হযরত ফাতিমা’র বাসগৃহে হামলার ঘটনা

wikishia থেকে

হযরত ফাতিমা’র বাসগৃহে হামলার ঘটনা; এতে নবিকন্যা হযরত ফাতিমা ও হযরত আলীর বাসগৃহে আলী (আ.) সহ যারা অবস্থান করছিলেন তাদের থেকে আবুবকরের পক্ষে বাইআ’ত গ্রহণের উদ্দেশ্যে ওমর ইবনে খাত্তাব ও তার সাথীদের ফাতিমার (সা. আ.) গৃহের সামনে অবস্থান গ্রহণ এবং এর পরবর্তী ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। শিয়া ও সুন্নি বিভিন্ন সূত্রের ভিত্তিতে, ঘটনাটি মহানবির (স.) ওফাতের (২৮ সফর ১১ হি.) পর ঘটেছিল। সদলবলে গৃহের সামনে অবস্থান নিয়ে ওমর ইবনে খাত্তাব গৃহের ভেতরে অবস্থানরত ব্যক্তিরা যদি বেরিয়ে না আসে তাহলে গৃহে অগ্নিসংযোগের হুমকি দেন।

সুলাইম ইবনে কায়েস রচিত গ্রন্থ ও আইয়াশি রচিত ইসবাতুল ওয়াসিয়্যাহ’তে -যা শিয়াদের প্রথম সারির গ্রন্থগুলোর অন্যতম- বলা হয়েছে যে, গৃহের দরজা ভেঙ্গে জোরপূর্বক প্রবেশ ও অগ্নিসংযোগের এই ঘটনায় ফাতেমা’র (সা. আ.) গর্ভস্থিত সন্তান ‘মুহসিন’ শহীদ হন। এর কিছুদিন পরই হযরত ফাতেমাও শহীদ হন। আহলে সুন্নতের সূত্রগুলিতে, দরজায় অগ্নিসংযোগ এবং হযরত ফাতিমার আহত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে এ ঘটনা বর্ণনাকারীদেরকে রাফিজি বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

ঘটনার নেপথ্য কারণ হিসেবে বলা হয়েছে যে, আবুবকরের খেলাফতের ভিত মজবুত করার জন্য হযরত আলীর (কা.) থেকে বাইআ’ত গ্রহণ ছিল একটি অপরিহার্য বিষয়। ইতিহাস বিষয়ক গবেষক মুহাম্মাদ হাদি ইউসুফি গারাভি’র (জন্ম ১৩২৭ ফার্সি সন) মতে, ঘটনাটি মহানবির (স.) ওফাতের প্রায় ৫০ দিনের পরের।

কিতাবে সুলাইম ইবনে কায়েস এবং আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ’র বর্ণনার ভিত্তিতে, হযরত ফাতিমার সাথে আবুবকর ও ওমরের সাক্ষাতের সময় তিনি (সা. আ.) 'হাদীসে বাদ্বআহ্' উল্লেখপূর্বক মহান আল্লাহকে সাক্ষ্য রেখে বলেন যে, তারা দু’জন তাঁকে কষ্ট দিয়েছে এবং তাঁকে রাগান্বিত করেছে। আহলে সুন্নতের বিভিন্ন গ্রন্থে এ বিষয়টি উল্লিখিত হয়েছে যে, জীবনের শেষ দিনগুলিতে আবুবকর বলেছেন: ‘আফসোস! ফাতিমার গৃহে প্রবেশের নির্দেশ যদি না দিতাম’।

গুরুত্ব ও অবস্থান

হযরত ফাতিমা’র (সা. আ.) বাসগৃহে হামলার ঘটনা, সাকীফার ঘটনার পর আবুবকরের খেলাফতের পক্ষে ইমাম আলীর (আ.) নিকট হতে বাইআ’ত গ্রহণের উদ্দেশ্যে ঘটেছিল।[১] ঐ হামলায় আহত ফাতিমা (সা. আ.) অল্পদিনের মধ্যেই শহীদ হন।[২] ঘটনাটি শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যকার সম্পর্কে পার্থক্য নির্ণয়ক ঘটনাগুলোর অন্যতম। কিতাবে সুলাইম ইবনে কায়েস, ইসবাতুল ওয়াসিয়্যাহ, তাফসীরে আইয়াশি, দালায়েলুল ইমামাহসহ প্রথম সারির বেশ কয়েকটি শিয়া গ্রন্থে হযরত ফাতিমার বাসগৃহে হামলার ঘটনাটি উল্লেখ করা হয়েছে।[৩] পক্ষান্তরে আহলে সুন্নতের সূত্রগুলোতে হযরত ফাতিমার বাসগৃহে অগ্নিসংযোগ এবং তাঁর গর্ভস্থিত সন্তানের গর্ভপাতের বিষয়টিকে অস্বীকার করা হয়েছে এবং ঘটনার বর্ণনাকারীদেরকে রাফেজি ও অনির্ভরযোগ্য বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।[৪]

ফাতিমার গৃহ ও এর বাসিন্দাদের মর্যাদা

শিয়া ও সুন্নি উভয় সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, মহানবি (স.) فِی بُیوتٍ أَذِنَ اللهُ أَن تُرْ‌فَعَ وَیذْکرَ فِیهَا اسْمُهُ یسَبِّحُ لَهُ فِیهَا بِالْغُدُوِّ وَالْآصَالِ ‘আল্লাহ্ যেসব গৃহকে মর্যাদায় উন্নীত করার এবং সেগুলোতে তাঁর নাম উচ্চারণ করার আদেশ দিয়েছেন, সেখানে সকাল ও সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে।’[৫] -এ আয়াতে উল্লিখিত গৃহগুলোর মধ্যে ফাতিমা ও আলীর (আলাইহিমাস সালাম) বাসগৃহকে সর্বোত্তম বলে উল্লেখ করেছেন।

শিয়া ও সুন্নি সূত্রগুলিতে, পবিত্র কুরআনের কিছু কিছু আয়াতের শানে নুযুল হযরত ফাতিমার গৃহের বাসিন্দাদের (ইমাম আলী (আ.), ফাতিমা (সা. আ.), ইমাম হাসান (আ.) ও ইমাম হুসাইন (আ.)) সংশ্লিষ্ট বলে উল্লেখ করা হয়েছে; যেমন: ইতআমের আয়াত[৬] এবং তাতহিরের আয়াত[৭] ইত্যাদি।

ঘটনার নেপথ্য কারণ

মহানবির (স.) ওফাতের পরপরই সাকীফা বনি সায়েদায় আনসার ও মুহাজিরদের একটি দলের সমাবেশে তারা আবুবকরের খেলাফতের পক্ষে সম্মতি দেন এবং তার হাতে বাইআ’ত করেন।[৮] ইবনে আসীরের ভাষ্যমতে, আবুবকরের হাতে বাইআ’তের ঘটনা মহানবির (স.) জানাযা মুবারক দাফন করার পূর্বে সংঘটিত হয়েছিল।[৯] ইমাম আলী (আ.) যখন মহানবিকে (স.) দাফন করার জন্য প্রস্তুত করার কাজে ব্যস্ত ছিলেন, ঠিক তখনই সাকীফাতে এ ঘটনা ঘটে।[১০]

১০ম হিজরীর ১৮ই জিলহজ্জ মহানবি (স.) বিদায় হজ্জ থেকে ফেরার পথে গাদীরে খুম নামক স্থানে আলী ইবনে আবি তালিবকে (আ.) নিজের স্থলাভিষিক্ত প্রতিনিধি হিসেবে মুসলমানদের সম্মুখে পরিচয় করিয়ে দেন।[১১] মহানবির (স.) ঘোষণার পর ঐ দিন যারা আলীকে (আ.) অভিনন্দন জানিয়েছিলেন ওমর ইবনে খাত্তাব ছিলেন তাদেরই একজন।[১২]

বিশিষ্ট শিয়া লেখক হুসাইন মুহাম্মাদ জা’ফারের মতে, আলী (আ.) ও তাঁর সাথীদের কঠোর প্রতিক্রিয়ার ভয়ে আবুবকর ও ওমর তাদেরকে বাইআ’তের আহবান জানান। কিন্তু তাঁরা বাইআ’ত করতে অস্বীকৃতি জানালে খলিফার লোকেরা বল প্রয়োগের নীতি অবলম্বন করেছিল।[১৩]

সেদিন যা ঘটেছিল

হিজরী তৃতীয় শতাব্দির বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ইয়াকুবি’র বর্ণনানুযায়ী, সাকীফা বনি সায়েদা’র ঘটনায় আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব, ফাদ্বল ইবনে আব্বাস, সালমান ফারসি, আবুযার গিফারি, আম্মার ইয়াসির, ও বাররা ইবনে আযিব ছিলেন আবুবকরের হাতে বাইআ’ত করতে অস্বীকৃতি জানানো দলের অন্তর্ভুক্ত।[১৪] সাইয়্যেদ মুর্তাযা আসকারি’র বলেন, হিজরী পঞ্চদশ শতাব্দির ইতিহাস গবেষকদের মতে, আবুবকরের হাতে বাইআ’ত করা থেকে বিরত থাকা দলটিই হযরত আলীর (আ.) সাথে ফাতিমার (সা. আ.) বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।[১৫] ঐ দলে তালহা ও যুবাইরও ছিলেন বলে তাবারি উল্লেখ করেছেন।[১৬]

বাইআ’ত গ্রহণে আবুবকরের নির্দেশ

সাকীফায় বাইআ’তের ঘটনার পর, আবুবকর কিছু কিছু সাহাবার খোঁজ-খবর নিলেন যারা তখনো তার নিকট বাইআ’ত করেন নি।[১৭] ইবনে কুতাইবাহ’র ‘আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ’ গ্রন্থে উল্লেখিত বর্ণনার ভিত্তিতে, আবুবকর হযরত আলী ও তাঁর সাথীদেরকে বাইআ’তের আহবান জানাতে ওমর ও কুনফুযকে ৪ দফা হযরত ফাতিমার বাড়িতে পাঠান।[১৮] ঐ বর্ণনার ভিত্তিতে, প্রথম দফায় ওমর ইবনে খাত্তাবের হুমকিতে গৃহের ভেতর অবস্থানকারীরা সকলে বাইরে এসে বাইআ’ত করেন, একমাত্র আলী ব্যতিত; যিনি পূর্ণ কুরআন সংকলন না করা পর্যন্ত গৃহ থেকে বের না হওয়া প্রসঙ্গে কসম খেয়েছিলেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় আবুবকর কুনফুযকে হযরত ফাতিমার বাড়িতে পাঠান, সে ইতিবাচক জবাব না পাওয়ায় চতুর্থ দফায় ওমর ইবনে খাত্তাব নিজে একটি দলের সাথে হযরত ফাতিমার (সা. আ.) বাড়িতে যান এবং আলীকে (আ.) বাড়ি থেকে বের করে আবুবকরের কাছে নিয়ে যান।[১৯] বিশিষ্ট ইতিহাস গবেষক মুহাম্মাদ হাদী ইউসুফি গারাভি’র মতে, আবুবকর ৩ দফায় তার লোকদেরকে ইমাম আলীর (আ.) বাড়িতে পাঠিয়ে বাইআ’ত চান; প্রথম ও দ্বিতীয়বার ইমাম (আ.) তাদেরকে ফেরত পাঠান এবং তৃতীয়বার খলিফা প্রেরিত লোকেরা কঠোর আচরণ করে।[২০]

শেইখ মুফিদের সাথে সম্পৃক্ত ‘আল-ইখতিছাছ’ গ্রন্থে উল্লিখিত হয়েছে যে, আলীকে (আ.) মসজিদের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় যুবাইর -হযরত ফাতিমার (সা. আ.) গৃহে অবস্থানকারীদের একজন- তলোয়ার বের করে বললেন: হে আব্দুল মুত্তালিবের সন্তানেরা! তোমরা জীবিত রয়েছো অথচ আলীর সাথে এমন আচরণ হচ্ছে?! তিনি ওমরকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করলে খালিদ ইবনে ওয়ালিদ তাকে লক্ষ্য করে একটি পাথর ছুঁড়ে মারে এবং তার হাত থেকে তলোয়ার পড়ে যায়। ওমর ঐ তলোয়ার তুলে নিয়ে একটি পাথরে আঘাত করেন এবং তলোয়ার ভেঙ্গে যায়।[২১] হিজরী তৃতীয় শতাব্দির ঐতিহাসিক তাবারি’র বর্ণনার ভিত্তিতে, হযরত ফাতিমার (সা. আ.) বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় (হোচট খেয়ে) যুবাইরের পা টলে যায় এবং তার হাত থেকে তলোয়ার পড়ে যায়।[২২]

অতঃপর আলীকে (আ.) আবুবকরের কাছে নেয়া হয় এবং বাইআ’ত না করলে তাকে শিরোশ্ছেদ করার হুমকি দেওয়া হয়।[২৩] কিতাবে সুলাইম ইবনে কায়েসে বর্ণিত হয়েছে যে, ইমাম আলী (আ.) উপস্থিতদের উদ্দেশে যুক্তি উপস্থাপন করেন এবং গাদীরের দিন তার স্থলাভিষিক্ত হওয়া সম্পর্কে মহানবি (স.) যা কিছু বলেছিলেন তা স্মরণ করিয়ে দেন। কিন্তু আবুবকর বললেন যে, তিনি মাহানবিকে (স.) বলতে শুনেছেন, ‘নবুয়্যত ও খেলাফত দু’টোই তার আহলে বাইতের মধ্যে একত্রিত হবে না’ (অর্থাৎ নবি ও খলিফা দু’জনই তাঁর (স.) আহলে বাইতের সদস্যদের মাঝ থেকে হবেন না)।[২৪]

শেইখ মুফিদের ভাষ্যানুযায়ী, সাকীফার দিন ইমাম আলী (আ.), আবুবকরের হাতে বাইআ’ত করেন নি; তবে পরবর্তীতে তিনি বাইআ’ত করেছিলেন কি না -এ বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন বর্ণনা বিদ্যমান; অবশ্য শেইখ মুফিদের বিশ্বাস আলী (আ.) কখনই আবুবকরের হাতে বাইআ’ত হন নি।[২৫]

অপর একটি রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে আলীকে (আ.) বাইআ’ত না করলে শিরোশ্ছেদ করার হুমকি দেয়া হলে মহানবির (স.) চাচা আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব হযরত আলীর (আ.) হাত ধরে আবুবকরের হাতের উপর টেনে দেন এবং তারাও আলীকে (আ) ছেড়ে দেয়।[২৬] কিন্তু ‘আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ’ গ্রন্থের বর্ণনার ভিত্তিতে, আবুবকর বলেন: যতক্ষণ আলীর পাশে ফাতিমা রয়েছে তাকে বাইআ’ত করতে বাধ্য করবো না।[২৭]

হযরত ফাতিমা’র প্রতিক্রিয়া

প্রথম দফায় যখন আলী (আ.) ও তাঁর সাথীদেরকে আনার জন্য আবুবকরের লোকজন ফাতিমার (সা. আ.) বাড়িতে আসে তখন ফাতিমা দরজার কাছে দাঁড়িয়ে বলেন: ‘তোমাদের মত অন্যায়ভাবে কারো দরজায় দণ্ডায়মান কোন দলকে আমি চিনি না। তোমরা আল্লাহর রাসূলের (স.) জানাযা’কে আমাদের সামনে ফেলে [খেলাফতের বিষয়ে] নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছো, এক্ষেত্রে আমাদের মতামত নেয়ার প্রয়োজনও মনে করো নি এবং আমাদেরকে আমাদের প্রাপ্য অধিকার প্রদান করো নি।[২৮]

চতুর্থ দফায় আলীকে (আ.) আনার জন্য ওমর গেলেন। এ সময় ফাতিমা ফরিয়াদ করে বললেন: ‘বাবা! হে রাসূলে খোদা! তোমার পর খাত্তাবের পুত্র ও আবু কুহাফার পুত্র আমাদের সাথে কি আচরণটাই না করেছে! ওমরের সাথে থাকা লোকদের একটি দল হযরত ফাতিমার এই ফরিয়াদ শুনে ফিরে যান।[২৯]

ইয়াকুবি’র বর্ণনার ভিত্তিতে, হযরত ফাতিমা (সা. আ.) তার বাসগৃহে জোরপূর্বক প্রবেশ করা লোকদের উদ্দেশে বললেন: ‘আল্লাহর কসম! যদি তোমার বেরিয়ে না যাও তাহলে আল্লাহর দরবারে বিচার চেয়ে ফরিয়াদ করবো।’ হযরত ফাতিমার (সা. আ.) এ কথা শুনে গৃহে প্রবেশ করা সকলেই বেরিয়ে যায়[৩০] আবুবকর জৌহারি (মৃত্যু ৩২৩ হি.) তার ‘আস-সাকীফাহ ওয়া ফাদাক’ গ্রন্থে লিখেছেন, ওমর ইবনে খাত্তাব আলীকে (আ.) জোরপূর্বক গৃহ থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার পর হযরত ফাতিমা (সা. আ.) দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আবুবকরের উদ্দেশে বললেন: ‘কত দ্রুতই না তোমরা রাসূলের আহলে বাইতের উপর আক্রমণ করলে! আল্লাহর কসম! আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করা অবধি আমি ওমরের সাথে কথা বলবো না।’[৩১][নোট ১] এ বর্ণনার ভিত্তিতে, পরবর্তী সময়ে আবুবকর হযরত ফাতিমার (সা. আ.) নিকট গিয়ে ওমরের ব্যাপারে সুপারিশ করলে তিনি তা গ্রহণ করে নেন।[৩২] অবশ্য সহিহ বুখারিতে বর্ণিত রেওয়ায়েতটি উপরোক্ত বর্ণনা থেকে আলাদা। বুখারির বর্ণনা অনুযায়ী ফাদাক কেড়ে নেয়ার কারণে হযরত ফাতিমা (সা. আ.) আবুবকর থেকেও অসন্তুষ্ট ছিলেন। যতদিন তিনি (সা. আ.) বেঁচে ছিলেন আবুবকরের প্রতি সন্তুষ্ট হন নি এবং তার সাথে কথাও বলেন নি।[৩৩]

তাফসীরে আইয়াশি’তে উল্লিখিত হয়েছে, আলীকে (আ.) গৃহ থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার পর হযরত ফাতিমা (সা. আ.) আবুবকরের কাছে গিয়ে বললেন: যদি আলীকে (আ.) ছেড়ে না দাও, আমি আল্লাহর রাসূলের (স.) কবরে গিয়ে চুল খুলে মহান আল্লাহর দরবারে অভিযোগ করবো। ইমাম আলী (আ.) সালমান ফারসিকে ফাতিমার (সা. আ.) কাছে পাঠিয়ে তাঁকে এ কাজ থেকে বিরত থাকতে বললেন। আলীর (আ.) পাঠানো পয়গাম পেয়ে ফাতিমা (সা. আ.) বাড়ি ফিরে গেলেন।[৩৪]

বাসগৃহে অগ্নিসংযোগের হুমকি

আল-ইকদুল ফারিদ,[৩৫] তারিখে তাবারি,[৩৬] আনসাবুল আশরাফ,[৩৭] আল-মুসান্নাফ,[৩৮] আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ[৩৯] সহ আহলে সুন্নতের কিছু কিছু সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, আবুবকরের নির্দেশে হযরত আলী ও তাঁর সাথীদেরকে বাইআ’তের জন্য নিয়ে যেতে ওমর সদলবলে হযরত ফাতিমার বাড়িতে যান। কিন্তু বাড়ির বাসিন্দাদের বিরোধিতার (ও বাইআ’ত করতে অস্বীকৃতির) মুখোমুখি হয়ে তিনি কাঠ সংগ্রহের নির্দেশ দিয়ে বাড়ির ভেতরে থাকা লোকদেরসহ বাড়িতে অগ্নিসংযোগের হুমকি দেন।

হিজরী তৃতীয়-চতুর্থ শতাব্দির বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ও সাহিত্যিক ইবনে আব্দে রাব্বিহি’র ভাষ্যানুযায়ী, আবুবকর ওমরকে বললেন, যদি গৃহের বাসিন্দারা বাইরে না আসে তবে তাদের সাথে যুদ্ধ করো। ওমর জ্বলন্ত মশাল হাতে নিয়ে গৃহের বাসিন্দারা যদি বাইআ’ত না করে তাহলে গৃহে অগ্নিসংযোগ করবেন বলে হুমকি দেন।[৪০] আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ গ্রন্থের বর্ণনায় বলা হয়েছে, এমন হুমকি দেয়ার পর ওমরকে গৃহের ভেতর ফাতিমার (সা. আ.) উপস্থিতির বিষয়টি জানানো হলে উত্তরে তিনি বলেন: ‘সে (ফাতিমা) গৃহে থাকলেও (আমি তা করবো)’।[৪১]

বিভিন্ন ইতিহাস গ্রন্থে ঐ হামলায় ওমর ইবনে খাত্তাবের সাথে যারা ছিল তাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে; তাদের মধ্যে উসাইদ ইবনে হুদাইর, সালামাহ ইবনে সাল্লামাহ ইবনে ওয়াকশ, [নোট], সাবিত ইবনে কায়েস ইবনে শাম্মাস খাযরাজি,[৪২] আব্দুর রাহমান ইবনে আওফ, মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামাহ,[৪৩] ও যাইদ ইবনে আসলাম[৪৪] প্রমূখের নাম উল্লেখযোগ্য।

আহলে সুন্নতের আনসাবুল আশরাফ[৪৫] ও ইকদুল ফারিদ[৪৬] গ্রন্থে ফাতিমার বাসগৃহে অগ্নিসংযোগ প্রসঙ্গে ওমরের হুমকির বিষয়টি, শিয়া বা তাদের সমর্থক কোন রাজনৈতিক দলের বানানো ঘটনা হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সাইয়্যেদ জাফার শাহিদী; কেননা প্রথম শতাব্দিতে তাদের কোন ক্ষমতাই ছিল না, বরং তারা ছিল সংখ্যালঘু। এর ঊর্ধ্বে বর্ণনাটি ওয়েস্টার্ন ইসলামিক সোর্সেও লিপিবদ্ধ হয়েছে যেখানে শিয়াদের কোন পদচারণা ছিল না।[৪৭] শাহিদী মতে, সাকিফায় উপস্থিত ব্যক্তিরা ধর্মের চেয়ে হুকুমতের বিষয়ে অধিক উদ্বিগ্ন ছিলেন।[৪৮]

দরজায় অগ্নিসংযোগ, ফাতিমাকে আঘাত এবং গর্ভস্থিত সন্তানের শাহাদাত

শিয়াদের প্রথম সারির কিছু কিছু সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত ফাতিমার বাসগৃহে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তার গৃহের দরজায় আগুন দেয়া হয় এবং এতে তিনি (মারাত্মকভাবে) আহত হন। আর এ ঘটনায় তার গর্ভপাত ঘটে তার গর্ভস্থিত সন্তান মুহসিন শহীদ হয়ে যান। সুলাইম ইবনে কায়েসের গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, ওমর ইবনে খাত্তাব যে হুমকি দিয়েছিলেন তা বাস্তবায়ন করেছিলেন; তিনি ফাতিমার (সা. আ.) বাড়ির দরজায় অগ্নিসংযোগ করে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি ফাতেমার (সা. আ.) পক্ষ থেকে বাধার সম্মুখীন হলে তলোয়ারের বাট দিয়ে হযরত ফাতিমার পাঁজড়ে সজোরে আঘাত করেন।[৪৯] এছাড়া, হিজরী চতুর্থ শতাব্দির বিশিষ্ট ঐতিহাসিক আলী ইবনে হুসাইন মাসউদি’র সাথে সম্পৃক্ত ‘ইসবাতুল ওয়াসিয়াহ’ গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে যে, ‘বাড়ির উপর হামলা চালালো, দরজায় আগুন দিল, আলীকে (আ.) জোরপূর্বক বের করে নিয়ে গেলো এবং বেহেশতের নারীদের সম্রাজ্ঞী’কে (দরজা ও দেয়ালের মাঝে) পিষ্ট করলো; এমনভাবে যে তার গর্ভপাত হয়ে গর্ভস্থিত সন্তান শহীদ হয়ে গেল।’[৫০] দালায়েলুল ইমামায় বর্ণিত হয়েছে যে, ‘ফাতিমাকে (সা. আ.) আঘাত করার জন্য ওমর কুনফুযকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।[৫১]

গায়বাতের সোগরা (স্বল্পমেয়াদী অন্তর্ধান)-এর সময়কার বিশিষ্ট শিয়া মুহাদ্দিস আইয়াশী বলেছেন যে, খোরমার ডাল দিয়ে তৈরি ফাতিমার (সা. আ.) গৃহের দরজায় ওমর লাথি মেরে সেটাকে ভেঙ্গে গৃহে প্রবেশ করলেন এবং আলীকে (আ.) বেঁধে বের করে নিয়ে গেলেন।[৫২]

ঘটনার সময়কাল

বিভিন্ন প্রমাণের ভিত্তিতে ইসলাম ও শিয়া মাযহাব বিষয়ক গবেষক মুহাম্মাদ হাদী ইউসুফি গারাভি’র মতে, হযরত ফাতিমার (সা. আ.) বাড়িতে হামলার ঘটনা সাকীফার সমাবেশ ও আবুকরের হাতে বাইআ’তের ঘটনার পরপরই ঘটেনি; বরং মহানবির (স.) ওফাতের প্রায় ৫০ অথবা তার চেয়ে বেশী দিন পরের ঘটেছিল।[৫৩] তিনি যে সকল প্রমাণ এনেছে সেগুলোর একটি হলো; উসামা’র বাহিনীর সাথে মোতাহ’র উদ্দেশে মদিনা ত্যাগকারী বুরাইদাহ ইবনে হুসাইব আসলামি নামক জনৈক ব্যক্তি মদিনায় ফেরার পর সাকীফার ঘটনা শুনে  নিজের গোত্রের কিছু লোকের সাথে ইমাম আলীর (আ.) সমর্থনে বললেন: আলী বাইআ’ত না করা পর্যন্ত আমরাও বাইআ’ত করবো না। এ ঘটনার পর খলিফা এবং তার ঘনিষ্টরা আলী (আ.) থেকে বাইআ’ত গ্রহণের বিষয়টি আমলে নেয়। ইউসুফি গারাভি’র ভাষ্যমতে, বুরাইদা’র মোতাহ গমন ও প্রত্যাবর্তনের সময় এবং এর আগের ও পরের ঘটনা বিবেচনায় ফাতিমার (সা. আ.) গৃহে আক্রমণের ঘটনা মহানবির (স.) ওফাতের প্রায় ৫০ দিন পর ঘটেছিল।[৫৪]

পরিণতি

ফাতিমার (সা. আ.) গৃহে আক্রমণের বিভিন্ন পরিণতি ও ফল উল্লেখিত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে নিম্নে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো:

আবুবকর ও ওমরের উপর হযরত ফাতিমার অসন্তুষ্টি

কিতাবে সুলাইম ইবনে কায়েস, আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ ও দালায়েলুল ইমামাহ গ্রন্থে উল্লিখিত হয়েছে যে, ফাতিমার (সা. আ.) গৃহে হামলার পর আবুবকর ও ওমর ফাতিমার (সা. আ.) কাছে ক্ষমা চাওয়া ও তার সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করেছিলেন। এ লক্ষ্যে তারা হযরত ফাতিমার সাথে সাক্ষাতের চেষ্টাও করেছিলেন, কিন্তু ফাতিমা (সা. আ.) তাদেরকে অনুমতি দেন নি। পরবর্তীতে ইমাম আলীর (আ.) মধ্যস্থতায় তারা ফাতিমার (সা. আ.) সাক্ষাতের অনুমতি পান। কিন্তু ঐ সাক্ষাতে ফাতিমা (সা. আ.) তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন এবং ‘ফাতিমা আমার অংশ স্বরূপ, যে ফাতিমাকে কষ্ট দেয় সে আমাকে কষ্ট দিল’ শীর্ষক মহানবির (স.) হাদিস তাদেরকে স্মরণ করান। অতঃপর বলেন, আমি মহান আল্লাহকে সাক্ষ্য রাখছি, তোমরা দু’জন আমাকে কষ্ট দিয়েছো এবং আমাকে ক্রোধান্বিত করেছো।[৫৫][নোট ৩]

গর্ভস্থিত সন্তানের গর্ভপাত ও হযরত ফাতিমার শাহাদাত

সবচেয়ে পুরাতন যে গ্রন্থে হযরত ফাতিমার (সা. আ.) গৃহে হামলা ও তাঁর গর্ভস্থিত সন্তান গর্ভপাত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখিত হয়েছে তা হিজরী প্রথম শতাব্দির গ্রন্থ ‘কিতাবে সুলাইম ইবনে কায়েস’। আহমাদ ইবনে আলী তাবারসী রচিত ‘আল-ইহতিজাজ’, সাইয়্যেদ হাশিম বাহরানি’র ‘গায়াতুল মারাম’ এবং আল্লামা মাজলিসী’র ‘বিহারুল আনওয়ার’সহ যে সকল সূত্রে উক্ত ঘটনা উল্লিখিত হয়েছে, কিতাবে সুলাইম ইবনে কায়েস থেকেই উদ্ধৃত করা হয়েছে।[৫৬]

আবুবকরের অনুশোচনা

ইবনে আসাকির রচিত ‘তারিখু মাদিনাতি দামেশক’,[৫৭]তাবরানি রচিত ‘আল-মু’জামুল কাবির’[৫৮] এবং যাহাবি রচিত ‘তারিখুল ইসলাম’[৫৯] সহ আহলে সুন্নতের বেশ কিছু সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, আবুবকর যখন জীবনের শেষ সময় পার করছিলেন তখন তিনি তার ৩টি কাজের বিষয়ে অনুশোচনা প্রকাশ করেন; ঐ ৩টির একটি হলো; তিনি বলেছিলেন, ‘আফসোস! যদি ফাতিমার গৃহে প্রবেশের নির্দেশ না দিতাম’।

আহলে সুন্নতের দৃষ্টিভঙ্গি

ওমর ইবনে খাত্তাব কর্তৃক হযরত ফাতিমার (সা. আ.) গৃহে অগ্নিসংযোগের হুমকি সংশ্লিষ্ট বর্ণনাগুলো আনসাবুল আশরাফ,[৬০] তারিখে তাবারি,[৬১] আল-ইকদুল ফারিদ,[৬২] আল-মুসান্নাফ[৬৩] এবং আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহসহ[৬৪] আহলে সুন্নতের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সূত্রে উল্লিখিত হয়েছে। কিন্তু ফাতিমার (সা. আ.) দরজায় অগ্নিসংযোগ, ফাতিমার (সা. আ.) আহত হওয়া এবং দরজার চাপে ফাতিমার গর্ভস্থিত সন্তান গর্ভপাত হয়ে যাওয়ার বিষয়টি তাদের পক্ষ থেকে অস্বীকার করে এ ঘটনার বর্ণনাকারীদেরকে রাফেজি হওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

বিশিষ্ট ফির্কাহ বিশেষজ্ঞ ও আশআরি মাযহাবের অনুসারী মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল কারিম শাহরিস্তানি (মৃত্যু ৫৪৮ হি.) আবু হুযাইলের -মু’তাযেলি ফির্কাহসমূহের অন্যতম হুযাইলিয়া ফির্কার প্রবত্তক- বিভিন্ন অভিমত সম্পর্কে পরিচয় করাতে গিয়ে লিখেছেন যে, তাদের বিশ্বাস বাইআ’ত গ্রহণের দিন ওমর ইবনে খাত্তাব হযরত ফাতিমাকে যে আঘাত করেছিলেন তাতেই তার গর্ভস্থিত সন্তান মারা যায়। তবে শাহরিস্তানি এ বর্ণনাটিকে মিথ্যা আখ্যায়িত করেছেন।[৬৪]

খালিল ইবনে আইবাক সাফদি (মৃত্যু ৭৪৬ হি.) তার ওয়াফিয়াতুল ওয়াফিয়াত গ্রন্থে মু’তাযেলা মাযহাবের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ‘ইব্রাহিম ইবনে সাইয়ার’ ওরফে ‘নাযযামে’র পরিচিতি তুলে ধরার পর রাফেজিদের প্রতি তার বিশেষ আকর্ষণের কথা উল্লেখ করে তার বরাত দিয়ে বর্ণনা করেছেন যে, ওমর ইবনে খাত্তাব হযরত ফাতিমাকে (সা. আ.) আঘাত করেছেন এবং হযরত ফাতিমার গর্ভে থাকা সন্তান গর্ভপাতের কারণ হয়েছেন।[৬৫]

গ্রন্থ পরিচিতি

হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে স্বতন্ত্রভাবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রন্থ রচিত হয়েছে, যেমন:

আরবি ভাষায় মাহদি আব্দুয যাহরা রচিত ‘আল-হুজুম আলা বাইতি ফাতিমাহ সালামুল্লাহি আলাইহা’; গ্রন্থটিতে শিয়া ও সুন্নিদের বিশ্বস্তসূত্র থেকে হামলার ঘটনার একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এই বইটির ফার্সি সংস্করণ ‘নেগারেশী বে আসনাদ ও মাদারেকে হুজুম বে খ’নেয়ে সেদ্দিকেহ তাহেরেহ (সা. আ.) আয কারনে আওয়াল তাকনুন’। এ নাগাদ গ্রন্থটির ফার্সি সংস্করণ বিভিন্ন প্রকাশনা কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে।[৬৬]

ফারসি ভাষায় জা’ফার তাবরিযী রচিত ‘হাকিকাতে হুজুম বেহ খ’নেয়ে হযরত ফাতেমেয়ে যাহরা (আ.)’। লেখকের ভাষ্যানুযায়ী, গ্রন্থটিতে আল্লাহর রাসূলের (স.) ওফাতের পর হযরত ফাতিমার (সা. আ.) উপর যে সকল জুলুম হয়েছে সেগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। হামলার ঘটনাটি আহলে সুন্নতের বিভিন্ন সূত্র থেকে উল্লেখ করে এ সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন ও সংশয়ের উত্তর প্রদান ছিল গ্রন্থটির মূল লক্ষ্যগুলোর একটি।[৬৭] গ্রন্থটি ‘আল-হুজুম আলা বাইতিস সাইয়্যিদাতি ফাতিমাতিয যাহরা (আ.) মিনাল এ’বতেদা ইলাল এ’তেরাফ বি-লিসানি মাসাদিরি আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামাআত’ শিরোনামে আরবিতে অনূদিত ও প্রকাশিত হয়েছে।[৬৮]

তথ্যসূত্র

  1. ইবনে কুতাইবা, আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩০-৩১।
  2. তাবারি ইমামি, দালায়েলুল ইমামাহ, ১৪১৩ হি, পৃ. ১৩৪।
  3. সুলাইম ইবনে কায়েস, কিতাবে সুলাইম ইবনে কায়েস, ১৪২০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৫০; মাসউদি, ইসবাতুল ওয়াসিয়্যাহ, ১৩৮৪ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ১৪৬; আইয়াশি, তাফসীরুল আইয়াশি, ১৩৮০ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৬৭।
  4. সাফাদি, আল-ওয়াফি বিল ওয়াফায়াত, ১৪২০ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ১৫; যাহাবি, সিয়ারু আ’লামিন নুবালা, ১৪০৫ হি., খণ্ড ১৫, পৃ. ৫৭৮; ইবনে হাজার আসকালানি, লিসানুল মিযান, ২০০২ খ্রি., খণ্ড ১, পৃ. ৬০৯।
  5. সূরা নূর, আয়াত ৩৬; সুয়ুতি, আদ দুররুল মানসুর, দারুল ফিকর, খণ্ড ৬, পৃ. ২০৩; ইরবিলী, কাশফুল গুম্মাহ, ১৪২১ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩১৩।
  6. দ্র: তুসী, আত তিবইয়ান, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ১০, পৃ. ২১১; তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, দারুল মা’রিফাহ, খণ্ড ১০, পৃ. ৬১১ ও ৬১২; হাসকানি, শাওয়াহেদুত তানযিল, ১৪১১ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪০৩-৪০৮; ফাখরে রাযি, আল-তাফসীরুল কাবির, ১৪২০ হি., খণ্ড ৩০, পৃ. ৭৪৬।
  7. দ্র: তিরমিযি, সুনানুত তিরমিযি, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৬৯৯; সাদুক, মাআনিউল আখবার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪০৩; তাবারি, জামেউল বায়ান, ১৪২০ হি., খণ্ড ২০, পৃ. ২৬৪-২৬৭; ইবনে আবি হাতেম, তাফসীরুল কুরআনিল আযিম, খণ্ড ৯, পৃ. ৩৪১-৩৪৩।
  8. তাবারি, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ২০৬; ইবনে আসীর, আল-কামিলু ফিত তারিখ, দারু সাদের, খণ্ড ২, পৃ. ৩২৭।
  9. ইবনে কাসীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, ১৪০৮ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ২৬৮।
  10. ইবনে সা’দ, আত তাবকাতুল কুবরা, ১৪১০ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২১২।
  11. ইবনে কাসীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, ১৪০৮ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ২০৯-২১০; ইবনে আসাকির, তারিখে মাদীনাতু দামেস্ক, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৪২, পৃ. ২৩৩; মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৭৭।
  12. খাতিব বাগদাদি, তারিখে বাগদাদ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ২৮৪; মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৭৭।
  13. জা’ফারি, তাশাইয়ু দার মাসিরে তারিখ, ১৩৮৬ ফার্সি সন, পৃ. ৬৭-৬৮।
  14. ইয়াকুবি, তারিখুল ইয়াকুবি, দারু সাদির, খণ্ড ২, পৃ. ১২৪।
  15. আসকারি, সাকীফা: বাররাসিয়ে নাহভে শেকল গিরিয়ে হুকুমত পাস আয পায়াম্বার, ১৩৮৭ ফার্সি সন, পৃ. ৯৯।
  16. তাবারি, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ২০২।
  17. ইবনে কুতাইবা, আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩০-৩১।
  18. ইবনে কুতাইবা, আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩০-৩১।
  19. ইবনে কুতাইবা, আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩০-৩১।
  20. ইউসুফি গারভি, “তারিখে হিজুম বে খানেয়ে হযরত জাহরা”, পৃ. ১৪।
  21. মানসুব বে শেইখ মুফিদ, আল-ইখতেসাস, ১৪১৩ হি., পৃ. ১৮৬।
  22. তাবারি, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ২০২।
  23. ইবনে কুতাইবা, আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩০-৩১।
  24. সুলাইম ইবনে কায়েস, কিতাবে সুলাইম ইবনে কায়েস, ১৪২০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৫৩-১৫৫।
  25. মুফিদ, আল-ফুসুলুল মুখতারাহ, ১৪১৩ হি., পৃ. ৫৬-৫৭।
  26. আইয়াশি, তাফসীরুল আইয়াশি, ১৩৮০ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৬৮।
  27. ইবনে কুতাইবা, আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩০-৩১।
  28. ইবনে কুতাইবা, আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩০-৩১; শুশতারি, ইহকাকুল হাক্ব, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৩৩, পৃ. ৩৬০।।
  29. ইবনে কুতাইবা, আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩০-৩১; শুশতারি, ইহকাকুল হাক্ব, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৩৩, পৃ. ৩৬০।।
  30. ইয়াকুবি, তারিখুল ইয়াকুবি, দারু সাদির, খণ্ড ২, পৃ. ১২৬।
  31. জৌহারি, আস-সাকীফাহ ওয়া ফাদাক, ১৪০১ হি., পৃ. ৫৩ ও ইবনে আবিল হাদীদ, শারহে নাহজুল বালাগাহ, নাশের: মাক্তাবাতু আয়াতুল্লাহিল উযমা আল-মারআশি আল-নাজাফি (র.), খণ্ড ২, পৃ. ৫৭।
  32. জৌহারি, আস-সাকীফাহ ওয়া ফাদাক, ১৪০১ হি., পৃ. ৫৩
  33. বুখারি, সহীহ আল-বুখারি, ১৪২২ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ১৪৯, হা. ৬৭২৬।
  34. আইয়াশি, তাফসীরুল আইয়াশি, ১৩৮০ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৬৭।
  35. ইবনে আব্দু রাব্বি, আল-ইকদুল ফারিদ, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, ১৪০৪ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ১৩।
  36. তাবারি, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ২০২।
  37. বালাযুরি, আসনাবুল আশরাফ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫৮৬।
  38. ইবনে আবি শাইবাহ, আল-মুসান্নাফ, ১৪২৫ হি., খণ্ড ১৩, পৃ. ৪৬৯।
  39. ইবনে কুতাইবা, আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩০।
  40. ইবনে আব্দু রাব্বি, আল-ইকদুল ফারিদ, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, ১৪০৪ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ১৩।
  41. ইবনে কুতাইবা, আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩০-৩১।
  42. শিবানি বাগদাদি, আস-সুন্নাহ, ১৪০৬ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৫৫৩; দিয়ার বাকরি, তারিখুল খামিছ, দারু সাদের, খণ্ড ২, পৃ. ১৬৯।
  43. ইবনে কাসীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, ১৪০৮ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ২৬৮।
  44. আল্লামা হিল্লি, নাহজুল হাক্ব, ১৯৮২ খ্রি., পৃ. ২৭১।
  45. বালাযুরি, আনসাবুল আশরাফ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫৮৬।
  46. ইবনে আব্দু রাব্বি, আল-ইকদুল ফারিদ, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, ১৪০৪ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ১৩।
  47. শাহিদী, যেন্দেগানিয়ে ফাতেমা যাহরা, ১৩৬৩ ফার্সি সন, পৃ. ১০৯।
  48. শাহিদী, যেন্দেগানিয়ে ফাতেমা যাহরা, ১৩৬৩ ফার্সি সন, পৃ. ১১১-১১২।
  49. সুলাইম ইবনে কায়েস, কিতাবে সুলাইম ইবনে কায়েস, ১৪২০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৫০।
  50. মাসউদি, ইসবাতুল ওয়াসিয়াহ, ১৩৮৪ ফার্সি সন, পৃ. ১৪৬।
  51. তাবারি, দালায়েলুল ইমামাহ, ১৪১৩ হি, পৃ. ১৩৪।
  52. আইয়াশি, তাফসীরুল আইয়াশি, ১৩৮০ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৬৭।
  53. ইউসুফি গারভি, “তারিখে হিজুম বে খানেয়ে হযরত যাহরা”, পৃ. ৯-১৪।
  54. ইউসুফি গারভি, “তারিখে হিজুম বে খানেয়ে হযরত যাহরা”, পৃ. ৯-১৪।
  55. সুলাইম ইবনে কায়েস, কিতাবে সুলাইম ইবনে কায়েস, ১৪২০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৮৬৯; ইবনে কুতাইবাহ, আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩১; তাবারি ইমামি, দালায়েলুল ইমামাহ, ১৪১৩ হি., পৃ. ১৩৪-১৩৫।
  56. আল্লাহ আকবারি, “মুহসিন বিন আলী (আ.)” পৃ. ৬৯।
  57. ইবনে আসাকির, তারিখু মাদিনাতি দামেশক, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৩০, পৃ. ৪২২।]
  58. তাবরানি, আল-মু’জামুল কাবির, কায়রো, খণ্ড ১, পৃ. ৬২।
  59. যাহাবি, তারিখুল ইসলাম, ১৪১৩ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১১৮।
  60. বালাযুরি, আসনাবুল আশরাফ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫৮৬।
  61. তাবারি, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ২০২।
  62. ইবনে আব্দু রাব্বি, আল-ইকদুল ফারিদ, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, ১৪০৪ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ১৩।
  63. ইবনে আবি শাইবাহ, আল-মুসান্নাফ, ১৪২৫ হি., খণ্ড ১৩, পৃ. ৪৬৯।
  64. শাহরেস্তানি, আল-মিলাল ওয়ান নিহাল, দারুল মা’রিফাহ, খণ্ড ১, পৃ. ৫৭।
  65. সাফদি, আল-ওয়াফি বিল ওয়াফিয়াত, ১৪২০ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ১৫।
  66. আব্দুয যাহরা, নেগারেশী বে আসনাদ ওয়া মাদারেকে হুজুম বে খ’নেয়ে সিদ্দিকেয়ে তাহেরেহ (সা.আ.), ১৩৯১ ফার্সি সন, পৃ. ১০।
  67. তাবরিযি, হাকিকাতে হুজুম বে খ’নেয়ে হযরত ফাতেমা যাহরা (আ.) আয মানাবেয়ে আম্মে, ১৩৯৭ ফার্সি সন, পৃ. ১০ ও ১১।
  68. https://www.gisoom.com/book/11671177/%DA%87/

গ্রন্থপঞ্জি

  • ইবনে আবি হাতেম, আব্দুর রাহমান ইবনে মুহাম্মাদ, তাফসীরুল কুরআনিল আযিম, তাহকিক: আসআদ মুহাম্মাদ আল-তাইয়্যেব, মক্কা, মাক্তাবাতু নাযযারি মুস্তাফা আল-বায, তারিখ অজ্ঞাত।
  • ইবনে আবি শাইবাহ, আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ, আল-মুসান্নাফ, তাহকিক: মুহাম্মাদ লাহিদান, রিয়াদ্ব, মাক্তাবাতুর রুশদ, ১৪২৫ হি.।
  • ইবনে হাজার আসকালানি, আহমাদ বিন আলী, লিসানুল মিযান, বৈরুত, দারুল বাশায়েরুল ইসলামিয়্যাহ, ২০০২ খ্রি.।
  • ইবনে সা’দ, মুহাম্মাদ, আত-তাবকাতুল কুবরা, তাহকিক: মুহাম্মাদ আব্দুল কাদির আতা, বৈরুত, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, প্রথম সংস্করণ, ১৪১০ হি./১৯৯০ খ্রি.।
  • ইবনে শাহরে আশুব, মুহাম্মাদ বিন আলী, আল-মানাকিব, কোম, আল্লামা, ১৩৭৯ হি.।
  • ইবনে আব্দু রাব্বি, আহমাদ, আল-ইকাদুল ফারিদ, বৈরুত, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, প্রথম সংস্করণ, ১৪০৪ হি.।
  • ইবনে আসাকির, আলী ইবনে হাসান, তারিখু মাদিনাতি দামেশক, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪১৫ হি.।
  • ইবনে কুতাইবা, আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ, কোম, সাইয়্যেদ রাযি, ১৪১৩ হি.।
  • ইবনে কাসীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, তাহকিক: আলী শিরি, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, প্রথম সংস্করণ, ১৪০৮ হি.।
  • ইবনে হিশাম, হিশাম ইবনে আব্দুল মালিক, আস-সীরাতুন নাবাবিয়্যাহ, মিশর, মাক্তাবাতু ওয়া মাতবাআাতু মুস্তাফা আল-বাবি আল-হালাবি ওয়াল আওলাদিহি, দ্বিতীয়, ১৩৭৫ হি.।
  • আবু হাইয়ান তাওহিদি, আলী ইবনে মুহাম্মাদ, আল-বাসায়েরু ওয়াল যাখায়ের, বৈরুত, দারু সাদির, ১৪০৮ হি.।
  • আবু নাঈম ইস্ফাহানি, আহমাদ ইবনে আব্দুল্লাহ, মা’রিফাতুল সাহাবা, রিয়াদ্ব, দারুল ওয়াতান লিল নাশর, ১৪১৯ হি.।
  • ইরবিলী, আলী ইবনে ঈসা, কাশফুল গুম্মাহ ফি মা’রিফাতিল আয়িম্মাহ, কোম, রাদ্বি, ১৪২১ হি.।
  • আল্লাহ আকবারি, মুহাম্মাদ, মুহসিন বিন আলী (আ.), মাজাল্লেয়ে তলু’, অষ্টম বছর, সংখ্যা ২৯, ১৩৮৮ ফার্সি সন।
  • আমিন, সাইয়্যেদ মুহসিন, আ’ইয়ানুশ শিয়া, বৈরুত, দারুত তাআরিফ, ১৪০৩ হি.।
  • https://www.irna.ir/photo/2652032/%D8%A7%DB%8C%D8%A7%D9%85-86, ইরনা বার্তাসংস্থা, প্রকাশ ১৮ ফারভারদিন ১৩৯৯ ফার্সি সন, পরিদর্শন ২ খোরদাদ ১৪০০ ফার্সি সন।
  • বুখারি, মুহাম্মাদ বিন ইসমাঈল, সহীহ বুখারি, তাহকিক: মুহাম্মাদ যুহাইর বিন নাসির আল-নাসির, দারতুক আল-নাজাহ, প্রথম সংস্করণ, ১৪৩২২ হি.।
  • বালাযুরি, আহমাদ বিন ইয়াহইয়া, আনসাবুল আশরাফ, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪১৭ হি.।
  • তাবরিযি, হাকিকাতে হজুম বে খ’নেয়ে হযরত ফাতেমা যাহরা (আ.) আয মানাবেয়ে আম্মে, দারুস সিদ্দিকাতুশ শাহিদাহ, ১৩৯৭ ফার্সি সন।
  • তিরমিযি, মুহাম্মাদ ইবনে ঈসা, সুনানুত তিরমিযি, তাহকিক ওয়া তাসহিহ: আব্দুল ওয়াহাব আব্দুল লতিফ, বৈরুত, দারুল ফিকর, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৩ হি.।
  • জা’ফারি, হুসাইন মুহাম্মাদ, তাশাইয়ু দার মাসীরে তারিখ, তেহরান, তরজমা: মুহাম্মাদ তাক্বী আয়াতুল্লাহি, দাফতারে নাশরে ফারহাঙ্গে ইসলামি, চৌদ্দতম, ১৩৮৬ ফার্সি সন।
  • জৌহারি বাসরি, আবু বাকর আহমাদ ইবনে আব্দুল আজিজ, আস-সাকীফাতু ওয়া ফাদাক, বৈরুত, শিরকাতুল কুতুবি লিল তাবাআতু ওয়াল নাশর, দ্বিতীয়, ১৪০১ হি.।
  • হাসকানি, উবায়দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ, শাওয়াহেদুত তানযিল লি কাওয়ায়েদিত তাফদ্বিল, তাহকিক: মুহাম্মাদ বাকের মাহমুদি, তেহরান, ভেযারাতে ফারহাঙ্গ ওয়া এরশাদে ইসলামি, প্রথম সংস্করণ, ১৪১১ হি.।
  • দাইয়ার বাকরি, হুসাইন, তারিখুল খামিছ, বৈরুত, দারু সাদের, তারিখ অজ্ঞাত।
  • যাহাবি, মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ, তারিখুল ইসলাম, বৈরুত, দারুল কিতাবুল আরাবি, ১৪১৩ হি.।
  • যাহাবি, মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ, সিয়ারু আ’লামুন নুবালা, বৈরুত, মুআসসাসাতুর রিসালাহ, ১৪০৫ হি.।
  • সুলাইম বিন কায়েস, কিতাবু সুলাইম বিন কায়েস, কোম, আল-হাদী, ১৪২০ হি.।
  • সামহুদি, আলী ইবনে আহমাদ, ওয়াফাউল ওয়াফা বি আখবারি দারুল মুস্তাফা, বৈরুত, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, ২০০৬ খ্রি.।
  • সুয়ুতি, জালালুদ্দিন, আদ-দুররুল মানসুর, বৈরুত, দারুল ফিকর, তারিখ অজ্ঞাত।
  • শাহরেস্তানি, মুহাম্মাদ বিন আব্দুল কারিম, আল-মিলাল ওয়ান নিহাল, বৈরুত, দারুল মা’রিফাহ, তারিখ অজ্ঞাত।
  • শাহিদী, সাইয়্যেদ জা’ফার, যেন্দেগানিয়ে ফাতেমা যাহরা, তেহরান, দাফতারে নাশরে ফারহাঙ্গে ইসলামি, ১৩৬৩ ফার্সি সন।
  • শুশতারি, কাজী নুরুল্লাহ, ইহকাকুল হাক্ব ওয়া ইযহাকুল বাতিল, কোম, মাক্তাবাতু আয়াতুল্লাহিল মারআশি আল-নাজাফি, ১৪০৯ হি.।
  • শিবানি বাগদাদি, আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ, আস-সুন্নাহ, দাম্মাম (সাউদি), দারু ইবনুল কাইয়ুম, ১৪০৬ হি.।
  • সাদুক, মুহাম্মাদ বিন আলী, উয়ুনু আখবারির রিযা, তেহরান, নাশরে জাহান, ১৩৭৮ ফার্সি সন।
  • সাদুক, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, মাআনিউল আখবার, তাহকিক: আলী আকবার গাফ্ফারি, কোম, ইন্তেশারাতে ইসলামি, ১৪০৩ হি.।
  • সাফাদি, খালিল ইবনে আইবেক, আল-ওয়াফি বিল ওয়াফায়াত, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাস, ১৪২০ হি.।
  • তাবরানি, সুলাইমান বিন আহমাদ, আল-মু’জামুল কাবির, কায়রো, মাক্তাবাতু ইবনে তাইমিয়্যাহ, ১৪১৫ হি.।
  • তাবারসি, ফাযল বিন হাসান, মাজমাউল বায়ান, বৈরুত, দারুল মা’রিফাহ, তারিখ অজ্ঞাত।
  • তাবারি ইমামি, মুহাম্মাদ ইবনে জারির ইবনে রুস্তাম, ‍মুস্তারশাদ ফিল ইমামাহ, কোম, কুশানপুর, ১৪১৫ হি.।
  • তাবারি, মুহাম্মাদ বিন জারির ইবনে রুস্তাম, দালায়েলুল ইমামাহ, কোম, বে’সাত, ১৪১৩ হি.।
  • তাবারি, মুহাম্মাদ বিন জারির, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, মুআসসাসাতুল আ’লামি, বৈরুত, চতুর্থ, ১৪০৩ হি.।
  • তাবারি, মুহাম্মাদ বিন জারির, জামেউল বায়ান ফি তা’উয়িলিল কুরআন, বৈরুত, মুআসসাসাতুর রিসালাহ, ১৪২০ হি.।
  • তুসি, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, আত-তিবইয়ান ফি তাফসীরিল কুরআন, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, তারিখ অজ্ঞাত।
  • আব্দুয যাহরা, মাহদি, নেগারেশী বে আসনাদ ওয়া মাদারেকে হুজুম বে খ’নেয়ে সিদ্দিকায়ে তাহেরা (সা. আ.) আয কারনে আউয়াল হিজরি তা কনুন, তেহরান, নাশরে তাক, পঞ্চম সংস্করণ, ১৩৯১ ফার্সি সন।
  • আল্লামা হিল্লি, হাসান ইবনে ইউসুফ, নাহজুল হাক্ব ওয়া কাশফুল সিদক, বৈরুত, দারুল কিতাবিল লুবনানি, ১৯৮২ খ্রি.।