নাজরানের খ্রিষ্টানদের সাথে মহানবির (স.) মুবাহালা

wikishia থেকে

নাজরানের  খ্রিষ্টানদের সাথে মহানবির (স.) মুবাহালা; ইসলামের গোড়ার দিককার ঘটনা; এটি মহানব হযরত মুহাম্মাদের (স.) দাওয়াত সত্য হওয়ার পক্ষে অন্যতম দলিল হিসেবে গণ্য। এছাড়া ঘটনাটি মহানবি (স.) ও মুবাহালায় তাঁর সাথে আগত তাঁর সাথীদের - তথা ইমাম আলী (আ.), ফাতিমা (সা. আ.), হাসান (আ.)হুসাইন (আ.)- ফজিলত হিসেবেও পরিগণিত হয়।

সূরা আলে ইমরানের ৬১নং আয়াতে মুবাহালার ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে যা মুবাহালা’র আয়াত নামে পরিচিত। শিয়াদের বিশ্বাস মুবাহালার আয়াতে ইমাম আলীকে (আ.) মহানবির (স.) نَفس (নাফস) ও জীবন বলার কারণে আয়াতটিকে ইমাম আলীর (আ.) ফজিলত হিসেবে গণ্য করা হয়। ঘটনাটি শিয়া ও সুন্নি উভয় মাযহাবের সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রের বর্ণনার ভিত্তিতে, নাজরানের খ্রিষ্টানদের সাথে আলোচনা ও বিতর্কের পর তারা ঈমান না আনায় মহানবি (স.) তাদেরকে মুবাহালা’র প্রস্তাব দেন এবং তারাও তা গ্রহণ করে নেয়। কিন্তু মুবাহালার জন্য নির্দিষ্ট দিনে, নাজরানের খ্রিষ্টানরা মহানবিকে (স.) সপরিবারে আসতে দেখে মুবাহালা করতে অস্বীকৃতি জানায়।

মুবাহালা; সত্য প্রমাণের লক্ষ্যে দু’পক্ষের মাঝে অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে দু’পক্ষ মিথ্যাবাদীর জন্য মহান আল্লাহর লানত ও অভিশাপ কামনা করে।

ঘটনার বছর ও দিনের বিষয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে। ঐতিহাসিকগণের নিকট প্রসিদ্ধ যে ঘটনাটি ১০ম হিজরীর। একইভাবে দোয়ার গ্রন্থসমূহে ২৪শে জিলহজ্জ দিনে মুবাহালা দিবসের শিরোনামে বিশেষ আমলও উল্লিখিত হয়েছে।

গুরুত্ব ও তাৎপর্য

রাসূলুল্লাহর (স.) দাওয়াত যে সত্য ছিল তার প্রমাণ হিসেবে নাজরানের খ্রিষ্টানদের সাথে তাঁর (স.) মুবাহালার ঘটনাটিও উল্লেখ করা হয়।[১] পবিত্র কুরআনের সূরা আলে ইমরানের ৬১ নং আয়াতে মুবাহালার ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।[২] একইভাবে এ ঘটনা পাঞ্জতনের (মহানবি -স.-, ইমাম আলী -আ.-, ফাতিম -সা. আ.-, ইমাম হাসান -আ.- ও ইমাম হুসাইন -আ.-) ফজিলতসমূহের অন্যতম।[৩] এ সম্পর্কে বিভিন্ন তাফসির[৪] ও ইতিহাস[৫] গ্রন্থে আলোকপাত করা হয়েছে।

মুবাহালা সম্পর্কে নাজরানের খ্রিষ্টান বিশপ বলেন:

‘মুহাম্মাদ সত্যপন্থী না হলে নিজের সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিদেরকে নিয়ে মুবাহালার মাঠে আসতেন না। আর যদি আমাদের সাথে তিনি (তার সাথে আগত দলটিকে নিয়ে) মুবাহালা করেন তবে বছর পার না হতেই ভূপৃষ্ঠে একজন খ্রিষ্টানও অবশিষ্ট থাকবে না।’

অপর একটি বর্ণনায় এসেছে যে, (তিনি বলেন:) আমি এমন কিছু চেহারা দেখছি, তারা যদি মহান আল্লাহর নিকট কোন পাহাড়কে উপড়ে ফেলার আবেদন করে, যেকোন ভাবে তা ঘটবেই। তাই তাদের সাথে মুবাহালা করো না; কেননা এ ক্ষেত্রে ধ্বংস হয়ে যাবে এবং পৃথিবীর বুকে একজন নাসরানিও (খ্রিষ্টান) অবশিষ্ট থাকবে না।[যিমাখশারি, আল-কাশশাফ, পৃ. ৩৬৮-৩৬৯।]

ঘটনা

মহানবি (স.) বিভিন্ন অঞ্চলের রাজা ও শাসকদের উদ্দেশে পত্র প্রেরণের সময় নাজরানের খ্রিষ্টানদের উদ্দেশেও চিঠি লিখেন এবং তাদেরকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের আহবান জানান। এর প্রতিক্রিয়ায় নাজরানের খ্রিষ্টানদের একটি প্রতিনিধি দল মদিনায় পৌঁছে মসজিদে নববিতে মহানবির (স.) সাথে আলোচনায় বসেন। মহানবি (স.) নিজের পরিচয় তুলে ধরার পর হযরত ঈসাকে (আ.) আল্লাহর বান্দাদের একজন বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু তারা তা গ্রহণ না করে, পিতা ছাড়া হযরত ঈসার (আ.) জন্মের বিষয়টিকে তার উলুহিয়্যাত (প্রভুত্ব)-এর পক্ষে প্রমাণ বলে দাবি করেন।[৬]

দু’পক্ষ নিজেদের দাবীতে অটল রইল। অবশেষে মুবাহালার [নোট ১] মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হওয়ার সিদ্ধান্ত হল। এরই ভিত্তিতে নির্ধারিত হল, পরবর্তী দিন সকলে মদিনার বাইরে মরুভূমিতে মুবাহালার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে উপস্থিত হবে। মুবাহালার দিন প্রত্যুষে আলী (আ.), ফাতিমা (সা. আ.), হাসান (আ.) ও হুসাইনকে (আ.) সাথে নিয়ে মহানবি (স.) মদিনা ত্যাগ করলেন। খ্রিষ্টানরা যখন দেখলেন মহানবি (স.) নিজের সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিদের নিয়ে মুবাহালার মাঠে উপস্থিত হয়েছেন এবং তিনি দু’ হাটু ভাজ করে বসেছেন, তখন তারা মুবাহালা করা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিল এবং সমঝোতার প্রস্তাব দিল। মহানবি (স.) জিজিয় কর প্রদানের শর্তে তাদের প্রস্তাব মেনে নিলেন। খ্রিষ্টানদের ঐ প্রতিনিধি দল নাজরানে ফিরে যাওয়ার পর ঐ দলের দু’জন সদস্য পূনরায় বিশেষ হাদিয়াসহ মহানবির (স.) নিকট প্রত্যাবর্তন করেন এবং মুসলমান হয়ে যান।[৭] বিশিষ্ট সুন্নি মুফাসসির ফাখরে রাযি (মৃত্যু ৬০৬) বলেছেন: ঘটনাটির বিষয়ে মুফাসির ও মুহাদ্দিসদের মাঝে ঐক্যমত্য রয়েছে।[৮]

মুবাহালার আয়াত

সূরা আলে ইমরানের ৬১নং আয়াতে মুবাহালার ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে:

فَمَنْ حَاجَّكَ فِیهِ مِن بَعْدِ مَا جَاءَكَ مِنَ الْعِلْمِ فَقُلْ تَعَالَوْا نَدْعُ أَبْنَاءَنَا وَ أَبْنَاءَكُمْ وَ نِسَاءَنَا وَ نِسَاءَكُمْ وَ أَنفُسَنَا وَ أَنفُسَكُمْ ثُمَّ نَبْتَهِلْ فَنَجْعَل لَّعْنَتَ اللَّـهِ عَلَی الْكَاذِبِینَ ﴿۶۱﴾

“তোমার নিকট জ্ঞান আসার পর যে ব্যক্তি তোমার সাথে (ঈসার সম্বন্ধে) বিতর্ক করবে তাকে বল, ‘এস, আমাদের সন্তানদেরকে এবং তোমাদের সন্তানদেরকে আর আমাদের নারীদেরকে এবং তোমাদের নারীদেরকে এবং আমাদের নিজেদেরকে এবং তোমাদের নিজেদেরকে ডেকে নিই, অতঃপর আমরা মুবাহলা করি আর মিথ্যুকদের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত বর্ষণ করি।”

কাযি নূরুল্লাহ শুশতারি’র মতে, মুফাসসিরগণের মাঝে এ বিষয়ে মতৈক্য রয়েছে যে, أبنائنا (আমাদের সন্তানদেরকে) বলতে হাসানহুসাইন, نِسائَنا বলতে ফাতিমা (সা. আ.) এবং أنفُسَنَا বলতে ইমাম আলীকে (আ.) বোঝানো হয়েছে।[৯] এছাড়া, আল্লামা মাজলিসী’র বিশ্বাস, যে সকল হাদিস মুবাহালার আয়াতটি ‘আলে আবা’র (পাঞ্জতন) শানে অবতীর্ণ হয়েছে -এ বিষয়ের প্রতি নির্দেশ করে সেগুলো মুতাওয়াতির।[১০] ইহকাকুল হাক্ব (১০১৪ হিজরীতে রচিত) গ্রন্থে আহলে সুন্নতের প্রায় ৬০টি গ্রন্থের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যেগুলোতে বলা হয়েছে মুবাহালার আয়াত এই ব্যক্তিবর্গ সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে।[১১]

মহানবি (স.) বলেছেন:

“কসম সেই আল্লাহর যার হাতে আমার জীবন, নাজরানের খ্রিষ্টানদের ধ্বংস ঘনিয়ে এসেছিল; আমার সাথে মুবাহালা করলে তারা বানর ও শুকরে রূপান্তরীত হত এবং এই উপত্যকা তাদের জন্য আগুনে পরিণত হতো। আর তারা পুড়ে যেত এবং মাহন আল্লাহ্ নাজরানবাসীদেরকে ধবংস করে দিতেন এমনকি তাদের গাছগুলোর ওপর পাখিও অবশিষ্ট থাকত না এবং বছর পার হওয়ার আগেই সকল খ্রিষ্টান মারা যেত।” [মুফিদ, আল-ইরশাদ, প্রকাশকাল ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৬৬-১৭১।]

শিয়া ইমামগণ[১২] ও মহানবির (স.) কিছু কিছু সাহাবিও[১৩] ইমাম আলীর (আ.) ফজিলতের প্রমাণ হিসেবে আয়াতটিকে উল্লেখ করেছেন।

সময় ও স্থান

ঐতিহাসিক সূত্রগুলোর বর্ণনানুযায়ী, মুবাহালার ঘটনা মহানবির (স.) মদিনায় হিজরতের পরের ঘটনা।[১৪] কিন্তু কোন বছর ও কোন দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল -বিষয়টিতে এখতেলাফ রয়েছে। শেইখ মুফিদ (মৃত্যু ৪১৩ হি.) বলেছেন, মুবাহালা মক্কা বিজয়ের (৮ হিজরী) পরের ঘটনা।[১৫] তারিখে তাবারির (৩০৩ হিজরীতে রচিত) মতে মুবাহালার ঘটনা ১০ম হিজরীর[১৬] মুহাম্মাদ মুহাম্মাদি রেই শাহরি ‘কিতাব ন’মেয়ে মুবাহালা’তে লিখেছেন, ঐতিহাসিকদের প্রসিদ্ধ মত হল, ঘটনাটি ১০ হিজরীতে ঘটেছে, তবে কেউ কেউ ঘটনাটি ৯ হিজরীর বলেও উল্লেখ করেছেন।[১৭]

মুবাহালা’র দিন প্রসঙ্গেও বিভিন্ন মত রয়েছে; যেমন-২১,[১৮] ২৪[১৯] ও ২৫ জিলহজ্জ।[২০]শেইখ আনসারির মতে, ২৪ জিলহজ্জ তারিখটি প্রসিদ্ধ।[২১] একইভাবে বিভিন্ন দোয়ার গ্রন্থে ২৪ জিলহজ্জ দিনের বিশেষ আমল উল্লেখিত হয়েছে।[২২] এছাড়া, শেইখ আব্বাস কুম্মি তার মাফাতিহুল জিনান গ্রন্থে মুবাহালার দিনের যে সকল আমল উল্লেখ করেছেন সেগুলোর মধ্যে বিশেষ দোয়া, গোসল ও রোজা উল্লেখযোগ্য।[২৩]

স্থান

মুবাহালা মদিনায় অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি জানা গেলেও ঠিক কোন স্থানে তা ঘটেছিল তা স্পষ্ট নয়। বাক্বীর কাছাকাছি মুবাহালা নামে একটি মসজিদ রয়েছে, একে মাসজিদুল ইজাবাও বলা হয়;[২৪] হাজী ও যায়েররা মুবাহালার স্থান হিসেবে ঐ স্থানটির যেয়ারত করে থাকেন।[২৫] কিন্তু বলা হয়, ঐতিহাসিক সূত্রগুলোতে এমন নামের কোন মসজিদের কথা উল্লিখিত হয় নি।[২৬] শিয়া লেখক মুহাম্মাদ সাদেক নাজমি’র মতে, মসজিদটির সাথে মুবাহালার ঘটনার কোন সম্পর্ক নেই। এই ভুল বোঝাবুঝি ‘মুবাহালা’ ও ‘ইজাবাহ’ দু’টি নামের মাঝে মিল থেকে উৎসারিত অথবা ইবনে মাশহাদি’র অভিমত থেকে। কেননা তিনি মুবাহালা মসজিদে নামাজ আদায় প্রসঙ্গে তাগিদ করেছেন।[২৭]

ইবনে মাশহাদি (মৃত্যু ৬১০ হি.) তার ‘আল-মাযার’ গ্রন্থে, মুবাহালা মসজিদের নাম উল্লেখ করে ঐ স্থানে নামাজ আদায় প্রসঙ্গে তাগিদ করেছেন।[২৮] মুহাম্মাদ সাদেক নাজমি’র ভাষ্যানুযায়ী, মুবাহালার স্থানে মসজিদ নির্মাণ না হওয়ার কারণ হল মহানবি (স.) ঐ স্থানে নামায আদায় করেন নি। কারণ যে সকল স্থানে মহানবির (স.) নামাজ আদায় করার বিষয়ে মুসলমানরা নিশ্চিত হতেন সে সকল স্থানে তারা মসজিদ নির্মাণ করেছেন।[২৯]

গ্রন্থ পরিচিতি

মুবাহালার ঘটনা কেন্দ্রিক বিভিন্ন গ্রন্থ রচিত হয়েছে:

মুহাম্মাদ আলী আসগারি ও মুহাম্মাদ আলী নাজাফি রচিত ‘মানবা শেনাসীয়ে ওযাক্বেয়ে মুবাহালা’;  ২০২২ সালে প্রকাশিত গ্রন্থটিতে বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশিত প্রায় ৮০টি গ্রন্থ, ২৫টি থিসিস, ১০০টি প্রবন্ধ এবং বেশ কয়েকটি সফ্টওয়ারের পরিচিতি তুলে ধরা হয়েছে।[৩০]

মুহাম্মাদ মুহাম্মাদি রেই শাহরি ও লেখদের একটি দলের প্রচেষ্টায় রচিত ‘ফারহাঙ্গ ন’মেয়ে মুবাহালা’; এতে মুবাহালার ঘটনাটি বিশিষ্ট সুন্নি মুফাসসির ফাখরে রাযি (মৃত্যু ৬০৬ হি.) এবং শিয়া কালাম শাস্ত্রবিদ শেইখ মুফিদের (মৃত্যু ৪১৩ হি.) বর্ণনার ভিত্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া, আহলে বাইত (আ.) কর্তৃক দলিল হিসেবে এ আয়াতটিকে উপস্থাপন ও মুবাহালা’র দিনের আদব ইত্যাদি বিষয় স্থান পেয়েছে।[৩১]

Louis Massignon রচিত ‘মদিনায় মুবাহালা’; গ্রন্থটি ২০০০ সালে মাহমুদ ইফতিখার যাদেহ ফার্সিতে অনুবাদ করেন এবং ক্বালাম প্রকাশনী কর্তৃক প্রকাশিত হয়।

সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ আলাভি রচিত মুবাহেলেয়ে সাদিকীন, কোম, নাগামাত, ২০০৪ ইং।

তথ্যসূত্র

  1. পাক নিয়া, “মুবাহেলে রাভিশ তারিন বভারহায়ে শিয়া”, পৃ. ৫১।
  2. সূরা আলে ইমরান, আয়াত ৬১।
  3. দ্র: মারআশি, ইহকাকুল হাক্ব, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৬৬।
  4. দ্র: তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৪১৫ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩১০; ফাখরে রাযি, আল-তাফসিরুল কাবির, ১৪২০ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ২৪৭।
  5. দ্র: ইবনে আসির, আল-কামিল ফিত তারিখ, ১৩৮৫ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ২৯৩-২৯৪।
  6. মাকারেম শিরাযি, তাফসিরে নেমুনে, ১৩৭৩-১৩৭৪ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ৫৭৮।
  7. তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৪১৫ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩১০; ইবনে সা’দ, আল-তাবাকাতুল কুবরা, ১৪১৪ হি., পৃ. ৩৯২।
  8. ফাখরে রাযি, আল-তাফসিরুল কাবির, ১৪২০ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ২৪৭।
  9. মারআশি, ইহকাকুল হাক্ব, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৪৬।
  10. মাজলিসী, হাক্কুল ইয়াকিন, ইন্তেশারাতে ইসলামিয়া, খণ্ড ১, পৃ. ৬৭।
  11. দ্র: মারআশি, ইহকাকুল হাক্ব, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৪৬-৭২।
  12. দ্র: মুফিদ, আল-ফুসুলুল মুখতারাহ, ১৪১৪ হি., পৃ. ৩৮; তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৫১-১৩৫২ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ২২৯-২৩০।
  13. দ্র: তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৫১-১৩৫২ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ২৩২।
  14. মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৬৬-১৭১।
  15. মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৬৬-১৭১।
  16. তাবারি, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুম, ১৩৮৭ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ১৩৯।
  17. মুহাম্মাদি রেই শাহরি, ফারহাঙ্গ ন’ময়ে মুবাহালা, ১৩৯৫ ফার্সি সন, পৃ. ৮৩-৮৭।
  18. মেইবোদি, কাশফুল আসরার, ১৩৭১ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ১৪৭।
  19. ইবনে শাহরে আশুব, মানাকিব, ১৩৭৬ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৪৪; শেইখ তুসি, মিসবাহুল মুতাহাজ্জিদ, ১৪১১ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৭৫৯।
  20. দ্র: শেইখ তুসি, মিসবাহুল মুতাহাজ্জিদ, ১৪১১ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৭৫৯।
  21. আনসারি, কিতাবুত তাহারাহ, কংগ্রেয়ে জাহানিয়ে বুযুর্গদাশতে শেইখ আ’যামে আনসারি, খণ্ড ৩, পৃ. ৪৮-৪৯।
  22. দ্র: শেইখ তুসি, মিসবাহুল মুতাহাজ্জিদ, ১৪১১ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৭৫৯।
  23. কুম্মি, মাফাতিহুল জিনান, ১৩৮৪ ফার্সি সন, দ্বিতীয় অধ্যায়, আ’মালে রুয-এ মুবাহেলে, পৃ. ৪৫১-৪৫৮।
  24. দ্র: ফাযেল লাঙ্কারানি, মানাসেকে হাজ্ব, ১৩৭৩ ফার্সি সন, পৃ. ২৪২।
  25. নাজমি, “মাসজিদুল ইজাবা ইয়া মাসজিদে মুবাহেলে”, পৃ. ১২৩।
  26. নাজমি, “মাসজিদুল ইজাবা ইয়া মাসজিদে মুবাহেলে”, পৃ. ১২৪।
  27. নাজমি, “মাসজিদুল ইজাবা ইয়া মাসজিদে মুবাহেলে”, পৃ. ১২২।
  28. ইবনে মাশহাদি, আল-মাযারুল কাবির, ১৪১৯ হি., পৃ. ১০২।
  29. নাজমি, “মাসজিদুল ইজাবা ইয়া মাসজিদে মুবাহেলে”, পৃ. ১২২।
  30. https://www.hawzahnews.com/news/1036519, হাওযা নিউজ।
  31. https://hadith.net/post/53550, হাদীস নেট।

গ্রন্থপঞ্জি

  • ইবনে আসির, আলী ইবনে আবি কারাম, আল-কামিলু ফিত তারিখ, বৈরুত, দারু সাদির-দারু বৈরুত, ১৩৮৫ ফার্সি সন/ ১৯৬৫ খ্রি.।
  • ইবনে সা’দ, মুহাম্মাদ ইবনে সা’দ, আত তাবাকাতুল কুবরা (আত তাবাকাতুল খামিসাহ), তাহকিক মুহাম্মাদ ইবনে ছামিলুস সালমি, আল-তাইফ, মাক্তাবাতুল সিদ্দিক, ১৯৯৩ খ্রি./ ১৪১৪ হি.।
  • ইবনে শাহরে আশুব, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, মানাকিবু আলে আবি তালিব, নাজাফ: মাতবাআতুল হাইদারিয়্যাহ, ১৩৭৬ হি.।
  • ইবনে মাশহাদি, মুহাম্মাদ ইবনে জা’ফার, আল-মাযারুল কাবির, তাসহিহ: জাওয়াদ কাইয়ুমি ইস্ফাহানি, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামি ওয়াবাস্তে বে জামে’ মুদাররেসীন হাওযা ইলমিয়া কোম, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৯ হি.।
  • আনসারি, মুর্তাযা, কিতাবুত তাহারাহ, কোম, কংগ্রেয়ে জাহানি বুযুর্গদাশতে শেইখ আ’যামে আনসারি।
  • পাক নিয়া, আব্দুল কারিম, http://ensani.ir/file/download/article/20101118173745-630.pdf, মোবাল্লেগান, সংখ্যা ৫০।
  • জাওহারি, ইসমাঈল ইবনে হাম্মাদ, আস সিহাহ (তাজুল লুগাতি ওয়া সিহাহুল আরাবিয়্যাহ), তাহকিক: আহমাদ আব্দুল গফুর আত্তার, বৈরুত, দারুল ইলম লিল মালাঈন, আল-তাবেয়াতুর রাবিয়া’হ, ১৪০৭ হি.।
  • হাযিন লাহিজি, মুহাম্মাদ আলী ইবনে আবি তালিব, দিওয়ানে হাযিন লাহিজি, তাসহিহ: যাবিহুল্লাহ ছ’হেব কর, তেহরান, নাশরে সায়ে, ১৩৮৪ হি.।
  • যিমাখশারি, মাহমুদ ইবনে উমর, আল-কাশশাফ আন হাকায়িকি গাওয়ামিদ্বিত তানযিল ওয়া উয়ুন

আল-আকাউয়িল ফি উযুহিত তা’উয়িল, তাসহিহ: মুস্তাফা হুসাইন আহমাদ, বৈরুত, দারুল কুতুব আল-আরাবি, ১৪০৭-১৪১৬ হি.।

  • শুশতারি, কাযি নূরুল্লাহ, ইহকাকুল হাক্ব ওয়া ইযহাকুল বাতিল, কোম, কিতাব খানেয়ে আয়াতুল্লাহ মারআশি নাজাফি, প্রথম সংস্করণ, ১৪০৯ হি.।
  • শেইখ তুসি, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, মিসবাহুল মুতাহাজ্জিদ ওয়া সালাহুল মুতাআব্বিদ, বৈরুত, মুআসসাসাতু ফিকহিশ শিয়া, প্রথম সংস্করণ, ১৪১১ হি.।
  • তাবাতাবায়ী, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হুসাইন, আল-মিযান ফি তাফসিরিল কুরআন, বৈরুত, মুআসসাসাতুল আ’লামি লিল মাতবুআত, ১৩৫১/১৩৫২।
  • তাবারসি, ফাযল ইবনে হাসান, মাজমাউল বায়ান ফি তাফসিরিল কুরআন, বৈরুত: মুআসসাসাতুল আ’লামি লিল মাতবুআত, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৫ হি.।
  • তাবারি, মুহাম্মাদ ইবনে জা’ফার, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, তাহকিক: মুহাম্মাদ আবুল ফাযল ইব্রাহিম, বৈরুত, দারুত তুরাস, তৃতীয় সংস্করণ, ১৩৮৭ ফার্সি সন/১৯৬৭ খ্রি.।
  • ফাযিল লাঙ্কারানি, মুহাম্মাদ, মানাসেকে হাজ্ব, কোম, মেহের, তৃতীয় সংস্করণ, ১৩৭৩ ফার্সি সন।
  • ফাখরে রাযি, মুহাম্মাদ ইবনে উমর, আল-তাফসিরুল কাবির, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.।
  • কুম্মি, শেইখ আব্বাস, কুল্লিয়াতে মাফাতিহুল জিনান, কোম, মাতবুআতে দ্বীনি, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৩৮৪ ফার্সি সন।
  • মাজলিসী, মুহাম্মাদ বাকের, হাক্কুল ইয়াকিন, ইন্তেশারাতে ইসলামিয়া।
  • মুহাম্মাদ রেই শাহরি, মুহাম্মাদ, ফারহাঙ্গ ন’মেয়ে মুবাহেলে (রাভিশি দার রুয়ারুয়ী ব’ দেগারান্দিশান), কোম, দারুল হাদিস, প্রথম সংস্করণ, ১৩৯৫ ফার্সি সন।
  • মুফিদ, মুহাম্মাদ ইবনে মুহাম্মাদ, আল-ইরশাদ, তাহকিক: মুআসসাসাতু আলিল বাইত (আ.) লি ইহিয়ায়িত তুরাস, কোম, আল-মু’তামারুল আলিমি লি আলফিয়্যাতিল শেইখ আল-মুফিদ, ১৪১৩ ফার্সি সন।
  • মুফিদ, মুহাম্মাদ ইবনে মুহাম্মাদ, আল-ফুসুলুল মুখতারাহ, তাহকিক: আল-সাইয়্যেদ মীর আলী শারীফী, বৈরুত: দারুল মুফিদ, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪১৪ হি.।