আসমা বিনতে উমাইস (আরবি: اَسْماء بِنت عُمَیس) (মৃত্যু: ৩৮ হিজরী’র পর) মহানবীর (স.) সাহাবী যিনি ফাতেমা (সা.আ.) লাশ গোসল দেয়ার ক্ষেত্রে ইমাম আলী (আ.)-কে সহযোগিতা করেন। আসমা ছিলেন জাফর ইবনে আবি তালিবের স্ত্রী। জাফরের শাহাদাতের পর আবু বকর ইবনে আবু কুহাফা’র সাথে তার বিবাহ হয় এবং আবু বকরের মৃত্যুর পর তিনি ইমাম আলী (আ.)-এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। আসমা, আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর (হযরত যয়নাবের (সা. আ.)-এর স্বামী) এবং মুহাম্মাদ ইবনে আবি বকরের (মিসরে ইমাম আলীর (আ.) প্রতিনিধি) মাতা। হযরত ফাতেমা (সা.আ.)-এর ওছিয়তের ভিত্তিতে, ইমাম আলীর (আ.) সাথে সহযোগী হিসেবে আসমা তাঁর মৃতদেহকে গোসল দেন। এছাড়াও তিনি ফাতেমার (সা.আ.) জন্য ইসলামে প্রথম তাবুত তৈরি করেন যেন তাঁর শরীর দৃশ্যমান না হয় এবং একটি রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে, ফাতেমার (সা.আ.) জীবনের অন্তিম মুহূর্তগুলোতে তাঁর পাশে ছিলেন এবং তাঁর জীবনের অন্তিম মুহূর্তগুলো ছাড়াও হাসান (আ.), হুসাইন (আ.) এবং হযরত আলী (আ.) কিভাবে হযরত ফাতেমার মৃতদেহের মুখোমুখি হয়েছিলেন তার বর্ণনাও তিনি দিয়েছেন।

আসমা ছিলেন প্রথম মুসলমানদের একজন, তিনি তার স্বামী জাফরের সাথে হাবশা এবং মদীনায় হিজরত করেন। তিনি মহানবী (স.) হতে বিভিন্ন হাদীস বর্ণনা করেছেন।

জীবনী

আসমা ছিলেন উমাইস ইবনে মাআদ এর কন্যা। তার পিতা ছিলেন বনি খাসআম গোত্রের এবং তার মাতা হিন্দ ছিলেন আওনের কন্যা।[১] তার বোনেরা হচ্ছেন:

ইমাম আলীর (আ.) ভাই জাফর ইবনে আবি তালিবের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি ছিলেন প্রথম মুসলমানদের অন্তর্ভূক্ত এবং মহানবী (স.) আরকামের ঘরে প্রবেশের পূর্বে ইসলাম গ্রহণ করেন।[৩] আসমা বে’সাতের পঞ্চম বছরে[৪] তার স্বামী জাফরের সাথে হাবশায় হিজরত করেন[৫] এবং সপ্তম হিজরীতে মদীনায় হিজরত করেন।[৬] জাফর অষ্টম হিজরীতে মুতার যুদ্ধে শহীদ হওয়ার পর[৭] আসমা আবু বকরের সাথে বিবাহ করেন এবং আবু বকরের মৃত্যুর পর ইমাম আলীর (আ.) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[৮] ইমাম সাদিক (আ.)-এর একটি রেওয়ায়েতে, আসমাকে বেহেশতি নারী হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।[৯]

হযরত ফাতেমার (সা.আ.) সাথে আসমার সম্পর্ক

আসমা হযরত ফাতেমা (সা.আ.)-এর ওছিয়ত অনুযায়ী ইমাম আলীর (আ.) সহযোগিতায় ফাতেমার (সা.আ.) মৃতদেহকে গোসল দেন।[১০] শিয়া রেওয়ায়েতি সূত্রে বর্ণিত হাদীস অনুসারে, আসমা ফাতেমার (সা.আ.) জন্য ইসলামে প্রথম তাবুত তৈরি করেন। ফাতেমা (সা.আ.) অসুস্থতার কারণে শয্যাশায়ী ছিলেন তখন আসমাকে বলেন, তিনি মৃত্যুবরণ করলে তার মৃতদেহকে যেন ঐ তাবুতে না রাখা হয়, যেখানে তার শরীর দৃশ্যমান হয়, তাই আসমা তাঁর জন্য এমন একটি তাবুত তৈরি করেন যা তিনি হাবশায় দেখেছিলেন এবং ফাতেমা ঐ তাবুত দেখে খুশি হন।[১১]এছাড়াও তার বর্ণনার ভিত্তিতে তিনি হযরত ফাতেমার (সা.আ.) জীবনের অন্তিম মুহূর্তগুলোতে তাঁর শয্যার পাশে ছিলেন এবং ঐ মুহূর্তগুলো ছাড়াও হাসান (আ.), হুসাইন (আ.) এবং হযরত আলী (আ.) কিভাবে হযরত ফাতেমার মৃতদেহের সম্মুখীন হয়েছিলেন তার বর্ণনা দিয়েছেন।[১২] হযরত ফাতেমা (সা.আ.)-এর শাহাদাত উপলক্ষে যে শোকানুষ্ঠানগুলো অনুষ্ঠিত হয় তাতে আসমা এবং তার বর্ণনাগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।[১৩] কিছু কিছু রেওয়ায়েত অনুসারে, ফাতেমার (সা.আ.) সাথে ইমাম আলীর (আ.) বিবাহ অনুষ্ঠানেও আসমা উপস্থিত ছিলেন।[১৪] এছাড়াও একটি রেওয়ায়েত অনুযায়ী হযরত ফাতেমার সন্তান প্রসবের সময় মহানবীর নির্দেশে সন্তান গ্রহণকারী নারী হিসেবে তার পাশে উপস্থিত ছিলেন।[১৫] হিজরী সপ্তম শতকের বিশিষ্ট শিয়া কালামশাস্ত্রবিদ আলী ইবনে ঈসা ইরবিলি’র ভাষ্য মতে, এই রেওয়ায়েতসমূহ লিপিবদ্ধ করার ক্ষেত্রে আসমা বিনতে ইয়াযিদ আনসারী এবং আসমা বিনতে উমাইস এর মধ্যে নামগত ভূল হয়েছে; কেননা, ফাতেমার (সা.আ) বিবাহ ২ অথবা ৩ হিজরীতে সংঘটিত হয়েছিল এবং আসমা বিনতে উমাইস খায়বার বিজয় পর্যন্ত (৭ হিজরী সনে) হাবশায় ছিলেন।[১৬] ইরবিলি আরও মনে করেন, আসমা ও হামযা’র স্ত্রী সালমি বিনতে উমাইসের মধ্যে ভূল হয়ে থাকতে পারে; কেননা সালমি অপেক্ষা আসমা প্রসিদ্ধ ছিলেন, আর এ কারনেই তার থেকে রেওয়ায়েত করেছেন অথবা একজন উদ্ধৃতিতে ভূল করেছেন এবং অন্যরা তাকে অনুসরণ করেছেন।[১৭]

এছাড়াও আসমা মহানবী (স.)-এর মৃত্যুকালীন অসুস্থতার সময় তাঁর শয্যার পাশে ছিলেন।[১৮]

হাদীস বর্ণনা

আসমা মহানবী (স.) হতে বিভিন্ন হাদীস বর্ণনা করেছেন।[১৯] অনুরূপভাবে তার সন্তান আব্দুল্লাহ, সাঈদ ইবনে মুসাইব, উরওয়া ইবনে যুবাইর এবং অন্যরা তার থেকে উদ্ধৃত করেছেন।[২০]হযরত আলীর (আ.) কন্যা ফাতেমা, হাদীস-এ মানযেলাত[২১] এবং রাদ্দুশ শামস[২২] তার থেকে বর্ণনা করেছেন।

তৃতীয় শতাব্দীর বিশিষ্ট ঐতিহাসিক আহমাদ ইবনে আবি ইয়াকুব, আসমার নিকটে থাকা একটি বইয়ের উল্লেখ করেছেন যা ছিল রাসূল (স.)-এর বাণী সমৃদ্ধ।[২৩]

সন্তান-সন্ততি

জাফর ইবনে আবি তালিবের সংসারে আসমার গর্ভ থেকে আব্দুল্লাহ, মুহাম্মাদ এবং আওনের জন্ম হয়।[২৪]এছাড়াও তিনি আবু বকরের সংসারে মুহাম্মাদ ইবনে আবু বকরের জন্ম দেন[২৫] যিনি মিশরে আলী (আ.)-এর প্রতিনিধি ছিলেন।[২৬]তিনি ইমাম আলীর সংসারে ইয়াহইয়াকে জন্ম দেন[২৭]যিনি শৈশবেই মৃত্যুবরণ করেন।[২৮]

মৃত্যু

হিজরী অষ্টম শতকের বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ইবনে কাসীর আসমা’র মৃত্যুকে ৩৮ হিজরী সনের ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।[২৯] অবশ্য কিছু কিছু সূত্রে তার মৃত্যু ইমাম আলী (আ.)-এর শাহাদতের পর সংঘটিত হয়েছে বলে উল্লেখিত হয়েছে।[৩০] দামেস্কের বাবুস সাগির কবরস্থানে তার কবর অবস্থিত।[৩১]

তথ্যসূত্র

  1. ইবনে কালবি, নাসবু মাআদ ওয়াল ইয়ামানিল কাবির, ১৪০৮ হি., খণ্ড ১, পৃ ৩৫৬-৩৫৮।
  2. ইবনে কালবি, নাসবু মাআদ ওয়াল ইয়ামানিল কাবির, ১৪০৮ হি., খণ্ড ১, পৃ ৩৫৮-৩৫৯।
  3. ইবনে সা’দ, আত-তাবাকাতুল কুবরা, ১৪১০ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ২১৯।
  4. মাকরিযি, ইমতাউল আসমা, ১৪২০ হি., খণ্ড ৯, পৃ. ১১৬।
  5. ইবনে হিশাম, আস-সীরাতুন নাবাবিয়্যাহ, দারুল মা’রিফাহ, খণ্ড ১, পৃ. ৩২৩।
  6. ইবনে আব্দুল বার, আল-ইস্তিআব, ১৪১২ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৪২।
  7. ইবনে সা’দ, আত-তাবাকাতুল কুবরা, ১৪১০ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ২১৯।
  8. ইবনে আব্দুল বার, আল-ইস্তিআব, ১৪১২ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৭৮৪-১৭৮৫।
  9. শেইখ সাদুক, আল-খিছাল, ১৩৬২ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ৩৬৩।
  10. বালাযুরি, আনসাবুল আশরাফ, ১৯৫৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৪০৫।
  11. ইরবিলি, কাশফুল গুম্মাহ, ১৩৮১ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫০৩।
  12. ইরবিলি, কাশফুল গুম্মাহ, ১৩৮১ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫০০-৫০১।
  13. روضه و توسل بسیار جانسوز_ویژه فاطمیه_استاد حاج محمد نوروزی, পায়েগাহে খেইমেগাহ।
  14. দ্র: গাঞ্জি শাফেয়ী, কিফায়াতুত তালিব, দারু ইহিয়ায়িত তুরাস আহলুল বাইত, পৃ. ৩০৬; ইরবিলি, কাশফুল গুম্মাহ, ১৩৮১ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩৬৫-৩৬৬।
  15. ইরবিলি, কাশফুল গুম্মাহ, ১৩৮১ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫৫১।
  16. ইরবিলি, কাশফুল গুম্মাহ, ১৩৮১ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩৭৩।
  17. ইরবিলি, কাশফুল গুম্মাহ, ১৩৮১ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩৬৬-৩৬৭।
  18. বালাযুরি, আনসাবুল আশরাফ, ১৯৫৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫৪৫।
  19. হুমাইদি, আল-মুসনাদ, ১৯৯৬ খ্রি., খণ্ড ১, পৃ. ৩২৮; ওয়াকেদি, আল-মাগাযি, ১৪০৯ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৭৬৬।
  20. যাহাবি, সিয়ারু আ’লামুন নুবালা, ১৪২৭ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৫১৯।
  21. ইবনে আব্দুল বার, আল-ইস্তিআব, ১৪১২ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১০৯৭।
  22. হুররে আমেলি, ইসবাতুল হুদাত, ১৪২৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৪১৪।
  23. ইয়াকুবি, তারিখুল ইয়াকুবি, দারু সাদির, খণ্ড ২, পৃ. ১০১।
  24. ইবনে সা’দ, আত-তাবাকাতুল কুবরা, ১৪১০ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ২১৯।
  25. ইবনে আব্দুল বার, আল-ইস্তিআব, ১৪১২ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৭৮৪-১৭৮৫।
  26. তাবারি, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৫৫৫-৫৫৬।
  27. ইবনে আব্দুল বার, আল-ইস্তিআব, ১৪১২ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৭৮৪-১৭৮৫।
  28. আবুল ফারাজ ইস্ফাহানি, মাকাতিলুত তালিবীন, দারুল মা’রিফাহ, পৃ. ৩৭।
  29. ইবনে কাসীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৩১৮।
  30. ইবনে হাজার আসকালানি, তাকরীবুত তাহযীব, ১৪০৬ হি., পৃ. ৭৪৩।
  31. ক্বায়েদান, এমাকানে যিরাাতিয়ে সিয়াহাতিয়ে সুরিয়ে, ১৩৮৭ ফার্সি সন, পৃ. ১০৫।

গ্রন্থপঞ্জি

  • আবুল ফারাজ ইস্ফাহানি, আলী ইবনে হুসাইন, মাকাতিলুত তালিবীন, তাহকিক: সাইয়্যেদ আহমাদ সাকার, বৈরুত, দারুল মা’রিফাহ, তারিখ অজ্ঞাত।
  • ইবনে হাজার আসকালানি, আহমাদ ইবনে আলী, তাকরীবুত তাহযীব, তাহকিক মুহাম্মাদ আওয়ামাহ, দারুর রাশিদ, সুরইয়া, ১৪০৬ হি./১৯৮৬ খ্রি.।
  • ইবনে সা’দ, মুহাম্মাদ, আত-তাবাকাতুল কুবরা, তাহকিক: মুহাম্মাদ আব্দুল কাদির আতা, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, ১৪১০ হি./১৯৯০ খ্রি.।
  • ইবনে আব্দুল বার, ইউসুফ ইবনে আব্দুল্লাহ, আল-ইসতিআব ফি মা’রিফাতিল আসহাব, তাহকিক: আলী মুহাম্মাদ আল-বাজাভি, বৈরুত, দারুল জাইল, ১৪১২ হি./১৯৯২ খ্রি.।
  • ইবনে কাসীর, ইসমাঈল ইবনে উমর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪০৭ হি./১৯৮৬ খ্রি.।
  • ইবনে কালবি, হিশাম ইবনে মুহাম্মাদ, নাসবু মাআদ ওয়াল ইয়ামানিল কাবির, তাহকিক: নাজি হাসান, বৈরুত, আলেমুল কুতুব, ১৪০৮ হি./১৯৯৮৮ খ্রি.।
  • ইবনে হিশাম, আব্দুল মালিক ইবনে হিশাম, আস-সীরাতুন নাবাবিয়্যাহ, তাহকিক: মুস্তাফা সাকা ও অন্যান্যরা, কায়রো, বৈরুত, দারুল মা’রিফাহ, তারিখ অজ্ঞাত।
  • ইরবিলি, আলী ইবনে ঈসা, কাশফুল গুম্মাহ ফি মা’রিফাতিল আইম্মাহ, তাসহিহ: সাইয়্যেদ হাশেম রাসূলী মাহাল্লাতি, বনি হাশেমি, তাবরীয, ১৩৮১ হি.।
  • বালাযুরি, আহমাদ ইবনে ইয়াহইয়া, আনসাবুল আশরাফ, তাহকিক: মুহাম্মাদ হামিদুল্লাহ, মিশর, দারুল মাআরেফ, ১৯৫৯ খ্রি.।
  • হুররে আমেলি, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, ইসবাতুল হুদাত বিন নুসুস ওয়াল মো’জিযাত, আ’লামি, বৈরুত, ১৪২৫ হি.।
  • হুমাইদি, আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর, আল-মুসনাদ, তাহকিক: হাসান সুলাইম আদ-দারানি, দামেস্ক, দারুস সাকা, দামেস্ক, ১৯৯৬ খ্রি.।
  • যাহাবি, মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ, সিয়ারু আ’লামিন নুবালা, কায়রো, দারুল হাদীস, ১৪২৭ হি./২০০৬ খ্রি.।
  • روضه و توسل بسیار جانسوز_ویژه فاطمیه_استاد حاج محمد نوروزی, পায়েগাহে খেইমেগাহ, সন্নিবেশের তারিখ: ১৭ বাহমান ১৩৯৫ ফার্সি সন, দেখার তারিখ: ২৪ খোরদাদ ১৪০১ ফার্সি সন।
  • শেইখ সাদুক, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, আল-খিছাল, তাসহিহ: আলী আকবার গাফ্ফারি, কোম, জামে’ মুদাররেসীন, ১৩৬২ ফার্সি সন।
  • তাবারি, মুহাম্মাদ ইবনে জারির, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, তাহকিক: মুহাম্মাদ আবুল ফাযল ইব্রাহিম, বৈরুত, দারুত তুরাস, আত-তাবআতুস সানিয়াহ, ১৩৮৭ হি./১৯৬৭ খ্রি.।
  • ক্বায়েদান, আসগার, এমাকানে যিরাাতিয়ে সিয়াহাতিয়ে সুরিয়ে, তেহরান, মাশআর, ১৩৮৭ ফার্সি সন।
  • গাঞ্জি শাফেয়ী, মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ, কিফায়াতুত তালিব ফি মানাকিবি আলী ইবনে আবি তালিব, দারু ইহিয়ায়িত তুরাস আহলুল বাইত, তারিখ অজ্ঞাত।
  • মাকরিযি, আহমাদ ইবনে আলী, ইমতাউল আসমা, তাহকিক: মুহাম্মাদ আব্দুল হামিদ আল-নুমাইসি, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.।
  • ওয়াকেদি, মুহাম্মাদ ইবনে উমর, আল-মাগাযি, তাহকিক: মার্সডেন জোন্স, বৈরুত, মুআসাসাতুল আ’লামি, আত-তাবাআতুস সালিসাহ, ১৪০৯ হি./১৯৮৯ খ্রি.।
  • ইয়াকুবি, আহমাদ ইবনে আবি ইয়াকুব, তারিখুল ইয়াকুবি, বৈরুত, দারু সাদির, তারিখ অজ্ঞাত।