মু'তামিদ আব্বাসী
মু'তামিদ আব্বাসী (২৫৬-২৭৯ হিজরি/৮৭০-৮৯২ খ্রিস্টাব্দ) অথবা আল-মু'তামিদ আলাল্লাহ হচ্ছেন পঞ্চদশ আব্বাসীয় খলিফা, যিনি ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-কে হত্যার নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি খলিফা মুতাওয়াক্কিল আব্বাসীর বংশধর এবং ২৫৬ হিজরিতে খলিফা মুহতাদি আব্বাসীর পর খিলাফতের পদে আরোহণ করেন। মু’তামিদের শাসনামলের প্রায় চার বছর ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর ইমামত এবং ১৯ বছর ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-এর ইমামতের সমসাময়িক ছিল।
মু'তামিদের শাসনামলে আলভীদের বেশ কয়েকজনকে কারারুদ্ধ করা হয় এবং কিছু সংখ্যককে হত্যা করা হয়। কিছু ঐতিহাসিক বর্ণনা অনুযায়ী, ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-কেও এসময় কারাবন্দী করা হয়; কারামুক্তির পর তাঁকে (আ.) বিষপ্রয়োগ করা হয় এবং তিনি শাহাদাতবরণ করেন। ইমাম আসকারী (আ.)-এর শাহাদাতের পর খলিফা মু'তামিদ ১১তম ইমামের পুত্র ইমাম মাহদী (আ.)-কে আটকের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। সূত্রগুলোতে তার শাসনামলে সংঘটিত একাধিক শিয়া বিদ্রোহ ও অভ্যুত্থানের উল্লেখ রয়েছে, যার মধ্যে মিসরে মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়ার বংশধর ইবরাহিম ইবনে মুহাম্মাদের বিদ্রোহ এবং কুফায় আলী ইবনে যায়েদ আলভীর বিদ্রোহ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, সাহিব জানজের নেতৃত্বে দাস বিদ্রোহ এবং কারামাতা গোষ্ঠীর আবির্ভাবও মু'তামিদের খিলাফতকালের উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
মু'তামিদ তার ভাই মুওয়াফফাক আব্বাসীর সহযোগিতায় খিলাফতের কেন্দ্রস্থল সামেরা থেকে বাগদাদে স্থানান্তরিত করেন। বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আরবদের সমর্থন নিয়ে এবং তুর্কিদেরকে ব্যবহার করে, তিনি সম্ভাব্য হুমকি থেকে শাসনব্যবস্থাকে নিরাপদ দূরত্বে রাখেন। মু'তামিদ ছিলেন অত্যন্ত ভোগলিপ্সু। কথিত আছে, তিনি নিজের অদক্ষতার কারণে এবং অধিকতর স্বাধীনভাবে ভোগবিলাসের জন্য স্বীয় পুত্র জাফর ও ভাই মুওয়াফফাকের মধ্যে শাসনক্ষেত্র ভাগ করে দেন। কিছুদিনের মধ্যেই সমস্ত ক্ষমতা তার ভাইয়ের হস্তগত হয় এবং কেবলমাত্র খলিফা পদবীটুকু তার জন্য অবশিষ্ট থাকে। মু'তামিদের পর তার ভাই মুওয়াফফাকের পুত্র মু'তাজিদ ক্ষমতায় আরোহণ করেন।
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
আহমাদ ইবনে জাফর ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে হারুনুর রশীদ, যিনি তুর্কিদের [১] দ্বারা "আল-মু'তামিদ 'আলাল্লাহ" উপাধিতে ভূষিত হন[২] এবং এই নামেই পরিচিত হন, [৩] ছিলেন পঞ্চদশ আব্বাসীয় খলিফা[৪] এবং মুতাওয়াক্কিল আব্বাসীর বংশধর।[সূত্র প্রয়োজন] তার কুনিয়া বা উপনাম ছিল আবুল আব্বাস, [৫] এবং তার মাতা ছিলেন ফিতয়ান নামক রোমীয় ক্রীতদাসী, [৬] আর এই কারণে তিনি "ইবনে ফিতয়ান" নামেও পরিচিতি লাভ করেন।[৭] তিনি তার চাচাতো ভাই মুহতাদী বিল্লাহর পর খিলাফতের পদ লাভ করেন[৮] এবং ২৩ বছর শাসন করেন।[৯]
মু'তামিদ ছিলেন ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর সমসাময়িক আল-মু'তায এবং আল-মুহতাদীর পর তৃতীয় খলিফা।[১০] শিয়া ইমামগণের মধ্যে একাদশ ইমামের ইমামতির চার বছর তার শাসনামলে অতিবাহিত হয়।[১১] মু'তামিদের খিলাফতের ১৯ বছর, ইমাম মাহদী (আ.)-এর ইমামত[১২] এবং তাঁর (আ.ফা.) গায়বাত (অন্তর্ধান)-এর সমসাময়িক ছিল।[১৩]
মু'তামিদ ২২৯ হিজরিতে সামেরায় জন্মগ্রহণ করেন পৃ. ২৮০; ইবনে আসাকির, তারিখে মাদিনাতে দিমাশক,[১৪] এবং ৫০ বছর বয়সে [১৫] ২৭৯ হিজরির ১১ [১৬] অথবা ১৯ রজব[১৭] তারিখে বাগদাদে ইন্তেকাল করেন ও সামেরায় দাফন হন। কথিত আছে, তার খাদ্য বা পানীয়তে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। [১৮] তার মৃত্যুর পর তার ভ্রাতুষ্পুত্র আহমাদ ইবনে মুওয়াফফাক (আল-মু'তাযাদ) খলিফা হন।[১৯]
মু'তামিদের শাসনামলে ফাযল ইবনে শাযান নিশাপুরী [২০] ও আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে খালিদ আল-বারকি[২১] এর মতো বিশিষ্ট শিয়া আলেম ও মুহাদ্দিসগণ জীবিত ছিলেন। একই সময়ে বুখারী, মুসলিম ইবনে আল-হাজ্জাজ, আবু দাউদ আল-সিজিস্তানী, মুহাম্মাদ আল-তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, মিসরের প্রখ্যাত ইতিহাসবেত্তা মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল হাকাম, কাযি বাক্কার[২২] এবং অন্যান্য বহু আলেম[২৩] সহ সুন্নি বিশ্বের একদল খ্যাতনামা আলেম ও মুহাদ্দিস ইন্তেকাল করেন। মু'তামিদ নিজেও কবি ছিলেন বলে উল্লেখ পাওয়া যায়।[২৪]
ক্ষমতা লাভ
২৫৬ হিজরির ১৪ রজব[২৫] অথবা ১৮ রজব [২৬] তারিখে, ২৫ বছর বয়সে[২৭] মু'তামিদ খিলাফতের দায়িত্ব লাভ করেন। পূর্ববর্তী খলিফা আল-মুহতাদীর শাসনামলে তিনি কারাবন্দী ছিলেন; কিন্তু তুর্কিদের হাতে আল-মুহতাদী নিহত হওয়ার পর তিনি কারামুক্ত হন এবং তার সাথে খলিফা হিসেবে বাই'আত (আনুগত্যের শপথ) গ্রহণ করা হয়। [২৮] খলিফা মু'তামিদ স্বীয় পুত্র জাফরকে তার প্রথম উত্তরাধিকারী (ওলি-আহাদ) নিযুক্ত করে তাকে "আল-মুফাওয়ায়িদ ইলাল্লাহ" উপাধি দেন এবং তার ভাই মুওয়াফফাককে দ্বিতীয় উত্তরাধিকারী হিসেবে নিযুক্ত করেন।[২৯] মুওয়াফফাক জাফরের উত্তরাধিকারিত্বে অসন্তুষ্ট ছিলেন এবং তাকে এই পদযোগ্য বলে মনে করতেন না।[৩০]
খলিফা মু'তামিদ খিলাফতের রাজধানী সামার্রা থেকে বাগদাদে স্থানান্তরিত করেন [৩১] এবং তার পরবর্তী সময়েও আব্বাসীয় শাসনের রাজধানী হিসেবে বাগদাদই অবশিষ্ট থাকে।[৩২] বাগদাদে ক্ষমতা স্থানান্তর এবং আরবদের সমর্থন অর্জনের মাধ্যমে[৩৩] তিনি তুর্কিদের প্রভাব হ্রাস করতে সক্ষম হন।[৩৪] বলা হয়ে থাকে যে, তিনি খিলাফত লাভের পর তুর্কিদের সাথে নম্র আচরণ করেন এবং মুসা ইবনে বুগার নেতৃত্বে তাদেরকে সাহেবে জানজের (জাঞ্জ বিদ্রোহ নামক দাস বিদ্রোহ) বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রেরণ করেন।[৩৫] এভাবে তিনি তুর্কিদের সম্ভাব্য ঝুঁকি থেকে শাসনব্যবস্থাকে নিরাপদ দূরত্বে রাখেন।[৩৬] তার পূর্ববর্তী খলিফা আল-মু'তায [৩৭] এবং আল-মুহতাদী [৩৮]ও তুর্কিদের ক্ষমতা হ্রাস করার চেষ্টা করেছিলেন; কিন্তু শেষ পর্যন্ত তুর্কি সেনাপতিদের হাতেই নিহত হন।
ভোগলিপ্সু ও রাজনীতিবিমুখ
মু'তামিদকে নিষিদ্ধ ভোগ-বিলাসে আসক্ত ব্যক্তি বলে উল্লেখ করা হয়েছে [৩৯], যিনি তার সময়ের অধিকাংশই আমোদ-প্রমোদ, ক্রীড়াকৌতুক ও মদ্যপানে কাটাতেন।[৪০] তাকে রাজনীতি সম্পর্কে অজ্ঞ[৪১] এবং খিলাফত পরিচালনায় অক্ষম ব্যক্তি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।[৪২] 'আল-আলাম' গ্রন্থের লেখক যিরিকলি তাকে অস্থিরমতি, নিসঙ্গ এবং অন্যের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।[৪৩] মু'তামিদ তার শাসনভার পুত্র ও ভাইয়ের মধ্যে ভাগ করে দেন[৪৪] এবং সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব ভাইকে অর্পণের পাশাপাশি ইসলামী অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশগুলোর গভর্নর পদও তার হাতে ছেড়ে দিয়ে নিজে ভোগ-বিলাসে মগ্ন হন।[৪৫]
বর্ণিত আছে যে, তার ভাই মুওয়াফফাক ছিলেন দক্ষ ও সামর্থ্যবান ব্যক্তি এবং সমস্ত সমস্যা মোকাবিলায় তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করতেন। মুওয়াফফাক সেনাবাহিনীকে সংগঠিত করে বিদ্রোহীদের দমনে অগ্রসর হন।[৪৬] মু'তামিদের ভোগলিপ্সা এবং মুওয়াফফাকের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার কারণে জনগণের মধ্যে তার প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ মানুষের সমর্থন তার ভাইয়ের দিকে ঝুঁকে পড়ে।[৪৭]
মুওয়াফফাকের হাতে শাসনভার অর্পণ
খলিফা মু'তামিদের অক্ষমতার কারণে তার ভাই মুওয়াফফাক আব্বাসী ক্ষমতা গ্রহণ করেন।[৪৮] বর্ণিত আছে যে, খুতবা, মুদ্রা এবং "আমীরুল মু'মিনীন" উপাধি মু'তামিদের নামে থাকলেও সকল হুকুম-নিষেধ, সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব এবং মন্ত্রী নিয়োগের ক্ষমতা মুওয়াফফাকের হাতে কেন্দ্রীভূত ছিল।[৪৯] ইতিহাসবিদদের মতে, মুওয়াফফাকের ক্ষমতার প্রভাব এতটাই প্রসারিত ছিল যে মু'তামিদের কোনো কর্তৃত্বই আর অবশিষ্ট ছিল না; তার জন্য কেবল খলিফা নামক পদবিটুকুই রয়ে গিয়েছিল[৫০], এবং কিছু সূত্রে তার আর্থিক অভাবের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। [৫১] ২৬৯ হিজরিতে মু'তামিদ তার ভাই মুওয়াফফাকের বিরুদ্ধে সাহায্যের জন্য মিসরের গভর্নর আহমাদ ইবনে তুলুনের কাছে আবেদন জানান। মু'তামিদ, আহমাদ ইবনে তুলুনের আমন্ত্রণে মিসরের দিকে রওনা হন, কিন্তু মসুলের গভর্নর কর্তৃক গ্রেফতারের পর তাকে বাগদাদে ফিরিয়ে আনা হয়।[৫২] মুওয়াফফাক তাকে দারুল খিলাফায় (রাজধানীতে) প্রবেশ করতে নিষেধ করেন এবং তার উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।[৫৩] মুওয়াফফাকের পুত্র মু'তাযাদ তার পিতার মৃত্যুর পর ক্ষমতা গ্রহণ করেন[৫৪] এবং মু'তামিদের প্রতি কঠোর আচরণ করতে থাকেন।[৫৫] বাধ্য হয়ে মু'তামিদ তাঁকে নিজ পুত্রের আগে উত্তরাধিকারের মনোনয়ন দিতে বাধ্য হন।[৫৬]
ইমাম হাসান আল-আসকারী (আ.) ও শিয়াদের প্রতি আচরণ
কতিপয় গবেষকের মতে, ইমাম হাসান আল-আসকারী (আ.)-এর অধিকাংশ অনুসারী সরকারি নজরদারির অধীনে থাকতেন এবং তাদেরকে ইমামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ থেকে বঞ্চিত করা হত।[৫৭] যেসব আলেম ও ফকীহ একাদশ ইমামের সাথে সাক্ষাতের ইচ্ছা পোষণ করতেন, তাদেরকে হয়রানি ও তদন্তের মুখোমুখি করা হত।[৫৮] বিভিন্ন অঞ্চলে ইমামের ওয়াকিল বা প্রতিনিধিদের চলাচলও কঠোর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ছিল[৫৯]; এমনকি একটি বর্ণনায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, মু'তামিদের সরকার হুসাইন ইবনে রূহকে তদন্তের আওতায় এনে তাকে আত্মগোপনে যেতে বাধ্য করেছিল।[৬০] শিয়া সম্প্রদায়ের উপর সরকারি চাপ এতটাই তীব্র ছিল যে, ইমাম স্বীয় সাহাবীদেরকে তাদের নিজেদের নিরাপত্তার খাতিরে রাস্তায় প্রকাশ্যে সালাম দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য উপদেশ দিতেন।[৬১] সরকারের পক্ষ থেকে শিয়াদের সাথে কঠোর আচরণের কয়েকটি উদাহরণ হলো: ইমাম হাসান (আ.)-এর বংশধর আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ, ইমাম যায়নুল আবিদীন (আ.)-এর বংশধর মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ, জাফর ইবনে আবি তালিবের বংশধর হামযাহ ইবনে হুসাইন, ইমাম হাসান (আ.)-এর বংশধর হামযাহ ইবনে ঈসা এবং ইমাম যায়নুল আবিদীন (আ.)-এর বংশধর মুহাম্মাদ ও ইবরাহিমকে তাবারিস্তানে হত্যা করা এবং ইমাম হাসান (আ.)-এর বংশধর মুহাম্মাদ ইবনে হুসাইন ও মুসা ইবনে মুসাকে সামার্রার কারাগারে জঘন্যভাবে হত্যা করা।[৬২]
ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-কে কারাবন্দী
ইমাম হাসান আল-আসকারী (আ.) আব্বাসীয় শাসকদের পক্ষ থেকে কঠোর নিয়ন্ত্রণের সম্মুখীন হন।[৬৩] খলিফা মু'তামিদ ইমাম আসকারী (আ.)-কে কঠোর নিরাপত্তা তত্ত্বাবধানে রাখেন[৬৪] এবং ইমামের চারপাশে অসংখ্য গোয়েন্দা নিয়োগ করে তাঁর উপর ব্যাপক সীমাবদ্ধতা চাপিয়ে দেন। এর ফলে ইমামের অধিকাংশ অনুসারীই তাঁর সাথে অবাধ যোগাযোগ থেকে বঞ্চিত হন। [৬৫] ইমামকে নিয়ে মু'তামিদের উদ্বেগ এতটাই তীব্র ছিল যে, ইমামকে প্রতি সপ্তাহের সোমবার ও বৃহস্পতিবার রাজদরবারে হাজিরা দেওয়ার জন্য বাধ্য করতেন।[৬৬] কিন্তু ইমামের প্রতি জনগণের ক্রমবর্ধমান আকর্ষণের কারণে রাজপ্রাসাদের দিকে তাঁর যাতায়াতের পথ জনসমাগমে পরিপূর্ণ হয়ে যেত।[৬৭] খলিফা আল-মুহতাদীর সময়ের পাশাপাশি মু'তামিদের খিলাফতকালেও ইমাম আসকারী (আ.) কারাবন্দী হন।[৬৮] একটি বর্ণনা অনুযায়ী, ২৫৯ হিজরিতে, ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর শাহাদাতের কয়েক মাস পূর্বে, মু'তামিদ আব্বাসীর নির্দেশে ইমামকে কারারুদ্ধ করা হয় [৬৯] এবং আলী ইবনে জারীন[৭০] অথবা আহলে বাইত (আ.)-এর ঘোর শত্রু আলী ইবনে উতামিশকে তাঁর কারারক্ষী নিযুক্ত করা হয়।[৭১] মু'তামিদ কারারক্ষীকে নির্দেশ দেন যে, সে যেন শিয়া সম্প্রদায়ের একাদশ ইমামের সাথে কঠোর আচরণ করে এবং তাঁর খবরাখবর প্রতিদিন তাকে অবহিত করে। তবে, যখন মু'তামিদ জানতে পারেন যে, ইমাম সর্বদা কারাগারে সিয়াম (রোজা) ও ইবাদতে মগ্ন থাকেন, তখন ২৬০ হিজরিতে তিনি ইমামকে (আ.) মুক্তি দেন।[৭২]
কঠোরতার কারণ
ইমাম হাসান আল-আসকারী (আ.)-এর নেতৃত্বে আব্বাসীয় শাসনের বিরোধী হিসেবে শিয়া সম্প্রদায়ের ক্রমবর্ধমান শক্তি, সরকারী মহলের ঈর্ষা, ইমাম হাসান আসকারীর (আ.) ব্যাপক জনসমর্থন, আব্বাসীয়দের বিরুদ্ধে আলাভী বিদ্রোহসমূহ এবং প্রতিশ্রুত ইমাম মাহদী (আ.)-এর পিতা হওয়া প্রভৃতি বিষয়গুলো সরকারকে শিয়া সম্প্রদায়ের একাদশ ইমামের উপর অবিরাম চাপ প্রয়োগ ও কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখতে প্ররোচিত করে।[৭৩]
ইমাম আসকারী (আ.)-কে হত্যা
বর্ণিত আছে যে, ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা, শিয়াদের ব্যাপক কর্মতৎপরতা এবং নজরদারি, কারাবন্দী ও হুমকি প্রদান সত্ত্বেও কাঙ্ক্ষিত ফল না পাওয়ায় মু'তামিদ ইমামকে হত্যার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।[৭৪] শেষ পর্যন্ত ইমাম হাসান আসকারী (আ.) গোপন বিষপ্রয়োগের শিকার হন এবং ২৬০ হিজরির ৮ই রবিউল আউয়াল শাহাদাতবরণ করেন।[৭৫] কথিত আছে, সরকার ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর হত্যাকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে উপস্থাপন করার প্রচেষ্টা চালায়।[৭৬] তাবারসীর মনে করেন যে, অধিকাংশ শিয়া আলেমের মতে, মু'তামিদ সরকারের পক্ষ থেকে বিষপ্রয়োগের মাধ্যমেই ইমাম শাহাদাতবরণ করেন;[৭৭] তবে 'আল-ইরশাদ' গ্রন্থে শেখ মুফিদ, ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর ইন্তেকালের কারণ হিসেবে রোগব্যাধির কথা বিবেচনা করেছেন এবং তাঁর হত্যার পিছনে মু'তামিদের ভূমিকা থাকার প্রতি কোন ইঙ্গিত করেন নি। [৭৮]
ইমাম হাসান আসকারী (আ.) কর্তৃক তাঁর শাহাদাতের প্রতি পরোক্ষ ইঙ্গিত [৭৯], রোগের পূর্ব ইতিহাস ছাড়াই তাঁর স্বল্প আয়ু, কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর অল্প সময়ের মধ্যে তাঁর ইন্তেকাল[৮০], শিয়াদের ১১তম ইমামের মৃত্যুকে স্বাভাবিক দেখানোর জন্য খলিফার আপ্রাণ প্রচেষ্টা [৮১] এবং এছাড়াও সকল ইমামগণের শাহাদাতবরণ সংক্রান্ত হাদীসের উপস্থিতি (ما منا الا مقتول شهید),[৮২] — এ সকল বিষয়কে খলিফা মু'তামিদের সরকার কর্তৃক একাদশ ইমামকে হত্যার চক্রান্তের ইঙ্গিত হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। যেমনটি বলা হয়ছে যে, শিয়া ইমামগণের জীবন সম্পর্কে শিয়াদের ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা এবং তাঁর প্রতি খলিফাদের দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করলে, শিয়াদের নিকট তাঁর শাহাদাতবরণের বিষয়টি অত্যন্ত সুস্পষ্ট ছিল।[৮৩] কিছু কিছু সূত্রে ইমাম আলী নাকী (আ.), মু'তামিদের মাধ্যমে শাহাদাতবরণ করেছেন বলেও উল্লেখিত হয়েছে [৮৪]; যেমনটি বলা হয়েছে যে, ইমাম নাকী (আ.), আল-মু'তায (পূর্ববর্তী খলিফা)-এর নির্দেশে এবং মু'তামিদের বিষের মাধ্যমে শাহাদাতবরণ করেন।[৮৫]
ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-এর সাথে মোকাবিলা
সরকারের পক্ষ থেকে ইমাম হাসান আল-আসকারী (আ.)-এর সন্তানকে আটকের চেষ্টা-প্রচেষ্টার কারণে, একাদশ ইমাম তাঁর পুত্রের জন্ম ও বসবাসের স্থান গোপন রাখতে বাধ্য হন।[৮৬] বর্ণিত আছে, সরকার ইমাম মাহদী (আ.)-কে গ্রেফতার করার জন্য তাঁর বাসভবন একাধিকবার তল্লাশি করে এবং ইমামের জীবনের শেষ দিনগুলোতেও তাঁর বাসস্থান কঠোর নিয়ন্ত্রণে রাখে, যাতে তাঁর সন্তানের সন্ধান পাওয়া মাত্রই সরকারকে জানানো হয়।[৮৭] ইমাম আসকারী (আ.)-এর শাহাদাতের পরও মু'তামিদের নির্দেশে সরকারি এজেন্টরা ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-কে গ্রেফতার করার উদ্দেশ্যে তাঁর বাসভবনে হামলা চালায়। তারা বাড়ি তল্লাশি করে এবং কক্ষগুলো সিল করে দিয়ে[৮৮] ইমাম হাসান আল-আসকারী (আ.)-এর সকল দাসীকে কারারুদ্ধ করে, যাতে তাদের গর্ভবতী না হওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারে।[৮৯]
বিদ্রোহ ও যুদ্ধসমূহ
মু'তামিদের খিলাফতকালকে অশান্তিপূর্ণ ও সংঘাতময় কাল হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যে সময়ে সরকারবিরোধী বহু বিদ্রোহ সংঘটিত হয়।[৯০] বলা হয়ে থাকে যে, ইসলামী অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি কোণই কোনো না কোনো গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।[৯১] মু'তামিদের শাসনামলেই 'সাহেবে জাঞ্জ' নামে পরিচিত আলী ইবনে মুহাম্মাদের নেতৃত্বে ‘কিয়ামে জাঙ্গিয়ান’ তথা দাস বিদ্রোহের সূচনা হয়[৯২], যা শেষ পর্যন্ত সরকার কর্তৃক দমন করা হয়।[৯৩] এ সময় ইয়াকুব লাইস সাফফারি ক্ষমতায় আসেন।[৯৪] তিনি মু'তামিদের সেনাবাহিনীর মুখোমুখি হওয়ার পর[৯৫] এবং ইসলামী অঞ্চলের কিছু অংশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর জান্দি শাপুরে রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।[৯৬] ২৭৮ হিজরিতে কুফায় কারামাতা গোষ্ঠীর আবির্ভাব [৯৭], ইসমাইলী গোষ্ঠীর উত্থান[৯৮], তাবারিস্তানের আলভীগণ [৯৯] এবং সাফফারীয়গণের প্রাধান্য, খোরাসান ও কেরমানে আহমাদ ইবনে আবদুল্লাহ আল-খুজিস্তানির বিদ্রোহ [১০০] এবং রোমান (বাইজেন্টাইন) সাম্রাজ্যের সাথে যুদ্ধ ("সাওয়াইফ") [১০১] — এগুলো মু'তামিদের খিলাফতকালের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ঘটনা বলে বর্ণিত হয়েছে।
আরও দেখুন: জাঞ্জ, কারামাতা এবং ইসমাইলীয়দের বিদ্রোহ
আলভীদের বিদ্রোহ
মু'তামিদের শাসনামলে কিছু শিয়ার পক্ষ থেকে একাধিক বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে আলী ইবনে যায়েদ ইবনে হুসাইনের নেতৃত্বে বিদ্রোহ, যিনি কুফায় বিদ্রোহ ঘোষণা করেন এবং প্রথম পর্যায়ে আব্বাসীয় বাহিনীকে পরাজিত করেন। কিন্তু কুফার জনগণের সমর্থন না পাওয়ায় তিনি সাহিব-উয-জানজের (জাঞ্জের বিদ্রোহী নেতা) সাথে যোগ দেন। আলী ইবনে যায়েদ সাহিব-উয-জানজের আলভী বংশোদ্ভূত হওয়ার মিথ্যা দাবি বুঝতে পেরে তাঁর সেনাপতিদের নিজের দিকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাহিব-উয-জানজের হাতেই নিহত হন।[১০২] মু'তামিদের শাসনকালে মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়ার বংশধর ইবরাহিম ইবনে মুহাম্মাদের মিসরে বিদ্রোহ [১০৩], আলী ইবনে যায়েদ আল-আলভীর কুফায় বিদ্রোহ [১০৪], এবং হুসাইন ইবনে যায়েদ আত-তালিবীর রেই (তেহরান) এলাকায় বিদ্রোহ [১০৫] সহ একাধিক আলভী বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। সুয়ুতি তার 'তারিখ আল-খুলাফা' (খলিফাদের ইতিহাস) গ্রন্থে উবাইদুল্লাহ ইবনে উবাইদ নামক এক ব্যক্তির উল্লেখ করেছেন, যিনি ইয়েমেনে মাহদী হওয়ার দাবি করেছিলেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।[১০৬]
তথ্যসূত্র
- ↑ খোন্দমির, তারিখে হাবিবুস-সির, ১৩৮০ সন, খণ্ড ২, পৃ. ২৭৯।
- ↑ খতিব বাগদাদি, তারিখে বাগদাদ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ২৮০; ইবনে-‘আসাকির, তারিখে মাদিনাতে দিমাশক, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৭১, পৃ. ৫১; সাফাদি, আল-ওয়াফি বিল-ওয়াফিয়াত, ১৪০১ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ২৯২।
- ↑ তাবারি, তারিখুত-তাবারি, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৯, পৃ. ৪৭৪।
- ↑ আবুল-ফিদা, তারিখে আবিল-ফিদা, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩৬৬; কুম্মি, নিগাহি বার জিন্দেগানিয়ে চাহারদাহ মাসুম (আ.), ১৩৮০ সন, পৃ. ৫০৩; হুসাইনি খানুন আবাদি, ওয়াকায়ি‘উস-সিনিন ওয়াল-আ‘ওয়াম, ১৩৫২ সন, খণ্ড ১, পৃ. ১৮০।
- ↑ খতিব বাগদাদি, তারিখে বাগদাদ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ২৮০; খন্দমীর, তারিখে হাবিবুস-সির, ১৩৮০ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ২৭৯; যামবাভার, নাসবনামে খুলাফা, ২৫৩৬ , খণ্ড ১, পৃ. ৩।
- ↑ খতিব বাগদাদি, তারিখে বাগদাদ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ২৮০; ইবনে-‘আসাকির, তারিখে মাদিনাতে দিমাশক, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৭১, পৃ. ৭১ ও ৫১; সাফাদি, আল-ওয়াফি বিল-ওয়াফিয়াত, ১৪০১ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ২৯২।
- ↑ তাবারি, তারিখুত-তাবারি, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৯, পৃ. ৪৭৪।
- ↑ খতিব বাগদাদি, তারিখে বাগদাদ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ২৮০; ইবনে-‘আসাকির, তারিখে মাদিনাতে দিমাশক, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৭১, পৃ. ৫১; ইবনে-ফুওয়াতি, মাজমা‘উল-আদাব, ১৪১৬ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৩২৩।
- ↑ খতিব বাগদাদি, তারিখে বাগদাদ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ২৮১; ইবনে-‘আসাকির, তারিখে মাদিনাতে দিমাশক, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৭১, পৃ. ৫১; সাফাদী, আল-ওয়াফি বিল-ওয়াফিয়াত, ১৪০১ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ২৯২।
- ↑ জাম‘ই আজ নেওয়িসান্দাগান, ফারহাঙ্গে শি‘আ, ১৩৮৬ সন, পৃ. ১২৫।
- ↑ মা‘রুফ আল-হাসানি, জিন্দেগানি-ই দাওয়াজদাহ ইমাম(আ.), ১৩৮২ সন, খণ্ড ২, পৃ. ৫০৩।
- ↑ মুহাদ্দিস নুরি, নাজমুস-সাকিব, ১৩৮৪ সন, খণ্ড ১, পৃ. ৮২।
- ↑ হাসান, তারিখে সিয়াসি-ই ইসলাম, ১৩৭৬ সন, খণ্ড ৩, পৃ. ৩৭৯।
- ↑ খতিব বাগদাদি, তারিখে বাগদাদ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ৪, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৭১, পৃ. ৫১; সাফাদি, আল-ওয়াফি বিল-ওয়াফিয়াত, ১৪০১ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ২৯২।
- ↑ ইবনে-‘আসাকির, তারিখে মাদিনাতে দিমাশক, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৭১, পৃ. ৫১-৫২; খোন্দমির, তারিখে হাবিবুস-সির, ১৩৮০ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ২৭৯।
- ↑ খতিব বাগদাদি, তারিখে বাগদাদ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ২৮১; ইবনে-আসাকির, তারিখে মাদিনাতে দিমাশক, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৭১, পৃ. ৫১-৫২; সাফাদি, আল-ওয়াফি বিল-ওয়াফিয়াত, ১৪০১ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ২৯২।
- ↑ ইবনে-শাকির কুতুবি, ফাওয়াতুল-ওয়াফিয়াত, বৈরুত, খণ্ড ১, পৃ. ৬৪।
- ↑ সাফাদি, আল-ওয়াফি বিল-ওয়াফিয়াত, ১৪০১ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ২৯২; ইবনে-‘ইমাদ হানবালি, শাজারাতুয-যাহাব, ১৪০৬ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৩২৬।
- ↑ ইবনে-আসাকির, তারিখে মাদিনাতে দিমাশক, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৭১, পৃ. ৫২; সাফাদি, আল-ওয়াফি বিল-ওয়াফিয়াত, ১৪০১ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ২৯২; ইবনে-শাকির কুতুবি, ফাওয়াতুল-ওয়াফিয়াত, বৈরুত, খণ্ড ১, পৃ. ৬৫।
- ↑ কাশশি, ইখতিয়ারু মা‘রিফাতির-রিজাল, ১৪০৪ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৮২১।
- ↑ নাজাশি, আর-রিজাল, ১৩৬৫ ফার্সি সন, পৃ. ৭৭।
- ↑ সুয়ুতি, তারিখুল-খুলাফা, ১৪১৭ হি., পৃ. ৪৩৪; হাসান, তারিখে সিয়াসি-ই ইসলাম, ১৩৭৬ সন, খণ্ড ৩, পৃ. ৩৮২।
- ↑ খোন্দমির, তারিখে হাবিবুস-সির, ১৩৮০ সন, খণ্ড ২, পৃ. ২৮০।
- ↑ সাফাদি, আল-ওয়াফি বিল-ওয়াফিয়াত, ১৪০১ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ২৯২-২৯৩।
- ↑ ইয়া‘কুবি, তারিখুল-ইয়া‘কুবি, বৈরুত, খণ্ড ২, পৃ. ৫০৭; খতিব বাগদাদি, তারিখে বাগদাদ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ২৮১; ইবনে-‘আসাকির, তারিখে মাদিনাতে দিমাশক, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৭১, পৃ. ৫১।
- ↑ আবুল-ফিদা, তারিখে আবিল-ফিদা, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩৬৬; আবদুল-হুসাইন খাতুন-আবাদি, ওয়াকায়ি‘উস-সিনিন ওয়াল-আ‘ওয়াম, ১৩৫২ সন, খণ্ড ১, পৃ. ১৮০; জামবাউর, নাসবনামাহ-ই খুলাফা, ২৫৩৬ সন, খণ্ড ১, পৃ. ৩।
- ↑ কুরাশি, জিন্দেগানি-ই ইমাম হাসান আসকারি(আ.), ১৩৭৫ সন, পৃ. ২৬৬।
- ↑ সুয়ুতি, তারিখুল-খুলাফা, ১৪১৭ হি., পৃ. ৪৩০; আবুল-ফিদা, তারিখে আবিল-ফিদা, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩৬৬।
- ↑ ইবনে-আসির, আল-কামিল ফিত-তারিখ, ১৩৮৫ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ২৭৭; হাসান, তারিখে সিয়াসি-ই ইসলাম, ১৩৭৬ সন, খণ্ড ৩, পৃ. ৩৭৮।
- ↑ হাসান, তারিখে সিয়াসি-ই ইসলাম, ১৩৭৬ সন, খণ্ড ৩, পৃ. ৩৭৮।
- ↑ ইবনে-আসির, আল-কামিল, ১৩৮৫ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৪৫৫; ইবনে-খালদুন, তারিখু ইবনে-খালদুন, ১৪০৮ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৪৩২।
- ↑ যিরিকলি, আল-আ‘লাম, ১৯৮৯ খ্রি., খণ্ড ১, পৃ. ১০৭।
- ↑ খিদরি, তারিখে খিলাফাতে আব্বাসি আজ আগাজ তা পায়ান-ই আল-ই বুয়াইহ, ১৩৯৪ সন, পৃ. ১২৩।
- ↑ খোন্দমির, তারিখে হাবিবুস-সির, ১৩৮০ সন, খণ্ড ২, পৃ. ২৭৯।
- ↑ হাসান, তারিখে সিয়াসি-ই ইসলাম, ১৩৭৬ সন, খণ্ড ৩, পৃ. ৩৭৯।
- ↑ খিদরি, তারিখে খিলাফাতে আব্বাসি আজ আগাজ তা পায়ান-ই আল-ই বুয়াইহ, ১৩৯৪ ফার্সি সন, পৃ. ১২৩।
- ↑ ইবনে-শাদাদ, আল-আ‘লাকুল-খাতিরাহ, ১৯৫৩ খ্রি., খণ্ড ৩, পৃ. ৭০০; সাফাদি, আল-ওয়াফি বিল-ওয়াফিয়াত, ১৪০১ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২৯২; ইবনে-তাগরি বারদি, মুরদুল-লাতাফাহ, ১৯৭৭ খ্রি., খণ্ড ১, পৃ. ১৬৪।
- ↑ ইবনে-খালদুন, তারিখু ইবনে-খালদুন, ১৪০৮ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৩৭৯; খোন্দমির, তারিখে হাবিবুস-সির, ১৩৮০ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ২৭৯; ইবনে-কাসির, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১১, পৃ. ২২।
- ↑ কুরাশি, জিন্দেগানি-ই ইমাম হাসান আসকারি(আ.), ১৩৭৫ ফার্সি সন, পৃ. ২৬৬।
- ↑ খোন্দমির, তারিখে হাবিবুস-সির, ১৩৮০ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ২৭৯।
- ↑ সালাউয়ি, আল-কাউকাবুস-সাকিব, ১৪২৭ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৮১১।
- ↑ ইবনুত-তাকতাকি, আল-ফাখরি, ১৪১৮ হি., পৃ. ২৪৫; ইবনে-খালদুন, তারিখু ইবনে-খালদুন, ১৪০৮ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৪৩২।
- ↑ যিরিকলি, আল-আ‘লাম, ১৯৮৯ খ্রি., খণ্ড ১, পৃ. ১০৬।
- ↑ সুয়ুতি, তারিখুল-খুলাফা, ১৪১৭ হi., পৃ. ৪৩০; হাসান, তারিখে সিয়াসি-ই ইসলাম, ১৩৭৬ সন, খণ্ড ৩, পৃ. ৩৭৮।
- ↑ হাসান, তারিখে সিয়াসি-ই ইসলাম, ১৩৭৬ সন, খণ্ড ৩, পৃ. ৩৭৮।
- ↑ খিদরি, তারিখে খিলাফাতে আব্বাসি আজ আগাজ তা পায়ান-ই আল-ই বুয়াইহ, ১৩৯৪ ফার্সি সন, পৃ. ১২৩।
- ↑ সুয়ুতি, তারিখুল-খুলাফা, ১৪১৭ হি., পৃ. ৪৩০; যিরিকলি, আল-আ‘লাম, ১৯৮৯ খ্রি., খণ্ড ১, পৃ. ১০৭।
- ↑ সাফাদি, আল-ওয়াফি বিল-ওয়াফিয়াত, ১৪০১ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ২৯২; ইবনে-শাকির কুতুবি, ফাওয়াতুল-ওয়াফিয়াত, বৈরুত, খণ্ড ১, পৃ. ৬৫।
- ↑ হাসান, তারিখে সিয়াসি-ই ইসলাম, ১৩৭৬ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ৩৭৮।
- ↑ খোন্দমির, তারিখে হাবিবুস-সির, ১৩৮০ সন, খণ্ড ২, পৃ. ২৭৯; হাসান, তারিখে সিয়াসি-ই ইসলাম, ১৩৭৬ সন, খণ্ড ৩, পৃ. ৩৭৮।
- ↑ ইবনে-কাসির, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১১, পৃ. ৬৫।
- ↑ সুয়ুতি, তারিখুল-খুলাফা, ১৪১৭ হি., পৃ. ৪৩২; ইবনে-খালদুন, তারিখু ইবনে-খালদুন, ১৪০৮ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৩৯৩।
- ↑ সুয়ুতি, তারিখুল-খুলাফা, ১৪১৭ হি., পৃ. ৪৩২।
- ↑ সুয়ুতি, তারিখুল-খুলাফা, ১৪১৭ হি., পৃ. ৪৩৪।
- ↑ ইবনে-খালদুন, তারিখু ইবনে-খালদুন, ১৪০৮ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৪৩২।
- ↑ সুয়ুতি, তারিখুল-খুলাফা, ১৪১৭ হি., পৃ. ৪৩৪; ইবনে-খালদুন, তারিখু ইবনে-খালদুন, ১৪০৮ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৪৩২।
- ↑ হুসাইন, তারিখে সিয়াসিয়ে গায়বাতে ইমামে দাওয়াজদাহুম (আ.ফা.), ১৩৮৫ ফার্সি সন, পৃ. ১০১; কুরাশি, জিন্দেগানিয়ে ইমাম হাসান আসকারি (আ.), ১৩৭৫ ফার্সি সন, পৃ. ২৬৯।
- ↑ কুরাশি, জিন্দেগানি-ই ইমাম হাসান আসকারি (আ.), ১৩৭৫ সন, পৃ. ২৬৮।
- ↑ মা‘রুফ আল-হাসানি, জিন্দেগানিয়ে দাওয়াজদাহ ইমাম (আ.), ১৩৮২ সন, খণ্ড ২, পৃ. ৫৬৯।
- ↑ মা‘রুফ আল-হাসানি, জিন্দেগানিয়ে দাওয়াজদাহ ইমাম (আ.), ১৩৮২ সন, খণ্ড ২, পৃ. ৫৭৩।
- ↑ মুন্তাযিরুল-কায়িম, তারিখে ইমামত, ১৩৮৬ ফার্সি সন, পৃ. ২৫৫-২৫৬।
- ↑ আবুল-ফারাজ ইসফাহানি, মাকাতিলুত-তালিবিয়িন, বৈরুত, পৃ. ৫৩৬-৫৪০।
- ↑ জাম‘ই আয নেভিসান্দেগান, ফারহাঙ্গে শি‘আ, ১৩৮৬ ফার্সি সন, পৃ. ১২৫।
- ↑ কুরাশি, জিন্দেগানিয়ে ইমাম হাসান আসকারি (আ.), ১৩৭৫ফার্সি সন, পৃ. ২৮৬।
- ↑ হুসাইন, তারিখে সিয়াসিয়ে গায়বাতে ইমামে দাওয়াজদাহুম (আ.ফা.), ১৩৮৫ ফার্সি সন, পৃ. ১০১।
- ↑ মুন্তাযিরুল-কায়িম, তারিখে ইমামত, ১৩৮৬ ফার্সি সন, পৃ. ২৫৫।
- ↑ মুন্তাযিরুল-কায়িম, তারিখে ইমামত, ১৩৮৬ ফার্সি সন, পৃ. ২৫৫।
- ↑ কুরাশি, জিন্দেগানিয়ে ইমাম হাসান আসকারি (আ.), ১৩৭৫ফার্সি সন, পৃ. ২৬৭।
- ↑ ইবনে-তাউস, মুহিজুদ-দা‘ওয়াত, ১৪১১ হি., পৃ. ২৭৫।
- ↑ জা‘ফারিয়ান, হায়াতে ফিকরি ও সিয়াসিয়ে আইম্মায়ে শি‘আ (আ.), কুম, পৃ. ৫৪৪-৫৪৫।
- ↑ জা‘ফারিয়ান, হায়াতে ফিকরি ও সিয়াসিয়ে আইম্মায়ে শি‘আ (আ.), কুম, পৃ. ৫৪৪-৫৪৫।
- ↑ মাস‘উদি, ইসবাতুল-ওয়াসিয়াহ, ১৩৮৪ সন, পৃ. ২৫৩।
- ↑ কুরাশি, জিন্দেগানিয়ে ইমাম হাসান আসকারি (আ.), ১৩৭৫ফার্সি সন, পৃ. ২৭০।
- ↑ আহমাদি, তারিখে আইম্মায়ে শী‘আ, ১৩৮৯ সন, পৃ. ২৪৬।
- ↑ তাবারসি, ই‘লামুল-ওয়ারা, ১৪১৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১৩১।
- ↑ আহমাদি, তারিখে আইম্মায়ে শী‘আ, ১৩৮৯ সন, পৃ. ২৪৬।
- ↑ তাবারসি, ই‘লামুল-ওয়ারা, ১৪১৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১৩১-১৩২।
- ↑ শেইখ মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩৩৬।
- ↑ মাস‘উদি, ইসবাতুল-ওয়াসিয়াহ, ১৩৮৪ ফার্সি সন, পৃ. ২৫৩।
- ↑ মুন্তাযিরুল-কায়িম, তারিখে ইমামত, ১৩৮৬ ফার্সি সন, পৃ. ২৫৬-২৫৭।
- ↑ তাসভিরে আইম্মায়ে শী‘আ দার দায়িরাতুল-মা‘আরিফে ইসলাম, পৃ. ৪৪৩।
- ↑ তাসভিরে আইম্মায়ে শী‘আ দার দায়িরাতুল-মা‘আরিফে ইসলাম, পৃ. ৪৪৩-৪৪৪।
- ↑ আহমাদি, তারিখে আইম্মায়ে শী‘আ, ১৩৮৯ সন, পৃ. ২৪৬।
- ↑ মানাকিব ও মারাসিয়ে আহলে-বাইত, পৃ. ২৭৪; মুনতাহাল-আমাল, খণ্ড ৩, পৃ. ১৮৮৭; ইবনে-শাহর আশুব, মানাকিবে আলে আবি তালিব, ১৩৭৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৪০১।
- ↑ তাকী জাদেহ দাওয়ারি, তাসভিরে আইম্মায়ে শী‘আ, ১৩৮৫ সন, পৃ. ৪২৭।
- ↑ আহমাদি, তারিখে আইম্মায়ে শী‘আ, ১৩৮৯ সন, পৃ. ২৪৬।
- ↑ আহমাদি, তারিখে আইম্মায়ে শী‘আ, ১৩৮৯ ফার্সি সন, পৃ. ২৪৭ (কুলাইনি থেকে উদ্ধৃত)।
- ↑ মোদাররেসি, আইম্মায়ে শী‘আ ও জুনবিশহায়ে মাকতাবি, ১৩৬৯ সন, পৃ. ৩৬৩।
- ↑ মোদাররেসি, আইম্মায়ে শী‘আ ও জুনবিশহায়ে মাকতাবি, ১৩৬৯ সন, পৃ. ৩৬২।
- ↑ সালাউয়ি, আল-কাউকাবুস-সাকিব, ১৪২৭ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৮১১।
- ↑ ইবনে-খালদুন, তারিখু ইবনে-খালদুন, ১৪০৮ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৪২৩।
- ↑ ইবনে-খালদুন, তারিখু ইবনে-খালদুন, ১৪০৮ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৩৮২।
- ↑ সুয়ুতি, তারিখুল-খুলাফা, ১৪১৭ হি., পৃ. ৪৩০; খোন্দমির, তারিখে হাবিবুস-সির, ১৩৮০ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ২৭৯।
- ↑ খোন্দমির, তারিখে হাবিবুস-সির, ১৩৮০ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ২৭৯।
- ↑ বাইহাকি, তারিখে বাইহাকি, ১৩৭৪ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ৫৫৫।
- ↑ হাসান, তারিখে সিয়াসি ইসলাম, ১৩৭৬ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ৪৩১।
- ↑ সুয়ুতি, তারিখুল-খুলাফা, ১৪১৭ হি., পৃ. ৪৩৪।
- ↑ হাসান, তারিখে সিয়াসি ইসলাম, ১৩৭৬ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ৩৭৯।
- ↑ ইবনে-খুরদাদবিহ, আল-মাসালিক ওয়াল-মামালিক, বৈরুত, পৃ. ১৫।
- ↑ সুয়ুতি, তারিখুল-খুলাফা, ১৪১৭ হি., পৃ. ৪৩১-৪৩২।
- ↑ সুয়ুতি, তারিখুল-খুলাফা, ১৪১৭ হি., পৃ. ৪৩১; ইবনে-খালদুন, তারিখু ইবনে-খালদুন, ১৪০৮ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৪২১।
- ↑ আবুল-ফারাজ ইসফাহানি, মাকাতিলুত-তালিবিয়িন, বৈরুত, পৃ. ৫২৮।
- ↑ ইবনে-খালদুন, তারিখু ইবনে-খালদুন, ১৪০৮ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৩৮১।
- ↑ ইবনে-খালদুন, তারিখু ইবনে-খালদুন, ১৪০৮ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৩৮১।
- ↑ ইবনে-খালদুন, তারিখু ইবনে-খালদুন, ১৪০৮ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৩৮১।
- ↑ সুয়ুতি, তারিখুল-খুলাফা, ১৪১৭ হি., পৃ. ৪৩৩।
গ্রন্থপঞ্জি
- ইবনে-আসির আল-জাজারি, ‘আলি ইবন মুহাম্মাদ, আল-কামিল ফিত-তারিখ, বৈরুত, দারু বৈরুত, ১৩৮৫ হি.।
- ইবনে-আসির আল-জাজারি, ‘আলি ইবন মুহাম্মাদ, আল-কামিল ফিত-তারিখ, বৈরুত, দারু বৈরুত, ১৩৮৫ হি.।
- ইবনে-তাগরি বারদি, ইউসুফ, মুরদুল-লাতাফাহ ফি মান ওয়ালিয়াস-সালতানাহ ওয়াল-খিলাফাহ, কাহিরাহ, দারুল-কুতুবিল-মিসরিয়াহ, ১৯৭৭ খ্রি.।
- ইবনে-খুরদাদবিহ, ‘উবাইদুল্লাহ ইবন ‘আবদুল্লাহ, আল-মাসালিক ওয়াল-মামালিক, তরজুমাহ, বৈরুত, দারু সাদির, তারিখ অজ্ঞাত।
- ইবনে-খালদুন, ‘আবদুর-রাহমান ইবন মুহাম্মাদ, দিওয়ানুল-মুবতাদা ওয়াল-খাবার ফি তারিখিল-‘আরাব ওয়াল-বারবার ওয়া মান ‘আসারাহুম মিন যাবিশ-শানিল-আকবার, তাহকিক: খলীল শিহাদাহ, বৈরুত, দারুল-ফিকর, ২য় সংস্করণ, ১৪০৮ হি.।
- ইবনে-শাকির কুতুবি, মুহাম্মাদ ইবন শাকির, ফাওয়াতুল-ওয়াফিয়াত ওয়ায-যাইল ‘আলাইহা, বৈরুত, দারু সাদির, তারিখ অজ্ঞাত।
- ইবনে-শাদাদ, মুহাম্মাদ ইবন ‘আলি, আল-আ‘লাকুল-খাতিরাহ ফি যিকরি উমারায়িশ-শাম ওয়াল-জাজিরাহ, দিমাশক, আল-মা‘হাদুল-‘ইলমিয়্যুল-ফারানসি লিদ-দিরাসাতিল-‘আরাবিয়াহ, ১৯৫৩ খ্রি.।
- ইবনে-শাহর আশুব মাজানদারানি, মুহাম্মাদ ইবন ‘আলি, আল-মানাকিব, কুম, ‘আল্লামাহ, ১৩৭৯ হি.।
- ইবনে-তাউস, ‘আলি ইবন মুসা, মুহিজুদ-দা‘ওয়াত ওয়া মিনহাজুল-‘ইবাদাত, কুম, দারুয-যাখাইর, ১৪১১ হি.।
- ইবনে-‘আসাকির, ‘আলি ইবন হাসান, তারিখু মাদিনাতে দিমাশক ওয়া যিকরু ফাদলিহা ওয়া তাসমিয়াতু মান হাল্লাহা মিনাল-আমাসিল অথবা ইজতাযা বিনাওয়াহিহা মিন ওয়ারিদিহা ওয়া আহলিহা, বৈরুত, দারুল-ফিকর, ১৪১৫ হি.।
- ইবনে-‘ইমাদ আল-হানবালি, ‘আবদুল-হাই ইবন আহমাদ, শাজারাতুয-যাহাব ফি আখবারি মান যাহাব, দিমাশক, দারু ইবনে-কাসির, ১৪০৬ হি.।
- ইবনে-ফুওয়াতি, ‘আবদুর-রাযযাক ইবন আহমাদ, মাজমা‘উল-আদাব ফি মু‘জামিল-আলকাব, তেহরান, ভিজারাতে ফারহাঙ্গ ও ইরশাদে ইসলামি, সাজমানে চাপ ও ইন্তিশারাত, ১৪১৬ হি.।
- ইবনে-কাসির আদ-দিমাশকি, ইসমাইল ইবন ‘উমার, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া, বৈরুত, দারুল-ফিকর, ১৪০৭ হি.।
- আবুল-ফারাজ ইসফাহানি, ‘আলি ইবন হুসাইন, মাকাতিলুত-তালিবিয়িন, বৈরুত, দারুল-মা‘রিফাহ, তারিখ অজ্ঞাত।
- আবিল-ফিদা, ইসমাইল ইবন ‘আলি, তারিখু আবিল-ফিদা, বৈরুত, দারুল-কুতুবিল-‘ইলমিয়াহ, ১৪১৭ হি.।
- আহমাদি বিরজানদি, আহমাদ, মানাকিব ওয়া মারাসি-ই আহলে-বাইত(আ.), মাশহাদ, আস্তানে-ই কুদসে-ই রিজাভি, ৩য় সংস্করণ, ১৩৮৪ ফার্সি সন।
- আহমাদি, হামিদ, তারিখে আইম্মায়ে শি‘আ, কুম, দাফতারে নাশরে মা‘আরিফ, ১৩৮৯ ফার্সি সন।
- বাইহাকি, মুহাম্মাদ ইবন হুসাইন, তারিখে বাইহাকি বা মা‘নি-ই ওয়াজহাহ-ই ওয়া শারহে-ই জুমলাহ-ই-ই দুশওয়ার ওয়া বারখি-ই নুকতাহ-ই-ই দাস্তুরি ওয়া আদাবি, তেহরান, মাহতাব, ৪র্থ সংস্করণ, ১৩৭৪ ফার্সি সন।
- তাকি-জাদাহ দাওয়ারি, মাহমুদ, তাসভিরে আইম্মায়ে শি‘আ দার দায়িরাতুল-মা‘আরিফে ইসলাম, কুম, মুআসসাসেহ-ই শি‘আ-শিনাসি, ১৩৮৫ ফার্সি সন।
- জা‘ফারিয়ান, রাসুল, হায়াতে-ই ফিকরি ওয়া সিয়াসি-ই আইম্মায়ে শি‘আ(আ.), কুম, আনসারিয়ান, ৬ষ্ঠ সংস্করণ, তারিখ অজ্ঞাত।
- জাম‘ই আজ নেওয়িসান্দাগান, ফারহাঙ্গে শi‘আ, কুম, জমজমে হিদায়াত, ২য় সংস্করণ, ১৩৮৬ ফার্সি সন।
- হাসান, ইবরাহিম, তারিখে সিয়াসি-ই ইসলাম, তরজমা: আবুল-কাসিম পায়ানদাহ, তেহরান, জাওইদান, ৯ম সংস্করণ, ১৩৭৬ ফার্সি সন।
- হুসাইন, জাসিম, তারিখে সিয়াসি-ই গায়বাতে ইমামে-ই দাওয়াজদাহুম(আ.ফা.), তরজমা: সাইয়িদ মুহাম্মাদ-তাকি আয়াতুল্লাহি, তেহরান, আমিরে কাবির, ৩য় সংস্করণ, ১৩৮৫ ফার্সি সন।
- হুসাইনি খাতুন আবাদি, ‘আবদুল-হুসাইন, ওয়াকায়ি‘উস-সিনিন ওয়াল-আ‘ওয়াম, তেহরান, ইসলামিয়াহ, ১৩৫২ ফার্সি সন।
- খিদরি, সাইয়িদ আহমাদ-রিদা, তারিখে খিলাফাতে-ই ‘আব্বাসি আজ আগাজ তা পায়ানে-ই আল-ই-ই বুয়াইহ, তেহরান, সামত, ১৩৯৪ ফার্সি সন।
- খতিব বাগদাদি, আহমাদ ইবন ‘আলি, তারিখে বাগদাদ, বৈরুত, দারুল-কুতুবিল-‘ইলমিয়াহ, মানশুরাতে মুহাম্মাদ ‘আলি বাইদুন, ১৪১৭ হি.।
- খন্দমীর, গিয়াসুদ্দিন ইবন হামামুদ্দিন, তারিখে হাবিবুস-সির: আজ হামলাহ-ই-ই মুগুল তা মারগে-ই শাহে-ই ইসমাইল-ই-ই আওয়াল, তেহরান, খিয়াম, ৪র্থ সংস্করণ, ১৩৮০ ফার্সি সন।
- যামবাভার, ইদওয়ার্ড, নাসবনামাহ-ই খুলাফা ওয়া শাহর-ই ইয়ারান ওয়া সিরে-ই তারিখি-ই হাওয়াদিসে-ই ইসলাম, তরজমা: মুহাম্মাদ-জাওয়াদ মাশকুর, তেহরান, কিতাব ফুরুশি-ই খিয়াম, ২৫৩৬ ফার্সি সন।
- যারকলি, খাইরুদ্দিন, আল-আ‘লাম (কামুসু তারাজিম লি-আশহারির-রিজাল ওয়ান-নিসা মিনাল-‘আরাব ওয়াল-মুসতা‘রিবিন ওয়াল-মুসতাশরিকিন), বৈরুত, দারুল-‘ইলমি লিল-মিলায়িন, ৮ম সংস্করণ, ১৯৮৯ খ্রি.।
- সালাউয়ি, ‘আবদুল-কাদির ইবন ‘আবদুর-রাহমান, আল-কাউকাবুস-সাকিব ফি আখবারিশ-শু‘আরা ওয়া গাইরিহিম মিন যাউয়িল-মানাকিব, মাগরিব, ভিজারাতুল- আউকাফ ওয়াশ-শুউনিল-ইসলামিয়াহ, ১৪২৭ হি.।
- সুয়ুতি, ‘আবদুর-রাহমান ইবন আবি-বাকর, তারিখুল-খুলাফা, দিমাশক, দারুল-বাশাইর, ১৪১৭ হি.।
- শেখ মুফিদ, আল-ইরশাদ ফি মা‘রিফাতি হুজাজিল্লাহি ‘আলাল-‘ইবাদ, কুম, কংগ্রেহে শাইখ মুফিদ, ১৪১৩ হি.।
- সাফাদি, খলীল ইবন আইবাক, আল-ওয়াফি বিল-ওয়াফিয়াত, বৈরুত, দারুন-নাশর ফিরানজ শ্টাইনার, ২য় সংস্করণ, ১৪০১ হি.।
- তাবারসি, ফাজল ইবন হাসান, ই‘লামুল-ওয়ারা বিই‘লামিল-হুদা, কুম, আল-ই-বাইত, ১৪১৭ হি.।
- তাবারি, মুহাম্মাদ ইবন জারির ইবন ইয়াজিদ, তারিখুল-উমাম ওয়াল-মুলুক, বৈরুত, দারুত-তুরাস, ১৩৮৭ হি.।
- কারশি, বাকির শরিফ, জিন্দেগানি-ই ইমাম হাসান আসকারি(আ.), তরজমা: সাইয়িদ হাসান ইসলামি, কুম, জামি‘য়াতে-ই মুদার্রিসিন, ১৩৭৫ ফার্সি সন।
- কুম্মি, ‘আব্বাস, মুনতাহাল-আমাল, কুম, দালিলে-ই মা, ১৩৭৯ ফার্সি সন।
- কুম্মি, ‘আব্বাস, নিগাহি বার-ই জিন্দেগানি-ই চাহারদাহ মাসুম(আ.), কুম, নাসির, ৩য় সংস্করণ, ১৩৮০ ফার্সি সন।
- কাশশি, মুহাম্মাদ ইবন উমার, ইখতিয়ারু মা’রিফাতির-রিজাল, কুম, মুআসসাসাতু আলিল-বাইত(আ.) লি-ইহইয়াই আত-তুরাস, ১৪০৪ হি.।
- মুহাদ্দিস নুরি, হুসাইন, নাজমুস-সাকিব ফি আহওয়ালিল-ইমামিল-গায়িব, কুম, মসজিদে-ই জামকারান, ১৩৮৪ ফার্সি সন।
- মুদাররেসি, মুহাম্মাদ-তাকি, ইমামানে শি‘আ ওয়া জুনবিশহায়ে-ই মাকতাবি, মাশহাদ, আস্তানে কুদসে রাজাভি, ৩য় সংস্করণ, ১৩৬৯ ফার্সি সন।
- মাস‘উদি, ‘আলি ইবন হুসাইন, ইসবাতুল-ওয়াসিয়াহ লিল-ইমাম ‘আলি ইবন আবি তালিব, কুম, আনসারিয়ান, ৩য় সংস্করণ, ১৩৮৪ ফার্সি সন।
- মা’রুফ আল-হাসানি, হাশিম, জিন্দেগানি-ই দাওয়াজদাহ ইমাম(আ.), তরজমা: মুহাম্মাদ মুকাদ্দাস, তেহরান, আমিরে কাবির, ৪র্থ সংস্করণ, ১৩৮২ ফার্সি সন।
- মুন্তাজিরুল-কায়িম, আসগার, তারিখে ইমামত, কুম, দাফতারে নাশরে মা‘আরিফ, ১৩৮৬ ফার্সি সন।
- নাজাশি, আহমাদ ইবনে আলী, রিজালুন-নাজাশি, কুম, জামা‘আতুল-মুদার্রিসিন ফিল-হাওজাতিল-‘ইলমিয়াহ বিকুম, ৬ষ্ঠ সংস্করণ, ১৩৬৫ ফার্সি সন।
- ইয়া‘কুবি, আহমাদ ইবন আবি-ইয়া‘কুব, তারিখুল-ইয়া‘কুবি, বৈরুত, দারু সাদির, তারিখ অজ্ঞাত।