বিদআত

wikishia থেকে

বিদআত (আরবি: بِدْعَت); নবসৃজন, মহানবির (স.) পরবর্তী সময়ে দ্বীনে এমন কিছু প্রবেশ করানো, যা সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে অথবা যা সম্পর্কে কুরআনরেওয়ায়েত ভিত্তিক কোন দলীল নেই, আর এই শিরোনামের (বিদআত) আওতায় ধর্মীয় কোন বিধানই আসতে পারে না। বিদআত ((بِدْعَت)), সুন্নাতের  বিপরীতে অবস্থিত; সুন্নাত হলো ঐ শিক্ষা যার সমর্থনে পবিত্র কুরআন অথবা মহানবি (স.) ও নিষ্পাপ ইমামগণের রেওয়ায়েতে কোন দলীল উল্লেখিত হয়েছে। রেওয়ায়েতে বিদআতকে কুফরশিরক সংশ্লিষ্ট কাজের তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে এবং শিয়াসুন্নি সকল ফকীহই বিদআতকে হারাম জেনেছেন।

বিদআতের বাহ্যিক দৃষ্টান্তের বিষয়ে ইসলামি মাযহাবসমূহের মাঝে এখতেলাফ রয়েছে এবং প্রত্যেক মাযহাব অপর মাযহাবগুলোকে বিদআতি বলে অভিযুক্ত করে। বলা হয়েছে যে, মুসলিম মনীষীদের মাঝে অপর মাযহাবের অনুসারীদেরকে বিদআতি আখ্যা দানে সবচেয়ে অগ্রগামী ছিলেন ইবনে তাইমিয়া

শিয়াদের দৃষ্টিতে হাত বেঁধে নামায আদায়, তারাবির নামায পড়া, নামাযে (সূরা ফাতিহা শেষে) আমিন বলা ইত্যাদি কাজ বিদআত। আহলে সুন্নাতের কিছু কিছু আলেমের বিশ্বাস; বিদআত দু’ভাগে বিভক্ত: উত্তম ও মন্দ। উমর ইবনে খাত্তাবের নির্দেশে চালু হওয়া জামাআত বদ্ধভাবে তারাবির নামায আদায় হলো উত্তম বিদআত। কিন্তু আহলে সুন্নতের আরেক দল আলেম সকল প্রকার বিদআতকেই হারাম হিসেবে গন্য করেছেন।

মুসলিম মনীষীরা বিদআত সম্পর্কে বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা করেছেন; আবু ইসহাক ইব্রাহিম শাতেবি রচিত ‘আল-ই’তিসাম’ ও জাফার সুবহানি রচিত ‘আল-বিদআহ’ সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

পরিভাষা পরিচিত

বিদআত প্রসঙ্গে বিভিন্ন সংজ্ঞা উল্লেখিত হয়েছে।[১] আল-বিদআহ গ্রন্থে জাফার সুবহানি শিয়াসুন্নি আলেমদের থেকে ২২টি সংজ্ঞা উল্লেখ করেছেন;[২] যেমন:- ইবনে হাজার আসকালানি, সুন্নতের বিপরীতে অবস্থিত সবকিছুকে বিদআত বলেছেন,[৩] সাইয়্যেদ মুর্তাযার মতে দ্বীনে কোন কিছু সংযোজন বা বিয়োজনকে বিদআত বলে আখ্যায়িত করেছেন।[৪]

ফকীহগণের পরিভাষায়, ধর্মে নেই এমন কোন কিছু ধর্মে প্রবেশ করানোকে বিদআত বলা হয়।[৫] যেমন: যে ইবাদতের কথা ধর্মে আসে নি, সেটাকে তাকিদ প্রাপ্ত আমল হিসেবে গন্য করা।[৬] ফকীহগণের ফতওয়ার ভিত্তিতে, দ্বীনের মধ্যে না থাকা কোন আমলকে মুস্তাহাব জ্ঞান করাও বিদআত।[৭]

মুহাম্মাদ বাকির মাজলিসী বিদআতের বিস্তারিত ব্যাখ্যা উল্লেখ করেছেন, তার মতে, বিদআত হলো ‘মহানবির (স.) পর দ্বীনে কোন নবসৃজন; যা সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে অথবা যা সম্পর্কে কোন রেওয়ায়েত বর্ণিত হয় নি এবং ধর্মীয় সার্বিক বিধানের আওতায়ও পড়ে না।[৮]

আকিদাগত বিষয়াদির আলোচনা অথবা আহকামে শরয়ী’র আলোচনার মাঝে বিদআত প্রসঙ্গে আলোচনা হতে পারে।[৯] বিদআত, সুন্নতের বিপরীতে অবস্থিত; সুন্নত হল কুরআন এবং  মহানবি (স.) ও অন্যান্য মাসুম ইমামগণ থেকে বর্ণিত রেওয়ায়েতে উল্লেখিত শিক্ষা।[১০]

ফিকাহ সংশ্লিষ্ট আলোচনায় বিদআত ‘তাশরী’ ((تشریع)) নামেও পরিচিত।[১১] এ দু’য়ের ক্ষেত্রে একই সংজ্ঞা উল্লেখিত হয়েছে।[১২]

বিদআত প্রণয়ন কবিরা গুনাহ

শিয়াসুন্নি সূত্রে বর্ণিত রেওয়ায়েতসমূহে বিদআতের তিরস্কারে বহুসংখ্যক হাদীস বর্ণিত হয়েছে।[১৩] আল-বিদআহ গ্রন্থে ৩০টি রেওয়ায়েত এ প্রসঙ্গে উল্লেখিত হয়েছে।[১৪] যেমন: মুসনাদে আহমাদ ইবনে হাম্বাল এবং সুনানে ইবনে মাজাহ কাযভিনী’তে উল্লেখিত একটি হাদীসের ভিত্তিতে, মহানবি (স.) সকল প্রকার বিদআতকে দ্বালালাহ তথা ভ্রষ্টতা বলে আখ্যায়িত করেছেন।[১৫] ইবনে মাজাহ মহানবি (স.) থেকে বর্ণনা করেছেন, বিদআত প্রণয়নকারীর রোযা, নামায, সদকা, হজ্জউমরাহ কবুল করা হবে না।[১৬]

একইভাবে কুলাইনি তার আল-কাফী গ্রন্থে ইমাম বাকিরইমাম সাদিক (আলাইহিমাস সালাম) থেকে রেওয়ায়েত করেছেন যে, সকল বিদআতই ভ্রষ্টতা, আর সকল ভ্রষ্টতার পরিণতি হচ্ছে জাহান্নাম[১৭]

আয়াতুল্লাহ সুবহানি বিদআতকে কবিরা গুনাহ বলে উল্লেখ করেছেন।[১৮] শেইখ সাদুক তার মান লা ইয়াহদ্বুরুহুল ফাকীহ গ্রন্থে বিদআত সংশ্লিষ্ট হাদীসগুলোকে কবিরা গুনাহের অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন।[১৯] তার বর্ণনানুযায়ী, ইমাম বাকির (আ.) বিদআতকে কুফরিশিরক সংশ্লিষ্ট কর্মের তালিকাভূক্ত করেছেন।[২০]

কুরআনে বিদআতের তিরস্কার

মুসলিম মুফাসসিরফকীহগণের দৃষ্টিতে, পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের ভিত্তিতে বিদআত একটি হারাম কাজ।[২১] এ প্রসঙ্গে দলীল হিসেবে যে সকল আয়াত উল্লেখ করা হয়, সূরা হাদিদের ২৭নং আয়াত, সূরা নাহলের ১১৬,[২২] সূরা আনআমের ৬৫ ও ১৫৯ এবং সূরা তাওবাহ’র ৩১নং আয়াত উল্লেখযোগ্য।[২৩]

সূরা হাদিদের ২৭নং আয়াতের ভিত্তিতে মহান আল্লাহ খ্রিষ্টানদের জন্য বৈরাগ্যবাদকে ধার্য্য করেননি বরং তারাই এটাকে চালু করেছে;[২৪] একইভাবে সূরা নাহল-এর ১১৬নং আয়াতে[নোট] বলা হয়েছে: ‘তোমাদের জিহ্বা থেকে মিথ্যে কথা বেরোয় বলেই তোমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করার জন্য এমন কথা বলো যে, এটা হালাল, আর এটা হারাম, যারা আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা উদ্ভাবন করে তারা কক্ষনো কল্যাণ লাভ করতে পারে না’।[২৫] সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হুসাইন তাবাতাবায়ী’র ভাষ্যানুযায়ী, আয়াতের বাচনভঙ্গী থেকে স্পষ্ট হয় যে, দ্বীনে বিদআত প্রণয়ন থেকে মু’মিনগণকে নিষেধ করা হয়েছে।[২৬]

ফিকাহগত বিধান

ফকীহগণ, বিদআতের গণ্ডিতে পড়ে এমন সকল কাজকে হারাম জ্ঞান করেছেন।[২৭] যেমন: মুহাক্কেক হিল্লী সাক্ষ্য প্রদানকারী কিভাবে কসম খাবে –এ প্রসঙ্গে বলেছেন: মহান আল্লাহর কসম ব্যতীত অন্য কোন নাম ধরে কসম খাওয়া জায়েয নয়, কেননা এ কাজ বিদআত, যেমন: পবিত্র গ্রন্থসমূহ, আল্লাহর নবি (স.)ইমামগণের নামে কসম খাওয়া।[২৮] একইভাবে জাওয়াহেরুল কালাম গ্রন্থে ইমামিয়া শিয়া ফকীহদের উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ওযু’তে তৃতীয়বারের মত মুখমণ্ডল ও হাত ধৌত করা বিদআত এবং হারাম।[২৯]

মোল্লা আহমাদ নারাকি’র মতে বিদআত হারাম হওয়া প্রসঙ্গে মুসলমানদের ইজমা রয়েছে।[৩০] বিদআত হারাম হওয়ার বিষয়টিকে তিনি ইসলাম ধর্মের অপরিহার্য্য বিষয়গুলোর অন্তর্ভুক্ত জেনেছেন।[৩১]

মুসলমানদের মাঝে পরস্পরকে বিদআতি আখ্যায়িত করার প্রচলন

কোন কোন বিষয় বিদআত এ প্রসঙ্গে মুসলমানদের মাঝে মতানৈক্য দীর্ঘদিনের।[৩২] ইবনে রুশদের ভাষ্যানুযায়ী প্রত্যেক মুসলিম মাযহাব অপর সকল মাযহাবের বিরুদ্ধে বিদআতের অভিযোগ তোলে;[৩৩] যেমন: হাম্বালিওয়াহাবিরা ফারাবিইবনে সিনাসহ সকল দার্শনিক, শিয়া কালাম শাস্ত্রবিদ, মু’তাযেলা, আশায়েরাখাওয়ারেজদেরকে বিদআতি মনে করে।[৩৪]

আশায়েরা শুধু নিজেদেরকে ছাড়া মু’তাযেলাহ, শিয়া ও বাতিনিয়াহসহ সকল মুসলিম মাযহাবকে  বিদআতি মনে করে।[৩৫] শিয়াদের দৃষ্টিতে সুন্নিরা, গালিরা (অতিরঞ্জনকারী), মু’তাযেলাহ, খাওয়ারেজ ও সুফীরা বিদআতি।[৩৬]

বলা হয়েছে যে, মুসলিম আলেমদের মাঝে অপর মাযহাবের অনুসারীদেরকে বিদআতি আখ্যা দানে সবচেয়ে অগ্রগামী ছিলেন ইবনে তাইমিয়া।;[৩৭] তার বিশ্বাস হলো, যে কোন আমল কুরআন এবং মহানবি (স.), সাহাবাতাবেঈগণের সুন্নত থেকে গৃহীত হয় নি তা বিদআত।[৩৮]

ইমামি শিয়ারা নামাযে হাত বাঁধা,[৩৯] জামাআতে তারাবী’র নামায আদায় করা,[৪০] নামাযে আমিন বলা[৪১] এবং এক বৈঠকে ৩ তালাক প্রদানকে[৪২] বিদআতের নমুনা হিসেবে উল্লেখ করে থাকে।[৪৩]

বিদআতকে উত্তম ও মন্দ দু’ভাগে ভাগ করা

শাফেয়ী, ইবনে হাযম, গাযযালি ও ইবনে আসিরের[৪৪] ন্যায় কিছু কিছু সুন্নি আলেম সকল বিদআতকে অপছন্দনীয় জ্ঞান করে কিছু উত্তম বিদআতের কথাও উল্লেখ করেছেন।[৪৫] এমন মন্তব্য তারা জামাআতে তারাবীর নামায আদায় প্রসঙ্গে দ্বিতীয় খলিফা উমর ইবনে খাত্তাবের কথার উপর ভিত্তি করে করেছেন; এ কাজকে তিনি বিদআতে হাসানাহ তথা উত্তম বিদআত হিসেবে নামকরণ করেছেন।[৪৬] গাযযালীর মতে শুধু সে-ই বিদআতই হারাম যা সুন্নতের সাথে সাংঘর্ষিক এবং যে কাজ কোন শরয়ী বিধান অপসারণের কারণ হয়।[৪৭] আবার কিছু কিছু সুন্নি আলেম বিদআতকে ‘আহকামে খামসাহ’রওয়াজিব, হারাম, মুস্তাহাব, মাকরুহমুবাহ- ভিত্তিতে ভাগ করেছেন।[৪৮]

শিয়া মনীষীদের বেশীরভাগ এবং আহলে সুন্নতের কিছু কিছু আলেম এ বিভাজনকে গ্রহণ করেন নি; যেমন: শহীদে আওয়াল তার আল-কাওয়ায়েদ ওয়াল ফাওয়ায়েদ গ্রন্থে লিখেছেন: ‘মহানবির (স.) পর সকল নতুন উদ্ভাবন, ওয়াজিব (যেমন: কুরআন লিপিবদ্ধ করা), হারাম (যেমন: অস্থায়ী বিবাহ হারাম ঘোষণা), মুস্তাহাব (যেমন: স্কুল বা মাদ্রাসা নির্মাণ), মাকরুহ (যেমন: মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া, মুবাহ (যেমন: আরামদায়ক আসবাবপত্র সংগ্রহ করা) -এ ৫ ভাগে বিভক্ত এবং শুধু হারামের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো বিদআত।[৪৯] যদিও জাফার সুবহানীর অপর গ্রন্থ ‘যিকরা’তে মাকরুহ বিদআতের কথাও উল্লেখিত হয়েছে।[৫০] মুহাম্মাদ বাকির মাজলিসী, ‘সকল বিদআত হারাম’ বাক্য সম্বলিত রেওয়ায়েত অনুযায়ী ‘আহকামে খামসাহ’র ভিত্তিতে বিদআতকে ভাগ করার বিষয়টিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।[৫১]

আহলে সুন্নতের আলেম শাতেবি বিদআতকে ভাগ করার বিরোধী। এ প্রসঙ্গে তার প্রথম সংশয়টি হলো, শরয়ী দলীলের অধিকারী না হওয়ায় স্বয়ং এই বিভাজনই বিদআত। দ্বিতীয় সংশয়টি হলো, ওয়াজিব বা মুস্তাহাব অথবা মুবাহ বিদআত এই কথাগুলোই পরস্পর বিরোধী; কেননা যদি কোন কিছুর ওয়াজিব বা মুস্তাহাব অথবা মুবাহ হওয়া প্রসঙ্গে দলীল বিদ্যমান থাকে তাহলে সেটাকে আর বিদআত বলা যায় না; কেননা বিদআত হলো ঐ কাজ যার সমর্থনে কোন শরয়ী দলীল নেই।[৫২]

মুবাহাতাহ

আল্লাহর নবি (স.) থেকে ইমাম সাদিক (আ.) যে রেওয়ায়েতটি বর্ণনা করেছেন তাতে আহলে বিদআত তথা বিদআতিদের সাথে আচরণ প্রসঙ্গে ((بَاهِتُوهُمْ)) পরিভাষাটি ব্যবহৃত হয়েছে।[৫৩] এ প্রসঙ্গে শিয়া আলেমদের মাঝে এখতেলাফ রয়েছে। আবুল কাসেম খুয়ীসাইয়্যেদ মুহাম্মাদ রেযা গুলপায়গানীর মত কিছু কিছু আলেমের মতে, এর অর্থ হলো ‘বিদআতিদের উপর অপবাদ আরোপ করো’।[৫৪] ফাইয কাশানীসাইয়্যেদ আব্দুল কারিম মুসাভি আরদেবিলী’র মত কিছু কিছু আলেমের মতে, এর অর্থ হলো ‘আহলে বিদআতকে মাবহুত করো তথা আলোচনার মাধ্যমে তাদের উপস্থাপিত যুক্ত খণ্ডন করে তাদের মুখ বন্ধ করে দাও।[৫৫] রিয়াদ্ব গ্রন্থের প্রণেতা, মিথ্যা হারাম হওয়ার বিষয়টিকে দলীল হিসেবে উল্লেখ করে বিদআতির উপর মিথ্যারোপ করাকে জায়েয জ্ঞান করেন নি।[৫৬]

বিদআত প্রসঙ্গে রচিত গ্রন্থাবলি

  • মুসলিম মনীষীগণ এ নাগাদ বহুসংখ্যক গ্রন্থ, রিসালাহ বিদআত প্রসঙ্গে রচনা করেছেন।[৫৭] সেগুলোর মধ্যে কয়েকটির নাম নিম্নরূপ:
  • ইবনে ওয়াদ্দাহ কুরতুবি রচিত আল-বিদা’ ওয়ান নাহি আনহা
  • তারতুশী প্রণীত আল-হাওয়াদিস ওয়াল বিদা’
  • আবু শামাহ রচিত ‘আল-বায়েস’
  • আবু ইসহাক ইব্রাহিম শাতেবি রচিত ‘আল-ইতিসাম’
  • আবুল কাসেম কুফি রচিত ‘আল-বিদা’ আল-মুহাদ্দাস’
  • জাফার বাকেরি রচিত আল-বিদা’[৫৮]


তথ্যসূত্র

  1. সুবহানী, আল-বিদআহ, ১৪১৬ হি., পৃ. ২৫।
  2. সুবহানী, আল-বিদআহ, ১৪১৬ হি., পৃ. ২৫-৩০।
  3. সুবহানী, আল-বিদআহ, ১৪১৬ হি., পৃ. ২৫।
  4. সুবহানী, আল-বিদআহ, ১৪১৬ হি., পৃ. ২৮।
  5. দ্র: তাবাতাবায়ী, রিয়াদুল মাসায়িল, ১৪১৮ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ১৭৫; খুয়ী, সিরাতুন নাজাত, ১৪১৬ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৪২৮।
  6. খুয়ী, সিরাতুন নাজাত, ১৪১৬ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৪২৮।
  7. দ্র: খুয়ী, মাওসুআতুল ইমামিল খুয়ী, ১৪১৮ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ৩৫৫।
  8. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৭১, পৃ. ২০২ ও ২০৩।
  9. মোআসসেসেয়ে দায়েরাতুল মায়ারেফ, ফেকহে ইসলামি, ফারহাঙ্গে ফেকহ, ১৩৮৮ ফার্সি সন, পৃ. ৭৫।
  10. মোআসসেসেয়ে দায়েরাতুল মায়ারেফ, ফেকহে ইসলামি, ফারহাঙ্গে ফেকহ, ১৩৮৮ ফার্সি সন, পৃ. ৭৫।
  11. দ্র: নারাকী, আওয়ায়েদুল আইয়াম, ১৪১৭ হি., ১৪১৭ হি., পৃ. ৩১৯।
  12. দ্র: খুয়ী, মাওসুআতুল ইমামিল খুয়ী, ১৪১৮ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ৩৫৫; নারাকী, আওয়ায়েদুল আইয়াম, ১৪১৭ হি., ১৪১৭ হি., পৃ. ৩১৯।
  13. সুবহানী, আল-বিদআহ, ১৪১৬ হি., পৃ. ২৫।
  14. দ্র: সুবহানী, আল-বিদআহ, ১৪১৬ হি., পৃ. ১৫-২১।
  15. দ্র: সুবহানী, আল-বিদআহ, ১৪১৬ হি., পৃ. ১৫ ও ১৬।
  16. দ্র: সুবহানী, আল-বিদআহ, ১৪১৬ হি., পৃ. ১৭।
  17. কুলাইনি, আল-কাফী, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫৬।
  18. দ্র: সুবহানী, আল-বিদআহ, ১৪১৬ হি., পৃ. ৫।
  19. দ্র: শেইক সাদুক, মান লা ইয়াহদ্বুরুহুল ফাকীহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৫৭২।
  20. শেইক সাদুক, মান লা ইয়াহদ্বুরুহুল ফাকীহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৫৭২।
  21. সুবহানী, আল-বিদআহ, ১৪১৬ হি., পৃ. ১৩-১৫।
  22. তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১২, পৃ. ৩৬৫।
  23. সুবহানী, আল-বিদআহ, ১৪১৬ হি., পৃ. ১৩ ও ১৪।
  24. তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১৯, পৃ. ১৭৩।
  25. তারজমেয়ে কাভীয়ানপুর।
  26. তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১২, পৃ. ৩৬৫।
  27. নারাকী, আওয়ায়েদুল আইয়াম, ১৪১৭ হি., পৃ. ৩১৯।
  28. মুহাক্কিক হিল্লি, আন-নিহায়াহ ওয়া নুকাতিহা, ১৪১২ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৭৮।
  29. নাজাফি, জাওয়াহেরুল কালাম, বৈরুত, খণ্ড ২, পৃ. ২৭৬।
  30. নারাকী, আওয়ায়েদুল আইয়াম, ১৪১৭ হি., পৃ. ৩১৯।
  31. নারাকী, আওয়ায়েদুল আইয়াম, ১৪১৭ হি., পৃ. ৩১৯।
  32. গুযাশতে, "বিদআত;মুকাদ্দেমে, তা'রিফহা ও তাকসিমাত"' পৃ. ৫৬০।
  33. গুযাশতে, "বিদআত;মুকাদ্দেমে, তা'রিফহা ও তাকসিমাত"' পৃ. ৫৬০।
  34. গুযাশতে, "বিদআত;মুকাদ্দেমে, তা'রিফহা ও তাকসিমাত"' পৃ. ৫৬০।
  35. গুযাশতে, "বিদআত;মুকাদ্দেমে, তা'রিফহা ও তাকসিমাত"' পৃ. ৫৬১।
  36. গুযাশতে, "বিদআত;মুকাদ্দেমে, তা'রিফহা ও তাকসিমাত"' পৃ. ৫৬১।
  37. তারেমি, "বিদআত", পৃ. ৫১৭।
  38. তারেমি, "বিদআত", পৃ. ৫১৭।
  39. সুবহানী, আল-বিদআহ, ১৪১৬ হি., পৃ. ১৬০ ও ১৬১।
  40. সুবহানী, আল-বিদআহ, ১৪১৬ হি., পৃ. ১৭৯।
  41. পাকেতচি, "বিদআত; বাররাসিয়ে তারিখি", পৃ. ৫৬৬।
  42. সুবহানী, আল-বিদআহ, ১৪১৬ হি., পৃ. ১৯৯ ও ২০০।
  43. সুবহানী, আল-বিদআহ, ১৪১৬ হি., পৃ. ১১৯।
  44. সুবহানী, আল-বিদআহ, ১৪১৬ হি., পৃ. ২৬ ও ২৭।
  45. তাবাসি, দিরাসাতুন ফিকহিয়াহ ফি মাসাইলি খিলাফিয়াহ, ১৪২৯ হি., পৃ. ১৬৮; সুবহানী, আল-বিদআহ, ১৪১৬ হি., পৃ. ২৬ ও ২৭।
  46. তাবাসি, দিরাসাতুন ফিকহিয়াহ ফি মাসাইলি খিলাফিয়াহ, ১৪২৯ হি., পৃ. ১৬৮
  47. গাযযালী, ইহইয়াউল উলুম, ১৪০৬ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪ ও ৫।
  48. শাতেবি, আল-ই’তিসাম, ১৪১২ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৪১-২৪৫।
  49. দ্র: শহীদে আওয়াল, আল-কাওয়ায়েদ ওয়াল ফাওয়ায়েদ, ১৪০০ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১৪৪-১৪৬
  50. সুবহানী, আল-বিদআহ, ১৪১৬ হি., পৃ. ২৮।
  51. দ্র: মাজলিসী, মিরআতুল উকুল, ১৪০৪ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৯৩।
  52. দ্র: শাতেবি, আল-ই’তিসাম, ১৪১২ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৪৬।
  53. কুলাইনি, আল-কাফী, ১৪০৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩৭৫।
  54. খুয়ী, মিসবাহুল ফিকাহাহ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৮১; গুলপায়গানী, আদ-দুররুল মানদ্বুদ, ১৪১২ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৪৯।
  55. ফাইয কাশানী, আল-ওয়াফি, ১৪০৬ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৪৫।
  56. তাবাতাবায়ী, রিয়াদুল মাসায়িল, ১৪১৮ হি., খণ্ড ১৬, পৃ. ৪২।
  57. সুবহানী, আল-বিদআহ, ১৪১৬ হি., পৃ. ৯।
  58. সুবহানী, আল-বিদআহ, ১৪১৬ হি., পৃ. ৯।

গ্রন্থপঞ্জি

  • কুরআনুল কারিম
  • পাকাতচি, আহমাদ, বিদআত; ‘বাররাসিয়ে তারিখি’ দায়েরাতুল মায়ারেফ বোযোর্গে ইসলামি, খণ্ড ১১, তেহরান, মারকাযে দায়েরাতুল মায়ারেফে বোযোর্গে ইসলামি, প্রথম সংস্করণ, ১৩৮১ ফার্সি সন।
  • খুয়ী, সাইয়্যেদ আবুল কাসেম, সিরাতুন নাজাত, সংকলন: মুসা মুফিদুদ্দীন আসী আমেলী, কোম, আল-মুন্তাখাব পাবলিকেশন্স, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৬ হি.।
  • খুয়ী, সাইয়্যেদ আবুল কাসেম, মাওসুআতুল ইমামিল খুয়ী, মুআসসিসাতু ইহিইয়া-ই আসারিল ইমামিল খুয়ী, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৮ হি.।
  • খুয়ী, সাইয়্যেদ আবুল কাসেম, মিসবাহুল ফিকাহাহ, তাকরীর: মির্যা আহমাদ আলী তৌহিদী, কোম, আনসারিয়ান, চতুর্থ সংস্করণ, ১৪১৭ হি.।
  • জাফার সুবহানী, ‘আল-বিদআহ; মাফহুমুহা, হাদ্দুহা ওয়া আসারুহা’, কোম, মোআসসেসেয়ে ইমাম সাদেক, ১৪১৬ হি.।
  • শাতেবি, ইব্রাহিম ইবনে মুসা, আল-ই’তিসাম, তাহকীক: সুলাইম ইবনে ঈদুল হিলালি, রিয়াদ, দারু ইবনি আফফান, প্রথম সংস্করণ, ১৪১২ হি.।
  • শেইক সাদুক, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, মান লা ইয়াহদ্বুরুহুল ফাকীহ, তাসহীহ: আলী আকবার গাফফারী, কোম, হাওযা ইলমিয়া কোমের জামেয়ে মুদাররিসীনের সাথে সম্পৃক্ত দাফতারে এন্তেশারাতে ইসলামি, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪১৩ হি.।
  • তারেমি, বিদআত, দানেশ ন’মেয়ে জাহানে ইসলাম, তেহরান, দায়েরাতুল মায়ারেফে ইসলামি ফাউন্ডেশন, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৩৭৫ ফার্সি সন।
  • তাবাতাবায়ী, সাইয়্যেদ আলী, রিয়াদুল মাসায়িল ফি তাহকীকিল আহকাম বিদ-দালালাইল, কোম, মোআসসেসেয়ে আলুল বাইত, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৮ হি.।
  • তাবাতাবায়ী, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হুসাইন, আল-মিযান ফি তাফসিরিল কুরআন, কোম, দাফতারে ইন্তিশারাতে ইসলামি, হাওযা ইলমিয়া কোমের জামে মুদাররিসিনের সাথে সম্পৃক্ত দাফতারে এন্তেশারাতে ইসলামি, ৫ম সংস্করণ, ১৪১৭ হি.।
  • তাবাসি, নাজমুদ্দীন, দিরাসাতুন ফিকহিয়াহ ফি মাসাইলি খিলাফিয়াহ, কোম, দাফতারে তাবলিগাতে ইসলামি, প্রথম সংস্করণ, ১৪২৯ হি.।
  • গাযযালী, ইহইয়াউ উলুমিদ্দীন, বৈরুত, দারুল ফিকর, প্রথম সংস্করণ, ১৪০৬ হি.।
  • ফাইয কাশানী, মুহাম্মাদ মুহসিন, আল-ওয়াফি, তাহকীক: যিয়াউদ্দীন হুসাইনি ইসফাহানী, ইসফাহান, আমিরুল মু’মিনীন লাইব্রেরি, প্রথম সংস্করণ, ১৪০৬ হি.।
  • কুলাইনি, মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব, আল-কাফী, তাহকীক: আলী আকবার গাফফারী, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়া, চতুর্থ সংস্করণ, ১৪০৭ হি.।
  • নাসের, বিদআত, দায়েরাতুল মায়ারেফে বোযোর্গে ইসলামি, খণ্ড ১১, তেহরান, মারকাযে দায়েরাতুল মায়ারেফে বোযোর্গে ইসলামি, প্রথম সংস্করণ, ১৩৮১ ফার্সি সন।
  • গুলপায়গানী, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ রেযা, আদ-দুররুল মানদ্বুদ ফি আহকামিল হুদুদ, দারুল কুরআনিল কারিম, প্রথম সংস্করণ, ১৪১২ হি.।
  • মুহাম্মাদ বাকির মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ারিল জামেআহ লি-দুরারি আখবারিল আইম্মাতিল আতহার, তাসহীহ: একদল গবেষক, বৈরুত, দারু ইহিয়াইত তুরাসিল আরাবি, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৩ হি.।
  • মাজলিসী, মুহাম্মাদ বাকের, মিরআতুল উকুল ফি শারহি আখবারি আলির রাসূল, তাহকীক: সাইয়্যেদ হাশেম রাসুলী, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়াহ, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৪ হি.।
  • মুহাক্কিক হিল্লি, জাফার ইবনে হাসান, আন-নিহায়াহ ওয়া নুকাতিহা, তাসহীহ: দাফতারে এন্তেশারাতে ইসলামির একদল গবেষক, কোম, হাওযা ইলমিয়া কোমের জামে মুদাররিসিনের সাথে সম্পৃক্ত দাফতারে এন্তেশারাতে ইসলামি, প্রথম সংস্করণ, ১৪১২ হি.।
  • মোআসসেসেয়ে দায়েরাতুল মায়ারেফে ফেকহে ইসলামি, ফারহাঙ্গে ফেকহ মোতাবেকে মাযহাবে আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম, কোম, মোআসসেসেয়ে দায়েরাতুল মায়ারেফে ফেকহে ইসলামি, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৩৮৮ ফার্সি সন।
  • নাজাফি, মুহাম্মাদ হাসান, জাওয়াহেরুল কালাম, ফি শারহি শারায়েইল ইসলাম, তাসহীহ: আব্বাস কুচানী ও আলী আখোন্দি, বৈরুত, দারু ইহিয়াইত তুরাসিল আরাবি, ৭ম সংস্করণ।
  • নারাকী, আহমাদ, আওয়ায়েদুল আইয়াম ফি বায়ানি কাওয়ায়েদিল আহকাম ওয়া মুহিম্মাতু মাসায়িলিল হালালি ওয়াল হারাম, কোম, এন্তেশারাতে দাফতারে তাবলিগাতে ইসলামি, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৭ হি.।