বারাআতের আয়াতের প্রচার
বারাআতের আয়াতের প্রচার (إبْلاغ آيات البَراءة) হচ্ছে নবম হিজরীর যিলহজ্জ মাসে মক্কায় মুশরিকদের সমাবেশে হযরত আলী (আ.) কর্তৃক সূরা তাওবার শুরুর আয়াত পাঠ করার ঘটনা। প্রাথমিকভাবে রাসূলুল্লাহ (সা.) এ দায়িত্ব আবু বকর ইবনে আবী কুহাফার উপর অর্পণ করেছিলেন; কিন্তু আল্লাহর নির্দেশে তিনি তা প্রত্যাহার করে হযরত আলী (আ.)-এর উপর অর্পণ করেন। এই ঘটনা যে হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, তা মুতাওয়াতির রূপে শিয়া ও আহলে সুন্নাত উভয় মাযহাবের সূত্রগুলোতে বিদ্যমান।
বিভিন্ন সূত্রসমূহে এই ঘটনাটি হযরত আলী (আ.)-এর ফজিলতসমূহের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হয়েছে। এছাড়াও, শিয়া ও সুন্নী উৎসে বর্ণিত রেওয়ায়েতসমূহের ভিত্তিতে, হযরত আলী (আ.) এই ঘটনাটিকে অন্যান্য সাহাবীর উপর তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব এবং খিলাফতের বিষয়ে তার অগ্রাধিকার প্রমাণ করতে যুক্তি হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
গুরুত্ব ও তাৎপর্য
নবম হিজরীতে মক্কার মুশরিকদের সমাবেশে হযরত আলী (আ.) কর্তৃক বারাআতের আয়াত পাঠ করার বিষয়টি তাঁর অন্যতম ফজিলত হিসেবে পরিগণিত হয়।[১] আল্লামা আমিনী ‘আল-গাদীর’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, এই ঘটনাটি শিয়া ও আহলে সুন্নতের বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।[২]
ঘটনার বিবরণ
বারাআতের আয়াতসমূহ নবম হিজরীর শেষভাগে নাযিল হয়[৩] এবং রাসূলুল্লাহ (সা.) ঐ বছরই যিলহজ্জ মাসে মক্কায় মুশরিকদের সমাবেশে এ আয়াতগুলো তাদের নিকট পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ প্রাপ্ত হন।[৪] শিয়া ও সুন্নী উভয়ের ঐতিহাসিক ও হাদীসভিত্তিক সূত্রসমূহে এ বাণী পৌঁছে দেয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে যে, যখন সূরা বারাআতের দশটি আয়াত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর উপর নাযিল হয়, তখন তিনি আবু বকর ইবনে আবী কুহাফা-কে ডাকেন এবং তাকে মক্কাবাসীর নিকট এ আয়াতগুলো পাঠ করার জন্য প্রেরণ করেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) হযরত আলী (আ.)-কে ডেকে তাঁকে নির্দেশ দেন যে, তিনি যেন আবু বকর-এর পিছু নেন এবং যেখানেই তাকে পাওয়া যায়, সেখানেই লেখাটি তার কাছ থেকে গ্রহণ করে মক্কাবাসীর নিকট নিয়ে যান এবং তাদেরকে তা শুনান। হযরত আলী (আ.) যুহফা নামক স্থানে আবু বকর-এর সাথে সাক্ষাৎ করে লেখাটি তার কাছ থেকে গ্রহণ করেন। আবু বকর, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিকট ফিরে এসে জিজ্ঞাসা করেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার ব্যাপারে কি কোন নির্দেশ নাযিল হয়েছে? তিনি (সা.) বললেন, না; বরং জিব্রাইল (আ.) আমার নিকট এসে বলেছেন যে, তোমার পক্ষ থেকে বাণী শুধুমাত্র তুমি অথবা তোমার পরিবারগণের মধ্যকার একজন ব্যতিত পৌঁছাবে না।[৫]
আল্লামা আমিনীর বর্ণনানুযায়ী, এ ঘটনাটি মুতাওয়াতির হিসেবে বিভিন্ন বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিত হয়েছে।[৬] অবশ্য এ সকল বর্ণনায় স্বল্পমাত্রার পার্থক্যও পরিলক্ষিত হয়; যেমন- রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রাথমিকভাবে আবু বকর ও উমর উভয়কে (শুধুমাত্র আবু বকরকে নয়) এই বার্তাটি দিয়েছিলেন, অতঃপর তাদের পিছু পিছু হযরত আলী (আ.)-কে প্রেরণ করেন;[৭] অথবা যে স্থানে হযরত আলী (আ.) আবু বকরের সাথে মিলিত হন, সেটি ছিল 'যুল হুলাইফা'।[৮]
বারাআতের আয়াত নাযিলের কারণ
মক্কা, যা কিনা নবী করীম (সা.)-এর বিরুদ্ধে শিরকের বৃহত্তম কেন্দ্রস্থল ছিল,[৯] অষ্টম হিজরীতে মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে মুসলমানদের করায়ত্ত হয়;[১০] তবুও কোন কোন গোত্র ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছিল।[১১] অবশেষে নবম হিজরীতে, যা 'সানাতুল উফুদ' (প্রতিনিধি প্রেরণের বর্ষ) নামে পরিচিত,[১২] বহু গোত্র নবী করীম (সা.)-এর নিকট প্রতিনিধিদল প্রেরণ করে, ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেয়।[১৩] ইসলামের পক্ষে রাজনৈতিক সমীকরণ পরিবর্তিত হওয়ার সাথে সাথে বারাআতের আয়াতসমূহ নাযিল হয়, যা শিরকের অস্তিত্বকে অগ্রহণযোগ্য ও অসহনীয় বলে ঘোষণা করে।[১৪] এছাড়াও এ আয়াতসমূহের অবতীর্ণ হওয়া প্রসঙ্গে বলা হয়েছে যে, মুশরিকরা হুদায়বিয়ার সন্ধিতে নবী করীম (সা.)-এর সাথে যে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিল– মুসলমানদের হজ্জের জন্য তিন দিন মক্কাকে খালি করে দেওয়া হবে[১৫] – তা ভঙ্গ করে এবং হজ্জের মৌসুমে নগ্ন অবস্থায় তাওয়াফ করত।[১৬] 'তাফসীরে নমুনা’-তে এ আয়াতসমূহের ব্যাখ্যায় মুশরিকদের দ্বারা চুক্তির অবিরত লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।[১৭]
রাসূল (সা.)-এর বার্তার বিষয়বস্তু
হযরত আলী (আ.) ঈদুল আযহার দিন দুপুরের পর মক্কায় পৌঁছান এবং নিজেকে রাসূল (সা.)-এর প্রেরিত দূত হিসেবে পরিচয় দিয়ে সূরা তাওবার প্রারম্ভের আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করেন। অতঃপর তিনি ঘোষণা করেন: “এরপর থেকে কোনো ব্যক্তি নগ্ন অবস্থায় তাওয়াফ করবে না এবং আগামী বছর কোনো মুশরিকের জিয়ারতে আসার অনুমতি নেই। আর যে সকল মুশরিক রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে, তার মেয়াদ চার মাস।”[১৮] তারিখে ইয়াকুবী গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত আলী (আ.) মক্কাবাসীদের কাছে আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করেন ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দান করেন। এরপর তিনি বলেন: “যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাথে চার মাসের চুক্তি করেছে, তিনি (সা.) সেই চুক্তিতে অটল আছেন। আর যার সাথে কোনো চুক্তি নেই, তাকে পঞ্চাশ রাতের সময় দিয়েছেন।”[১৯]
বর্ণিত হয়েছে যে, মুশরিকদের থেকে নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল তাদের চুক্তিভঙ্গের কারণে। কেননা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সূরা তাওবার প্রারম্ভিক আয়াতসমূহের পরবর্তীতে নির্দেশ দেন: “যেসব মুশরিক চুক্তিভঙ্গ করেনি, তাদের সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখুন।”[২০]
ইমাম আলী (আ.)-এর অন্যতম ফজিলত
বিশিষ্ট শিয়া পণ্ডিত তাবারসী রচিত ‘আল-ইহতিজাজ’[২১] এবং আহলে সুন্নতের বিশিষ্ট পণ্ডিত ইবনে মাগাযিলী রচিত ‘মানাকিবুল ইমাম আলী বিন আবি তালিব’[২২] গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত আলী (আ.) অন্যান্য সাহাবীর উপর তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ও খিলাফতের জন্য তাঁর অগ্রাধিকার প্রমাণে এই ঘটনার দ্বারা যুক্তি পেশ করেছেন।
এছাড়াও, বারাআতের আয়াত পৌঁছে দেয়ার ঘটনাটি শিয়া ও সুন্নী উভয়ের রচনা সামগ্রীতে হযরত আলী (আ.)-এর ফজিলতসমূহের অন্তর্ভুক্ত রূপে উল্লিখিত হয়েছে। এক্ষেত্রে শিয়া গ্রন্থসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: শেইখ মুফীদ (মৃত্যু: ৪১৩ হি.) রচিত ‘আল-ইরশাদ’,[২৩] আল্লামা হিল্লী’র (মৃত্যু: ৭২৬ হি.)কাশফুল ইয়াকীন,[২৪] এবং ইবনে শাহর আশুব (মৃত্যু: ৫৮৮ হি.) রচিত আল-মানাকিব।[২৫] আর সুন্নি সূত্রের মধ্যে ইবনে কাসীরের ‘আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া’[২৬], মুওয়াফফাক বিন আহমাদ খাওয়ারিজমী’র (মৃত্যু ৫৬৮ হি.) আল-মানাকিব[২৭] গ্রন্থদ্বয়ের নাম উল্লেখ করা যায়। আহলে সুন্নতের কিছু কিছু আলেম বলেছেন যে, এই ঘটনায় আবু বকরকে প্রত্যাহার এবং হযরত আলী (আ.)-কে প্রেরণ করার বিষয়টি তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ নয়; কারণ, এ প্রেরণের কারণ হলো, সে যুগে আরবদের মধ্যে এই রীতি প্রচলিত ছিল যে, চুক্তি বাতিল কেবল সেই চুক্তিকারী ব্যক্তি বা তার আত্মীয়-স্বজনরাই করতে পারতেন।[২৮] কিন্তু শিয়া আলেমগণের মতে, হযরত আলী (আ.)-এর এ দায়িত্ব প্রমাণ করে যে, তাঁর ও নবী করীম (সা.)-এর রিসালাত একই সূত্রে গাঁথা; কারণ, এ দায়িত্ব কেবল মুশরিকদের থেকে বিমুক্তি ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না- যা সকল মুমিনের কর্তব্য ও দায়িত্ব- বরং তা ছিল আল্লাহর নতুন বিধানের ঘোষণা ও পৌঁছে দেয়ার দায়িত্বও।[২৯]
তথ্যসূত্র
- ↑ উদাহরণস্বরূপ দেখুন: মুফীদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৬৫; খাওয়ারিজমী, আল-মানাকিব, ১৪১১ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৬৫।
- ↑ আমিনী, আল-গাদীর, ১৩৬৮, খণ্ড ৬, পৃ. ৩৩৮-৩৪১।
- ↑ তাবরাসী, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খণ্ড ৫, পৃ. ৩; ইবনে হিশাম, আস-সীরাত আন-নাবাবিয়্যা, দারুল মারিফা, খণ্ড ২, পৃ. ৫৪৫; আইয়াশী, তাফসীর আল-আইয়াশী, ১৩৮০ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৭৩।
- ↑ দানেশ নামেয়ে ইমাম আলী, ১৩৮০ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ২০৯; দেখুন: ইবনে কাসীর, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১৩৯৮, খণ্ড ৫, পৃ. ৩৬-৩৭।
- ↑ উদাহরণস্বরূপ দেখুন: ইবনে হাম্বাল, মুসনাদ, ১৪২১ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪২৭; ইবনে হাম্বাল, ফাযাইল আস-সাহাবা, ১৪০৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৭০৩, হাদীস নং ১২০৩; ইবনে আসাকির, তারিখ মাদিনাতি দিমাশ্ক, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৪২, পৃ. ৩৪৮, হাদীস নং ৮৯২৯; ইবনে সাদ, আত-তাবাকাতুল কুবরা, বৈরুত, খণ্ড ১, পৃ. ১৬৮; মুফীদ, আল-আমালী, কুম, পৃ. ৫৬।
- ↑ আমিনী, আল-গাদীর, ১৩৬৮, খণ্ড ৬, পৃ. ৩৩৮-৩৪১।
- ↑ দেখুন: হাকিম নিশাপুরী, আল-মুস্তাদরাক আলাস সহীহাইন, ১৪২০ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ১৬৫২, হাদীস নং ৪৩৭৪।
- ↑ ইবনে হাম্বাল, ফাযাইল আস-সাহাবা, ১৪০৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৫৬২, হাদীস নং ৯৪৬; ইবনে হাম্বাল, মুসনাদ, ১৪২১ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৪২৩, হাদীস নং ১৩২১৩।
- ↑ দানেশ নামেয়ে ইমাম আলী, ১৩৮০ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ২০৯।
- ↑ তাবারী, তারিখ আল-উমাম ওয়াল মুলুক, বৈরুত, খণ্ড ৩, পৃ. ৪২।
- ↑ দানেশ নামেয়ে ইমাম আলী, ১৩৮০ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ২০৯।
- ↑ আয়াতী, তারিখে পায়াম্বারে ইসলাম মুহাম্মাদ, ১৩৭৮, পৃ. ৫৩৭।
- ↑ আয়াতী, তারিখে পায়াম্বারে ইসলাম মুহাম্মাদ, ১৩৭৮, পৃ. ৫৩৭।
- ↑ দানেশ নামেয়ে ইমাম আলী, ১৩৮০ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ২০৯।
- ↑ ইয়াকুবী, তারিখ আল-ইয়াকুবী, দার সাদির, খণ্ড ২, পৃ. ৫৪।
- ↑ দেখুন ইবনে কাসীর, তাফসীর আল-কুরআন আল-আযীম, ১৪১৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৮৯-৯০।
- ↑ মাকারেম শিরাজী, তাফসীর নমুনা, ১৩৭১ ফার্সি সন, খণ্ড ৭, পৃ. ২৭২।
- ↑ আইয়াশী, তাফসীর আল-আইয়াশী, ১৩৮০ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৭৪; এছাড়াও দেখুন: ইবনে কাসীর, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১৩৯৮, খণ্ড ৫, পৃ. ৩৭।
- ↑ ইয়াকুবী, তারিখ আল-ইয়াকুবী, দার সাদির, খণ্ড ২, পৃ. ৭৬।
- ↑ তাবাতাবাঈ, আল-মীযান, ১৩৯০ হি., খণ্ড ৯, পৃ. ১৪৭।
- ↑ তাবরাসী, আল-ইহতিজাজ, নাশরুল মুরতাজা, খণ্ড ১, পৃ. ১৪৪।
- ↑ ইবনে মাগাযিলী, মানাকিব আমীর আল-মু'মিনীন, ১৪২৪ হি., পৃ. ১৭০।
- ↑ মুফীদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৬৫।
- ↑ হিল্লী, কাশফ আল-ইয়াকীন, ১৪১১ হি., পৃ. ১৭২।
- ↑ ইবনে শাহর আশুব, মানাকিব আলে আবি তালিব, ইন্তিশারাতে আল্লামা, খণ্ড ২, পৃ. ১২৬।
- ↑ ইবনে কাসীর, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১৩৯৮, খণ্ড ৭, পৃ. ৩৫৭।
- ↑ খাওয়ারিজমী, আল-মানাকিব, ১৪১১ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৬৫।
- ↑ ফাখর রাজী, আত-তাফসীর আল-কাবীর, ১৪১১ হি., খণ্ড ১৫, পৃ. ৫২৩; রশীদ রিদা, তাফসীর আল-মানার, ১৯৯০ খ্রি., খণ্ড ১০, পৃ. ১৩৯।
- ↑ দানেশ নামেয়ে ইমাম আলী, ১৩৮০ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ২১০। এছাড়াও দেখুন: তাবাতাবাঈ, আল-মীযান, ১৩৯০ হি., খণ্ড ৯, পৃ. ১৬৪-১৬৮।
গ্রন্থপঞ্জি
- আইতি, মুহাম্মাদ ইব্রাহিম, তারিখে পায়াম্বারে ইসলাম মুহাম্মাদ, ব-তাজদীদে নাযার ও ইযাফাত আবুল কাসেম গুরজী, ষষ্ঠ সংস্করণ, তেহরান, মুয়াসসেসেয়ে ইন্তিশারাত ও চাপে দানেশগাহে তেহরান, ১৩৭৮ ফার্সি সন।
- ইবনে হাম্বাল, আহমাদ, ফাযাইলুস সাহাবা, তাহকীক: ওয়াসীউল্লাহ মুহাম্মাদ আব্বাস, বৈরুত, মুয়াসিসাতুর রিসালা, ১৪০৩ হি./১৯৮৩ খ্রি.।
- ইবনে হাম্বাল, আহমাদ, মুসনাদ, তাহকীক: শুয়াইব আল-আরনাউত, আদিল মুরশিদ ও অন্যান্য, স্থান অজ্ঞাত, মুয়াসিসাতুর রিসালা, ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.।
- ইবনে সা'দ, মুহাম্মাদ ইবনে সা'দ, আত-তাবাকাতুল কুবরা, বৈরুত, দারু বৈরুত, বি-তা।
- ইবনে শাহর আশুব, মানাকিবে আলে আবি তালিব, তাসহিহ: হাশিম রাসুলী ও মুহাম্মাদ হুসাইন আশতিয়ানী, কুম, ইন্তিশারাতে আল্লামা, বি-তা।
- ইবনে আসাকির, আলী ইবনে হাসান, তারিখু মাদিনাতি দিমাশ্ক, তাহকীক: আলী শীরী, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪১৫ হি.।
- ইবনে কাসীর, ইসমাঈল ইবনে উমর, তাফসীরুল কুরআনিল আজীম, তাহকীক মুহাম্মাদ হুসাইন শামসুদ্দীন, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যা, ১৪১৯ হি.।
- ইবনে কাসীর, ইসমাঈল ইবনে কাসীর, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, আমাদেহ সাজী: খলীল শেহাদা, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৩৯৮ হি.।
- ইবনে মাগাযিলী, আলী ইবনে মুহাম্মাদ, মানাকিবু আমীরিল মু'মিনীন আলী ইবনে আবি তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু, তাহকীক: আবু আবদুর রহমান তুরকী ইবনে আবদুল্লাহ আল-ওয়াদাই, সানা, দারুল আছার, চাপে আওয়াল, ১৪২৪ হি.।
- ইবনে হিশাম, আবদুল মালিক ইবনে হিশাম, আস-সীরাতুন নববিয়্যা, তাসহিহ: ইবরাহীম আবিয়ারী, মুস্তফা সাকা, আবদুল হাফিয শিবলী, বৈরুত, দারুল মারিফা, বি-তা।
- আমীনী, আবদুল হুসাইন, আল-গাদীর ফিল কিতাব ওয়াস সুন্নাহ ওয়াল আদাব, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়্যা, ১৩৬৮ ফার্সি সন।
- হাকিম নিশাপুরী, মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ, আল-মুস্তাদরাক আলাস সহীহাইন, বৈরুত, আল-মাকতাবাতুল আসরিয়্যা, ১৪২০ হি.।
- হিল্লী, হাসান ইবনে ইউসুফ, কাশফুল ইয়াকীন ফি ফাদাইলি আমীরিল মু'মিনীন, তেহরান, ওযারাতে ফারহাং ও ইরশাদে ইসলামী, ১৪১১ হি.।
- খাওয়ারিজমী, মুওয়াফফাক ইবনে আহমাদ, আল-মানাকিব, তাহকীক: শেখ মালেক আল-মাহমুদী, বি-জা, মুয়াসিসাতুন নাশরিল ইসলামী, ১৪১১ হি.।
- দানিশনামায়ে ইমাম আলী (আ.), জিরে নযর আলী আকবর রাশাদ, তেহরান, মারকাযে নাশরে আসারে পেঝুহেশগাহে ফারহাঙ্গ ও আন্দিশেহে ইসলামী, চাপে আওয়াল, ১৩৮০ ফার্সি সন।
- রশীদ রিদা, মুহাম্মাদ, তাফসীরুল মানার, কাহিরা, আল-হাইয়্যাতুল মিসরিয়্যাতুল আম্মাহ লিল কিতাব, ১৯৯০ খ্রি.।
- সুয়ূতী, আবদুর রহমান ইবনে আবি বকর, আদ-দুররুল মানসুর ফিত তাফসীর বিল মা'ছুর, কুম, কিতাবখানায়ে উমুমী হাযরতে আয়াতুল্লাহিল উযমা মার'আশী নাজাফী (রহ.), চাপে আওয়াল, ১৪০৪ হি.।
- তাবাতাবাঈ, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হুসাইন, আল-মীযান ফি তাফসীরিল কুরআন, বৈরুত, মুয়াসিসাতুল আ'লামী লিল মাতবুআত, চাপে ২, ১৩৯০ হি.।
- তাবরাসী, আহমাদ ইবনে আলী, আল-ইহতিজাজ, তাসহিহ: মুহাম্মাদ বাকির মূসাভী খুরসান, মাশহাদ, নাশরুল মুরতাজা, বি-তা।
- তাবরাসী, ফাযল ইবনে হাসান, মাজমাউল বয়ান ফি তাফসীরিল কুরআন, তাসহিহ: ফাযলুল্লাহ ইয়াযদী তাবাতাবাঈ ও হাশিম রাসুলী, তেহরান, নাসিরে খুসরু, চাপে সেভোম, ১৩৭২ ফার্সি সন।
- তাবারী, মুহাম্মাদ ইবনে জরীর, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, তাহকীক: মুহাম্মাদ আবুল ফাযল ইবরাহীম, বৈরুত: বি-না, বি-তা।
- আইয়াশী, মুহাম্মাদ ইবনে মাসউদ, তাফসীরুল আইয়াশী, তাহকীক: হাশিম রাসুলী, তেহরান, মাকতাবাতুল ইলমিয়্যাতিল ইসলামিয়্যা, চাপে আওয়াল, ১৩৮০ হি.।
- ফখর রাজী, মুহাম্মাদ ইবনে উমার, আত-তাফসীরুল কাবীর, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যা, ১৪১১ হি.।
- মুফীদ, মুহাম্মাদ ইবনে মুহাম্মাদ, আল-আমালী, তাহকীক: হুসাইন উস্তাদ ওয়ালী, আলী আকবর গাফফারী, কুম: মানশুরাতে জামাআতুল মুদাররিসীন ফিল হাওযাতিল ইলমিয়্যা, বি-তা।
- মুফীদ, মুহাম্মাদ ইবনে মুহাম্মাদ, আল-ইরশাদ ফি মারিফাতে হুজ্জাজিল্লাহ আলাল ইবাদ, তাহকীক ও তাসহিহ: মুয়াসিসাতে আলে বাইত আলাইহিমুস সালাম, কুম, কংগ্রেহে শেখ মুফীদ, চাপে আওয়াল, ১৪১৩ হি.।
- মাকারেম শিরাজী, নাসির, তাফসীরে নমুনা, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়্যা, ১৩৭১ ফার্সি সন।
- ইয়াকুবী, আহমাদ ইবনে ইসহাক, তারিখুল ইয়াকুবী, বৈরুত, দারে সাদের, বি-তা।