আমিনা বিনতে ওয়াহাব

wikishia থেকে

আমিনা বিনতে ওয়াহাব (আরবি:آمِنة بنت وَهْب) (মৃত্যু: হিজরতের ৪৬ বছর পূর্বে/৫৭৬ খ্রি.) ছিলেন মহানবি (স.)-এর মাতা এবং আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিবের স্ত্রী। আমিনা তার সন্তান মুহাম্মাদকে তাঁর পিতার কবর জিয়ারতের জন্য এবং আব্দুল্লাহর মামাদের (বনু নাজ্জার গোত্রের) সাথে সাক্ষাতের জন্য আমল ফিলের সপ্তম বছরে মদীনায় নিয়ে যান। ঐ সফরে ফিরে আসার সময় তিনি মদীনার নিকটবর্তী আবওয়া নামক স্থানে মৃত্যুবরণ করেন এবং সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।

শিয়া আলেমগণ আমিনা এবং মহানবির (স.) পূর্বপুরুষদের ঈমান থাকার ব্যাপারে একমত এবং তার ঈমান থাকার বিষয়ে বিরোধী মত পোষণকারীদের জবাবে তারা মহানবি (স.) কর্তৃক আবওয়াতে তাঁর মাতার কবর যিয়ারত করার বিষয়টিকে ঐতিহাসিক তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে অন্যতম দলিল হিসেবে উল্লেখ করেন। বিনতুশ শাতি কর্তৃক রচিত উম্মুন নবী (স.) গ্রন্থটি হচ্ছে হযরত আমিনার জীবনী সংক্রান্ত একটি গ্রন্থ যা আরবি ভাষায় রচিত হয়েছে এবং “আমেনা মাদারে পায়াম্বার” (মহানবির (স.) মাতা আমিনা) শিরোণামে ফার্সি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

জীবনী

আমিনা কুরাইশ বংশের অন্যতম একজন নারী। তার পিতা ওয়াহাব ছিলেন কুরাইশদের মধ্যে বনু জাহরা গোত্রের একজন সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব। তার মাতা বাররাহ বিনতে আব্দুল আযযিও( আব্দুর আযযির কন্যা বাররাহ) ছিলেন কুরাইশ বংশের।[১] আব্দুল্লাহর সাথে বিবাহের পূর্বের তেমন কোন তথ্য আমিনার জীবনীতে পাওয়া যায় না; যদিওবা বলা হয় তিনি মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন।[২] তিনি হিজরতের ৫৩ অথবা ৫৪ বছর পূর্বে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিবের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[৩] তাদের দু’জনের বিবাহ অনুষ্ঠান ৩ দিন ধরে চলেছিল এবং ঐ সময়টাতে আব্দুল্লাহ গোত্রের রীতি অনুযায়ী কনের বাড়িতে অবস্থান করেন।[৪]

স্বামীর মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আমিনার সাথে বিবাহের কয়েকদিন পর ব্যবসায়িক সফরে যান এবং ফেরার পথে ইয়াসরেবে মৃত্যুবরণ করেন[৫] তিনি “জবাইয়ের ঘটনার” এক বছর পর আমিনার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[৬] আব্দুল মুত্তালিব নযর (মানত) করেন যে, যদি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাকে দশটা ছেলে সন্তান দান করেন তবে দশম সন্তানটিকে কুরবানি করবেন, কিন্তু হঠাৎ করে আব্দুল্লাহকে কুরবানি করার পরিবর্তে ১০০ টি উট কুরবানি করেন।[৭] কোন কোন ঐতিহাসিক সূত্রে, আব্দুল্লাহর মৃত্যুকে রাসুলুল্লাহর (স.) জন্মের পরে বলে মনে করা হয়েছে।[৮]

মুহাম্মাদের (স.) জন্ম

মুহাম্মাদের জন্মের পর আমিনা তাকে হালিমা সা’দিয়ার কাছে সোপর্দ করেন।[৯] প্রসিদ্ধ শিয়া মতানুসারে, হস্তি বছরের ১৭ রবিউল আউয়াল মহানবি (স.) জন্মগ্রহণ করেন; কিন্তু আহলে সুন্নতের প্রসিদ্ধ আলেমগণ এই ঘটনা ১২ রবিউল আউয়াল সংঘটিত হয়েছে বলে মনে করেন।[১০] সীরাতুন নাবাবিয়্যাহ গ্রন্থে ইবনে হিশামের (মৃত্যু: ২১৩ বা ২১৮ হি.) দেওয়া তথ্য অনুসারে, মুহাম্মাদ যেহেতু ইয়াতিম ছিলেন, সেজন্য তাঁর অভিভাবকত্ব কেউ গ্রহণ করছিল না, হালিমা সা’দিয়াও একই কারণে প্রথমে ধাত্রীমাতা হিসেবে দায়িত্ব নিতে চান নি, কিন্তু যখন দেখলেন যে, অন্য কোন শিশুর অভিভাবকত্ব নসীবে জুটবে না, তখন তাঁর অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব কবুল করেন।[১১] হালিমা দুই বছর পর মুহাম্মাদ (স.)-কে আমিনার নিকট নিয়ে আসেন, তবে তাঁকে (স.) বরকতের কারণ হিসেবে উপলব্ধি করায় আরও কিছু সময়ের জন্য মুহাম্মাদকে (স.) নিজের কাছে রাখার জন্য আমিনার নিকট আবেদন করেন।[১২] এমতাবস্থায়, মুহাম্মাদ (স.)-এর জন্মের ৫ বছর ২ দিন পর, আমল ফিলের ৬ষ্ঠ বছরে তাঁকে তাঁর মাতার নিকট ফিরিয়ে দেন।[১৩]

মৃত্যু

আবওয়াতে অবস্থিত হযরত মুহাম্মাদ (স.)-এর মাতা আমিনার কবর

আমিনা স্বীয় সন্তান মুহাম্মাদকে তাঁর পিতার কবর জিয়ারতের জন্য এবং আব্দুল্লাহর মামাদের (বনি নাজ্জার গোত্রের) সাথে সাক্ষাতের জন্য আমল ফিলের সপ্তম বছরে মদীনায় নিয়ে যান। প্রসিদ্ধ মতানুসারে মদীনা থেকে ফেরার সময় আবওয়া নামক স্থানে মৃত্যুবরণ করেন[১৪] এবং সেখানেই দাফন করা হয়।[১৫] তবে অপর এক বর্ণনা অনুযায়ী, তিনি মক্কায় মৃত্যুবরণ করেন এবং মাআলাহ কবরস্থানে দাফন করা হয়।[১৬] হিজরি তৃতীয় শতাব্দির বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ইয়াকুবি মনে করেন, মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ত্রিশ বছর।[১৭]

মুহাম্মাদ ইবনে উমর ওয়াকেদির (মৃত্যু: ২০৭ অথবা ২০৯ হি.) বর্ণনার ভিত্তিতে, কুরাইশরা যখন বদর যুদ্ধে তাদের নিহতদের রক্তের বদলা নিতে মদীনা যেতে চাইলো এবং আবওয়ায়ে পৌঁছানোর পর আমিনার কবর দেখতে পেল, তখন তাদের মধ্যে একদল কবর খোড়ার সিদ্ধান্ত নিল। কিন্তু কুরাইশ বিশেষজ্ঞদের সাথে আবু সুফিয়ানের পরামর্শের পর তারা এহেন কর্ম থেকে বিরত থাকে।[১৮] এছাড়াও বর্ণিত হয়েছে যে, মহানবি (স.) আবওয়াতে তাঁর মায়ের কবর যিয়ারত করেছেন।[১৯] যেমন, হুদাইবিয়ার ঘটনার সময় মহানবি (স.) মায়ের কবরের নিকট হাজির হন এবং তার উপর ক্রন্দন করেন।[২০]

যদিওবা মক্কার হাযুন কবরস্থানেও একটি কবরকে তার সাথে সংশ্লিষ্টতা দেওয়া হয়েছে।[২১] বলা হয়, উসমানি শাসনামলে আবওয়াতে তার কবর এবং মক্কায় তাঁর সাথে সংশ্লিষ্টতা দেওয়া কবরটি সমাধিসৌধ আকারে ছিল এবং পরবর্তীতে তা ধ্বংস করা হয়েছে।[২২]

ঈমান

হিজরি চতুর্দশ শতাব্দির বিশিষ্ট ঐতিহাসিক মুহাম্মাদ ইব্রাহিম আয়াতি (১৩৪৩ হি.) মনে করেন, আমিনা বিনতে ওয়াহাব, আবু তালেব, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুতালিব এবং আদম (আ.) পর্যন্ত রাসুলুল্লাহর (স.) পূর্বপুুরুষগণের ঈমান থাকার ব্যাপারে সকল শিয়া পণ্ডিত একমত।[২৩] তদ্রুপভাবে, আল-কাফি গ্রন্থে উল্লেখিত রেওয়ায়েত অনুসারে, মহানবির (স.) পূর্বপুরুষ, তাঁর পিতা-মাতা এবং তাঁর লালন-পালনকারীর (আবু তালেব) উপর জাহান্নামের আগুন হারাম।[২৪]

আহলে সুন্নতের একদল পণ্ডিত মনে করেন, মহানবি (স.)-এর পিতা-মাতা ও পূর্বপুরুষেরা মুশরিক ছিলেন: হিজরি নবম শতকের বিশিষ্ট সুন্নি মুফাসসির জালাল উদ্দিন সুয়ুতি সূরা তওবার ১১৩ ও ১১৪ নং আয়াতের শানে নুযুল সম্পর্কে দু’টি রেওয়ায়েতের উদ্ধৃতি দিয়ে মহানবির (স.) মাতাকে মুশরিক হিসেবে রায় দেন।[২৫]

বিশিষ্ট শিয়া পণ্ডিত আল্লামা আমিনী ইমাম আলী (আ.)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখিত আয়াতের শানে নুযুলকে, যেসব সাহাবীরা তাদের মুশরিক পিতা-মাতার জন্য ইস্তেগফার করতেন, তাদের সাথে সম্পর্কিত বলে জ্ঞান করেন। তার মতে, এই আয়াতের সাথে আবু তালিব অথবা আমিনার জন্য ইস্তেগফারের কোন সম্পর্ক নেই।[২৬] তিনি আরও উল্লেখ করেন, তাবারির ন্যায় কোন কোন মুফাসসির[২৭] এই আয়াতে ক্ষমা চাওয়াকে মৃত ব্যক্তির জন্য নামায পড়া হিসেবে তাফসীর করেছেন।[২৮] আল্লামা আমিনী এই রেওয়ায়েত বানোয়াট হওয়ার সম্ভাবনা এবং এর রাভীদের (বর্ণনাকারীরা) সিকা না হওয়ার (নির্ভরযোগ্য না হওয়া) বিষয়টিও উত্থাপন করেছেন।[২৯]

শেইখ আব্বাস কুম্মি সূরা তওবার ৮৪ নং আয়াতকে দলিল হিসেবে উল্লেখ করে-যেখানে মৃত মুশরিকদের উপর নামায আদায় এবং তাদের কবরের নিকট দাঁড়ানোর বিষয়ে মহানবিকে (স.) নিষেধ করেছেন-মহানবির পিতা মাতার মুশরিক হওয়ার বিষয়টিকে প্রত্যাখান করেন, কারণ মহানবি (স.) তাঁর পিতা-মাতার কবর যিয়ারত করেছেন।[৩০]

গ্রন্থ পরিচিতি

“উম্মুন নাবি” হযরত আমিনার জীবনী সম্পর্কে মিশরীয় লেখক বিনতুশ শাতি (জন্ম: ১৩৩১ হি./১৯১৩ খ্রি.) কর্তৃক আরবি ভাষায় রচিত একটি গ্রন্থ।[৩১] উম্মুন নাবি গ্রন্থটি “তারাজুমু সাইয়্যেদাতি বাইতিন নাবুয়্যাহ” গ্রন্থ হতে সংগ্রহ করা হয়েছে যা বিনতুশ শাতি মহানবির (স.) স্ত্রীদের খান্দান সম্পর্কে প্রকাশ করেছেন।[৩২] সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ তাকী সাজ্জাদি উম্মুন নাবি গ্রন্থটিকে “আমিনা মাদারে পায়াম্বার (স.)” শিরোণামে ফার্সি ভাষায় অনুবাদ করেছেন, যা ১৩৫৯ ফার্সি সনে (১৯৮০ খ্রি.) প্রথম বারের মতো প্রকাশিত হয় এবং ১৩৭৯ ফার্সি সনে ( ২০০০ খ্রি.) দ্বিতীয় বারের ন্যায় ছাপানো হয়।[৩৩] এছাড়াও আহমাদ সাদেকি উর্দুস্তানি উক্ত গ্রন্থটিকে “আমিনা মাদারে পায়াম্বার (স.)” শিরোণামে তরজমা করেন এবং বুস্তান প্রকাশনা তার গ্রন্থটিকে ১৩৯৪ ফার্সি সনে (২০১৫ খ্রি.) তথা প্রকাশ করেছে।[৩৪]

তথ্যসূত্র

  1. দ্র: মাকরিযি ইমতাউল আসমা’, ১৪২০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫-৬।
  2. বিনতুশ শাতি, আমেনা মাদারে পায়াম্বার, ১৩৭৯ ফার্সি সন, পৃ. ৭৪।
  3. ইবনে হিশাম, আস-সীরাতুন নাবাবিয়্যাহ, ১৩৭৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৫৬।
  4. নুওয়াইরি, নিহায়াতুল আরাব, দারুল কুতুব ওয়াল ওয়াসায়েকুল কাওমিয়্যাহ, খণ্ড ১৬, পৃ. ৫৭।
  5. যারকানি, শারহুল মুওয়াহিব আল-লাদুন্নিয়্যাহ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২০৬-২০৭।
  6. ইয়াকুবি, তারিখুল ইয়াকুবি, দারু সাদির, খণ্ড ২, পৃ. ৯।
  7. ইবনে হিশাম, আস-সীরাতুন নাবাবিয়্যাহ, ১৩৭৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৫১-১৫৫।
  8. দ্র: আয়াতি, তারিখে পায়াম্বারে ইসলাম, ১৩৭৮ ফার্সি সন, পৃ. ৪৩।
  9. ইবনে হিশাম, আস-সীরাতুন নাবাবিয়্যাহ, ১৩৭৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৬২-১৬৩।
  10. দ্র: আয়াতি, তারিখে পায়াম্বারে ইসলাম, ১৩৭৮ ফার্সি সন, পৃ. ৪৩।
  11. ইবনে হিশাম, আস-সীরাতুন নাবাবিয়্যাহ, ১৩৭৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৬২-১৬৩।
  12. ইবনে হিশাম, আস-সীরাতুন নাবাবিয়্যাহ, ১৩৭৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৬৩-১৬৪।
  13. ইবনে আব্দুল বার, আল-ইস্তিআব, ১৪১২ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৯।
  14. দ্র: ইবনে আব্দুল বার, আল-ইস্তিআব, ১৪১২ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩০।
  15. দ্র: মাকরিযি ইমতাউল আসমা’, ১৪২০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৩।
  16. ইবনে আসির, উসদুল গাবাহ, ১৪০৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২২।
  17. ইয়াকুবি, তারিখুল ইয়াকুবি, দারু সাদির, খণ্ড ২, পৃ. ১০।
  18. ওয়াকিদি, আল-মুগাযি, ১৪০৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২০৬।
  19. মুহাদ্দেস কুম্মি, সাফিনাতুল বিহার, ১৪১৪ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৭১।
  20. ইবনে সা’দ, আত-তাবাকাতুল কুবরা, ১৪১০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৯৪।
  21. কুর্দি, আত-তারিখুত তাকউয়িম, খণ্ড ১, পৃ. ৭৪; জাফারিয়ান, আসারে ইসলামি মাক্কে ওয়া মাদীনে, ১৩৮২ ফার্সি সন, পৃ. ৩৯২।
  22. কুর্দি, আত-তারিখুত তাকউয়িম, খণ্ড ১, পৃ. ৭৪; জাফারিয়ান, আসারে ইসলামি মাক্কে ওয়া মাদীনে, ১৩৮২ ফার্সি সন, পৃ. ৩৯২।
  23. আয়াতি, তারিখে পায়াম্বারে ইসলাম, ১৩৭৮ ফার্সি সন, পৃ. ৪২।
  24. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৩৮৮ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৪৪৬।
  25. সুয়ুতি, আদ-দুররুল মানসুর, ১৪০৪ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ২৮৩-২৮৪।
  26. আমিনী, আল-গাদীর, ১৪১৬ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ২৭।
  27. দ্র: তাবারি, জামেউল বায়ান, বৈরুত, খণ্ড ১১, পৃ. ৩৩।
  28. আমিনী, আল-গাদীর, ১৪১৬ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ২৭।
  29. আমিনী, আল-গাদীর, ১৪১৬ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ১৮-১৯।
  30. মুহাদ্দেস কুম্মি, সাফিনাতুল বিহার, ১৪১৪ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৭১।
  31. সাজ্জাদি, আমেনা মাদারে পায়াম্বার, ১৩৭৯ ফার্সি সন, মুকাদ্দামেয়ে চাপে সেভভোম।
  32. বিনতুশ শাতি, তারাজুমু সাইয়্যেদাতি বাইতিন নাবুয়্যাহ, ১৪০৭ হি.।
  33. সাজ্জাদি. আমেনা মাদারে পায়াম্বার, ১৩৭৯ ফার্সি সন, মুকাদ্দামেয়ে চাপে সেভভোম।
  34. https://iqna.ir/fa/news/3354182/%DA%A9%D8%, ইকনা নিউজ।

গ্রন্থপঞ্জি

  • আয়াতি, মুহাম্মাদ ইব্রাহিম, তারিখে পায়াম্বারে ইসলাম, তাজদিদে নাযার ওয়া এযাফাত আয আবুল কাসেম গারাজি, তেহরান, ইন্তেশারাতে দানেশগাহে তেহরান, ১৩৭৮ ফার্সি সন।
  • ইবনে আসির, আলী ইবনে মুহাম্মাদ, উসদুল গাবাহ ফি মা’রিফাতিস সাহাবাহ, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪০৯ হি./১৯৮৯ খ্রি.।
  • ইবনে সা’দ, মুহাম্মাদ, আত-তাবকাতুল কুবরা, তাহকিক: মুহাম্মাদ আব্দুল কাদির আতা, বৈরুত, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, ১৪১০ হি./১৯৯০ খ্রি.।
  • ইবনে আব্দুল বার, ইউসুফ ইবনে আব্দুল্লাহ, আল-ইস্তিআব ফি মা’রিফাতিল আসহাব, তাহকিক: আলী মুহাম্মাদ বাজাউয়ি, বৈরুত, দারুল জাইল, ১৪১২ হি.।
  • ইবনে হিশাম, আস-সীরাতুন নাবাবিয়্যাহ, তাহকিক: ইব্রাহিম আল-আবইয়ারি ও ‍মুস্তাফা আল-সাকা এবং আব্দুল হাফিয আশ-শালবি, মিশর, শারিকাতু মাক্তাবাতু ওয়া মাতবায়েতু মুস্তাফা আল-বাবি।
  • আমিনী, আব্দুল হুসাইন, আল-গাদীর ফি কিতাব ওয়াস সুন্নাহ ওয়াল আদাব, কোম, মারকাযুল গাদীর লিদ দিরাসাতিল ইসলামিয়্যাহ, ১৪১৬ হি.।
  • বিনতুশ শাতি, আয়েশাহ, আমেনা মাদারে পায়াম্বার (স.), তরজমা: মুহাম্মাদ তাকী সাজ্জাদি, তেহরান, মুআসসেসেয়ে ইন্তেশারাতে নাবাবি, ১৩৭৯ ফার্সি সন।
  • জাফারিয়ান, রাসূল, আসারে ইসলামি মক্কা ওয়া মদীনা, তেহরান, মাশআর, ১৩৮২ ফার্সি সন।
  • যারকানি, মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল বাকী, শারহুল আল্লামাতিয যারকানি আলা মাওয়াহিব আল-লাদুন্নিয়্যাহ বিল মানহিল মুহাম্মাদিয়্যাহ, তাসহিহ: মুহাম্মাদ আব্দুল আযিয খালিদি, বৈরুত, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, ১৪১৭ হি.।
  • সুয়ুতি, আব্দুর রাহমান ইবনে আবু বাকর, আদ-দুররুল মানসুর ফি তাফসীরি বিল মাসুর, কোম, কিতাবখানেয়ে আয়াতুল্লাহ মারআশি নাজাফি, ১৪০৪ হি.।
  • তাবারি, মুহাম্মাদ ইবনে জারির, জামেউল বায়ান ফি তাফসীরিল কুরআন, বৈরুত, দারুল মা’রেফাহ।
  • বিনতুশ শাতি, আয়েশা আব্দুর রাহমান, আমেনা মাদারে পায়াম্বার (স.): তরজমা-এ উম্মুন নাবি, তারজমা: সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ তাকী সাজ্জাদি, তেহরান, মুআসসেসেয়ে ইন্তেশারাতে নাবাবি, ১৩৭৯ ফার্সি সন।
  • কুলাইনি, মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব, আল-কাফি, তেহরান, দারুল কুতুব আল-ইসলামিয়্যাহ, ১৩৮৮ হি.।
  • নুওয়াইরি, আহমাদ ইবনে আব্দুল ওয়াহাব, নিহায়াতুল আরাব ফি ফুনুনিল আদাব, কায়রো, দারুল কুতুব ওয়াল ওয়াসায়েকুল কাওমিয়্যাহ, তারিখ অজ্ঞাত।
  • মুহাদ্দেস কুম্মি, আব্বাস, সাফিনাতুল বিহার, কোম, উসওয়া, ১৪১৪ হি.।
  • ওয়াকিদি, মুহাম্মাদ ইবনে উমর, আল-মুগাযি, তাহকিক: মার্সডেন জোন্স, বৈরুত, মুআসসেসাতুল আ’লামি, ১৯৮৯ খ্রি./১৪০৯ হি.।
  • মাকরিযি, আহমাদ ইবনে আলী, ইমতাউল আসমায়ি বিমা লিন নাবিয়্যি মিনাল আহওয়ালি ওয়াল হাফাদাতি ওয়াল মাতা’, তাহকিক: মুহাম্মাদ আব্দুল হামিদ নুমাইসি, বৈরুত, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, ১৯৮৯ খ্রি./১৪০৯ হি.।
  • ইয়াকুবি, আহমাদ ইবনে ইয়াকুবি, তারিখুল ইয়াকুবি, দারু সাদির, বৈরুত, তারিখ অজ্ঞাত।