খসড়া:শিয়া ফেরকা
শিয়া ফেরকা (আরবি:فرق الشيعة) হচ্ছে শিয়াদের বিভিন্ন শাখা বা উপদল, যারা সকলেই মহানবী (স.)-এর পর, আলী ইবনে আবী তালিবের (আ.) ইমামতের প্রতি বিশ্বাসী; কিন্তু নিষ্পাপ ইমামগণের সংখ্যা ও অন্যান্য কিছু আকীদা-বিশ্বাসের ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে মতপার্থক্য বিদ্যমান। বর্তমানে ইমামিয়া, যায়দিয়া ও ইসমাঈলিয়া হচ্ছে শিয়া সম্প্রদায়ের প্রধান তিনটি ফেরকা। কিছু সূত্রে কিসানিয়া, ফাতহিয়া, ওয়াকেফিয়া, নাওওসিয়া এবং গুলুকারী (অতিরঞ্জিতকারী) দলগুলোকেও শিয়া ফেরকার অন্তর্ভুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যদিও এগুলোর কোনটিই এখন আর অবশিষ্ট নেই। জানেশীন ও ইমাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে মতবিরোধ, গুলু বা অতিরঞ্জিত আকীদার অনুপ্রবেশ এবং প্রতিশ্রুত ইমাম মাহ্দীর স্বরূপ চিহ্নিত করতে ভুল করা—এই বিষয়গুলোকে শিয়াদের মধ্যে বিভিন্ন ফেরক-উপফেরকা উদ্ভবের মূল কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অনুসারীদের সংখ্যার দিক থেকে ইমামিয়া ফেরকাকেই শিয়াদের মধ্যে সর্ববৃহৎ ফেরকা হিসেবে গণ্য করা হয়। ইরান, ইরাক, পাকিস্তান ও লেবাননে এই ফেরকার অনুসারীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। শিয়া ফেরকাসমূহের পরিচয় তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন সময়ে বহু গ্রন্থ রচিত হয়েছে। এ বিষয়ে রচিত প্রাচীনতম গ্রন্থগুলোর মধ্যে হাসান ইবনে মূসা নৌবাখতি রচিত ‘ফিরাকুশ শিয়া’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
গুরুত্ব ও তাৎপর্য
শিয়া ফেরকাসমূহ বলতে ইসলামের দুটি প্রধান মাযহাবের অন্যতম শিয়া মাযহাবের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখাকে বোঝায়, যারা সকলে ইমাম আলী (আ.)-এর ইমামতের প্রতি বিশ্বাসের ক্ষেত্রে ঐকমত্য পোষণ করেন।[১] হিজরী সালের প্রথম শতকগুলো থেকেই শিয়া ফেরকাসমূহের আলোচনা প্রসঙ্গটি উত্থাপিত হয়েছিল; তৃতীয় ও চতুর্থ হিজরি শতাব্দীতে রচিত হাসান ইবনে মূসা নৌবাখতির ‘ফিরাকুশ শিয়া’ গ্রন্থটি এই বিষয়ের ওপরই রচিত হয়েছে। বর্তমানকালেও (হিজরি পঞ্চদশ শতাব্দী) কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শিয়া ফেরকা’ নামে স্বতন্ত্র বিভাগ চালু করা হয়েছে।[২]
প্রথম বিভক্তিসমূহ
সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হুসাইন তাবাতাবাঈ ‘শিয়া দার ইসলাম’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, ইমাম হুসাইন (আ.)-এর শাহাদাতের (৬১ হিজরি) পরই শিয়া মাযহাবে প্রথম বিভক্তির সূচনা ঘটে; ফলে শিয়াদের অধিকাংশ ইমাম সাজ্জাদ (আ.)-এর ইমামত মেনে নেন, অন্যদিকে তাদের মধ্যে অল্পসংখ্যক, যারা ‘কিসানিয়া’ নামে পরিচিত, ইমাম আলী (আ.)-এর অপর পুত্র মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়াকে ইমাম হিসেবে স্বীকার করে।[৩] তিনি আরও মত পোষণ করেন যে, ইমাম রেযা (আ.)-এর যুগ থেকে ইমাম মাহদী (আ.)-এর সময় পর্যন্ত কোনো উল্লেখযোগ্য বিভক্তি ঘটেনি এবং বিভক্তির রূপে কোনো ঘটনা সংঘটিত হলেও তা কয়েক দিনের বেশি স্থায়ী হয়নি ও নিজে নিজেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।[৪] অবশ্য কারও কারও মতে, উসমানের খিলাফতের শেষভাগ ও ইমাম আলী (আ.)-এর খিলাফতের শুরুতে ‘সাবাঈয়া’ নামক প্রথম দলটি আব্দুল্লাহ ইবনে সাবার নেতৃত্বে শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যেই আত্মপ্রকাশ করে।[৫]
ফেরকাসমূহের সংখ্যা
শিয়া ফেরকাসমূহের সংখ্যা সম্পর্কে বিভিন্ন মতবাদ পরিলক্ষিত হয়। ‘ফারহাঙ্গে শিয়া’ নামক গ্রন্থে শিয়া ফেরকাসমূহের সংখ্যা একশত পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে সর্বাধিক পরিচিত হলো: ইমামিয়া, কিসানিয়া, যায়দিয়া, ইসমাঈলিয়া, ফাতাহিয়া ও গুলাত (অতিরঞ্জিতকারী)।[৬] হিজরি চতুর্থ শতাব্দীর শাফেঈ ফকীহ আবুল হাসান মালতী ‘আত-তানবীহ ওয়ার রাদ্দ আলা আহলিল হাওয়া ওয়াল বিদা’ নামক গ্রন্থে শিয়া ফেরকাসমূহের সংখ্যা আঠারোটি বলে উল্লেখ করেছেন।[৭] শাফেঈ ফকীহ ও মুতাকাল্লিম আব্দুল কাহির বাগদাদী (মৃত্যু: ৪২৯ হিজরি) ‘আল-ফারক বাইনাল ফিরাক’ গ্রন্থে মূল শিয়া ফেরকা হিসেবে ইমামিয়া, কিসানিয়া ও যায়দিয়া—এই তিন ফেরকার নাম উল্লেখ করেছেন।[৮] শাহরেস্তানী (মৃত্যু: ৫৪৮ হিজরি) ‘আল-মিলাল ওয়ান নিহাল’ গ্রন্থে ইমামিয়া, যায়দিয়া, কিসানিয়া, ইসমাঈলিয়া ও গুলাত—এই পাঁচটি ফেরকায় বিভক্ত করেছেন।[৯] এছাড়াও তাবাতাবাঈ (মৃত্যু: ১৪০২ হিজরি) ‘শিয়া দার ইসলাম’ গ্রন্থে ইমামিয়া, ইসমাঈলিয়া ও যায়দিয়া—এই তিন ফেরকাকে শিয়াদের প্রধান ফেরকা হিসেবে পরিচয় করিয়েছেন।[১০]
উদ্ভবের কারণসমূহ
শিয়া মাযহাবে বিভিন্ন ফেরকার উদ্ভব হওয়ার পেছনে বহুবিধ কারণ কার্যকর ছিল, যার মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কারণসমূহ নিম্নরূপ:
- ইমামত: রাসূল জাফরিয়ানের ভাষ্যমতে, ইমামতের প্রশ্ন এবং খলিফা নির্ধারণ ও ইমাম নির্বাচন নিয়ে মতবিরোধ শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভিন্ন ফেরকার উদ্ভবের প্রাথমিক কারণ ছিল।[১১] উদাহরণস্বরূপ, শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত ‘কিসানিয়া’ ফেরকার লোকেরা ইমাম আলী (আ.)-এর শাহাদাতের পর বিশ্বাস করত যে, তাঁর পরবর্তী ইমাম, হযরত হাসান মুজতাবা (আ.) নন, বরং মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়া।[১২]
গুলু মতবাদের অনুপ্রবেশ: ইমাম আলী (আ.) এবং অন্যান্য মাসুম ইমামগণের জীবদ্দশায়, এমনকি তাঁদের ওফাতের পরেও, কিছু শিয়া অনুসারী তাঁদের প্রতি আল্লাহ প্রকৃতির দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করত এবং তাঁদের সম্পর্কে বাড়াবাড়িমূলক সিফাত (গুণাবলী) আরোপ করত। এটিই পরবর্তীতে শিয়া ইতিহাসে বিভিন্ন গুলাত ফেরকার সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর ফেরকা-বিষয়ক রচয়িতাগণ এই ফেরকাগুলোকে শিয়া সম্প্রদায়ের সাথে সম্পৃক্ত করেন।[১৩] উদাহরণস্বরূপ, ‘সাবাঈয়া’ ফেরকা—যারা ছিল গুলাত ফেরকাসমূহের মধ্যে অন্যতম এবং আব্দুল্লাহ ইবনে সাবার অনুসারী— বিশ্বাস করত যে, ইমাম আলী (আ.)-এর মৃত্যু হয়নি এবং কখনও হবে না, বরং তিনি একদিন ফিরে আসবেন এবং পৃথিবী যখন জুলুম-অত্যাচারে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে, তখন তিনি তাতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন।[১৪]
- প্রতিশ্রুত মাহদীর স্বরূপ নির্ধারণে ভ্রান্তি: হিজরি সনের প্রথম তিন শতাব্দী জুড়ে শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভিন্ন ফেরকার উদ্ভবের আরেকটি কারণ ছিল প্রতিশ্রুত মাহদীর প্রকৃত পরিচয় নির্ধারণে বিভ্রান্তি।[১৫]
সক্রিয় ফেরকাসমূহ
ইমামিয়া, যায়দিয়া ও ইসমাঈলিয়া—এই তিনটি ফেরকাকে বিশ্বব্যাপী শিয়া সম্প্রদায়ের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ ও সক্রিয় ফেরকা হিসেবে গণ্য করা হয়:[১৬]
ইমামিয়া
ইমামিয়া ফেরকার অনুসারীগণ বিশ্বাস করেন যে, মহানবী (সা.)-এর ইন্তেকালের পর ইমাম আলী (আ.) সরাসরি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে ইমামতের পদমর্যাদা লাভ করেন এবং নবী করিম (সা.)-এর অব্যবহিত পরবর্তী প্রতিনিধি বা খলিফা হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। তাঁর পর ইমামতের দায়িত্ব ইমাম হাসান (আ.), অতঃপর ইমাম হুসাইন (আ.)-এর উপর এবং তাঁর পরবর্তীতে তাঁরই বংশধরের নয় জন ব্যক্তির উপর পর্যায়ক্রমে অর্পিত হয়; যথা: ইমাম জয়নুল আবেদীন (আ.), ইমাম বাকির (আ.), ইমাম সাদিক (আ.), ইমাম কাযিম (আ.), ইমাম রেযা (আ.), ইমাম জাওয়াদ (আ.), ইমাম হাদি (আ.), ইমাম হাসান আসকারী (আ.) এবং ইমাম মাহদী (আ.)।[১৭] ইমামিয়াদের মতে, এই দ্বাদশতম ইমাম, অর্থাৎ ইমাম মাহদী (আ.)-ই হচ্ছেন সেই কায়েম ও ত্রাণকর্তা, যিনি বর্তমানে গায়বাত বা অদৃশ্যাবস্থায় বিরাজমান এবং আখেরি জামানায় তিনি আত্মপ্রকাশ করবেন বা আবির্ভূত হবেন।[১৮] ইমামিয়াগণ ইমামের ইসমত বা নিষ্পাপত্বকে অপরিহার্য বলে বিশ্বাস করেন এবং তাদের মতে সকল শিয়া ইমামগণ মাসূম বা নিষ্পাপ।[১৯] তাদের বিশ্বাস অনুসারে, ইমামগণ কুরআন ও মহানবী (সা.)-এর সুন্নতের প্রকৃত ব্যাখ্যাকারী।[২০]
ইসমাঈলিয়া
তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ইতিহাসবেত্তা মুহাম্মাদ জাওয়াদ মাশকুর (মৃত্যু: ১৩৭৪ ফার্সি সন) তাঁর ‘ফারহাঙ্গে ফেরাকে ইসলামী’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন যে, ইসমাঈলিয়া হলো এমন কতকগুলি ফেরকার সাধারণ নাম, যারা ইমাম সাদিক (আ.)-এর পর তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র ইসমাঈল ইবনে জাফর অথবা তাঁর দৌহিত্র মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল-এর ইমামতের প্রতি বিশ্বাস পোষণ করে।[২১] ইসমাঈলিয়া ফেরকা প্রাথমিক পর্যায়ে ‘ইসমাঈলিয়ায়ে খাস’ ও ‘ইসমাঈলিয়ায়ে আম’—এই দুই দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে।[২২] ইসমাঈলিয়ায়ে খাস দলটি বিশ্বাস করত যে, ইসমাঈল তাঁর পিতার জীবদ্দশায়ই ইমাম ছিলেন এবং গায়েব হয়ে গেছেন; আর তিনি হচ্ছেন শিয়া সম্প্রদায়ের সপ্তম ইমাম। অন্যদিকে, ইসমাঈলিয়ায়ে আম দলটির বিশ্বাস ছিল যে, ইসমাঈল তার পিতার জীবদ্দশায়ই ইন্তেকাল করেছেন এবং মৃত্যুর পূর্বে তিনি তার পুত্র মুহাম্মাদকে নিজের উত্তরসূরী হিসেবে মনোনীত করেছেন।[২৩] তাবাতাবাঈ ‘শিয়া দার ইসলাম’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন যে, এই দুই দল কিছুকাল পরেই বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং অপর একটি দল—যারা বিশ্বাস করে যে, ইসমাঈল তার পিতার জীবদ্দশায় ইমাম ছিলেন এবং তার পর ইমামত তার পুত্র মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল ও পরে তার বংশধরদের কাছে হস্তান্তরিত হয়েছে—বর্তমান সময় পর্যন্ত টিকে আছে এবং এখনও তাদের অনুসারী রয়েছে।[২৪]
বলা হয়ে থাকে যে, ইমামিয়া ফেরকার পরে, ইসমাঈলিয়া ফেরকার অনুসারী সংখ্যা সর্বাধিক এবং কালের পরিক্রমায় তারা নিজেরাই বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত হয়েছে; বর্তমানে এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার ২৫টিরও বেশি দেশে তারা ছড়িয়ে রয়েছে।[২৫]
যায়দিয়া
যায়েদ ইবনে আলী-এর অনুসারী ও তার ইমামতের বিশ্বাসীগণ।[২৬] বলা হয়ে থাকে যে, তারা যায়েদ ইবনে আলীকে পঞ্চম ইমাম হিসেবে গণ্য করেন।[২৭] শেখ মুফীদ (মৃত্যু: ৪১৩ হিজরি) ‘আওয়াইলুল মাকালাত’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, তারা ইমাম আলী (আ.), ইমাম হাসান (আ.) ও ইমাম হুসাইন (আ.)-এর ইমামতের পর যায়েদ ইবনে আলীর ইমামতে বিশ্বাস করেন।[২৮] এছাড়াও যায়দিয়াগণ বিশ্বাস করেন যে, ইমামকে অবশ্যই হযরত ফাতেমা (সা.)-এর বংশধর হতে হবে; সুতরাং ফাতেমী বংশের যে কোনো জ্ঞানী, সাহসী ও উদার ব্যক্তি, যিনি সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করেন, তিনিই ইমাম।[২৯]
যায়দিয়াগণ ইমামগণের ইসমত (নিষ্পাপত্ব) এবং রাজআত (পুনরাগমন)-এর প্রতি বিশ্বাসী নন। আর ইমামিয়াগণ ইমাম আলী (আ.)-এর খিলাফত সম্পর্কে জলী নুসুস (কুরআন-হাদীসের প্রকাশ্য উদ্ধৃতি)-এর কথা বললেও, যায়দিয়াগণ বিশ্বাস করেন যে, নবী করিম (সা.) ইমাম আলী সম্পর্কে যে নুসুস (কুরআন-হাদীসের উক্তি) বর্ণনা করেছেন তা খফী নুসুস (কুরআন-হাদীসের গোপন উদ্ধৃতি), আর ইমাম আলী (আ.) কিছু বিশেষ স্বার্থে তা কেবল তাঁর কতিপয় বিশিষ্ট সাহাবীর কাছেই ব্যক্ত করেছেন।[৩০]
যদিও যায়দিয়াগণ ইমাম আলী (আ.)-কে নবী (সা.)-এর অব্যবহিত পরে খলিফা বলে স্বীকার করেন, তবুও ইমাম আলী (আ.)-এর পূর্ববর্তী তিন খলিফা-এর খিলাফতকেও তারা সঠিক ও বৈধ বলে মনে করেন।[৩১] মুহাম্মাদ জাওয়াদ মাশকুর তাঁর ‘ফারহাঙ্গে ফেরকে ইসলামী’ গ্রন্থে যায়দিয়া ফেরকা থেকে উদ্ভূত ১৬টি ফেরকার নাম উল্লেখ করেছেন।[৩২] জারুদিয়া, সুলাইমানিয়া (সুলাইমান ইবনে জারীরের অনুসারী) এবং বুতরিয়া (হাসান ইবনে সালেহ ইবনে হাই-এর অনুসারী)—এই তিনটি ফেরকা যায়দিয়া ফেরকার প্রধান শাখা হিসেবে পরিগণিত।[৩৩]
বিলুপ্ত ফেরকাসমূহ
অতীতে শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্যমান এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফেরকা ছিল, যেগুলো পরবর্তীতে বিলুপ্ত হয়ে যায়; সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- কিসানিয়া: এরা ছিল শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত একটি দল, যারা মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়া-এর ইমামতের প্রতি বিশ্বাসী ছিল[৩৪] শাহরেস্তানী ‘আল-মিলাল ওয়ান নিহাল’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়ার পর তার অনুসারীদের মধ্যে মতবিরোধের সৃষ্টি হয়।[৩৫] একদল বিশ্বাস করত যে, মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়ার মৃত্যু হয়নি এবং তিনি পুনরায় ফিরে এসে পৃথিবীতে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করবেন।[৩৬] অপর দলটি বলত যে, তার মৃত্যু হয়েছে এবং ইমামত তার পুত্র আবু হাশিম-এর কাছে হস্তান্তরিত হয়েছে।[৩৭] মুহাম্মাদ জাওয়াদ মাশকুরের বর্ণনা অনুযায়ী, মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়ার পর কিসানিয়া ফেরকা বারোটি দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে [৩৮] —যারা সকলেই মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়ার ইমামতের প্রতি বিশ্বাসের ক্ষেত্রে ঐকমত্য পোষণ করত।[৩৯] কিসানিয়া ফেরকার অন্তর্ভুক্ত কিছু দল, যেগুলো গুলাত ফেরকা (অতিরঞ্জিতকারী দল) হিসেবে পরিচিত, সেগুলো হলো: হাশিমিয়া, [৪০] কারুবিয়া, [৪১] হামযিয়া, [৪২] বায়ানিয়া, [৪৩] ও হারবিয়া।[৪৪]
- ফাতহিয়া: শিয়া সম্প্রদায়ের একটি দল, যারা ইমাম সাদিক (আ.)-এর পর তাঁর পুত্র আবদুল্লাহ আফতাহ-এর ইমামতের প্রতি বিশ্বাসী ছিল।[৪৫] শাহরেস্তানীর বর্ণনা অনুযায়ী, ইমাম সাদিক (আ.)-এর শাহাদাতের মাত্র সত্তর দিন পর আবদুল্লাহর মৃত্যু হয় এবং তিনি কোনো সন্তান রেখে যাননি।[৪৬] এর ফলে আবদুল্লাহ আফতাহের ইমামতের প্রতি বিশ্বাসেরও সমাপ্তি ঘটে এবং তার অধিকাংশ অনুসারী ইমাম কাযিম (আ.)-এর ইমামত মেনে নেন।[৪৭]
- নাঊসিয়া: শিয়া সম্প্রদায়ের একটি ফেরকা, যারা ইমাম সাদিক (আ.)-এর জীবিত থাকার প্রতি বিশ্বাস করত এবং এই আকীদা পোষণ করত যে, তিনিই হচ্ছেন সেই প্রতিশ্রুত মাহদী, যিনি আখেরি জমানায় আবির্ভূত হবেন।[৪৮] বলা হয়ে থাকে যে, নাঊসিয়ারা বসরার অধিবাসী 'আজলান ইবনে নাঊস' নামক এক ব্যক্তির অনুসারী ছিল।[৪৯]
- ওয়াকেফিয়া: এটি ছিল শিয়া সম্প্রদায়ের একটি দল, যারা ইমাম মূসা কাযিম (আ.)-এর ইমামতের ওপরই থেমে যায় এবং তাঁর পুত্র ইমাম রেযা (আ.)-এর ইমামত অস্বীকার করে।[৫০] রিজাল আল-কাশশি' গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে যে, ইমাম মূসা কাযিম (আ.) কারাবন্দী থাকাকালে তাঁর কিছু সাহাবীর নিকট সাহমে ইমাম (খুমসে ইমামের প্রাপ্য অংশ)-এর কিছু অর্থ-সম্পদ জমা ছিল; তারা ঐ সম্পদগুলো আত্মসাৎ করে। আর যখন ইমাম মূসা কাযিম (আ.)-এর শাহাদাতের সংবাদ তাদের কাছে পৌঁছায়, তখন তারা তাঁর শাহাদাত এবং তাঁর পুত্র ইমাম রেযা (আ.)-এর ইমামত উভয়টিই অস্বীকার করে এবং ইমামতের বিষয়টিতে থেমে যায়; তাই তাদের অনুসারীদের ওয়াকেফিয়া বলা হয়।[৫১]
গুলাত ফেরকাসমূহ
গুলাত (অতিরঞ্জিতকারী) ছিল এমন একদল লোক, যারা ইমাম আলী (আ.) ও তাঁর সন্তানদেরকে খোদা বা নবী মনে করত এবং তাদের পরিচয়ের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করত।[৫২] ফেরকা পরিচিতিমূলক গ্রন্থসমূহে গুলাত ফেরকার সংখ্যা উল্লেখের ক্ষেত্রে মতভেদ পরিলক্ষিত হয়; এমনকি গুলাত ফেরকার সর্বনিম্ন সংখ্যা নয়টি এবং সর্বোচ্চ সংখ্যা একশতটি পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়েছে।[৫৩] সর্বাধিক পরিচিত গুলাত ফেরকা, যেগুলো শিয়া সম্প্রদায়ের সাথে সংশ্লিষ্ট বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং বর্তমানে বিলুপ্ত হয়ে গেছে, সেগুলো হলো: সাবাঈয়া (আবদুল্লাহ ইবনে সাবার অনুসারী), বায়ানিয়া, খাত্তাবিয়া, বাশিরিয়া, মুফাওউয়িযা ও মুগিরিয়া।[৫৪]
আলীয়্যুল্লাহী বা আহলে হাক্ব, শিয়া সম্প্রদায়ের অপর একটি গুলাত ফেরকা হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে, যাদের কিছু কিছু অনুসারী বর্তমানে ইরান দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করছে।[৫৫] বলা হয়ে থাকে যে, তারা এই বিশ্বাস পোষণ করে যে, আল্লাহ্ নবীদেরকে একটি গুপ্ত রহস্যের (সিরর) সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন, যা হচ্ছে সেই নবুয়ত; আর এটি হযরত আদম (আ.) থেকে হযরত মুহাম্মাদ (সা.) পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে চলমান ছিল এবং তাঁর পর এটি ইমাম আলী (আ.) ও পরবর্তীতে তাঁর পরবর্তী ইমামগণের মাধ্যমে ইমাম দ্বাদশ (আ.) পর্যন্ত পৌঁছেছে।[৫৬] দ্বাদশ ইমামের (আ.) গায়বত তথা অন্তর্ধানের পর এই গুপ্ত রহস্য (ইমামত) তাঁর অনুসারী ও কুতুবদেরকে, যারা একের পর এক আগমন করেন বলা হয়।[৫৭]
স্বল্পকালীন অন্তর্ধান যুগের বিচ্যুত দলসমূহ
নৌবাখতী ‘ফিরাকুশ শিয়া’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন যে, ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর ইন্তেকালের পর ইমাম নির্ধারণ ও প্রতিশ্রুত মাহদীর স্বরূপ চিহ্নিতকরণের প্রশ্নে শিয়াগণ চৌদ্দটি ফেরকায় বিভক্ত হয়ে পড়েন।[৫৮] উদাহরণস্বরূপ, একদল অভিমত ব্যক্ত করেন যে, ইমাম আসকারী (আ.)-এর মৃত্যু হয়নি এবং তিনিই হচ্ছেন সেই মাহদী কায়েম।[৫৯] কেউ কেউ আবার বলেন যে, ইমাম আসকারী (আ.) ইন্তেকাল করেছেন, কিন্তু তাঁর কোনো পুত্রসন্তান না থাকায় মৃত্যুর পর তিনি পুনরায় জীবিত হয়েছেন এবং তিনিই হচ্ছেন সেই মাহদী কায়েম[৬০] অপর একটি দল বলে যে, ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর পর তাঁর ভাই জাফর ইমাম হয়েছেন।[৬১] শেখ মুফীদ ‘আল-ফুসুলুল মুখতারাহ’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, এই চৌদ্দটি ফেরকার মধ্যে কেবল ইমামিয়াই—যারা হযরত মাহদী (আ.)-এর ইমামতের প্রতি বিশ্বাসী—টিকে আছে, আর বাকি সব ফেরকাই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।[৬২] এছাড়াও হাসান শরীয়তী, মুহাম্মাদ ইবনে নাসীর নুমাইরী, আহমাদ ইবনে হিলাল আবারতাঈ ও আরও কিছু কিছু ব্যক্তি এমন শিয়া ছিলেন, যারা নিজেদেরকে ইমাম মাহদী (আ.)-এর পক্ষ থেকে নিযুক্ত নায়েব (প্রতিনিধি) দাবী করেন; তারা কিছু দলও গঠন করেছিল, যেগুলো সবই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।[৬৩]
জনসংখ্যা ও ভৌগোলিক বিস্তৃতি
‘নাকশে-এ জামিয়াতে মুসলমানানে জাহান’ (রচনা: ১৩৯৩ ফার্সি সন) গ্রন্থে উল্লিখিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী শিয়া মুসলমানদের (ইমামিয়া, ইসমাঈলিয়া ও যায়দিয়া) মোট জনসংখ্যা ৩০ কোটিরও বেশি বলে অনুমান করা হয়, যা সমগ্র মুসলিম বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশ।[৬৪] ১৩১৪ ফার্সি বর্ষপঞ্জিকায় বিবিসি ফার্সির এক খবরে বলা হয়েছে যে, ইসমাঈলি শিয়াদের জনসংখ্যা প্রায় ১৫ মিলিয়নে পৌঁছেছে, যা বিশ্বের মোট শিয়া জনসংখ্যার দশ শতাংশেরও কম; আর তাদের বেশিরভাগই ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তানে বসবাস করেন এবং প্রায় ৩০ হাজার লোক ইরানের খোরাসান, কেরমান ও মারকাজী প্রদেশে বসবাস করেন। [৬৫] ব্রিটানিকা বিশ্বকোষে ‘শিয়া’ নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইসমাঈলিয়া ফেরকার সর্বাধিক জনবহুল উপদল নেজারিয়া’র অনুসারী পঞ্চাশ লক্ষ থেকে দেড় কোটি।[৬৬]
বলা হয়ে থাকে যে, বর্তমানে বিদ্যমান শিয়া ফেরকাগুলোর মধ্যে যায়দিয়া-ই সর্বনিম্ন জনসংখ্যার অধিকারী। আর তাদের অধিকাংশই বর্তমানে (হিজরি পঞ্চদশ শতাব্দীতে) ইয়েমেন দেশে বসবাস করে; এমনকি তারা দেশটির মোট জনসংখ্যার অর্ধেক বলে মনে করা হয়।[৬৭] এছাড়াও তাদের মধ্যে কেউ কেউ নাজরানে, সৌদি আরবের দক্ষিণে অবস্থিত একটি অঞ্চল, বসতি স্থাপন করেছেন।[৬৮] বিদ্যমান শিয়া ফেরকাগুলোর মধ্যে ইমামিয়া ফেরকার অনুসারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। [৬৯] আর তাদের বেশিরভাগ ইরান, ইরাক, পাকিস্তান ও লেবানন-এর মতো দেশগুলোতে বসবাস করে।[৭০]
গ্রন্থপরিচিতি
শিয়া ফেরকাসমূহের পরিচয় সম্পর্কে স্বতন্ত্রভাবে রচিত কয়েকটি গ্রন্থ নিম্নরূপ:
- হাসান ইবনে মূসা নৌবাখতী রচিত ‘ফিরাকুশ শিয়া’ গ্রন্থ। এই গ্রন্থটি হিজরি তৃতীয় শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত শিয়া ফেরকাসমূহ চিহ্নিতকরণের প্রামাণ্য উৎস হিসেবে পরিগণিত। এই গ্রন্থে শিয়া ফেরকাসমূহের পরিচয়ের পাশাপাশি ইসলামের অন্যান্য কিছু ফেরকা সম্পর্কেও বিশদ আলোচনা রয়েছে। বলা হয়ে থাকে যে, গ্রন্থকারের গায়েবতে সোগরা যুগের সমসাময়িক হওয়া এবং সেই সময়ে শিয়াদের মধ্যে সংঘটিত বিভক্তিসমূহের সাক্ষী হওয়ার কারণে, এই গ্রন্থটি এই ক্ষেত্রে একটি প্রথম শ্রেণীর উৎস হিসেবে গণ্য।[৭১]
- মাহদী ফারমানিয়ান রচিত ‘আশনাঈ বা ফেরাকে তাশাইয়্যু’; এই গ্রন্থটি একটি শিক্ষণীয় পাঠ্যপুস্তক হিসেবে প্রণয়নের উদ্দেশ্যে একটি ভূমিকা ও শিয়া ফেরকাসমূহের পরিচয়সংবলিত বিশটি অধ্যায়ে সজ্জিত। এছাড়াও ‘ফেরকায়ে এনহেরাফী ওয়া ইনশেআবী আজ মাযহাবে তাশাইয়্যু’ এবং ‘ফেরকেহায়ে শিয়ি বার আসাসে কুতুবে মাশহুরে মেলাল ওয়া নেহাল’ শীর্ষক দুটি আলোচনা গ্রন্থের শেষে সংযোজিত হয়েছে।[৭২]
তথ্যসূত্র
- ↑ ফারমানিয়ান, ‘আশনাঈ বা ফেরাকে শিয়া’, ১৩৮৭ ফার্সি সন, পৃ. ২১-২২।
- ↑ গুরুহে তারিখ ও ফেরকে তাশাইয়্যু, দানিশগাহে আদিয়ান ও মাযাহিব।
- ↑ তাবাতাবাঈ, ‘শিয়া দার ইসলাম’, ১৩৮৮ ফার্সি সন, পৃ. ৬০।
- ↑ তাবাতাবাঈ, ‘শিয়া দার ইসলাম’, ১৩৮৮ ফার্সি সন, পৃ. ৬১।
- ↑ ফাযাঈ, ‘মুকাদ্দিমা’, দার ‘তারিখে আকায়েদ ও মাযাহেবে শিয়া’, ১৩৫৩ ফার্সি সন, পৃ. ৯।
- ↑ খাতিবী কুশকাক ও অন্যান্যরা, ‘ফারহাঙ্গে শিয়া’, ১৩৮৬ ফার্সি সন, পৃ. ৩৫৮।
- ↑ মালতী, ‘আত-তানবিহ ওয়ার রাদ্দ’, ১৪১৩ হি., পৃ. ১৬।
- ↑ বাগদাদী, ‘আল-ফারক বাইনাল ফেরাক’, দারুল জিল, পৃ. ৩৮।
- ↑ শাহরেস্তানী, ‘আল-মিলাল ওয়ান নিহাল’, ১৩৬৪ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ১৭০।
- ↑ তাবাতাবাঈ, ‘শিয়া দার ইসলাম’, ১৩৮৮ ফার্সি সন, পৃ. ৬১-৬২।
- ↑ জাফরিয়ান, ‘আতলাসে শিয়া’, ১৩৮৭ ফার্সি সন, পৃ. ১৯।
- ↑ নৌবাখতি, ‘ফিরাকুশ শিয়া’, দারুল আযওয়া, পৃ. ২৩।
- ↑ জাফরিয়ান, ‘আতলাসে শিয়া’, ১৩৮৭ ফার্সি সন, পৃ. ১৯।
- ↑ নৌবাখতি, ‘ফিরাকুশ শিয়া’, দারুল আযওয়া, পৃ. ২২।
- ↑ জাফরিয়ান, ‘আতলাসে শিয়া’, ১৩৮৭ ফার্সি সন, পৃ. ১৯।
- ↑ তাবাতাবাঈ, ‘শিয়া দার ইসলাম’, ১৩৮৮ ফার্সি সন, পৃ. ৬১; আমিন, ‘ফারহাঙ্গনামেয়ে ফেরকেহায়ে ইসলামী’, ১৩৭৮ ফার্সি সন, পৃ. ২৫।
- ↑ শেখ সাদুক, ‘আল-ই'তিকাদাত’, ১৪১৪ হি., পৃ. ৯৩; আল্লামা হিল্লী, ‘কাশফুল মুরাদ’, ১৪১৩ হি., পৃ. ৩৯৭।
- ↑ শেখ সাদুক, ‘আল-ই'তিকাদাত’, ১৪১৪ হি., পৃ. ১২২; ফাযিল মুকাদ্দাদ, ‘ইরশাদুত তালিবীন’, ১৪০৫ হি., পৃ. ৩৭৭।
- ↑ আল্লামা হিল্লী, ‘কাশফুল মুরাদ’, ১৪১৩ হি., পৃ. ৩৬৪; ফাযিল মিকদাদ, ‘ইরশাদুত তালিবীন’, ১৪০৫ হি., পৃ. ৩৩২ ও ৩৭৪-৩৭৫।
- ↑ উদাহরণস্বরূপ দেখুন: কাশিফুল গিতা, ‘কাশফুল গিতা 'আন মুবহামাতিশ শারীয়াতিল গুররা’, ১৪২০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৬৪।
- ↑ মাশকুর, ‘ফারহাঙ্গে ফেরাকে ইসলামী’, ১৩৭৫ ফার্সি সন, পৃ. ৪৭।
- ↑ মাশকুর, ‘ফারহাঙ্গে ফেরাকে ইসলামী’, ১৩৭৫ ফার্সি সন, পৃ. ৪৮।
- ↑ নৌবাখতি, ‘ফিরাকুশ শিয়া’, দারুল আযওয়া, পৃ. ৬৭-৬৮; মাশকুর, ‘ফারহাঙ্গে ফেরাকে ইসলামী’, ১৩৭৫ ফার্সি সন, পৃ. ৪৮।
- ↑ তাবাতাবাঈ, ‘শিয়া দার ইসলাম’, ১৩৮৮ ফার্সি সন, পৃ. ৬৩।
- ↑ দাফতারী, ‘তারিখ ও আকায়েদে ইসমাঈলিয়া’, ১৩৮৬ ফার্সি সন, পৃ. ১১।
- ↑ নৌবাখতি, ‘ফিরাকুশ শিয়া’, দারুল আযওয়া, পৃ. ৫৮; শাহরেস্তানী, ‘আল-মিলাল ওয়ান নিহাল’, ১৩৬৪ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ১৭৯।
- ↑ তাবাতাবাঈ, ‘শিয়া দার ইসলাম’, ১৩৮৮ ফার্সি সন, পৃ. ৬২।
- ↑ শেখ মুফীদ, ‘আওয়াইলুল মাকালাত’, ইন্তিশারাতে দানিশগাহে তেহরান, পৃ. ৩৯।
- ↑ শেখ মুফীদ, ‘আওয়াইলুল মাকালাত’, ইন্তিশারাতে দানিশগাহে তেহরান, পৃ. ৩৯; শাহরেস্তানী, ‘আল-মিলাল ওয়ান নিহাল’, ১৩৬৪ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ১৭৯।
- ↑ মাশকুর, ‘ফারহাঙ্গে ফেরাকে ইসলামী’, ১৩৭৫ ফার্সি সন, পৃ. ২১৫।
- ↑ হামিদুদ্দীন, ‘আয-যায়দিয়া’, ১৪২৪ হি., পৃ. ৯৬; মাশকুর, ‘ফারহাঙ্গে ফেরাকে ইসলামী’, ১৩৭৫ ফার্সি সন, পৃ. ২১৬।
- ↑ মাশকুর, ‘ফারহাঙ্গে ফেরাকে ইসলামী’, পৃ. ২১৬।
- ↑ শাহরেস্তানী, ‘আল-মিলাল ওয়ান নিহাল’, ১৩৬৪ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ১৮৩।
- ↑ নৌবাখতি, ‘ফিরাকুশ শিয়া’, ইন্তিশারাতে দারুল আযওয়া, পৃ. ২৩।
- ↑ শাহরেস্তানী, ‘আল-মিলাল ওয়ান নিহাল’, ১৩৬৪ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ৩৭।
- ↑ শাহরেস্তানী, ‘আল-মিলাল ওয়ান নিহাল’, ১৩৬৪ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ৩৭।
- ↑ শাহরেস্তানী, ‘আল-মিলাল ওয়ান নিহাল’, ১৩৬৪ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ৩৭।
- ↑ মাশকুর, ‘ফারহাঙ্গে ফেরাকে ইসলামী’, ১৩৭৫ ফার্সি সন, পৃ. ৩৭৫।
- ↑ বাগদাদী, ‘আল-ফারক বাইনাল ফেরাক’, ১৯৭৭ খ্রি., পৃ. ২৭।
- ↑ নৌবাখতি, ‘ফিরাকুশ শিয়া’, ইন্তিশারাতে দারুল আযওয়া, পৃ. ৩০-৩১; আশ'আরী, ‘মাকালাতুল ইসলামিয়ীন’, ১৪০০ হি., পৃ. ২০।
- ↑ খাওয়ারিজমী, ‘মাফাতিহুল 'উলুম’, দারুল কিতাবিল 'আরাবী, পৃ. ৪৯; নৌবাখতি, ‘ফিরাকুশ শিয়া’, ইন্তিশারাতে দারুল আযওয়া, পৃ. ২৭।
- ↑ আশ'আরী কুম্মী, ‘আল-মাকালাত ওয়াল ফেরাক’, ১৩৬১ ফার্সি সন, পৃ. ৫৬।
- ↑ নৌবাখতি, ‘ফিরাকুশ শিয়া’, ইন্তিশারাতে দারুল আযওয়া, পৃ. ৩৪; বাগদাদী, ‘আল-ফারক বাইনাল ফেরাক’, ১৯৭৭ খ্রি., পৃ. ২৮; মাকরিজী, ‘আল-মাওয়ায়িয ওয়াল ই'তিবার’, ১৪১৮ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ১৮২।
- ↑ আশ'আরী, ‘আল-মাকালাত ওয়াল ফেরাক’, ১৩৬১ ফার্সি সন, পৃ. ২৮; আশ'আরী, ‘মাকালাতুল ইসলামিয়ীন’, ১৪০০ হি., পৃ. ২২।
- ↑ শাহরেস্তানী, ‘আল-মিলাল ওয়ান নিহাল’, ১৩৬৪ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ১৯৫-১৯৬।
- ↑ শাহরেস্তানী, ‘আল-মিলাল ওয়ান নিহাল’, ১৩৬৪ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ১৬৯।
- ↑ শেখ তুসী, ‘ইখতিয়ারে মা'রিফাতির রিজাল’, ১৪০৯ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১৬১।
- ↑ নৌবাখতি, ‘ফিরাকুশ শিয়া’, দারুল আযওয়া, পৃ. ৬৭; শাহরেস্তানী, ‘আল-মিলাল ওয়ান নিহাল’, ১৩৬৪ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ১৯৭।
- ↑ সুবহানী, ‘বুহুস ফিল মিলাল ওয়ান নিহাল’, ১৪২৭ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৫২।
- ↑ সুবহানী, ‘বুহুস ফিল মিলাল ওয়ান নিহাল’, ১৪২৭ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ৩৭৯।
- ↑ শেখ তুসী, ‘ইখতিয়ারে মা'রিফাতির রিজাল’, ১৪০৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৪৯৩।
- ↑ শেখ মুফীদ, ‘তাসহিহুল ই'তিকাদাত’, ১৪১৪ হি., পৃ. ১৩১।
- ↑ উদাহরণস্বরূপ দেখুন: সাফারী ফুরুশানী, ‘গালিয়ান (চাওশী দার জারিয়ানহা ও বার-আয়ান্দহা)’, ১৩৭৮ ফার্সি সন, পৃ. ৬১-৬২।
- ↑ উদাহরণস্বরূপ দেখুন: আশ'আরী, ‘মাকালাতুল ইসলামিয়ীন’, ১৪০০ হি., পৃ. ১৫; শাহরেস্তানী, ‘আল-মিলাল ওয়ান নিহাল’, ১৩৬৪ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ২১০; নৌবাখতি, ‘ফিরাকুশ শিয়া’, ইন্তিশারাতে দারুল আযওয়া, পৃ. ৬৩ ও ৮৩।
- ↑ মাশকুর, ‘ফারহাঙ্গে ফেরাকে ইসলামী’, ১৩৭৫ ফার্সি সন, পৃ. ৭৮।
- ↑ মাশকুর, ‘ফারহাঙ্গে ফেরাকে ইসলামী’, ১৩৭৫ ফার্সি সন, পৃ. ৭৮-৭৯।
- ↑ মাশকুর, ‘ফারহাঙ্গে ফেরাকে ইসলামী’, ১৩৭৫ ফার্সি সন, পৃ. ৭৮-৭৯।
- ↑ নৌবাখতি, ‘ফিরাকুশ শিয়া’, দারুল আযওয়া, পৃ. ৯৬।
- ↑ নৌবাখতি, ‘ফিরাকুশ শিয়া’, দারুল আযওয়া, পৃ. ৯৬।
- ↑ নৌবাখতি, ‘ফিরাকুশ শিয়া’, দারুল আযওয়া, পৃ. ৯৭।
- ↑ নৌবাখতি, ‘ফিরাকুশ শিয়া’, দারুল আযওয়া, পৃ. ৯৮।
- ↑ শেখ মুফীদ, ‘আল-ফুসুলুল মুখতারাহ’, ১৪১৩ হি., পৃ. ৩২১।
- ↑ উদাহরণস্বরূপ দেখুন: শেখ তুসী, ‘আল-গায়বা’, ১৪১১ হি., পৃ. ৩৯৮-৩৯৯; সাফারী ফুরুশানী, ‘গালিয়ান (জারিয়ানহা ও বার-আয়ান্দহা)’, ১৩৭৮ ফার্সি সন, পৃ. ১৩৩-১৩৬।
- ↑ তাকী যাদেহ দাওয়ারী, ‘নাকশেয়ে জামিয়াতে মুসালমানানে জাহান’, ১৩৯৩ ফার্সি সন, পৃ. ১১।
- ↑ «شیعیان اسماعیلی ایران؛ اقلیتی به دور از جنجال»، سایت خبرگزاری بی بی سی فارسی
- ↑ Newman, Shiʿi, Britannica.
- ↑ ফারমানিয়ান, ‘আশনাঈ বা ফেরকে তাশাইয়্যু’, ১৩৮৭ ফার্সি সন, পৃ. ১০১।
- ↑ ফারমানিয়ান, ‘আশনাঈ বা ফেরকে তাশাইয়্যু’, ১৩৮৭ ফার্সি সন, পৃ. ১০১।
- ↑ তাবাতাবাঈ, ‘শিয়া দার ইসলাম’, ১৩৮৮ ফার্সি সন, পৃ. ৬৭।
- ↑ Newman, Shiʿi, Britannica.
- ↑ মাশকুর, ‘পিশগুফতার’, দার কিতাবে তরজুমায়ে ফিরাকুশ শিয়া’, ১৩৫৩ ফার্সি সন, পৃ. ৯-১০।
- ↑ ফারমানিয়ান, ‘আশনাঈ বা ফেরকে তাশাইয়্যু’, ১৩৮৭ ফার্সি সন, পৃ. ৭-১৬।
গ্রন্থপঞ্জি
- আশ'আরী কুমী, সা'দ বিন আবদুল্লাহ, 'আল-মাকালাত ওয়াল ফেরক', তেহরান, শিরকাতে ইন্তিশারাতে ইলমি ওয়া ফারহাঙ্গী, ১৩৬১ ফার্সি সন।
- আশ'আরী, আবুল হাসান, 'মাকালাতুল ইসলামিয়ীন ওয়াখতিলাফুল মুসাল্লীন', জার্মানি, ফ্রানৎস শ্টাইনার, ১৪০০ হি.।
- আমীন, শরীফ ইয়াহিয়া, ‘ফারহাঙ্গনামেয়ে ফেরকেহায়ে ইসলামী’, তরজমা: মুহাম্মাদ রেযা মুওয়াহেদী, তেহরান, ইন্তিশারাতে বায, ১৩৭৮ ফার্সি সন।
- বাগদাদী, আব্দুল কাহির, ‘আল-ফারক বাইনাল ফেরাক’, মিসর, মাকতাবা ওয়া মাতবাআতে মুহাম্মাদ 'আলী সাবীহ ওয়া আওলাদেহ, ১৯৭৭ খ্রি.।
- তাকী যাদেহ দাওয়ারী, মাহমুদ, ‘নাকশেয়ে জামিয়াতে মুসালমানানে জাহান’, কোম, শিয়াশিনাসী, ১৩৯৩ ফার্সি সন।
- জাফরিয়ান, রাসূল, 'আতলাসে শিয়া', তেহরান, সাযমানে জুগরাফিয়ায়ে নিরুহায়ে মুসাল্লাহ, প্রথম সংস্করণ, ১৩৮৭ ফার্সি সন।
- হামিদুদ্দীন, আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ, 'আয-যাইদিয়া', সানা, মারকাযুর রায়েদ লিদ দিরাসাত ওয়াল বুহুস, ১৪২৪ হি.।
- খাতিবী কুশক, মুহাম্মাদ ও অন্যান্য, 'ফারহাঙ্গে শিয়া', কোম, যমযমে হিদায়াত, ১৩৮৬ ফার্সি সন।
- খাওয়ারিজমী, মুহাম্মাদ বিন আহমাদ, 'মাফাতিহুল 'উলুম', বৈরুত, দারুল কিতাবিল 'আরাবী, তারিখ অজ্ঞাত।
- দাফতারী, ফিরহাদ, 'তারিখ ওয়া 'আকায়েদে ইসমাঈলিয়া', তরজমায়ে ফেরিদউনে বাদরাহ-ঈ, তেহরান, ফারযানেকে রুজ, ১৩৭৫ ফার্সি সন।
- সুবহানী, জা'ফর, 'বুহুস ফিল মিলাল ওয়ান নিহাল', কোম, মুয়াসিসাতুল ইমামিস সাদিক (আ.), ১৪২৭ হি.।
- শাহরেস্তানী, মুহাম্মাদ বিন আব্দুল করীম, 'আল-মিলাল ওয়ান নিহাল', কোম, আশ-শারীফুর রেযা, তৃতীয় সংস্করণ, ১৩৬৪ ফার্সি সন।
- শেখ সাদুক, মুহাম্মাদ বিন 'আলী, 'আল-ই'তিকাদাত', কোম, কংগ্রেয়ে শেখ মুফীদ, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪১৪ হি.।
- শেখ তুসী, মুহাম্মাদ বিন হাসান, 'ইখতিয়ারে মা'রিফাতির রিজাল', মাশহাদ, মুয়াসসেসেয়ে নাশরে দানিশগাহে মাশহাদ, প্রথম সংস্করণ, ১৪০৯ হি.।
- শেখ তুসী, মুহাম্মাদ বিন হাসান, 'কিতাবুল গায়বা', তাসহীহে 'ইবাদুল্লাহ তেহরানী ওয়া 'আলী আহমাদ নাসিহ, কোম, দারুল মা'আরিফিল ইসলামিয়া, ১৪১১ হি.।
- শেখ মুফীদ, মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ, 'আল-ফুসুলুল মুখতারাহ', কোম, কংগ্রেয়ে শেখ মুফীদ, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৩ হি.।
- শেখ মুফীদ, মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ, 'আওয়াইলুল মাকালাত ফিল মাযাহিব ওয়াল মুখতারাত', তেহরান, ইন্তিশারাতে দানিশগাহে তেহরান, তারিখ অজ্ঞাত।
- শেখ মুফীদ, মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ, 'তাসহিহুল ই'তিকাদাত', কোম, কংগ্রেয়ে শেখ মুফীদ, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪১৪ হি.।
- «شیعیان اسماعیلی ایران؛ اقلیتی به دور از جنجال»,'শিয়ায়ানে ইসমাঈলী ইরান; আকালিয়াতী বে দুর আজ জানজাল', বিবিসি ফার্সি নিজউ সাইট, বিষয়বস্তু সন্নিবেশের তারিখ: ২৯ উর্দি বেহেশত ১৩৯৪ ফার্সি সন, দেখার তারিখ: ২৫ বাহমান ১৪০২ ফার্সি সন।
- সাফারী ফুরুশানী, নে'মাতুল্লাহ, 'গালিয়ান (কাওশী দার জেরায়েশহা ও বার-আয়ানদহা)', মাশহাদ, আস্তানে কুদসে রাযাভী, ১৩৭৮ ফার্সি সন।
- তাবাতাবায়ী, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হুসাইন, 'শিয়া দার ইসলাম', কোম, বুস্তানে কিতাব, পঞ্চম সংস্করণ, ১৩৮৮ ফার্সি সন।
- আল্লামা হিল্লী, ইউসুফ বিন মুতাহহার, 'কাশফুল মুরাদ', কোম, মুয়াসসেসেয়ে নাশরে ইসলামী, ১৪১৩ হি.।
- ফাযিল মিকদাদ, মিকদাদ বিন আব্দুল্লাহ, 'ইরশাদুত তালিবীন ইলা নাহজিল মুস্তারশিদীন', কোম, কিতাবখানায়ে 'উমুমী আয়াতুল্লাহিল 'উযমা মার'আশী নাজাফী, ১৪০৫ হি.।
- ফারমানিয়ান, মাহদী, 'আশনাঈ বা ফেরকে তাশাইয়্যু', কোম, মারকাযে মুদীরিয়াতে হাওযাহায়ে 'ইলমিয়া কোম, ১৩৮৭ ফার্সি সন।
- ফাযাঈ, ইউসুফ, 'মুকাদ্দিমা', দার 'তারিখে 'আকালেদ ওয়া মাযাহেবে শিয়া', তেহরান, মুয়াসসেসেয়ে ইন্তিশারাতে 'আতা-ঈ, ১৩৭১ ফার্সি সন।
- কাশিফুল গিতা, জা'ফর, 'কাশফুল গিতা 'আন মুবহামাতিশ শারীয়াতিল গুররা', কোম, দাফতারে তাবলীগাতে ইসলামী হাওযে 'ইলমিয়া কোম, ১৪২০ হি.।
- «گروه تاریخ و فرق تشیع»,'গুরুহে তারিখ ও ফেরকে তাশাইয়্যু', দানিশগাহে আদিয়ান ওয়া মাযাহিব, তারিখে বাজদীদ: ১৪ ইসফান্ড ১৪০২ ফার্সি সন।
- মাশকুর, মুহাম্মাদ জাওয়াদ, 'পিশগুফতার', দার কিতাবে তরজমায়ে ফিরাকুশ শিয়া', তেহরান, বুনিয়াদে ফারহাঙ্গে ইরান, ১৩৫৩ ফার্সি সন।
- মাশকুর, মুহাম্মাদ জাওয়াদ, 'ফারহাঙ্গে ফেরকে ইসলামী', মাশহাদ, আস্তানে কুদসে রাযাভী, ১৩৭৫ ফার্সি সন।
- মাকরিজী, তকীউদ্দীন, 'আল-মাওয়ায়িয ওয়াল ই'তিবার ফি যিকরিল খিতাত ওয়াল আসার', বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়া, ১৪১৮ হি.।
- মালতী শাফেঈ, মুহাম্মাদ বিন আহমাদ, 'আত-তানবিহ ওয়ার রাদ্দ', কাহিরা, মাকতাবাতে মাদবুলী, ১৪১৩ হি.।
- নৌবাখতি, হাসান বিন মূসা, 'ফিরাকুশ শিয়া', বৈরুত, ইন্তিশারাতে দারুল আযওয়া, তারিখ অজ্ঞাত।
- Newman, Andrew J, Shiʿi, Britannica, Visited in, 25 February 2024.