মুহসিন বিন আলী (আ.)
পুরো নাম | মুহসিন বিন আলী (আ.) |
---|---|
প্রসিদ্ধ আত্মীয় স্বজন | ইমাম আলী (আ.) (পিতা)•ফাতেমা যাহরা (মাতা) |
শাহাদাত | ১১ হিজরী |
যেভাবে শহীদ হয় | মাতৃগর্ভে শত্রুর আঘাতে |
দাফন | ইমাম আলীর (আ.) ঘরে |
প্রসিদ্ধির কারণ | ইমাম আলী ও ফাতিমার (আ.) সর্বকনিষ্ঠ সন্তান |
মুহসিন বিন আলী (আরবি: مُحْسِن بن علی(ع)); হযরত আলী ইবনে আবি তালিব (আ.) এবং হযরত ফাতেমা (সা.আ.)-এর সন্তান। ইমাম আলী (আ.)-এর বাইয়াত গ্রহণ করার জন্য হযরত ফাতেমার (সা.আ.) গৃহে আবু বকরের খিলাফতের সমর্থকদের পক্ষ থেকে করা হামলার ঘটনায় গর্ভে থাকাবস্থায় তিনি শাহাদাতবরণ করেন। সুনির্দিষ্টভাবে তার মৃত্যুর তারিখের উল্লেখ নেই। ইসলামী ইতিহাসের বিশিষ্ট গবেষক মুহাম্মদ হাদী ইউসূফী গোরাভী (জন্ম: ১৩২৭ ফার্সি সন) সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপনপূর্বক, হযরত ফাতেমার ঘরে হামলা এবং হযরত মুহসিনের মৃত্যুকে মহানবির (স.) ওফাতের প্রায় পঞ্চাশ দিন পরের ঘটনা বলে জ্ঞান করেন।
যাইহোক, কেউ কেউ রবিউল আউয়াল মাসের প্রথম দিনগুলোকে আইয়্যামে মুহসিনিয়া নাম দিয়েছেন এবং এই দিনগুলোতে আযাদারি (শোকানুষ্ঠান) পালন করেন। অতীতে শিয়া সমাজে এমন কার্যক্রম না থাকা এবং শিয়াদের প্রধান কর্মসূচী গুরুত্ব হারানোর কারণে কিছু কিছু মারজায়ে তাক্বলীদ কর্তৃক এই কাজ অনুমোদিত হয়নি। হাদীস মতে, তার জন্য এই নাম মহানবি (স.) রেখেছিলেন। আরবি ও ফার্সি ভাষাতে মুহসিন বিন আলী সম্পর্কে বই লেখা হয়েছে।
ইমাম আলী (আ.) ও ফাতেমা (সা.আ.)-এর সন্তান
শিয়া[১] ও সুন্নিদের[২] বিভিন্ন সূত্রে, মুহসিনকে হযরত ফাতেমা (সা.আ.) এবং ইমাম আলীর (আ.) সন্তান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। রেওয়ায়েত অনুসারে, তার এই নাম স্বয়ং রাসুল (স.) রেখেছেন।[৩] ইবনে হাজার আসকালানীর (মৃত্যু: ৮৫২ হি.) ভাষ্যমতে, এই শব্দটিতে সিন তাশদীদ সহকারে (محسّن) পড়তে হয়।[৪]
শাহাদাত
মুহসিনের মৃত্যু কিভাবে হয়েছে সে ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। শিয়া সূত্রগুলোতে তার শাহাদাতের কারণ হিসেবে গর্ভপাতকে জ্ঞান করা হয়েছে।[৫] সুন্নি সূত্রগুলোতে তার মৃত্যু সম্পর্কে «مات صغیراً», [৬] «مات و هو صغیر»[৭] অথবা এই ধরনের শব্দগুচ্ছের প্রতি ইশারা করা হয়েছে যার মাধ্যমে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বিশিষ্ট সুন্নি আলেম ইবনে হাযম আন্দালুসির (মৃত্যু:৪৫৪ হি.) মতে, তিনি জন্মের পরপরই মৃত্যুবরণ করেন।[৮] আল-ইখতেছাছ গ্রন্থে ইমাম সাদিক (আ.) হতে বর্ণিত রেওয়ায়েত অনুসারে, ফাদাক কেড়ে নেওয়ার বিষয়ে ফাতেমা (সা.আ.) প্রতিবাদের ঘটনায় মুহসিন গর্ভেই মারা যান।[৯] তবে কিছু কিছু ঐতিহাসিক সূত্রে, মুহসিনের মৃত্যুকে হযরত ফাতেমা (সা.আ.)-এর গৃহে হামলার ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করা হয়েছে।[১০] মুহাম্মদ বিন আব্দুল করিম শাহরেস্তানি (মৃত্যু: ৫৪৮ হি.) তার মিলাল ওয়ার নিহাল গ্রন্থে মু'তাযালি সম্প্রদায়ের অভিজ্ঞ আলেম সায়ার আল-মারুফ ওরফে নাজ্জাম-ই-মু'তাযালির (মৃত্যু: ২২১ হি.) উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, হযরত ফাতেমার (সা.আ.) পাঁজরে উমর বিন খাত্তাবের আঘাতে গর্ভেই মুহসিনের মৃত্যু হয়।[১১] শারহে নাহযুল বালাগার রচয়িতা ইবনে আবিল হাদীদ মু'তাযালিও (মৃত্যু: ৬৫৬ হি.) তার ওস্তাদ আবু জাফর নাকীবের সাথে মুনাযেরায়, মুহসিনের গর্ভপাতকে আলীর (আ.) কাছ থেকে বাইয়াত নেওয়ার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত বলে ইশার করেন।[১২]
সুন্নি সূত্রে বর্ণিত কিছু কিছু রেওয়ায়েত অনুসারে, মহানবি (স.) জীবিত থাকাকালীন সময়ে মুহসিনের জন্ম হয়েছিল।[১৩]
কামেলুয যিয়ারত গ্রন্থে বর্ণিত রেওয়ায়েত অনুসারে, মুহসিন হলেন রাসুল (সা.)-এর সন্তানদের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি যার মামলাটির বিচার কিয়ামতের দিন আগে হবে এবং হত্যাকারিকে শাস্তি দেওয়া হবে।[১৪]
শাহাদাতের তারিখ
ফাতেমার (সা.আ.) গৃহে হামলার ঘটনায় মুহসিন শহীদ হন।[১৫] বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ মুহাম্মাদ হাদি ইউসূফি গোরাভী সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করে মনে করেন, হযরত ফাতেমার (সা.আ.) গৃহে আক্রমণের ঘটনাটি সাকিফা ও আবু বকরের প্রতি বাইয়াতের ঘটনার পরপরই ঘটেনি, বরং রাসুলের (সা.) মৃত্যুর প্রায় পঞ্চাশ দিন অথবা তারও বেশি সময় পরে ঘটেছে। এমতাবস্থায়, কেউ কেউ রবিউল আওয়ালের প্রথমদিকে আইয়্যামে মুহসিনিয়া নামকরণ করে এবং আযাদারি পালন করে থাকে। বিশিষ্ট মারজায়ে তাক্বলীদ নাসের মাকারেম শিরাজীর (জন্ম: ১৩০৫ ফার্সি সন) মতে, আইয়্যামে মুহসিনিয়ার আযাদারি পালন না হওয়াই উত্তম, কারণ এই শোকানুষ্ঠান অতীতে শিয়াদের ছিল না এবং এটার কারণে শিয়াদের আসল কর্মসূচী গুরুত্ব হারাচ্ছে।
কাজী আব্দুল জব্বার মু'তাযালি (মৃত্যু: ৪১৫ হি.) মিশর, দামেস্ক, বাগদাদ, রামালা, আক্কা, সূর, আসকালান এবং জাবলুল বাসমাক অঞ্চলের কিছু সংখ্যক শিয়া হযরত ফাতেমা (সা.আ.) এবং তাঁর সন্তান মুহসিনের জন্য আযাদারি পালন করতেন।[১৬]
দাফনের স্থান
ঐতিহাসিক সূত্রগুলোতে মুহসিনের দাফনের স্থান সম্পর্কে ইশারা করা হয়নি। তবে, জামে আল-নূরাইন গ্রন্থে বর্ণিত রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে, ইমাম আলী (আ.) হযরত যাহরার (সা. আ.) কানিয ফিজ্জাকে ঘরের ভিতর মুহসিনের লাশ দাফন করতে বলেন।[১৭]
মুহসিন বিন আলী সম্পর্কিত গ্রন্থাবলী
মুহসিন বিন আলী সম্পর্কে আরবি ও ফার্সি ভাষায় কয়েকটি বই লেখা হয়েছে:
- সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ মাহদি মুসাভী খেরসানের লেখা 'আল-মুহসিনুস সিবত মওলুদুন আম সিকতুন' বইটি 'মারকাযুল আবহাস আল-আকায়েদিয়্যাহ' ১৪৩০ হিজরিতে আরবি ভাষায় ৬২৬ পৃষ্ঠা আকারে প্রকাশ করেছে।
- "গঞ্চে ইয়াস; মুহসিন বিন আলী", লেখক মাহদি ফাতেমী, গ্রন্থটি আরবি ও ফার্সি ভাষায় ১৩৮৬ ফার্সি সনে প্রকাশিত হয়েছে।
- এছাড়াও হযরত মুহসিন সম্পর্কে রচিত অন্যান্য গ্রন্থসমূহ হচ্ছে, আলী আসগর রেযওয়ানির লেখা "মহসিন বিন আলী", আব্দুল মুহসিন আব্দুয যাহরা আল-কাতিফির লেখা "আল-মুহসিন বিন ফাতেমাতুয যাহরা" এবং সাদিক দাভারী'র লেখা "মুসাফেরে দারিয়া হযরত মুহসিন বিন আলী"।
তথ্যসূত্র
- ↑ ইয়াকুবী, তারিখে ইয়াকুবী, বৈরুত, দারু সাদের, খ: ২, পৃ: ২১৩ ও শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খ: ১, পৃ: ৩৫৫।
- ↑ ইবনে হাম্বল, মুসনাদে আহমাদ বিন হাম্বল, ১৪২১ হি., খ: ২, পৃ: ১৫৯, ২৪৬; বুখারী, আদাবুল মুফরাদ, ১৪০৯ হি., পৃ: ২৮৬; ইবনে কুতাইবা, আল-মায়ারেফ, ১৯৯২ (ঈসায়ী), পৃ: ২১১; বালাজুরি, আনসাবুল আশরাফ, ১৩৯৪ হি., খ: ২, পৃ: ১৮৯; তাবারী, তারিখুর রাসুল ওয়াল উমাম ওয়াল মামলুক, ১৩৮৭ হি., খ: ৫, পৃ: ১৫৩; হাকেম নিশাপুরী, আল-মুস্তাদরাকু আলা সাহিহাইন, ১৪১১ হি., খ: ৩, পৃ: ১৮০; ইবনে হাযম অন্দালুসী, জামহারাতু আনসাবিল আরাব, ১৪০৩ হি., পৃ: ১৬; ইবনে আসির, আসাদুল গাবাতি ফি মারিফাতিস সাহাবা, ১৪০৯ হি., খ: ৪, পৃ: ২৯৯-৩০০; সিবত্ ইবনুল জাওযী, তাযকিরাতুল খাওয়াস, ১৪১৮ হি., পৃ: ৫৭; ইবনে কাসির, আল-বিদায়া ওয়া আন-নিহায়া, ১৪০৮ হি., খ: ৭, পৃ: ৩৬৭; ইবনে হাজার আসকালানী, আল-ইসাবাতু ফি তামিযিস্ সাহাবাতি, ১৪১৫ হি., খ: ৬, পৃ: ১৯১।
- ↑ শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খ: ১, পৃ: ৩৫৫ ও ইবনে হাজার আসকালানী, আল-ইসাবাতু ফি তামিযিস্ সাহাবাতি, ১৪১৫ হি., খ: ৬, পৃ: ১৯১-১৯২।
- ↑ ইবনে হাজার আসকালানী, আল-ইসাবাতু ফি তামিযিস্ সাহাবাতি, ১৪১৫ হি., খ: ৬, পৃ: ১৯১।
- ↑ শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খ: ১, পৃ: ৩৫৫।
- ↑ ইবনে আসির, আসাদুল গাবাতি ফি মারিফাতিস সাহাবা, ১৪০৯ হি., খ: ৪, পৃ: ৩০০
- ↑ ইবনে কুতাইবা, আল-মায়ারেফ, ১৯৯২ (ঈসায়ী), পৃ: ২১১।
- ↑ ইবনে হাযম অন্দালুসী, জামহারাতু আনসাবিল আরাব, ১৪০৩ হি., পৃ: ৩৮।
- ↑ শেইখ মুফিদ, আল-ইখতিসাস, ১৪১৩ হি. পৃ: ১৮৫।
- ↑ মাসুদী, ইসবাতুল ওয়াসিয়্যাহ, ১৩৮৪ (ফার্সি সন), পৃ: ১৪৬।
- ↑ শাহরেস্তানী, আল-মেলাল ওয়া আন্-নেহাল, ১৩৬৩ (ফার্সি সন), খ: ১, পৃ: ৭১।
- ↑ ইবনে আবিল হাদিদ, শারহে নাহজুল বালাগাহ, ১৪০৪ হি., খ: ১৪, পৃ: ১৯২-১৯৩।
- ↑ ইবনে আব্দুল বার, আল-ইস্তিয়াব ফি মারিফাতিল আসহাব, ১৪১২ হি., খ: ১, পৃ: ৩৮৪ ও ইবনে হাম্বল, মুসনাদে আহমাদ বিন হাম্বল, ১৪২১ হি., খ: ২, পৃ: ১৫৯, ২৪৬।
- ↑ ইবনে কুলাভিয়্যাহ, কামিলু আয-যিয়ারাত, ১৩৫৬ (ফার্সি সন), পৃ: ৩৩৪।
- ↑ শাহরেস্তানী, আল-মেলাল ওয়া আন্-নেহাল, ১৩৬৩ (ফার্সি সন), খ: ১, পৃ: ৭১ ও ইবনে আবিল হাদিদ, শারহে নাহজুল বালাগাহ, ১৪০৪ হি., খ: ১৪, পৃ: ১৯২-১৯৩।
- ↑ কাযী আব্দুল জাব্বার, তাসবিতু দালাইলুন নুবুওয়্যাহ, ১৪২৭ হি., খ: ২, পৃ: ৫৯৫।
- ↑ সাবজেওয়ারী, জামিউন নুরাইন, ইলমিয়্যাহ ইসলামিয়্যাহ, পৃ: ২০৬।
গ্রন্থপঞ্জি
- ইবনে আবিল হাদিদ, আব্দুল হামিদ বিন হিবাতুল্লাহ, শারহে নাহজুল বালাগাহ; সম্পাদনায়-মুহাম্মাদ আবুল ফাযল ইবরাহিম, কায়রো, কোম, মাকতাবাতু আয়াতুল্লাহ মারাশী নাজাফী, ১৪০৪ হি.।
- ইবনে আসির, আলী বিন মুহাম্মাদ, আসাদুল গাবাতি ফি মারিফাতিস সাহাবা, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪০৯ হি.।
- ইবনে হাজার আসকালানী, আহমাদ বিন আলী, আল-ইসাবাতু ফি তামিযিস্ সাহাবাতি; তাহকিক-আদেল আহমাদ আব্দুল মাউজুদ ও আলী মুহাম্মাদ মুয়াউয়ায, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৫ হি.।
- ইবনে হাযম অন্দালুসী, আলী বিন আহমাদ, জামহারাতু আনসাবিল আরাব; তাহকিক- লি জান্নাতি মিনাল উলামা, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, প্রথম সংস্করণ, ১৪০৩ হি.।
- ইবনে হাম্বল, আহমাদ বিন মুহাম্মাদ, মুসনাদে আহমাদ বিন হাম্বল; তাহকিক- আদেল মুরশেদ, শোয়াইব ও অন্যান্য..মুয়সসাসাতু আর-রিসালাহ, ১৪২১ হি.।
- ইবনে আব্দুল বার, ইউসুফ বিন আব্দুল্লাহ, আল-ইস্তিয়াব ফি মারিফাতিল আসহাব; তাহকিক; আলী মুহাম্মাদ বাজাভী, আত্-তাবায়াতুল উলা, বৈরুত, দারুল জাইল, ১৪১২ হি.।
- ইবনে কুতাইবা, আব্দুল্লাহ বিন মুসলিম, আল-মায়ারেফ; তাহকিক-সারওয়াতু আক্কাশাহ, কায়রো, আল-হাইয়্যাতু আল-মিসরিয়্যাতু আল-আম্মাতু লিল কিতাব, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৯৯২ (ঈসায়ী)।
- ইবনে কুলাভিয়্যাহ, জাফর বিন মুহাম্মাদ, কামিলু আয-যিয়ারাত; সম্পাদনায়-আব্দুল হোসাইন আমিনী, নাজাফ, দারুল মুর্তাজাভিয়্যাহ, ১৩৫৬ (ফার্সি সন)।
- ইবনে কাসির, ইসমাইল বিন উমার, আল-বিদায়া ওয়া আন-নিহায়া; তাহকিক- আলী শিরী, বৈরুত, দারু ইহয়াইত্ তুরাসিল আরাবি, প্রথম সংস্করণ, ১৪০৮ হি.।
- বুখারী, মুহাম্মাদ বিন ইসমাইল, আদাবুল মুফরাদ; মুহাম্মাদ ফুয়াদ আব্দুল বাক্বী, বৈরুত, দারুল বাশাইরুল ইসলামিয়্যাহ, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৯ হি.।
- বালাজুরি, আহমাদ বিন ইয়াহিয়া, আনসাবুল আশরাফ; তাহকিক-মুহাম্মাদ বাকের মাহমুদ, বৈরুত, মুয়াসসাসাতুল আলামি লিল মাতবুয়াত, ১৩৯৪ হি.।
- হাকেম নিশাপুরী, মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ, আল-মুস্তাদরাকু আলা সাহিহাইন; তাহকিক- মুস্তাফা আব্দুল কাদের আতা, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, ১৪১১ হি.।
- সিবত্ ইবনুল জাওযী, তাযকিরাতুল খাওয়াস, কোম, মানশুরাতু আশ-শারিফ আর-রাযি, ১৪১৮ হি.।
- শাহরেস্তানী, মুহাম্মাদ আব্দুল কারিম, আল-মেলাল ওয়া আন্-নেহাল; তাহকিক-মুহাম্মাদ, কোম, আশ-শারিফ আর-রাযি, তৃতীয় সংস্করণ, ১৩৬৩ (ফার্সি সন)।
- শেইখ মুফিদ, মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ, আল-ইখতিসাস; তাহকিক-আলী আকবার গাফফারী ও মাহমুদ মুহাররামী, ১৪১৩ হি.।
- শেইখ মুফিদ, মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ, আল-ইরশাদ, মুয়াসসাসাতু আলিল বাইত লি তাহকিকিত্ তুরাস, কোম, দারুল মুফিদ, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৩ হি.।
- তাবারী, মুহাম্মাদ বিন জারির, তারিখুর রাসুল ওয়াল উমাম ওয়াল মামলুক; মুহাম্মাদ আবুল ফাযল ইবরাহিম, বৈরুত, দারুত্ তুরাস, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৩৮৭ হি.।
- কাযী আব্দুল জাব্বার, আব্দুল জাব্বার বিন আহমাদ, তাসবিতু দালাইলুন নুবুওয়্যাহ, মিশর, দারুল মুস্তাফা, ১৪২৭ হি.।
- মাসুদী, আলী বিন হোসাইন, ইসবাতুল ওয়াসিয়্যাহ, কোম, আনসারিয়ান, ১৩৮৪ (ফার্সি সন)।
- ইয়াকুবী, আহমাদ বিন ইয়াকুব, তারিখে ইয়াকুবী, বৈরুত, দারু সাদের...