ইমাম মাহদির (আ.) অন্তর্ধান

wikishia থেকে

ইমাম মাহদির (আ.) অন্তর্ধান; বারো ইমামি শিয়াদের অন্যতম বিশ্বাস, যা শিয়াদের দ্বাদশ ইমাম হযরত ইমাম মাহদির (আ.) অন্তর্ধান এবং লোকচক্ষুর অন্তরালে অবস্থানের প্রতি ইঙ্গিত করে।

শিয়া মাযহাবের শিক্ষার ভিত্তিতে ইমাম মাহদির (আ.) দু’টি অন্তর্ধান রয়েছে: প্রথমটি গায়বাতে সোগরা (স্বল্পমেয়াদী অন্তর্ধান); যার মেয়াদকাল ছিল ৬৯ বছর, আর দ্বিতীয়টি হল গায়বাতে কোবরা (দীর্ঘমেয়াদী অন্তর্ধান); যা তাঁর আবির্ভাবের সময়কাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। শিয়া আকিদার ভিত্তিতে, ইমাম মাহদি (আ.) তার গায়বাতে সোগরার যুগে বিশেষ কয়েকজন ব্যক্তি মারফত শিয়াদের সাথে যোগাযোগ করতেন, যাদেরকে নাওয়াবে আরবাআ (نواب اربعه) বলা হয়। কিন্তু গায়বাতে কোবরার যুগে ইমামের (আ.) সাথে শিয়াদের সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং এ সময়ে শিয়ারা তাদের ধর্মীয় বিষয়াগুলোতে রাভি (হাদিস বর্ণনাকারী) ও শীয়া আলেমদের শরণাপন্ন হয়ে থাকে। অবশ্য শিয়া সূত্রসমূহে বর্ণিত হাদিসগুলোতে গায়বাতের যুগে অন্তর্ধানে থাকা ইমামকে মেঘের আড়ালে থাকা সূর্যের সাথে তুলনা করা হয়েছে, যার থেকে মানুষ সর্বদা উপকৃত হচ্ছে। তার গায়বাতের নেপথ্য কারণ প্রসঙ্গে শিয়া সূত্রে বর্ণিত রেওয়ায়েতে বিভিন্ন বিষয় উল্লেখিত হয়েছে, শিয়াদেরকে পরীক্ষা করা সেগুলো মধ্যে অন্যতম।

গায়বাত প্রসঙ্গে শিয়া আলেমগণ বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা করেছেন, সেগুলোর মধ্যে ‘গায়বাতে নো’মানি’ ও শেইখ তুসি রচিত ‘গায়বাত’ গ্রন্থটি অতি প্রসিদ্ধ।

সংজ্ঞা

দ্বাদশ ইমামের গায়বাত (অন্তর্ধান)-এর প্রতি বিশ্বাস শুধুমাত্র শিয়াদের জন্য নির্দিষ্ট এবং আহলে সুন্নত এমন আকিদা পোষণ করেন না। ইমামিয়া শিয়াদের আকিদা অনুযায়ী গায়বাত বলতে, শিয়াদের দ্বাদশ ইমাম হযরত ইমাম মাহদির (আ.) লোকচক্ষুর অন্তরালে জীবন-যাপনকেই বোঝায়।[১] শিয়াদের বিশ্বাস ইমাম মাহদি (আ.) মহান আল্লাহর নির্দেশে তার আবির্ভাবের সময় হওয়া অবধি -যা নির্ধারিত নয়- লোক চক্ষুর অন্তরালে অবস্থান করবেন।[২]

গায়বাতের ধরন

তিনি কিভাবে লোক চক্ষুর অন্তরালে রয়েছেন সে প্রসঙ্গে বিভিন্ন সম্ভাবনা প্রদান করা হয়েছে:

তার শরীর অদৃশ্য: ইমাম মাহদি (আ.) জনসাধারণের দৃষ্টির অন্তরালে রয়েছেন এবং এ গোপন থাকাটা মুজিযার মাধ্যমে ঘটে থাকে।[৩] এ আকিদার ভিত্তিতে শিয়াদের দ্বাদশ ইমাম নিজে জনসাধারণকে দেখলেও অন্যরা তাকে দেখতে পায় না। সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ সাদরে’র মতে, সবচেয়ে সহজে গ্রহণযোগ্য মতগুলোর একটি হল, অত্যাচারী শাসকদের থেকে নিরাপদ থাকতে তার এই অন্তর্ধান।[৪] সাইয়্যেদ সদর উপরোক্ত অভিমতকে ‘গায়বাত’ শব্দের আভিধানিক অর্থ এবং যে সকল রেওয়ায়েতে তাকে মেঘের আড়ালে থাকা সূর্যের সাথে তুলনা করা হয়েছে[৫] সেগুলোর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করেছেন।[৬]

অজ্ঞাত অবস্থায় বসবাস: সাইয়্যেদ রেজা সাদরের ভাষায়, গায়বাতের অর্থ এই নয় যে, দ্বাদশ ইমাম পাহাড়-পর্বতে, গুহা অথবা অন্য কোন স্থানে আত্মগোপন করে আছেন, বরং তাঁর অজ্ঞাত অবস্থায় বসবাসের অর্থ হল তিনি জনগণের মাঝে অজ্ঞাত অবস্থায় জীবন-যাপন করছেন।[৭]

নাম ও অবয়ব গোপন থাকা: কিছু ক্ষেত্রে তাঁর অবয়ব জনগণের সামনে দৃশ্যমান নয়, আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে দৃশ্যমান হলেও জনগণ তাকে চেনে না। বিশিষ্ট শিয়া মারজায়ে তাক্বলিদ লুতফুল্লাহ সাফি গুলপায়গানী মনে করেন, বিভিন্ন রেওয়ায়েত এবং তাঁর সাথে সাক্ষাত প্রসঙ্গে বর্ণিত ঘটনা থেকে এ ফলাফলে পৌঁছা যায় যে, তিনি দু’ভাবেই (অদৃশ্য অথবা অজ্ঞাত অবস্থায়) গায়বাতে অবস্থান করছেন। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে দু’ অবস্থাতেই।[৮]

গায়বাতে সোগরা ও গায়বাতে কোবরা

ইমাম মাহদি দু’টি গায়বাতের অধিকারী; স্বল্পমেয়াদী গায়বাত যাকে গায়বাতে সোগরা বলা হয় ও দীর্ঘমেয়াদী গায়বাত যা ‘গায়বাতে কোবরা’ নামে পরিচিত।  শেইখ মুফিদ এ দু’টি গায়বাতকে ‘গায়বাতে কুসরা’ ও ‘গায়বাতে তুলা’ নামে উল্লেখ করেছেন।[৯] ইমাম মাহদি (আ.) তাঁর সর্বশেষ নায়েব আলী ইবনে মুহাম্মাদ সামুরির ইন্তিকালের ৬ দিন পূর্বে লেখা এক চিঠিতে গায়বাতে কোবরা’কে ‘আল-গায়বাতুত তাম্মাহ’[নোট ১] নামে উল্লেখ করেছেন এবং এই গায়বাত সম্পর্কে তিনি বলেছেন: এই গায়বাত চলাকালীন সময়ে আর কোন যুহুর (আবির্ভাব) ঘটবে না মহান প্রতিপালকের অনুমোদন না আসা পর্যন্ত।[১০]

গায়বাতে সোগরা

গায়বাতে সোগরা (স্বল্পমেয়াদী অন্তর্ধান), ইমাম মাহদির (আ.) গোপন জীবনের প্রথম পর্যায়; যা ৩২৯ হিজরীতে সমাপ্ত হয়েছে। এ গায়বাতের মেয়াদের শুরু হওয়া প্রসঙ্গে মতান্তরে এর মেয়াদকালকে ৬৯ অথবা ৭৪ বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। শেইখ মুফিদ (মৃত্যু ৪১৩) তার আল-ইরশাদ [১১] গ্রন্থে এবং তাবারসি (মৃত্যু ৫৮৪ হি.) তারা আ’লামুল ওয়ারা গ্রন্থে গায়বাতে সোগরার মেয়াদ ৭৪ বছর বলে উল্লেখ করেছেন এবং এটি ২৫৫ হিজরী (ইমাম মাহদির জন্মের বছর) থেকে শুরু হয়েছিল বলে উল্লেখ করেছেন।[১২] কিন্তু আরেকটি দলের মত হল গায়বাতে সোগরা শুরু হয়েছিল ২৬০ হিজরীতে {ইমাম হাসান আসকারীর (আ.) শাহাদাত এবং ইমাম মাহদির (আ.) ইমামত শুরুর বছর}, যার মেয়াদকাল ছিল ৬৯ বছর।[১৩]

গায়বাতে সোগরার যুগে ইমাম মাহদি (আ.) তাঁর ৪ জন নায়েব ও প্রতিনিধি মারফত শিয়াদের সাথে যোগাযোগ রাখতেন।[১৪] শিয়ারা তাদের দরখস্ত ও চিঠিগুলোকে এই নায়েবগণের মাধ্যমে ইমাম মাহদির (আ.) নিকট প্রেরণ করতেন এবং তাদের মাধ্যমেই ইমামের (আ.) পক্ষ থেকে জবাব গ্রহণ করতেন।[১৫] নাওয়াবগণের অপর যে সব তৎপরতার কথা উল্লিখিত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে গুলাত (ধর্মীয় বিষয়ে অতিরঞ্জনকারী)-দের মোকাবিলা, ইমাম মাহদির (আ.) প্রতিনিধিত্বের মিথ্যা দাবিদারদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং প্রতিনিধি নেটওয়ার্ক সুসংগঠিত করণ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।[১৬]

গায়বাতে কোবরা

গায়বাতে কোবরা (দীর্ঘমেয়াদী অন্তর্ধান); ইমাম মাহদির (আ.) গোপন জীবনের দ্বিতীয় পর্যায়, যা ৩২৯ হিজরীতে তাঁর ৪র্থ নায়েব আলী ইবনে মুহাম্মাদ সামুরির ইন্তিকালের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এবং তাঁর (আ.) আবির্ভাব অবধি অব্যাহত থাকবে।  এ সময়ে শিয়াদের সাথে ইমামের জাহেরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে এবং তিনি বিশেষ কোন ব্যক্তিকে নিজের প্রতিনিধি নির্বাচন করেন নি। এ পরিস্থিতিতে করণীয় প্রসঙ্গে শিয়াদের আকিদা হল, হাদিসের রাভিগণ এবং শিয়া আলেমগণ এ সময় তাঁর সাধারণ প্রতিনিধি (নায়েবে আম)। ইসহাক ইবনে ইয়াকুবের উদ্দেশে ইমাম মাহদির (আ.) তাওকী’র (চিঠি বা বার্তা) ভিত্তিতে নতুন উত্থাপিত বিষয়াদিতে হাদীসের রাভি (ও শিয়া ফকীহ)-দের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।[১৭] এতদসত্ত্বেও গায়বাতে কোবরার যুগে ফকীহ’র এখতিয়ার (এর সীমানা) কতটুকু বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন মত রয়েছে।[১৮] ইমাম খোমেনী ঐ তাওকী’র সূত্র ধরে বলেছেন, গায়বাতে কোবরার যুগে ইসলামি সমাজ সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় যেন ফকীহদের উপর অর্পণ করা হয়।[১৯]

গায়বাতে সোগরা ও গায়বাতে কোবরার মাঝে মূল পার্থক্য হল, গায়বাতে সোগরার যুগে ৪ জন নওয়াব ও প্রতিনিধির উপস্থিতি এবং তাদের মাধ্যমে ইমামের সাথে জনগণের যোগাযোগ। পাশাপাশি এ সময়ে ঐ প্রতিনিধিবৃন্দ জনগণের উদ্দেশে প্রদত্ত ইমামের বার্তা তাদের নিকট পৌঁছে দিতেন। কিন্তু গায়বাতে সোগরার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দ্বাদশ ইমামের সাথে সাধারণ জনগণের বাহ্যিক সম্পর্ক পরিপূর্ণরুপে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।[২০]

গায়বাতের সূচনায় শিয়াদের অবস্থা

ইমাম হাসান আসকারির (আ.) সময় এ বিষয়টি অত্যন্ত সুপ্রসিদ্ধ ছিল যে, শিয়ারা তাঁর (আ.) সন্তানের আন্দোলনের প্রতীক্ষায় রয়েছে।[২১] এ কারণেই, আব্বাসী সরকার সার্বক্ষণিক তাঁর সন্তানের সন্ধানে ছিল। ইমাম আসকারি (আ.) স্বীয় সন্তানকে শুধুমাত্র তাঁর কয়েকজন সাথী ও ঘনিষ্টজনের সামনে পরিচয় করিয়ে দেন।[২২] এ কারণে অধিকাংশ শিয়ারা ইমাম আসকারির (আ.) শাহাদাতের সময় তাঁর কোন সন্তান আছে কি নেই এ বিষয়ে অবহিত ছিল না।[২৩] অপরদিকে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তিনি তার ওসিয়ত নামায় শুধু তাঁর মায়ের নাম উল্লেখ করেছিলেন, এ কারণে ইমাম হাসান আসকারির (স.) শাহাদাতের পর প্রথম ১/২ বছর শিয়াদের একটি দল মনে করত, গায়বাতের যুগে ইমাম আসকারির (আ.) মা তাঁর নায়েব হিসেবে ইমামতের পদের অধিকারী।[২৪]

ইমাম আসকারির (আ.) শাহাদাতের পর তাঁর সাথীদের একটি দল উসমান ইবনে সাঈদ আমরির (মৃত্যুকাল ২৬০ থেকে ২৬৭ মাঝে) নেতৃত্বে এ বিষয়টি ঘোষণা দেয় যে, ইমাম আসকারির (আ.) একজন পুত্র সন্তান রয়েছেন, যিনি বর্তমানে তাঁর স্থলাভিষিক্ত এবং ইমাম।[২৫] এতদসত্ত্বেও, ইমাম আসকারির মা জীবিত থাকা সত্ত্বেও  তাঁর (আ.) ভাই জাফার নিজেকে ইমামের উত্তরাধিকারী হিসেবে দাবি করে বসে।[২৬] ইমাম আসকারির (আ.) মা এবং তাঁর ফুপু (হাকিমাহ) ইমাম আসকারির সন্তানের ইমামতের প্রতি সমর্থন জানালেও, ইমাম আসকারির বোন নিজের ভাই জাফারের ইমামতকে সমর্থন করেছিলেন।[২৭] একইভাবে নৌবাখত পরিবার উসমান ইবনে সাঈদ ও তার পুত্রকে ইমাম মাহদির (আ.) নায়েব হিসেবে স্বীকৃতি দিল।[২৮] সৃষ্ট এ পরিস্থিতি কিছু কিছু শিয়ার কিংকর্তব্যবিমূঢ় হওয়ার কারণ হয়।[২৯] আবার আরেকটি দল অন্যান্য শিয়া ফির্কায় যোগ দান করে।[৩০] একটি দল ইমাম আসকারির (আ.) ওফাত / শাহাদাতকে না মেনে তাকে ‘মাহদি’ বলে মনে করল, আরেকটি দল ইমাম হাদির (আ.) আরেক পুত্র সাইয়্যেদ মুহাম্মাদের ইমামতকে গ্রহণ করে নিয়ে ইমাম আসকারির (আ.) ইমামতকে অস্বীকার করল।[৩১] অপর একটি দল, জাফার কাযযাবকে ইমাম হিসেবে গ্রহণ করে নিল।[৩২]

তবে অবশেষে বেশীরভাগ শিয়াই ইমাম মাহদির (আ.) ইমামতকে মেনে নেয় এবং পরবর্তীতে এই দলটি ইমামিয়া শিয়াদের মূল নেতৃত্বের দায়িত্বভার হাতে তুলে নিয়।[৩৩]

গায়বাতের কারণ ও দর্শন

শিয়া গবেষকদের মতে গায়বাতের সকল কারণ ও রহস্য আমাদের নিকট স্পষ্ট নয়; কারণ বেশ কিছু রেওয়ায়েতে ইমাম মাহদির (আ.) গায়বাতের নেপথ্যে লুকায়িত প্রজ্ঞাকে ঐশী রহস্য বলে জ্ঞান করেছেন, যেগুলো তাঁর আবির্ভাবের পর স্পষ্ট হবে।[৩৪] এতদসত্ত্বেও বিভিন্ন রেওয়ায়েতে নিম্নোক্ত কয়েকটি বিষয় উল্লিখিত হয়েছে;

১। ইমাম মাহদির (আ.) জীবন সুরক্ষিত রাখতে[৩৫]

২। জনগণকে পরীক্ষার উদ্দেশ্যে,[৩৬] ইমাম মুসা ইবনে জাফার (আ.) থেকে বর্ণিত একটি রেওয়ায়েতে এসেছে যে, মহান আল্লাহ্ ‘গায়বাতে’র মাধ্যমে নিজ বান্দাদেরকে পরীক্ষা ও যাঁচাই করবেন।[৩৭] কেননা অপর কিছু রেওয়ায়েতে গায়বাতের সময়কালীন পরীক্ষাকে সবচেয়ে কঠিন ঐশী পরীক্ষা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।[৩৮] আর এ কঠিন হওয়াটা ২ দিক থেকে হবে:

(ক) গায়বাতের দীর্ঘ হওয়াটা মানুষের সন্দেহ ও দ্বিধার কারণ হবে, এমনকি কিছু মানুষ তাঁর জন্ম এবং তাঁর দীর্ঘায়ুর অধিকারী হওয়া প্রসঙ্গে সন্দেহ করবে; এ সময় শুধু পরীক্ষিত, একনিষ্ট, (ইমাম সম্পর্কে) গভীর পরিচিতির অধিকারী ব্যক্তিরাই তাঁর ইমামতের উপর বিশ্বাস পোষণ অব্যাহত রাখবে।[৩৯]

(খ) গায়বাত সময়কার কঠিন পরিস্থিতি ও বিভিন্ন অনাকাঙ্খিত ঘটনা মানুষকে এমনভাবে বদলে দেবে যে, ঈমান রক্ষা করা ও ধর্মের প্রতি বিশ্বাসে অটল থাকা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে এবং মানুষের ঈমান মারাত্মক বিপদের মুখোমুখি হবে।[৪০]


৩। যুহুর তথা আবির্ভাবের সময় পর্যন্ত ইমামের কাঁধে অপর কোন অত্যাচারী শাসকের বাইয়াত না থাকা।[৪১] কিছু কিছু রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে দ্বাদশ ইমাম কোন অত্যাচারী শাসকের হুকুমতকে সমর্থন করবেন না ও স্বীকৃতি দিবেন না, এমনকি তাকিয়্যাহ বশতও না। তিনি কোন অত্যাচারী শাসকের হুকুমতে তাকিয়্যাহ করার জন্য নির্দেশিত হন নি এবং কোন অত্যাচারী শাসকের তত্ত্বাবধানে না থেকে ধর্মীয় বিধি-বিধানকে কোনরূপ রাখঢাক করা ছাড়াই পরিপূর্ণরূপে বাস্তবায়িত করবেন।[৪২]

৪। মানুষকে শিক্ষা দেওয়া ও আদব করার জন্য।[৪৩]

৫। ইসলাম ধর্মের সার্বজনীনতার জন্য পর্যাপ্ত রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্র প্রস্তুত না থাকা

গায়বাতের বিষয়টি ইতিপূর্বে কিছু কিছু নবির (আলাইহিমুস সালাম) জীবনীতে আমরা দেখতে পাই।[৪৪] পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের ভিত্তিতে, হযরত সালেহ (আ.), হযরত ইউনুস (আ.),[৪৫] হযরত মুসা (আ.),[৪৬] হযরত ঈসা (আ.)হযরত খিযির (আ.) তাদের উম্মতের পরীক্ষার মত অন্যান্য কারণে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। কিছু কিছু রেওয়ায়েতে নবিগণের গায়বাত তথা অন্তর্ধানের (কিছুকাল লোকচক্ষুর অন্তরালে অবস্থান) বিষয়টি তাঁদের সুন্নত হিসেবে উল্লিখিত হয়েছে, যা বিভিন্ন উম্মতের মাঝে আমরা দেখতে পাই।[৪৭]

শেইখ তুসীর ভাষায়, গায়বাতের ক্ষেত্রে জনসাধারণেরও ভূমিকা রয়েছে। জনগণ (মুকাল্লিফগণ) নিজেদের কার্যকলাপ, ইমামের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ানো, তাঁর জন্য অনিরাপদ পরিবেশ তৈরি ও তাঁর প্রতি আত্মসমার্পিত না হওয়ার মাধ্যমে গায়বাতের ক্ষেত্রকে প্রস্তুত করে নিজেদেরকে ইমামের উপস্থিতি এবং তার থেকে সরাসরি উপকৃত হওয়া থেকে বঞ্চিত করেছে।[৪৮]বিশিষ্ট শিয়া দার্শনিক ও মুতকাল্লিম (কালাম শাস্ত্রবিদ) খাজা নাসিরুদ্দীন তুসী তার তাজরীদুল এ’তেকাদাত গ্রন্থে ইমামের গায়বাতের কারণ হিসেবে জনসাধারণের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছেন।[৪৯]

গায়বাত সংশ্লিষ্ট গ্রন্থাবলি

ইমাম মাহদির (আ.) গায়বাত সম্পর্কে বিভিন্ন গ্রন্থ রচিত হয়েছে; যেমন নো’মান রচিত ‘আল-গায়বাতুন নো’মানিয়া’ (৩৪২ হিজরীতে রচিত), শেইখ সাদুক (মৃত্যু ৩৮১ হি.) রচিত ‘কামালুদ্দীন’, শেইখ তুসী রচিত ‘আল-গাইবাহ’ ইত্যাদি এ প্রসঙ্গে লেখা সবচেয়ে পুরাতন গ্রন্থগুলোর অন্যতম।[৫০] এছাড়া অপর যে প্রসিদ্ধ গ্রন্থগুলো এ বিষয়ে রচিত হয়েছে সেগুলো হল;

জাসেম হুসাইন রচিত The Occultation of the Twelfth Imam, A Historical Background; গ্রন্থে লেখক ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে ‘মাহদিজম’ এবং সাযমানে ভেকালাত (প্রতিনিধি নেটওয়ার্ক) ও গায়বাতে সোগরার যুগে এর ভূমিকা ইত্যাদি বিষয়ের উপর আলোকপাত করেছেন। মুহাম্মাদ তাকী আয়াতুল্লাহি গ্রন্থটিকে ‘তারিখে সিয়াসীয়ে গায়বাতে ইমামে দাভাযদাহোম’ শিরোনামে ফারসিতে অনুবাদ করেছেন।

শেইখ মুফিদ রচিত ‘আরবাআ রিসালাত ফিল গাইবাহ’; গ্রন্থটি ৪টি সন্দর্ভ সমন্বিত, এতে ইমাম মাহদি (আ.) সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়কে প্রশ্নোত্তর আকারে উল্লেখ করা হয়েছে এবং চতুর্থ সন্দর্ভে ইমাম মাহদির গায়বাতের কারণ বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

শেইখ মুফিদ রচিত ‘আল-ফুসুলুল আশারাহ ফীল গাইবাহ ইয়া আল-মাসায়িলুল আশর ফীল গাইবাহ’; এতে ইমাম মাহদি (আ.) সম্পর্কে ১০ সংশয়ের উত্তর প্রদান করা হয়েছে।

সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ সাদর কর্তৃক ৪ খণ্ডে রচিত ‘মাওসুআতুল ইমামিল মাহদি’; এর প্রথম খণ্ডে গায়বাতে সোগরা, দ্বিতীয় খণ্ডে গায়বাতে কোবরা এবং অপর দুই খণ্ডে গায়বাত পরবর্তী সময় নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র

  1. আল-গাইবাহ, ১৩৯৭ হি, খণ্ড ৬১; শেখ তুসী, আল-গাইবাহ, ১৪১১ হি., পৃ. ১৬৪।
  2. শেখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪২৬ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩৪০।
  3. সাফি গুলপায়গানী, পাসোখে দাহ পোরসেশ, ১৩৭৫ ফার্সি সন, পৃ. ৭১; সাদর, তারিখুল গাইবাতিল কুবরা, ১৪১২ হি., পৃ. ৩১-৩২।
  4. সাদর, তারিখুল গাইবাতিল কুবরা, ১৪১২ হি., পৃ. ৩১-৩২।
  5. সালিমিয়ান, দারস নামেয়ে মাহদাভিয়াত, ১৩৮৮ ফার্সি সন, পৃ. ৩৯।
  6. সাদর, তারিখুল গাইবাতিল কুবরা, ১৪১২ হি., পৃ. ৩১-৩২।
  7. সাদর, রাহে মাহদি (আ.ফা.), ১৩৭৮ ফার্সি সন, পৃ. ৭৮।
  8. সাফি গুলপায়গানী, পাসোখে দাহ পোরসেশ, ১৩৭৫ ফার্সি সন, পৃ. ৭০।
  9. শেখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪০৬ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩৪০।
  10. শেইখ তুসী, আল-গাইবাহ, ১৪১১ হি., পৃ. ৩৯৫।
  11. শেখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪২৬ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩৪০।
  12. তাবারসি, এ’লামুল ওয়ারা বি এ’লামিল হুদা, ১৪১৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২৫৯-২৬০।
  13. সাদর, তারিখুল গাইবাতিল সোগরা, ১৪১২ হি., পৃ. ৩২৯-৩৪২।
  14. শেইখ তুসী, আল-গাইবাহ, ১৪১১ হি., পৃ. ১৭৩-১৭৪।
  15. গাফ্ফার যাদেহ, যেন্দেগানিয়ে নাভভাবে খাসসে ইমামে যামান, ১৩৭৯ ফার্সি সন, পৃ. ৮৬-৮৭।
  16. জাব্বারি, “বাররাসিয়ে তাতবিকিয়ে সাযেমানে দাভাতে আব্বাসিয়ান ওয়া সাযেমানে ভেকালাতে ইমামিয়ে (মারাহেলে শেকলগিরি ওয়া আভামেলে পেইদায়েশ)”, পৃ. ৭৫-১০৪; শেইখ তুসী, আল-গাইবাহ, ১৪১১ হি., পৃ. ১০৯, ২২৫ ও ২২৬।
  17. শেইখ সাদুক, কামালুদ্দীন, ১৩৯৫ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪৮৪।
  18. ফাযেল লাঙ্কারানি, মাশরুইয়্যাত ওয়া জারুরাতে এজরায়ে হদুদে ইসলামি দার যামানে গায়বাত, ১৪৩০ হি., পৃ. ১০।
  19. দ্র: ইমাম খোমেনী, কিতাবুল বেই’, ১৪২১ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৬৩৫।
  20. সাদর, তারিখুল গাইবাতিল সোগরা, ১৪১২ হি., পৃ. ৩৪১-৩৪৫।
  21. শেখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪২৬ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩৪০।
  22. হুসাইন, তারিখে সিয়াসিযে গায়বাতে ইমামে দাভাযদাহোম, ১৩৭৭ ফার্সি সন, পৃ. ১০২।
  23. নৌবাখতি, ফিরাকুশ শিয়া, ১৩৫৫ ফার্সি সন, পৃ. ১০৫; শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪২৬ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩৩৬।
  24. শেইখ সাদুক, কামালুদ্দীন, ১৩৯৫ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৫০৭।
  25. শেইখ সাদুক, কামালুদ্দীন, ১৩৯৫ হি., পৃ. ৯২-৯৩।
  26. শেখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪২৬ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩৪৫।
  27. মুদাররেসি তাবাতাবায়ী, মাক্তাব দার ফারায়ান্দে তাকামুল, ১৩৮৮ ফার্সি সন, পৃ. ১৬১-১৬২।
  28. মুদাররেসি তাবাতাবায়ী, মাক্তাব দার ফারায়ান্দে তাকামুল, ১৩৮৮ ফার্সি সন, পৃ. ১৬২।
  29. শেইখ সাদুক, কামালুদ্দীন, ১৩৯৫ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪২৬, ৪২৯, ৪৮৭।
  30. শেইখ সাদুক, কামালুদ্দীন, ১৩৯৫ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪০৮।
  31. সাবেরি, তারিখে ফেরাকে ইসলামি, ১৩৯০ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ১৯৭, পাদটীকা ২।
  32. নৌবাখতি, ফিরাকুশ শিয়া, ১৩৫৫ ফার্সি সন, পৃ. ১০৭-১০৯; আশআরী কুম্মি, আল-মাকালাতু ওয়াল ফিরাক, পৃ. ১১০-১১৪; শেইখ সাদুক, কামালুদ্দীন, ১৩৯৫ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪০৮।
  33. সাইয়্যেদ মুর্তাযা, আল-ফুসুলুল মুখতারাহ, ১৪১৩ হি., পৃ. ৩২১।
  34. শেইখ সাদুক, কামালুদ্দীন, ১৩৯৫ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২৮২।
  35. নো’মানি, আল-গাইবাহ, ১৩৯৭ হি., পৃ. ১৭৭; শেইখ তুসী, আল-গাইবাহ, ১৪১১ হি., পৃ. ৩৩৪।
  36. নো’মানি, আল-গাইবাহ, ১৩৯৭ হি., পৃ. ২০৫; শেইখ তুসী, আল-গাইবাহ, ১৪১১ হি., পৃ. ৩৩৯।
  37. শেইখ তুসী, আল-গাইবাহ, ১৪১১ হি., পৃ. ২০২।
  38. শেইখ তুসী, আল-গাইবাহ, ১৪১১ হি., পৃ. ২০৩-২০৭।
  39. ফেইয কাশানি, ১ম অধ্যায়, অষ্টম পাঠ, পৃ. ১০১।
  40. শেইখ তুসী, আল-গাইবাহ, ১৪১১ হি., পৃ. ২০২।
  41. নো’মানি, আল-গাইবাহ, ১৩৯৭ হি., পৃ. ১৭১, ১৯১; শেইখ তুসী, আল-গাইবাহ, ১৪১১ হি., পৃ. ৩৯৫।
  42. শেইখ সাদুক, কামালুদ্দীন, ১৩৯৫ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪৮০।
  43. নো’মানি, আল-গাইবাহ, ১৩৯৭ হি., পৃ. ১৪১।
  44. সালিমিয়ান, দারস নামেয়ে মাহদাভিয়াত, ১৩৮৮ ফার্সি সন, পৃ. ৪১।
  45. আম্বিয়া, আয়াত ৮৭।
  46. বাকারা, আয়াত ৫১।
  47. শেইখ সাদুক, কামালুদ্দীন, ১৩৯৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩২৩।
  48. শেইখ তুসী, আল-গাইবাহ, ১৪১১ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৭।
  49. তুসী, তাজরীদুল এ’তেকাদ, ১৪০৭ হি., পৃ. ২২১।
  50. তাবাতাবায়ী, তারিখে হাদিসে শিয়া, ১৩৯৫ ফার্সি সন, পৃ. ৩৮-৩৯।

গ্রন্থপঞ্জি

  • ইবনে শাহর আশুব মাযান্দারানি, মুহাম্মাদ বিন আলী, মানাকেবু আলে আবি তালিব, কোম, আল্লামা, ১৩৭৯ হি.।
  • ইরবিলি, আলী ইবনে ঈসা, কাশফুল গুম্মাহ ফি মা’রিফাতিল আয়িম্মাহ, তাহকিক: সাইয়্যেদ রাসূলী মাহাল্লাতি, বৈরুত, ১৪০১ হি./১৯৮১ খ্রি.।
  • আশআরী কুম্মি, সা’দ বিন আব্দুল্লাহ, আল-মাকালাতু ওয়াল ফিরাক, তাহকিক: মুহাম্মাদ জাওয়াদ মাশকুর, তেহরান, ইন্তেশারাতে ইলমি ওয়া ফারহাঙ্গি, ১৩৬১ ফার্সি সন।
  • ইমাম খোমেনী, সাইয়্যেদ রুহুল্লাহ, কিতাবুল বেই’, কোম, ইন্তেশারাতে ইসমাঈলিয়ান, ১৩৬৩ ফার্সি সন।
  • হাসান যাদেহ আমুলী, হাসান, নাহজুল বিলায়াহ: বাররাসিয়ে মুস্তানাদ দার শেনাখতে ইমামে জামান আলাহিস সালাম, কোম, নাশরে কিয়াম, তারিখ অজ্ঞাত।
  • হুসাইন, জসিম, তারিখে সিয়াসিয়ে গায়বাতে ইমামে দাভাযদাহোম, তরজমা: সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ তাক্বী আয়াতুল্লাহি, তেহরান, আমীর কাবির, ১৩৭৭ ফার্সি সন।
  • সালিমিয়ান, খোদা মুরাদ, দারস নামেয়ে মাহদাভিয়াত(২): হযরত মাহদি ওয়া দৌরানে গায়বাত, কোম, বুনিয়াদে ফারহাঙ্গিয়ে হযরত মাহদি মাওউদ, ১৩৮৮ ফার্সি সন।
  • সাইয়্যেদ মুর্তাযা, আলী ইবনে হুসাইন, আল-ফুসুলুল মুখতারাহ মিনাল উয়ুন ওয়াল মাহাসিন, কোম, আল-মু’তামারুল আলামি লি আলফিয়াতিল শেইখ আল-মুফিদ, ১৪১৩ হি.।
  • শেইখ সাদুক, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, কামালুদ্দীন ওয়া তামামুন নি’মাহ, তেহরান, দারুল কুতুব আল-ইসলামিয়্যাহ, ১৩৯৫ হি.।
  • শেইখ তুসী, মুহাম্মাদ বিন হাসান, আল-গাইবাহ, তাসহিহ: ইবাদুল্লাহ তেহরানি ওয়া আলী আহমাদ নাসেহ, কোম, দারুল মাআরিফ আল-ইসলামিয়্যাহ।
  • শেইখ মুফিদ, মুহাম্মাদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে নো’মান, আল-ইরশাদ ফি মা’রেফাতি হুজাজুল্লাহি আলাল ইবাদ, কোম, মুহিব্বিন, ১৪২৬ হি./ ১৩৮৪ ফার্সি সন।
  • সাবেরি, হুসাইন, তারিখে ফেরাকে ইসলামি, তেহরান, সাযেমানে মোতালেঅ ওয়া তাদভীনে কুতুবে উলুমে ইনসানিয়ে দানেশগাহা, ১৩৯০ ফার্সি সন।
  • সাফি গুলপায়গানী, লুতফুল্লাহ, পাসোখে দাহ পোরসেশ, কোম, মুআসসেসেয়ে ইন্তেশারাতে হযরত মা’সূমা, ১৩৭৫ ফার্সি সন/১৪১৭ হি.।
  • সাদর, সাইয়্যেদ রেযা, রাহে মাহদি (আ.ফা.), বে এহতেমামে সাইয়্যেদ বাকের খসরু শাহি, কোম, বুস্তানে কিতাব, ১৩৭৮ ফার্সি সন।
  • সাদর, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ, তারিখুল গাইবাতিল সোগরা, বৈরুত, দারুল তাআরুফ, ১৪১২ হি./১৯৯২ খ্রি.।
  • তাবাতাবায়ী, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ কাযিম, তারিখে হাদিসে শিয়া: আসরে গায়বাত, কোম, দারুল হাদিস, ১৩৯৫ ফার্সি সন।
  • তাবারসি, ফাযল ইবনে হাসান, এ’লামুল ওয়ারা বি আ’লামিল হুদা, কোম, মুআসসাসাতু আলিল বাইত লি ইহিয়ায়িত তুরাস, ১৪১৭ হি.।
  • তুসী, খাজা নাসিরুদ্দীন, তাজরীদুল এ’তেকাদ, তাসহিহ: মুহাম্মাদ জাওয়াদ হুসাইনি জাল্লালি, তেহরান, মাক্তাবাতুল আ’লাম আল-ইসলামি, ১৪০৭ হি.।
  • ফাযেল লাঙ্কারানি, মুহাম্মাদ জাওয়াদ, মাশরুইয়্যাত ওয়া জারুরাতে এজরায়ে হদুদে ইসলামি দার জামানে গায়বাত, কোম, মারকাযে ফিকহিয়ে আয়িম্মে আতহার, ১৪৩০ হি.।
  • মুদাররেসি তাবাতাবায়ী, সাইয়্যেদ হুসাইন, মাক্তাব দার ফারায়ান্দে তাকামোল: নাযারি বার তাতাভভোর মাবানিয়ে ফিকরিয়ে তাশায়্যু’ দার সে কার্নে নাখোসতিন, তরজমা:হাশেম ইয়াযদ পানাহ, তেহরান, কাভির, ১৩৩৮৮ ফার্সি সন।
  • নো’মানি, মুহাম্মাদ ইবনে ইব্রাহিম, আল-গাইবাহ, তেহরান, নাশরে সাদুক, ১৩৯৭ হি.।
  • নৌবাখতি, হাসান ইবনে মুসা, ফিরাকুশ শিয়া, তাসহিহ: মুহাম্মাদ সাদেক আলে বাহরুল উলুম, নাজাফ, আল-মাক্তাবাতুল মুর্তাযাভিয়্যাহ, ১৩৫৫ হি.।
  • ইয়াকুত হামাউয়ি, মু’জামুল আদবা’, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪০০ হি.।