ইসমাঈল ইবনে জাফর সাদিক (আ.)
ইসমাঈল ইবনে জাফর (আরবি: إسماعيل بن جعفر الصادق) (মৃত্যু: ১৪৩ অথবা ১৪৫ হি.) হচ্ছেন ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-এর বড় সন্তান। ইসমাঈলীয়ারা তাকে অথবা তার সন্তান মুহাম্মাদকে ইমাম সাদিক (আ.)-এর পরবর্তী ইমাম হিসেবে জ্ঞান করেন। কিন্তু ইমামিয়াদের মতে এবং রাসূল (স.) হতে প্রাপ্ত হাদীসের ভিত্তিতে, ইমাম সাদিক (আ.)-এর পরবর্তী ইমাম হচ্ছেন মূসা ইবনে জাফর (আ.)। ইসমাঈলের ইমামতের প্রতি বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে ইমামিয়াদের সাথে ইসমাঈলীয়াদের বিভাজনের সূচনা এবং ইসমাঈলীয়া ফিরকার উৎপত্তি ঘটে।
ইসমাঈলের ব্যক্তিত্ব নিয়ে মতপার্থক্য বিদ্যমান; কেউ কেউ রেওয়ায়েত ভিত্তিক দলিলের উপর নির্ভর করে বিশ্বাস করেন যে তিনি গুলুকারীদের (মধ্যম পন্থা থেকে সরে গিয়ে যারা নবী ও ইমামদের মাকাম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে) সাথে সম্পর্ক রাখতেন। তবে আয়াতুল্লাহ খুয়ী এই রেওয়ায়েতসমূহের যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা প্রদান এবং অন্যান্য রেওয়ায়েতের উল্লেখপূর্বক তাকে মহৎ ব্যক্তি এবং তার পিতার স্নেহের পাত্র বলে বিবেচনা করেছেন।
ইসমাঈল ইমাম সাদিক (আ.)-এর জীবদ্দশায় মৃত্যুবরণ করেন এবং তাকে বাকী’তে দাফন করা হয়। ইমাম সাদিক (আ.) তার জানাযা এবং দাফন প্রক্রিয়া প্রকাশ্যে সম্পন্ন করেন এবং লোকজনকে তার মৃত্যুর ব্যাপারে সাক্ষী রাখেন, যাতে তাকে কেন্দ্র করে ইমামত ও মওউদ (প্রতীক্ষিত) সংক্রান্ত সন্দেহের অবসান ঘটে। অনুরূপভাবে, রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে ইসমাঈলের মৃত্যুর সময়ে বাদাঅ (আল্লাহ’র পক্ষ থেকে কোন গোপন বিষয়ের প্রকাশ) সংঘটিত হয়েছে। কেননা, শিয়াদের কেউ কেউ তাকে ইমাম মনে করতেন এবং তার মৃত্যুর মাধ্যমে স্পষ্ট হয় যে তিনি ইমাম ছিলেন না।
জীবন ও পরিবার
ইসমাঈল, ইমাম সাদিক (আ.) ও ফাতিমার (ইমাম যয়নুল আবেদীন (আ.)-এর দৌহিত্রী) সন্তান।[১]ঐতিহাসিক সূত্রগুলোতে তার জন্মতারিখ উল্লেখিত হয় নি। তবে ১২৭ হি.[২] বা ১২৮ হি.[৩] সনে ইমাম মূসা কাযিম (আ.)-এর জন্মের সনদ এবং ইমাম কাযিম (আ.) ও ইসমাঈলের মধ্যে ২৫ বছরের পার্থক্য দ্বারা,[৪] হিজরী দ্বিতীয় শতকের প্রথম দিকে তার জন্ম অনুমান করা হয়েছে।[৫]
আলী ইবনে মুহাম্মাদ আলাভি উমরি ১৩৮ হিজরীতে ইসমাঈলের মৃত্যু বলে উল্লেখ করেছেন।[৬]অথচ তারিখে তাবারি গ্রন্থের প্রণেতা তাবারি ১৪০ হিজরীতে তার জীবিত থাকার কথা উল্লেখ করেছেন।[৭] ১৪৩[৮] ও ১৪৫ হিজরী[৯] সনগুলোও ইসমাঈলের মৃত্যুর বছর হিসেবে উল্লেখিত হয়েছে।
ইসমাঈলের বংশধারা তার সন্তান মুহাম্মাদ ও আলীর মাধ্যমে অব্যাহত থাকে।[১০]মুহাম্মাদের ইসমাঈল-এ সানি (দ্বিতীয় ইসমাঈল) ও জাফর আকবার নামের দু’জন সন্তান ছিল[১১] এবং আলী ইবনে ইসমাঈলের বংশধারাও মুহাম্মাদ নামের এক সন্তানের মাধ্যমে অবশিষ্ট থাকে।[১২]
ইসমাঈলের বংশধরেরা খোরাসান, নিশাপুর, সামেরা,[১৩] দামেস্ক,[১৪] মিসর,[১৫] আহওয়ায, কুফা, বাগদাদ,[১৬] ইয়েমেন,[১৭] ছূর,[১৮] হালাব[১৯] ও কোমের[২০] ন্যায় অঞ্চলগুলোতে বসবাস করতেন।
গ্রহণযোগ্যতা ও ব্যক্তিত্ব
শিয়া রিজালশাস্ত্রবিদ আয়াতুল্লাহ খুয়ী’র (১৩১৯/২০-১৪১২/১৩ হি.) মতে, ইসমাঈলের ব্যক্তিত্বের মূল্যায়ন সম্পর্কে দুই ধরনের রেওয়ায়েত বিদ্যমান। কিছু রেওয়ায়েতে তার প্রশংসা এবং কিছু রেওয়ায়েতে তাকে তিরস্কারের বিষয়টি প্রতীয়মান হয়।[২১] যে সমস্ত রেওয়ায়েতগুলোতে তার তিরস্কারের বিষয়টি বোধগম্য হয় সেই সব রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে মুফাযযাল ইবনে উমর এবং বাস্সাম ছিরাফি’র ন্যায় গুলুকারীদের সাথে তার সম্পর্ক ছিল এবং ইমাম সাদিক (আ.) এই সম্পর্কের ব্যাপারে অসন্তুষ্ট ছিলেন।[২২]এছাড়াও তিনি এমন মাহফিলগুলোতে যাতায়াত করতেন যার কারণে তার নৈতিক যোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।[২৩] আয়াতুল্লাহ খুয়ী তিরস্কারমূলক রেওয়ায়েতের সনদ দূর্বল বলে মনে করেন এবং প্রশংসামূলক রেওয়ায়েতগুলোকে প্রাধান্য দিয়েছেন। আর এ কারণে তিনি ইসমাঈলকে একজন সম্ভান্ত ব্যক্তি এবং তার পিতার স্নেহের পাত্র হিসেবে পরিচয় করিয়েছেন।[২৪]
কেউ কেউ খাত্তাবিয়্যাহ ফিরকার সাথে ইসমাঈলের সম্পর্ক এবং ইসমাঈলীয়া ফিরকা গঠনে তাদের ভূমিকার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। তাদের ভাষ্যমতে, ইমাম জাফর সাদিক (আ.) জীবিত থাকাকালীন সময়ে আবুল খাত্তাব এবং ইসমাঈল পরস্পরের সহযোগিতায় এমন আকীদা প্রতিষ্ঠা করেন যা হয় ইসমাঈলীয়া ফিরকার ভিত্তি।[২৫] বলা হয়ে থাকে এই দাবীর কোন দলিল নেই।[২৬] ফ্রান্সের বিশিষ্ট ইসলাম গবেষক লুইস ম্যাসাইননও আবুল খাত্তাবকে ইসমাঈলের আধ্যাত্মিক পিতা জ্ঞান করেন।[২৭]অবশ্য ইসমাঈলীয়া ফকিহ কাজী নো’মান মাগরেবি (২৮৩-৩৬৩ হি.) ইসমাঈলীয়া ফিরকা গঠনের ক্ষেত্রে আবুল খাত্তাবের কোন ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন না, বরং তাকে বিদআত প্রতিষ্ঠাকারী ও ইমাম সাদিক (আ.) তাকে অভিসম্পাত করেছেন বলে মনে করেন।[২৮]
মনসুর আব্বাসীর সাথে সম্পর্ক
হিজরী তৃতীয় শতকের বিশিষ্ট ঐতিহাসিক মুহাম্মাদ ইবনে জারির তাবারি বর্ণনা করেন যে ১৪০ হিজরীতে মনসুর আব্বাসী হজ্বের জন্য মক্কায় গিয়েছিলেন, কিছু সংখ্যক আলাভি যেমন আব্দুল্লাহ মাহায-এর সন্তান মুহাম্মাদ নাফসে যাকিয়া ও ইব্রাহিম এবং তার কিছু খোরাসানী সমর্থকও মক্কায় সমবেত হন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মনসুরকে হত্যা করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু মুহাম্মাদ বিরোধিতা করেন। ইসমাঈল এই সিদ্ধান্তের কথা মনসুরকে অবহিত করেন এবং তিনি আব্দুল্লাহকে আটক করেন এবং তার নিকট তার সন্তানদের দাবী করেন, কিন্তু আব্দুল্লাহ প্রত্যাখ্যান করেন এবং তিনি কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন এবং তার সম্পদ বিক্রি করে দেওয়া হয়।[২৯]
ইসমাঈলের ইমামতের দাবি
ইমামিয়াদের দৃষ্টিভঙ্গি
ইমামিয়া পণ্ডিতগণ ইসমাঈলের ইমামতের স্বপক্ষে কোন নাছ (রেওয়ায়েত ভিত্তিক দলিল) থাকার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেন এবং এমন রেওয়ায়েতের উল্লেখ করেন যা ইসমাঈলের ইমামতের বিষয়টিকে প্রত্যাখ্যান করে।[৩০]যেমন হাদীসে লুহ[৩১] এবং হাদীসে জাবের[৩২] সংক্রান্ত রেওয়ায়েত; যে রেওয়ায়েত অনুসারে মহানবি (স.) ১২ জন ইমামের নাম উল্লেখ করেছেন এবং সেখানে জাফর ইবনে মুহাম্মাদের পর তার সন্তান মূসা ইবনে জাফরকে ইমাম হিসেবে পরিচয় করানো হয়েছে, ইসমাঈলকে নয়। এছাড়াও ইমাম সাদিক (আ.) বিভিন্ন ক্ষেত্রে মূসা ইবনে জাফর-এর ইমামতের ঘোষণা তার নিকটতম সাহাবাদের সামনে দিয়েছিলেন। আল-কাফি,[৩৩] ইরশাদ,[৩৪] এ’লামুল ওয়ারা[৩৫] এবং বিহারুল আনওয়ার,[৩৬] প্রতিটি গ্রন্থেই মূসা ইবনে জাফরের ইমামতের নছুছ সম্পর্কে একটি করে অধ্যায় রয়েছে এবং যথাক্রমে ১৬, ২৬, ১২ ও ১৪টি রেওয়ায়েত এই সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন।[৩৭]
মৃত্যুর বিষয়টি স্পষ্ট করা
যুরারাহ ইবনে আ’ইয়ান হতে বর্ণিত রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে, ইসমাঈলের মৃত্যুর পর এবং তার দাফনের পূর্বে ইমাম সাদিক (আ.) তার নিকটতম সঙ্গীদের মধ্য হতে প্রায় ৩০ জনকে তার সন্তানের মৃত্যুর ব্যাপারে সাক্ষী রাখেন।[৩৮] এছাড়াও তার গোসল, কাফন, জানাযা এবং দাফন প্রকাশ্যভাবে সম্পন্ন করেন[৩৯] এবং নির্দেশ প্রদান করেন যেন তার পক্ষ থেকে হজ্ব পালন করা হয়।[৪০] ইমামের এই কাজের উদ্দেশ্য ছিল তার ব্যাপারে ইমামতের আকিদা ধ্বংস করা, কেননা কারও কারও ধারণা ছিল ইমাম সাদিকের (আ.) পর তিনি হবেন ইমাম।[৪১]অথচ ইসমাঈলীয়াদের কেউ কেউ বিশ্বাস করেন, ইসমাঈলের মৃত্যু সংঘটিত হয়েছিল না। তার মৃত্যুর ভান করার উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে ধোঁকা দেওয়া এবং তার ও তার আশেপাশের মানুষের প্রাণ রক্ষা করা।[৪২]
ইসমাঈলীয়াদের দৃষ্টিভঙ্গি
ইসমাঈলীয়া এমন একটি ফিরকাসমূহের নাম যারা ইমাম সাদিকের (আ.) পর তাঁর সন্তান ইসমাঈল অথবা তাঁর নাতি মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈলের ইমামতের প্রতি আকিদা পোষণ করেন।[৪৩] ইসমাঈলীয়া ফিরকাসমূহের মধ্যে মোবারাকিয়া এবং কারামাতাদের আকিদা হচ্ছে জাফর ইবনে মুহাম্মাদের পর মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল হচ্ছেন ইমাম। কেননা, ইসমাঈল ছিলেন ইমাম সাদিক (আ.)-এর জানেশীন (উত্তরাধিকারী) এবং যেহেতু তিনি তার পিতার জীবদ্দশায় ইন্তেকাল করেন, ইমাম সাদিক (আ.) ইমামতকে তার সন্তান মুহাম্মাদের নিকট সোপর্দ করেছেন। তাদের আকিদা হচ্ছে ইমাম হাসান ও হুসাইন (আ.)-এর ইমামতের পর এক ভাই হতে অন্য ভাইয়ের নিকট ইমামত হস্তান্তর জায়েয নয়।[৪৪] খালেছা বা খিতাবিয়া ইসমাঈলীয়ারাও এই আকিদা পোষণ করেন বলে সাঈদ ইবনে আব্দুল্লাহ আশআরি মনে করেন।[৪৫] ইসমাঈলীয়াদের কেউ কেউ বিশ্বাস করেন, ইসমাঈল ইবনে জাফর মৃত্যুবরণ করেন নি, বরং তিনি হচ্ছেন প্রতীক্ষিত মাহদী (মাহদী-এ মওউদ)।[৪৬]অথচ ইসমাঈলীয়া সূত্রগুলোতে এবং কাজী নো’মানের লেখনীসমূহে ইসমাঈলের ইমামত সম্পর্কে কোন সুনিশ্চিত রেওয়ায়েতের উল্লেখ নেই।[৪৭] যদিওবা হিজরী তৃতীয় শতকের শেষে এবং চতুর্থ শতকের প্রথমে ইসমাইলীয়া হিসেবে পরিচয় দেওয়া জাফর ইবনে মনসুর আল-ইয়ামান রাভীদের সিলসিলা উল্লেখ না করেই ইসমাঈলের ইমামত সম্পর্কে হাদীস সংকলন করেছেন।[৪৮] এছাড়াও কিছু সূত্রে এসেছে যে ফাতেমীয় খলিফারা শুরুতে ইসমাঈলের পরিবর্তে তার ভাই আব্দুল্লাহ আফতাহ’কে ইমাম হিসেবে পরিচয় করিয়েছেন, অতঃপর এই বিষয়টি থেকে সরে গিয়ে ইসমাঈলের ইমামতের বিষয়টি উত্থাপন করেছেন।[৪৯]
ইসমাঈল সম্পর্কে বাদাঅ
কিছু কিছু রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে ইসমাঈলের মৃত্যুর সময় বাদাঅ সংঘটিত হয়েছে, যাতে মানুষ জানতে পারে যে তিনি তার পিতার পরবর্তী ইমাম নন[৫০] কেননা, শীয়াদের একটি দল ইসমাঈলকে ইমাম সাদিকের (আ.) পরবর্তী ইমাম বলে মনে করতেন। আর পিতার জীবদ্দশায় তার মৃত্যুর মাধ্যমে এ কথা স্পষ্ট হয় যে, তিনি ইমাম ছিলেন না, বরং তার পিতার পরবর্তী ইমাম হচ্ছেন মূসা ইবনে জাফর (আ.)।[৫১] অবশ্য ইসমাঈলীয়া সূত্রগুলোতে বাদাঅ’র রেওয়ায়েতগুলোকে ইসমাঈলের ইমামতের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।[৫২]
দাফনের স্থান
ইসমাঈল মদীনার নিকটবর্তী উরাইয নামক একটি অঞ্চলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবং বাকী’তে দাফন করা হয়।[৫৩] ফাতেমীয়দের (২৯৭-৫৬৭ হি.) খেলাফতের যুগে তার কবরের উপর সমাধি নির্মিত হয়।[৫৪]তার মাজার বাকী’ কবরস্থানের বাইরে বাকী’র প্রাচীর হতে ১৫ মিটার দুরুত্বে, পশ্চিম প্রান্তে এবং বাকী’র আইম্মাদের কবরগুলোর মুখোমুখি অবস্থিত।[৫৫]ইসমাঈলের কবর শিয়াদের পক্ষ থেকে বিশেষ করে ইসমাঈলীয়রা যিয়ারত করা হতো।[৫৬]ইরানি হাজীরা মদীনা সফরে অধিকাংশই বাকী’র যিয়ারতের সময় এই ইমামজাদেহ’রও যিয়ারত করতেন এবং তাদের সফর বিবরণীতে তার মাজার সংক্রান্ত একটি বর্ণনা লিপিবদ্ধ হয়েছে।[৫৭]
মুহাম্মাদ সাদিক নাজমি’র (১৩৫৪/৫৫-১৪৩২/৩৩ হি.) ভাষ্যমতে, ১৩৯৪ হিজরীতে বাকী’র পশ্চিমের সড়ক নির্মাণের সময় ইসমাঈলের কবর সংশ্লিষ্ট চতুর্পাশের এলাকা ধ্বংস হয়ে যায় এবং এমন গুঞ্জন ছড়ায় যে শতাব্দীর পর শতাব্দী অতিক্রান্ত হওয়ার পরও তার লাশ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ইসমাঈলের মৃতদেহ বাকীত’তে স্থানান্তরিত করা হয় এবং ঐ স্থানটি হাররা শুহাদাদের পূর্বদিকে এবং হালিমা সাদিয়া’র কবরের ১০ মিটার দূরত্বে অবস্থিত।[৫৮]
তথ্যসূত্র
- ↑ শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২০৯।
- ↑ তাবারি, দালায়েলুল ইমামাহ, ১৪০৩ হি., পৃ. ৩০৩।
- ↑ তাবারসি, এ’লামুল ওয়ারা, ১৪১৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৬।
- ↑ আবু হাতেম রাযি, আল-যিনাহ, পৃ. ২৮৮ বে নাকল আয হাবীবি মাযাহেরি, “ইসমাঈল ইবনে জাফর”, পৃ. ৬৪৮।
- ↑ হাবীবি মাযাহেরি, দায়েরাতুল মাআরেফে বুযুর্গে ইসলামী, খণ্ড ৮, পৃ. ৬৪৮।
- ↑ উমরি, আল-মাজদি, ১৪০৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১০০।
- ↑ তাবারি, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৫২৪।
- ↑ যিরিকলি, আল-আ’লাম, ১৯৮০ খ্রি., খণ্ড ১, পৃ. ৩১১।
- ↑ সুবহানি, ফারহাঙ্গে আকায়েদ ওয়া মাযাহেবে ইসলামী, খণ্ড ৭, পৃ. ২৯৬।
- ↑ ফাখরে রাযি, আশ-শাযারাতুল মুবারাকাহ, ১৪০৯ হি., পৃ. ১০১।
- ↑ ফাখরে রাযি, আশ-শাযারাতুল মুবারাকাহ, ১৪০৯ হি., পৃ. ১০১।
- ↑ ফাখরে রাযি, আশ-শাযারাতুল মুবারাকাহ, ১৪০৯ হি., পৃ. ১০৩।
- ↑ বুখারি, সিররুস সালাসালাতিল আলাউয়িয়্যাহ, ১৪১৩ হি., পৃ. ৩৬।
- ↑ হামাভি, মু’জামুল বুলদান, ১৯৯৫ খ্রি., খণ্ড ২, পৃ. ৪৬৯।
- ↑ হামাভি, মু’জামুল বুলদান, ১৯৯৫ খ্রি., খণ্ড ৫, পৃ. ১৪২।
- ↑ আলাভি, আল-মাজদি, ১৪০৯ হি., পৃ. ১০৩।
- ↑ যাহাবি, তারিখুল ইসলাম, ১৪১০ হি., খণ্ড ২০, পৃ. ৩৭।
- ↑ যাহাবি, তারিখুল ইসলাম, ১৪১০ হি., খণ্ড ৩০, পৃ. ৩০৯।
- ↑ যাহাবি, তারিখুল ইসলাম, ১৪১০ হি., খণ্ড ১২, পৃ. ৪০।
- ↑ দ্র: নূরী, খাতেমাতুল মুস্তাদরাক, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৪৮৫।
- ↑ দ্র: খুয়ী, মু’জামু রিজালিল হাদীস, ১৪১০ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১২৪-১২৭।
- ↑ কাশশি, রিজালুল কাশশি, ১৪০৯ হি., পৃ. ২৪৫; খুয়ী, মু’জামু রিজালিল হাদীস, ১৪১০ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১২৫।
- ↑ দ্র: সাদুক, কামাল আল-দ্বীন, ১৩৯৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৭০।
- ↑ খুয়ী, মু’জামু রিজালিল হাদীস, ১৪১০ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১২৭।
- ↑ লুইস, The Origins of Isma'ilism, পৃ. ৪২ বে নাকল আয হাবীবি মাযাহেরি, “ইসমাঈল ইবনে জাফর”, খণ্ড ৯, পৃ. ৬৫০।
- ↑ হাবীবি মাযাহেরি, দায়েরাতুল মাআরেফে বুযুর্গে ইসলামী, খণ্ড ৯, পৃ. ৬৫০।
- ↑ দ্র: বাদভি, শাখছিয়াত কালিকাহ, পৃ. ১৯ বে নাকল আয হাবীবি মাযাহেরি, দায়েরাতুল মাআরেফে বুযুর্গে ইসলামী, পৃ. ৬৪৯।
- ↑ কাজী নো’মান, দাআয়েমুল ইসলাম, ১৩৮৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৪৯-৫০।
- ↑ তাবারি, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৫২৪।
- ↑ দ্র: সাদুক, কামাল আল-দ্বীন, ১৩৯৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৭০-৭১।
- ↑ দ্র: কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫২৭-৫২৮।
- ↑ তাবারসি, এ’লামুল ওয়ারা, ১৪১৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১৩২।
- ↑ কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩০৭-৩১১।
- ↑ শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২১৬-২২২।
- ↑ তাবারসি, এ’লামুল ওয়ারা, ১৪১৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৭-১৬।
- ↑ মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৪৮, পৃ. ১২-২৯।
- ↑ জাম-ই আয নেভিসান্দেগান, মাজমুয়ে মাকালাতে হামায়েশে সীরে ওয়া যামানেয়ে ইমাম কাযিম আলাইহিস সালাম, ১৩৯২ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ৭৯-৮১।
- ↑ নো’মানি, আল-গায়বাহ, ১৩৯৭ হি., পৃ. ৩২৮।
- ↑ নো’মানি, আল-গায়বাহ, ১৩৯৭ হি., পৃ. ৩২৮।
- ↑ ইবনে শাহরে আশুব, আল-মানাকিব, ১৩৭৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৬৬।
- ↑ দ্র: তাবারসি, এ’লামুল ওয়ারা, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫৪৬; ইবনে শাহরে আশুব, আল-মানাকিব, ১৩৭৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৬৬।
- ↑ দ্র: শাহরেস্তানি, আল-মিলাল ওয়ান নিহাল, ১৩৬৪ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ২২৬; জুওয়াইনি, তারিখে জাহান গোশায়ে, ১৩৮৫ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ১৪৬।
- ↑ দ্র: মুফিদ, আল-ফুছুলুল মুখতারাহ, ১৪১৩ হি., পৃ. ৩০৬।
- ↑ দ্র: মুফিদ, আল-ফুছুলুল মুখতারাহ, ১৪১৩ হি., পৃ. ৩০৬।
- ↑ আশআরি, আল-মাকালাতু ওয়াল ফিরাক, ১৩৬০ ফার্সি সন, পৃ. ৮১।
- ↑ দ্র: আশআরি, আল-মাকালাতু ওয়াল ফিরাক, ১৩৬০ ফার্সি সন, পৃ. ৭৯।
- ↑ হাবীবি মাযাহেরি, দায়েরাতুল মাআরেফে বুযুর্গে ইসলামী, খণ্ড ৯, পৃ. ৬৫০।
- ↑ জাফর ইবনে মনসুর আল-ইয়ামান, সিরায়ের ওয়া উসরার আল-নুতকাঅ, ১৪০৪ হি., পৃ. ২৫৬।
- ↑ ইবনে হাযম, জামহারাতু আনসাবিল আরাব, ১৪০৩ হি., পৃ. ৫৯।
- ↑ সাদুক, কিতাবুত তাওহীদ, আল-নাশর আল-ইসলামী, পৃ. ৩৩৬।
- ↑ সুবহানি, আল-বাদাঅ আলা যাওয়িল কিতাব ওয়াস সুন্নাহ, ১৩৯২ ফার্সি সন, পৃ. ১৩১।
- ↑ জাফর ইবনে মনসুর আল-ইয়ামান, সিরায়ের ওয়া উসরার আল-নুতকাঅ, ১৪০৪ হি., পৃ. ২৪৬-২৪৭।
- ↑ আলাভি, আল-মাজদি, ১৪০৯ হি., পৃ. ৯৯-১০০।
- ↑ মোতরি, আত-তা’রীফু বিমা আনাসতু আল-হিজরা, ১৪২৬ হি., পৃ. ১২১।
- ↑ নাজমি, তারিখে হারামে আইম্মায়ে বাকী’, ১৩৮০ ফার্সি সন, পৃ. ২৮৯-২৯০।
- ↑ আইয়াশি, আল-মাদীনাতুল মুনাওওয়ারাতু ফি রিহলাতিল আইয়াশি, ১৪০৬ হি., পৃ. ১৭৫।
- ↑ দ্র: সাফার নামেয়ে হাজ্বে ফারহাদ মির্যা মো’তামাদুদ্দৌলাহ, পৃ. ১৫৮।
- ↑ নাজমি, তারিখে হারামে আইম্মায়ে বাকী’, ১৩৮০ ফার্সি সন, পৃ. ৩০০-৩০২।
গ্রন্থপঞ্জি
- ইবনে হাযম, আলী, জামহারাতু আনসাবিল আরাব, বৈরুত, ১৪০৩ হি./১৯৮৩ খ্রি.।
- ইবনে শাহরে আশুব, মুহাম্মাদ, আল-মানাকিব, কোম, নাশরে আল্লামা, ১৩৭৯ হি.।
- ইবনে ইনাবা, আহমাদ, উমদাতুত তালিব, বে কৌশিশে মুহাম্মাদ হাসান আলে তালকানি, নাজাফ, ১৩৮০ হি./১৯৬১ খ্রি.।
- আশআরি, সা’দ ইবনে আব্দুল্লাহ, আল-মাকালাতুল ফিরাক, ইন্তেশাারাতে ইলমি ওয়া ফারহাঙ্গি, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৩৬০ ফার্সি সন।
- বুখারি, সাহল ইবনে আব্দুল্লাহ, সিররুস সালসালাতিল আলাউয়িয়্যাহ, ইন্তেশারাতুশ শারীফ আল-রাযি, ১৩৭১ ফার্সি সন/১৪১৩ হি.।
- বালাযুরি, আহমাদ ইবনে ইয়াহইয়া, جمل من أنساب الأشراف, তাহকিক: সুহাইল যাক্কার ও রিয়াদ আল-যিরিকলি, দারুল ফিকর-বৈরুত, ১৪১৭ হি./১৯৯৬ খ্রি.।
- জাফর ইবনে মনসুর আল-ইয়ামান, সিরায়ের ওয়া উসরার আল-নুতকাঅ, বে কৌশিশে মোস্তফা গালেব, বৈরুত, ১৪০৪ হি./১৯৮৪ খ্রি.।
- জাম-ই আয নেভিসান্দেগান, মাজমুয়ে মাকালাতে হামায়েশে সীরে ওয়া যামানেয়ে ইমাম কাযিম আলাইহিস সালাম, কোম, মারকাযে মুদিরিয়্যাতে হাওযাহায়ে ইলমিয়্যাহ, ১৩৯২ ফার্সি সন।
- জুওয়াইনি, আতা মালেক ইবনে মুহাম্মাদ, তারিখে জাহান গোশায়ে, তাসহিহ: মুহাম্মাদ কাযভীনি, তেহরান, দুনিয়ায়ে কিতাব, ১৩৮৫ ফার্সি সন।
- “হাবীবি মাযাহেরি, মাসউদ, ইসমাঈল ইবনে জাফর” দার দায়েরাতুল মাআরেফে বুযুর্গে ইসলামী (খণ্ড ৮), তেহরান।
- হামাভি, ইয়াকুত ইবনে আব্দুল্লাহ, মু’জামুল বুলদান, বৈরুত, দারু সাদির, ১৯৯৫ খ্রি.।
- খুয়ী, সাইয়্যেদ আবুল কাসিম, মু’জামু রিজালিল হাদীস, মারকাযে নাশরে আসারে শীয়া, কোম, ১৪১০ হি./১৩৬৯ ফার্সি সন।
- যাহাবি, মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ, তারিখুল ইসলাম ওয়া ওয়াফায়াতুল মাশাহির: বে কৌশিশে উমর আব্দুস সালাম, বৈরুত, দারুল কিতাব আল-আরাবি, ১৪১০ হি.।
- সুবহানি, জাফর, আল-বাদাঅ আলা যাওয়িল কিতাব ওয়াস সুন্নাহ, কোম, মুআসসাসাতুল ইমাম আল-সাদিক, ১৩৯২ ফার্সি সন।
- শাহরেস্তানি, মুহাম্মাদ আব্দুল কারিম, আল-মিলাল ওয়ান নিহাল, তাহকিক: মুহাম্মাদ বাদরান, কোম, আল-শরীফ আল-রাযি, তৃতীয় সংস্করণ, ১৩৬৪ ফার্সি সন।
- সাদুক মুহাম্মাদ ইবনে আলী, আত-তাওহীদ, বে কৌশিশে হাশেম হুসাইনি তেহরানি, তেহরান, ১৩৯৮ হি.।
- সাদুক, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, কামালুদ দ্বীন ওয়া তামামুন নি’মাহ, তাসহিহ: আলী আকবার গাফফারি, তেহরান, ইসলামিয়্যাহ, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৩৯৫ হি.।
- তাবারি, মুহাম্মাদ ইবনে জারীর, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, বৈরুত, দারুত তুরাস, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৩৮৭ হি.।
- তাবারসি, ফাযল ইবনে হাসান, এ’লামুল ওয়ারা বি আ’লামিল হুদা, কোম, আলুল বাইত, ১৪১৭ হি.।
- আলাভি, আলী ইবনে মুহাম্মাদ, আল-মাজদি ফি আনসাবিত তালিবিয়্যিন, বে কৌশিশে আল-মাহদাভি, কোম, মাক্তাবাতুন নাজাফি, ১৪০৯ হি.।
- আইয়াশি, আল-মাদীনাতুল মুনাওওয়ারাতু ফি রিহলাতিল আইয়াশি, বে কৌশিশে মুহাম্মাদ মাহযুন, কুয়েত, দারুল আরকাম, ১৪০৬ হি.।
- ফাখরে রাযি, আশ-শাজারাতুল মুবারাকাতু ফি আনসাবিত তালিবিয়্যাহ, মানশুরাতে মাক্তাবেয়ে আয়াতুল্লাহ মারআশি নাজাফি, কোম, ১৪০৯ হি.।
- ফারহাদ মির্যা, সাফার নামেয়ে ফারহাদ মির্যা, তাসহিহ: গোলাম রেযা মাজিদ তাবাতাবায়ী, মুআসসেসেয়ে মাতবুআতি ইলমি, তেহরান, ১৩৬৬ ফার্সি সন।
- কাজী নো’মান মাগরেবি, মুহাম্মাদ, দাআয়েমুল ইসলাম, মুআসসেসেয়ে আলুল বাইত আলাইহিমুস সালাম, কোম, ১৩৮৫ হি.।
- কাশশি, মুহাম্মাদ ইবনে উমর, রিজালুল কাশশি-ইখতিয়ারু মা’রিফাতির রিজাল, তালখিছ: মুহাম্মাদ ইবনে তুসি, তাসহিহ: হাসান মুস্তাফাভি, মাশহাদ, মুআসসেসেয়ে নাশরে দানেশগাহে মাশহাদ, ১৪০৯ হি.।
- কুলাইনি, মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব, আল-কাফি, তাসহিহ: আলী আকবার গাফফারি ও মুহাম্মাদ আখুন্দি, তেহরান, দারুল কুতুব আল-ইসলামিয়্যাহ, চতুর্থ সংস্করণ, ১৪০৭ হি.।
- মাজলিসী, মুহাম্মাদ বাকের, বিহারুল আনওয়ার, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসির আরাবি, ১৪০৩ হি.।
- মোতরি, মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ, আত-তা’রীফু বিমা আনাসতু আল-হিজরা মিন মাআলিমি দারুল হিজরা, তাহকিক: সুলাইমান রুহাইলি, রিয়াদ, দারাতুল মুলক আব্দুল আযিয, ১৪২৬ হি./২০০৫ খ্রি.।
- মুফিদ, মুহাম্মাদ ইবনে মুহাম্মাদ, আল-ইরশাদ ফি মা’রিফাতি হুজাজিল্লাহ আলাল ইবাদ, কোম, কনগ্রেয়ে শেইখ মুফিদ, ১৪১৩ হি.।
- মুফিদ, মুহাম্মাদ ইবনে মুহাম্মাদ, আল-ফুছুলুল মুখতারাহ, তাসহিহ: আলী মীর শারীফি, কোম, কনগ্রেয়ে শেইখ মুফিদ, ১৪১৩ হি.।
- নাজমি, মুহাম্মাদ সাদেক, তারিখে হারামে আইম্মায়ে বাকী’, কোম, মাশআর, ১৩৮০ হি.।
- নো’মানি, মুহাম্মাদ ইবনে ইব্রাহিম, আল-গায়বাহ, তাসহিহ: আলী আকবার গাফফারি, তেহরান, নাশরে সাদুক, ১৩৯৭ হি.।
- নৌবাখতি, হাসান ইবনে মূসা, ফিরাকুশ শিয়া, বৈরুত, দারুল আদ্বওয়াঅ, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৪ হি.।
- নূরী, মির্যা হুসাইন, খাতেমাতুল মুস্তাদরাক, কোম, আলুল বাইত, ১৪১৫ হি.।