বিষয়বস্তুতে চলুন

সালমান মিন্না আহলাল বাইত

wikishia থেকে
সালমান মিন্না আহলাল বাইত
“সালমানু মিন্না আহলাল বাইত” হাদিসটি সুলুস লিপির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন মুহাম্মাদ তারিফি
“সালমানু মিন্না আহলাল বাইত” হাদিসটি সুলুস লিপির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন মুহাম্মাদ তারিফি
বিষয়সালমানের ফজিলত
উদ্ধৃতমহানবি (স.) হতে
সনদের গ্রহণযোগ্যতাসহীহ ও মুতাওয়াতির
শিয়া সূত্রউয়ুনু আখবারির রিযা, মিসবাহুল মুতাহাজ্জিদ, মাজমাউল বায়ান, আল-ইখতিসাস
সুন্নি সূত্রআত তাবাকাতুল কুবরা, আস সীরাতুন নাবাবিয়্যাহ

সালমানু মিন্না আহলাল বাইত (আরবি: سَلْمانُ مِنّا اَهل‌َ‌البیت) অর্থাৎ "সালমান আমাদের আহলে বাইত হতে", হাদীসটি মহানবী (স.) হতে বর্ণিত একটি প্রসিদ্ধ, মুতাওয়াতির এবং সহীহ হাদিস, যা সালমান ফারসির ফজিলত ও মর্যাদা সম্পর্কিত। শিয়াদের কিছু কিছু ইমাম, যেমন ইমাম আলী (আ.), ইমাম সাজ্জাদ (আ.) এবং ইমাম বাকের (আ.) এই হাদিসটি স্বতন্ত্রভাবে অথবা রাসূলুল্লাহ’র (স.) উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করেছেন।

আহযাবের যুদ্ধের (খন্দকের যুদ্ধ) সময় গর্ত খননের ঘটনা ও সালমানের আরব না হওয়া সম্পর্কে উমর ইবনে খাত্তাবের উক্তি, প্রভৃতি ঘটনার কারণে মহানবী (স.) হতে এই হাদিস বর্ণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

শেইখ সাদুক, শেইখ তুসি এবং শেইখ মুফিদের ন্যায় কিছু কিছু শিয়া পণ্ডিত এবং ইবনে সাদ ও ইবনে হিশামের ন্যায় কিছু কিছু সুন্নি পণ্ডিত এই হাদিসটিকে তাদের গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।

এক দলের মত হচ্ছে যে, "সালমানু মিন্না আহলাল বাইত" হাদিসটির মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (স.) বুঝাতে চেয়েছেন যে, সালমান আমাদের ধর্মের উপর রয়েছে। অন্যান্যরা, এই হাদিসটিকে মহানবী (স.) এর আকীদা- বিশ্বাস, নৈতিকতা এবং কর্মের দিক থেকে সালমানের ঘনিষ্ঠতার পরিপ্রেক্ষিতে তার অবস্থান ও মর্যাদা সংক্রান্ত এক বিবৃতি হিসেবে বিবেচনা করেছেন।

১৪১৩ হিজরিতে মুহাম্মাদ আলী আসবার বৈরুতে “সালমানু মিন্না আহলাল বাইত” শিরোনামে সালমান ফারসি’র জীবনী তার অবস্থা এবং "সালমানু মিন্না আহলাল বাইত" সম্পর্কে একটি বই প্রকাশ করেন।

পরিচয় ও অবস্থান

"সালমানু মিন্না আহলাল বাইত" বা "سَلمانُ مِنّا اَهل‌َ‌البیت" অর্থাৎ সালমান আমাদের আহলে বাইত হতে - শিয়া গবেষকদের ভাষ্যমতে, এই হাদিসটি এমন একটি হাদিস, যা সর্ব প্রথম মহানবী (স.) কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে।[] হাদিস সূত্র অনুসারে, কিছু কিছু শিয়া ইমামগণও এই হাদিসটি স্বতন্ত্রভাবে অথবা মহানবী (স.) এর উদ্ধৃতি দিয়ে বর্ণনা করেছেন।[] উদাহরণস্বরূপ, ইমাম আলী (আ.) সালমান সম্পর্কে একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেছেন যে সালমান আহলে বাইতের সদস্য।[] কুলাইনি (মৃত্যু:৩২৯ হি.) কর্তৃক রচিত কাফি গ্রন্থেও একটু ভিন্ন ব্যাখ্যায় ইমাম সাজ্জাদ (আ.) হতে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে, সেখানে সালমানকে আহলে বাইত হতে জ্ঞান করা হয়েছে।[] এছাড়াও ফাত্তাল নিশাপুরি রচিত রাওযাতুল ওয়ায়েযিন গ্রন্থে বর্ণিত একটি হাদিস অনুসারে, ইমাম বাকের (আ.)-এর কাছে সালমান ফারসি’র প্রসঙ্গ তুলা হলে ইমাম তাদেরকে চুপ থাকার আহ্বান জানান এবং তাদেরকে সালমানে মুহাম্মাদি সম্বোধন করতে বললেন; কারণ সে আহলে বাইতের (আ.) সদস্য।[] রেজালে কাশশি গ্রন্থেও ইমাম সাদিক (আ.) হতে একটি রেওয়ায়েত, সালমান মিন্না আহলে বাইত (আ.) অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে।[]

হাদিসটির উৎস

এই হাদিসটির উৎপত্তির প্রেক্ষাপট সম্পর্কে সূত্রগুলোতে মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।[] শিয়া মুফাসসির তাবারসি এবং সুন্নি লেখক ইবনে সাদ উল্লেখ করেছেন যে, মহানবী (স.) আহযাবের যুদ্ধের সময় গর্ত খননের জন্য মুসলমানদের জন্য একটি সীমা নির্ধারণ করে দেন। মুহাজিরআনসারদের মধ্যে সালমানকে নিয়ে টানাটানি শুরু হয়। শারীরিকভাবে শক্তিশালী হওয়ায় প্রত্যেকে সালমানকে তাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করতে চাচ্ছিলেন, তখন মহানবী (স.), “সালমানু মিন্না আহলাল বাইত” বাক্যের মাধ্যমে তাকে আহলে বাইতের সদস্য বলে অভিহিত করেন।[]

শেইখ মুফিদ ভিন্ন একটি প্রতিবেদনে লিখেছেন, হযরত মুহাম্মাদ (স.) যখন উমর বিন খাত্তাবের মুখ থেকে সালমানের অ-আরব হওয়া সংক্রান্ত উক্তি শুনলেন, তখন মহানবী (স.) মিম্বরের উপর গিয়ে কেবলমাত্র তাক্বওয়া ব্যতীত জাতি ও বর্ণের কারণে মানুষের একে অপরের উপর কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই, এ মর্মে খুতবা প্রদান করে সালমানকে অফুরন্ত সমুদ্র ও সম্পদ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং তাকে আহলে বাইতের (আ.) এর সদস্য হিসেবে উল্লেখ করেন।[] কিতাবে সুলাইম বিন কাইস নামক গ্রন্থেও একটি রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, একটি বৈঠকে মহানবী (স.) আহলে বাইতের সদস্য ব্যতীত সকলেই চলে যেতে বলেন। তখন সালমানও চলে যেতে চাইলে মহানবী (স.) তাকে থাকতে বলেন; কারণ তিনি আহলে বাইতের অংশ।[১০]

হাদিসের গ্রহণযোগ্যতা

"সালমানু মিন্না আহলাল বাইত" একটি প্রসিদ্ধ, গ্রহণযোগ্য[১১] এবং মুতাওয়াতির হাদিস।[১২] কিছু কিছু গবেষক, সনদের দিক থেকে সহীহ ও শক্তিশালী এই হাদিসটিকে একটি একক হাদিস হিসেবে নয়, বরং মহানবী (স.) এবং ইমামদের (আ.) হতে অভিন্ন কয়েকটি [১৩] হাদিসের অংশ হিসেবে মনে করেছেন।[১৪]

উয়ুনু আখবারির রিযায় শেইখ সাদুক,[১৫] আত তিবইয়ানমিসবাহুল মুতাহাজ্জিদে শেইখ তুসি,[১৬] আল-ইখতিসাসে শেইখ মুফিদ,[১৭] মানাকেবে আলে আবি তালিবে ইবনে শাহরে আশুব,[১৮] ইহতিজাজ গ্রন্থে আহমাদ বিন আলী তাবারসি[১৯] এবং এছাড়া সুলাইম বিন কাইসের[২০] ন্যায় শিয়া পণ্ডিতগণ উক্ত হাদিসটির উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও আত তাবাকাতুল কুবরায় ইবনে সা’দ[২১] এবং আস সীরাতুন নাবাবিয়্যাহ[২২] গ্রন্থের লেখক ইবনে হিশামের ন্যায় কিছু কিছু সুন্নি পণ্ডিতও এই হাদিসটি উল্লেখ করেছেন।

হাদিসের বিভিন্ন ব্যাখ্যা

মুসলিম পণ্ডিতগণ “সালমানু মিন্না আহলাল বাইত” হাদিসটিকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন:

ফাযল বিন হাসান তাবারসি এবং শেইখ তুসি বলেছেন "সালমানু মিন্না আহলাল বাইত" হাদিসটির মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (স.) বুঝাতে চেয়েছেন যে, সালমান আমাদের ধর্মেরই অনুসারী।[২৩]কেউ কেউ আবার লিখেছেন, হাদিসটি সালমানের অবস্থান ও মর্যাদার কথা তুলে ধরেছে, কারণ সালমান আকীদা-বিশ্বাস, নৈতিকতা ও আমলের দিক থেকে হযরত মুহাম্মাদ (স.) নিকটবর্তী হয়েছিলেন।[২৪]


বিশিষ্ট মুসলিম আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব ইবনে আরবী, এই বাক্যটিকে সালমানের পবিত্রতার স্তর, ঐশ্বরিক সুরক্ষা এবং নিষ্পাপতা সম্পর্কে মহানবীর (স.) সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করেছেন; এই দলিলের ভিত্তিতে যে আয়াতে তাতহীরে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মহানবী (স.) এবং আহলে বাইতকে তার খাঁটি বান্দা হওয়ার কারণে «رِجْس» (অপবিত্রতা) থেকে পবিত্র করেছেন, আর যে ব্যক্তিই তাদের সাথে সাদৃশ্য রাখবে, সে মহানবী (স.) এবং আহলে বাইতের সাথে যোগদান করবেন। এরই ধারাবাহিকতায়, এই আয়াতে সালমানও অন্তর্ভুক্ত হয়;[২৫] কিন্তু, মোল্লা মুহসিন ফাইয কাশানী, ইবনে আরবীর এই বিষয়টি তথা সালমান ও আহলে ব্যতীত অন্যদেরকে আয়াতে তাতহিরের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছেন, এমনকি এটা উল্লেখ করাও বৈধ জ্ঞান করেননি।[২৬]

গবেষকদের একটি দল, আহলে বাইতের (আ.) প্রকৃত মর্যাদা সম্পর্কে জ্ঞান[২৭] এবং অন্য একটি দল, সালমানের ভিতরে থাকা বিশেষ কিছু গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্যকে[২৮] সালমানের এই অবস্থানে পৌঁছানোর রহস্য হিসেবে মনে করেছেন, যার কারণে মহানবী (স.) এবং ইমামগণ (আ.) তাকে তাদের অংশ বলে অভিহিত করেছেন।

গ্রন্থপরিচিতি

১৪১৩ হিজরিতে মোহাম্মদ আলী আসবার, আরবি ভাষায় "সালমানু মিন্না আহলাল বাইত" শিরোনামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন, যা বৈরুতের দারুল ইসলামিয়া প্রকাশনা কর্তৃক ৩৫৪ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়। এই বইটি সালমান ফারসির জীবনী, তার অবস্থা এবং "সালমানু মিন্না আহলাল বাইত" হাদিস সম্পর্কিত।[২৯]

তথ্যসূত্র

  1. হুসাইনি আমিন ও মুসাভি, “বাররাসিয়ে ভিঝেগিহায়ে “মিন্না” বুদানে সালমান ফারসি বার আসাসে তাহলিলে রেওয়ায়েতে লাইসা মিন্না”, পৃ. ৫০।
  2. হুসাইনি আমিন ও মুসাভি, “বাররাসিয়ে ভিঝেগিহায়ে “মিন্না” বুদানে সালমান ফারসি বার আসাসে তাহলিলে রেওয়ায়েতে লাইসা মিন্না”, পৃ. ৫০।
  3. তাবারসি, আল-ইহতিজাজ, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৬০।
  4. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৩৬৩ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ৪০১।
  5. ফাত্তাল নিশাপুরি, রাওযাতুল ওয়ায়েযিন, ১৩৭৫ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ২৮৩।
  6. কাশশি, রিজালে কাশশি, ১৩৪৮, পৃ. ১২ বে নাকল আয হুসাইনি আমিন ও মুসাভি, “বাররাসিয়ে ভিঝেগিহায়ে “মিন্না” বুদানে সালমান ফারসি বার আসাসে তাহলিলে রেওয়ায়েতে লাইসা মিন্না”, পৃ. ৪৯।
  7. শেইখ সাদুক, উয়ুনু আখবারির রিযা (আ.), জাহান, খণ্ড ২, পৃ. ৬৪; শেইখ তুসি, মিসবাহুল মুতাহাজ্জিদ, ১৪১১ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৮১৭।
  8. তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৪০৮ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৭২৬ এবং খণ্ড ৮, পৃ. ৫৩৩; ইবনে সা’দ, আত তাবাকাতুল কুবরা, ১৪১০ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৬২।
  9. শেইখ মুফিদ, আল-ইখতিসাস, ১৪১৩ হি., পৃ. ৩৪১।
  10. হুসাইনি আমিন ও মুসাভি, “বাররাসিয়ে ভিঝেগিহায়ে “মিন্না” বুদানে সালমান ফারসি বার আসাসে তাহলিলে রেওয়ায়েতে লাইসা মিন্না”, পৃ. ৪৯।
  11. জুয়া, “আখবারে মাশকুক দার মিরাসে মা’সুরে আখলাকি”, পৃ. ১০২।
  12. হুসাইনি আমিন ও মুসাভি, “বাররাসিয়ে ভিঝেগিহায়ে “মিন্না” বুদানে সালমান ফারসি বার আসাসে তাহলিলে রেওয়ায়েতে লাইসা মিন্না”, পৃ. ৬৫; বাসিরি ও শাফিয়ি, “বাররাসিয়ে তাহলিলিয়ে হাদিস “সালমান মিন্না আহলাল বাইত”, পৃ. ১৬৩ ও ১৬৯।
  13. বাসিরি ও শাফিয়ি, “বাররাসিয়ে তাহলিলিয়ে হাদিস “সালমান মিন্না আহলাল বাইত”, পৃ. ১৬৩ ও ১৬৯।
  14. হুসাইনি আমিন ও মুসাভি, “বাররাসিয়ে ভিঝেগিহায়ে “মিন্না” বুদানে সালমান ফারসি বার আসাসে তাহলিলে রেওয়ায়েতে লাইসা মিন্না”, পৃ. ৫০।
  15. শেইখ সাদুক, উয়ুনু আখবারির রিযা (আ.), জাহান, খণ্ড ২, পৃ. ৬৪।
  16. শেইখ তুসি, মিসবাহুল মুতাহাজ্জিদ, ১৪১১ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৮১৭।
  17. শেইখ মুফিদ, আল-ইখতিসাস, ১৪১৩ হি., পৃ. ৩৪১।
  18. ইবনে শাহরে আশুব, মানাকেবে আলে আবি তালিব, ১৩৭৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৮৫।
  19. তাবারসি, আল-ইহতিজাজ, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৬০।
  20. সুলাইম বিন কাইস, ১৪০৫ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৯৬৫ বে নাকল আয হুসাইনি আমিন ও মুসাভি, “বাররাসিয়ে ভিঝেগিহায়ে “মিন্না” বুদানে সালমান ফারসি বার আসাসে তাহলিলে রেওয়ায়েতে লাইসা মিন্না”, পৃ. ৫০।
  21. ইবনে সা’দ, আত তাবাকাতুল কুবরা, ১৪১০ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৬২।
  22. ইবনে হিশাম, আস সীরাতুন নাবাবিয়্যাহ, দারুল মা’রিফাহ, খণ্ড ১, পৃ. ৭০।
  23. তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৪০৮ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ২৫৩; শেইখ তুসি, আত তিবইয়ান, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ৫, পৃ. ৪৯৪।
  24. «حدیث «سلمان منّا اهل البیت» با انحصار «اهل البیت» در پنج تن آل عبا در آیه تطهیر چگونه قابل جمع است؟», মুআসসেসেয়ে তাহকিকাতিয়ে হযরত ওয়ালিয়ে আসর (আ.ফা.) ওয়েব সাইট; রাসুলি ও অন্যান্যরা, “তরজমা”, দার মাজমাউল বায়ান, খণ্ড ২৬, পৃ. ১৭৪।
  25. ইবনে আরাবি, আল-ফুতুহাতুল মাক্কিয়্যাহ, দারু সাদের, খণ্ড ১, পৃ. ১৯৫-১৯৬।
  26. মোল্লা মুহসিন ফাইয কাশানি, বাশারাতুশ শিয়া, পৃ. ১৫২, বে নাকল আয হুসাইনি তেহরানি, রুহুল মুজাররাদ, ১৪২৫ হি., পৃ. ৪৪৬।
  27. «سرّی که سلمان را جزو اهل‌بیت ساخته، چیست؟», অনলাইন নিউজ সাইট; «دکتر بابک عالیخانی عنوان کرد: سلمان در آیینه فتوحات», মুআসসেসেয়ে পেঝুহেশিয়ে হিকমত ওয়া ফালসাফেয়ে ইরান সাইট।
  28. হুসাইনি আমিন ও মুসাভি, “বাররাসিয়ে ভিঝেগিহায়ে “মিন্না” বুদানে সালমান ফারসি বার আসাসে তাহলিলে রেওয়ায়েতে লাইসা মিন্না”, পৃ. ৫২-৫৩।
  29. দ্র: «سلمان منا اهل البیت», কিতাব খানেয়ে তাখাসসুসিয়ে আমিরুল মুমিনিন আলী (আ.); দ্র: আসবার, সালমান মিন্না আহলাল বাইত, ১৪১৩ হি., পৃ. ৪।

গ্রন্থপঞ্জি

  • ইবনে সা’দ, মুহাম্মাদ, আত তাবাকাতুল কুবরা, তাহকিক: মুহাম্মাদ আব্দুল কাদের আতা, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, ১৪১০ হি.।
  • ইবনে শাহরে আশুব, মুহাম্মাদ বিন আলী, মানাকেবে আলে আবি তালিব, তাসহিহ ও তাহকিক: মুহাম্মাদ হুসাইন আশতিয়ানি ওয়া হাশেম রাসূলী, কোম, আল্লামা, প্রথম সংস্করণ, ১৩৭৯ হি.।
  • ইবনে আরাবি, মুহাম্মাদ বিন আলী, আল-ফুতুহাতুল মাক্কিয়্যাহ, বৈরুত, দারু সাদের, তারিখ অজ্ঞাত।
  • ইবনে হিশাম, আব্দুল মুলক, আস সিরাতুন নাবাবিয়্যাহ, তাহকিক ও তাসহিহ: ইব্রাহিম আবইয়ারি, মুস্তাফা সাক্বা ও আব্দুল হাফিজ শিবলি, বৈরুত, দারুল মা’রিফাহ, তারিখ অজ্ঞাত।
  • আসবার, মুহাম্মাদ আলী, সালমান মিন্না আহলাল বাইত, বৈরুত, আদ দারুল ইসলামিয়্যাহ, ১৪১৩ হি.।
  • বাসিরি, হামিদ রেযা ও সাইয়্যেদ রুহুল্লাহ শাফিয়ি, বাররাসিয়ে তাহলিলি হাদিস “সালমান মিন্না আহলাল বাইত”, দার মাজাল্লেয়ে হাদিস পেযুহি, সংখ্যা ৭, বাহার ওয়া তাবেস্তান ১৩৯১ ফার্সি সন।
  • জুয়া, জাহান বাখশ, “আখবারে মাশকুক দার মিরাসে মা’সুর আখলাকি”, দার ফাসলনামেয়ে মুতালেআত আখলাকে করবোর্দি, সংখ্যা ৮, বাহার ও তাবেস্তান, ১৩৮৬ ফার্সি সন।
  • «حدیث «سلمان منّا اهل البیت» با انحصار «اهل البیت» در پنج تن آل عبا در آیه تطهیر چگونه قابل جمع است؟», ‍মুআসসেসেয়ে তাহকিকাতিয়ে হযরত ওয়ালিয়ে আসর (আ.ফা.) ওয়েব সাইট, দেখার তারিখ: ২১ খোরদাদ ১৪০৩ ফার্সি সন।
  • হুসাইনি আমিন, সাইয়্যেদ মুর্তাযা ও সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ মুসাভি, “বাররাসিয়ে ভিঝেগিহায়ে “মিন্না” বুদানে সালমান ফারসি বার আসাসে তাহলিলিয়ে রেওয়ায়েতে লাইসা মিন্না”, দার ফাসল নামেয়ে হাদিস ওয়া আন্দিশে, সংখ্যা ২৬, পায়ীয ওয়া যেমেস্তান ১৩৯৭ ফার্সি সন।
  • হুসাইনি, সাইয়্যেদ মুর্তাজা, https://ensani.ir/fa/article/425736/ «بررسی ویژگی‌های «منّا» بودن سلمان فارسی بر اساس تحلیل روایات «لیس منّا», দার মাজাল্লেয়ে হাদিস ওয়া আন্দিশে, পায়িয ওয়া যেমেস্তান ১৩৯৭, সংখ্যা ২৬।
  • হুসাইনি তেহরানী, সাইয়্যেদ ‍মুহাম্মাদ হুসাইন, রুহে মুজাররাদ, মাশহাদ, ইন্তেশারাতে আল্লামা তাবাতাবায়ী, অষ্টম সংস্করণ, ১৪২৫ হি.।
  • «دکتر بابک عالیخانی عنوان کرد: سلمان در آیینه فتوحات», মুআসসেসেয়ে পেঝুহেশিয়ে হিকমত ওয়া ফালসাফেয়ে ইরান সাইট, বিষয়বস্তু প্রকাশের তারিখ: ২২ অযার ১৪০২ ফার্সি সন, দেখার তারিখ: ২০ খোরদাদ ১৪০৩ ফার্সি সন।
  • রাসুলি, হাশেম ও অন্যান্যরা, তরজমা, দার তাফসীরে মাজমাউল বায়ান, তালিফ ফাযল বিন হাসান তাবারসি, তেহরান, ফারাহানি, তারিখ অজ্ঞাত।
  • «سرّی که سلمان را جزو اهل‌بیت ساخته، چیست, অনলাইন নিউজ সাইট, বিষয়বস্তু প্রকাশের তারিখ: ১৪ ইসফান্দ ১৪০২ ফার্সি সন, দেখার তারিখ: ২০ খোরদাদ, ১৪০৩ ফার্সি সন।
  • «سلمان منا اهل البیت», কিতাব খানেয়ে তাখাসসুসিয়ে আমিরুল মু’মিনিন আলী (আ.), দেখার তারিখ: ২২ খোরদাদ ১৪০৩ ফার্সি সন।
  • শেইখ সাদুক, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, উয়ুনু আখবারির রিযা (আ.), তাসহিহ: মাহদি লাযেভারদি, তেহরান, জাহান, তারিখ অজ্ঞাত।
  • শেইখ তুসি, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, আত তিবইয়ান ফি তাফসীরিল কুরআন, তাসহিহ: আহমাদ হাবিব আমেলি, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসির আরাবি, তারিখ অজ্ঞাত।
  • শেইখ তুসি, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, মিসবাহুল মুতাহাজ্জিদ, তাসহিহ: আলী আসগার মারওয়ারিদ ও আবুজার বাইদার, বৈরুত, মুআসসেসেয়ে ফিকহিশ শিয়া, ১৪১১ হি.।
  • শেইখ মুফিদ, মুহাম্মাদ ইবনে মুহাম্মাদ, আল-ইখতিসাস, তাহকিক ও তাসহিহ: আলী আকবার গাফ্ফারি ও মাহমুদ মুহাররাসি যারান্দি, কোম, আল-মু’তামারুল আলেমি লি আল-ফিয়াতিশ শেইখুল মুফিদ, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৩ হি.।
  • তাবারসি, আহমাদ ইবনে আলী, আল-ইহতিজাজ, তাসহিহ: মুহাম্মাদ বাকের মুসাভি খোরাসান, মাশহাদ, নাশরুল মুর্তাযা, ১৪০৩ হি.।
  • তাবারসি, ফাযল ইবনে হাসান, মাজমাউল বায়ান, তরজমা ও তাসহিহ: হাশেম রাসুলি ও অন্যান্যরা, বৈরুত, দারুল মা’রেফাহ, ১৪০৮ হি.।
  • ফাত্তাল নিশাপুরি, মুহাম্মাদ বিন আহমাদ, রাওযাতুল ওয়ায়েযিন ওয়া বাসিরাতুল মুত্তাইযিন, কোম, ইন্তেশারাতে রাযি, প্রথম সংস্করণ, ১৩৭৫ ফার্সি সন।
  • কুলাইনি, মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব, আল-কাফি, তাসহিহ: আলী আকবার গাফফারি ও মুহাম্মাদ আখুন্দি, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়্যাহ, ১৩৬৩ ফার্সি সন।