বিষয়বস্তুতে চলুন

খসড়া:ইয়েমেনী ক্বিয়াম

wikishia থেকে

ইয়েমেনী ক্বিয়াম বা কাহতানী ক্বিয়াম (আরবি: خروج اليماني أو قيام اليماني বা خروج القحطاني); হচ্ছে ইমাম মাহদী (আ.)-এর আবির্ভাবের আলামতগুলোর অন্যতম একটি যা ইমাম মাহদী (আ.)-এর আবির্ভাবের পূর্বে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর বংশের অন্তর্ভুক্ত একজন ইয়েমেনী ব্যক্তি কর্তৃক সংঘটিত হবে। হাদিস অনুসারে, তাঁর ক্বিয়াম বা বিপ্লব সুফিয়ানীর উত্থান এবং সাইয়্যিদ খোরাসানীর ক্বিয়ামের সাথে সমসাময়িক হবে।

ইমাম মাহদীর (আ.) দিকে মানুষকে আহ্বান করা, সুফিয়ানীদের সাথে যুদ্ধ করা এবং রোম ও কনস্টান্টিনোপল জয় করা ইয়েমেনীদের কর্মকাণ্ডের মধ্যে অন্যতম এবং হাদিসে বলা হয়েছে যে, তাঁর ক্বিয়াম বা বিপ্লব ইয়েমেন থেকে শুরু হবে বলে মনে করা হয়।

বিভিন্ন শতাব্দীতে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি নিজেদেরকে ইয়েমেনী বলে দাবি করেছেন; হিজরী প্রথম শতাব্দীতে আব্দুর রহমান ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আশ'আস কিন্দি এবং দ্বিতীয় শতাব্দীতে তালিবে হাক্ক, যার দাবি ইমাম সাদিক (আ.) কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল। হিজরী চতুর্দশ শতাব্দীতে আহমদ আল-হাসানও এই ব্যক্তিদের মধ্যে ছিল।

ব্যক্তিত্ব পরিচিতি

হাদিস অনুসারে, ইয়েমেনী হলো এমন ব্যক্তির উপাধি, যিনি ইমাম (আ.)-এর আগমনের পূর্বে[] ক্বিয়াম এবং লোকদের তাঁর দিকে আহ্বান করবেন।[]

শিয়া হাদিস গ্রন্থগুলোতে ইয়েমেনী ব্যক্তির আসল নাম উল্লেখ করা হয়নি; তবে, তাঁকে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর বংশধর[] অথবা যায়েদ ইবনে আলীর[] বংশধর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিছু সুন্নি সূত্র অনুযায়ী, তাঁর নাম জাহজাহ, হাসান, অথবা হুসাইন।[] ‘রায়াতুল হুদা ওয়ায যুলালু ফি আসরি যুহুর’ বইয়ের লেখক বলেছেন যে, যদিও হাদিসী বর্ণনায় ইয়েমেনীর বংশধারা নির্দিষ্ট করা হয়নি, তবুও নিশ্চিত প্রমাণ রয়েছে যে তিনি আহলে বাইত (আ.) থেকে এবং ইমাম হুসাইন (আ.)-এর বংশধর।[]

মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর একটি হাদিসে, ইয়েমেনীকে মানসুর বলা হয়েছে, যিনি হযরত মাহদীর (আ.) সাহায্যকারী।[] সুন্নি সূত্রগুলি তাঁকে কাহতানীগণ[] এবং মানসুর ইয়েমেনী নামেও উল্লেখ করেছে।[] কাহতানীকে কাহতান[১০] নামক একজন ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত করা হয়েছে, যিনি ইয়েমেনী আরবদের পূর্বপুরুষ।[১১]

ইয়েমেনী ক্বিয়াম ইমাম মাহদী (আ.)-এর আবির্ভাবের সুনিশ্চিত আলামত

হাদিসে, ইয়েমেনী ক্বিয়ামকে ইমাম মাহদী (আ.)-এর আবির্ভাবের সুনিশ্চিত আলামত হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। শেইখ সাদুকের কামালুদ্দিন গ্রন্থে ইমাম সাদিক (আ.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিস অনুসারে, আসমানী আহ্বান, সুফিয়ানীর উত্থান, নফসে যাকিয়্যাহের হত্যা এবং খাসফে বায়দা-এর সাথে ইয়েমেনী ক্বিয়াম কে ইমাম মাহদী (আ.)-এর আবির্ভাবের চূড়ান্ত ও সুনিশ্চিত আলামত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[১২]

কিছু গবেষকের মতে, শিয়া ও সুন্নি সূত্রে ইয়েমেনী ক্বিয়াম সম্পর্কে ৩৬টি হাদিস রয়েছে[১৩] এবং এই বর্ণনাগুলির বেশিরভাগেই, ইমাম মাহদী (আ.)-এর আগমনের আলামত বা লক্ষণ হিসাবে ইয়েমেনী ক্বিয়ামের নিশ্চততা উল্লেখ করা হয়নি[১৪] এবং শিয়া বর্ণনা থেকে, মাত্র দুটি বর্ণনা এই আলামত সংঘটনের নিশ্চিততার কথা উল্লেখ করে।[১৫]

অতএব, কিছু গবেষক ইয়েমেনী ক্বিয়ামের নিশ্চিততাকে ইমাম মাহদী (আ.)-এর আবির্ভাবের লক্ষণ হিসেবে সন্দেহ করেছেন[১৬] এবং দলিল হিসেবে এই দুটি হাদিসের কিছু লিপিতে নিশ্চিততার ইঙ্গিত না থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন [১৭] এবং তারা সম্ভাবনা দিয়েছেন যে, এই ইঙ্গিতটি বর্ণনাকারীদের দ্বারা হাদিসে যুক্ত করা হয়েছিল।[১৮]

স্থান ও কাল

হাদিস অনুসারে, ইয়েমেনী ক্বিয়াম সুফিয়ানীর উত্থানের সাথে মিলে যাবে।[১৯] ইমাম বাকির (আ.) থেকে বর্ণিত একটি বর্ণনা অনুসারে, সুফিয়ানী, ইয়েমেনী এবং খোরাসানীর উত্থান একই বছর, একই মাস এবং একইদিনে ঘটবে।[২০] একটি বর্ণনায়, ইমাম সাদিক (আ.) বলেছেন যে, সুফিয়ানীর উত্থান রজব মাসে ঘটবে।[২১] কেউ কেউ এই দুটি বর্ণনা একত্রিত করে আরও বলেছেন যে, ইয়েমেনীর ক্বিয়াম রজব মাসে ঘটবে।[২২] কিছু গবেষক, একই দিনে এই ঘটনাগুলি সংঘটিত হওয়াকে ইয়েমেনী ক্বিয়াম এবং সুফিয়ানীর উত্থানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ইঙ্গিত বলে মনে করেন এবং বিশ্বাস করেন যে, উভয়ের মধ্যে দূরত্ব কম থাকা সত্ত্বেও এটি পরস্পরবিরোধী নয়।[২৩]

এছাড়াও, কিছু সুন্নি সূত্রে হযরত ঈসার (আ.) অবতরণ এবং তাঁর সময়ে দাজ্জালের আবির্ভাব।[২৪] এবং ইমাম মাহদীর (আ.) পরে তাঁর উত্থান সম্পর্কে হাদিস বর্ণিত হয়েছে।[২৫] শিয়া গবেষকদের মতে, এই হাদিসগুলি নির্ভরযোগ্য নয়; কারণ এগুলি মাসুম ব্যক্তিদের থেকে বর্ণিত হয়নি।[২৬]

হাদিস অনুসারে, ইয়েমেনী ক্বিয়াম ইয়েমেন থেকে হবে।[২৭] ইয়েমেনী ক্বিয়াম সম্পর্কিত হাদিসগুলিতে, সানা, এডেন, কিন্দা এবং আবিয়ান অঞ্চলের শহরগুলির উল্লেখ রয়েছে।[২৮] কেউ কেউ মনে করেন যে, সানা সম্পর্কিত হাদিসগুলি মুস্তাফিজ এবং শিয়াসুন্নি উভয় সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।[২৯]

ইয়েমেনীর পদক্ষেপসমূহ

রেওয়ায়েতগুলিতে ইয়েমেনী ক্বিয়ামের বিস্তারিত উল্লেখ নেই, তবে তাঁর কিছু পদক্ষেপসমূহ বা কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সত্যের ডাক, সুফিয়ানীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং রোম ও কনস্টান্টিনোপল বিজয়।

  • সত্যের ডাক: ইমাম বাকির (আ.)-এর একটি হাদিস অনুসারে, ইয়েমেনী ক্বিয়ামকে সত্য জেনে তাঁর সাথে যোগদানের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।[৩০] কিছু গবেষক সত্যের ক্বিয়াম বলতে ইমামতের প্রতি আহ্বান হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন।[৩১] একটি বর্ণনায়, মানসুর নামে একজন ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে যিনি হযরত মাহদীর (আ.) সহকারী এবং তাঁর ৭০,০০০ সমর্থক রয়েছে।[৩২] অন্য একটি বর্ণনা অনুসারে, ইয়েমেনী ক্বিয়াম করলে অস্ত্র বিক্রি করা নিষিদ্ধ।[৩৩]
  • সুফিয়ানীর সাথে সংঘর্ষ; কিছু হাদিসে ইয়েমেনী এবং সুফিয়ানীর মধ্যে সংঘর্ষের কথা বলা হয়েছে; উদাহরণস্বরূপ, যে কেউ সুফিয়ানীর চোখ উপড়ে ফেলবে সে সানা থেকে বেরিয়ে যাবে,[৩৪] অথবা সুফিয়ানীর সাথে যুদ্ধকারী প্রথম ব্যক্তি হবেন কাহতানী। [৩৫] ইয়ামানী এবং সুফিয়ানীর মধ্যকার যুদ্ধের ফলাফল সম্পর্কিত বর্ণনাগুলি ভিন্ন ভিন্ন; কিছু বর্ণনায় জয়ের কথা বলা হয়েছে[৩৬] এবং কিছু বর্ণনা ইয়েমেনীর পরাজয়ের কথা বলেছে।[৩৭] কিছু গবেষক এই বর্ণনাগুলির পার্থক্য ব্যাখ্যা করে বলেছেন যে, প্রতিটি বর্ণনা একটি নির্দিষ্ট সময় এবং স্থানে উভয়ের মধ্যকার সংঘর্ষের কথা বলে।[৩৮]

এই হদিসগুলোর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।[৩৯] সুন্নি পণ্ডিত ইবনে হাম্মাদ কর্তৃক আল-ফিতান-এ বর্ণিত একটি হদিস অনুসারে, ইয়েমেনী মদিনায় ইমাম মাহদীর (আ.) সাথে যুক্ত হবেন, যখন সুফিয়ানী মদিনায় একটি সৈন্যবাহিনী পাঠাবে; কিন্তু এসময় তাঁরা মক্কার উদ্দেশ্যে মদিনা ত্যাগ করবেন।[৪০] সুফিয়ানীর সৈন্যবাহিনী মক্কার দিকে তাদের অনুসরণ করবে এবং বায়দা নামক স্থানে মাটিতে ভূগর্ভস্থ হবে।[৪১]

  • বিজয়: কিছু সুন্নি সূত্রে জানা যায় যে, ইয়েমেনী কনস্টান্টিনোপল এবং রোম জয় করবেন।[৪২] তাঁর এবং তাঁর সঙ্গীদের পতাকা সাদা রঙ্গের।[৪৩] শিয়া সূত্রে, এই অঞ্চলগুলির জয়কে তৎকালীন ইমামের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।[৪৪]

ইয়েমেনী দাবিদাররা

একটি হাদিসের ভিত্তিতে, শিয়াগণ ইমাম সাদিক (আ.)-এর সময় থেকেই ইয়েমেনীর আগমন প্রত্যাশা করতেন। ইমাম সাদিক (আ.) 'তালেব-ই-হক' নামে একজন ব্যক্তির ইয়েমেনী হওয়ার দাবিকে মিথ্যা প্রমাণিত করেন; কারণ প্রকৃত ইয়েমেনী ইমাম আলী (আ.) কে ভালোবাসে, কিন্তু 'তালেব-ই-হক' আলীর প্রতি বিরূপ ধারণা পোষণ করতো।[৪৫] প্রথম হিজরী শতাব্দী থেকে এখন পর্যন্ত অনেকেই নিজেদেরকে ইয়েমেনী হিসেবে দাবি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • ইবনে ফারস: ইবনে খালদুনের বর্ণনা অনুসারে, আব্দুুর রাহিম ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে ফারস হিজরী ষষ্ঠ ও সপ্তম শতকে আন্দালুসের একজন আলেম ছিল। মনসুরের (সেসময়ের শাসক) মৃত্যুর পর তিনি দাবি করেন যে, তিনি সেই কাহতানী মহানবী (সঃ) যার আগমনের খবর দিয়েছিলেন। মনসুরের ছেলে নাসির সৈন্য পাঠিয়ে তাকে হত্যা করে এবং তার মাথা মরক্কোতে পাঠায়।[৪৮]
  • আহমদ ইসমাইল বাসরী, যিনি আহমদ আল-হাসান নামে পরিচিত, নিজেকে ইয়েমেনী হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি দাবি করেন যে, তিনি ইমাম মাহদীর (আ.) আবির্ভাবের ক্ষেত্র প্রস্তুতির দায়িত্ব পালন করছেন এবং ইমাম মাহদীর (আ.) পর শাসনভার গ্রহন করবেন।[৪৯] 'দাওয়াতু আহমাদ আল হাসান বাইনাল হাক্কি ওয়াল বাতিল' নামের বইটি তার দাবির প্রত্যাখ্যান এবং তার আকিদার সমালোচনা হিসেবে লেখা হয়েছে।[৫০]

এছাড়াও ইয়াযিদ ইবনে মালহাব এবং আব্দুল রহমান ইবনে মনসুর (হিশাম ইবনে হাকাম আল মুয়াইয়াদ বিল্লাহ’র সময়ে)[৫১] কে ইয়েমেনী হওয়ার দাবিদার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

তথ্যসূত্র

  1. নু'মানি, আল-গাইবাহ, ১৩৯৭ হি., পৃ. ২৫৩-২৫২।
  2. নু'মানি, আল-গাইবাহ, ১৩৯৭ হি., পৃ. ২৫৫-২৫৬; ফাতলাউই, রায়াতুল হুদা ওয়াদ্ দালালু ফি আসরিয যুহুর, ১৪২০ হি., পৃ. ১০১।
  3. শেইখ সাদুক,কামালুদ্দিন, ১৩৯৫ হি., খ. ১, পৃ. ২৫১।
  4. ইবনে তাউস, ফালাহুস্ সাইল, ১৪০৬ হি., পৃ. ১৭১।
  5. আয়াতী, ইমানি দারাফশে হিদায়াত, পৃ. ২০।
  6. ফাতলাউই, রায়াতুল হুদা ওয়াদ্ দালালু ফি আসরিয যুহুর, ১৪২০ হি., পৃ. ১০০।
  7. নু’মানি, আল-গাইবাহ, ১৩৯৭ হি., পৃ. ৩৯-৪০।
  8. ইবনে হাম্মাদ, আল ফিতান, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ মানশুরাতে মুহাম্মাদ আলি বাইযুন, পৃ. ৭৫; মুকাদ্দাসি, আল বাদউ ওয়াত্ তারিখ, মাকতাবাতুস সিকাফাতিদ্ দিনিয়্যাহ, খ. ২, পৃ. ১৮৩।
  9. ইবনে হাম্মাদ, আল ফিতান, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ মানশুরাতে মুহাম্মাদ আলি বাইযুন, পৃ. ১৯৯।
  10. ইবনে মানজুর, লিসানুল আরব, ১৪১৪ হি., খ. ৭, পৃ. ৩৭৪।
  11. ইবনে কাসির, আল বিদায়া ওয়ান্ নিহায়া, ১৪০৭ হি., খ. ২, পৃ. ১৫৬।
  12. শেইখ সাদুক, কামালুদ্দিন, ১৩৯৫ হি., খ. ২, পৃ. ৬৫০, হাদিস নং ৭।
  13. মাহদাভিরাদ, বাররাসিয়ে তাতবিকিয়ে রেওয়ায়াতে ইয়ামানি আয্ মানযারে ফারিকাইন, পৃ. ২৬।
  14. শেইখ সাদুক, কামালুদ্দিন, ১৩৯৫ হি., খ. ১, পৃ. ৩২৮, খ. ২, পৃ. ৬৪৯, হাদিস নং ১; নু’মানি, আল-গাইবাহ, ১৩৯৭ হি., পৃ. ২৫৩, ২৫২; লাইসি, উয়ুনুল হিকাম ওয়াল মাওয়াইয, ১৩৭৬ (ফার্সি সন), পৃ. ২৪৪; ইবনে তাউস, ফালাহুস সাইল, ১৪০৬ হি., পৃ. ১৭১।
  15. আয়াতী, ইয়ামানি দারাফশে হিদায়াত, পৃ. ১৭।
  16. আয়াতী, ইয়ামানি দারাফশে হিদায়াত, পৃ. ১৭-১৯; মাহদাভিরাদ, বাররাসিয়ে তাতবিকিয়ে রেওয়ায়াতে ইমানি আয মানযারে ফারিকাইন, পৃ. ২৬।
  17. শেইখ কুলাইনি, আল কাফি, ১৪০৭ হি., খ. ৮, পৃ. ৩১০, হাদিস নং ৪৮৩; মাজলিসি, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খ. ৫২, পৃ. ২৩৩।
  18. আয়াতী, ইয়ামানি দারাফশে হিদায়াত, পৃ. ১৯।
  19. নু’মানি, আল-গাইবাহ, ১৩৯৭ হি., পৃ. ৩০৫; শেইখ তুসি, আল-গাইবাহ, ১৪১১ হি., পৃ. ৪৪৭।
  20. নু’মানি, আল-গাইবাহ, ১৩৯৭ হি., পৃ. ২৫৫-২৫৬।
  21. শেইখ সাদুক, কামালুদ্দিন, ১৩৯৫ হি., খ. ২, পৃ. ৬৫০।
  22. আয়াতী, ইয়ামানি দারাফশে হিদায়াত, পৃ. ২৬।
  23. আয়াতী, ইয়ামানি দারাফশে হিদায়াত, পৃ. ২৬-২৭।
  24. ইবনে হাম্মাদ, আল ফিতান, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ মানশুরাতে মুহাম্মাদ আলি বাইযুন, পৃ. ২৯১।
  25. ইবনে হাম্মাদ, আল ফিতান, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ মানশুরাতে মুহাম্মাদ আলি বাইযুন, পৃ. ২৮৫; মুকাদ্দাসি, আল বাদউ ওয়াত্ তারিখ, মাকতাবাতুস সিকাফাতিদ্ দিনিয়্যাহ, খ. ২, পৃ. ১৮৪।
  26. আয়াতী, ইয়ামানি দারাফশে হিদায়াত, পৃ. ৩৬।
  27. শেইখ সাদুক, কামালুদ্দিন, ১৩৯৫ হি., খ. ১, পৃ. ৩৩১; লাইসি, উয়ুনুল হিকাম ওয়াল মাওয়াইয, ১৩৭৬ (ফার্সি সন), পৃ. ২৪৪।
  28. ফাতলাউই, রায়াতুল হুদা ওয়াদ্ দালালু ফি আসরিয যুহুর, ১৪২০ হি., পৃ. ১০১।
  29. ফাতলাউই, রায়াতুল হুদা ওয়াদ্ দালালু ফি আসরিয যুহুর, ১৪২০ হি., পৃ. ১০১।
  30. নু’মানি, আল-গাইবাহ, ১৩৯৭ হি., পৃ. ২৫৫-২৫৬।
  31. মাহদাভিরাদ, বাররাসিয়ে তাতবিকিয়ে রেওয়ায়াতে ইয়ামানি আয্ মানযারে ফারিকাইন, পৃ. ৫২।
  32. নু’মানি, আল-গাইবাহ, ১৩৯৭ হি., পৃ. ৩৯-৪০।
  33. নু’মানি, আল-গাইবাহ, ১৩৯৭ হি., পৃ. ২৫৬।
  34. নু’মানি, আল-গাইবাহ, ১৩৯৭ হি., পৃ. ২২৭।
  35. আজাদি নিশাপুরী, মুখতাসারু ইসবাতুর রাজআত, ১৪১৩ হি., হাদিস নং ৯, পৃ. ২৬১, মাহদাভিরাদ, বাররাসিয়ে তাতবিকিয়ে রেওয়ায়াতে ইয়ামানি আয মানযারে ফারিকাইন, পৃ. ৫৩ থেকে উদ্ধৃত; নুমানি, আল-গাইবাহ, ১৩৯৭ হি., পৃ. ২২৭।
  36. আজাদি নিশাপুরী, মুখতাসারু ইসবাতুর রাজআত, ১৪১৩ হি., হাদিস নং ৯, পৃ. ২৬১, মাহদাভিরাদ, বাররাসিয়ে তাতবিকিয়ে রেওয়ায়াতে ইয়ামানি আয মানযারে ফারিকাইন, পৃ. ৫৩ থেকে উদ্ধৃত।
  37. ইবনে হাম্মাদ, আল ফিতান, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ মানশুরাতে মুহাম্মাদ আলি বাইযুন, পৃ. ১৯৯।
  38. আয়াতী, ইয়ামানি দারাফশে হিদায়াত, পৃ. ৩৫।
  39. আয়াতী, ইয়ামানি দারাফশে হিদায়াত, পৃ. ৩৫।
  40. ইবনে হাম্মাদ, আল ফিতান, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ মানশুরাতে মুহাম্মাদ আলি বাইযুন, পৃ. ২২৩।
  41. ইবনে হাম্মাদ, আল ফিতান, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ মানশুরাতে মুহাম্মাদ আলি বাইজুন, পৃ. ২১২।
  42. ইবনে হাম্মাদ, আল ফিতান, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ মানশুরাতে মুহাম্মাদ আলি বাইজুন, পৃ. ২৯১।
  43. ইবনে হাম্মাদ, আল ফিতান, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ মানশুরাতে মুহাম্মাদ আলি বাইজুন, পৃ. ১৯৯।
  44. নু’মানি, আল-গাইবাহ, ১৩৯৭ হি., পৃ. ৩১৯।
  45. শেইখ তুসি, আল-আমালি, ১৪১৪ হি., পৃ. ৬৬১।
  46. মাসউদি, আত্ তানবিহ ওয়াল ইশরাফ, দারুস সাওই, পৃ. ২৭২; মুকাদ্দাসি, আল-বাদু ওয়াত-তারিখ, মাকতাবাতুস সিকাফাতিদ্ দিনিয়্যাহ, খ. ২, পৃ. ১৮৪।
  47. মাসউদি, আত্ তানবিহ ওয়াল ইশরাফ, দারুস সাওই, পৃ. ২৭৩।
  48. ইবনে খালদুন, দিওয়ানুল মুবতাদা ওয়াল খাবর, ১৪০৮ হি., খ. ৬, পৃ. ৩৩৬।
  49. ইউসুফিয়ান, বাররাসিয়ে বারখি আদেল্লেয়ে রেওয়ায়িয়ে আহমাদ বাসরি ইয়ামানি দুরুগিন, পৃ. ৬৩।
  50. ইউসুফিয়ান, বাররাসিয়ে বারখি আদেল্লেয়ে রেওয়ায়িয়ে আহমাদ বাসরি ইয়ামানি দুরুগিন, পৃ. ৬৩।
  51. ইবনে খালদুন, দিওয়ানুল মুবতাদা ওয়াল খাবর, ১৪০৮ হি., খ. ৪, পৃ. ১৯১।

গ্রন্থপঞ্জি

  • আয়াতী, নুসরাতুল্লাহ, درفش هدایت, মাজাল্লেয়ে মাশরেকে মাওউদ, সংখ্যা- ১, ১৩৮৫ (ফার্সি সন),
  • ইবনে হাম্মাদ, নাঈম ইবনে হাম্মাদ, আল-ফিতান, তাসহিহ: মাজদি ইবনে মানসুর শুরি, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ মানশুরাতে মুহাম্মাদ আলি বাইযুন...
  • ইবনে খালদুন, আব্দুর রহমান ইবনে মুহাম্মাদ, দিওয়ানুল মুবতাদা ওয়াল খাবর ফি তারিখিল আরব ওয়াল বারবার ওয়া মান আসারাহুম মিন যাওয়িশ শানিল আকবার, তাহকিক: খলিল শাহাদাহ, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪০৮ হি./১৯৮৮ ঈ.,
  • ইবনে তাউস, আলি ইবনে মুসা, ফালাহুস সাইল ওয়া নাজাহুল মাসাইল, কুম, বুস্তানে কিতাব, ১৪০৬ হি.,
  • ইবনে কাসির দামেশ্কি, ইসমাইল ইবনে উমর, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪০৭ হি./১৯৮৬ ঈ.,
  • ইবনে মানজুর, মুহাম্মাদ ইবনে মুকাররাম, লিসানুল আরব, তাসহিহ; আহমাদ ফারস, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪১৪ হি.,
  • আজদি নিশাপুরী, ফাযল ইবনে শাজান, মুখতাসারু ইসবাতির রাজআত, তরজমা: মীর লুহি, তাহকিক; বাসিম আল-হাশিমি, বৈরুত, দারুল কারাম, ১৪১৩ হি.,
  • আল হালু, সাইয়্যিদ মুহাম্মাদ আলি, আল ইয়ামানী রায়াতুল হুদা, নাজাফ, মারকাজুদ্ দিরাসাতিত্ তাখাসসুসিয়্যাহ ফিল ইমামিল মাহদি, ১৪২৫ হি.,
  • খলিফাহ ইবনে খাইয়াত, তারিখে খলিফাহ, তাহকিক: ফাওয়াজ, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, ১৯৯৫ ঈ./১৪১৫ হি.,
  • শেইখ সাদুক, মুহাম্মাদ ইবনে আলি, কামালুদ্দিন ওয়া তামামুন নি'মাহ, তাসহিহ; আলি আকবর গাফফারি, তেহরান, ইসলামিয়্যাহ, ১৩৯৫ হি.,
  • শেইখ তুসি, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, আল-আমালি, তাসহিহ; মুয়াসসিসাতুল বি'সাহ, কুম, দারুস সিকাফাহ, ১৪১৪ হি.,
  • শেইখ তুসি, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, কিতাবুল গাইবাহ লিল হুজ্জাহ, তাসহিহ; আব্দুল্লাহ তেহরানি ও আলি আহমাদ নাসিহ, কুম, দারুল মাআরিফিল ইসলামিয়্যাহ, ১৪১১ হি.,
  • ফাতলাউই, মাহদি, রায়াতুল হুদা ওয়াদ্ দালালু ফি আসরিয যুহুর, বৈরুত, দারুল মাহজ্জাতুল বাইযা, ১৪২০ হি./১৯৯৯ ঈ.,
  • ফখরুদ্দিন রাজি, মুহাম্মাদ ইবনে উমর, আল মাহসুল, তাহকিক; তাহা জাবির ফাইয়াজ আল উলওয়ানি, মুয়াসসিসাতুর রিসালাহ, ১৪১৮ হি./১৯৯৭ ঈ.,
  • শেইখ কুলাইনি, মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব, আল কাফি, তাসহিহ: আলি আকবর গাফফারি ও মুহাম্মাদ আখুন্দি, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়্যাহ, ১৪০৭ হি.,
  • লাইসি ওয়াসেতি, আলি ইবনে মুহাম্মাদ, উয়ুনুল হিকাম ওয়াল মাওয়াইয, তাসহিহ: হুসাইন হাসানী বিরজান্দি, কুম, দারুল হাদিস, ১৩৭৬ (ফার্সি সন),
  • মাজলিসি, মুহাম্মাদ বাকির, বিহারুল আনওয়ার, বৈরুত, দারু ইহইয়্যাইত তুরাসিল আরাবি, ১৪০৩ হি.,
  • মাসউদি, আলি ইবনে হুসাইন, আত্ তানবিহ ওয়াল ইশরাফ, তাসহিহ: আব্দুল্লাহ ইসমাইল আস্ সাওই, কাইরো, দারুস্ সাওই...
  • মুকাদ্দাসি, মুতাহহার ইবনে তাহির, আল বাদউ ওয়াত্ তারিখ, বুর সাঈদ, মাকতাবাতুস সিকাফাতিদ্ দিনিয়্যাহ...
  • মাহদাভিরাদ, মুহাম্মাদ আলি ও অন্যান্য, تطبیقی روایات یمانی از منظر فریقین, দার মাজাল্লেয়ে হাদিস-পাজুহিশি, পাইজ ওয়া যামেস্তান ১৩৯৩ (ফার্সি সন),
  • নু’মানি, মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহিম, আল-গাইবাহ, তাসহিহ: আলি আকবর গাফফারি, নাশরে সাদুক, তেহরান, ১৩৯৭ হি.,
  • ইউসুফিয়ান, মাহদি ও মুহাম্মাদ শাহবাজিয়ান, برخی ادله روایی احمد بصری یمانی دروغین, দার মাজাল্লেয়ে মাশরেকে মাওউদ, সংখ্যা- ২৭, পাইজ ১৩৯২ (ফার্সি সন)।

ইমাম মাহদী (আ.)-এর আবির্ভাবের আলামতসমূহশিয়া ক্বিয়ামসমূহ