আহলে বাইত (আ.)

wikishia থেকে

আহলে বাইত (أهل البیت); মহানবি (স.)-এর বংশ (পরিবার, খান্দান); শিয়া গ্রন্থাদির সাক্ষ্যানুযায়ী তারা হলেন ১৪ মাসুম। আহলে বাইতের অন্যান্য দৃষ্টান্তও উল্লেখিত হয়েছে; যেমন- আসহাবে কিসানবিপত্নিগণ। শিয়া সূত্রসমূহে আহলে বাইত (আ.)-এর বিভিন্ন ফযিলত, গুণাবলি ও অধিকার বর্ণিত হয়েছে। শিয়া আকিদার ভিত্তিতে, আহলে বাইত ইসমাত (নিষ্পাপত্ব) নামক মাকামের অধিকারী এবং হযরত মুহাম্মাদ (স.)-এর সকল সাহাবী এমনকি আল্লাহর সকল সৃষ্টির চেয়ে শ্রেষ্ঠ। মুসলিম সমাজের নেতৃত্ব ও বেলায়াত তাদের কাঁধে; অতএব, মুসলমানদের উচিত যাবতীয় ধর্মীয় শিক্ষায় আহলে বাইতকে নিজেদের মারজা (যে কোন বিষয়ে জানার জন্য শরণাপন্ন হওয়া যায় এমন ব্যক্তি) মনে করা এবং তাঁদেরকে অনুসরণ করা। একইভাবে শিয়া সূত্রের ভিত্তিতে, আহলে বাইত (আ.)-এর প্রতি মাওয়াদ্দাত (ভালোবাসা) পোষণ করা সকল মুসলমানের জন্য ওয়াজিব করা হয়েছে। রেওয়ায়েতে তাদেরকে ইসলামের ভিত্তি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আয়াতে তাতহীর, আয়াতে মাওয়াদ্দাত এবং হাদীসে সাকালাইন, হাদীসে সাফিনাহহাদীসে আমান ইত্যাদি আয়াত ও প্রসিদ্ধ রেওয়ায়েত আহলে বাইতের ফযিলতে বর্ণিত হয়েছে। আহলে বাইত কারা এবং কয়জন এ বিষয়ে আহলে সুন্নত শিয়াদের সাথে ভিন্ন মত পোষণ করলেও তাদের বেশীরভাগই আসহাবে কিসা’কে আহলে বাইতের বাস্তব দৃষ্টান্ত বলে বর্ণনা করেছেন এবং তাদের শানে বিভিন্ন ফযিলতও বর্ণনা করেছেন; সেগুলোর মধ্যে আহলে বাইতের প্রতি ভালোবাসার আবশ্যকতা, তাদের প্রতি অসন্তুষ্টি ও শত্রুতা পোষণ হারাম হওয়া, আসহাবে কিসা’র ফযিলত ও শ্রেষ্ঠত্ব, তাদের ইলমি মারজাইয়্যাত ও ইসমাত (নিষ্পাপত্ব) ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। মুসলিম মনীষীরা আহলে বাইত (আ.) সম্পর্কে বহু গ্রন্থ আরবি, ফার্সি, উর্দু ও ইংরেজিসহ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় রচনা করেছেন। বাকের শারিফ কারাশি কর্তৃক ৪০ খণ্ডে প্রণীত ‘মাওসুআতু সিরাতি আহলিল বাইত আলাইহিমুস সালাম’, সাইয়্যেদ আলী আশুর কর্তৃক ২০ খণ্ডে প্রণীত ‘মওসুআতু আহলিল বাইত আলাইহিমুস সালাম’, জাফার সুবহানী প্রণীত ‘আহলুল বাইত আলাইহিমুস সালাম সিমাতুহুম ওয়া হুকুকুহুম ফিল কুরআনিল কারিম’ ইত্যাদি। বাংলা ভাষাতেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রন্থ প্রণীত ও অনূদিত হয়েছে। এছাড়া অসংখ্য কবিতা এবং সাহিত্য লেখনি ও শিল্পকর্ম আহলে বাইত (আ.) সম্পর্কে রচিত হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁদের নামে নামকরণ করা হয়েছে বহু শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নাম।

গুরুত্ব ও তাৎপর্য

ইসলামের প্রথম যুগ থেকে আজ অবধি একদল নাসেবি ব্যতীত মুসলমানরা সকলে আহলে বাইত (আ.)-কে ভালবেসেছেন এবং ইলম ও আমলে তাদের সুউচ্চ মাকামকে গ্রহণ করেছেন; কিন্তু মুসলিম মাযহাবসমূহের মাঝে শুধু শিয়ারাই আহলে বাইত (আ.)-এর অনুসারী হিসেবে পরিচিতি ও প্রসিদ্ধি পেয়েছে।[১] আহলে বাইতের প্রতি বিশেষ আকিদা পোষণ ও তাদেরকে অনুসরণ করার কারণে শিয়া মাযহাকে আহলে বাইত (আ.)-এর মাযহাব নামে নামকরণ করা হয়েছে।[২] একইভাবে ফিকহে শিয়াকে ‘ফিকহে আহলে’ বাইত নামে স্মরণ করা হয়।[৩]

মহানবি (স.)-এর সুন্নতের (তাঁর কাজ, কথা ও সমর্থন) গুরুত্ব ও অকাট্য দলীল হওয়ার বিষয়ে শিয়া ও আহলে সুন্নত উভয়ের মতৈক্য রয়েছে। তারা উভয়েই সুন্নতে নববিকে শরয়ী আহকাম অন্বেষণের গুরুত্বপূর্ণ সূত্র বলে জ্ঞান করে থাকে; তবে আহলে সুন্নতের বিপরীতে শিয়ারা বিভিন্ন আয়াত ও হাদীসের ভিত্তিতে আহলে বাইত (ইমামগণহযরত ফাতেমা যাহরা)-এর সুন্নতকেও হুজ্জাত (অকাট্য দলীল) এবং শরয়ী আহকাম ইস্তেখরাজের সূত্রগুলোর অন্যতম বলে মনে করে।[৪] শিয়াদের আকিদা হল, আহলে বাইতের মাযহাবে যে ইসলামের পরিচয় করানো হয়েছে সেটাই প্রকৃত, পরিপূর্ণ ও জামে (প্রয়োজনীয় সবকিছুর ধারক) ইসলাম।[৫]

শিয়া ও আহলে সুন্নতের বিভিন্ন সূত্রে বহুসংখ্যক রেওয়ায়েত আহলে বাইত (আ.)-এর ফযিলত, বৈশিষ্ট্য ও অধিকার সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে।[৬] মহানবি (স.) বহুবার আহলে বাইতকে সম্মান এবং তাদের বিষয়গুলোতে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা প্রসঙ্গে মুসলমানদের প্রতি তাগিদ দিয়েছেন।[৭]

শিয়া ও সুন্নি নির্বিশেষে মুসলমানরা বহুসংখ্যক গ্রন্থ ও প্রবন্ধ আরবি, ফার্সি, উর্দু ও ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষায় রচনা করেছে।[৮] উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রন্থ বাংলা ভাষায়ও রচিত ও অনূদিত হয়েছে। মুসলমানরা বিশেষতঃ শিয়ারা সর্বযুগে আহলে বাইত (আ.)-এর প্রতি নিজেদের ভালোবাসা ও অনুরাগের প্রকাশ ঘটিয়েছেন বিভিন্নভাবে; যেমন-তাদের শোকের দিনগুলোতে আযাদারী ও শোকানুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে[৯] এবং তাদের খুশির দিনগুলোতে আনন্দ মাহফিল আয়োজনের মাধ্যমে। আহলে বাইত (আ.) কেন্দ্রীক বিভিন্ন শিল্পকর্ম তৈরি হয়েছে এবং লেখা হয়েছে বহু কবিতা ও গদ্য।

আহলে বাইত (আ.) সম্পর্কে যে সকল প্রসিদ্ধ কবিতা রচিত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ফেরদৌসি[১০], শেখ সাদি[১১] এবং আহলে সুন্নতের প্রসিদ্ধ ৪ মাযহাবের মধ্যে শাফেয়ী মাযহাবের ইমাম ‘ইমাম শাফেয়ী’র কবিতা উল্লেখযোগ্য; ইমাম শাফেয়ী লিখেছেন- (یا أهلَ بیتِ رسولِ الله حُبُّکُم فَرضٌ مِنَ اللّهِ فِی القُرآنِ أنزَلَهُ) ‘হে আল্লাহর রাসুলের আহলে বাইত! তোমাদের প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ফরয করা হয়েছে; যা কুরআনে অবতীর্ণ হয়েছে।’[১২]

ইসলামের প্রথম যুগ থেকে নিজেদের সন্তানদের নাম আহলে বাইতের সদস্যদের নামে নামকরণ করা ছিল মুসলমানদের মাঝে প্রচলিত একটি বিষয়; যার প্রচলন আজও রয়েছে।[১৬] এছাড়াও, মুসলমানরা আহলে বাইত (আ.)-এর প্রত্যেক সদস্যের নামে আলাদা আলাদাভাবে বহুসংখ্যক কেন্দ্র ও সংস্থার নামকরণ করেছে; যেমন- তেহরানে অবস্থিত আহলে বাইত ইউনিভার্সিটি,[১৩] জর্ডানে অবস্থিত আলুল বাইত বিশ্ববিদ্যালয়[১৪] এছাড়া বিভিন্ন সংস্থা যেমন- আহলে বাইত (আ.) বিশ্বসংস্থা,[১৫] বিভিন্ন মসজিদ,[১৬] আহলে বাইত (আ.)-এর সদস্যগণের নামে নামকরণ করা হয়েছে।

পরিভাষা পরিচিতি

আলী রাব্বানী গুলপায়গানী’র ভাষ্যানুযায়ী শিয়া সূত্রসমূহে আহলে বাইত শব্দটি যদি কোন কারিনা (কোন কিছু প্রমাণকারী চিহ্ন বা নিদর্শন) ও ইঙ্গিত ছাড়াই ব্যবহার হয়, সেক্ষেত্রে মহানবি (স.)-এর আত্মীয়দের একটি বিশেষ দলকে বোঝায়; যাঁরা বিশেষ মাকাম ও মানযিলাতের অধিকারী। আর তাদের কথা ও আচরণ সত্যের মানদণ্ড এবং সত্যের পথে নির্দেশক।[১৭]

রাগেব ইসফাহানীর মতে ‘আহলে বাইত’ শব্দটি মুতলাক ও নিরঙ্কুশ ভাবে (এবং কোনরূপ কয়েদ ও শর্ত ছাড়া) ব্যবহৃত হলে তা দ্বারা মহানবি (স.) এর খান্দান ও বংশকে বোঝাবে, আর এ পরিভাষার মাধ্যমে তাদের প্রসিদ্ধি রয়েছে।[১৮] কুরআনিক সায়েন্স বিষয়ক গবেষক ও বিশিষ্ট মুফাসসির হাসান মুস্তাফাভি ও বিশিষ্ট হাদীস গবেষক মুহাম্মাদ মুহাম্মাদি রেই শাহরি’র মতে ‘আহল’ শব্দের প্রকৃত ও জামে (جامع) অর্থ হল, কোন কিছু বা কারও সাথে কোন ব্যক্তির ঘনিষ্টতা ও সম্পর্কের ফলে তাকে ঐ ব্যক্তির আহল বলা হয়। এক্ষেত্রে ঘনিষ্টতার তীব্রতা ও ক্ষীণতার বিভিন্ন স্তর রয়েছে। পত্নি, সন্তানগণ, নাতি-নাতনি ও জামাতা সকলে আহলের অন্তর্ভুক্ত।[১৯] একইভাবে প্রত্যেক নবির উম্মতকে তার আহল এবং বাড়ি ও শহরের বাসিন্দাও আহল হিসেবে গন্য হয়।[২০]

অভিধানে আহলে বাইত অর্থ ‘গৃহের বাসিন্দা’ বলা হয়েছে;[২১] তবে হাসান মুস্তাফাভি ‘বাইত’ শব্দটিকে বাড়ি অর্থে নয় বরং পরিবার অর্থে জেনেছেন।[২২]

আহলে বাইত কারা?

আহলে বাইত কারা -এ বিষয়ে শিয়া ও সুন্নি আলেমগণ বিভিন্ন দৃষ্টান্ত উল্লেখ করেছেন:

আসহাবে কিসা

ফাযল ইবনে তাবারসীর বর্ণনার ভিত্তিতে এ বিষয়ে মুসলমানদের মাঝে ইজমা রয়েছে যে, আয়াতে তাতহীরে আহলে বাইত বলতে আল্লাহর রাসূল (স.)-এর আহলে বাইতকে বোঝানো হয়েছে। আর উভয় মাযহাবের [নোট ০১] বিভিন্ন গ্রন্থে বর্ণিত হাদীসের ভিত্তিতে এবং শিয়াদের দৃষ্টিতে উক্ত আয়াত মহানবি (স.), আলী (আ.), ফাতেমা (সা. আ.), হাসান ও হুসাইন (আলাইহিমাস সালাম)-এর সাথে সম্পৃক্ত।[২৩] আয়াতে তাহীরের তাফসীরে আল্লামা তাবাতাবাঈ বলেছেন, কুরআনের ভাষায় ‘আহলে বাইত’ একটি ইসমে খাছ (বিশেষ নাম); যা শুধু ৫ জনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যদিও সার্বিকভাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সকল আত্মীয়-স্বজনের বেলায়ও ব্যবহার করা যায়।[২৪] হাসান মুস্তাফাভি’র দৃষ্টিতে, আয়াতে তাতহীরে আহলে বাইত শব্দের মধ্যে স্বয়ং মহানবিও (স.) অন্তর্ভুক্ত; কেননা কিছু কিছু মুফাসসিরের মত হল আহলে বাইত শব্দটি ‘রাসুলুল্লাহ’ শব্দের সাথে সাথে এযাফা হয় নি।[২৫]

চৌদ্দ মাসুম

রব্বানি গুলপায়গানী’র মতে, শিয়া গ্রন্থাদিতে যখনই আহলে বাইত শব্দটি কোন কারিনা (কোন কিছু প্রমাণকারী চিহ্ন বা নিদর্শন) ও ইঙ্গিত ছাড়া ব্যবহৃত হবে তখন এর অর্থ হলো মহানবি (স.)-এর আত্মীয়দের মধ্য থেকে বিশেষ ব্যক্তিবর্গ; যারা ইসমাত শীর্ষক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী; আর বিভিন্ন আয়াত ও হাদীসের ভিত্তিতে তারা হলেন চৌদ্দ মাসুম[২৬] কিছু কিছু রেওয়ায়েতে শিয়াদের সকল ইমামকেই আহলে বাইতের মিসদাক (দৃষ্টান্ত) বলে পরিচয় করানো হয়েছে।[২৭] যেমন একটি হাদীসে বলা হয়েছে, পয়গম্বর (স.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো: ‘আপনার আহলে বাইত কারা?’ তিনি (স.) উত্তরে বললেন: আলী, আমার দুই সন্তান হাসান ও হুসাইন এবং হুসাইনের বংশধারায় অপর ৯ জন ইমাম।[২৮]

বলা হয়েছে যে, ইমামিয়া শিয়া ও আহলে সুন্নতের বহুসংখ্যক আলেমের বিশ্বাস, শিয়াদের সকল ইমাম মহানবি (স.)-এর আহলে বাইতের অন্তর্ভুক্ত।[২৯] মুহাম্মাদ মুহাম্মাদি রেই শাহরি’র মতে, আয়াতে তাতহীরের বাচনভঙ্গী ও বিষয়বস্তু এবং নিজের আহলে বাইতকে পরিচয় করাতে মহানবি (স.) কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহসহ অন্যান্য সাক্ষ্য-প্রমাণ বিবেচনায়, নিঃসন্দেহে উক্ত আয়াতে আহলে বাইত বলতে মহানবি (স.)-এর বংশ ও আত্মীয়দের বিশেষ একটি দলকে বোঝানো হয়েছে; তাঁর (স.) পর উম্মতের হেদায়েত ও নেতৃত্বের ভার যাদের উপর অর্পিত হয়েছে।[৩০]

নবিপত্নিগণ

আহলে সুন্নতের কিছু কিছু মুফাসসিরের মতে, আয়াতে তাতহীরে উল্লিখিত আহলে বাইত হলেন শুধুমাত্র মহানবি (স.)-এর স্ত্রীগণ।[৩১] তাদের কেউ কেউ পাঞ্জাতন ও নবিপত্নিগণকে আয়াতে তাতহীরে উল্লেখিত আহলে বাইত বলে জ্ঞান করেন।[৩২]

যাইদ ইবনে আলী থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, যদি আয়াতে তাতহীরে আহলে বাইত বলতে (শুধু) নবিপত্নিগণ হতেন তবে আয়াতের ঐ অংশে পুংবাচক সর্বনামের পরিবর্তে স্ত্রীবাচক সর্বনাম ব্যবহার হওয়া ছিল বাঞ্ছনীয়।[৩৩] এছাড়াও বলা হয়েছে, পুংবাচক সর্বনামের ব্যবহার, বিভিন্ন রেওয়ায়েত, নবিপত্নিগণ সংশ্লিষ্ট আয়াতের অংশের বাচনভঙ্গী এবং আয়াতে তাতহীরের বাচনভঙ্গী আলাদা হওয়াসহ আরও বেশ কিছু দলীলের ভিত্তিতে নবিপত্নিগণ উক্ত আয়াতের শামিল নন। [৩৪]

বংশগত আত্মীয়, যাদের উপর সদকা হারাম

আহলে সুন্নতের কিছু কিছু হাদীসে মহানবি (স.)-এর সকল নাসাবি আত্মীয় যাদের উপর সদকা হারাম -যেমন আলীর বংশধর, আকীলের বংশধর, আব্বাসের বংশধর ও জাফরের বংশধর- তাদেরকেও আহলে বাইতের অন্তর্ভুক্ত বলে গন্য করা হয়েছে।[৩৫]

সত্যবাদি মু’মিনগণ

কিছু কিছু রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে, আহলে বাইত হলেন ঐ সকল মুসলমান যারা মহানবি (স.)-এর অনুসরণে সত্যবাদী এবং অনড় ছিলেন; তাই তারা মহানবি (স.)-এর আত্মীয় হোক বা না হোক।[৩৬] আবার কিছু কিছু হাদীসের ভিত্তিতে, মহানবি (স.) সালমানে ফার্সি[৩৭]আবুযার গিফারিকেও[৩৮] নিজের আহলে বাইত বলে উল্লেখ করেছেন। ইমাম সাদিক (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, সকল পরহেজগার ও সৎকর্মশীল ব্যক্তি আমাদের আহলে বাইত থেকে।[৩৯]

আহলে বাইতের ফযিলত

বিভিন্ন আয়াত ও হাদীসে আহলে বাইত সম্পর্কে বিভিন্ন ফযিলত বর্ণিত হয়েছে।[৪০] মুহাম্মাদি রেই শাহরি’র দৃষ্টিতে, আহলে বাইতের ফযিলত ও গুণাবলী বর্ণনার সবচেয়ে পরিপূর্ণ এবারত (টেক্সক্ট) হল যিয়ারতে জামেয়াহ কাবিরা[৪১] ঐ যিয়ারতে বর্ণিত কিছু কিছু ফযিলত হলো:

ইসমাত

জাফার সুবহানীর[৪২] ভাষ্যমতে, শিয়া আলেমগণ[৪৩] সূরা আহযাবের ৩৩নং আয়াতটি -যা আয়াতে তাতহীর নামে প্রসিদ্ধ- আহলে বাইতের মাসুম (নিষ্পাপ) হওয়ার সপক্ষে দলীল হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। এ আয়াতের -‘আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে হে (নবীর ) আহলুল বাইত (পরিবার)! সব ধরণের কলুষতা ও পাপ পঙ্কিলতা (রিজস) দূরে রাখতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে।’- ভিত্তিতে এ কারণেই আয়াতটি আহলে বাইতের ইসমাত সংশ্লিষ্ট এবং এ বিষয়টির প্রতি নির্দেশক।[৪৪]

একইভাবে হাদীসে সাকালাইনকেও[৪৫] -যা মুতাওয়াতির হাদীসগুলোর অন্তর্ভুক্ত[৪৬]- আহলে বাইত তথা মহানবি (স.)-এর ইতরাতের নিষ্পাপ হওয়ার দলীল হিসেবে গন্য করা হয়েছে; কেননা হাদীসে কুরআন ও আহলে বাইত (আ.)-এর পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন না হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। এ কারণে তাদের পক্ষ থেকে কোনপ্রকার গুনাহ বা ভুল সংঘটিত হওয়া কুরআন থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণ হয়।[৪৭] এছাড়া বলা হয়েছে, এ হাদীসে আল্লাহর রাসূল (স.) বলেছেন, যে-ই কুরআন ও আহলে বাইতকে আঁকড়ে ধরবে সে পথভ্রষ্ট হবে না। অতএব, যদি আহলে বাইত মাসুম তথা পাপ ও ভুলের উর্ধ্বে না হয়ে থাকেন, তাহলে শর্তহীনভাবে তাদেরকে আঁকড়ে ধরাটাই হবে বিচ্যুতি ও পথভ্রষ্টতার কারণ।[৪৮]হাদীসে সাফিনাহ হল আরও একটি হাদীস; যেটাকে আহলে বাইত (আ.)-এর নিষ্পাপত্ব প্রমাণে দলীল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।[৪৯]

আহলে বাইতের শ্রেষ্ঠত্ব

শেইখ সাদুক বলেন, শিয়াদের আকিদা হল মহানবি (স.) ও তাঁর আহলে বাইত হলেন মহান আল্লাহর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ, প্রিয় ও সম্মানিত বান্দা এবং মহান আল্লাহ্ আসমান ও জমিন, বেহেশতজাহান্নামসহ অপর সকল সৃষ্টি তাদের জন্যই সৃষ্টি করেছেন।[৫০] আল্লামা মাজলিসীর মতে, যে কেউই হাদীস ও রেওয়ায়েতে অনুসন্ধান ও গবেষণা করবে নিশ্চিতভাবে সে হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ও আইম্মাগণ (আ.)-এর শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়টি স্বীকার করবে এবং শুধু হাদীস ও আখবারের বিষয়ে অজ্ঞাত ও মূর্খ ব্যক্তিরাই তাঁদের শ্রেষ্ঠত্বকে অস্বীকার করে।[৫১]

হযরত মুহাম্মাদ (স.)-এর সাহাবীগণ ও বংশধরদের মাঝে আসহাবে কিসা’র শ্রেষ্ঠত্বের আর একটি দলীল হল মুবাহালার আয়াত[৫২] আল্লামা হিল্লীফাযল ইবনে তাবারসী’র মত আলেমগণের মত হল, মুফাসসিরদের মাঝে এ বিষয়ে ইজমা রয়েছে যে, আয়াতটি আসহাবে কিসা’র শানে নাযিল হয়েছে।[৫৩]] মুহাম্মাদ (স.) থেকে বর্ণিত, জমিনের উপর আলী, ফাতেমা, হাসান ও হুসাইনের চেয়ে সম্মানিত যদি কেউ থাকতো তবে মহান আল্লাহ নির্দেশ দিতেন তাদেরকে সাথে নিয়ে মুবাহালা করার; কিন্তু মহান আল্লাহ্ তাদেরকে সাথে নিয়ে মুবাহালা করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তারাই সবার শ্রেষ্ঠ।[৫৪]

মুহাম্মাদ হুসাইন মুযাফফারের মতে, মাওয়াদ্দাতের আয়াতটি আহলে বাইতের (আসহাবে কিসা) শ্রেষ্ঠত্ব এবং তারা যে মহান আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত তার প্রমাণ। অন্যথায় ভালোবাসা ফরয হওয়াটা শুধু তাদের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকতো না এবং|মহানবি (স.)-এর রেসালতের পারিশ্রমিক হিসেবে তাদের প্রতি মাওয়াদ্দাতকে ধার্য করা হতো না।[৫৫] আহলে বাইত (আ.)-এর শ্রেষ্ঠত্বের প্রতি নির্দেশক বিভিন্ন রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে, হাদীসে সাকালাইন সেগুলোর অন্যতম। ঐ হাদীসের ভিত্তিতে রাসুল (স.) আহলে বাইতকে কুরআনের পাশে স্থান দিয়ে কুরআনকে ‘সাকলে আকবার’ ও আহলে বাইতকে ‘সাকলে আসগার’ নামকরণ করেছেন। যেভাবে মুসলমানদের উপর কুরআনের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে, একইভাবে তাদের উপর আহলে বাইতের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে।[৫৬] হাদীসে আমান; আহলে বাইতের শ্রেষ্ঠত্বের অন্যতম দলীল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। কারণ কেউ যদি জমিনের অধিবাসীদেরকে পরিত্রাণ দানকারী হয়ে থাকে তবে নিঃসন্দেহে বিষয়টি সকলের উপর তার শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ।[৫৭]

আহলে বাইত; জ্ঞান কেন্দ্রীক যেকোন বিষয়ে শরণাপন্ন হওয়ার স্থান

হাদীসে সাকালাইনকে আহলে বাইতের মারজাইয়্যাতে ইলমির (জ্ঞান কেন্দ্রীক যেকোন বিষয়ে শরণাপন্ন হওয়ার স্থান) পরিচায়ক বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে; কারণ কিতাব ও আহলে বাইতকে আঁকড়ে ধরার প্রতি হযরত মুহাম্মাদ (স.)-এর আহবান থেকে স্পষ্ট হয় যে, মারজাইয়্যাতে ইলমি আহলে বাইত (আ.)-এর মাঝেই সীমাবদ্ধ এবং মুসলমানদের উচিত ধর্মীয় যাবতীয় বিষয়াদিতে তাদের শরণাপন্ন হওয়া।[৫৮] বলা হয়েছে যে, মুহাম্মাদ (স.)-এর পর পবিত্র কুরআনের শিক্ষা ও হকিকত এবং সুন্নতে নববি সম্পর্কে পূর্ণরূপে ও গভীররূপে আহলে বাইত ব্যতীত আর কেউ জানে না। এ কারণেই মহানবি (স.)-এর পর তারা ধর্মীয় শিক্ষা ও আহকাম জানার ক্ষেত্রে মুসলমানদের ইলমি মারজা (যে কোন বিষয়ে জানার জন্য শরণাপন্ন হওয়া যায় এমন ব্যক্তি) এবং ধর্মীয় মারেফাত উপলব্ধি করার জন্য তাদেরই শরণাপন্ন হতে হবে।[৫৯]

বেলায়েত ও নেতৃত্ব

আহলে বাইত (আ.)-এর বেলায়েত ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব তাঁদের অন্যতম ফযিলত হিসেবে গন্য। হাদীসে সাকালাইনে কিতাব ও আহলে বাইতকে আঁকড়ে ধরার প্রতি মহানবি (স.)-এর বিশেষ আহবান থেকে স্পষ্ট হয় যে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিষয়টিও আহলে বাইতের মাঝে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।[৬০] হাদীসে সাকালাইনের কিছু কিছু বর্ণনায় সাকালাইনের স্থলে কুরআন ও আহলে বাইত বলতে ‘খালিফাতাইন’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।[৬১] এ বর্ণনার ভিত্তিতে আহলে বাইত হলেন সর্বক্ষেত্রে মহানবি (স.)-এর খলিফা ও জা-নশীন; রাজনৈতিক ও নেতৃত্ব সর্বক্ষেত্রে।[৬২] জাফার সুবহানির দৃষ্টিতে, গাদীরে খুমের ঘটনায় মহানবি (স.) আলী (আ.) ও তার আহলে বাইতকে নেতৃত্বের জন্য মনোনীত করে গেছেন।[৬৩] আবার কেউ কেউ ইসমাতের অধিকারী হওয়ার কারণে মহানবি (স.)-এর পর ইমামত ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব শুধু আহলে বাইতের মধ্যে সীমাবদ্ধ বলে জ্ঞান করেছেন।[৬৪] একইভাবে কোন শর্তসাপেক্ষ ছাড়াই আহলে বাইতের অনুসরণ তাঁদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের অন্যতম দলীল বলে উল্লেখ করেছেন। কেননা অনুসরণ আবশ্যক হওয়াটা মুসলমানদের ইবাদতসহ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সকল বিষয় কেন্দ্রীক এক কথায় সকল করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় এর অন্তর্ভুক্ত। এ কারণেই রাজনৈতিক বিষয়াদি একইভাবে সামাজিক ও নেতৃত্ব কেন্দ্রীক বিষয়গুলোতেও তাদের অনুসরণ করা ওয়াজীব।[৬৫]

তাকভিনী বেলায়াত

লেবাননের বিশিষ্ট শিয়া আলেম ও লেখক মুহাম্মাদ জামিল হামুদ বলেন, হাতে গোনা দু’ একজন ব্যতীত সকল ইমামিয়া আলেমের মত হল ইমামগণ (আ.) বেলায়েতে তাকভিনী’র অধিকারী।[৬৬] বেলায়েতে তাকভিনী বলতে এর অধিকারী কোন ব্যক্তি আল্লাহর অনুমতিক্রমে সৃষ্টিজগত ও তাকভিনে তসরূফ করতে পারেন; যেমন- আল্লাহর অনুমতিক্রমে কোন অনারোগ্য রোগীকে রোগ মুক্তি দান করা অথবা মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করা।[৬৭] ইমামগণ যে বেলায়েতে তাকভিনীর অধিকারী এ সংশ্লিষ্ট রেওয়ায়েতগুলো মুতাওয়াতির পর্যায়ের বলে তারা উল্লেখ করে[৬৮] রেওয়ায়েতগুলোর বেশীরভাগ সনদের দিক থেকে সহীহ এবং নির্ভরযোগ্য বলে জ্ঞান করেছেন।[৬৯]

বেলায়েতে তাশরিয়ী

বেলায়েতে তাশরিয়ী ২ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে:

  • জনগণের সম্পদ ও জীবনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তাদের চেয়ে অগ্রাধিকারের অধিকারী।[৭০] বলা হয়েছে যে, মহানবি (স.) ও ইমামগণ (আ.)-এর এ ধরনের বেলায়েতের বিষয়ে কোন মতদ্বৈততা নেই।[৭১] আয়াতুল্লাহ সাফী এ ধরণের বেলায়েতকে ধর্মের স্বতঃসিদ্ধ বিষয়াদির অন্তর্ভুক্ত বলে গন্য করেছেন।[৭২]
  • ধর্মীয় বিধি-বিধান কেন্দ্রীক[৭৩]: শিয়া আলেমদের একটি দল ধর্মীয় বিধান তাশরী’র ক্ষেত্রে হযরত মুহাম্মাদ (স.)-এর বেলায়েতকে সুনিশ্চিত একটি বিষয় হিসেবে জ্ঞান করেছেন।[৭৪] কিন্তু ধর্মীয় বিধান তাশরী’র ক্ষেত্রে ইমাম (আ.)-গণের বেলায়েতের বিষয়ে শিয়া আলেমগণের মাঝে এখতেলাফ রয়েছে। তাদের একটি দল কিছু কিছু মুস্তাফিয ও মুতাওয়াতির[৭৫] রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে ইমাম (আ.)-গণকে বেলায়েতের অধিকারী এবং তাঁরা তাশরী’র অধিকার রাখেন বলে জ্ঞান করেছেন।[৭৬] এর বিপরীতে আরেকটি দল তাশরী’র বিষয়টি শুধুমাত্র মহান আল্লাহর জন্য নির্ধারিত উল্লেখ করে মহানবি (স.) ও ইমামগণের তাশরী’ সংশ্লিষ্ট বেলায়েতকে অস্বীকার করেছেন।[৭৭] অথচ সাইয়্যেদ আলী মিলানী, বিভিন্ন দলীলের ভিত্তিতে ইমামগণের তাশরী’ সংশ্লিষ্ট বেলায়েতের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়াকে সুনিশ্চিত বলেছেন।[৭৮]

আহলে বাইতের অধিকার

বিভিন্ন আয়াত ও রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে, মুসলমানদের উপর আহলে বাইত (আ.)-এর বেশ কিছু অধিকার রয়েছে। আর ঐ সকল অধিকারের বিপরীতে মুসলমানদের বেশ কিছু কর্তব্য রয়েছে যা অবশ্যকরণীয়। সেই অধিকারগুলোর কয়েকটি এখানে উল্লেখ করা হল:

আহলে বাইতকে অনুসরণ করা ওয়াজিব

উলুল আমরের আয়াতে (আল্লাহ্, নবি ও উলুল আমরের আনুগত্য করো) আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের পাশাপাশি নিরঙ্কুশ ও শর্তহীনভাবে উলুল আমরের আনুগত্যকে ওয়াজিব বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।[৭৯] ফাযল ইবনে হাসান তাবারসী’র মত হলো, ইমামিয়াদের বিশ্বাস উলুল আমর হলেন ইমামগণ (আ.)।[৮০]

এই আনুগত্যের ওয়াজিব হওয়ার সপক্ষে দলীল হিসেবে হাদীসে সাকালাইনকে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ এ হাদীসে, আহলে বাইতকে কুরআনের পাশে রাখা হয়েছে; অতএব, যেভাবে মুসলমানদের জন্য পবিত্র কুরআন অনুসরণ করা ওয়াজিব একইভাবে আহলে বাইতের অনুসরণ করাও ওয়াজিব।[৮১] হিজরী ৪র্থ ও ৫ম শতাব্দির বিশিষ্ট ইমামিয়া মুতাকাল্লিম (কালামশাস্ত্রবিদ) ও ফকীহ আবুস সালাহ হালাবি’র ভাষ্য হল, হাদীসে সাকালাইনে মহানবি (স.)-এর ভাষ্য নিরঙ্কুশ ও শর্তহীনভাবে উল্লেখ হওয়ায় আহলে বাইতের অনুসরণের বিষয়টি নিরঙ্কুশ ও শর্তহীনভাবে হতে হবে। অতএব, মুসলমানদের উচিত আহলে বাইতের সকল আচরণ ও কথাবার্তায় তাদেরকে অনুসরণ করা।[৮২] আহলে বাইত (আ.)-এর আনুগত্য ওয়াজিব হওয়ার সপক্ষে আরেকটি দলীল হল ‘হাদীসে সাফিনাহ’। এ হাদীস অনুযায়ী, তাদের অনুসরণের মাঝে পরিত্রাণ এবং তাদের অবাধ্য হওয়ার মাঝেই পথভ্রষ্টতা ও ধ্বংস নিহিত।[৮৩] এ হাদীসে মহানবি (স.) নিজ আহলে বাইতকে নূহ (আ.)-এর কিস্তির সাথে তুলনা করেছেন, আর এই তুলনা করার কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে বলেছেন: দ্বীনি বিষয়াদিতে যারা আহলে বাইতের শরণাপন্ন হবে তারা হেদায়েত পাবে ও সফল হবে; আর যারা তাদেরকে অনুসরণ করবে না, পথভ্রষ্ট হবে।[৮৪] মীর হামেদ হুসাইনের মন্তব্য হল, এ হাদীসের ভিত্তিতে আহলে বাইত (আ.)-এর অনুসরণ ওয়াজিব হওয়াটা নিরঙ্কুশ ও শর্তহীন। [৮৫]

আহলে বাইতের প্রতি মাওয়াদ্দাত ও মুহাব্বাত পোষণ

ইমামিয়া শিয়াদের বিশ্বাস, মাওয়াদ্দাতের আয়াতের ভিত্তিতে আহলে বাইত (আ.)-এর প্রতি ভালোবাসা ও মাওয়াদ্দাত পোষণ প্রত্যেক মুসলমানের উপর ওয়াজিব[৮৬] এবং আহলে বাইতকে ভালোবাসা ওয়াজিব হওয়ার বিষয়ে সকল মুসলমানের ঐকমত্য রয়েছে (নাসেবিরা ব্যতীত), আর এটি দ্বীনের স্বতঃসিদ্ধ বিষয়গুলোর অন্যতম।[মুযাফফার, আকায়েদুল ইমামিয়াহ, ১৩৭৮ ফার্সি সন, পৃ. ৭২; মুসাভি যানজানী, আকায়েদুল ইমামিয়াতিল ইসনা আশারিয়াহ, ১৪১৩ হি., খ. ৩ পৃ. ১৮১।]

আয়াতে মাওয়াদ্দাতে বলা হয়েছে, ‘এর বিনিময়ে আমি কোন পারিশ্রমিক চাই না, আমার নিকটাত্মীয়দের ভালোবাসা ব্যতীত।[৮৭]] -এ আয়াতটি আহলে বাইত (আ.)-এর প্রতি ভালোবাসা ওয়াজিব হওয়ার অন্যতম দলীল।[৮৮]

বিশিষ্ট মারজায়ে তাকলীদ ও মুফাসসির নাসের মাকারেম শিরাজী’র মতে, শিয়া মুফাসসিরগণ আলোচ্য আয়াতটিকে আহলে বাইত (আ.)-এর শানে বলে তাফসীর করেছেন এবং ইমামগণ (আ.)-এর ইমামত ও নেতৃত্বকে গ্রহণের মাধ্যমে তাদের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে বলে তিনি জ্ঞান করেছেন।[৮৯]

মুহাম্মাদ রেযা মুযাফফারের ন্যায় অন্যান্য আলেমের অভিমত হল, মহানবি (স.) থেকে বর্ণিত মুতাওয়াতির হাদীসের ভিত্তিতে আহলে বাইত (আ.)-গণের প্রতি ভালোবাসা পোষণ ঈমানের চিহ্ন এবং তাদের প্রতি অসন্তুষ্টি নেফাকের (মুনাফেকী) চিহ্ন। আর তাদের প্রতি ভালোবাসা পোষণকারী আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ভালোবাসা পোষণকারী এবং তাঁদের শত্রুরা হল আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের শত্রু।[৯০] কিছু কিছু রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে আহলে বাইতের প্রতি ভালোবাসা ইসলামের ভিত্তি স্বরূপ।[৯১]

মুহাম্মাদ রেযা মুযাফফারের দৃষ্টিতে, নিঃসন্দেহে আহলে বাইত (আ.)-এর প্রতি ভালোবাসা ও মাওয়াদ্দাত পোষণ ওয়াজিব হওয়াটা, মহান আল্লাহর নৈকট্য ও মহান আল্লাহর নিকট তাদের বিশেষ অবস্থান ও মানযিলাতের কারণে, আর যেহেতু তারা শিরক, কলুষতা ও গুনাহসমূহ -এক কথায় যা কিছুই আল্লাহ থেকে দূরে সরিয়ে দেয় সেসব- থেকে পবিত্র ও মুক্ত, সে কারণে।[৯২]

মুহাম্মাদ মুহাম্মাদি রেই শাহরি, আযাদারী ও শোকানুষ্ঠান আহলে বাইতের প্রতি ভালোবাসা পোষণের অন্যতম মাধ্যম এবং শাআয়েরের (পবিত্র নিদর্শনাবলী) প্রতি সম্মান প্রদর্শনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নমুনা বলে উল্লেখ করেছেন।[৯৩] এছাড়া ইমাম (আ.)-গণের মাজার যিয়ারত,[৯৪] তাদের স্মরণে আয়োজিত আনন্দ মাহফিলে আনন্দ প্রকাশ,[৯৫] আহলে বাইতের ফযিলত বর্ণনা[৯৬] এবং নিজেদের সন্তানদের নাম তাঁদের নামে রাখা, তাদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম।[৯৭] আহলে বাইত (আ.)-এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন, তাদের প্রতি দরুদ প্রেরণ, তাদের ফযিলত ও মুসিবত বর্ণনা, খুমস প্রদান ইত্যাদি তাদের অধিকারগুলোর অন্যতম বলে উল্লেখ করা হয়েছে।[৯৮]

আহলে সুন্নতের দৃষ্টিতে আহলে বাইত (আ.)

আসহাবে কিসা যে আহলে বাইতের অন্তর্ভুক্ত এ বিষয়ে শিয়াদের সাথে আহলে সুন্নতের মত অভিন্ন। আহলে সুন্নতের বিভিন্ন গ্রন্থে এ বিষয়ে বহুসংখ্যক হাদীস উল্লেখিত হয়েছে যে, মহানবি (স.) বহুবার আলী, ফাতেমা, হাসান ও হুসাইন (আলাইহিমুস সালাম)-কে নিজের আহলে বাইত বলে পরিচয় করিয়েছেন।[৯৯]

একইভাবে আহলে সুন্নতের বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, আল্লাহর রাসূল (স.) আলী, ফাতেমা, হাসান ও হুসাইন (আ.) সম্পর্কে এভাবে বলেছেন: ‘যারা এঁদেরকে ভালোবাসবে তারা আমাকে ভালোবেসেছে। আর যারা এদের সাথে শত্রুতা করে তারা আমার সাথ শত্রুতা করেছে।’[১০০]

মহানবি (স.) থেকে বর্ণিত অপর এক হাদীসে এসেছে, ‘আহলে বাইতের প্রতি ভালোবাসা পোষণকারীরা কিয়ামতের দিন আমার সাথে এবং আমার মর্যাদায় স্থান পাবে।[১০১]

বিশিষ্ট সুন্নি মুফাসসির ফাখরে রাযির ভাষ্য হল, যেহেতু হযরত মুহাম্মাদ (স.) আলী, ফাতেমা, হাসান ও হুসাইনকে ভালবাসতেন এবং মহানবি (স.)-এর অনুসরণ করা সকল মুসলিম উম্মাহর উপর ওয়াজিব -এ দলীলের ভিত্তিতে আহলে বাইতকে ভালোবাসা ওয়াজিব।[১০২]

হিজরী ১০ম শতাব্দির শাফেয়ী মাযহাবের বিশিষ্ট আলেম ইবনে হাজার হাইতামি বলেছেন, বিভিন্ন হাদীস থেকে আহলে বাইতের প্রতি ভালোবাসা পোষণ ওয়াজিব হওয়া এবং তাদের প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশ হারাম হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত। তার ভাষ্যমতে, বাইহাকী ও বাগাউই’র মত আলেমরা আহলে বাইতের প্রতি ভালোবাসা পোষণ ধর্মের ফরয কর্মসমূহের অন্তর্ভূক্ত বলে জ্ঞান করেছেন।[১০৩] আহলে সুন্নতের প্রসিদ্ধ ৪ ইমামের একজন শাফেয়ী তার এক কবিতায় আহলে বাইতের প্রতি ভালোবাসা পোষণ ওয়াজিব হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন:[১০৪]]

یا أهلَ بیتِ رسولِ الله حُبُّکُم فَرضٌ مِنَ الله فِی القرآنِ أنزَلَهُ

‘হে আল্লাহর রাসূলের আহলে বাইত, তোমাদেরকে ভালোবাসা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ফরয করা হয়েছে; যা পবিত্র কুরআনে অবতীর্ণ হয়েছে।[১০৫]

আরেকটি কবিতায় তিনি লিখেছেন:

إنْ كانَ رَفْضاً حُبُّ آلِ مُحَمَّد فَلْيَشْهَد الثَقلان أنّى رافِضی

‘যদি আলে মুহাম্মাদের প্রতি ভালোবাসার নাম রাফয হয় (রাফেযী হয়ে যাওয়ার কারণ হয়), তবে জ্বীন ও মানুষ সাক্ষী থাকুক আমি একজন রাফেযী।’ বিশিষ্ট সুন্নি মুফাসসির ও তাফসীরে কাশশাফের রচয়িতা যেমাখশারী মনে করেন, আসহাবে কিসা’র ফযিলত ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে সবচেয়ে শক্তিশালী দলীল হল ‘মুবাহালার আয়াত’।[১০৬]

জাফার সুবহানির দৃষ্টিতে, আহলে সুন্নতের বহুসংখ্যক আলেম জ্ঞানের দিক থেকে এবং ধর্ম সম্পর্কে অবগতির ক্ষেত্রে আহলে বাইতের শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।[১০৭] যেমন, হানাফী মাযহাবের ইমাম ও আহলে সুন্নতের ৪ ফিকাহের অন্যতম ইমাম আবু হানিফা থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, জাফার ইবনে মুহাম্মাদের (ইমাম জাফার সাদিক) থেকে ফিকাহ শাস্ত্রে পারদর্শী আর কোন ব্যক্তিকে আমি দেখিনি।[১০৮] একই মন্তব্য বিশিষ্ট তাবেঈ এবং হিজরী প্রথম ও দ্বিতীয় শতাব্দির প্রখ্যাত সুন্নি ফকীহ ও মুহাদ্দিস মুহাম্মাদ ইবনে মুসলিম ইবনে শাহাব যুহরি থেকেও ইমাম সাজ্জাদ (আ.) সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে।[১০৯] শাফেয়ী মাযহাবের ইমামও ইমাম সাজ্জাদকে মদিনার সর্বশ্রেষ্ঠ ফকীহ বলে গন্য করেছেন।[১১০]

ইবনে হাজার হাইতামি বলেছেন: মহানবি (স.) কুরআন ও আহলে বাইতকে সিক্‌ল বলার কারণ হলো; সিক্‌ল কোন মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ জিনিসকে বলা হয়, আর কুরআন ও ইতরাত এমনই; কেননা তারা উভয়েই ধর্মীয় জ্ঞান, রহস্যসমূহ, প্রজ্ঞাসমূহ ও শরয়ী আহকামের ভাণ্ডার; আর এ কারণেই ঐ দু’টো (মূল্যবান বস্তুকে) আঁকড়ে ধরা এবং তাদের মারেফাত অর্জনের প্রতি উৎসাহিত করেছেন।[১১১] ইবনে হাজারের বিশ্বাস, আহলে বাইতকে অনুসরণের নির্দেশ যে হাদীসগুলোতে করা হয়েছে সেগুলোতে কিয়ামত পর্যন্ত তাঁদের অনুসরণের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।; আর পবিত্র কুরআন আঁকড়ে ধরার বিষয়টিও এমন।[১১২] আলী রব্বানী গুলপায়গানী’র দৃষ্টিতে, আহলে সুন্নতের কিছু কিছু আলেমের বিশ্বাস, আখলাক (নৈতিকতা) ও আমলের বিষয়ে আহলে বাইতের নিষ্পাপ হওয়া (ইসমাত) প্রসঙ্গে কোন সন্দেহ নেই; তবে ইলমি বিষয়ে তাদের নিষ্পাপত্ব ও ভুল-ত্রুটি থেকে মুক্ত থাকার বিষয়ে মতভেদ রয়েছে।[১১৩]

গ্রন্থ পরিচিতি

আহলে বাইত (আ.) সম্পর্কে বিভিন্ন শিরোনামে বহুসংখ্যক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে নিম্নের গ্রন্থগুলোর নাম উল্লেখযোগ্য:

  • মানাকেবু আহলিল বাইত: বিশিষ্ট সুন্নি মুহাদ্দিস আবুল হাসান আলী ইবনে মুহাম্মাদ জুলাবি ওরফে ইবনে মাগাযেলী কর্তৃক রচিত। গ্রন্থটিতে তিনি ‘ইমাম আলী (আ.)-এর ফযিলত, ফাতেমা (সা. আ.) ও ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইন (আ.)-এর ফযিলত সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।
  • আহলে বাইত: সাইয়্যেদ মুহসিন আমীন প্রণীত, গ্রন্থটি আহলে বাইত (আ.) বিশ্বসংস্থা কর্তৃক কোমে প্রকাশিত হয়েছে।
  • মাওসুআতু সিরাতি আহলিল বাইত আলাইহিমুস সালাম; বাকের শারিক কারাশী প্রণীত। ৪০ খণ্ডের এ গ্রন্থটিতে মহানবি (স.) ও আহলে বাইত (আ.)-এর জীবনের নৈতিক, সামাজিক, ইবাদতের বিভিন্ন দিকসহ তাঁদের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।[১২০]
  • মাওসুআতু আহলিল বাইত আলাইহিস সালাম: সাইয়্যেদ আলী আশুর প্রণীত, বৈরুতে প্রকাশিত, ১৪২৭ হি.। ২০ খণ্ডে প্রকাশিত গ্রন্থটিতে ১৪ মাসুমের (আ.) জীবনী তুলে ধরা হয়েছে।
  • আহলুল বাইত (আ.) আলাইহসি সালাম সিমাতুহুম ওয়া হুকুকুহুম ফীল কুরআনিল কারিম: জাফার সুবহানির লেখা গ্রন্থটি ইমাম সাদিক (আ.) ইনস্টিটিউট ১৪২০ হি. প্রকাশ করেছে।
  • আহলুল বাইতি ফীল কিতাব ওয়াস সুন্নাহ: মুহাম্মাদ মুহাম্মাদি রেই শাহরি ও সাইয়্যেদ রাসুল মুসাভি প্রণীত; গ্রন্থটি আরবি ভাষায় রচিত এবং ফার্সিতে ‘আহলে বাইত দার কুরআন ওয়া হাদীস’ শিরোনামে অনূদিত হয়েছে। মূল গ্রন্থ এবং এর ফার্সি অনুবাদ দু’টোই ‘দারুল হাদীস ইনস্টটিউট’ প্রকাশ করেছে।
  • হুকুকে আহলে বাইত দার কুরআন ওয়া রেওয়ায়াত: ইব্রাহিম শাফিয়ী সের্ভেস্তানি কর্তৃক রচিত, গ্রন্থটি ১৪০০ ফার্সি সনে প্রকাশিত হয়। গ্রন্থটিতে আহলে বাইত (আ.)-এর ২০টি অধিকারের উপর আলোকপাত করা হয়েছে।
  • হুকুকে আহলে বাইত (আ.) দার তাফাসীরে আহলে সুন্নাত, মুহাম্মাদ ইয়াকুব বাশাভি, ১৩৯০ ফার্সি বর্ষে আল-মোস্তফা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রকাশনা বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে।
  • আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম দার তাফাসীরে আহলে সুন্নাত: আহমাদ আবেদি ও হুসাইন খাকপুর প্রণীত এবং ১৩৯২ ফার্সি সনে প্রকাশিত।
  • হাকিকাতে নূরীয়ে আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম: লেখক আসগার তাহের যাদেহ।
  • ফাযায়েল ওয়া মানাকেবে আহলে বাইত (আ.): লেখক আব্দুল লাতিফ ইবনে আলী বিরজান্দি ওয়ায়েয।
  • ফাযায়েলে আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম দার সিহাহ সিত্তা: লেখক আলী যাহরাব।
  • ফাযায়েলে আহলে বাইত আলাইহিমু সালাম আয মানাবেয়ে আহলে সুন্নাত: লেখক মুহাম্মাদ রেযা আমিন যাদেহ।
  • আহলে বাইত কেলিদে মুশকিল হা: লেখক সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ তিজানি।
  • আহলে বাইত দার কোরআন ওয়া হাদীস: লেখক মুহাম্মাদ জাওয়াদ সা’দি।

তথ্যসূত্র

  1. আহলে বাইত (আ.) বিশ্বসংস্থার চতুর্থ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী অতিথিদের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণ; দ্র: আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী’র ওয়েব সাইট।
  2. সুবহানী, মানশুরে আকায়েদে ইমামিয়া, পৃ. ৮, ৯ ও ২৬৩; হাশেমি শাহরুদী, মাকতাবে ফিকহীয়ে আহলে বাইত (আ.), উলুমে ইনসানি পোর্টাল।
  3. দ্র: হাশেমি শাহরুদী, মাকতাবে ফিকহীয়ে আহলে বাইত (আ.), উলুমে ইনসানি পোর্টাল।
  4. মারকাযে ইত্তেলাআত ও মানাবে ইসলামি, ফারহাঙ্গ নমেয়ে ফিকহ, পৃ. ৩৯৮-৪০০।
  5. সুবহানী, মানশুরে আকাইদে ইমামিয়া, পৃ. ৮; আহলে বাইত (আ.) বিশ্বসংস্থার চতুর্থ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী অতিথিদের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণ; দ্র: আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী’র ওয়েব সাইট।
  6. দ্র: মুহাম্মাদি রেই শাহরি, আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম দার কুরআন ওয়া হাদীস, পৃ. ১৮১-১০২০।
  7. দ্র: মুহাম্মাদি রেই শাহরি, আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম দার কুরআন ওয়া হাদীস, পৃ. ৭৬১-৭৬৫।
  8. দ্র: ‘কেতাব শেনাসীয়ে আহলে বাইত, হাদীসে শিয়া ওয়েব সাইট।
  9. মাযাহেরী, আযাদারী, পৃ. ৩৪৫।
  10. শাহনামা।
  11. দার সেতায়েশে হাযরাতে রাসুল (স.), কাসিদা নং ১৬।
  12. শাফেয়ী, দিওয়ানুল ইমামিশ শাফেয়ী, কায়রো, পৃ. ১২১।
  13. ইন্টারনেট।
  14. ইন্টারনেট।
  15. ইন্টারনেট।
  16. ইন্টারনেট।
  17. ২২- রাব্বানি গুলপায়গানী, আহলে বাইত, পৃ. ৫৫৫।
  18. রাগেব ইসফাহানী, মুফরাদাতু আলফাযিল কুরআন, প্রকাশকাল ১৪১২; পৃ. ৯৬।
  19. মুস্তাফাভি, আত-তাহকীক ফি কালিমাতিল কুরআনিল কারিম, খ. ১, পৃ. ১৬৯ ও ১৭০; মুহাম্মাদি রেই শাহরি, আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম দার কুরআন ওয়া হাদীস, পৃ. ১১।
  20. রাব্বানি গুলপায়গানী, আহলে বাইত, পৃ. ৫৫৩।
  21. দ্র: ফারাহিদ, কিতাবুল আইন, ১৪০৯ হি., খ. ৪, পৃ. ৮৯; ইবনে ফারেস, মু’জামুল মাকাঈসিল লোগাহ, ১৪০৪ হি., খ. ১, পৃ. ১৫০; ইবনে মানযুর, লিসানুল আরাব, ১৪১৪ হি., খ. ১১, পৃ. ২৮।
  22. মুস্তাফাভি, আত-তাহকীক ফি কালিমাতিল কুরআনিল কারিম, খ. ১, পৃ. ১৭০।
  23. তাবারসী, এ’লামুল ওয়ারা বি-আ’লামিল হুদা, ১৪১৭ হি., খ. ১, পৃ. ২৯৩; তাবারসী, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খ. ৮, পৃ. ৫৫৯ ও ৫৬০।
  24. তাবাতাবায়ী, আল-মীযান ফী তাফসিরিল কুরআন, প্রকাশকাল ১৩৯০ ফার্সি সন, খ. ১৬, পৃ. ৩১২।
  25. মুস্তাফাভি, আত-তাহকীক ফি কালিমাতিল কুরআনিল কারিম, ১৩৬৮ ফার্সি সন, খ. ১, পৃ. ১৬৯ ও ১৭০।
  26. রাব্বানি গুলপায়গানী, আহলে বাইত, ৫৫৫।
  27. দ্র: কুলাইনি, আল-কাফী, ১৪০৭ হি., খ. ১, পৃ. ৪২৩; খাযযায রাযি, কিফায়াতুল আসার, ১৪০১ হি., পৃ. ১৫৬ ও ১৭১; শেইখ সাদুক, উয়ুনু আখবারির রিযা, খ. ১, পৃ. ২২৯।
  28. খাযযায রাযি, কিফায়াতুল আসার, ১৪০১ হি., পৃ. ১৭১।
  29. যেইনালী, মাফহুম শেনাসী ওয়া মেসদাক ইয়াবিয়ে আহলে বাইত (আ.), ১৩৮৭ ফার্সি সন, পৃ. ২৪।
  30. মুহাম্মাদি রেই শাহরি, আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম দার কুরআন ওয়া হাদীস, ১৩৯১ ফার্সি সন, পৃ. ১৩।
  31. দ্র: তাবরানী, আত-তাফসীরুল কাবীর, ২০০৮ খ্রী., খ. ৫, পৃ. ১৯৩; সায়ালাবি, আল-কাশফ ওয়াল বায়ান, ১৪২২ হি., খ. ৮, পৃ. ৩৫ ও ৩৬।
  32. দ্র: বাশাভি, হুকুকে আহলে বাইত দার তাফাসীরে আহলে সুন্নত, ১৩৯০ ফার্সি সন, পৃ. ৩৫।
  33. কুম্মি, তাফসীরুল কুম্মি, ১৩৬৩ ফার্সি সন, খ. ২, পৃ. ১৯৩।
  34. দ্র: বাশাভি, হুকুকে আহলে বাইত দার তাফাসীরে আহলে সুন্নত, ১৩৯০ ফার্সি সন, পৃ. ৩৫ ও ৩৬।
  35. ৪০- নিশাবুরি, সহীহ মুসলিম, দারু এহইয়াইত তুরাসিল আরাবি, খ. ৪, পৃ. ১৮৭৩-১৮৭৪।
  36. রাব্বানী গুলপায়গানী, আহলে বাইত, পৃ. ৫৫৪।
  37. সাফফার, বাসায়েরুদ দারাজাত, ১৪০৪ হি., পৃ. ১৭ ও ২৫; শেইখ সাদুক, উয়ুনু আখবারির রিযা, খ. ২, পৃ. ৬৪।
  38. শেইখ তুসী, আল-আমালী, ১৪১৪ হি., পৃ. ৫২৫; তাবারসি, মাকারেমুল আখলাক, ১৩৯২ হি., পৃ. ৪৫৯।
  39. আবু হানিফা মাগরেবি, দায়ায়েমুল ইসলাম, দারুল মায়ারেফ, খ. ১, পৃ. ৬২।
  40. দ্র: মুহাম্মাদি রেই শাহরি, আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম দার কুরআন ওয়া হাদীস, ১৩৯১ ফার্সি সন, পৃ. ২৪৬-৫২১।
  41. মুহাম্মাদি রেই শাহরি, আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম দার কুরআন ওয়া হাদীস, ১৩৯১ ফার্সি সন, পৃ. ৪০৫।
  42. সুবহানী মানশুরে জাভিদ, ১৩৮৩ ফার্সি সন, খ. ৪, পৃ ৩৫৭।
  43. দ্র: সাইয়্যেদ মুর্তাযা, আশ-শাফী ফিল ইমামাহ, ১৪১০ হি., খ. ৩, পৃ. ১৩৪; তাবারসী, এ’লামুল ওয়ারা বি-আ’লামিল হুদা, ১৪১৭ হি., খ. ১, পৃ. ২৯৩-২৯৪; বাহরানি, মিনারুল হুদা, ১৪০৫ হি., পৃ. ৬৪৬; সুবহানী, ইলাহিয়্যাত, ১৪১২ হি., খ. ৪, পৃ. ১২৫।
  44. দ্র: তাবাতায়ী, আল-মীয়ান ফি তাফসিরিল কুরআন, ১৩৯০ হি., খ. ১৬, পৃ. ৩১২-৩১৩; সুবহানী, আল-ইলাহিয়্যাত আলা হুদাল কিতাবি ওয়াস সুন্নাতি ওয়াল আকল, ১৪১২ হি., খ. ৪, পৃ. ১২৫-১২৯; সুবহানী, মানশুরে জাভিদ, ১৩৮৩ ফার্সি সন, খ. ৪, পৃ. ৩৫৭-৩৬৪।
  45. দ্র: সাফফার, বাসায়েরুদ দারাজাত, ১৪০৪ হি., পৃ. ৪১২-৪১৪; শেইখ সাদুক, উয়ুনু আখবারির রিযা, ১৩৭৮ হি., খ. ১, পৃ. ২২৯ ও খ. ২, পৃ. ৩০-৩১, ৬২।
  46. ৫১- দ্র: ইবনে আতিয়াহ, আবহাল মিদাদ, ১৪২৩ হি., খ. ১, পৃ. ১৩০; বাহরানী, মিনারুল হুদা, ১৪০৫ হি., পৃ. ৬৭০; সুবহানী, মানশুরের জাভিদ, ১৩৮৩ ফার্সি সন, খ. ১, পৃ. ৪০৭।
  47. শেইখ মুফিদ, আল-মাসায়েলুল জারুদিয়্যাহ, ১৪১৩ হি., পৃ. ৪২; ইবনে আতিয়াহ, আবহাল মিদাদ, ১৪২৩ হি., খ. ১, পৃ. ১৩১; বাহরানী, মিনারুল হুদা, ১৪০৫ হি., পৃ. ৬৭১।
  48. দ্র: ইবনে আতিয়াহ, আবহাল মিদাদ, ১৪২৩ হি., খ. ১, পৃ. ১৩১; বাহরানী, মিনারুল হুদা, ১৪০৫ হি., পৃ. ৬৭১; হামুদ, আল-ফুওয়াদুল বাহিয়াহ, ১৪২১ হি., খ. ২, পৃ. ৯৪-৯৫।
  49. মীর হামেদ হুসাইন, আবাকতুল আনওয়ার, ১৩৬৬ ফার্সি সন, খ. ২৩, পৃ. ৯৭৫-৯৭৮, ৯৮১।
  50. শেইখ সাদুক, আল-এতেকাদাত, ১৪১৪ হি., পৃ. ৯৩।
  51. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খ. ২৬, পৃ. ২৯৭ ও ২৯৮।
  52. দ্র: তাবারসী, মাজমাউল বায়ান ফি তাফসিরিল কুরআন, ১৩৭২ ফার্সি সন, খ. ২, পৃ. ৭৬৩ ও ৭৬৪; মুযাফফার, দালায়েলুস সিদক, ১৪২২ হি., খ. ৪, পৃ. ৪০৩ ও ৪০৪।
  53. হিল্লী, নাহজুল হাক্ব ওয়া কাশফুস সিদক, ১৯৮২ খ্রি., পৃ. ১৭৭; তাবারসী, মাজমাউল বায়ান ফি তাফসিরিল কুরআন, ১৩৭২ ফার্সি সন, খ. ২, পৃ. ৭৬৩; শুশতারি, এহকাকুল হাক্ব, ১৪০৯ হি., খ. ২, পৃ. ৪৬।
  54. কুন্দুযী, ইয়ানাবিউল মাওয়াদ্দাহ, ১৪২২ হি., খ. ২, পৃ. ২৬৬; শুশতারি, এহকাকুল হাক্ব, ১৪০৯ হি., খ. ৯, পৃ. ২০৮, খ. ১৪, পৃ. ১৪৫, খ. ৩৪, পৃ. ৩১০।
  55. মুযাফফার, দালায়েলুস সিদক, ১৪২২ হি., খ. ৪, পৃ. ৩৮৯-৩৯০।
  56. রাব্বানী গুলপায়গানী, আহলে বাইত, পৃ. ৫৫৬।
  57. দ্র: ইবনে আতিয়াহ, আবহাল মিদাদ, ১৪২৩ হি., খ. ১, পৃ. ৮১৯; মুযাফফার, দালায়েলুস সিদক, ১৪২২ হি., খ. ৬, পৃ. ২৫৯।
  58. সুবহানী, সীমায়ে আকায়েদে শিয়া, ১৩৮৬ ফার্সি সন, পৃ. ২৩১ ও ২৩২।
  59. রাব্বানী গুলপায়গানী, আহলে বাইত, পৃ. ৫৫৮।
  60. সুবহানী, সীমায়ে আকায়েদে শিয়া, ১৩৮৬ ফার্সি সন, পৃ. ২৩১ ও ২৩২।
  61. শেইখ সাদুক, কামালুদ্দীন ও তামামুন নি’মাহ, ১৩৯৫ হি., খ. ১, পৃ. ২৪০; আহমাদ ইবনে হাম্বাল, মুসনাদে আহমাদ ইবনে হাম্বাল, ১৪১৬ হি., খ. ৩৫, পৃ. ৪৫৬ ও ৫১২; হাইসামী, মাজমাউয যাওয়ায়েদ, দারুল কিতাবিল আরাবি, খ. ৯, পৃ. ১৬৩; শুশতারি, এহকাকুল হাক্ব, ১৪০৯, খ. ৯, পৃ. ৩৭৫ এবং খ. ১৮ পৃ. ২৭৯-২৮১।
  62. রাব্বানী গুলপায়গানী, আহলে বাইত, পৃ. ৫৬২।
  63. সুবহানী, সীমায়ে আকায়েদে শিয়া, ১৩৮৬ ফার্সি সন, পৃ. ২৩১।
  64. রাব্বানী গুলপায়গানী, আহলে বাইত, পৃ. ৫৬১।
  65. রাব্বানী গুলপায়গানী, আহলে বাইত, পৃ. ৫৬১।
  66. হামুদ, আল-ফাওয়ায়েদুল বাহিয়াহ, ১৪২১ হি., খ. ২, পৃ. ১১৭।
  67. মাকারেম শিরাজী, পায়ামে কুরআন, ১৩৮৬ ফার্সি সন, খ. ৯, পৃ. ১৫৪; হামুদ, আল-ফাওয়ায়েদুল বাহিয়াহ, ১৪২১ হি., খ. ২, পৃ. ১১৮; হুসাইনি মিলানী, ইসবাতুল বেলায়াতিল আম্মাহ, ১৪৩৮ হি., পৃ. ১৬৬।
  68. হামুদ, আল-ফাওয়ায়েদুল বাহিয়াহ, ১৪২১ হি., খ. ২, পৃ. ১৩৭; হুসাইনি মিলানী, ইসবাতুল বেলায়াতিল আম্মাহ, ১৪৩৮ হি., পৃ. ১৬৮।
  69. হামুদ, আল-ফাওয়ায়েদুল বাহিয়াহ, ১৪২১ হি., খ. ২, পৃ. ১৩৭; হুসাইনি মিলানী, ইসবাতুল বেলায়াতিল আইম্মাহ, ১৪৩৮ হি., পৃ. ২৩৩।
  70. খুয়ী, মিসবাহুল ফিকাহাহ (আল-মাকাসেব), ১৪১৭ হি., খ. ৫, পৃ. ৩৮; সাফী গুলপায়গানী, বেলায়াতে তাকভিনী ওয়া তাশরিয়ী, ১৩৯২ ফার্সি সন, পৃ. ১৩৩; হামুদ, আল-ফাওয়ায়েদুল বাহিয়াহ, ১৪২১ হি., খ. ২, পৃ. ১১২; হুসাইনি মিলানী, ইসবাতুল বেলায়াতিল আম্মাহ, ১৪৩৮ হি., পৃ. ১১১।
  71. খুয়ী, মিসবাহুল ফিকাহাহ (আল-মাকাসেব), ১৪১৭ হি., খ. ৫, পৃ. ৩৮; সাফী গুলপায়গানী, বেলায়াতে তাকভিনী ওয়া তাশরিয়ী, ১৩৯২ ফার্সি সন, পৃ. ১৩৩, ১৩৫, ১৪১।
  72. সাফী গুলপায়গানী, বেলায়াতে তাকভিনী ওয়া তাশরিয়ী, ১৩৯২ ফার্সি সন, পৃ. ১৪১।
  73. সুবহানী, মানশুরে জাভিদ, ১৩৮৩ ফার্সি সন, খ. ১০, পৃ. ১৮০; হুসাইনি মিলানী, ইসবাতুল বেলায়াতিল আম্মাহ, ১৪৩৮ হি., পৃ. ২৬৭ ও ২৬৮; সাফী গুলপায়গানী, বেলায়াতে তাকভিনী ওয়া তাশরিয়ী, ১৩৯২ ফার্সি সন, পৃ. ১২৬; জাওয়াদি আমোলী, শামিমে বেলায়াত, ১৩৮৩ ফার্সি সন, পৃ. ৯২।
  74. দ্র: মু’মিন, বেলায়াতু ওয়ালিয়্যিল মাসুম (আ.), পৃ. ১১৫; হুসাইনি মিলানী, ইসবাতুল বেলায়াতিল আম্মাহ, ১৪৩৮ হি., পৃ. ২৭২ ও ২৭৩।
  75. ৮০- হুসাইনি মিলানী, ইসবাতুল বেলায়াতিল আম্মাহ, ১৪৩৮ হি., পৃ. ৩৩৪; আমেলী, আল-বেলায়াতুত তাকভিনিয়্যাহ ওয়াত তাশরিয়িয়্যাহ, পৃ. ৬০, ৬১, ৬৩।
  76. মু’মিন, বেলায়াতু ওয়ালিয়্যিল মাসুম (আ.), পৃ. ১০০, ১১৮; হুসাইনি মিলানী, ইসবাতুল বেলায়াতিল আম্মাহ, ১৪৩৮ হি., পৃ. ৩৫৬; আমেলী, আল-ভেলায়াতুত তাকভিনিয়্যাহ ওয়াত তাশরিয়িয়্যাহ, পৃ. ৬০।
  77. দ্র: মুগনিয়াহ, আল-জাওয়ামে ওয়াল ফাওয়ারেক, ১৪১৪ হি., পৃ. ১২৭, ১২৮; সাফী গুলপায়গানী, বেলায়াতে তাকভিনী ওয়া তাশরিয়ী, ১৩৯২ ফার্সি সন, পৃ. ১৩০-১৩২; ফেহরি, আল-ভেলায়াতুত তাশরিয়িয়্যাহ ওয়াত তাকভিনিয়্যাহ, পৃ. ৩৮৪-৩৮৮।
  78. হুসাইনি মিলানী, বা পিশওয়ায়ানে হেদায়াতগার, ১৩৮৮ ফার্সি সন, পৃ. ৩৮৩।
  79. তাবারসী, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খ. ৩ পৃ. ১০০; তাবাতাবায়ী, আল-মীযান, ১৩৯০ হি., খ. ৪, পৃ. ৩৯১।
  80. তাবারসী, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খ. ৩, পৃ. ১০০।
  81. দ্র: হালাবী, আল-কাফী ফিল ফিকহ, ১৪০৩ হি., পৃ. ৯৭।
  82. হালাবী, আল-কাফী ফিল ফিকহ, ১৪০৩ হি., পৃ. ৯৭।
  83. মুযাফফার, দালায়েলুস সিদক, ১৪২২ হি., খ. ৬, পৃ. ২৬২ ও ২৬৩।
  84. সুবহানী, আল-ইলাহিয়্যাত, ১৪১২ হি., খ. ৪, পৃ. ১০৮।
  85. মীর হামেদ হুসাইন, আবাকাতুল আনওয়ার, ১৩৬৬ ফার্সি সন, খ. ২৩, পৃ. ৯৭৫।
  86. মুযাফফার, আকায়েদুল ইমামিয়াহ, ১৩৭৮ ফার্সি সন, পৃ. ৭২; মুসাভি যানজানী, আকায়েদুল ইমামিয়াতিল ইসনা আশারিয়াহ, ১৪১৩ হি., খ. ৩, পৃ. ১৮১।
  87. সূরা শুরা, আয়াত ২৩।
  88. দ্র: ফাযেল মেকদাদ, আল-লাওয়ামেউল ইলাহিয়্যাহ, ১৪২২ হি., পৃ. ৪০০; মুযাফফার, আকায়েদুল ইমামিয়াহ, ১৩৭৮ ফার্সি সন, পৃ. ৭২; মুসাভি যানজানী, আকায়েদুল ইমামিয়াতিল ইসনা আশারিয়াহ, ১৪১৩ হি., খ. ৩, পৃ. ১৮১; ফাখরে রাযি, আত-তাফসীরুল কাবীর, ১৪২০ হি., খ. ২৭, ৫৯৫।
  89. মাকারেম শিরাজী, তাফসীরে নেমুনেহ, ১৩৭২ ফার্সি সন, খ. ২০, পৃ. ৪০৭।
  90. মুযাফফার, আকায়েদুল ইমামিয়াহ, ১৩৭৮ ফার্সি সন, পৃ. ৭২; মুসাভি যানজানী, আকায়েদুল ইমামিয়াতিল ইসনা আশারিয়াহ, ১৪১৩ হি., পৃ. ১৮১।
  91. দ্র: কুলাইনী, আল-কাফী, ১৪০৭ হি., খ. ২, পৃ. ৪৬; শেইখ সাদুক, মান লা ইয়াহযারহুল ফাকীহ, ১৪১৩ হি., খ. ৪, পৃ. ৩৬৪।
  92. মুযাফফার, আকায়েদুল ইমামিয়াহ, ১৩৭৮ ফার্সি সন, পৃ. ৭৩।
  93. মুহাম্মাদি রেই শাহরি, ফারহাঙ্গ নমেয়ে মারসিয়ে সারায়ী ওয়া আযাদারীয়ে সাইয়্যেদুশ শোহাদা, ১৩৭৮ ফার্সি সন, পৃ. ১১-১২।
  94. আকবারিয়ান, মুহাব্বাতে আহলে বাইত (আ.) দার কুরআন, পৃ. ৪২।
  95. আকবারিয়ান, মুহাব্বাতে আহলে বাইত (আ.) দার কুরআন, পৃ. ৪৪।
  96. ১০২- খাদেমি, মুহাব্বাত বে পায়াম্বার ওয়া আহলে বাইত আয দিদগাহে কুরআন ওয়া রেওয়ায়াত, পৃ. ২৫।
  97. খাদেমি, মুহাব্বাত বে পায়াম্বার ওয়া আহলে বাইত আয দিদগাহে কুরআন ওয়া রেওয়ায়াত, পৃ. ২৬।
  98. মোহাম্মাদি রেই শাহরি, আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম দার কুরআন ওয়া হাদীস, ১৩৯১ ফার্সি সন, পৃ. ৮১১-৮৩৩।
  99. দ্র: নিশাবুরি, সহিহ মুসলিম, দারু এহইয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, খ. ৪, পৃ. ১৮৭১; তিরমিযী, সুনানুত তিরমিযী, ১৯৯৮ খ্রি., খ. ৫, পৃ. ৭৫, ২০৪, খ. ৬, পৃ. ৮৯, ১৩২, ১৮২; ইবনে আসাকির, তারিখে দামেশক, ১৪১৫ হি., খ. ১৪, পৃ. ১৩৮, ১৪০, ১৪৮, খ. ৪১, পৃ. ২৫, খ. ৪২, পৃ. ১১২, খ. ৬৭, পৃ. ২৫; যাহাবী, তারিখুল ইসলাম, ২০০৩ খ্রি., পৃ. খ. ২, পৃ. ৬২৭।
  100. ইবনে আসাকির, তারিখে দামেশক, ১৪১৫ হি., খ. ১৪, পৃ. ১৫৪; যাহাবী, তারিখুল ইসলাম, ২০০৩ খ্রি., পৃ. খ. ২, পৃ. ৬২৭।
  101. তিরমিযী, সুনানুত তিরমিযী, ১৯৯৮ খ্রি., খ. ৬, পৃ. ৯০; যাহাবী, তারিখুল ইসলাম, ২০০৩ খ্রি., পৃ. খ. ২, পৃ. ৬২৭।
  102. ফাখরে রাযি, আত-তাফসীরুল কাবীর, ১৪২০ হি., খ. ২৭, পৃ. ৫৯৫।
  103. ইবনে হাজার, আস-সাওয়ায়েকুল মুহাররেক্বাহ, ১৪১৭ হি., খ. ২, পৃ. ৫০৬।
  104. আশ-শাফেয়ী, দিওয়ানুল ইমামিশ শাফেয়ী, কায়রো, পৃ. ১২১।
  105. আশ-শাফেয়ী, দিওয়ানুল ইমামিশ শাফেয়ী, কায়রো, পৃ. ৮৯।
  106. যেমাখশারি, আল-কাশশাফ, ১৪০৭ হি., খ. ১, পৃ. ৩৭০।
  107. সুবহানী, সীমায়ে আকায়েদে শিয়েহ, ১৩৮৬ ফার্সি সন, পৃ. ২৩৪।
  108. যাহাবি, সিয়ারু আ’লামিন নুবালা, ১৪০৫ হি., খ. ৬, পৃ. ২৫৭।
  109. আবু যারআহ, দামেশকী, তারিখে আবু যারআহ আদ-দামেশকি, মাজমাউল লোগাতিল আরাবিয়াহ, পৃ. ৫৩৬।
  110. ইবনে আবিল হাদিদ, শারহে নাহজুল বালাগাহ, ১৪১৭ হি., খ. ১৫, পৃ. ২৭৪।
  111. ইবনে হাজার হাইতামি, আস-সাওয়ায়েকুল মুহাররেকাহ, ১৪১৭ হি., খ. ২, পৃ. ৪৪২।
  112. ইবনে হাজার হাইতামি, আস-সাওয়ায়েকুল মুহাররেকাহ, ১৪১৭ হি., খ. ২, পৃ. ৪৪২।
  113. রাব্বানী গুলপায়গানী, আহলে বাইত, পৃ. ৫৫৬।