হাদীসে তাইর-এ মাশভি
ভাজা পাখির হাদীস (আরবি: حدیث الطیر المشوی); হযরত আলীর (আ.) শানে বর্ণিত একটি হাদীস। বর্ণিত হয়েছে যে, মহানবি (স.) একটি ভাজা পাখির মাংস খাওয়ার সময় মহান আল্লাহর দরবারে আবেদন জানালেন যেন তিনি ঐ পাখিটি আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় সৃষ্টির সাথে বসে তা খেতে পারেন। কিছুক্ষণ পার না হতেই ইমাম আলী (আ.) এলেন এবং তাঁর (স.) সাথে বসে সেই পাখির গোশত খেলেন। এই রেওয়ায়েতটি শিয়া এবং আহলে সুন্নতের বিভিন্ন গ্রন্থে এসেছে। নব্বই জন রাবী মালিক ইবনে আনাস হতে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
কিছু কিছু শিয়া কালামশাস্ত্রবিদ এই রেওয়ায়েতকে প্রমাণ হিসেবে নিয়ে (মহানবির (স.) পর) ইমাম আলীকে (আ.) আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় বান্দা হিসেবে জ্ঞান করে থাকেন। আর এর থেকে তারা এ ফলাফলে পৌঁছেছেন যে, তিনিই মহানবির (স.) স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্য সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি।
মূল হাদীস
إنَّ النَّبِی(ص) کانَ عِندَهُ طائِرٌ، فَقالَ: اللَّهُمَ ائتِنی بِأَحَبِّ خَلقِک إلَیک؛ یأکلُ مَعی مِن هذَا الطَّیرِ. فَجاءَ أبو بَکرٍ، فَرَدَّهُ، ثُمَّ جاءَ عُمَرُ، فَرَدَّهُ، ثُمَّ جاءَ عَلِی، فَأَذِنَ لَهُ.
‘মহানবির (স.) জন্য একটি (ভাজা) পাখি আনা হলে তিনি (স.) বললেন: হে আল্লাহ্! তোমার সবচেয়ে প্রিয় সৃষ্টিকে আমার নিকট পাঠিয়ে দাও যাতে তার সাথে এ পাখির গোশত খেতে পারি। এরপর আবু বকর এলেন কিন্তু মহানবি (স.) তাকে গ্রহণ করলেন না, অতঃপর উমর এলেন তিনি (স.) তাকেও গ্রহণ করলেন না, অতঃপর আলী এলেন এবং তিনি (স.) তাকে অনুমতি প্রদান করলেন।[১]
হাদীসটি শিয়া সূত্রে সামান্য পার্থক্যে বর্ণিত হয়েছে।[২]
বিষয়বস্তু
তাইরে মাশভি হাদীসের সাক্ষ্যানুযায়ী মহানবির (স.) পর ইমাম আলী (আ.) আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় সৃষ্টি।[৩] হাদীসটিতে এসেছে যে, একটি ভাজা পাখি মহানবির (স.) কাছে আনা হলে তিনি মহান আল্লাহর দরবারে আকুতি জানালেন যেন আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় বান্দা তাঁর সাথে ঐ পাখির গোশত খান। এমন সময় আলী (আ.) এলেন এবং তাঁর (স.) সাথে ঐ পাখির গোশত খেলেন।[৪] হযরত আলীর (আ.) আগে আবুবকর এবং উমরও এসেছিলেন, কিন্তু আল্লাহর রাসূল (স.) তাদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।[৫] কিছু কিছু বর্ণনায় এসেছে যে, মহানবির (স.) দোয়ার পর আয়েশা ও হাফসা উভয়েই দোয়া করেছিলেন যেন তাদের পিতা রাসূলের (স.) সাথে ঐ পাখির গোশত খেতে পারেন।[৬] এছাড়া, আনাস ইবনে মালিক থেকে বর্ণনা করেছেন যে, আমি পছন্দ করতাম ঐ ব্যক্তি সাআদ ইবনে উবাদাহ হোক; এ কারণে যখন আলী মহানবির (স.) দরজায় এলেন আমি তাকে গ্রহণ করলাম না, কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে আলী আবারও এলেন এবং মহানবির (স.) সাথে ঐ পাখির গোশত খেলেন।[৭] ভাজা পাখিটির বিশেষ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হওয়া এবং কিছু কিছু বর্ণনার ভিত্তিতে মহানবির (স.) ((و سالتُ اللهَ الـقـریـب المُجیب))-এ দোয়ার পর জীবরাইল (আ.) বেহেশত থেকে ঐ পাখি এনেছিলেন ((فهبط عَلَىّ حبیبى جبرئیل (ع ) و معه هذا الطیر)) এবং মহানবির (স.) দোয়া ও আলীর (আ.) সাথে ঐ পাখির গোশত খাওয়ার বিষয়ে তাঁর (স.) পীড়াপীড়ি ((فرفعت یدى الى السماء فقلت : اللهم یَسّر عبداً یُحبّک و یُحبنى یاکل معى هذا الطائر))[৮] সবকিছুই মহানবির (স.) নিকট হযরত আলীর (আ.) বিশেষ স্থান ও মাকামের অধিকারী হওয়ার বিষয়টিকে প্রমাণ করে।[সূত্র প্রয়োজন]
হাদীসের মূল্যায়ন
হাদীসে তাইর’কে শিয়া আলেমগণ মুতাওয়াতির জ্ঞান করেছেন।[৯] এছাড়া, আহলে সুন্নাতের মুহাদ্দিসদের একটি দল হাদীসটি সহিহ হওয়ার পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন।[১০]
হাদীসটি বেশ কয়েকজন সাহাবা মারফত সামান্য পার্থক্যে বর্ণিত হয়েছে। এদের মাঝে রাসূলের (স.) খাদেম ‘সাফিনাহ’,[১১] আনাস ইবনে মালিক থেকে, সোদা কাবির[১২] আনাস ইবনে মালিক থেকে, ইয়াহিয়া ইবনে কাসীর[১৩] আনাস ইবনে মালিক থেকে, উসমান ইবনে তাউইল[১৪] আনাস ইবনে মালিক থেকে, আব্দুল্লাহ্ ইবনে আনাস ইবনে মালিক তার পিতা থেকে[১৫] এবং আলী ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস তার পিতা থেকে[১৬] বর্ণনা করেছেন।
বিশিষ্ট সুন্নি আলেম ইবনে কাসীর দামেশকী’র মতে, শুধুমাত্র আনাস ইবনে মালিক থেকে ৯০ জন হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।[১৭] এতদসত্ত্বেও ইবনে কাসীর বলেছেন: হাদীসটির রাভির সংখ্যা অনেক হলেও আমার মন হাদীসটি গ্রহণে সাঁয় দেয় না।[১৮] ইবনে কাসীরের জবাবে আল্লামা আমিনী, তার (ইবনে কাসীর) অন্তরে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মোহর মেরে দেওয়া হয়েছে এ কথা উল্লেখ করে বলেছেন: উল্লিখিত সূত্রের সংখ্যাধিক্য থাকার পরও ‘হাদীসে তাইর’কে অস্বীকার করার কোন অর্থ হয় না।[১৯]
ইবনে শাহরে আশুবের বর্ণনানুযায়ী, হিজরী দ্বিতীয় শতাব্দির বিশিষ্ট কবি সাইয়্যেদ ইসমাঈল হিমইয়ারি (মৃত্যু ১৭৯ হি.) হাদীসে তাইরের ঘটনাটি পংতিতে আবদ্ধ করেছেন।
نُبِّئتُ اَنَّ اَبانا كان عن اَنَس يَروی حديثاً عجيباً مُعجِباً عَجَباً
فی طائرٍ جاء مَشويّاً بِه بَشَرٌ يوماً و كان رسولُ الله مُحتَجِباً
ادناه منه فلما ان رآه دعا ربا قریبا لاهل الخیر منتجبا
ادخل الی احبّ الخلق کلهم طرا الیک فاعطاه الذی طلبا
আমি খবর পেয়েছি যে, আমার পিতা আনাস থেকে আশ্চর্যজনক এক হাদীস বর্ণনা করেছেন,
একদিন জনৈক ব্যক্তি একটি ভাজা পাখি আনা প্রসঙ্গে এবং আল্লাহর রাসূল তার গৃহেই জনগণ থেকে দূরে ছিলেন।
পাখিটি যখন তার কাছে আনা হলো, যখন তাঁর দৃষ্টি তাতে পড়লো তখন তিনি সকলের নিকটবর্তী ও সৎকর্মশীলদের নির্বাচনকারী প্রভুর প্রতি আহবান জানালেন এবং বললেন:
তোমার নিকট সবচেয়ে প্রিয় সৃষ্টিকে আমার কাছে পাঠিয়ে দাও, আর তিনি যা চাইলেন আল্লাহ্ তাকে তা দিলেন।
কালাম শাস্ত্রে হাদীসের ব্যবহার
হাদীসে তাইরে মাশভি, ইমাম আলীর (আ.) ফজিলত হিসেবে গণনা করা হয়।[২০] ইমামত ও খেলাফতের ক্ষেত্রে ইমাম আলীর (আ.) শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে শিয়া মুতাকাল্লিমগণ এ হাদীসটিকে দলিল হিসেবে এনেছেন।[২১]
হাদীসটিতে মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হওয়া প্রসঙ্গে তাগিদ প্রদান করে শেইখ মুফিদ ইমাম আলীকে (আ.) (মহানবির (স.) পর) সবার চেয়ে শ্রেষ্ঠ আখ্যায়িত করেছেন। কেননা তার বিশ্বাস মহান আল্লাহর ভালোবাসা সত্যকে কেন্দ্র করেই, নফসের চাওয়ার ভিত্তিতে নয়। এ কারণে আলী (আ.) সবচেয়ে প্রিয় এবং সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টির মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, তিনি ইমাম; কারণ নবুয়্যত ও খেলাফাতে আম-এর ক্ষেত্রে মাফযুলকে ফাযেলের উপর অগ্রাধিকার প্রদান বৈধ নয়।[২২] সাইয়্যেদ মুর্তাযা তার আল-ফুসুলুল মুখতারাহ গ্রন্থে শেইখ মুফিদের মন্তব্য বর্ণনা করে লিখেছেন, মহান আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় সৃষ্টি, অপর সকল সৃষ্টি অপেক্ষা অধিক সওয়াবের অধিকারী। আর নিঃসন্দেহে এমন ব্যক্তির আমল ও ইবাদত অপর সকল সৃষ্টি অপেক্ষা শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী। আর মহানবি (স.) ব্যতীত সকল জনগণের উপর ইমাম আলীর (আ.) শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের এটাই দলীল।[২৩]
সংশ্লিষ্ট গ্রন্থাদি
সুন্নি মনীষী ইবনে কাসীর দামেশকি’র ভাষায়, হাদিসে তাইর সম্পর্কে স্বতন্ত্র বিভিন্ন গ্রন্থ রচিত হয়েছে: আবু বাকর ইবনে মারদুভিয়্যাহ, মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ ইবনে হামদান ও মুহাম্মাদ ইবনে জারির তাবারি এ বিষয়ে স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচনা করেছেন। সুন্নি কালাম শাস্ত্রবিদ আবু বকর বাকলানী বিষয়টি প্রত্যাখ্যানে গ্রন্থ রচনা করেছেন।[২৪] এছাড়া, মীর হামেদ হুসাইন তার আবাকাতুল আনওয়ার গ্রন্থের ১৩তম খণ্ডটি এ হাদীস সংশ্লিষ্ট এবং সুন্নি সূত্রে বর্ণিত হাদীসটির রাভীদের নাম উল্লেখ ও পর্যালোচনা করেছেন।[২৫] ১৩০৬ হিজরীতে লাখনৌ থেকে প্রকাশিত গ্রন্থটির ৭৩৬নং পৃষ্ঠায় হাদীসটির উপরোক্ত আলোচনা বিদ্যমান রয়েছে।[২৬]
তথ্যসূত্র
- ↑ নাসাঈ, খাসায়েসে আমীরুল মু’মিনীন, ১৪০৬ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৯, হা. ১০; তামিমি মৌসুলী, মুসনাদু আবি ইয়ালি, ১৪০৪ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ১০৫।
- ↑ সাদুক, আল-আমালি, ১৩৭৬ ফার্সি সন, পৃ. ৬৫৫; ইবনে উকদা কুফি, ফাদ্বায়েলে আমীরুল মু’মিনীন (আ.), ১৪২৪ হি., পৃ. ৭৩ ও ৭৪; তুসি, আল-আমালি, ১৪১৪ হি., পৃ. ২৫৩ ও ৫৫৮।
- ↑ মুফিদ, আল-আফসাহ, ১৪১২ হি., পৃ. ৩৩; গাঞ্জি শাফেয়ী, কিফায়াতুত তালিব, ১৪০৪ হি., পৃ. ১৫১।
- ↑ তামিমি মৌসুলী, মুসনাদু আবি ইয়ালা, ১৪০৪ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ১০৫।
- ↑ তামিমি মৌসুলী, মুসনাদু আবি ইয়ালা, ১৪০৪ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ১০৫।
- ↑ ইবনে কাসীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ১৪১০ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৩৫৩।
- ↑ ইবনে কাসীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ১৪১০ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৩৫৩।
- ↑ তাবারসি, আল-ইহতিজাজ, পৃ. ১৯৭; মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৩৮, পৃ. ৩৪৮।
- ↑ মীর হামিদ হুসাইন, আবাকাতুল আনওয়ার, ১৩৬৬ ফার্সি সন, খণ্ড ১৩, প্রথম অংশ, পৃ. ১০৭-১১০, ১১৫, খণ্ড ১৩, দ্বিতীয় অংশ, পৃ. ৫৬।
- ↑ হাসানি মাগরেবি, ফাতহুল মুলক আল-আলী, ১৪০৩ হি., পৃ. ২০।
- ↑ তাবারানি, আল-মু’জামুল কাবির, ১৪০৪ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৮২, হা. ৬৪৩৭।
- ↑ তামিমি মৌসুলী, মুসনাদু আবি ইয়ালা, ১৪০৪ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ১০৫; নাসাঈ, খাসায়েসে আমীরুল মু’মিনীন, ১৪০৬ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৯, হা. ১০।
- ↑ তাবারানি, আল-মু’জামুল আউসাত, ১৪১৫ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২০৭।
- ↑ বুখারি, আল-তারিখুল কাবির, দারুল ফিকর, খণ্ড ৬, পৃ. ২৫৮।
- ↑ ইবনে কাসীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ১৪১০ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৩৫১; ইবনে হাজার আসকালানি, আল-মাতালিবুল আলিয়্যাহ, ১৪১৯ হি., খণ্ড ১৬, পৃ. ১০৮।
- ↑ যাহাবি, মিযানুল ই’তিদাল, ১৯৯৫ খ্রি., খণ্ড ৩, পৃ. ২৩২।
- ↑ ইবনে কাসীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ১৪১০ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৩৫৩।
- ↑ ইবনে কাসীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ১৪১০ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৩৫৩।
- ↑ আমিনী, আল-গাদীর, ১৩৮৮ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ৩০৮-৩০৯।
- ↑ সাইয়্যেদ মুর্তাযা, আল-ফুসুলুল মুখতারাহ, ১৪১৪ হি., পৃ. ৯৬।
- ↑ দ্র: মুফিদ, আল-আফসাহ, ১৪১২ হি., পৃ. ৩৩; সাইয়্যেদ মুর্তাযা, আল-ফুসুলুল মুখতারাহ, ১৪১৪ হি., পৃ. ৯৬।
- ↑ মুফিদ, আল-আফসাহ, ১৪১২ হি., পৃ. ৩৩।
- ↑ সাইয়্যেদ মুর্তাযা, আল-ফুসুলুল মুখতারাহ, ১৪১৪ হি., পৃ. ৯৬।
- ↑ ইবনে কাসীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ১৪১০ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৩৫৩।
- ↑ দ্র: মীর হামিদ হুসাইন, আবাকাতুল আনওয়ার, ১৩৬৬ ফার্সি সন, খণ্ড ১৩।
- ↑ «عبقات الانوار فی امامة الائمة الاطهار علیهمالسلام», বুনিয়াদে ফারহাঙ্গি ইমামত।
গ্রন্থপঞ্জি
- ইবনে হাজার আসকালানি, আহমাদ বিন আলী, আল-মাতালিবুল আলিয়াতু বি যাওয়ায়েদিল মাসানিদিস সামানিয়্যাহ, সা’দ বিন নাসির, রিয়াদ্ব, দারুল আছিমাতু ওয়া দারুল গাইস, ১৪৯৯ হি./১৯৯৮ খ্রি.।
- ইবনে শাহরে আশুব, মুহাম্মাদ বিন আলী, মানাকেবে আলে আবি তালিব, কোম, আল্লামা, ১৩৭৯ হি.।
- ইবনে উকদা কুফি, আহমাদ বিন মুহাম্মাদ ফাযায়েলে আমিরুল মু’মিনীন (আ.), তাহকিক: হারিযুদ্দিন আব্দুর রাজ্জাক মুহাম্মাদ হুসােইন, কোম, দালিলে মা, প্রথম সংস্করণ, ১৪২৪ হি.।
- ইবনে কাসীর দামেস্কি, ইসমাঈল বিন উমর, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪০৭ হি./১৯৮৬ খ্রি.।
- আমিনী, আব্দুল হুসাইন, মওসুয়াতুল গাদীর ফিল কিতাব ওয়াল সুন্নাহ ওয়াল আদাব, তাহকিক: মারকাযুল গাদীর লিদ দিরাসাতিল ইসলামিয়্যাহ, মাহমুদ হাশেমি শাহরুদী’র তত্ত্বাবধানে, কোম, মুআসসেসেয়ে দায়েরাতুল মাআরেফ ফিকহে ইসলামী, ১৩৮৮ ফার্সি সন/১৪৩০ হি./২০০৯ খ্রি.।
- বুখারি, মুহাম্মাদ বিন ইসমাঈল, আল-তারিখুল কাবির, তাহকিক: সাইয়্যেদ হাশেম নাদভি, দারুল ফিকর, তারিখ অজ্ঞাত।
- তামিমি মৌসুলী, আহমাদ বিন আলী, মুসনাদে আবি ইয়া’লা, তাহকিক: হুসাইন সেলিম আসাদ, দামেস্ক, দারুল মা’মুন লিত তুরাস, ১৪০৪ হি.।
- হাসানি মাগরেবি, আহমাদ বিন মুহাম্মাদ, ফাতহুল মুলকু আল-আলী বি সিহহাতি হাদীস বাবু মাদীনাতুল ইলম আলী, তাহকিক: মুহাম্মাদ হাদি আমিনী, তেহরান, মাক্তাবাতুল ইমাম আমীরুল মু’মিনীন আলী, তৃতীয় সংস্করণ, ১৪০৩ হি.।
- যাহাবি, মুহাম্মাদ বিন আহমাদ, মিযানুল ই’তিদাল, তাহকিক: শেইখ আলী মুহাম্মাদ মাউদ্ব ওয়া শেইখ আদিল আহমাদ আব্দুল মউজুদ, বৈরুত, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, ১৯৯৫ খ্রি.।
- সাইয়্যেদ মুর্তাযা, আলী বিন হুসাইন, আল-ফুসুলুল মুখতারাহ, তাহকিক: সাইয়্যেদ আলী মীর শারীফী, বৈরুত, দারুল মুফিদ, ১৪১৪ হি.।
- শেইখ মুফিদ, মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ, আল-আফসাহু ফি ইমামাতি আমীরিল মু’মিনীন, কোম, মুআসসাসাতুল বে’সাহ, ১৪১২ হি.।
- সাদুক, মুহাম্মাদ বিন আলী বিন বাবওয়াইহ, আল-আমালি, তেহরান, কিতাবচি, ষষ্ঠ সংস্করণ, ১৩৭৬ ফার্সি সন।
- তাবারানি, সুলাইমান বিন আহমাদ, আল-মু’জামুল আওসাত, তাহকিক: তারিক বিন আওয়াদ্বুল্লাহ ওয়া আব্দুল মুহসিন বিন ইব্রাহিম আল-হুসাইনি, আল-কায়রো, দারুল হারামাইন, ১৪১৫ হি.।
- তাবারানি, সুলাইমান বিন আহমাদ, আল-মু’জামুল কাবির, তাহকিক: হামদি বিন আব্দুল মাজিদ আল-সালফি, আল-মাউসিল, মাক্তাবাতুয যাহরা, ১৪০৪ হি.।
- তুসি, মুহাম্মাদ বিন হাসান, আল-আমালি, কোম, দারুস সাকাফাহ, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৪ হি.।
- «عبقات الانوار فی امامة الائمة الاطهار علیهمالسلام», বুনিয়াদে ফারহাঙ্গি ইমামত, আপলোডের তারিখ: ১৩৯৪ ফার্সি সনের ৬ দেই, দেখার তারিখ: ১৩৯৮ ফার্সি সনের ১১ অবান।
- গাঞ্জি আল-শাফেয়ী, মুহাম্মাদ বিন ইউসুফ, কিফায়াতুত তালিব ফি মানাকিবি আলী ইবনে আবি তালিব, তাসহিহ মুহাম্মাদ হাদি আমিনী, তেহরান, দারু ইহিয়ায়িত তুরাস আহলুল বাইত (আ.), ১৪০৪ হি.।
- নাসাঈ, আহমাদ বিন শুয়াইব, খাসায়েসে আমীরুল মু’মিনীন আলী ইবনে আবি তালিব, তাহকিক:মিরিন আল-বালুশি, কুয়েত, মাক্তাবাতুল মুয়াল্লা, ১৪০৬ হি.।
- মীর হামিদ হুসাইন, আবাকাতুল আনওয়ার ফি ইসবাতি ইমামাতিল আয়িম্মাতিল আতহার, ইস্ফাহান, কিতাব খানেয়ে আমীরুল মু’মিনীন, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৩৬৬ ফার্সি সন।