খসড়া:মুতা বিবাহ
অস্থায়ী বিবাহ বা মুতা (زَواج المُتْعَة) হলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া, অর্থাৎ স্থায়ী (বিবাহ) হিসেবে নয়। এই প্রকার বিবাহ নবী করীম (সা.)-এর যুগে বৈধ ছিল—এ বিষয়ে সকল মুসলিম একমত। তবে আহলে সুন্নাত, যায়দিয়া, ইসমাঈলিয়া ও ইবাযিয়া (আবাদিয়া) মাযহাবের অনুসারীদের মতে, নবী করীম (সা.)-এর যুগেই এই বিধানের বৈধতা রহিত হয় এবং এই বিবাহ হারাম বলে ঘোষিত হয়। কিন্তু ইমামিয়া (শিয়া) মাযহাবের বিশ্বাস যে, নবী করীম (সা.) কখনও এই বিধান রহিত করেননি এবং তাঁর যুগে ও আবু বকর -এর খিলাফতকালেও এটি একটি বৈধ প্রথা হিসেবে প্রচলিত ছিল।
আহলে সুন্নাতের রেওয়ায়েতের কিতাবে বর্ণিত কিছু রেওয়ায়েত অনুযায়ী, সর্বপ্রথম উমর ইবনে খাত্তাব এই প্রথাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। ইমামিয়া ফকীহগণ আয়াতে মুতা এবং নবী করীম (সা.) ও আইম্মা (আ.)-এর বর্ণিত রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে মুতা তথা অস্থায়ী বিবাহের বৈধতার পক্ষে ফতোয়া প্রদান করেছেন এবং এর বিস্তারিত বিধি-বিধান বর্ণনা করেছেন।
শিয়া ফকীহগণের ইজমা (ঐকমত্য) অনুসারে, মুতা-এর আক্দে অবশ্যই সময়সীমা ও দেনমোহর-এর পরিমাণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। স্থায়ী বিবাহের বিপরীতে, অস্থায়ী বিবাহে তালাক নেই; বরং নির্ধারিত সময় শেষ হওয়া অথবা পুরুষ কর্তৃক অবশিষ্ট সময় ক্ষমা করে দেয়ার মাধ্যমে বিচ্ছেদ সংঘটিত হয়। আক্দের সময় শেষ হওয়া অথবা পুরুষের পক্ষ থেকে সময় ক্ষমা করে দেয়ার পর, যদি দৈহিক মিলন ঘটে থাকে, তাহলে নারীর উপর ওয়াজিব হচ্ছে দুইটি হায়েযের (ঋতুস্রাব) মেয়াদ পর্যন্ত ইদ্দত পালন করা।
পরিভাষা পরিচিতি ও অবস্থান
অস্থায়ী বিবাহ বলতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য (স্থায়ী নয়) সম্পাদিত দাম্পত্য চুক্তিকে বোঝায়।[১] অস্থায়ী বিবাহ শিয়া ও আহলে সুন্নাত – এই দুই মাযহাবের মধ্যে একটি মতবিরোধপূর্ণ বিষয়।[২] শিয়া মাযহাবের সকল ফকীহগণের মত হচ্ছে এই প্রকার বিবাহ শরীয়তগতভাবে বৈধ একটি বিষয়।[৩]ফিকহের অধ্যায়সমূহের 'নিকাহ' অধ্যায়ে তারা এর বিধি-বিধান বর্ণনা করেছেন।[৪]
শিয়া ইমামগণ (আ.) থেকে বর্ণিত রেওয়ায়েতে অস্থায়ী বিবাহ সম্পাদনের কিছু সওয়াবের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। [৫] অবশ্য কিছু রেওয়ায়েতে এসেছে যে, অস্থায়ী বিবাহের ব্যাপারে অত্যধিক জিদ যেন না থাকে।[৬] ইমামিয়া (শিয়া) ফকীহগণ রেওয়ায়েতসমূহের প্রতি লক্ষ্য রেখে, কেবল অস্থায়ী বিবাহের হালাল হওয়ারই ফতোয়া দেননি, বরং এ কাজটিকে মুস্তাহাবও বিবেচনা করেছেন।[৭] অবশ্য মুর্তাযা মোতাহহারীর মতে, এই বিষয়টির প্রতি গুরুত্বারোপ ও উৎসাহিত করার বিষয়টি মূলত ঐ পরিত্যক্ত সুন্নতকে পুনরুজ্জীবিত করার উদ্দেশ্যে; কামপ্রবণতা ও ভোগলিপ্সা প্রভৃতিকে উৎসাহিত করার জন্য নয়।[৮] অস্থায়ী বিবাহের সুবিধাসমূহের আলোচনায় বলা হয় যে, এটি সমাজের যৌন সংক্রান্ত সমস্যাবলীর একটি সমাধান, বিশেষ করে যুব সম্প্রদায় ও ঐ সকল ব্যক্তির জন্য যারা কোনো না কোনো কারণে স্থায়ী বিবাহে অক্ষম।[৯] এছাড়াও, এটিকে ব্যভিচার ও অন্যান্য অনেক সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদ্ধতি হিসেবেও গণ্য করা হয়েছে।[১০]
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের দেওয়ানি কার্যবিধিতে অস্থায়ী বিবাহের বিষয়টি গৃহীত হয়েছে এবং এর ষষ্ঠ অধ্যায় এই বিষয়ের জন্য নির্ধারিত।[১১]
অস্থায়ী বিবাহ সম্পর্কে ইসলামী মাযহাবসমূহের দৃষ্টিভঙ্গি
অস্থায়ী বিবাহের বৈধতা সম্পর্কে মুসলিম পণ্ডিতগণের মধ্যে মতপার্থক্য বিদ্যমান: ইমামিয়া শিয়া অস্থায়ী বিবাহকে শরীয়তগতভাবে বৈধ মনে করে; কিন্তু অন্যান্য মাযহাব, যেমন- আহলে সুন্নাত[১২], যায়দিয়া [১৩], ইসমাঈলিয়া [১৪] ও ইবাযিয়া [১৫] মাযহাব এটিকে জায়েয বলে বিবেচনা করে না।
শহীদ সানী-এর বর্ণনা অনুযায়ী, ইমামিয়া মাযহাবের সকল ফকীহ অস্থায়ী বিবাহকে জায়েয জ্ঞান করেন।[১৬] তারা অস্থায়ী বিবাহের শরয়ী বৈধতা প্রমাণে কুরআনের বিভিন্ন আয়াত, যেমন- মুতা’র আয়াতকে (সূরা নিসা, আয়াত ২৪) দলিল হিসেবে উপস্থান করেন।[১৭] এছাড়াও তারা বলেন যে, অস্থায়ী বিবাহের বৈধতার স্বপক্ষে নবী করীম (সা.) ও শিয়া ইমামগণ থেকে বহু সংখ্যক মুতাওয়াতির রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে।[১৮] অপরদিকে অন্যান্য ইসলামী মাযহাব ও ফিরকাসমূহের বিশ্বাস নবী করীম (সা.)-এর যুগে অস্থায়ী বিবাহ জায়েয ছিল; কিন্তু পরবর্তীতে এর বিধান রহিত (নাসখ) হয়ে গেছে এবং তা হারাম হয়ে গেছে।[১৯]
অস্থায়ী বিবাহের বিধান কি রহিত হয়েছে?
মুসলিম আলেমগণ এ ব্যাপারে একমত যে, নবী করীম (সা.)-এর সময় অস্থায়ী বিবাহ শরীয়তসম্মত ছিল।[২০] আহলে সুন্নাতের কিছু কিছু হাদীস গ্রন্থে দ্বিতীয় খলিফা উমর ইবনে খাত্তাব হতে এমন বক্তব্য বর্ণিত হয়েছে, যাতে তিনি স্বীকার করেছেন যে, নবী করীম (সা.)-এর যুগে অস্থায়ী বিবাহ মুবাহ (শরীয়তী দৃষ্টিতে করা না করা সমান) ছিল এবং তিনি নিজেই একে নিষিদ্ধ করেছেন।[২১] সেখানে তার এই বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে: "দুইটি মুতা রয়েছে যা নবী করীম (সা.)-এর যুগে জায়েয ছিল, কিন্তু আমি সেগুলো নিষিদ্ধ করছি এবং যারা তা করবে তাদেরকে শাস্তি প্রদান করবো: একটি হলো মুতা বিবাহ (অস্থায়ী বিবাহ), আর অন্যটি হলো মুত'আতুল হজ্জ।"[২২]
এই ধরনের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে ইমামিয়া পণ্ডিতগণ অভিমত পোষণ করেন যে, অস্থায়ী বিবাহ প্রথমবারের মতো উমর ইবনুল খাত্তাব-এর দ্বারাই নিষিদ্ধ ও হারাম ঘোষিত হয়।[২৩] আর তার এই কাজকে দ্বীনে এক প্রকার বিদআত বা নতুন বিষয়ের প্রবর্তন ও নাস-এর (কুরআন-সুন্নাহর স্পষ্ট দলিল) বিরুদ্ধে ইজতিহাদ এবং নবী করীম (সা.)-এর শরীয়তের বিরুদ্ধাচারণ হিসেবে গণ্য করেন।[২৪] আহলে সুন্নাতের পণ্ডিত ইবনে হাজার আসকালানী (৭৭৩-৮৫২ হিজরি) বলেছেন যে, নবী করীম (সা.)-এর সময় অস্থায়ী বিবাহ জায়েয ছিল এবং তাঁর পরবর্তী সময়ে, আবু বকরের পুরো খিলাফতকাল এবং উমর ইবনে খাত্তাবের খিলাফতকালীন সময়ের একটি অংশ পর্যন্তও এটি জায়েয ও প্রচলিত ছিল; কিন্তু অবশেষে উমর তার জীবনের শেষের দিকে এটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।[২৫]
আহলে সুন্নাতের অধিকাংশ পণ্ডিত তাদের রেওয়ায়েতভিত্তিক গ্রন্থসমূহে [২৬] বর্ণিত কিছু রেওয়ায়েতের উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করেন যে, অস্থায়ী বিবাহের বিধান নবী করীম (সা.)-এর যুগেই এবং তাঁর দ্বারাই রহিত করা (নাসখ) হয়েছে।[২৭] তাদের মধ্যে একদলের অভিমত হচ্ছে, অস্থায়ী বিবাহের বিধান নবী করীম (সা.)-এর যুগেই সূরা মু'মিনুনের ৫ থেকে ৭ নং আয়াত [২৮] এর মতো আয়াত নাযিলের মাধ্যমে রহিত হয়ে যায়। তারা মনে করেন যে, উক্ত আয়াতগুলো অনুসারে, মু'মিনগণ হচ্ছেন পবিত্র চরিত্রের অধিকারী, যারা তাদের স্ত্রী অথবা কানিয (দাসী) ব্যতীত অন্য কারো সাথে যৌনাচারে লিপ্ত হয় না; আর যে কেউ এই পন্থা ছাড়া যৌনাচারের খোঁজ করে, সে আল্লাহর সীমানা লঙ্ঘনকারী। অস্থায়ী বিবাহ এই দুই শ্রেণীর (স্ত্রী ও দাসী) কোনোটিই নয়। সুতরাং তা হচ্ছে আল্লাহর সীমা লঙ্ঘন করা।[২৯]
এই বক্তব্যের জবাবে বলা হয়েছে যে, সূরা মু'মিনুনের ৫ থেকে ৭ নং আয়াত মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং অস্থায়ী বিবাহের বৈধতা প্রমাণের জন্য দলিল হিসেবে উদ্ধৃত আয়াতে মুতা, উক্ত আয়াতসমূহের পরে মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে। আর রহিতকারী (নাসেখ), রহিত হওয়া (মানসুখ) বিষয়ের পূর্বে হতে পারে না।[৩০] এছাড়াও অস্থায়ী বিবাহে, চুক্তির উভয় পক্ষের দ্বারা নির্ধারিত সময় পর্যন্ত নারী, পুরুষের বৈধ স্ত্রী হিসেবে পরিগণিত হন। সুতরাং তাদের মধ্যকার দাম্পত্য সম্পর্ক আল্লাহর সীমানা লঙ্ঘন নয়।[৩১]
ফিকহী হুকুম আহকাম
অস্থায়ী বিবাহের সীগাহ
নারী বলবে: "زَوَّجْتُکَ نَفْسی عَلَی المَهْرِ الْمَعْلُومِ فی المُدَّةِ المَعْلُومَة" "আমি নিজেকে তোমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করলাম, নির্দিষ্ট মোহরানার বিনিময়ে, নির্দিষ্ট সময়সীমার জন্য।" পুরুষ বলবে: "قَبِلْتُ التَّزْویجَ عَلَی المَهْرِ الْمَعْلُومِ فی المُدَّةِ المَعْلُومَة" "আমি এই বিবাহ মেনে নিলাম সেই নির্দিষ্ট মোহরানার বিনিময়ে, নির্দিষ্ট সময়সীমার জন্য।"[৩২]
শিয়া ফকীহগণের ফতোয়া অনুসারে, অস্থায়ী বিবাহের কিছু ফিকাহগত বিধান নিম্নরূপ:
- অস্থায়ী বিবাহের ক্ষেত্রে, বিবাহের মেয়াদ ও দেনমোহরের পরিমাণ বিবাহের সীগাহ বা বাক্যে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা অবশ্যক।[৩৩] ফকীহগণের প্রসিদ্ধ মত অনুযায়ী, যদি অস্থায়ী বিবাহের সীগাহতে, এর মেয়াদ উল্লেখ করা না হয়, তবে তা স্থায়ী বিবাহে রূপান্তরিত হয়ে যায়।[৩৪] কিছু কিছু ফিকাহবিদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, বিবাহের উভয় পক্ষ যদি আরবীতে সীগাহ পাঠ করতে অক্ষম হয়, এমনকি সীগাহ জারি করার জন্য ওয়াকিল নেয়ার সামর্থ্যও থাকলেও, অন্য ভাষায় তা জারি করা বৈধ।[৩৫] অন্যদের ভাষ্যমতে, সব পরিস্থিতিতেই আকদের সীগাহ যেকোনো ভাষায় জারি করা যেতে পারে।[৩৬]
- মুসলিম পুরুষ ও আহলে কিতাব নারীর মধ্যে অস্থায়ী বিবাহ সঠিক ;[৩৭] কিন্তু একজন মুসলিম নারী ও আহলে কিতাব পুরুষের মধ্যে শুদ্ধ নয়।[৩৮] এছাড়াও, আহলে কিতাব ব্যতিত অন্য অমুসলিমের সাথে কোন মুসলিমের (সে পুরুষ হোক বা নারী) অস্থায়ী বিবাহ হারাম।[৩৯]
- কুমারী কন্যার সাথে অস্থায়ী বিবাহ করা মাকরূহ এবং বিবাহ করলে তার কুমারীত্ব নষ্ট করাও মাকরূহ।[৪০]
- ফকীহগণের বর্ণনা অনুযায়ী, কুমারী কন্যার সাথে বিবাহের আকদ, তা স্থায়ী হোক বা অস্থায়ী, তার পিতার অনুমতির উপর নির্ভরশীল; আর এই বিধানে স্থায়ী ও অস্থায়ী বিবাহের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।[৪১]
- অস্থায়ী বিবাহে যদি দৈহিক মিলন হয়ে থাকে, তাহলে বিবাহের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর, নারী যদি ঋতুবতী না হয় (ইয়ায়েসা না হয়), তবে তার জন্য ইদ্দত পালন করা ওয়াজিব। অস্থায়ী বিবাহে নারীর ইদ্দত হলো—যদি তার ঋতুস্রাব (হায়েজ) না হয় (যদিও সে হায়েজের বয়সী হয় এবং ইয়ায়েসা না হয়), তবে ৪৫ দিন; আর যদি তার হায়েজ হয়, তবে কিছু ফকীহ’র মতে তার ইদ্দত হলো দুইটি হায়েজ।[৪২]
- যদি দৈহিক মিলনের আগেই আকদের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় অথবা পুরুষ বাকি সময় ক্ষমা করে দেয়, তবে নারীর জন্য ইদ্দত পালন করা আবশ্যক নয়।[৪৩] অস্থায়ী বিবাহের মেয়াদের মধ্যে যদি পুরুষের মৃত্যু হয়, তাহলে এমনকি দৈহিক মিলন না হলেও নারীর জন্য 'ইদ্দতে ওফাত' (স্বামীর মৃত্যুর পরের ইদ্দত) পালন করা ওয়াজিব, যা চার মাস দশ দিন।[৪৪] অস্থায়ী বিবাহে তালাকের বিধান নেই; বরং আকদের মেয়াদ শেষ হওয়া অথবা পুরুষ কর্তৃক বাকি সময় ক্ষমা করে দেয়ার মাধ্যমে বিচ্ছেদ সংঘটিত হয়।[৪৫]
ফকীহগণের বর্ণনা অনুযায়ী, অস্থায়ী আকদের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে উত্তরাধিকারী’র সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয় না, এমনকি যদি শর্তারোপও করা হয় (অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রী উভয়ে বা যে কোনো一একজন এই মর্মে শর্ত করে যে, তারা একে অপরের ওয়ারিস তথা উত্তরাধিকারী হবে)।[৪৬]
- অস্থায়ী বিবাহে নারীর ভরণ-পোষণ (নাফাকাহ) পুরুষের উপর ওয়াজিব নয়।[৪৭]
গ্রন্থ পরিচিতি
- ইমামিয়া পণ্ডিতগণ অস্থায়ী বিবাহ সম্পর্কে অগণিত গ্রন্থ ও রিসালা রচনা করেছেন।
- হাওযা ইলমিয়া কোমের শিক্ষক নাজমুদ্দীন তাবাসী একটি গ্রন্থ রচনা করেছেন, যা “এযদেওয়াজে মুওয়াক্কাত দার রাফতার ওয়া গুফতারে সাহাবা” শিরোনামে অনূদিত হয়েছে। এই গ্রন্থের গ্রন্থপঞ্জি অংশে ইমামিয়া পণ্ডিতদের লেখা অস্থায়ী বিবাহ ও তার শরীয়তগত বৈধতা সম্পর্কে ৪৬টি রচনার পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে।[৪৮] উক্ত রচনাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:
খুলাসাতুল ইজায ফিল মুত’আহ: এই গ্রন্থটি চারটি অধ্যায়ে সজ্জিত। গ্রন্থটিতে অস্থায়ী বিবাহের শরীয়তগত বৈধতা, ফজিলত, পদ্ধতি ও বিধি-বিধান এবং এ সংক্রান্ত বিক্ষিপ্ত বিষয়াবলী পর্যালোচনা ও বর্ণনা করা হয়েছে। [৪৯] কেউ কেউ এই রচনাটি শেখ মুফীদ-এর বলে উল্লেখ করেছেন[৫০], একটি গোষ্ঠী শহীদে আউয়াল [৫১] এবং কেউ কেউ আবার মুহাক্কিক কারাকী’র বলে উল্লেখ করেছেন।[৫২]
- যাওয়াজুল মুত’আহ: সাইয়্যেদ জাফর মুর্তাযা আমেলী-র লেখা তিন খণ্ডের গ্রন্থ। লেখক এই রচনায় অস্থায়ী বিবাহের বৈধতা ও কিছু বিধি-বিধান আলোচনার পাশাপাশি, অস্থায়ী বিবাহের হারাম হওয়া সংক্রান্ত আহলে সুন্নাত আলেমগণের দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা ও পর্যালোচনা তুলে ধরেছেন।[৫৩]
- আয-যাওয়াজুল মুওয়াক্কাত ফিল ইসলাম: সাইয়্যেদ মুর্তাযা আসকারী’র রচনা। লেখক এই গ্রন্থে শিয়া ও আহলে সুন্নাতের আলেমগণের দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনাপূর্বক কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে অস্থায়ী বিবাহের শরীয়তগত বৈধতা পর্যালোচনা করেছেন।[৫৪]
সম্পর্কিত নিবন্ধ
তথ্যসূত্র
- ↑ মুআসসেসেয়ে দায়েরাতুল মা'আরিফিল ফিকহিল ইসলামী, ফারহাঙ্গে ফিকহে ফারসী, ১৩৮৭ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ৩৯৯।
- ↑ কালানতর, «হাশিয়াহ», কিতাবুর রাওজাতুল বাহিয়্যাহ ফি শারহিল লুম'আতিদ দিমাশকিয়্যাহ, ১৪১০ হিজরি, খণ্ড ৫, পৃ. ২৪৫।
- ↑ শহীদ সানী, আর-রাওজাতুল ফিকহিয়্যাহ ফি শারহিল লুম'আতিদ দিমাশকিয়্যাহ, ১৪১২ হিজরি, খণ্ড ২, পৃ. ১০৩।
- ↑ মুআসসেসেয়ে দায়েরাতুল মা'আরিফিল ফিকহিল ইসলামী, ফারহাঙ্গে ফিকহে ফারসী, ১৩৮৭ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ৩৯৯।
- ↑ উদাহরণস্বরূপ দেখুন: হুররে আমেলী, ওয়াসাইলুশ শিয়া, ১৪১৬ হিজরি, খণ্ড ২১, পৃ. ১৩-১৭।
- ↑ উদাহরণস্বরূপ দেখুন: কুলাইনী, আল-কাফী, ১৪৩০ হিজরি, খণ্ড ১১, পৃ. ১৮-১৯।
- ↑ উদাহরণস্বরূপ দেখুন: হুররে আমেলী, ওয়াসাইলুশ শিয়া, ১৪১৬ হিজরি, খণ্ড ২১, পৃ. ১৩-১৭; মুহাক্কিক কারকী, জামিউল মাকাসিদ, ১৪১৪ হিজরি, খণ্ড ১৩, পৃ. ৮।
- ↑ মোতাহহারী, নেজামে হুকুকে জান দার ইসলাম, ১৪৪০ হিজরি, পৃ. ৭১।
- ↑ কাশিফুল গিতা, ইন আসত আয়িনে মা, ১৩৭০ ফার্সি সন, পৃ. ৩৮৫-৩৮৬; সুবহানী, মুত'আতুন নিসা ফিল কিতাবি ওয়াস সুন্নাহ, ১৪২৩ হিজরি, পৃ. ৯-১১।
- ↑ কাশিফুল গিতা, ইন আসত আয়িনে মা, ১৩৭০ ফার্সি সন, পৃ. ৩৮৭।
- ↑ «কানুনে মাদানী», সাইটে মারকাজে পেঝুহেশহায়ে মাজলিসে শুরায়ে ইসলামী।
- ↑ একদল লেখক, আল-মাউসু'আতুল ফিকহিয়্যাতুল কুয়েতিয়্যাহ, ১৪২৭ হিজরি, খণ্ড ৪১, পৃ. ৩৩৩-৩৩৪; মুহাক্কিক কারকী, জামিউল মাকাসিদ, ১৪১৪ হিজরি, খণ্ড ১৩, পৃ. ৭।
- ↑ উদাহরণস্বরূপ দেখুন: আহমাদ বিন ঈসা, রা'বুস সাদ', ১৪২৮ হিজরি, খণ্ড ২, পৃ. ৮৭৬-৮৭৭।
- ↑ উদাহরণস্বরূপ দেখুন: নু'মান মাগরিবী, দা'আইমুল ইসলাম, ১৩৮৫ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ২২৯।
- ↑ উদাহরণস্বরূপ দেখুন: একদল লেখক, মাউসু'আতুল ফিকহিল ইবাদি, ১৪৩৮ হিজরি, খণ্ড ৭, পৃ. ৩৫৩-৩৫৪।
- ↑ শহীদ সানী, আর-রাওজাতুল ফিকহিয়্যাহ ফি শারহিল লুম'আতিদ দিমাশকিয়্যাহ, ১৪১২ হিজরি, খণ্ড ২, পৃ. ১০৩।
- ↑ উদাহরণস্বরূপ দেখুন: ফাজিল মুকাদ্দাদ, কানযুল ইরফান ফি ফিকহিল কুরআন, ১৩৭৩ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ১৪৯-১৫৩; সাবযাওয়ারী, মুহাজ্জাবুল আহকাম, দারুত তাফসীর, খণ্ড ২৫, পৃ. ৭৯-৮০; মাকারিম শিরাজী, কিতাবুন নিকাহ, ১৪২৪ হিজরি, খণ্ড ৫, পৃ. ১০।
- ↑ সাবযাওয়ারী, মুহাজ্জাবুল আহকাম, দারুত তাফসীর, খণ্ড ২৫, পৃ. ৭৯; মাকারিম শিরাজী, কিতাবুন নিকাহ, ১৪২৪ হিজরি, খণ্ড ৫, পৃ. ১৫।
- ↑ উদাহরণস্বরূপ দেখুন: একদল লেখক, আল-মাউসু'আতুল ফিকহিয়্যাতুল কুয়েতিয়্যাহ, ১৪২৭ হিজরি, খণ্ড ৪১, পৃ. ৩৩৩-৩৩৪; মুহাক্কিক কারকী, জামিউল মাকাসিদ, ১৪১৪ হিজরি, খণ্ড ১৩, পৃ. ৭; আহমাদ বিন ঈসা, রা'বুস সাদ', ১৪২৮ হিজরি, খণ্ড ২, পৃ. ৮৭৬-৮৭৭; নু'মান মাগরিবী, দা'আইমুল ইসলাম, ১৩৮৫ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ২২৯; একদল লেখক, মাউসু'আতুল ফিকহিল ইবাদি, ১৪৩৮ হিজরি, খণ্ড ৭, পৃ. ৩৫৩-৩৫৪।
- ↑ কুরতুবী, তাফসীরুল কুরতুবী, ১৩৮৪ হিজরি, খণ্ড ৫, পৃ. ১৩২; সুবহানী, মুত'আতুন নিসা ফিল কিতাবি ওয়াস সুন্নাহ, ১৪২৩ হিজরি, পৃ. ১৫।
- ↑ উদাহরণস্বরূপ দেখুন: জাসসাস, আহকামুল কুরআন, ১৪১৫ হিজরি, খণ্ড ১, পৃ. ৩৫২; মাওয়ারদী, আল-হাবী আল-কাবীর, ১৪১৯ হিজরি, খণ্ড ৯, পৃ. ৩২৮; সারখসী, আল-মাবসুত, ১৪১৪ হিজরি, খণ্ড ৪, পৃ. ২৭।
- ↑ কুরতুবী, তাফসীরে কুরতুবী, ১৩৮৪ হিজরি, খণ্ড ২, পৃ. ৩৯২; ফাখর রাজী, আত-তাফসীরুল কাবীর, ১৪২০ হিজরি, খণ্ড ১০, পৃ. ৪৩।
- ↑ উদাহরণস্বরূপ দেখুন: আমেলী, যাওয়াজুল মুতা, ১৪২৩ হিজরি, খণ্ড ৩, পৃ. ৭৫; ফাখর রাজী, আত-তাফসীরুল কাবীর, ১৪২০ হিজরি, খণ্ড ১০, পৃ. ৪৪।
- ↑ শরফুদ্দীন, আন-নাসসু ওয়াল ইজতিহাদ, ১৪০৪ হিজরি, পৃ. ২০৭-২০৮; আমিনী, আল-গাদীর, ১৪১৬ হিজরি, খণ্ড ৬, পৃ. ২১৩; আমেলী, যাওয়াজুল মুতা, ১৪২৩ হিজরি, খণ্ড ৩, পৃ. ১০।
- ↑ আসকালানী, ফাতহুল বারী, ১৩৭৯ হিজরি, খণ্ড ৯, পৃ. ১৭৪।
- ↑ উদাহরণস্বরূপ দেখুন: বুখারী, সহীহুল বুখারী, ১৪২২ হিজরি, খণ্ড ৫, পৃ. ১৩৫; নাওয়াবী, সহীহ মুসলিম বিশারহিন নাওয়াবী, ১৩৪৭ হিজরি, খণ্ড ৯, পৃ. ১৮০।
- ↑ উদাহরণস্বরূপ দেখুন: ইবনে রুশদ, বিদায়াতুল মুজতাহিদ, ১৪২৫ হিজরি, খণ্ড ৩, পৃ. ৮০।
- ↑ উদাহরণস্বরূপ দেখুন: জাসসাস, আহকামুল কুরআন, ১৪১৫ হিজরি, খণ্ড ২, পৃ. ১৮৭ এবং খণ্ড ৩, পৃ. ৩৩০; মাওয়ারদী, আল-হাবী আল-কাবীর, ১৪১৯ হিজরি, খণ্ড ৯, পৃ. ৩২৯।
- ↑ জাসসাস, আহকামুল কুরআন, ১৪১৫ হিজরি, খণ্ড ২, পৃ. ১৮৭ এবং খণ্ড ৩, পৃ. ৩৩০; মাওয়ারদী, আল-হাবী আল-কাবীর, ১৪১৯ হিজরি, খণ্ড ৯, পৃ. ৩২৯।
- ↑ আমেলী, যাওয়াজুল মুতা, ১৪২৩ হিজরি, খণ্ড ১, পৃ. ২১২।
- ↑ যামাখশারী, আল-কাশশাফ, ১৪০৭ হিজরি, খণ্ড ৩, পৃ. ১৭৭; আমেলী, যাওয়াজুল মুতা, ১৪২৩ হিজরি, খণ্ড ১, পৃ. ২১৪।
- ↑ দ্রষ্টব্য: বনি হাশেমী খোমেনী, রিসালায়ে তাওযীহুল মাসাইল (মারাজে'), দাফতারে ইনতিশারাতে ইসলামী, খণ্ড ২, পৃ. ৪৫৩।
- ↑ নাজাফী, জাওয়াহিরুল কালাম, ১৩৬২ ফার্সি সন, খণ্ড ৩০, পৃ. ১৬২ এবং পৃ. ১৭২।
- ↑ নাজাফী, জাওয়াহিরুল কালাম, ১৩৬২ ফার্সি সন, খণ্ড ৩০, পৃ. ১৭২।
- ↑ খোমেনী, তাহরীরুল ওয়াসীলাহ, ১৪৩৪ হিজরি, খণ্ড ২, পৃ. ২৬৪।
- ↑ শেখ আনসারী, কিতাবুন নিকাহ, ১৪৩০ হিজরি, পৃ. ৭৯; সাবযাওয়ারী, মুহাজ্জাবুল আহকাম, দারুত তাফসীর, খণ্ড ১৬, পৃ. ২১৫ এবং খণ্ড ২৪, পৃ. ২১৫; খোই, কিতাবুন নিকাহ, দারুল ইলম, খণ্ড ২, পৃ. ১৬৪।
- ↑ মুহাক্কিক হিল্লী, শারাইউল ইসলাম, ১৪০৯ হিজরি, খণ্ড ২, পৃ. ৫২৯; বাহরানী, আল-হাদাইকুন নাজিরাহ, ১৪০৬ হিজরি, খণ্ড ২৪, পৃ. ৪।
- ↑ মুহাক্কিক হিল্লী, শারাইউল ইসলাম, ১৪০৯ হিজরি, খণ্ড ২, পৃ. ৫২৯।
- ↑ নাজাফী, জাওয়াহিরুল কালাম, ১৩৬২ ফার্সি সন, খণ্ড ৩০, পৃ. ২৭।
- ↑ নাজাফী, জাওয়াহিরুল কালাম, ১৩৬২ ফার্সি সন, খণ্ড ৩০, পৃ. ১৬০।
- ↑ ইমাম খোমেনী, ইস্তিফতা'আতে ইমাম খোমেনী, ১৩৯২ ফার্সি সন, খণ্ড ৯, পৃ. ১০; তাবরিজী, ইস্তিফতা'আতে জদীদ, ১৩৮৫ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ৩৭৯; মাকারিম শিরাজী, আহকামে বানুওয়ান, ১৩৮৬ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ১৪০-১৪১।
- ↑ মুহাক্কিক হিল্লী, শারাইউল ইসলাম, ১৪০৯ হিজরি, খণ্ড ২, পৃ. ৫৩২।
- ↑ সাবযাওয়ারী, মুহাজ্জাবুল আহকাম, দারুত তাফসীর, খণ্ড ২৫, পৃ. ১০১।
- ↑ মুহাক্কিক হিল্লী, শারাইউল ইসলাম, ১৪০৯ হিজরি, খণ্ড ২, পৃ. ৫৩২; শহীদ সানী, আর-রাওজাতুল বাহিয়্যাহ ফি শারহিল লুম'আতিদ দিমাশকিয়্যাহ, ১৪১২ হিজরি, খণ্ড ২, পৃ. ১০৭।
- ↑ শহীদ সানী, আর-রাওজাতুল বাহিয়্যাহ ফি শারহিল লুম'আতিদ দিমাশকিয়্যাহ, ১৪১২ হিজরি, খণ্ড ২, পৃ. ১০৫।
- ↑ মুহাক্কিক হিল্লী, শারাইউল ইসলাম, ১৪০৯ হিজরি, খণ্ড ২, পৃ. ২৫১।
- ↑ উদাহরণস্বরূপ দেখুন: ইমাম খোমেনী, তাওযীহুল মাসাইল, ১৩৭২ ফার্সি সন, পৃ. ৩৩৫।
- ↑ দ্রষ্টব্য: তাবাসী, আযদাওয়াজে মুওয়াক্কাত দার রাফতার ও গুফতারে সাহাবাহ, তরজুমাহ মুহাম্মদ হুসাইন শিরাজী, ১৩৯১ ফার্সি সন, পৃ. ১৩৬-১৩৯।
- ↑ শেখ মুফীদ, খুলাসাতুল ইজাজ ফিল মুতা, ১৪১৪ হিজরি, পৃ. ১৮।
- ↑ শেখ মুফীদ, খুলাসাতুল ইজাজ ফিল মুতা, ১৪১৪ হিজরি, পৃ. ১৮।
- ↑ আফানদী, রিয়াজুল উলামা, ১৪০১ হিজরি, খণ্ড ৫, পৃ. ১৮৮।
- ↑ যামানী নেজাদ, «মুকাদ্দিমাহ», কিতাবে খুলাসাতুল ইজাজ ফিল মুতা, ১৪১৪ হিজরি, পৃ. ১১।
- ↑ উদাহরণস্বরূপ দেখুন: আমেলী, যাওয়াজুল মুতা, ১৪২৩ হিজরি, খণ্ড ১, পৃ. ৪২।
- ↑ আসকারী, আয-যাওয়াজুল মাওকুত ফিল ইসলাম, পৃ. ৭।
গ্রন্থপঞ্জি
- ইবনে রুশদ, মুহাম্মাদ বিন আহমাদ, বিদায়াতুল মুজতাহিদ, কাহিরাহ, দারুল হাদীস, ১৪২৫ হি.। · আহমাদ বিন ঈসা, রা'বুস সাদ', বৈরুত, দারুল মাহজাতুল বায়যা, ১৪২৮ হি.।
- ইমাম খোমেনী, সাইয়্যেদ রুহুল্লাহ, ইস্তিফতা'আতে ইমাম খোমেনী, তেহরান, মুআসসাসায়ে তানজীম ও নাশরে আসারে ইমাম খোমেনী, প্রথম সংস্করণ, ১৩৯২ ফার্সি সন।
- ইমাম খোমেনী, সাইয়্যেদ রুহুল্লাহ, তাওযীহুল মাসাইল, তেহরান, সাযমানে চাপ ও ইনতিশারাতে বুজুরগে ফারহাঙ্গ ও ইরশাদে ইসলামী, সপ্তম সংস্করণ, ১৩৭২ ফার্সি সন।
- আমিনী, আবদুল হুসাইন, আল-গাদীর, কোম, মারকাযুল গাদীর লিদ দিরাসাতিল ইসলামিয়্যাহ, ১৪১৬ হি.।
- বাহরানী, ইউসুফ, আল-হাদাইকুন নাজিরাহ, কোম, মুআসসাসাতুন নাশরিল ইসলামী, ১৪০৬ হি.।
- বুখারী, মুহাম্মাদ বিন ইসমাইল, সহীহুল বুখারী, দিমাশ্ক, দার তাওকিন নাজাত, প্রথম সংস্করণ, ১৪২২ হি.।
- বনি হাশেমী খোমেনী, মুহাম্মাদ হাসান, রিসালায়ে তাওযীহুল মাসাইল (মারাজে'), দাফতারে ইনতিশারাতে ইসলামী, তারিখ অজ্ঞাত।
- তাবরিযী, জাওয়াদ, ইস্তিফতা'আতে জদীদ, কোম, নাশরে সুরুর, তৃতীয় সংস্করণ, ১৩৮৫ ফার্সি সন।
- জাসসাস, আবু বকর আহমাদ বিন আলী, আহকামুল কুরআন, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৫ হি.।
- জামঈ আয নেভিসান্দেগান, আল-মাউসু'আতুল ফিকহিয়্যাতুল কুয়েতিয়্যাহ, কুয়েত, দারুস সিলাসিল, ১৪২৭ হি.।
- জামঈ আয নেভিসান্দেগান, মাউসু'আতুল ফিকহিল ইবাদি, আমমান, ভুজুরাতে আওকাফ ও শুউনিদ দীনিয়্যাহ, প্রথম সংস্করণ, ১৪৩৮ হি.।
- হুররে আমেলী, মুহাম্মাদ বিন হাসান, ওয়াসাইলুশ শিয়া, কোম, মুআসসাসাতে আহলে বাইত (আ.), ১৪১৬ হি.।
- খোমেনী, সাইয়্যেদ রুহুল্লাহ, তাহরীরুল ওয়াসীলাহ, তেহরান, মুআসসাসায়ে তানজীম ও নাশরে আসারে ইমামিল খোমেনী, প্রথম সংস্করণ, ১৪৩৪ হি.।
- খুই, সাইয়্যেদ আবুল কাসিম, কিতাবুন নিকাহ, কোম, দারুল ইলম, তারিখ অজ্ঞাত।
- যামাখশারী, মাহমুদ বিন উমর, আল-কাশশাফ 'আন হাকাইকি গাওয়ামিজিত তানযীল, বৈরুত, দারুল কিতাবিল আরাবী, তৃতীয় সংস্করণ, ১৪০৭ হি.।
- সুবহানী, জাফর, মুত'আতুন নিসা ফিল কিতাবি ওয়াস সুন্নাহ, কোম, মুআসসাসাতে ইমাম সাদিক (আ.), ১৪২৩ হি.।
·*সাবযাওয়ারী, সাইয়্যেদ আবদুল আ'লা, মুহাজ্জাবুল আহকাম, কোম, দারুত তাফসীর, তারিখ অজ্ঞাত।
- সারখসী, মুহাম্মাদ বিন আহমাদ, আল-মাবসুত, বৈরুত, দারুল মা'রিফাহ, ১৪১৪ হি.।
- শরফুদ্দীন, আবদুল হুসাইন, আন-নাসসু ওয়াল ইজতিহাদ, বৈরুত, আবু মুজতবা, ১৪০৪ হি.।
- শহীদে সানী, যাইনুদ্দীন বিন আলী, আর-রাওজাতুল বাহিয়্যাহ ফি শারহিল লুম'আতিদ দিমাশকিয়্যাহ, তালীকাহ: সুলতানুল উলামা, কোম, দাফতারে তাবলীগাতে ইসলামী হাওযায়ে ইলমিয়্যাহ কোম, প্রথম সংস্করণ, ১৪১২ হি.।
- শেখ আনসারী, মুর্তাযা, কিতাবুন নিকাহ, কোম, মাজমাউল ফিকরিল ইসলামী, ১৪৩০ হি.।
- শেখ মুফীদ, মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ, খুলাসাতুল ইজাজ ফিল মুতা, বৈরুত, দারুল মুফীদ, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪১৪ হি.।
- তাবাসী, নাজমুদ্দীন, আযদাওয়াজে মুওয়াক্কাত দার রাফতার ও গুফতারে সাহাবাহ, তরজুমাহ মুহাম্মাদ হুসাইন শিরাজী, কোম, ইনতিশারাতে দালিলে মা, ১৩৯১ ফার্সি সন।
- আমেলী, সাইয়্যেদ জাফর মুর্তাযা, যাওয়াজুল মুতা, বৈরুত, আল-মারকাযুল ইসলামী লিদ দিরাসাত, ১৪২৩ হি.।
- আসকারী, সাইয়্যেদ মুর্তাযা, আয-যাওয়াজুল মাওকুত ফিল ইসলাম, স্থান অজ্ঞাত, প্রকাশনা অজ্ঞাত, তারিখ অজ্ঞাত।
- আসকালানী, আহমাদ বিন আলী, ফাতহুল বারী, বৈরুত, দারুল মা'রিফাহ, ১৩৭৯ হি.।
- ফাজিল মুকাদ্দাদ, মুকাদ্দাদ বিন আবদুল্লাহ, কানযুল ইরফান ফি ফিকহিল কুরআন, তেহরান, ইনতিশারাতে মুর্তাযাভী, ১৩৭৩ ফার্সি সন।
- ফাখর রাজী, মুহাম্মাদ বিন উমর, আত-তাফসীরুল কাবীর, বৈরুত, দার ইহয়াইত তুরাসিল আরাবী, ১৪২০ হি.।
- «কানুনে মাদানী», সাইটে মারকাজে পেঝুহেশহায়ে মাজলিসে শুরায়ে ইসলামী, তারিখে বাজদীদ: ১৫ শাহরিওয়ার ১৪০২ ফার্সি সন।
- কুরতুবী, শামসুদ্দীন, তাফসীরুল কুরতুবী, কাহিরাহ, দারুল কুতুবিল মিসরিয়্যাহ, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৩৮৪ হি.।
- কাশিফুল গাতা, মুহাম্মাদ হুসাইন, ইন আসত আয়িনে মা, তরজুমায়ে নাসের মাকারেম, মাদ্রাসায়ে ইমাম আমীরুল মু'মিনীন (আ.), কোম, ১৩৭০ ফার্সি সন।
- কালানতর, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ, «হাশিয়াহ», কিতাবে আর-রাওজাতুল বাহিয়্যাহ ফি শারহিল লুম'আতিদ দিমাশকিয়্যাহ, তালীফে শহীদে সানী, কোম, ইনতিশারাতে দাওয়ারী, ১৪১০ হি.।
- মাওয়ারদী, আলী বিন মুহাম্মাদ, আল-হাবী আল-কাবীর, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৯ হি.।
- মুহাক্কিক হিল্লী, জাফর বিন হাসান, শারাইউল ইসলাম, তালীকাহ: সাইয়্যেদ সাদিক শিরাজী, তেহরান, ইনতিশারাতে ইস্তিকলাল, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৯ হি.।
- মুহাক্কিক কারকী, আলী বিন হুসাইন, জামিউল মাকাসিদ, কোম, মুআসসাসাতে আহলে বাইত (আ.), দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪১৪ হি.।
- মাকারিম শিরাজী, নাসের, কিতাবুন নিকাহ, কোম, মাদ্রাসাতুল ইমাম আলী বিন আবী তালিব (আ.), ১৪২৪ হি.।
- মাকারিম শিরাজী, নাসের, আহকামে বানুওয়ান, তাহকীক: আবুল কাসিম আলিয়ান নেজাদী, কোম, মাদ্রাসায়ে ইমাম আমীরুল মু'মিনীন (আ.), একাদশ সংস্করণ, ১৩৮৬ ফার্সি সন।
- মোতাহহারী, মুর্তাযা, নেজামে হুকুকে জান দার ইসলাম, সাদরা, তেহরান, ১৩৯৭ ফার্সি সন / ১৪৪০ হি.।
- মুআসসাসায়ে দায়রাতুল মা'আরিফিল ফিকহিল ইসলামী, ফারহাঙ্গে ফিকহে ফারসী, কোম, দায়রাতুল মা'আরিফিল ফিকহিল ইসলামী, ১৩৮৭ ফার্সি সন।
- নাজাফী, মুহাম্মাদ হাসান, জাওয়াহিরুল কালাম ফি শারহি শারাইইল ইসলাম, বৈরুত, দার ইহয়াইত তুরাসিল আরাবী, ১৪০৪ হি.।
- নু'মান মাগরিবী, মুহাম্মাদ, দা'আইমুল ইসলাম ওয়া যিকরুল হালালি ওয়াল হারামি ওয়াল কাযায়া ওয়াল আহকামি 'আন আহলে বাইতি রাসুলিল্লাহি 'আলাইহি ওয়া 'আলাইহিম আফদালাস সালাম, তাহকীক: আসিফ বিন আলী আসগর ফৈজী, কাহিরাহ, দারুল মা'আরিফ, ১৩৮৩ ফার্সি সন।
- নাওয়াবী, আবু যাকারিয়া, সহীহ মুসলিম বিশারহিন নাওয়াবী, কাহিরাহ, আল-মাতবা'আতুল মিসরিয়্যাতু বিল আযহার, ১৩৪৭ হি. / ১৯২৯ খ্রি.।