরণ করা শুরু করেন।[৭৪]

ইমামের সাথে সাক্ষাত

ইতিহাসের বিভিন্ন বর্ণনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ইমাম হাসান আসকারির (আ.) জীবদ্দশার একটা অংশে শিয়াদের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে তিনি বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি ছিলেন।[৭৫] এ কারণে ইমামকে (আ.) দারুল খিলাফায় নিয়ে যাওয়ার সময় শিয়ারা তাঁর সাথে সাক্ষাত করতে তাঁর যাতায়াতের পথে উপস্থিত হত।[৭৬] ইমাম হাসান আসাকারির (আ.) (দারুল খিলাফা’তে) গমন করার সময় পথে শিয়াদের সমবেত হওয়া এবং তাঁর প্রতি শিয়াদের বিশেষ সম্মান প্রদর্শন প্রসঙ্গে একটি বর্ণনা শেইখ তুসি উল্লেখ করেছেন।[৭৭] কিন্তু সরকারের বিশেষ নজরদারীর কারণে ইমাম (আ.) কখনো কখনো এ ধরনের যোগাযোগ করতেও শিয়াদেরকে নিষেধ করতেন। আলী ইবনে জাফার হালাবি থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, ইমামকে দারুল খিলাফাহ’তে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত একদিন আমরা তাঁর সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে সমবেত হয়েছিলাম; এমন সময় ইমামের পক্ষ থেকে একটি তৌকী’ (লিখিত বার্তা) আমাদের কাছে পৌঁছুলো এ মর্মে যে, ‘কেউ যেন আমাকে সালাম না করে এমনকি আমার দিকে কেউ যেন ইঙ্গিতও না করে, কেননা (এমনটি করলে) তোমরা নিরাপদে নও’।[৭৮]

ইমামের প্রতিনিধিবৃন্দ

পূর্ববর্তী ইমামগণের মত ইমাম আসকারিও (আ.) শিয়াদের সাথে যোগাযোগ রক্ষার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিনিধি প্রেরণ করতেন। ইমামিয়াহ শিয়াদের গ্রন্থসমূহে ইমামের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে উসমান বিন সাঈদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ইমাম হাসান আসকারির (আ.) শাহাদাতের পর গায়বাতে সোগরার যুগে তিনি ইমামে যামানার (আ. ফা.) প্রথম নায়েবে খাছ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।[৭৯]এছাড়া আকীদ নামে ইমামের আরেক খাছ খাদেম -শৈশব থেকে যিনি ইমামের সান্নিধ্যে বড় হয়েছিলেন- ইমামের পক্ষ থেকে শিয়াদের উদ্দেশ্যে লেখা বহুসংখ্যক চিঠি ও বার্তা বহন করেছেন।[৮০] আবু গারীব আবুল আদইয়ান কুনিয়া’র অধিকারী আরেকজন খাদেমও ইমামের বেশ কিছু চিঠি প্রেরণের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।[৮১]

চিঠিপত্র

যে কয়টি মাধ্যমে ইমাম আসকারি (আ.) শিয়াদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতেন চিঠিপত্রের আদান-প্রদান ছিল সেগুলোর মধ্যে অন্যতম; উদাহরণ স্বরূপ আলী ইবনে হুসাইন ইবনে বাবাওয়াইহ[৮২] এবং কোমআবেহ[৮৩] (আভেহ)-এর জনগণের উদ্দেশ্যে লেখা তাঁর চিঠিগুলোর কথা উল্লেখযোগ্য। কামালুদ্দীন গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি শাহাদাতের কিছুকাল আগে বেশ কয়েকটি চিঠি মদিনার উদ্দেশ্যে লিখেছিলেন।[৮৪] শিয়ারাও বিভিন্ন মাসআলা ও বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য ইমামের (আ.) উদ্দেশ্যে চিঠি লিখত এবং ইমামের পক্ষ থেকে জবাবও পেত।

অন্তর্ধানকালীন সময়ের জন্য শিয়াদের প্রস্তুত করা

ইমাম আসকারির (আ.) সমসাময়িক বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার পর্যালোচনাকারী কিছু কিছু সূত্রে উল্লেখিত হয়েছে যে, গায়বাত তথা অন্তর্ধানের যুগে প্রবেশের জন্য শিয়াদের প্রস্তুত করার লক্ষ্যে তিনি বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, যেমন: আসহাবদের সাথে ইমাম আসকারি (আ.) পর্দার পেছন থেকে কথা বলতেন এবং তাঁর বেশীরভাগ কর্মকাণ্ড তাঁর ওয়াকীল ও প্রতিনিধিদের মারফত পরিচালিত হত ইত্যাদি।[৮৫] মুদাররেসি তাবাতাবাঈ’র মতে, ইমাম আসকারি (আ.) বিভিন্ন ইলমি সমস্যার সমাধান কিভাবে করতে হয় এ সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে অনেক সময় তিনি প্রশ্নগুলোর উত্তর পরিপূর্ণরূপে বয়ান করতেন না[৮৬], আবার কখনো একটি সার্বিক ফর্মূলা বর্ণনার দিকে মনোনিবেশ করতেন, যাতে ফকীহগণ ঐ ফর্মূলার মাধ্যমে কাঙ্খিত উত্তরে পৌঁছুতে পারেন।[৮৭] আবার কখনো তিনি ফিকাহ বিষয়ক প্রশ্নের উত্তরের জন্য শিয়া হাদীস গ্রন্থগুলোর শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিতেন।[৮৮] এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে শিয়া সমাজ প্রশিক্ষিত হয়ে উঠত যাতে নিজেদের ফিকহী ও আকিদাতি বিভিন্ন প্রশ্ন ও সমস্যা ইমামে হাযিরের শরণাপন্ন না হয়েও সমাধানের উপায় বের করতে পারে।[৮৯]

মাআরেফে দ্বীনী বর্ণনা

শিয়াদের জন্য বিশেষ শিক্ষা

ঐ যুগে ইমাম নির্ধারণ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদিতে নানান জটিলতা ও অস্পষ্টতার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ইমাম হাসান আসকারির (আ.) বিভিন্ন চিঠি ও বাণীতে এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ আমরা দেখতে পাই, যেমন: ‘পৃথিবী কখনই আল্লাহর হুজ্জাত শূন্য থাকবে না।’[৯০] অথবা যদি ইমামতের সিলসিলা কর্তিত হয় এবং এ সংযোগে বিঘ্ন ঘটে তবে মহান আল্লাহর বিষয়গুলোতেও (প্রচার, প্রসার ও বাস্তবায়নে) বিঘ্নতা ঘটবে।[৯১] পৃথিবী পৃষ্ঠে আল্লাহর হুজ্জাতের উপস্থিতি মহান আল্লাহ্ প্রদত্ত মু’মিনদের জন্য এক নিয়ামত এবং (মহান আল্লাহ্) তাদেরকে হুজ্জাতের মাধ্যমে হেদায়েত দান করেছেন ও সম্মানিত করেছেন ইত্যাদি।[৯২]

ঐ যুগে শিয়াদের ওপর চাপ বিবেচনায় তাঁর (আ.) বাণীতে আরেকটি বিষয় বারবার পরিলক্ষিত হয় তা হলো বিশেষভাবে ধৈর্যধারণ এবং ফারাজের (মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বৃহৎ এক সমাধান) প্রতিক্ষায় থাকার প্রতি আহবান।[৯৩] এছাড়া ইমাম (আ.) থেকে বর্ণিত বিভিন্ন হাদীসে শিয়া সমাজের অভ্যন্তরীন সম্পর্ক সুসংহত করা এবং দ্বীনি ভাইদের সাথে ভ্রাতৃত্বসুলভ আচরণের প্রতি তাগিদের বিষয়টি বারংবার দেখা গেছে।[৯৪]


তাফসীরে কুরআন

ইমাম আসকারি (আ.) যে সকল বিষয়ের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করতেন তাফসীরে কুরআন তম্মধ্যে অন্যতম। ইমামিয়া শিয়াদের মাঝে সবচেয়ে প্রাচীন যে তাফসীরটির কথা উল্লেখ রয়েছে তা ইমাম আসকারির (আ.) সাথেই সম্পৃক্ত।


কালাম শাস্ত্র

ইমাম হাসান আসকারি (আ.) ইমামতের দায়িত্ব শুরুর সময় ইমামিয়াদের অভ্যন্তরেই আকিদাগত বিভিন্ন বিষয়ে এখতেলাফ বিদ্যমান ছিল এবং কিছু বিতর্ক স্বয়ং তার ইমামতের সময়কালেই উদ্ভূত হয়। যেমন:- ‘মহান আল্লাহর জিসমের (শরীরের) অধিকারী হওয়ার বিষয়টির অস্বীকার’ যা আগে থেকেই বিদ্যমান ছিল। ইমাম আসকারির (আ.) যুগে এই এখতেলাফ এতটাই বৃদ্ধি পেল যে, সাহল ইবনে যিয়াদ আদামি ইমামের উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে ঐ বিষয়ে নির্দেশনা চান। উত্তরে ইমাম মহান আল্লাহর সত্ত্বাগত আলোচনার গভীরে প্রবেশের বিষয়ে সতর্ক করে পবিত্র কুরআনের কয়েকটি আয়াতের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন:

মহান আল্লাহ্ এক ও অদ্বিতীয়; তিনি না কাউকে জন্ম দিয়েছেন আর না কারও থেকে জন্ম নিয়েছেন, আর না তাঁর সমকক্ষ রয়েছে। তিনি সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা এবং কেউ তাঁকে সৃষ্টি করেন নি। তিনি জিসম ও বস্তু থেকে বা অন্য কিছু থেকে যা ইচ্ছা সৃষ্টি করতে পারেন এবং তিনি শরীরের অধিকারী নন...। তাঁর সাদৃশ্য কিছুই নেই, তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। [৯৫]

ফিকাহ শাস্ত্র

ইলমে হাদিসে ইমাম হাসান আসকারির (আ.) যে সকল লকব (উপাধি) উল্লেখিত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে ‘ফকীহ’ অন্যতম।[৯৬] এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, ইমাম আসকারির (আ.) বিশেষভাবে তার খাছ সাহাবাদের মাঝে এই উপাধিতে পরিচিত ছিলেন। তাঁর থেকে বর্ণিত হাদীসগুলোর একটি অংশ ফিকাহ শাস্ত্র এবং এর বিভিন্ন অধ্যায় সংশ্লিষ্ট। যেহেতু ইমামিয়া শিয়াদের ফিকহী বিষয়গুলোর বেশীরভাগই ইমাম সাদিকের (আ.) যুগে লিপিবদ্ধ হয়, অতঃপর ইমাম কাযেমইমাম রেযার (আ.) যুগে পূর্ণতার পর্যায় অতিক্রম করে, তাই ইমাম হাসান আসকারি (আ.) বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ফুরুয়ে দ্বীনের ঐ সকল বিষয়ে বেশী আলোকপাত করেছেন যেগুলো তার যুগে মুস্তাহদিস (নব উদ্ভাবিত) ছিল অথবা কোন কারণে তাঁর যুগে আলোচিত ও পর্যালোচিত ছিল, যেমন রমযান মাসের শুরু ও খুমসের আলোচনা ইত্যাদি।[৯৭]

মাজার

শাহাদাতের পর ইমাম আসকারিকে (আ.) তার পিতা ইমাম হাদির (আ.) পাশে দাফন করা হয়।[৯৮] পরবর্তীতে এ স্থানে একটি জিয়ারাতগাহ তৈরি করা হয় যা আসকারিয়াইনের হারাম নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে।

ইমাম হাদি (আ.) ও ইমাম হাসান আসকারির (আ.) মাজার ২০০৬ ও[৯৯] ২০০৭ সালে তাকফিরী সন্ত্রাসী হামলায় (প্রায়) ধ্বংস প্রাপ্ত হয়।[১০০] এ পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মারজায়ে তাকলীদ ও শিয়া ব্যক্তিত্বগণ এ ধ্বংসযজ্ঞের নিন্দা জানান। আতাবাতে আলিয়াত (ইরাকের মাজারসমূহ) সংস্কার বিষয়ক অধিদপ্তর ২০১০ সালে শুরু[১০১] করে ২০১৫ সালের মধ্যে আসকারিয়াইনের (আ.) মাজার সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করে।[১০২]

গ্রন্থ পরিচিতি

একাদশ ইমাম হযরত হাসান আসকারি (আ.) সম্পর্কে আরবি, ফার্সি, ইংরেজি, উর্দু ও ইস্তাম্বুলি ভাষাসহ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় গ্রন্থ রচিত, অনূদিত ও প্রকাশিত হয়েছে।[১০৩] কিছু কিছু ওয়েব সাইটে এ প্রসঙ্গে ২৫০ এরও অধিক বই, প্রবন্ধ ও থিসিসের তালিকা সংকলিত হয়েছে।[১০৪] ঐ সকল গ্রন্থগুলোর কতকটির নাম নিম্নরূপ:

ইমামে আসর গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক রচিত ‘মাওসুআতুল ইমামিল আসকারি (আ.)’; বলা হয়েছে যে, ৬ খণ্ডে প্রকাশিত ঐ মাওসুআ’তে ইমাম হাসান আসকারি (আ.) সম্পর্কিত সকল তথ্য সংকলিত হয়েছে। এছাড়া তার সকল বাণী এবং তাঁর বিষয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিত্বদের করা মন্তব্যও উল্লেখিত হয়েছে।[১০৫] ইমাম আসকারির (আ.) সম্পর্কে রচিত গ্রন্থগুলোর মধ্য সবচেয়ে সমৃদ্ধ গ্রন্থ হিসেবে এ গ্রন্থটির নাম উল্লেখ করা হয়ে থাকে।[১০৬]

যাবিহুল্লাহ মাহাল্লাতি রচিত ‘মাআসারুল কুবারা ফি তারিখি সামেররা

‘মাওসুআতু কালিমাতিল ইমামিল হাসানিল আসকারি (আ.)’; বাকিরুল উলুম গবেষণা কেন্দ্রের একদল লেখকের প্রচেষ্টায় গ্রন্থটি সংকলিত হয়েছে; এ গ্রন্থের ৪ অধ্যায়ে আকিদা, আহকাম, আখলাক, দোয়া ও যিয়ারতের বিষয় ইমামের (আ.) সকল ভাষ্য ও বাণী সংকলিত হয়েছে। ‘ফারহাঙ্গে জামেয়ে সোখানানে ইমাম হাসান আসকারি (আ.) নামে গ্রন্থটি ফার্সি ভাষায় অনুবাদ করেছেন জাওয়াদ মুহাদ্দেসী[১০৭]

শোকুহে সামেরা; ইমাম হাদি (আ.) ও ইমাম আসকারি (আ.) সম্পর্কে রচিত রচনা সমগ্র; একদল লেখকের প্রচেষ্টায় প্রস্তুত হওয়া প্রবন্ধগুলো ২০১১ সালে ইমাম সাদিক (আ.) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে।[১০৮]

নির্বাচিত বাণী

চেহারার সৌন্দর্য হলো বাহ্যিক সৌন্দর্য এবং সুন্দর চিন্তা হল বাতেন ও অভ্যন্তরীন সৌন্দর্য।[১০৯]

তাকওয়া যে ব্যক্তির প্রকৃতির অংশ উদারতা তার স্বভাবের অংশ ও সহিষ্ণুতা তার বন্ধু। তার বন্ধুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হবে। আর এই প্রশংসার মাধ্যমে সে তার শত্রুদের থেকে প্রতিশোধ নেবে।[১১০]

ক্রোধ সকল মন্দ ও কুৎসিতের চাবিকাঠি।[১১১]

আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম মানুষ হলো সে, যে তার ভাইয়ের অধিকার সম্পর্কে অধিক অবগত এবং তাদের অধিকার আদায়ের বিষয়ে অধিক সচেষ্ট। আর যে দুনিয়াতে তার ভাইদের জন্য নম্র হয় মহান আল্লাহর নিকট সে সিদ্দিক (সত্যবাদী) এবং আলী ইবনে আবি তালিবের প্রকৃত অনুসারীদের অন্তর্ভুক্ত।[১১২]

দু’মুখো এবং দু’কথার অধিকারী ব্যক্তি খুবই খারাপ বান্দা; সে তার ভাইয়ের উপস্থিতিতে তার প্রশংসা করে এবং তার অনুপস্থিতিতে (গীবতের মাধ্যমে) তার মাংস খায়, কোন নিয়ামত তাকে দান করা হলে সে হিংসা করে এবং কখনো বিপদে পড়লে সে খেয়ানত করে।[১১৩]

তথ্যসূত্র

  1. সামআনি, আল-আনসাব, ১৩৮২ হি., খণ্ড ৯, পৃ. ৩০০।
  2. কুলাইনি, কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫০৩; শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৪ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩১৩।
  3. ইবনে তালহা, মুহাম্মাদ, মাতালিবুস সুউল, ১৩৭১ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৭৮; সিবতে ইবনে জাওযি, তাযকিরাতুল খাওয়াছ, ১৩৮৩ হি., পৃ. ৩৬২।
  4. নৌবাখতি, ফিরাকুশ শিয়া, ১৩৫৫ হি., পৃ. ৯৬।
  5. হুসাইন আব্দুল ওয়াহাব, উয়ূনুল মু’জিযাত, ১৩৬৯ হি., পৃ. ১২৩।
  6. তাবাসী, হায়াতুল ইমামিল আসকারি (আ.), ১৩৮২ ফার্সি সন, পৃ. ৩২০-৩২৪।
  7. মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩১১-৩১২।
  8. ইবনে রুসতাম তাবারি, দালায়িলুল ইমামাহ, ১৪১৩ হি., পৃ. ৪২৫।
  9. ইবনে শাহরে আশুব, মানাকেবু আলি আবি তালিব, ১৩৭৬ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৫২৩।
  10. ইবনে খাল্লিকান, ওয়াফিয়াতিল আইয়ান, ১৯৭১-১৯৭২ খ্রি., খণ্ড ২, পৃ. ৯৫।
  11. ইবনে শাহরে আশুব, মানাকেবু আলি আবি তালিব, ১৩৭৬ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৫২৬।
  12. ইবনে রুসতাম তাবারি, দালায়িলুল ইমামাহ, ১৪১৩ হি., পৃ. ৪২৪।
  13. ইবনে রুসতাম তাবারি, দালায়িলুল ইমামাহ, ১৪১৩ হি., পৃ. ৪২৪।
  14. খাযআলী, মোআসসেসাতু আল-ইমাম আল-আসকারী, ১৪২৬ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩২।
  15. খাযআলী, মোআসসেসাতু আল-ইমাম আল-আসকারী, ১৪২৬ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩২।
  16. শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৪ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩১৩; শেইখ তুসী, তাহযীবুল আহকাম, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ৯২।
  17. ইবনে হাতাম, আদ-দুরারুত তানযীম, মুআসসিসাতুন নাশরিল ইসলামি, পৃ. ৭৩৭।
  18. দ্র: নৌবাখতি, ফিরাকুশ শিয়া, ১৩৫৫ হি., পৃ. ৯৫; কুলাইনি, কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫০৩; শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৪ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩১৩।
  19. ইবনে রুসতাম তাবারি, দালায়িলুল ইমামাহ, ১৪১৩ হি., পৃ. ৪২৩।
  20. দ্র: ইবনে আবি সালাজ, "তারিখুল আয়িম্মা" মাজমুয়ে নাফিসে, ১৩৯৬ হি., পৃ. ১৪; মাসউদি, ইসবাতুল ওয়াসিয়াহ, ১৪০৯ হি., পৃ. ২৫৮।
  21. শেইখ মুফিদ, মাসারুশ শিয়া, ১৪১৪ হি., পৃ. ৫২; দ্র: ইবনে তাঊস, আল-ইকবাল, ১৩৭৬ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ১৪৯; শেইখ তুসী, মিসবাহুল মুজতাহিদ, ১৩৩৯ হি., পৃ. ৭৯২।
  22. দ্র: ইবনে শাহরে আশুব, মানাকেবু আলে আবি তালিব, ১৩৭৬ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৫২৩; তাবারসী, তাজুল মাওয়ালিদ, ১৩৯৬ হি., পৃ. ৫৭।
  23. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫০৩; শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৪ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩১৪।
  24. তাবারসী, এ’লামুল ওয়ারা, ১৪১৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১৩১।
  25. দ্র: মুকাদ্দাসী, বায পেযুহেশীয়ে তারিখে বেলাদাত ওয়া শাহাদাতে মা'সুমান, ১৩৯১ ফার্সি সন, পৃ. ৫৩০-৫৩৩।
  26. শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৪ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩৩৬।
  27. তাবারসী, এ’লামুল ওয়ারা, ১৪১৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১৩১।
  28. তাবারসী, এ’লামুল ওয়ারা, ১৪১৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১৩২।
  29. আমেলি, আস-সাহীহ মিন সিরাতিন-নাবীয়্যিল আ'যাম, ১৪২৬ হি., খণ্ড ৩৩, পৃ. ১৮৫-১৯১।
  30. শেইখ তুসী, আল-গাইবাহ, ১৩৯৮ হি., পৃ. ২০৮; আতারদি, মুসনাদিল ইমামুল আসকারী, ১৪১৩ হি., পৃ. ৯২।
  31. মাসউদি, ইসবাতুল ওয়াসিয়াহ, ১৪০৯ হি., পৃ. ২৬৮; মাজলিসী, আল-কাফি, ১৩৯১ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩২৯।
  32. শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৪ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩১৩।
  33. আমিন, আইয়ানুশ শিয়া, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১০৩।
  34. নৌবাখতি, ফিরাকুশ-শিয়া, ১৩৫৫ হি., পৃ. ৯৬; কুলাইনি, আল-কাফি, ১৩৯১ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫০৫; পাকাতচি, "হাসান আসকারি (আ.), ইমাম", পৃ. ৬১৯।
  35. রুযে ইমামাতে ইমাম যামান (আ.) তা'তিল শোদ, মাগিরান।
  36. পাকাতচি, "হাসান আসকারি (আ.), ইমাম", পৃ. ৬১৮।
  37. মাসউদি, ইসবাতুল ওয়াসিয়াহ, ১৪০৯ হি., পৃ. ২৬৬; পাকাতচি, "হাসান আসকারি (আ.), ইমাম", পৃ. ৬১৮।
  38. মুহাম্মাদি রেই শাহরি, দানেশনামে-এ ইমাম মাহদি, ১৩৯৩ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ১৯৪।
  39. ইবনে শাহরে আশুব, মানাকিবে আলে আবি তালিব, ১৩৭৬ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৫২৩; তাবারসী, তাজুল মাওয়ালিদ দার মাজমুয়ে নাফিসাহ, ১৩৯৬ হি., পৃ. ৫৯।
  40. ইবনে আসীর, আল-কামিল ফিত-তারিখ, খণ্ড ৭, পৃ. ২৭৬; ইবনে সাব্বাগ, আল-ফুসুলুল মুহিম্মাহ, পৃ. ২৭৮; শাবলাঞ্জি, নূরুল আবসার, পৃ. ১৮৩; পাকাতচি, "হাসান আসকারি (আ.), ইমাম", পৃ. ৬১৮।
  41. যারান্দি, মাআরিজুল উসুল, পৃ. ১৭৬; পাকাতচি, "হাসান আসকারি (আ.), ইমাম", পৃ. ৬১৮-৬১৯।
  42. খুছাইবি, আল-হিদায়াতুল কুবরা, ১৪১৯ হি., পৃ. ৩২৮।
  43. ইবনে আবি সালাজ, "তারিখুল আয়িম্মা" মাজমুয়ে নাফিসে, ১৩৯৬ হি., পৃ. ২১-২২।
  44. ফাখরুদ্দীন রাযী, আশ-শাজারাতুল মুবারাকা, পৃ. ৭৮; পাকাতচি, "হাসান আসকারি (আ.), ইমাম", পৃ. ৬১৯।
  45. দ্র: ইবনে হাযম, জুমহারাতু আনসাবিল আরাব, ১৯৮২ খ্রি., পৃ. ৬১; যাহাবি, সিয়ারু আ’লামিন নুবালা, ১৪০৫ হি., খণ্ড ১৩, পৃ. ১২২; পাকাতচি, "হাসান আসকারি (আ.), ইমাম", পৃ. ৬।
  46. সুলাইমিয়ান, খোদামুরাদ, দারস ন’মেয়ে মাহদাভিয়াত, ১৩৮৯ ফার্সি সন, পৃ. ১৮৪।
  47. মাসউদি, ইসবাতুল ওয়াসিয়াহ, ১৪০৯ হি., পৃ. ২৫৯।
  48. নৌবাখতি, ফিরাকুশ শিয়া, ১৩৫৫ হি., পৃ. ৯২।
  49. শেইখ সাদুক, উয়ুনু আখবারির রিযা (আ.), ১৩৭৮ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১৩৫; আরবেলি, কাশফুল গুম্মাহ, ১৪০৫ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৯৮।
  50. শেইখ তুসী, আল-গাইবাহ, ১৩৯৮ হি., পৃ. ১২০-১২২; আরবেলি, কাশফুল গুম্মাহ, ১৩৮১ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪০৪-৪০৭।
  51. শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩১৪-৩২০।
  52. জাফারিয়ান, হায়াতে ফিকরি ওয়া সিয়াসিয়ে ইমামানে শিয়ে, ১৩৮১ ফার্সি সন, পৃ. ৫৩৭।
  53. আশআরী, আল-মাকালাত ওয়াল ফিরাক, ১৩৬০ ফার্সি সন, পৃ. ১০১।
  54. শাহরিস্তানি, আল-মিলাল ওয়ান নিহাল, ১৩৬৪ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ২০০।
  55. মাসউদি, ইসবাতুল ওয়াসিয়াহ, ১৩৮৪ ফার্সি সন, পৃ. ২৫২।
  56. শেইখ তুসী, আল-গাইবাহ, ১৪১১ হি., পৃ. ২৪৬-২৪৭।
  57. শেইখ তুসী, আল-গাইবাহ, ১৪১১ হি., পৃ. ২১৮।
  58. শেইখ তুসী, ইখতিয়ারু মা’রিফাতির রিজাল, ১৪০৯ হি., পৃ. ৫৪১।
  59. শেইখ সাদুক, কামালুদ্দীন, ১৩৯৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২২২।
  60. শেইখ তুসী, ইখতিয়ারু মা’রিফাতির রিজাল, ১৪০৯ হি., পৃ. ৫৪১।
  61. মুদাররেস তাবাতাবায়ী, মাক্তাব দার ফারায়ান্দে তাকামুল, ১৩৭৪ ফার্সি সন, পৃ. ৯৩।
  62. ইবনে আসির, আল-কামিল ফিত তারিখ, ১৩৮৫ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ১৫১।
  63. মাসউদি, ইসবাতুল ওয়াসিয়াহ, ১৪০৯ হি., পৃ. ২০৮।
  64. মাসউদি, ইসবাতুল ওয়াসিয়াহ, ১৪০৯ হি., পৃ. ২০৯।
  65. মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩৩৬।
  66. মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩৩৬।
  67. তুসী, আল-গাইবাহ, ১৪১১ হি., পৃ. ১০৮।
  68. মাসউদি, মুরুজুয যাহাব, ১৩৬৩ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৯৪।
  69. ইবনে আসির, আল-কামিল ফিত তারিখ, খণ্ড ৭, পৃ. ২৩৯-২৪০।
  70. মাসউদি, মুরুজুয যাহাব, ১৩৬৩ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ১০৮।
  71. আবুল ফিদা, আল-মুখতাছার ফী আখবারিল বাশার, মিসর, খণ্ড ২, পৃ. ৪৬।
  72. ইবনুল উমরানি, আল-ইনবা ফী তারিখিল খুলাফা, ২০০১ খ্রি., খণ্ড ১, পৃ. ১৩৮।
  73. ইবনে শাহরে আশুব, মানাকেবু আলে আবি তালিব, ১৩৭৬ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৫২৯।
  74. মাসউদি, ইসবাতুল ওয়াসিয়াহ, ১৪০৯ হি., পৃ. ২৭০; কেশশি, রেজালে কেশশি, ১৩৪৮ ফার্সি সন, পৃ. ৫৬০।
  75. পাকাতচি, "হাসান আসকারি (আ.), ইমাম", পৃ. ৬২৬।
  76. আরবেলি, কাশফুল গুম্মাহ, ১৪২১ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৯৩০।
  77. তুসী, আল-গাইবাহ, ১৪১১ হি., পৃ. ২১৫-২১৬।
  78. রাওয়ান্দী, আল-খারায়িজ ওয়াল জারায়িহ, খণ্ড ১, পৃ. ৪৩৯।
  79. পাকাতচি, "হাসান আসকারি (আ.), ইমাম", পৃ. ৬২৬।
  80. তুসী, আল-গাইবাহ, ১৪১১ হি., পৃ. ২৭২; পাকাতচি, "হাসান আসকারি (আ.), ইমাম", পৃ. ৬২৬।
  81. শেইখ সাদুক, কামালুদ্দীন, ১৩৯০ হি., পৃ. ৪৭৫।
  82. ইবনে শাহরে আশুব, মানাকেবু আলে আবি তালিব, ১৩৭৬ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৫২৭; খানসারি, রওদ্বাতুল জিনান, ১৩৯০ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ২৭৩-২৭৪।
  83. ইবনে শাহরে আশুব, মানাকেবু আলে আবি তালিব, ১৩৭৬ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৫২৬
  84. শেইখ সাদুক, কামালুদ্দীন, ১৩৯০ হি., পৃ. ৪৭৪।
  85. পুর সাইয়্যেদ অ’গ্বায়ী ও অন্যান্যরা, তারিখে আসরে গায়বাত, ১৩৭৯, পৃ. ১৬৮-১৬৯।
  86. দ্র: কুলাইনি, আল-কাফী, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ৩৫।
  87. দ্র: কুলাইনি, আল-কাফী, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৪৫।
  88. মুদাররেসি তাবাতাবায়ী, মাক্তাব দার ফারায়ান্দে তাকামুল, ১৩৭৪ ফার্সি সন, পৃ. ৯৯।
  89. মুদাররেসি তাবাতাবায়ী, মাক্তাব দার ফারায়ান্দে তাকামুল, ১৩৭৪ ফার্সি সন, পৃ. ৯৮-১০০।
  90. উদাহরণস্বরূপ: মাসউদি, ইসবাতুল ওয়াসিয়াহ, ১৪০৯ হি., পৃ. ২৭১।
  91. উদাহরণস্বরূপ: শেইখ সাদুক, কামালুদ্দীন, ১৩৯০ হি., পৃ. ২২২।
  92. উদাহরণস্বরূপ: কেশশি, রেজালে কেশশি, ১৩৪৮ ফার্সি সন, পৃ. ৫৪১।
  93. উদাহরণস্বরূপ: ইবনে শাহরে আশুব, মানাকেবু আলে আবি তালিব, ১৩৭৬ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৫২৭
  94. ইবনে শাহরে আশুব, মানাকেবু আলে আবি তালিব, ১৩৭৬ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৫২৬
  95. কুলাইনি, আল-কাফী, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১০৩।
  96. তুরাইহি, জামেউল মাকাল, ১৩৫৫ ফার্সি সন, পৃ. ১৮৫।
  97. পাকাতচি, "হাসান আসকারি (আ.), ইমাম", পৃ. ৬৩০।
  98. শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৪ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩১৩।
  99. খ’মে ইয়ার, তাখরীবে যিয়ারাতগাহ হায়ে ইসলামি দার কেশভার হায়ে আরাবি, ১৩৯৩ ফার্সি সন, পৃ. ২৯-৩০।
  100. খ’মে ইয়ার, তাখরীবে যিয়ারাতগাহ হায়ে ইসলামি দার কেশভার হায়ে আরাবি, ১৩৯৩ ফার্সি সন, পৃ. ৩০।
  101. আবনা বার্তা সংস্থা: آخرین وضعیت ساخت ضریح حرمین عسکریین(ع)
  102. ইলনা বার্তা সংস্থা ؛ عملیات بازسازی گنبد حرم امامین عسکریین پایان یافت
  103. দ্র: «کتاب‌شناسی امام حسن عسکری(ع)»، پایگاه اطلاع‌رسانی حدیث شیعه؛ «کتاب‌شناسی امام حسن عسکری(ع)»، ‌ইসলামী প্রচার সংস্থার ওয়েবসাইট «کتاب‌شناسی امام حسن عسکری(ع)»، ইমামত কালচারাল ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট।
  104. نگاه کنید به «کتاب‌شناسی امام حسن عسکری(ع)»، ইসলামী প্রচার সংস্থার ওয়েবসাইট।
  105. সালেহী, শেনাখত ওয়া জায়গাহে মাওসুআতুল ইমামিল আসকারি (আ.), পৃ. ৯৯ ও ১০০।
  106. ফাতেমী, "নাকদু মাওসুআতুল ইমামিল আসকারি (আ.)", পৃ. ৮৪।
  107. «فرهنگ جامع سخنان امام حسن عسکری(ع)»، پاتوق کتاب فردا.
  108. شکوه سامرا: مجموعه مقالات درباره امام هادی و امام عسگری علیهما السلام پاتوق کتاب فردا
  109. আল্লামা মাজলিসি, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১৭, পৃ. ৯৫।
  110. শহীদে আওয়াল, আদ-দুররাতুল বাহেরাহ মিনাল আসদাফিত তাহেরাহ, ১৩৭৯ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ৪৭।
  111. হাররানি, ইবনে শোবে, তুহাফুল উকুল, ১৪০৪ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৪৮৮।
  112. আল্লামা মাজলিসি, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৭৫, পৃ. ১১৭।
  113. আল্লামা মাজলিসি, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৭৮, পৃ. ৩৭৩।

গ্রন্থপঞ্জি

  • ইবনুল উমরানি, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, আল-ইনবা ফী তারিখিল খুলাফা, মুহাক্কেক, কাসেম আস-সামেরাঈ, কায়রো, দারুল আফাকিল আরাবি, ২০০১ খ্রি.।
  • ইবনে আবি সালাজ, তারিখুল আয়িম্মা, দার মাজমুয়ে নাফিসে, কোম, ১৩৯৬ হি.।
  • ইবনে আসির, আলি ইবনে আবিল কারিম, আল-কামিল ফিত তারিখ, (কার্লোস ইয়োহানস টুরেনবার্গ), লিডেন, ১৮৫১-১৮৭১ খ্রি.।
  • ইবনে হাতাম আমেলি, ইউসুফ, আদ-দুরারুত তানযীম, কোম, মুআসসিসাতুন নাশরিল ইসলামি।
  • ইবনে হাযম, আলী, জুমহারাতু আনসাবিল আরাব, আব্দুস সালাম মুহাম্মাদ হারুনের প্রচেষ্টায় রচিত, কায়রো, ১৯৮২ খ্রি.
  • ইবনে হামযাহ তুসি, মুহাম্মাদ ইবনে আলি, আস-সাকিব ফিল মানাকেব, কোম, আনসারিয়ান পাবলিকেশন্স, ১৪১৯ হি.।
  • ইবনে খাল্লিকান, সামসুদ্দিন ইবনে আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ, ওয়াফিয়াতিল আইয়ান ওয়া আনবা-ই আবনা-ইয যামান, তাহকীক: এহসান আব্বাস, বৈরুত, দারু সাদের, ১৯৭১-১৯৭২ খ্রি.।
  • ইবনে রুসতাম তাবারি, মুহাম্মাদ ইবনে জারির, দালায়িলুল ইমামাহ, কোম, বে’সাত, ১৪১৩ হি.।
  • ইবনে শোবে হাররানি, হাসান, তুহাফুল উকুল আন আলির রাসূল (স.), তাসহীহ ও তা’লিক: আলি আকবার গাফ্ফারি, কোম, মুয়াসেসেতুন নাশরিল ইসলামি, ১৪০৪ হি., ১৩৬৩ ফার্সি সন।
  • ইবনে শাহরে আশুব, মানাকেবু আলি আবি তালিব, নাজাফ, ১৩৭৬ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৫২৩।
  • ইবনে সাব্বাগ, আলী, আল-ফুসুলুল মুহিম্মাহ (সামি আযিযের প্রচেষ্টায় প্রকাশিত), কোম, ১৩৭৯ হি.।
  • আবুল ফিদা, ইসমাঈল ইবনে আলী, আল-মুখতাছার ফী আখবারিল বাশার, মিসর, আল-মাতবাআতুল হুসাইনিয়্যাতিল মিসরিয়্যাহ।
  • আশআরি, সাআদ ইবনে আব্দুল্লাহ, আল-মাকালাত ওয়াল ফিরাক, সংশোধন; মুহাম্মাদ জাওয়াদ মাশকুর, তেহরান, এন্তেশারাতে ইলমি ফারহাঙ্গি, ১৩৬০ ফার্সি সন।
  • সাইয়্যেদ ইবনে তাউস, আলী ইবনে মুসা, আল-ইকবালু বিল-আ’মালিল হাসানাহ, জাওয়াদ কাইয়্যুমি’র প্রচেষ্টায় প্রকাশিত, কোম, মাকতাবুল এ’লামিল ইসলামি, ১৪১৪ হি.।
  • সামআনি, আব্দুল কারিম ইবনে মুহাম্মাদ, আল-আনসাব, তাহকীক: আব্দুর রাহমান ইবনে ইয়াহিয়া, হায়দ্রাবাদ, মাজলিসু দায়িরাতুল মাআরিফিলি উসমানিয়াহ, ১৯৬২ খ্রি./১৩৮২ হি.।
  • শহীদে আওয়াল, আদ-দুররাতুল বাহেরাহ মিনাল আসদাফিত তাহেরাহ, অনুবাদ: আব্দুল হাদী মাসউদি, কোম, যায়ের প্রকাশনী, প্রথম প্রকাশ ১৩৭৯ ফার্সি সন।
  • ইবনে তালহা, মুহাম্মাদ, মাতালিবুস সুউল, নাজাফ, ১৯৫১ খ্রি./১৩৭১ হি.।
  • আবুল মুআলি বালখি, মুহাম্মাদ, বায়ানুল আদইয়ান, তেহরান, রৌযানেহ, ১৩৭৬ ফার্সি সন।
  • আরবেলি, আলী ইবনে ঈসা, কাশফুল গুম্মাহ ফী মা’রিফাতিল আইম্মাহ, তাবরিয, বানি হাশিম প্রকাশনী, প্রথম প্রকাশ ১৩৮১ হি.।
  • আরবেলি, আলী ইবনে ঈসা, কাশফুল গুম্মাহ ফী মা’রিফাতিল আইম্মাহ, বৈরুত, দারুল আদ্বওয়া’, ১৪০৫ হি.।
  • আরবেলি, আলী ইবনে ঈসা, কাশফুল গুম্মাহ ফী মা’রিফাতিল আইম্মাহ, কোম, রাযি, ১৪২১ হি.।
  • আমিন, মুহসিন, আইয়ানুশ শিয়া, দারুত তাআরীফ, ১৪০৩ হি.।
  • পাকাতচি, আহমাদ, হাসান আসকারি (আ.), ইমাম, দার দাএরাতুল মাআরেফে বোযোর্গে ইসলামি, খণ্ড ২০, তেহরান, মারকাযে দাএরাতুল মাআরেফে বোযোর্গে ইসলামি, ১৩৯১ ফার্সি সন।
  • পুর সাইয়্যেদ অ’গ্বায়ী ও অন্যান্যরা, তারিখে আসরে গায়বাত, কোম, মোআসসেসেয়ে ফারহাঙ্গি এন্তেশারাতি হুযুর, প্রথম প্রকাশ, ১৩৭৯ ফার্সি সন।
  • জাফারিয়ান, রাসূল, হায়াতে ফিকরি ওয়া সিয়াসিয়ে ইমামানে শিয়ে, কোম, আনসারিয়ান পাবলিকেশন্স, ১৩৮১ ফার্সি সন।
  • হুসাইন আব্দুল ওয়াহাব, উয়ূনুল মু’জিযাত, নাজাফ, আল-মাতবাআতুল হায়দারিয়াহ, ১৩৬৯ হি.।
  • খ’মে ইয়ার, আহমাদ, তাখরীবে যিয়ারাতগাহ হায়ে ইসলামি দার কেশভার হায়ে আরাবি, কোম, দারুল ই’লাম লি-মাদরাসাতি আহলিল বাইত (আ.), ১৩৯৩ ফার্সি সন।
  • খাযআলী, আল-ইমাম আল-আসকারী আলাইহিস সালাম, কোম, মোআসসেসেয়ে ভালি আসর আজ্জালাল্লাহু তাআলা ফারাজাহুশ শারিফ, প্রথম প্রকাশ, ১৪২৬ হি.।
  • খুছাইবি, হুসাইন ইবনে হামদান, আল-হিদায়াতুল কুবরা, বৈরুত, মুআসসিসাতুল বালাগ, ১৪১৯ হি.।
  • খানসারি, মুহাম্মাদ বাকের, রওদ্বাতুল জিনান ফী আহওয়ালিল উলামা-ই ওয়াস সাদাতা, কোম, ইসমাঈলিয়ান, ১৩৯০ ফার্সি সন।
  • যাহাবি, মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ, সিয়ারু আ’লামিন নুবালা, বৈরুত, মুআসসিসাতুর রিসালাহ, ১৪০৫ হি./১৯৮৫ খ্রি.।
  • যারান্দি, জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ, মাআরিজুল উসুল ইলা মা’রিফাতি ফাদ্বলি আলির রাসূল (স.), মাজিদ আতিয়াহ’র প্রচেষ্ঠায় প্রকাশিত, কোম, এন্তেশারাতে আমেরি।
  • সিবতে ইবনে জাওযি, তাযকিরাতুল খাওয়াছ, নাজাফ, ১৯৬৪ খ্রি./১৩৮৩ হি.।
  • সুলাইমিয়ান, খোদামুরাদ, দারস ন’মেয়ে মাহদাভিয়াত, হাযরাত মাহদি আয বেলাদাত তা ইমামত, কোম, বুনিয়াদে ফারহাঙ্গিয়ে মাহদিয়ে মওউদ, ১৩৮৯ ফার্সি সন।
  • শাবলাঞ্জি, মু’মিন ইবনে হাসান, নূরুল আবসার ফী মানাকিবি আলি বাইতিন নাবিয়্যিল মুখতার, আব্দুল আযিয সালমানের প্রচেষ্ঠায় প্রকাশিত, কায়রো, মাকতাবাতুত তাওফিকিয়াহ।
  • শেইখ সাদুক, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, কামালুদ্দীন ওয়া তামামুন নি’মাহ, আলী আকবার গাফফারির প্রচেষ্টায় রচিত, তেহরান, ১৩৯০ হি.।
  • শেইখ তুসী, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, তাহযীবুল আহকাম, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়াহ, তেহরান, ১৪০৭ হি.।
  • শেইখ তুসী, ইখতিয়ারু মা’রিফাতির রিজাল (রিজালে কেশশি), মাশহাদ, মাশহাদ ইউনিভার্সিটি প্রকাশনী, ১৪০৯ হি.।
  • শেইখ তুসী, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, আল-গাইবাহ, আব্দুল্লাহ তেহরানি ও আলী আহমাদ নাসেহে’র প্রচেষ্টায় প্রকাশিত, কোম, মুআসসিসসাতুল মাআরিফিল ইসলামিয়াহ, ১৪১১ হি.।
  • শেইখ তুসী, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, আল-গাইবাহ, তেহরান, মাকতাবাতুন নাইনাভা, ১৩৯৮ হি.।
  • শেইখ তুসী, আল-গাইবাহ, কোম, দারুল মাআরিফিল ইসলামিয়াহ, ১৪১১ হি.।
  • শেইখ তুসী, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, মিসবাহুল মুজতাহিদ, তেহরান, ১৩৩৯ হি.।
  • শেইখ মুফিদ, মুহাম্মাদ ইবনে মুহাম্মাদ, আল-ইরশাদ ফি মা’রিফাতি হুজাজিল্লাহি আলাল ইবাদ, কোম, মুআসসিসাতু আহলিল বাইত লি-ইহিয়াইত তুরাস, ১৪১৪ হি.।
  • শেইখ মুফিদ, মুহাম্মাদ ইবনে মুহাম্মাদ, মাসারুশ শিয়া, তাহকীক: মাহদি নাজাফি, বৈরুত, দারুল মুফিদ, প্রথম প্রকাশ, ১৪১৪ হি.।
  • শাহরিস্তানি, মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল কারিম, আল-মিলাল ওয়ান নিহাল, কোম, আশ-শারিফ আর-রাযী, ১৩৬৪ ফার্সি সন।
  • সালেহি, আব্দুল্লাহ, শেনাখত ওয়া জায়েগাহে মওসুআতুল ইমামিল আসকারি (আ.), কাওসার সাংস্কৃতিক বিষয়ক পত্রিকা, সংখ্যা ৬০, ১৩৮৩ ফার্সি সন, শীতকাল।
  • তাবারসী, ফাযল ইবনে হাসান, তাজুল মাওয়ালিদ, মাজমুয়েয়ে নাফিসেহ, কোম, ১৩৯৬ হি.।
  • তাবারসী, ফাযল ইবনে হাসান, এ’লামুল ওয়ারা বি-আ’লামিল হুদা, কোম, আলুল বাইত, ১৪১৭ হি.।
  • তাবাসী, মুহাম্মাদ জাওয়াদ, হায়াতুল ইমামিল আসকারি (আ.), কোম, মোআসসেসেয়ে বুস্তানে কিতাব, তৃতীয় সংস্করণ, ১৩৮২ ফার্সি সন।
  • তুরাইহি, ফাখরুদ্দীন, জামেউল মাকাল ফীমা ইয়াতাআল্লাকু বি-আহওয়ালিল হাদীসি ওয়ার রিজাল, মুহাম্মাদ কাযেম তুরাইহি’র প্রচেষ্টায় প্রকাশিত, তেহরান, ১৩৫৫ ফার্সি সন।
  • আমেলি, জাফার মুর্তাযা, আস-সাহীহ মিন সিরাতিন নাবীয়্যিল আ’যাম, কোম, দারুল হাদীস, ১৪২৬ হি.।
  • আল্লামা মাজলিসি, বিহারুল আনওয়ার, বৈরুত, মোআসসেসেয়ে ওয়াফা, ১৪০৩ হি.।
  • ফাতেমি, সাইয়্যেদ হাসান, নাকদে মওসুআতুল ইমামিল আসকারি (আ.), আইনিয়ে পেঝুহেশ পত্রিকা, সংখ্যা ১০৩, ১৩৮৬ ফার্সি সন, ফারভারদিন ও উর্দিবেহেশত।
  • ফাখরুদ্দীন রাযী, মুহাম্মাদ ইবনে উমার, আশ-শাজারাতুল মুবারাকাহ, কোম, মাকতাবাতু আয়াতুল্লাহ মারআশি নাজাফি, ১৪০৯ হি.।
  • ফারহাঙ্গে জামেয়ে সুখানানে ইমাম হাসান আসকারি (আ.), পাতুকে কিতাবে ফারদা, ভিসিটের তারিখ: ৯ অক্টোবর ২০২১।
  • কুতবুদ্দীন রাওয়ান্দী, সাঈদ ইবনে আব্দিল্লাহ, আল-খারায়িজ ওয়াল জাওয়ারিহ, কোম, মোআসসেসেয়ে ইমাম মাহদী (আ. ফা.), প্রথম প্রকাশ, ১৪০৯ হি.।
  • কেশশি, মুহাম্মাদ ইবনে উমার, রিজালুল কেশশি (ইখতিয়ারু মা’রিফাতির রিজাল), মাশহাদ, মাশহাদ ইউনিভার্সিটি, ১৩৪৮ ফার্সি সন।
  • কুলাইনি, মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব, আল-কাফি, তাহকীক: আলী আকবার গাফফারী ও মুহাম্মাদ আখুন্দি, তেহরান, ইন্তিশারাতুল ইসলামিয়াহ, ১৪০৭ হি.।
  • মাসউদি, আলী ইবনে হুসাইন, ইসবাতুল ওয়াসিয়াহ লি-ইমাম আলী ইবনি আবি তালিব, বৈরুত, দারুল আদ্বওয়া, ১৪০৯ হি.
  • মাসউদি, আলী ইবনে হুসাইন, ইসবাতুল ওয়াসিয়াহ লি-ইমাম আলী ইবনি আবি তালিব, কোম, আনসারিয়ান পাবলিকেশন্স, ১৪২৬ হি.।
  • মাসউদি, আলী ইবনে হুসাইন, মুরুজুয যাহাব, কোম, দারুল হিজরাহ, দ্বিতীয় প্রকাশ, ১৩৬৩ হি. ও মিসর, ১৩৬৪ হি.।
  • মাকদেসী, ইয়াদুল্লাহ, বাযপেঝুহিয়ে তারিখে বেলাদাত ওয়া শাহাদাতে মা’সুমান, কোম, পেঝুহেশগাহে উলুম ওয়া ফারহাঙ্গে ইসলামি, ১৩৯১ ফার্সি সন।
  • নৌবাখতি, হাসান ইবনে মুসা, ফিরাকুশ শিয়া, তাসহীহ: সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ সাদেক আলে বাহরুল উলুম, নাজাফ, আল-মাকতাবাতুল মুতার্যাভিয়্যাহ, ১৩৫৫ হি.।