বিষয়বস্তুতে চলুন

ব্যবহারকারী:W.Alhassan/2

wikishia থেকে

تبارنامه حضرت فاطمه زهرا


تبارنامه امام حسین

تبارنامه امام صادق

تبارنامه امام موسی کاظم

تبارنامه امام جواد

تبارنامه امام هادی

تبارنامه امام حسن عسکری

شجره‌نامه پیامبر اسلام

سوره انسان

টেক্সট
টেক্সট এবং অনুবাদ
অনুবাদ

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

﴿۱﴾ هَلْ أَتَى عَلَى الْإِنْسَانِ حِينٌ مِنَ الدَّهْرِ لَمْ يَكُنْ شَيْئًا مَذْكُورًا

﴿۲﴾ إِنَّا خَلَقْنَا الْإِنْسَانَ مِنْ نُطْفَةٍ أَمْشَاجٍ نَبْتَلِيهِ فَجَعَلْنَاهُ سَمِيعًا بَصِيرًا

﴿۳﴾إِنَّا هَدَيْنَاهُ السَّبِيلَ إِمَّا شَاكِرًا وَإِمَّا كَفُورًا

﴿۴﴾إِنَّا أَعْتَدْنَا لِلْكَافِرِينَ سَلَاسِلَ وَأَغْلَالًا وَسَعِيرًا

﴿۵﴾إِنَّ الْأَبْرَارَ يَشْرَبُونَ مِنْ كَأْسٍ كَانَ مِزَاجُهَا كَافُورًا

﴿۶﴾عَيْنًا يَشْرَبُ بِهَا عِبَادُ اللَّهِ يُفَجِّرُونَهَا تَفْجِيرًا

يُوفُونَ بِالنَّذْرِ وَيَخَافُونَ يَوْمًا كَانَ شَرُّهُ مُسْتَطِيرًا

وَيُطْعِمُونَ الطَّعَامَ عَلَى حُبِّهِ مِسْكِينًا وَيَتِيمًا وَأَسِيرًا

إِنَّمَا نُطْعِمُكُمْ لِوَجْهِ اللَّهِ لَا نُرِيدُ مِنْكُمْ جَزَاءً وَلَا شُكُورًا

إِنَّا نَخَافُ مِنْ رَبِّنَا يَوْمًا عَبُوسًا قَمْطَرِيرًا

فَوَقَاهُمُ اللَّهُ شَرَّ ذَلِكَ الْيَوْمِ وَلَقَّاهُمْ نَضْرَةً وَسُرُورًا

وَجَزَاهُمْ بِمَا صَبَرُوا جَنَّةً وَحَرِيرًا

مُتَّكِئِينَ فِيهَا عَلَى الْأَرَائِكِ لَا يَرَوْنَ فِيهَا شَمْسًا وَلَا زَمْهَرِيرًا

وَدَانِيَةً عَلَيْهِمْ ظِلَالُهَا وَذُلِّلَتْ قُطُوفُهَا تَذْلِيلًا

وَيُطَافُ عَلَيْهِمْ بِآنِيَةٍ مِنْ فِضَّةٍ وَأَكْوَابٍ كَانَتْ قَوَارِيرَا

قَوَارِيرَ مِنْ فِضَّةٍ قَدَّرُوهَا تَقْدِيرًا

وَيُسْقَوْنَ فِيهَا كَأْسًا كَانَ مِزَاجُهَا زَنْجَبِيلًا

عَيْنًا فِيهَا تُسَمَّى سَلْسَبِيلًا

وَيَطُوفُ عَلَيْهِمْ وِلْدَانٌ مُخَلَّدُونَ إِذَا رَأَيْتَهُمْ حَسِبْتَهُمْ لُؤْلُؤًا مَنْثُورًا

وَإِذَا رَأَيْتَ ثَمَّ رَأَيْتَ نَعِيمًا وَمُلْكًا كَبِيرًا

عَالِيَهُمْ ثِيَابُ سُنْدُسٍ خُضْرٌ وَإِسْتَبْرَقٌ وَحُلُّوا أَسَاوِرَ مِنْ فِضَّةٍ وَسَقَاهُمْ رَبُّهُمْ شَرَابًا طَهُورًا

إِنَّ هَذَا كَانَ لَكُمْ جَزَاءً وَكَانَ سَعْيُكُمْ مَشْكُورًا

إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا عَلَيْكَ الْقُرْآنَ تَنْزِيلًا

فَاصْبِرْ لِحُكْمِ رَبِّكَ وَلَا تُطِعْ مِنْهُمْ آثِمًا أَوْ كَفُورًا

وَاذْكُرِ اسْمَ رَبِّكَ بُكْرَةً وَأَصِيلًا

وَمِنَ اللَّيْلِ فَاسْجُدْ لَهُ وَسَبِّحْهُ لَيْلًا طَوِيلًا

إِنَّ هَؤُلَاءِ يُحِبُّونَ الْعَاجِلَةَ وَيَذَرُونَ وَرَاءَهُمْ يَوْمًا ثَقِيلً

نَحْنُ خَلَقْنَاهُمْ وَشَدَدْنَا أَسْرَهُمْ وَإِذَا شِئْنَا بَدَّلْنَا أَمْثَالَهُمْ تَبْدِيلًا

إِنَّ هَذِهِ تَذْكِرَةٌ فَمَنْ شَاءَ اتَّخَذَ إِلَى رَبِّهِ سَبِيلًا

وَمَا تَشَاءُونَ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ اللَّهُ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا يُدْخِلُ مَنْ يَشَاءُ فِي رَحْمَتِهِ وَالظَّالِمِينَ أَعَدَّ لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا

هَلْ أَتَى عَلَى الْإِنْسَانِ حِينٌ مِنَ الدَّهْرِ لَمْ يَكُنْ شَيْئًا مَذْكُورًا
মহাকালের মধ্য হতে মানুষের উপর কি এমন একটা সময় অতিবাহিত হয়নি যখন সে উল্লেখ করার যোগ্য কোন বস্তুই ছিল না?
إِنَّا خَلَقْنَا الْإِنسَانَ مِن نُّطْفَةٍ أَمْشَاجٍ نَّبْتَلِیهِ فَجَعَلْنَاهُ سَمِیعًا بَصِیرًا
আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সংমিশ্রিত শুক্রবিন্দু থেকে তাকে পরীক্ষা করার জন্য, এজন্য তাকে করেছি শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তির অধিকারী।
إِنَّا هَدَینَاهُ السَّبِیلَ إِمَّا شَاكِرًاوَإِمَّا كَفُورًا
আমি তাকে পথ দেখিয়ে দিয়েছি, হয় সে কৃতজ্ঞ হবে, না হয় সে অকৃতজ্ঞ হবে।
إِنَّا أَعْتَدْنَا لِلْكَافِرِینَ سَلَاسِلَ وَأَغْلَالًا وَ سَعِیرًا
আমি (অকৃতজ্ঞ) কাফিরদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি শেকল, বেড়ি আর জ্বলন্ত আগুন।
إِنَّ الْأَبْرَارَ یشْرَبُونَ مِن كَأْسٍ كَانَ مِزَاجُهَا كَافُورًا
(অপরদিকে) নেককার লোকেরা এমন পানপাত্র থেকে পান করবে যাতে কর্পুরের সংমিশ্রণ থাকবে।
عَینًا یشْرَبُ بِهَا عِبَادُ اللَّـهِ یفَجِّرُونَهَا تَفْجِیرًا
আল্লাহর বান্দারা একটি ঝর্ণা থেকে পান করবে। তারা এই ঝর্ণাকে (তাদের) ইচ্ছেমত প্রবাহিত করবে।
یوفُونَ بِالنَّذْرِ وَ یخَافُونَ یوْمًا كَانَ شَرُّهُ مُسْتَطِیرًا
যারা মানত পূরণ করে আর সেই দিনকে ভয় করে যার অনিষ্ট হবে সুদূরপ্রসারী।
وَ یطْعِمُونَ الطَّعَامَ عَلَیٰ حُبِّهِ مِسْكِینًا وَ یتِیمًا وَأَسِیرًا
তারা আল্লাহর প্রেমে অভাবগ্রস্ত, এতীম ও বন্দীকে আহার্য দান করে।
إِنَّمَا نُطْعِمُكُمْ لِوَجْهِ اللَّـهِ لانُرِیدُ مِنكُمْ جَزَاءً وَلَا شُكُورًا
তারা বলেঃ কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে আমরা তোমাদেরকে আহার্য দান করি এবং তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান ও কৃতজ্ঞতা কামনা করি না।
إِنَّا نَخَافُ مِن رَّبِّنَا یوْمًا عَبُوسًا قَمْطَرِیرًا
আমরা কেবল ভয় করি আমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে এক ভীতিপ্রদ ভয়ানক দিনের।
فَوَقَاهُمُ اللَّـهُ شَرَّ ذَٰلِكَ الْیوْمِ وَ لَقَّاهُمْ نَضْرَةً وَ سُرُورًا
অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে সেদিনের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন এবং তাদেরকে দিবেন সজীবতা ও আনন্দ।
وَ جَزَاهُم بِمَا صَبَرُوا جَنَّةً وَ حَرِیرًا
এবং তাদের সবরের প্রতিদানে তাদেরকে দিবেন জান্নাত ও রেশমী পোশাক।
مُّتَّكِئِینَ فِیهَا عَلَی الْأَرَائِكِ ۖ لایرَوْنَ فِیهَا شَمْسًا وَ لَا زَمْهَرِیرًا
তারা সেখানে সিংহাসনে হেলান দিয়ে বসবে। সেখানে রৌদ্র ও শৈত্য অনুভব করবে না।
وَ دَانِیةً عَلَیهِمْ ظِلَالُهَا وَ ذُلِّلَتْ قُطُوفُهَا تَذْلِیلًا
জান্নাতের বৃক্ষরাজির ছায়া তাদের উপর থাকবে, আর ফলের গুচ্ছ একেবারে তাদের নাগালের মধ্যে রাখা হবে।
وَ یطَافُ عَلَیهِم بِآنِیةٍ مِّن فِضَّةٍ وَأَكْوَابٍ كَانَتْ قَوَارِیرَا
তাদের সামনে ঘুরে ঘুরে রুপার পাত্র পরিবেশন করা হবে আর সাদা পাথরের পানপাত্র।
قَوَارِیرَ مِن فِضَّةٍ قَدَّرُوهَا تَقْدِیرًا
সেই সাদা পাথরও হবে রুপার তৈরী। তারা এগুলোকে যথাযথ পরিমাণে ভর্তি করবে।
وَ یسْقَوْنَ فِیهَا كَأْسًا كَانَ مِزَاجُهَا زَنجَبِیلًا
তাদেরকে পান করানোর জন্য এমন পাত্র পরিবেশন করা হবে যাতে আদার মিশ্রণ থাকবে।
عَینًا فِیهَا تُسَمَّیٰ سَلْسَبِیلً
সেখানে আছে একটা ঝর্ণা, যার নাম সালসাবীল।
وَ یطُوفُ عَلَیهِمْ وِلْدَانٌ مُّخَلَّدُونَ إِذَا رَأَیتَهُمْ حَسِبْتَهُمْ لُؤْلُؤًا مَّنثُورًا
ঘুরে ঘুরে তাদের সেবাদান কার্যে নিয়োজিত থাকবে চিরকিশোরগণ। তুমি যখন তাদেরকে দেখবে, তুমি মনে করবে, তারা যেন ছড়ানো মুক্তা।
وَإِذَا رَأَیتَ ثَمَّ رَأَیتَ نَعِیمًا وَ مُلْكًا كَبِیرًا
তুমি যখন দেখবে তখন দেখতে পাবে ভোগ বিলাসের নানান সামগ্রী আর এক বিশাল রাজ্য।
عَالِیهُمْ ثِیابُ سُندُسٍ خُضْرٌ وَ إِسْتَبْرَ قٌ ۖ وَ حُلُّوا أَسَاوِرَ مِن فِضَّةٍ وَ سَقَاهُمْ رَبُّهُمْ شَرَابًا طَهُورًا
তাদের আবরণ হবে চিকন সবুজ রেশম ও মোটা রেশম, আর তাদেরকে অলংকারে সজ্জিত করা হবে রুপার কঙ্কণ দ্বারা, আর তাদের রব্ব তাদেরকে পান করাবেন পবিত্র পরিচ্ছন্ন পানীয়।
إِنَّ هَـٰذَا كَانَ لَكُمْ جَزَاءً وَ كَانَ سَعْیكُم مَّشْكُورً ا
‘এটাই তোমাদের প্রতিদান, তোমাদের চেষ্টা-সাধনা সাদরে গৃহীত হয়েছে।’
إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا عَلَیكَ الْقُرْآنَ تَنزِیلًا
(হে নবী!) আমি তোমার কাছে কুরআন অবতীর্ণ করেছি ক্রমে ক্রমে (অল্প অল্প করে)।
فَاصْبِرْ لِحُكْمِ رَبِّكَ وَلَا تُطِعْ مِنْهُمْ آثِمًا أَوْ كَفُورًا
কাজেই তুমি ধৈর্য ধ’রে, তোমার প্রতিপালকের নির্দেশের অপেক্ষা কর আর তাদের মধ্যেকার পাপাচারী অথবা কাফিরের আনুগত্য কর না।
وَاذْكُرِ اسْمَ رَبِّكَ بُكْرَةً وَأَصِیلًا
আর সকাল-সন্ধ্যায় তোমার রব্ব এর নাম স্মরণ কর।
وَ مِنَ اللَّـیلِ فَاسْجُدْ لَهُ وَسَبِّحْهُ لَیلًا طَوِیلًا
আর রাতের কিছু অংশে তাঁর জন্য সেজদায় অবনত হও আর রাতের দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর মহিমা বর্ণনা কর।
إِنَّ هَـٰؤُلَاءِ یحِبُّونَ الْعَاجِلَةَ وَ یذَرُونَ وَرَاءَهُمْ یوْمًا ثَقِیلًا
এ লোকেরা তো পার্থিব জীবনকে ভালবাসে আর তাদের আড়ালে যে (কিয়ামাতের) কঠিন দিন (আসছে) তাকে উপেক্ষা করে।
نَّحْنُ خَلَقْنَاهُمْ وَ شَدَدْنَا أَسْرَهُمْ ۖ وَ إِذَا شِئْنَا بَدَّلْنَا أَمْثَالَهُمْ تَبْدِیلً
আমিই তাদেরকে সৃষ্টি করেছি আর তাদের গঠন মজবুত করেছি। আমি যখন চাইব তখন তাদের স্থলে তাদের মত অন্য লোক আনব।
إِنَّ هَـٰذِهِ تَذْكِرَةٌ ۖ فَمَن شَاءَ اتَّخَذَ إِلَیٰ رَ بِّهِ سَبِیلً
এটা এক উপদেশ, কাজেই যার ইচ্ছে সে (এ উপদেশ মান্য ক’রে) তার প্রতিপালকের পথ ধরুক।
وَ مَا تَشَاءُونَ إِلَّا أَن یشَاءَ اللَّـهُ ۚ إِنَّ اللَّـهَ كَانَ عَلِیمًا حَكِیمًا
তোমরা ইচ্ছে কর না আল্লাহর ইচ্ছে ব্যতীত। (অর্থাৎ আল্লাহ কোন কিছু কার্যকর করতে চাইলে তোমাদের মাঝে ইচ্ছে ও শক্তি সঞ্চার করতঃ তোমাদের মাধ্যমে তা কার্যকর করেন)। আল্লাহ সর্বজ্ঞাতা মহাবিজ্ঞানী।
یدْخِلُ مَن یشَاءُ فِی رَحْمَتِهِ ۚ وَ الظَّالِمِینَ أَعَدَّ لَهُمْ عَذَابًا أَلِیمًا
তিনি যাকে ইচ্ছে তাঁর রাহমাতে দাখিল করেন। আর যালিমরা- তাদের জন্য তিনি প্রস্তুত করে রেখেছেন বড়ই পীড়াদায়ক শাস্তি।

মহাকালের মধ্য হতে মানুষের উপর কি এমন একটা সময় অতিবাহিত হয়নি যখন সে উল্লেখ করার যোগ্য কোন বস্তুই ছিল না?

আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সংমিশ্রিত শুক্রবিন্দু থেকে তাকে পরীক্ষা করার জন্য, এজন্য তাকে করেছি শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তির অধিকারী।

আমি তাকে পথ দেখিয়ে দিয়েছি, হয় সে কৃতজ্ঞ হবে, না হয় সে অকৃতজ্ঞ হবে।

আমি (অকৃতজ্ঞ) কাফিরদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি শেকল, বেড়ি আর জ্বলন্ত আগুন।

(অপরদিকে) নেককার লোকেরা এমন পানপাত্র থেকে পান করবে যাতে কর্পুরের সংমিশ্রণ থাকবে।

আল্লাহর বান্দারা একটি ঝর্ণা থেকে পান করবে। তারা এই ঝর্ণাকে (তাদের) ইচ্ছেমত প্রবাহিত করবে।

যারা মানত পূরণ করে আর সেই দিনকে ভয় করে যার অনিষ্ট হবে সুদূরপ্রসারী।

তারা আল্লাহর প্রেমে অভাবগ্রস্ত, এতীম ও বন্দীকে আহার্য দান করে।

তারা বলেঃ কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে আমরা তোমাদেরকে আহার্য দান করি এবং তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান ও কৃতজ্ঞতা কামনা করি না।

আমরা কেবল ভয় করি আমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে এক ভীতিপ্রদ ভয়ানক দিনের।

অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে সেদিনের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন এবং তাদেরকে দিবেন সজীবতা ও আনন্দ।

এবং তাদের সবরের প্রতিদানে তাদেরকে দিবেন জান্নাত ও রেশমী পোশাক।

তারা সেখানে সিংহাসনে হেলান দিয়ে বসবে। সেখানে রৌদ্র ও শৈত্য অনুভব করবে না।

জান্নাতের বৃক্ষরাজির ছায়া তাদের উপর থাকবে, আর ফলের গুচ্ছ একেবারে তাদের নাগালের মধ্যে রাখা হবে।

তাদের সামনে ঘুরে ঘুরে রুপার পাত্র পরিবেশন করা হবে আর সাদা পাথরের পানপাত্র।

সেই সাদা পাথরও হবে রুপার তৈরী। তারা এগুলোকে যথাযথ পরিমাণে ভর্তি করবে।

তাদেরকে পান করানোর জন্য এমন পাত্র পরিবেশন করা হবে যাতে আদার মিশ্রণ থাকবে।

সেখানে আছে একটা ঝর্ণা, যার নাম সালসাবীল।

ঘুরে ঘুরে তাদের সেবাদান কার্যে নিয়োজিত থাকবে চিরকিশোরগণ। তুমি যখন তাদেরকে দেখবে, তুমি মনে করবে, তারা যেন ছড়ানো মুক্তা।

তুমি যখন দেখবে তখন দেখতে পাবে ভোগ বিলাসের নানান সামগ্রী আর এক বিশাল রাজ্য।

তাদের আবরণ হবে চিকন সবুজ রেশম ও মোটা রেশম, আর তাদেরকে অলংকারে সজ্জিত করা হবে রুপার কঙ্কণ দ্বারা, আর তাদের রব্ব তাদেরকে পান করাবেন পবিত্র পরিচ্ছন্ন পানীয়।

‘এটাই তোমাদের প্রতিদান, তোমাদের চেষ্টা-সাধনা সাদরে গৃহীত হয়েছে।’

(হে নবী!) আমি তোমার কাছে কুরআন অবতীর্ণ করেছি ক্রমে ক্রমে (অল্প অল্প করে)।

কাজেই তুমি ধৈর্য ধ’রে, তোমার প্রতিপালকের নির্দেশের অপেক্ষা কর আর তাদের মধ্যেকার পাপাচারী অথবা কাফিরের আনুগত্য কর না।

আর সকাল-সন্ধ্যায় তোমার রব্ব এর নাম স্মরণ কর।

আর রাতের কিছু অংশে তাঁর জন্য সেজদায় অবনত হও আর রাতের দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর মহিমা বর্ণনা কর।

এ লোকেরা তো পার্থিব জীবনকে ভালবাসে আর তাদের আড়ালে যে (কিয়ামাতের) কঠিন দিন (আসছে) তাকে উপেক্ষা করে।

আমিই তাদেরকে সৃষ্টি করেছি আর তাদের গঠন মজবুত করেছি। আমি যখন চাইব তখন তাদের স্থলে তাদের মত অন্য লোক আনব।

এটা এক উপদেশ, কাজেই যার ইচ্ছে সে (এ উপদেশ মান্য ক’রে) তার প্রতিপালকের পথ ধরুক।

তোমরা ইচ্ছে কর না আল্লাহর ইচ্ছে ব্যতীত। (অর্থাৎ আল্লাহ কোন কিছু কার্যকর করতে চাইলে তোমাদের মাঝে ইচ্ছে ও শক্তি সঞ্চার করতঃ তোমাদের মাধ্যমে তা কার্যকর করেন)। আল্লাহ সর্বজ্ঞাতা মহাবিজ্ঞানী।

তিনি যাকে ইচ্ছে তাঁর রাহমাতে দাখিল করেন। আর যালিমরা- তাদের জন্য তিনি প্রস্তুত করে রেখেছেন বড়ই পীড়াদায়ক শাস্তি।

🌞
🔄

الگو:سوره ناس

الگو:سوره فیل

الگو:سوره ماعون

    • আসহাব আইকাহ**

আসহাব আইকাহ একটি জাতি যা কুরআনে তাদের কম-বিক্রি এবং মূর্তিপূজার জন্য নিন্দা করা হয়েছে। তাফসির এবং হাদিসের উৎস অনুযায়ী, আসহাব আইকাহ তাদের নবী শুয়াইব (আ.)-এর আহ্বান গ্রহণ করেনি, যা তাদের গুনাহ থেকে দূরে থাকার এবং বিশেষভাবে কম-বিক্রির বিরুদ্ধে ছিল। অবশেষে, তারা আল্লাহর শাস্তির মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে যায়। আসহাব আইকাহ হিজাজ থেকে শাম যাওয়ার পথে একটি অঞ্চলে বসবাস করত। কুরআনে "আসহাব আইকাহ" নামটি চারবার উল্লেখিত হয়েছে।

    • পরিচিতি ও স্থান**

আসহাব আইকাহ জাতি একটি পরিচিত অঞ্চলে বাস করত যা আইকাহ নামে পরিচিত, যা মদিনার নিকটে অবস্থিত। এই জাতির নাম কুরআনে চারবার এসেছে: সূরা হিজর (৭৮), সূরা শায়েরা (১৭৬), সূরা সোয়াদ (১৩), এবং সূরা কাহফ (১৪)। মفسিরদের মতে, এই জাতির বহু পাপের কারণে তাদের নিন্দা করা হয়েছে এবং তারা তাদের নবী শুয়াইব (আ.)-এর আহ্বান গ্রহণ করেনি। তারা নবীকে অস্বীকার করার পর আল্লাহর শাস্তিতে পতিত হয় এবং ধ্বংস হয়ে যায়।

    • আসহাব আইকাহ ও আহল মদিন**

মররা আলোচনা করেন যে আসহাব আইকাহ এবং আহল মদিন কি একই জাতি, যারা কুরআনে দুটি ভিন্ন নামে উল্লেখিত হয়েছে, অথবা তারা দুটি ভিন্ন জাতি কিন্তু একই নবীর অধীন এবং সমান্তরাল বৈশিষ্ট্যযুক্ত। কিছু গবেষক অধিকাংশ মفسিরদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, হজরত শুয়াইব (আ.) প্রথমে আহল মদিনের নবী ছিলেন এবং পরে আসহাব আইকাহর হেদায়েতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

তাদের যুক্তি হলো, কুরআনে আসহাব আইকাহর শাস্তি "দিবসের মেঘের শাস্তি" (عَذابُ یَوْمِ الظُّلَّةِ) এবং আহল মদিনের শাস্তি "ভূমিকম্প" এবং "শব্দের শব্দ" দ্বারা উল্লেখিত হয়েছে। এছাড়াও, কুরআনের সূরা আ’রাফের (৮৫) আয়াতে শুয়াইবকে "আহল মদিনের ভাই" বলা হয়েছে; তবে "আসহাব আইকাহর ভাই" বলা হয়নি।

    • বৈশিষ্ট্যসমূহ**

আসহাব আইকাহর বৈশিষ্ট্য হলো ওজনে কম দেওয়া এবং মূর্তিপূজা:

    • ওজনে কম দেওয়া**

গবেষণায় দেখা যায় যে আসহাব আইকাহর সবচেয়ে বড় বিপথগমন হলো কম-বিক্রি। বিভিন্ন উৎসের ভিত্তিতে, তারা ওজন এবং মাপে কম-বিক্রি করত, পরিমাণ এবং মাপে প্রতারণা করত এবং এমনকি পণ্যের রঙ ও প্রকৃতিতে পরিবর্তন ঘটাত। কাতিবুদ্দিন রাওন্দি তাঁর "কাসাস আল-আনবিয়া" গ্রন্থে ইমাম সাজ্জাদ (আ.)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন যে হজরত শুয়াইব (আ.) নিজ হাতে মাপে এবং ওজনে সঠিকভাবে ব্যবসা করার জন্য মাপকাঠি তৈরি করেছিলেন। মানুষ প্রথমে ন্যায় সঙ্গতভাবে মাপে ও ওজন করত, কিন্তু ধীরে ধীরে তারা কম-বিক্রিতে লিপ্ত হয়ে পড়ে এবং মাপে সঠিক অধিকারকে উপেক্ষা করতে শুরু করে।

    • মূর্তিপূজা**

বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, আসহাব আইকাহ প্রাকৃতিক এবং পরিবেশগত সুবিধা থেকে উপকৃত ছিল; কিন্তু তারা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে গিয়ে মূর্তিপূজায় এবং সবুজ গাছের পূজায় লিপ্ত হয়েছিল এবং তারা কিয়ামতের দিনকে অস্বীকার করেছিল।

    • হজরত শুয়াইব (আ.)-এর আহ্বান এবং তাদের প্রতিক্রিয়া**

ঐতিহাসিক এবং তাফসিরিক উৎস অনুযায়ী, আসহাব আইকাহর মধ্যে শিরক এবং পাপ বাড়তে থাকলে, আল্লাহ হজরত শুয়াইব (আ.)-কে তাদের কাছে পাঠান। হজরত শুয়াইব (আ.) মানুষকে আল্লাহর ইবাদত, সততা এবং পাপ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানাতেন এবং শিরক ও মূর্তিপূজার বিরুদ্ধে সতর্ক করতেন।

তিনি আসহাব আইকাহকে কম-বিক্রি থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করতেন এবং তারা যাতে বিপথগামী, হত্যা, সম্পত্তিতে লঙ্ঘন এবং ডাকাতির হাত থেকে দূরে থাকে। তিনি তাদের সতর্ক করতেন যে যদি তারা তাদের গুনাহ থেকে তওবা না করে, তাহলে তারা আল্লাহর শাস্তিতে পতিত হবে।

এদিকে, ইবনে আব্বাসের মতে, আসহাব আইকাহ পথের ধারে বসে হজরত শুয়াইব (আ.)-কে মানুষের শত্রু এবং তাদের ধর্মের বিকৃতিকারক হিসেবে উপস্থাপন করত। তাফসির আল-মুনিরের উদ্ধৃতি অনুযায়ী, তারা হজরত শুয়াইব (আ.)-কে হুমকি দিয়ে তার অবস্থানকে দুর্বল করার চেষ্টা করত।

বিভিন্ন উৎসের রিপোর্ট অনুযায়ী, আসহাব আইকাহ হজরত শুয়াইব (আ.)-এর কথাকে অস্বীকার করে তাকে পাগল, মিথ্যাবাদী, জাদুকর এবং নিজেদের মতো সাধারণ মানুষ বলে বর্ণনা করত, যাদের তাদের উপর কোনো বিশেষত্ব নেই।

    • ধ্বংস**

আসহাব আইকাহ, হজরত শুয়াইব (আ.)-কে অস্বীকার করার পাশাপাশি বলেছিল যে, যদি সে সত্য বলে, তবে আকাশ থেকে পাথর তাদের ওপর পড়ুক এবং তাদের সেই শাস্তিতে আক্রান্ত করুক। হজরত শুয়াইব (আ.)-এর বক্তব্যের পরিপূর্ণতা শেষে, আল্লাহ তাদের নাশের শাস্তিতে পতিত করেন।

তাফসিরিক এবং হাদিসের উৎস অনুযায়ী, আসহাব আইকাহ সাত দিন ধরে তীব্র গরমে ভুগছিল; এমনভাবে যে তাদের শহর এবং অঞ্চলে কোন বাতাস প্রবাহিত হচ্ছিল না। তারপর একটি মেঘ দেখা দেয় এবং তারা গরম থেকে বাঁচার জন্য তার ছায়ায় আশ্রয় নেয়; কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে, সেই মেঘ থেকে আগুন নেমে আসে এবং সবাইকে পুড়িয়ে দেয়।

তথ্যসূত্র

  1. খামাকার, মুহাম্মাদ, সাখতারে সূরাহায়ে কুরআনে কারিম, মুয়াসসেসেয়ে ফারহাঙ্গিয়ে কুরআন ওয়া ইরতরাতে নূরুস সাকালাইন, কোম: নাশর, প্রথম সংস্করণ, ১৩৯২ ফার্সি সন।
  2. খামাকার, মুহাম্মাদ, সাখতারে সূরাহায়ে কুরআনে কারিম, মুয়াসসেসেয়ে ফারহাঙ্গিয়ে কুরআন ওয়া ইরতরাতে নূরুস সাকালাইন, কোম: নাশর, প্রথম সংস্করণ, ১৩৯২ ফার্সি সন।

গ্রন্থপঞ্জি

(নবজাতকের মুখের (জিহ্বার) তালুতে আলতোভাবে মালিশ করা যাতে এর কিছু রস তার পেটে পৌঁছে যায়।নবজাতকের মুখের তালুতে আলতোভাবে মালিশ করা এবং তার মুখ খুলে দেওয়া, যাতে তার পেটে এর কিছু অংশ প্রবেশ করে।)

নবজাতক শিশুকে তাহনিক করা (আরবি: التحنيك) বা শিশুর তালু তুলা একটি ইসলামিক আচার যা জন্মের সময় শিশুর মুখের তালুর উপর সামান্য পানি ও খাদ্য (খাবারের কিছু) লাগিয়ে করা হয়। শিয়া আইনজ্ঞদের মতে, নবজাত শিশুকে ফোরাতের পানি ও ইমাম হুসাইন (আ) এর তুরবাত দিয়ে মুস্তাহাব। কিছু হাদিসের মতে, যে নবজাত শিশুকে ফোরাতের পানি দিয়ে গুঁটিদেওয়া হয়, সে বড় হয়ে শিয়া ও আহলে বায়েত (আ) এর বন্ধু হয়ে যাবে।

সংজ্ঞা গুঁটিদেওয়ার অর্থ হচ্ছে আঙ্গুলের ডগা সামান্য পরিমাণ হালকা খাবারের সাথে মিশিয়ে শিশুর মুখের ভেতর তালুর কাছে নিয়ে যাওয়া।[১] এটি দাই বা অন্য কোনো ব্যক্তির দ্বারা করা হয়।[২] সাধারণ সংস্কৃতিতে এই ঐতিহ্যকে গুঁটিদেওয়া[৩] বা শিশুর তালু তোলা বলা হয়।[৪]

সাধারণ ধারণায়, শিশুকে গুঁটিদেওয়ার উদ্দেশ্য স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা, মায়ের দুধ চুষতে সুবিধা করা, হकलানো প্রতিরোধ করা এবং প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষা জন্য ভিত্তি প্রস্তুত করা।[৫] আইনশাস্ত্রের ক্ষেত্রে শিয়া আইনজ্ঞরা শিশুর তালুকে খোলাকে "তাহনিক" বলেন।[৬]

গুরুত্ব হাদিসের বই ওয়াসায়েল আল-শিয়া তে, একটি অধ্যায় শিশুদের গুঁটিদেওয়া বা তালু তোলার মুস্তাহাব হওয়া এবং এর কিছু নিয়মাবলী (আহকাম) এর জন্য উৎসর্গিত।[৭] কিছু হাদিসের মতে, যে নবজাত শিশুকে ফোরাতের পানি দিয়ে গুঁটিদেওয়া হয়, সে বড় হয়ে শিয়া ও আহলে বায়েত (আ) এর বন্ধু হয়ে যাবে।[৮]

শিশুকে গুঁটিদেওয়ার প্রথা ইসলাম থেকে আগে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত ছিল।[৯] সূরা মারইয়ামের আয়াত ২৫ এর ব্যাখ্যায় কিছু সুন্নি মন্তব্যকারী বলেন যে নবজাত শিশুকে খেজুর দিয়ে গুঁটিদেওয়ার কথা হজরত ঈসা (আ) এর জন্মের সময় হজরত মারইয়ামের খেজুর খাওয়ার ঘটনার সাথে যুক্ত করেন।[১০] ইসলামের শুরুতে, সাহাবাদের মধ্যে এই রীতি ছিল যে যখন কোনো শিশু জন্ম নিত, তারা তাকে নবী (স) এর কাছে নিয়ে যেতেন। নবী শিশুদের খেজুরের গুঁটিদেওয়া করতেন এবং তাদের জন্য প্রার্থনা করতেন।[১১] শিয়া ইমামদের যুগে, নবজাত শিশুদের ফোরাতের পানি দিয়ে গুঁটিদেওয়া গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, এবং ইমাম হুসাইন (আ) এর শাহাদতের পর ইমাম হুসাইন (আ) এর তুরবাত থেকে গুঁটিদেওয়ার সুপারিশ করা হতে শুরু করে।[১২]

গুঁটিদেওয়ার প্রথা এবং ইরানি জনগণের দ্বারা এর কার্যকরী কার্যক্রম সাহিত্য ও জনমানসে প্রভাবশালী ছিল।[১৩] ইরানি জনগণের বিশ্বাস যে নবজাত শিশুকে কোনো নেক, দ্বীনদার এবং সামাজিকভাবে সম্মানিত ব্যক্তির দ্বারা গুঁটিদেওয়া উচিত।[১৪]

আইনশাস্ত্রীয় আদাব হাদিসে নবী (স) এবং ইমাম (আ) এর জীবনীতে গুঁটিদেওয়ার পদ্ধতির উল্লেখ করা হয়েছে; উদাহরণস্বরূপ, ইমাম আলী (আ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে নবী (স) ইমাম হাসান (আ) এবং ইমাম হুসাইন (আ) কে খেজুর থেকে গুঁটিদেওয়া করেছেন এবং তালু তুলেছেন।[১৫] একটি হাদিসে আরও বর্ণিত হয়েছে যে ইমাম কাযিম (আ) তাঁর পুত্র ইমাম রেজা (আ) কে ফোরাতের পানি দিয়ে গুঁটিদেওয়া করেছেন।[১৬]

শিয়া আইনজ্ঞদের মতে, শিশুর জন্মের সময় এবং তার নামকরণের পূর্বে শিশুকে গুঁটিদেওয়া মুস্তাহাব;[১৭] তদ্রূপ এটি মুস্তাহাব যে এই কাজটি ফোরাতের পানি এবং ইমাম হুসাইন (আ) এর তুরবাত দিয়ে করা হোক।[১৮] ফোরাতের পানি না থাকার ক্ষেত্রে, তাজা এবং শুদ্ধ পানির ব্যবহার করা উত্তম, এবং যদি শুধুমাত্র খারাপ পানি পাওয়া যায়, তবে কিছু খেজুর বা মধু মিশিয়ে গুঁটিদেওয়া উচিত।[১৯]

সুন্নি আইনজ্ঞদের মধ্যে একজন, ইবনে ক্বয়িম জুজিয়া, নবজাত শিশুর জন্মের সময় গুঁটিদেওয়াকে মুস্তাহাব আদাব (রীতি-রেওয়াজ) এর মধ্যে একটি মনে করেছেন।[২০]

তথ্যসূত্র

গ্রন্থপঞ্জি

হারাস স্তম্ভ (অর্থাৎ প্রহরার স্তম্ভ) মসজিদে নববীর অন্যতম স্তম্ভ যা নবী মুহাম্মদ (স.) এর কক্ষের কাছে অবস্থিত এবং ইমাম আলী (আ.) রাতে যেখানে দাঁড়িয়ে নবীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেন, যাতে কেউ মহানবীর কোন প্রকারের ক্ষতি করতে না পারে। এই স্তম্ভটি ইমাম আলী (আ.) এর স্তম্ভ নামেও পরিচিত। মহানবীর (স.) প্রতি ইমাম আলীর (আ.) এই তত্ত্বাবধানের কারণ ছিল এটাই যে, নবীর জীবনের শেষের দিকে, তাঁর নিরাপত্তার জন্য কিছু রক্ষী নিযুক্ত করা হয়েছিল, যাতে কেউ তাঁর ক্ষতি করতে সক্ষম না হয়।

এই স্তম্ভটি ইমাম আলী (আ.) এর নামায আদায়ের স্থানও ছিল, ফলে ইমাম আলী ইবনে তালিবের (আ.) মুসাল্লা (নামায পড়ার স্থান) নামেও প্রসিদ্ধি পেয়েছে। ইমাম আলীর সাথে সম্পর্কযুক্ত হওয়ায় মদীনার সাইয়্যেদরা এই স্তম্ভটির পাশে নামায আদায় করার জন্য সমবেত হতেন। প্রহরা স্তম্ভটি, মসজিদে নববীর পুনর্নির্মাণের সময় মহানবীর (স.) জারির সাথে সংযুক্ত হয়েছে।

পরিচিতি

সুতুনে (স্তম্ভ) ইমাম আলী (আ.) নামেও পরিচিতি পাওয়া, [১] সুতুনে হারাস বা প্রহরা স্তম্ভটি, মহানবী (স.) এর সময় মসজিদে নববী’র সীমানা এবং মহানবীর (স.) বাড়ির নিকটে ছিল।[২] "হারাস" «حَرَسْ» শব্দটি "হিরাসাত" «حِراست» শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে প্রহরা বা পাহারা দেওয়া। হযরত মুহাম্মাদ (স.) এর জীবনের শেষের দিকে, তাঁর নিরাপত্তার জন্য কিছু নিরাপত্তা রক্ষী নিযুক্ত করা হয়েছিল যাতে তাঁকে সুরক্ষিত রাখা যায়। মহানবী যখন তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করতেন,[৫] তখন তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তিরা এই স্তম্ভের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতেন এবং তাঁর প্রতি খেয়াল রাখতেন।[৬]

সুতুনে হারাস, সুতুনে সারির উত্তর দিকে অবস্থিত[৭] এবং নবীর (স.) কবরের সাথে সংযুক্ত;[৮] এজন্য জিয়ারতকারীরা এর পাশে নামায আদায় করতে সক্ষম হন না।[৯] এই স্তম্ভটির নাম সেখানে লেখা রয়েছে।[১০]

কিছু সুন্নি সূত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, "আল্লাহ আপনাকে মানুষের (ক্ষতির) থেকে রক্ষা করবেন..." তাবলীগের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর,[১১] আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজেই মহানবীর (স.) নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং এরপর আর কেউ তাঁর নিরাপত্তা দেন নি।[১২] কোন কোন গবেষক মনে করেন যে, এই বর্ণনাগুলোর উদ্দেশ্য হচ্ছে এটাই যে, গাদীরের ঘটনার সাথে তাবলীগের আয়াতের দূরত্ব নিশ্চিত করা। একারণে এটাকে মহানবীর (স.) প্রহরার সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করেছেন।

ইমাম আলী (আ.) এর সাথে সম্পর্কিত করা সুতুনে হারাসকে সুতুনে আলী ইবনে বিন আবি তালিব নামেও পরিচিত;[১৪] কারণ ইমাম আলী (আ.) রাতে তলোয়ার নিয়ে[১৫] মহানবীর ঘরের নিকটে অবস্থিত এই স্তম্ভের স্থানটিতে দাঁড়িয়ে থাকতেন এবং সুরক্ষা দিতেন যেন নবীকে (স.) কেউ ক্ষতি না করতে পারে।[১৬] কিছু কিছু বর্ণনা মতে, অন্য ব্যক্তিরাও এই স্থানে নবীর (স.) নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করতেন।[১৭] এই স্তম্ভ ইমাম আলী (আ.) এর নামায আদায়ের স্থানও ছিল[১৮] এবং আলী বিন আবি তালিবের মুসাল্লা (নামাযের স্থান) নামেও পরিচিতি পেয়েছে।[১৯] ইমাম আলী (আ.) এর সাথে এই স্তম্ভের সম্পর্কের কারণে, মদীনার সাইয়্যেদরা নামায আদায় করার জন্য এর পাশে জড়ো হতেন।

মসজিদে নববীর স্তম্ভগুলো

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর সময় মসজিদে নববীতে খেজুর গাছের গুঁড়ির কিছু স্তম্ভ ছিল। মহানবীর (স.) রওযা শরীফে প্রসিদ্ধ কিছু স্তম্ভ রয়েছে।[২১] এগুলোর প্রতিটি স্তম্ভের একেকটি ঐতিহাসিক কাহিনী রয়েছে।[২২] খেজুর গাছের গুঁড়ি দিয়ে তৈরি হওয়া এই স্তম্ভগুলো মসজিদুন নবি পুনর্নির্মাণের সময় পরিবর্তিত হয় এবং সেগুলোর পরিবর্তে পাথরের তৈরি স্তম্ভ প্রতিস্থাপন করা হয়।[২৩] পাথরের এই স্তম্ভগুলোকে পূর্বেকার সেই স্তম্ভগুলোর স্থানেই স্থাপণ করা হয়েছে।[২৪] পুনর্গঠিত হয়েছিল, তখন সেগুলোকে পাথরের স্তম্ভ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। সৌদি সরকারের হুকুমতকালে ১৪০৪ হিজরিতে, এই স্তম্ভগুলো সাদা মার্বেল পাথর দ্বারা আচ্ছাদিত করা হয় এবং অন্যান্য স্তম্ভগুলো থেকে স্বতন্ত্র রূপ লাভ করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধসমূহ


তথ্যসূত্র

গ্রন্থপঞ্জি


"সালমানু মিন্না আহলাল বাইত" (আরবি: سلمان منا أهل البيت) অর্থাৎ "সালমান আমাদের আহলে বাইত এর সদস্য", হাদীসটি মহানবী (স.) হতে বর্ণিত একটি প্রসিদ্ধ, মুতাওয়াতির এবং সহীহ হাদিস, যা সালমান ফারসির ফজিলত ও মর্যাদা সম্পর্কিত। শিয়াদের কিছু কিছু ইমাম, যেমন ইমাম আলী (আ.), ইমাম সাজ্জাদ (আ.) এবং ইমাম বাকের (আ.) এই হাদিসটি স্বতন্ত্রভাবে অথবা রাসূলুল্লাহ’র (স.) উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করেছেন।

আহযাবের যুদ্ধের (খন্দকের যুদ্ধ) সময় গর্ত খননের ঘটনা ও সালমানের আরব না হওয়ার বিষয়ে উমর ইবনে খাত্তাবের বক্তব্য প্রভৃতি ঘটনার কারণে মহানবী (স.) হতে এই হাদিস বর্ণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

শেখ সাদুক, শেখ তুসি এবং শেখ মুফিদের ন্যায় কিছু কিছু শিয়া পণ্ডিত এবং ইবনে সাদ ও ইবনে হিশামের ন্যায় কিছু কিছু সুন্নি পণ্ডিত এই হাদিসটিকে তাদের গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।

এক দল বলেছেন যে, "সালমানু মিন্না আহলাল বাইত" হাদিসটির মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (স.) বুঝাতে চেয়েছেন যে, সালমান আমাদের ধর্মেরই একজন। অন্যান্যরা, এই হাদিসটিকে মহানবী (স.) এর আকীদা- বিশ্বাস, নৈতিকতা এবং কর্মের দিক থেকে সালমানের ঘনিষ্ঠতার পরিপ্রেক্ষিতে তার অবস্থান ও মর্যাদা সংক্রান্ত এক বিবৃতি হিসেবে বিবেচনা করেছেন।

১৪১৩ হিজরিতে মুহাম্মাদ আলী আসবার বৈরুতে “সালমানু মিন্না আহলাল বাইত” শিরোনামে সালমান ফারসি’র জীবনী তার অবস্থা এবং "সালমানু মিন্না আহলাল বাইত" সম্পর্কে একটি বই প্রকাশ করেন।

পরিচয় ও অবস্থান

"সালমানু মিন্না আহলাল বাইত" বা "سَلمانُ مِنّا اَهل‌َ‌البیت" অর্থাৎ সালমান আমাদের আহলে বাইতের সদস্য- শিয়া গবেষকদের ভাষ্যমতে, এই হাদিসটি সর্ব প্রথম মহানবী (স.) হতে উদ্ধৃত হয়েছে।[১] হাদিস সূত্র অনুসারে, শিয়াদের কোন কোন ইমামও এই হাদিসটি স্বতন্ত্রভাবে অথবা মহানবী (স.) এর মাধ্যমে উদ্ধৃত করেছেন।[২] উদাহরণস্বরূপ, ইমাম আলী (আ.) সালমান সম্পর্কে একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেছেন যে সালমান আহলে বাইতের সদস্য।[৩] কুলাইনি (মৃত্যু:৩২৯ হি.) কর্তৃক রচিত কাফি গ্রন্থেও একটু ভিন্ন ব্যাখ্যায় ইমাম সাজ্জাদ (আ.) হতে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে, সেখানে সালমানকে আহলে বাইত হতে জ্ঞান করা হয়েছে।[৪] এছাড়াও ফাত্তাল নিশাপুরি রচিত রাওযাতুল ওয়ায়েযিন গ্রন্থে বর্ণিত একটি হাদিস অনুসারে, ইমাম বাকের (আ.)-এর কাছে সালমান ফারসি’র প্রসঙ্গ তুলা হলে ইমাম তাদেরকে চুপ থাকার আহ্বান জানান এবং তাদেরকে সালমানে মুহাম্মাদি সম্বোধন করতে বললেন; কারণ সে আহলে বাইতের (আ.) সদস্য।[৫] রেজালে কাশশি গ্রন্থেও ইমাম সাদিক (আ.) হতে একটি রেওয়ায়েত, সালমান মিন্না আহলে বাইত (আ.) অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে।[৬]

হাদিসটির উৎস

এই হাদিসটির উৎপত্তির প্রেক্ষাপট সম্পর্কে সূত্রগুলোতে মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।[৭] শিয়া মুফাসসির তাবারসি এবং সুন্নি লেখক ইবনে সাদ উল্লেখ করেছেন যে, মহানবী (স.) আহযাবের যুদ্ধের সময় গর্ত খননের জন্য মুসলমানদের জন্য একটি সীমা নির্ধারণ করে দেন। মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে সালমানকে নিয়ে টানাটানি শুরু হয়। শারীরিকভাবে শক্তিশালী হওয়ায় প্রত্যেকে সালমানকে তাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করতে চাচ্ছিলেন, তখন মহানবী (স.), “সালমানু মিন্না আহলাল বাইত” বাক্যের মাধ্যমে তাকে আহলে বাইতের সদস্য বলে অভিহিত করেন।[৮]

শেখ মুফিদ ভিন্ন একটি প্রতিবেদনে লিখেছেন, হযরত মুহাম্মদ (স.) যখন উমর বিন খাত্তাবের মুখ থেকে সালমানের অ-আরব হওয়া বিষয়ক কথা শুনলেন, তখন মহানবী (স.) মিম্বরের উপর গিয়ে, কেবলমাত্র তাক্বওয়া ব্যতীত জাতি ও বর্ণের কারণে মানুষের একে অপরের উপর কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই, এ মর্মে খুতবা প্রদান করে সালমানকে অফুরন্ত সমুদ্র ও সম্পদ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং তাকে আহলে বাইতের (আ.) এর সদস্য হিসেবে উল্লেখ করেন।[৯] কিতাবে সুলাইম বিন কাইস নামক গ্রন্থেও একটি রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, একটি বৈঠকে মহানবী (স.) আহলে বাইতের সদস্য ব্যতীত সকলেই চলে যেতে বলেন। তখন সালমানও চলে যেতে চাইলে মহানবী (স.) তাকে থাকতে বলেন; কারণ তিনি আহলে বাইতের অংশ।[১০]

হাদিসের গ্রহণযোগ্যতা

"সালমানু মিন্না আহলাল বাইত" একটি প্রসিদ্ধ, গ্রহণযোগ্য এবং মুতাওয়াতির হাদিস।[১১] কিছু কিছু গবেষক, সনদের দিক থেকে সহীহ ও শক্তিশালী এই হাদিসটিকে একটি একক হাদিস হিসেবে নয়, বরং মহানবী (স.) এবং ইমামদের (আ.) যৌথ ও অভিন্ন হাদিসের অংশ হিসেবে মনে করেছেন।[১৪]

উয়ুনু আখবারির রিযায় শেইখ সাদুক,[১৫] আত তাবইয়ান ও মিসবাহুল মুতাহাজ্জিদে শেইখ তুসি,[১৬] আল-ইখতিসাসে শেইখ মুফিদ,[১৭] মানাকেবে আলে আবি তালিবে ইবনে শাহরে আশুব,[১৮] ইহতিজাজ গ্রন্থে আহমাদ বিন আলী তাবারসি[১৯] এবং এছাড়া সুলাইম বিন কাইসের[২০] ন্যায় শিয়া পণ্ডিতগণ উক্ত হাদিসটির উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও আত তাবাকাতুল কুবরায় ইবনে সা’দ[২১] এবং আস সীরাতুন নাবাবিয়্যাহ গ্রন্থের লেখক ইবনে হিশামের ন্যায় কিছু কিছু সুন্নি পণ্ডিতও এই হাদিসটি উল্লেখ করেছেন।

হাদিসের বিভিন্ন ব্যাখ্যা

মুসলিম পণ্ডিতগণ “সালমানু মিন্না আহলাল বাইত” হাদিসটিকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন:

ফাযল বিন হাসান তাবারসি এবং শেইখ তুসি বলেছেন "সালমানু মিন্না আহলাল বাইত" হাদিসটির মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (স.) বুঝাতে চেয়েছেন যে, সালমান আমাদের ধর্মেরই অনুসারী।[২৩]কেউ কেউ আবার লিখেছেন, হাদিসটি সালমানের অবস্থান ও মর্যাদার কথা তুলে ধরেছে, কারণ সালমান আকীদা-বিশ্বাস, নৈতিকতা ও আমলের দিক থেকে হযরত মুহাম্মাদ (স.) নিকটবর্তী হয়েছিলেন।[২৪]


বিশিষ্ট মুসলিম আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব ইবনে আরবী, এই বাক্যটিকে সালমানের পবিত্রতার স্তর, ঐশ্বরিক সুরক্ষা এবং নিষ্পাপতা সম্পর্কে মহানবীর (স.) সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করেছেন; এই দলিলের ভিত্তিতে যে আয়াতে তাতহীরে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মহানবী (স.) এবং আহলে বাইতকে তার খাঁটি বান্দা হওয়ার কারণে «رِجْس» (অপবিত্রতা) থেকে পবিত্র করেছেন, আর যে ব্যক্তিই তাদের সাথে সাদৃশ্য রাখবে, সে মহানবী (স.) এবং আহলে বাইতের সাথে যোগদান করবেন। এরই ধারাবাহিকতায়, এই আয়াতে সালমানও অন্তর্ভুক্ত হয়;[২৫] কিন্তু, মোল্লা মুহসিন ফাইয কাশানী, ইবনে আরবীর এই বিষয়টি তথা সালমান ও আহলে ব্যতীত অন্যদেরকে আয়াতে তাতহিরের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছেন, এমনকি এটা উল্লেখ করাও বৈধ জ্ঞান করেননি।[২৬]

গবেষকদের একটি দল, আহলে বাইতের (আ.) প্রকৃত মর্যাদা সম্পর্কে জ্ঞান এবং অন্য একটি দল, সালমানের ভিতরে থাকা বিশেষ কিছু গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্যকে সালমানের এই অবস্থানে পৌঁছানোর রহস্য হিসেবে মনে করেছেন, যার কারণে মহানবী (স.) এবং ইমামগণ (আ.) তাকে তাদের অংশ বলে অভিহিত করেছেন।[২৯]

গ্রন্থপরিচিতি

১৪১৩ হিজরিতে মোহাম্মদ আলী আসবার,  আরবি ভাষায় "সালমানু মিন্না আহলাল বাইত" শিরোনামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন, যা বৈরুতের দারুল ইসলামিয়া প্রকাশনা কর্তৃক ৩৫৪ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়। এই বইটি সালমান ফারসির জীবনী, তার অবস্থা এবং  "সালমানু মিন্না আহলাল বাইত" হাদিস সম্পর্কিত।

তথ্যসূত্র

গ্রন্থপঞ্জি