ইমাম আলী (আ.)-এর শাহাদাত

wikishia থেকে

ইমাম আলী (আ.)-এর শাহাদাত (আরবি: استشهاد الإمام علي عليه السلام) হিজরী প্রথম শতকের অন্যতম ঘটনা যা শিয়াদের সার্বিক পরিস্থিতির উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। ইমাম আলীর (আ.) শাহাদাতের মাধ্যমেই শিয়াদের হত্যা ও দুর্দশার সূচনা এবং ইমাম আলীর (আ.) সৈন্যদলগুলোর পতন ঘটে। ইমামের শাহাদাতের সাথে সাথেই কুফার লোকজনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রবণতা, মতবিরোধসমূহ এবং বিদ্বেষ পরিলক্ষিত হয়। ইমাম আলী (আ.)-এর কিছু কিছু সাহাবী ইমামের শাহাদাতের পর কুফার সৈন্যদলকে এমন একটি পশুপালের সাথে তুলনা করেছেন, যে তার রাখালকে হারিয়েছে এবং নেকড়েগুলো তাদেরকে সব দিক থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছে।

খারেজীদের একটি দল হজ্ব অনুষ্ঠানের পর সমবেত হয় এবং মুসলমানদের অবস্থা সম্পর্কে নিজেদের মধ্যে অভিযোগ-অনুযোগ করে। পরিশেষে, তিন ব্যক্তি প্রতিজ্ঞা করে যে আলী (আ.), মুয়াবিয়া এবং উমর ইবনে আছকে হত্যা করবে। ইবনে মুলজাম অঙ্গীকার করে আলী (আ.)-কে হত্যা করবে। ইমাম আলী (আ.) ১৯ রমজানের রাত্রে স্বীয় কন্যা উম্মু কুলসুমের মেহমান ছিলেন। তিনি ফজরের আযানের পূর্বে মসজিদে যান। মসজিদে শুয়ে থাকা ব্যক্তিদেরকে যেমন ইবনে মুলজামকে নামাযের জন্য ঘুম থেকে জাগ্রত করেন এবং মেহরাবে নামাযে দাঁড়ান।

ইবনে মুলজাম সিজদার সময় অথবা সিজদা থেকে উঠার সময় তলোয়ার দিয়ে ইমামের মাথায় আঘাত করে। ইমামকে বাড়িতে নেওয়া হয় এবং আসির ইবনে উমর নামক অভিজ্ঞ চিকিৎসক ইমামের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। আসির ছিলেন তাবেঈনদের একজন এবং যখন বুঝতে পারলেন যে আঘাত মগজ পর্যন্ত পৌঁছেছে তখন ইমামকে ওছিয়ত করতে বলেন; কেননা, ইমাম বেশী সময় জীবিত থাকবেন না। ইমাম শাহাদাতের পূর্বে দীর্ঘ সময়ের জন্য বেঁহুশ হয়ে যেতেন। বসে বসে নামায আদায় করতেন এবং সন্তানদের উদ্দেশ্য করে ওছিয়ত করেছিলেন।

ইমাম আলী (আ.)-কে ইমাম হাসান (আ.), ইমাম হুসাইন (আ.), মুহাম্মাদ হানাফিয়া এবং আব্দুল্লাহ ইবনে জাফার গোসল দেন। ইমাম হাসান (আ.) ইমামের জানাযার নামায পড়ান। আলী (আ.)-কে রাত্রে দাফন করেন। বনি আব্বাসীয় শাসনামলে ইমাম সাদিক (আ.) সবার কাছে কবরের স্থানটি প্রকাশ না করা পর্যন্ত, খারেজীদের কর্তৃক কবর খুঁড়ে লাশ উত্তোলন এবং বনি উমাইয়াদের শত্রুতা রোধ করার জন্য ইমাম আলী (আ.)-এর কবরের স্থানটি গোপন রাখা হয়েছিল।

শিয়াদের অবস্থার উপর ইমাম আলীর (আ.) শাহাদাতের প্রভাব

ইমাম আলী (আ.) ৪০ হিজরী সনের রমজান মাসে শহীদ হন।[১]ইমামের শাহাদাত এমন এক সময় সংঘটিত হয় যখন ব্যাপক সমস্যা বিদ্যমান ছিল; সৈন্য বাহিনী পরিপূর্ণরূপে ইমামকে অনুসরণ করতো না এবং তাঁকে সাহায্যের ক্ষেত্রে অবহেলা করতো। অন্যপক্ষে, শামের বাহিনী মুয়াবিয়ার নেতৃত্বে বিশাল শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল।[২] ঐ সময়টাতে মুয়াবিয়া পরিবেশ-পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে ইমাম আলীর (আ.) শাসন ব্যবস্থার বিভিন্ন দিক লক্ষ্য করে হামলা করে ইমাম আলীর (আ.) অনুসারী ও শীয়াদেরকে হত্যা এবং তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করতো।[৩]

ইমাম আলী (আ.) শাম অভিমুখে অগ্রসর এবং মুয়াবিয়ার সাথে যুদ্ধের জন্য সৈন্য বাহিনী প্রস্তুত করার সময় ইবনে মুলজামের আঘাতের শিকার হন।[৪] ইমাম আলী (আ.)-এর শাহাদাত কুফার সৈন্য বাহিনীর মধ্যে ফাটলের সৃষ্টি করেছিল; এমনভাবে যে নাওফ বাকালি ইমাম আলী (আ.)-এর সঙ্গী-সাথীদের হতে বর্ণনা করেছেন, সৈন্যরা যখন শামের দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখন আলী (আ.) ইবনে মুলজাম কর্তৃক আঘাত প্রাপ্ত হন এবং সৈন্যরা কুফায় ফিরে আসে। নাওফ ঐ সময়কার ইমাম আলীর বাহিনীকে এমন একটি পশুর পালের সাথে তুলনা করেছেন যে কিনা তার রাখালকে হারিয়েছে এবং নেকড়েগুলো তাদেরকে সব দিক থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছে।[৫]

ইমাম আলীর (আ.) শাহাদাতের পর কুফার অধিবাসীরা ইমাম হাসান (আ.)-এর নিকট বাইয়াত করেন; কিন্তু কিছু কিছু গবেষকের ভাষ্য মতে, মানুষের মাঝে বিভিন্ন ধরনের প্রবণতা, মতবিরোধসমূহ এবং ক্ষোভসমূহের বহিঃপ্রকাশ ব্যতীত কুফার বাস্তবতা আর কিছুই ছিল না। এই কারণেই শাম বাহিনীর বিরুদ্ধে ইমাম হাসান (আ.)-এর বাহিনীর প্রতিরোধ করার সক্ষমতা ছিল না।[৬] প্রখ্যাত শিয়া ইতিহাস গবেষক আয়াতুল্লাহ সুবহানী বিশ্বাস করেন যে, ইমাম আলীর (আ.) শাহাদাত ছিল মুসলিম সমাজের বুকে গুরুতর আঘাত এবং এর ফলেই শত্রুদের দ্বারা শিয়াদের হত্যা, আক্রমণ ও হয়রানির সূত্রপাত ঘটে।[৭] ইমামের শাহাদাতের সাথে সাথেই এবং ইমাম হাসান (আ.)-এর সংক্ষিপ্ত হুকুমতকালের পর বনি উমাইয়া যুগের সূচনা হয়, যা ছিল শিয়াদের জন্য সবচেয়ে কঠিন সময়।[৮] মুয়াবিয়া ক্ষমতা গ্রহণের সাথে সাথেই শিয়াদের পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। ইবনে আবিল হাদীদ বলেন, শিয়ারা যেখানেই ছিল, হয় তাদেরকে হত্যা করা হত নতুবা তাদের হাত ও পা কর্তন করা হত অথবা তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করা হত এবং তাদেরকে বন্দী করা হত।[৯]

শিয়ারা আলী (আ.)-এর শাহাদাতকে কেন্দ্র করে রমজান মাসের ২১তম রাতে, যা সম্ভাব্য শবে ক্বদরের রাত,[১০] শোক পালন করে থাকে।[১১] এই রাতে ইরানের কিছু কিছু অঞ্চলে ‘তা’যিয়ে-এ কাম্বার ও হযর আলী (আ.)’ নামক তা’যিয়া অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করা হয়।[১২] এছাড়াও এই রাত্রে কিছু কিছু শিয়ারা খাদ্য, ইফতারীসেহরী বিতরণ করেন।[১৩] ১৯ এবং ২০তম রাতের একটি আমল হচ্ছে «اللّهمَّ العَن قَتلَةَ اَميرالمُومِنين» অর্থাৎ হে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন! আলীর (আ.) হত্যাকারীর উপর অভিসম্পাত বর্ষণ করুন, ১০০ বার পাঠ করা।[১৪]

আলী (আ.) কি তাঁর শাহাদাতের বিষয়টি অবগত ছিলেন?

কোন কোন রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে, ইমাম আলী (আ.) তাঁর শাহাদাতের খুঁটিনাটি বিষয় যেমন, সময় এবং এর ধরণ সম্পর্কে অবগত ছিলেন।[১৫] শিয়াদের কুতুবে আরবাআ’র অন্যতম কিতাবুল কাফিতে এই সম্পর্কিত একটি অধ্যায় রয়েছে যে ইমামগণ জানেন কোন সময়ে মুত্যুবরণ করবেন।[১৬] শেইখ মুফিদ, আল্লামা হিল্লি এবং সাইয়্যেদ মুর্তাযাও তাদের গ্রন্থগুলোতে এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন।[১৭] শিয়া কালামশাস্ত্রবিদ শেইখ মুফিদ (মৃত্যু: ৪১৩ হি.) এর ভাষ্য মতে, এ সংক্রান্ত রেওয়ায়েতগুলো মুতাওয়াতির।[১৮] তিনি এই বিষয় সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে- যদি ইমাম আলীসহ (আ.) অন্যান্য ইমামগণ তাদের মৃত্যু সম্পর্কে অবগত ছিলেন, তবে কেন তাঁদের প্রাণ রক্ষা করেন নি, দু’টো সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন:

  • হয়তো শাহাদাতের সময় ও স্থান এবং হত্যাকারী সম্পর্কে তাঁদের বিস্তারিত জ্ঞান ছিল না।
  • শাহাদাতের খুঁটিনাটি বিষয় জেনে থাকলেও সম্ভবত ধৈর্য ধরাই তাঁদের করণীয় ছিল।[১৯]

অপর একজন বিশিষ্ট শিয়া কালামশাস্ত্রবিদ সাইয়্যেদ মুর্তাযাও (মৃত্যু: ৪৩৬ হি.) বলেছেন, ইমাম আলী (আ.) তাঁর শাহাদাতের ধরন এবং হত্যাকারী সম্পর্কে অবগত ছিলেন; কিন্তু শাহাদাতের সময় সম্পর্কে জানতেন না; কেননা যদি অবগত থাকতেন তবে অবশ্যই নিজের হত্যাকাণ্ডকে এড়িয়ে যেতেন।[২০]

ইমাম আলীর (আ.) শাহাদাতে কাতামের ভূমিকা

ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতে, ইমাম আলীর (আ.) শাহাদাতের ক্ষেত্রে কাতাম বিনতে শাজনার ভূমিকা ছিল। সে ইবনে মুলজামের বিবাহ প্রস্তাবের জবাবে তার দেনমোহর হিসেবে এক হাজার দিরহাম, এক কানিয, এক গোলাম এবং আলীর (আ.) হত্যা প্রস্তাব করে।[২১] ইবনে মুলজাম এই শর্তসাপেক্ষে কাতামের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।[২২] কাতামের পিতা[২৩] এবং ভাই[২৪] নাহরাওয়ানের যুদ্ধে নিহত হয়েছিল। ৩৯ হিজরী সনে হজ্ব অনুষ্ঠানে ইমাম আলীর (আ.) প্রতিনিধি এবং মুয়াবিয়ার প্রতিনিধিদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। হজ্ব অনুষ্ঠানের পর খারেজীদের একটি দল মক্কায় সমবেত হয় এবং বলেন যে এরা কাবার পবিত্রতা রক্ষা করেন নি।[২৫] মুসলমানদের অবস্থা নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে অভিযোগ-অনুযোগ করেন এবং নাহরাওয়ানের যুদ্ধে নিহত স্বীয় আত্মীয়-স্বজনদেরকে তারা স্মরণ করেন।[২৬]পরিশেষে, আলী (আ.), মুয়াবিয়া এবং উমর ইবনে আছ-কে হত্যা করার ব্যাপারে ৩ জন প্রতিজ্ঞা করে। ইবনে মুলজাম মুরাদি আলী (আ.)-কে হত্যা করার ব্যাপারে অঙ্গীকার করে।[২৭] ইবনে মুলজাম ৪০ হিজরী সনের ২০শে শাবান কুফায় প্রবেশ করে[২৮] এবং সেখানে কাতামের সাথে তার পরিচয় হয়।[২৯]

ইমাম আলীর (আ.) আঘাত প্রাপ্ত হওয়া

ইমাম আলী (আ.) ১৯ রমজানের রাতে ইফতারের জন্য তাঁর কন্যা উম্মু কুলসুমের মেহমান ছিলেন[৩০] শিয়া ইতিহাসবিদ জাফারিয়ান উল্লেখ করেন যে, আহলে বাইত (আ.) এবং আহলে সুন্নত হতে অনেক রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে যেগুলো আঘাত প্রাপ্ত হওয়ার রাতে ইমামের বিশেষ মানসিক অবস্থার কথা উল্লেখ করেছে।[৩১] আল-কামিল গ্রন্থে[৩২] সুন্নি ঐতিহাসিক ইবনে আসিরের বর্ণনা এবং কাফি গ্রন্থের[৩৩] একটি রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে, আঘাত প্রাপ্ত হওয়ার রাতে ইমাম আলী (আ.) যখন ঘর থেকে বের হচ্ছিলেন, তখন হাঁসগুলো তাঁর সামনে আসে। আর যখন তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তখন ইমাম বলেন তাদের ছেড়ে দাও, তারা নওহা (শোকগাথা) পড়ছে। আল্লামা মাজলিসী কাফির এই রেওয়ায়েতকে যয়ীফ (দুর্বল) বিবেচনা করেছেন।[৩৪]

বিহারুল আনওয়ার গ্রন্থে আল্লামা মাজলিসীর বর্ণনা অনুসারে, ইমাম আলী (আ.) মসজিদে যান। আযানের সময় হলে নিজেই আযান দেন।[৩৫]মসজিদে ঘুমিয়ে থাকা ব্যক্তিদেরকে তিনি জাগ্রত করেন। মসজিদে উবুড় হয়ে ঘুমিয়ে থাকা ইবনে মুলজামকেও জাগ্রত করেন এবং এমন ভঙ্গিতে ঘুমোতে নিষেধ করেন।[৩৬]অতঃপর মিহরাবে নামাযে দাঁড়ান। ইবনে মুলজাম ইমামের সিজদার সময়[৩৭] অথবা সিজদা থেকে মাথা উঠানোর সময়[৩৮] তলোয়ার দিয়ে ইমামের মাথায় আঘাত করে।[৩৯] কোন কোন বর্ণনা অনুসারে, ইমাম মসজিদে প্রবেশের সময় আক্রমণের শিকার হন।[৪০] শুবাইব ইবনে বাজরাহ আশজায়ী[৪১] এবং ওয়ারদান[৪২] ইবনে মুলজামের সাথে ছিল। ইবনে মুলজাম আঘাতের পর বলেন: হুকুম শুধুমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য, তোমার এবং তোমার সঙ্গী-সাথীদের জন্য নয়।[৪৩] একটি বর্ণনায় রয়েছে, ইমাম আলী (আ.) আঘাত প্রাপ্ত হওয়ার পর জিব্রাইল আল্লাহর শপথ করেন যে হেদায়েতের ভিত্তিকে বিধ্বস্ত করা হল এবং আসমানের নক্ষত্র এবং তাক্বওয়ার প্রতীক ম্লান হয়ে গেল।[৪৪] এই বর্ণনাটি প্রাচীন সূত্রগুলোতে নেই , শুধুমাত্র শেষের দিকের কিছু কিছু সূত্রে[৪৫] এটাকে উল্লেখ করা হয়েছে।

فُزْتُ وَ رَبِّ الْکَعْبَه (ফুযতু ওয়া রাব্বিল কা’বা)

হিজরী তৃতীয় শতাব্দীর বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ইবনে কুতাইবা দীনাওয়ারি’র তথ্যের ভিত্তিতে, ইমাম আলী (আ.) আঘাত খাওয়ার পর, «فُزْتُ وَ رَبِّ الْکَعْبَه»; অর্থাৎ “কাবা’র রবের কসম! সফল হয়েছি” কথাটি উচ্চারণ করেন।[৪৬] সাইয়্যেদ রাযি,[৪৭] ইবনে শাহরে আশুবের[৪৮] ন্যায় শিয়া পণ্ডিত এবং ইবনে আসির[৪৯] ও বালাযুরির[৫০] ন্যায় সুন্নি এই কথাটি বর্ণনা করেছেন।

ইবনে আবিল হাদীদ এর ভাষ্যমতে, ইমাম আঘাত প্রাপ্ত হওয়ার পর কুফার চিকিৎসকদেরকে ইমামের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য জমা হয়েছিলেন।[৫১] আসির ইবনে উমর ইমামের (আ.) মাথার ক্ষত পর্যালোচনার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, আঘাত মস্তিষ্ক পর্যন্ত পৌঁছেছে। তাই তিনি ইমামকে ওছিয়ত করার পরামর্শ দেন; কেননা ইমাম আর বেশি সময় জীবিত থাকবেন না।[৫২]

আঘাত প্রাপ্ত হওয়ার পর ইমাম আলীর (আ.) ওছিয়তসমূহ

আঘাত প্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে শাহাদাত পর্যন্ত সময়েইমাম আলী (আ.) কর্তৃক বিভিন্ন বক্তব্য ও ওছিয়তসমূহ বর্ণিত হয়েছে। আঘাত পাওয়ার পর থেকে শাহাদাত পর্যন্ত ইমাম আলী (আ.) দীর্ঘ সময়ের জন্য বেঁহুশ হয়ে যেতেন।[৫৩] তিনি বসে বসে নামায আদায় করতেন। সন্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি ওছিয়ত করেছিলেন।[৫৪] ইমাম হাসান (আ.)ইমাম হুসাইনের (আ.) উদ্দেশ্যে তাঁর বিশেষ ওছিয়তও ছিল যা নাহজুল বালাগায় বর্ণিত হয়েছে।[৫৫] ইমাম ঐ সময়টাতে মৃত্যু সম্পর্কেও কিছু কথা বলেন।[৫৬] ইমাম আলী (আ.) ৪০ হিজরী সনের ২১শে রমজান শাহাদাতবরণ করেন।[৫৭] কিছু কিছু সূত্র ইমামের শাহাদাতের দিন হিসেবে অন্য তারিখসমূহের কথাও উল্লেখ করেছে।[৫৮]

ইবনে মুলজামের কিছাছ (প্রতিশোধ) সম্পর্কে ওছিয়ত

ইমাম আলী (আ.) ওছিয়ত করেন, ইবনে মুলজামকে যেন শুধুমাত্র একটি আঘাত করা হয়।[৫৯] যদি আঘাতের কারণে মৃত্যু হয় তার শরীর যেন ’মুসলাহ’ (বিকৃত) না করা হয়।[৬০] কিছু কিছু সূত্রানুসারে, ইমাম (আ.), ইবনে মুলজামকে খাদ্য ও পানি সরবরাহ করাসহ তার সাথে সঠিক আচরণ করার নির্দেশ প্রদান করেন।[৬১] অবশ্য কোন কোন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, ইমাম হাসান কর্তৃক ইবনে মুলজামের কিছাছের পর,[৬২] লোকজন তার লাশ পুড়িয়ে দেন।[৬৩] এছাড়াও কিছু কিছু বর্ণনায় ইবনে মুলজামের মুসলাহ করার প্রতি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।[৬৪]

দাফন সংক্রান্ত বিষয়াদী

ইমাম আলীকে (আ.) ইমাম হাসান (আ.), ইমাম হুসাইন (আ.), মুহাম্মাদ হানাফিয়া এবং আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর গোসল দেন।[৬৫] ইমাম হাসান (আ.) ইমামের জানাযার নামায পড়ান[৬৬] আলী (আ.)-কে রাতের বেলায় দাফন করেন এবং তাকে দাফন করার লক্ষ্যে কয়েকটি স্থান প্রস্তুত করা হয় যেন কবরের স্থানটি গোপন থাকে।[৬৭] খারেজীদের কর্তৃক কবর খুঁড়ে লাশ উত্তোলন[৬৮]বনি উমাইয়াদের শত্রুতা[৬৯] রোধ করার জন্য ইমাম আলী (আ.)-এর কবরের স্থানটি গোপন রাখা হয়েছিল। আব্বাসীয় হুকুমতের সময় ইমাম সাদিক (আ.) কবরের স্থানটি প্রকাশ না করা পর্যন্ত খুব কম সংখ্যক শিয়াই দাফনের স্থান সম্পর্কে অবগত ছিলেন।[৭০]নাজাফ শহরে ইমাম আলী (আ.)-এর দাফনের স্থান সম্পর্কে, যা বিভিন্ন নামে সূত্রগুলোতে উল্লেখিত হয়েছে,[৭১] শিয়াদের মধ্যে ঐক্যমত রয়েছে।[৭২]

গ্রন্থ পরিচিতি

  • مَقْتَلُ الاِمام أمیرُالمؤمنین علی بن ابی‌طالب (মাকতালুল ইমামি আমীরুল মু’মিনীন আলী ইবনে আবি তালিব) গ্রন্থটি আহলে সুন্নতের মুহাদ্দীস ইবনে আবিদ দুনিয়া (মৃত্যু: ২৮১ হি.) কর্তৃক রচিত আরবি ভাষার একটি গ্রন্থ।[৭৩] এই গ্রন্থে আলী (আ.)-এর শাহাদাত সম্পর্কিত আলোচনা হাদীস আকারে বর্ণিত হয়েছে। এই বইটি মাহমুদ মাহদাভী দামেগানি কর্তৃক ফার্সি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।[৭৪]
  • “শাহীদে তানহা (মাকতালে আমীরে মু’মেনান আলী আলাইহিস সালাম)” গ্রন্থটি সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ রেযা হুসাইনি কর্তৃক রচিত একটি গ্রন্থ।[৭৫]

তথ্যসূত্র

  1. ইবনে কাসির, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ১৩০।
  2. ইবনে কাসির, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৩২৩।
  3. জাফারিয়ান, হায়াতে সিয়াসি ওয়া ফিকরিয়ে ইমামানে শিয়া, ১৩৮১ ফার্সি সন, পৃ. ৫৩-৫৪।
  4. জাফারিয়ান, হায়াতে সিয়াসি ওয়া ফিকরিয়ে ইমামানে শিয়া, ১৩৮১ ফার্সি সন, পৃ. ১১০।
  5. নাহজুল বালাগাহ, ১৪১৪ হি., পৃ. ২৬৪।
  6. নুসাইরি রাযি, তারিখে তাহলিলিয়ে সাদরে ইসলাম, ১৩৮৪ ফার্সি সন, পৃ. ১৯১।
  7. সুবহানী, আশ-শিয়া ফি মাওকিবিত তারিখ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২২।
  8. নুসাইরি রাযি, তারিখে তাহলিলিয়ে সাদরে ইসলাম, ১৩৮৪ ফার্সি সন, পৃ. ১৩৫।
  9. ইবনে আবিল হাদীদ, শারহে নাহজুল বালাগাহ, ১৪০৪ হি., খণ্ড ১১, পৃ. ৪৩।
  10. মাজলিসী, মাররাতুল উকুল, ১৪০৪ হি., খণ্ড ১৬, পৃ. ৩৮১।
  11. মাজিদি খামেনে, “শাবহায়ে ক্বাদর দার ইরান”, পৃ. ১৯।
  12. মাজিদি খামেনে, “শাবহায়ে ক্বাদর দার ইরান”, পৃ. ২০।
  13. মাজিদি খামেনে, “শাবহায়ে ক্বাদর দার ইরান”, পৃ. ২১।
  14. কুম্মি, মাফাতিহুল জিনান, উসওয়া, ২২৬ পৃ.।
  15. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫৩০।
  16. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৫৮-২৬০।
  17. দ্র: রাব্বানি, গুলপায়গানি ওয়া রাহমানি যাদেহ, “ইলমে ইমাম বে শাহাদাত ওয়া শোবহে ন-সাযেগারিয়ে অন বা ইসমাত”, পৃ. ১১।
  18. শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩১৯।
  19. শেইখ মুফিদ, আল-মাসায়েলুল আকবারিয়্যাহ, ১৪১৩ হি., পৃ. ৬৯-৭২।
  20. সাইয়্যেদ মুর্তাযা, রাসায়েলুশ শারীফ আল-মুর্তাযা, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৩১।
  21. শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৮-১৯।
  22. ইবনে কুতাইবাহ, আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ, ১৪১০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৮০।
  23. শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৮।
  24. ইবনে কুতাইবাহ, আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ, ১৪১০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৮০।
  25. ইবনে কুতাইবাহ, আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ, ১৪১০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৭৯।
  26. ইবনে আবিল হাদীদ, শারহে নাহজুল বালাগাহ, ১৪০৪ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ১১৩।
  27. যাহাবি, তারিখুল ইসলাম, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৬০৭।
  28. ইয়াকুবি, তারিখুল ইয়াকুবি, বৈরুত, খণ্ড ২, পৃ. ২১২।
  29. শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৮।
  30. হুসাইনি মুতলাক, শহীদ তানহা, ১৩৮৬ হি., পৃ. ১১৪।
  31. জাফারিয়ান, হায়াতে সিয়াসি ওয়া ফিকরিয়ে ইমামানে শিয়া, ১৩৮১ ফার্সি সন, পৃ. ১১১।
  32. ইবনে আসির, আল-কামিল, ১৩৮৫ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৩৮৮।
  33. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৫৯।
  34. মাজলিসী, মাররাতুল উকুল, ১৪০৪ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১২২।
  35. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ৪১০ হি., খণ্ড ৪২, পৃ. ২৮১।
  36. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ৪১০ হি., খণ্ড ৪২, পৃ. ২৮১।
  37. শেইখ তুসি, আল-আমালি, ১৪১৪ হি., পৃ. ৩৬৫।
  38. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ৪১০ হি., খণ্ড ৪২, পৃ. ২৮১।
  39. ইবনে আ’সাম কুফি, আল-ফুতুহ, খণ্ড ৪, পৃ. ২৭৮।
  40. তাবারি, তারিখুত তাবারি, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ১৪৫।
  41. ইবনে সা’দ, আত-তাবাকাতুল কুবরা, ১৪১৮ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ২৫-২৮।
  42. ইবনে খালদুন, তারিখে ইবনে খালদুন, ১৪০৮ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৬৪৬।
  43. ইবনে খালদুন, তারিখে ইবনে খালদুন, ১৪০৮ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৬৪৬।
  44. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ৪১০ হি., খণ্ড ৪২, পৃ. ২৮২।
  45. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ৪১০ হি., খণ্ড ৪২, পৃ. ২৮২।
  46. ইবনে কুতাইবাহ, আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ, ১৪১০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৮০।
  47. সাইয়্যেদ রাযি, খাছায়েছুল আইম্মাহ, ১৪০৬ হি., পৃ. ৬৩।
  48. ইবনে শাহরে আশুব, মানাকিবি আলে আবি তালিব, ১৩৭৯ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১১৯।
  49. ইবনে আসীর, উসদুল গাবাহ, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৬১৮।
  50. বালাযুরি, আনসাবুল আশরাফ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪৮৮।
  51. ইবনে আবিল হাদীদ, শারহে নাহজুল বালাগাহ, ১৪০৪ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ১১৯।
  52. মাদানী শিরাজী, আত-তিরাযুল আউয়াল, ১৩৮৪ ফার্সি সন, খণ্ড ৭, পৃ. ১৪।
  53. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ৪১০ হি., খণ্ড ৪২, পৃ. ২৮৯।
  54. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ৪১০ হি., খণ্ড ৪২, পৃ. ২৯০।
  55. নাহজুল বালাগাহ, ১৪১৪ হি., পৃ. ৪২১-৪২২।
  56. নাহজুল বালাগাহ, ১৪১৪ হি., খুতবা ১৪৯, পৃ. ২০৭।
  57. শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪২৮ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৯।
  58. ইবনে খালদুন, তারিখে ইবনে খালদুন, ১৪০৮ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৬৪৫।
  59. মাকদেসি, আল-বাদউ ওয়াত তারিখ, বুর সাঈদ, খণ্ড ৫, পৃ. ২৩৩।
  60. নাহজুল বালাগাহ, ১৪১৪ হি., পৃ. ৪২২।
  61. ফিতাল নিশাবুরী, রাওযাতুল ওয়ায়েযীন, ১৩৭৫ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ১৩৭।
  62. খাযযায রাযি, কিফায়াতুল আসার, ১৪০১ হি., পৃ. ১৬২।
  63. ইবনে কাসীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৩৩০।
  64. ইবনে কুতাইবাহ, আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ, ১৪১০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৮১।
  65. ইবনে কুতাইবাহ, আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ, ১৪১০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৮১।
  66. ইবনে কুতাইবাহ, আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ, ১৪১০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৮১।
  67. ক্বায়েদান, আতবাতে অলিয়াতে ইরাক, ১৩৮৩ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ৩০।
  68. ইবনে কুতাইবাহ, আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ, ১৪১০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৮১।
  69. শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১০।
  70. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ৪১০ হি., খণ্ড ৪২, পৃ. ৩৩৮।
  71. ক্বায়েদান, আতবাতে অলিয়াতে ইরাক, ১৩৮৩ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ৩২।
  72. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ৪১০ হি., খণ্ড ৪২, পৃ. ৩৩৮।
  73. ইবনে আবিদ দুনিয়া, মাকতালু আমীরিল মু’মিনীন (আ.), ১৩৭৯ ফার্সি সন, পৃ. ১২-২৩।
  74. ইবনে আবিদ দুনিয়া, মাকতালু আমীরিল মু’মিনীন (আ.), ১৩৭৯ ফার্সি সন, পৃ. ২৩।
  75. مقتل علی (ع): شهید تنها, খানেয়ে কিতাব ওয়া আদাবিয়াতে ইরান।

গ্রন্থপঞ্জি

  • ইবনে খালদুন, আব্দুর রহমান ইবনে মুহাম্মাদ, তারিখে ইবনে খালদুন (দিওয়ানুল মুবতাদা ওয়াল খাবার), তাহকিক: খালিল শাহাদাত, বৈরুত, দারুল ফিকর, ‍দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৮ হি.।
  • ইবনে কুতাইবা, আব্দুল্লাহ ইবনে মুসলিম, আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ, তাহকিক: আলী শিরি, বৈরুত, দারুল আদ্বওয়াহ, প্রথম সংস্করণ, ১৪১০ হি.।
  • ইবনে কাসীর, ইসমাঈল ইবনে উমর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪০৭ হি.।
  • জাফারিয়ান, রাসূল, হায়াতে ফিকরি ওয়া সিয়াসিয়ে ইমামানে শিয়া, কোম, আনসারিয়ান, ১৩৮১ ফার্সি সন।
  • রাব্বানি গুলপায়গানি, আলী ওয়া মোহসেন রাহমানি যাদেহ, علم امام به شهادت و شبهه ناسازگاری آن با عصمت, দার মাজাল্লেয়ে কালামে ইসলামী, সংখ্যা ১১০, তীর ১৩৯৮ ফার্সি সন।
  • যাহাবি, মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ, তারিখুল ইসলাম, তাহকিক: উমর আব্দুল ইসলাম তাদমুরি, বৈরুত, দারুল কিতাবুল আরাবি, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৯ হি.।
  • সুবহানী, জাফর, আশ-শিয়া ফি মাওকিবিত তারিখ, কোম, মুয়াউয়িনিয়াতু শুঊন আত-তা’লিম ওয়াল বুহুস, ১৪১৩ হি.।
  • সাইয়্যেদ মুর্তাযা, আলী ইবনে হুসাইন, রাসায়েলুশ শারীফ আল-মুর্তাযা, মাহদী রেজাঈ ওয়া আহমাদ হুসাইনি আশকুরী, কোম, দারুল কুরআনিল কারিম, ১৪১৫ হি.।
  • শেইখ তুসি, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, আল-আমালি, কোম, দারুস সাকাফাহ, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৪ হি.।
  • শেইখ মুফিদ, মুহাম্মাদ ইবনে মুহাম্মাদ, আল-মাসায়েলুল আকবারিয়াহ, আলী আকবার ইলাহি খুরাসানি, কোম, আল-মু’তামারুল আলামি লি আলফিয়াতিশ শেইখুল মুফিদ, ১৪১৩ হি.।
  • তাবারি, মুহাম্মাদ ইবনে জারির, তারিখে তাবারি (তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক), তাহকিক: মুহাম্মাদ আবুল ফাযল ইব্রাহিম, বৈরুত, দারুত তুরাস, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৩৮৭ হি.।
  • ফিতাল নিশাবুরী, মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ, রাওযাতুল ওয়ায়েযীন ওয়া বাসীরাতুল মুত্তায়েযীন, কোম, ইন্তেশারাতে রাযি, প্রথম সংস্করণ, ১৩৭৫ ফার্সি সন।
  • علی آن شیر خدا شاه عرب, সাইট-এ হাওযা নেট, তারিখে বাযদিদ: ২৬ আযার ১৪০২ ফার্সি সন।
  • কুম্মি, আব্বাস, মাফাতিহুল জিনান, কোম, উসওয়া, তারিখ অজ্ঞাত।
  • কুলাইনি, মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব, আল-কাফি, তাহকিক ও তাসহিহ: আলী আকবার গাফ্ফারী, মুহাম্মাদ আখুন্দি, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়্যাহ, চতুর্থ সংস্করণ, ১৪০৭ হি.।
  • মাজলিসী, মুহাম্মাদ বাকের, বিহারুল আনওয়ার, বৈরুত, মুআসসাসাতুত তাবই ওয়া নাশর, প্রথম সংস্করণ, ১৪১০ হি.।
  • মাজলিসী, মুহাম্মাদ বাকের, মাররাতুল উকুল ফি শারহি আখবার আলির রাসূল, তাহকিক ও তাসহিহ: সাইয়্যেদ হাশেম রাসূলী, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়্যাহ, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৪ হি.।
  • মাজিদি খামেনে, ফারিদে, “শাবহায়ে ক্বাদর দার ইরান”, মাজাল্লেয়ে গোলেস্তাতে কুরআন, সংখ্যা ৩৭, আযার ১৩৯৭ ফার্সি সন।
  • মাদানী শিরাজী, আলী খান ইবনে আহমাদ, আত-তিরাযুল আউয়ালু ওয়াল কিনাযু লাম্মা আলাইহি মিন লুগাতিল আরাবিল মুআউয়াল, মাশহাদ, মুআসসাসাতু আলিল বাইত লি ইহিয়ায়িত তুরাস, প্রথম সংস্করণ, ১৩৮৪ ফার্সি সন।
  • مقتل علی (ع): شهید تنها, খানেয়ে কিতাব ওয়া আদাবিয়্যাতে ইরান, তারিখে বাযদিদ: ৩ দেই ১৪০২ ফার্সি সন।
  • মাকদেসি, মুতাহ্হার ইবনে তাহের, আল-বাদউ ওয়াত তারিখ, মাক্তাবাতুল সাকাফাতুদ দ্বীনিয়্যাহ, বুস সাঈদ, তারিখ অজ্ঞাত।
  • নুসাইরি রাযি, মুহাম্মাদ, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, কোম, দাফতারে নাশরে মাআরেফ, ১৩৮৪ ফার্সি সন।
  • ইয়াকুবি, আহমাদ ইবনে ইয়াকুব, তারিখুল ইয়াকুবি, বৈরুত, দারু সাদির, প্রথম সংস্করণ, তারিখ অজ্ঞাত।