বিষয়বস্তুতে চলুন

আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম

wikishia থেকে

আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম (আরবি: الصَّلاَةُ خَیْرٌ مِنَ النَّوْمِ) অর্থ হচ্ছে "ঘুম হতে নামায উত্তম", এটি এমন একটি বাক্য, যা আহলে সুন্নাত ফজরের আযানে "হাইয়া আলাল ফালাহ" বলার পর দু'বার উচ্চারণ করে থাকে। আহলে সুন্নাতের অধিকাংশ ফকীহ, কিছু কিছু রেওয়ায়াতের ভিত্তিতে ফজরের নামাযের আযানে এই বাক্যটি বলাকে মুস্তাহাব হিসেবে বিবেচনা করেন। বিপরীতে, ইমামিয়া ফকীহগণ এই বিষয়ে ইজমা (ঐকমত্য) পোষণ করেন যে, আযানে এটি বলা জায়েয নয় এবং যদি শরয়ী বিধান হিসেবে গণ্য করার উদ্দেশ্যে বলা হয়, তাহলে তা হারাম। তাদের মতে, আযানে এই বাক্যটি বলার বৈধতা বা জায়েয হওয়ার পক্ষে কোন শরয়ী দলিল নেই।

"আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম" বাক্যটি কখন এবং কার মারফত আযানে সংযোজিত হয়েছে, এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বর্ণনা আহলে সুন্নাতের রেওয়ায়েতভিত্তিক সূত্রসমূহে বিদ্যমান। কিছু কিছু বর্ণনায় এসেছে যে, বিলাল এটি ফজরের আযানে সংযোজন করেন এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর পক্ষ থেকে অনুমোদিত হয়। অন্যদিকে, অন্য কিছু বর্ণনায় বলা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) এটি আবু মাহযুরাকে শিক্ষা দেন। আবার এমনও বলা হয়েছে যে, সর্বপ্রথম সা'দ বিন আয়েয, যিনি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর যুগে মসজিদে কুবার মুয়াযযিন ছিলেন, তিনি উমর ইবনে খাত্তাবের খিলাফতের যুগে এটি "বিদআত" হিসেবে চালু করেন। মালিক ইবনে আনাস তার "আল-মুয়াত্তা" গ্রন্থে যে রেওয়ায়েত উল্লেখ করেছেন, তাতে বলা হয়েছে যে, এটি উমরের খিলাফতের যুগে এবং তার অনুমোদনেই আযানে যোগ করা হয়।

আযানে "আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম" বলাকে "তাসউয়িব"ও বলা হয়। ফকীহগণের পরিভাষায় তাসউয়িব এর অর্থ হলো, যখন মুয়াযযিন "হাইয়া আলাস সালাহ" (নামাযের দিকে ধাবিত হও) বলে লোকদের নামাযের প্রতি আহবান করে, তখন "আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম" বলার মাধ্যমে আরেকটি লাইনের পুনরাবৃত্তির দ্বারা পুনরায় নামাযের প্রতি আহবানে ফিরে আসে। অবশ্য বলা হয় যে, তাসউয়িব এর অর্থ আরও ব্যাপক; কেউ কেউ ফজরের নামাযের আযান ও ইকামতের মাঝে "আস-সালাতা, রহিমাকুমুল্লাহ, আস-সালাতা" বলা অথবা আযানইকামতের মাঝে "হাইয়া আলাস সালাহ" ও "হাইয়া আলাল ফালাহ" বলাকেও তাসউয়িব বলেছেন।

পরিভাষা পরিচিতি ও অবস্থান

"আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম" অর্থ হচ্ছে "নিদ্রা হতে নামায উত্তম", এটি এমন একটি বাক্য যা আহলে সুন্নাত ফজরের আযানে "হাইয়া আলাল ফালাহ" বলার পর দু'বার উচ্চারণ করে থাকে। [] ফজরের আযানে এই বাক্যটি বলাকে "তাসউয়িব"ও বলা হয়।[] তাসউয়িব হলো নামাযের জন্য পুনরায় আহ্বান করা; এর ব্যাখ্যা হচ্ছে এই যে, যখন মুয়াযযিন "হাইয়া আলাস সালাহ" (নামাযের দিকে ধাবিত হও) বলে লোকদের নামাযের দিকে আহ্বান করেন, তখন অপর একটি বাক্য তথা "আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম" বাক্যটি পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে পুনরায় নামাযের আহবানের প্রতি ফিরে আসে।[] কেউ কেউ আযান ও ইকামতের মাঝে "আস-সালাতা, রহিমাকুমুল্লাহ, আস-সালাতা" বাক্যটি বলাকে, যা একপ্রকার নামাযের জন্য পুনরায় আহ্বান, তাসউয়িব-এর নমুনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।[] এছাড়াও বলা হয় যে, কুফার কিছু হানাফী আলিম ফজরের নামাযের আযান ও ইকামতের মাঝে দু'বার "হাইয়া আলাস সালাহ" ও "হাইয়া আলাল ফালাহ" বলাকে তাসউয়ি-এর আরেকটি প্রকার বলে মনে করেন।[] এই বিষয়টি ফিকহের কিতাবসমূহে নামাযের অধ্যায়ে আলোচিত হয়েছে [] এবং এটি শিয়া ও সুন্নীদের মধ্যকার কালামশাস্ত্রগত আলোচনায় পরিণত হয়েছে। []

ইমামিয়া মতে "আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম"-এর বিদআতী হওয়া

ইমামিয়া ফকীহগণ এই বিষয়ে ইজমা (ঐকমত্য) পোষণ করেন যে, আযানে "আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম" বলা জায়েয নয় এবং শরয়ী বিধান হিসেবে গণ্য করে এটি বলাটা বিদআতহারাম[] তাদের মতে, এই বাক্যটি আযানে বলার বৈধতা প্রমাণের জন্য কোনো শরয়ী দলিল নেই।[] অবশ্য ইমামিয়া রেওয়ায়েতের কিছু সূত্রে মাসুম ইমামগণ (আ.) থেকে এমন কিছু রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে, যা থেকে আযানে তাসউয়িব জায়েয হওয়ার বিষয়টি বুঝা যায়[১০]; কিন্তু এই রেওয়ায়েতগুলোকে শায (বিরল ও অগ্রাহ্য) বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে [১১] এবং রেওয়ায়েতের অন্য একটি শ্রেণীর, যা স্পষ্টভাবে আযানে তাসউয়িব-এর জায়েয হওয়াকে প্রত্যাখ্যান করে, সাথে সাংঘর্ষিক [১২]; তাই ফকীহগণ সেগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন এবং সেগুলোকে তাকিয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বলে গণ্য করেছেন।[১৩]

বলা হয় যে, ইমামিয়া ফকীহগণের নিকট এ বিষয়ে কোনো মতবিরোধ নেই যে, যদি তাকিয়া করার জন্য অথবা নামাযের সময়ের ব্যাপারে সতর্ক ও স্মরণ করানোর উদ্দেশ্যে তাসউয়িব বা "আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম" বলা হয়ে থাকে, তাহলে তা জায়েয[১৪]; কিন্তু যদি শরয়ী বিধান হিসেবে গণ্য করার উদ্দেশ্যে না হয়ে থাকে বা সতর্ক করার উদ্দেশ্যে না হয়ে থাকে এবং তাকিয়ার জন্যও হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে জায়েয বা না জায়েয হওয়ার ব্যাপারে মতপার্থক্য রয়েছে।[১৫] ফকীহগণের মধ্যে ফাজেল হিন্দি[১৬]ফাইয কাশানির[১৭] মতো আলিমগণ এটিকে মাকরূহ বলেছেন, আবার সাহিবে জাওয়াহির [১৮] ও কাশিফুল গিতার[১৯] মতো ফকীহগণ এটিকে হারাম বলে আখ্যায়িত করেছেন।

কাশিফুল গিতা তাসউয়িব বা আযানে "আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম" বলাকে মৌলিকভাবে বিদআতমূলক ও জাতগত হারাম বলে মনে করেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, কোনো কিছুই এটিকে বৈধ করে না।[২০]

আহলে সুন্নাতের দৃষ্টিতে আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম-এর বৈধতা

আহলে সুন্নাতের প্রসিদ্ধ ফকিহগণের মতানুসারে, ফজরের আযানে ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’ বলার পর ‘আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম’ বলা মুস্তাহাব।[২১] অবশ্য কথিত রয়েছে যে, মুহাম্মাদ ইবনে ইদ্রিস শাফেয়ী বিষয়টিকে এক জায়গাতে মুস্তাহাব বলে মনে করেছেন এবং অন্য একটি স্থানে মাকরূহ জ্ঞান করেছেন।[২২] কিছু কিছু হানাফি ফকিহ মনে করেন, এটি ফজরের আযানের পরেও বলাও যায়।[২৩]

আহলে সুন্নাতের প্রসিদ্ধ ফকিহদের মতে, তাসউয়িব বা "আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম" বলা শুধুমাত্র ফজরের আযানের জন্য সংরক্ষিত।[২৪]

আহলে সুন্নাতের প্রতীক

আযানে "আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম" বলাকে সমগ্র ইতিহাস জুড়ে, আহলে সুন্নাতের এক প্রকারের স্লোগান ও প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়েছে; এমনকি যেসব সরকার ব্যাবস্থায় শাসকগণ সুন্নী ছিলেন, সেখানে এই বাক্যটি আযানে বলার নির্দেশ দেওয়া হত।[২৫] উদাহরণস্বরূপ, সীরাতে হালবী কিতাবে বর্ণিত হয়েছে যে, বাগদাদে যখন বুওয়াদের শাসনামল ছিল, তখন আযানে "হাইয়া আলা খাইরিল আমাল" বলা হত; কিন্তু ৪৪৮ হিজরিতে সালজুকীয়ানদের ক্ষমতায় আসার পর, আযানে এই বাক্য বলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এবং তার পরিবর্তে আযানে "আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম" বলার নির্দেশ দেওয়া হয়।[২৬]

উমরের খিলাফতকাল

সৈয়দ আলী শাহরেস্তানী তার "আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম ফিল আযান" শীর্ষক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, শিয়া মতাবলম্বী তিনটি প্রধান ফির্কা—ইমামিয়া, ইসমাঈলিয়াজায়দিয়া—জোর দিয়ে বলে থাকে যে, "আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম" উমর ইবনে খাত্তাব-এর খিলাফতকালে এবং তারই নির্দেশে আযানে সংযোজিত হয়।[২৭] ইমাম মালিক ইবনে আনাস কর্তৃক "আল-মুয়াত্তা" গ্রন্থে উল্লেখিত একটি রেওয়ায়েত অনুসারে, মুয়াযযিন ফজরের নামাযের খবর দেওয়ার জন্য উমর ইবনে খাত্তাবের নিকট গিয়ে দেখলেন যে তিনি ঘুমাচ্ছেন; তখন মুয়াযযিন বললেন, "আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম" (ঘুম হতে নামায উত্তম)। এরপর উমর আদেশ দিলেন ফজরের আযানে যেন এই বাক্যটি যোগ করা হয়।[২৮] আরও কিছু বর্ণনায় এসেছে যে, সর্বপ্রথম উমর ইবনুল খাত্তাবই "হাইয়া আলা খাইরিল আমাল" বাক্যটি আযান থেকে বাদ দিয়ে তার পরিবর্তে "আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম" বলার নির্দেশ দেন।[২৯]

অন্য একটি বর্ণনামতে, এই বাক্যটি সর্বপ্রথম উমর-এর খিলাফতকালে মসজিদে কুবার মুয়াযযিন সা'দ বিন আয়েয কর্তৃক "বিদ'আত" (নতুনভাবে) চালু করা হয়।[৩০] অবশ্য, ইমাম কাযিম (আ.) থেকে বর্ণিত একটি রিওয়ায়েতে এসেছে যে, "আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম" বাক্যটি বনী উমাইয়া যুগে আযানে যোগ করা হয়েছে।[৩১]

রাসূল (সা.)-এর জীবদ্দশায়

এই বাক্যটি রাসূল (সা.)-এর জীবদ্দশায় আযানে সংযোজিত হওয়া সম্পর্কে আহলে সুন্নাতের রেওয়ায়েতভিত্তিক সূত্রসমূহে বিভিন্ন ও পরস্পর-সাংঘর্ষিক রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে। এসব রেওয়ায়েতের কোন কোনটিতে বর্ণিত হয়েছে যে, একদিন বিলাল, রাসূল (সা.)-কে ফজরের নামাযের জন্য ডাকতে এসে দেখলেন যে, তিনি ঘুমাচ্ছেন। তখন তিনি উচ্চস্বরে বললেন: "আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম" (ঘুম থেকে নামায উত্তম)। এরপর রাসূল (সা.)-এর পক্ষ থেকে ফজরের আযানে এই বাক্যটি বলার বিষয়টি অনুমোদিত ও গৃহীত হয়।[৩২] অন্য রেওয়ায়েতে এসেছে যে, রাসূল (সা.) এটি আবু মাহযুরা (রা.)-কে শিক্ষা দিয়েছিলেন।[৩৩] জাফর সুবহানী’র মতে, আহলে সুন্নাতের সূত্রসমূহে "আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম" আযানে কীভাবে যোগ হয়েছিল—এ সংক্রান্ত রেওয়ায়েতগুলো পরস্পর সাংঘর্ষিক এবং সেগুলোর উপর নির্ভর করা যায় না; কারণ এখানে বিষয়টি মুস্তাহাববিদআত, যা কিনা হারাম—এই দু'এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তাই আযানে এই বাক্যটি বলা পরিত্যাগ করা উচিত। কেননা, যদি এটি মুস্তাহাবও হয়, তাহলে তা পরিত্যাগ করলে কোনো শাস্তি নেই; কিন্তু যদি তা বিদআত হয়, তবে তা বলার জন্য শাস্তি রয়েছে।[৩৪] আহলে সুন্নাতের কিছু আলিমও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে, "আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম" বাক্যটি রাসূল (সা.)-এর পক্ষ থেকে আযানের অন্তর্ভুক্ত হয়নি, বরং তাঁর ইন্তেকালের পর এটিকে বিদআত হিসেবে চালু করা হয়েছে।[৩৫]

সম্পর্কিত রচনাবলী

আযানে "আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম" বাক্যটির অন্তর্ভুক্তি ও এর অ-বৈধতা সম্পর্কে বেশ কিছু রচনা প্রণয়ন করা হয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি ‍নিম্নরূপ:

  • আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম ফিল আযান শীর্ষক গ্রন্থটি আরবি ভাষায় রচিত এবং এর লেখক হচ্ছেন সৈয়দ আলী শাহরেস্তানী। এই বইটি ১৪৩৩ হিজরিতে বাগদাদের "আর-রাফিদ" প্রকাশনী থেকে মুদ্রিত হয়।[৩৬]
  • "মাসআলাহ, আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম" শীর্ষক গ্রন্থটি 'মাজমা জাহানি আহলে বাইত (আ.)'-এর গবেষণা ও সংশয় নিরসন বিভাগ কর্তৃক প্রণীত হয়েছে এবং ২৪ খণ্ডে "ফি রিহাবে আহলিল বাইত (আ.), মাজমা জাহানিয়ে আহলে বাইত (আ.) কর্তৃক সংকলন ও প্রকাশিত হয়েছে।[৩৭] এই বইটি ফার্সি ভাষায়ও অনূদিত হয়েছে।

তথ্যসূত্র

  1. একদল লেখক, আল-মাওসুআতুল ফিকহিয়্যাতুল কুয়েতিয়া, ১৪০৪ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩৬০ এবং খণ্ড ১১, পৃ. ১৭৬; সারাখসী, আল-মাবসূত, দারুল মা'রিফা, খণ্ড ১, পৃ. ১৩০।
  2. একদল লেখক, আল-মাওসুআতুল ফিকহিয়্যাতুল কুয়েতিয়া, ১৪০৪ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩৬০।
  3. যাবিদী, তাজুল উরুস, "তাসবীব" শব্দের ব্যাখ্যায়।
  4. উদাহরণস্বরূপ দেখুন: ইবনে মানযুর, লিসানুল আরব, "তাসউয়িব" শব্দের ব্যাখ্যায়।
  5. একদল লেখক, আল-মাওসুআতুল ফিকহিয়্যাতুল কুয়েতিয়া, ১৪০৪ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩৬১।
  6. উদাহরণস্বরূপ দেখুন: ইবনে রুশদ, বিদায়াতুল মুজতাহিদ, ১৪২৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৮৯; বাহরানী, আল-হাদায়েকুন নাযিরা, মুয়াসসাসাতুন নাশরিল ইসলামী, খণ্ড ৭, পৃ. ৪১৮।
  7. উদাহরণস্বরূপ দেখুন: আল্লামা হিল্লী, নাহজুল হক ওয়া কাশফুস সিদক, ১৯৮২ খ্রি., পৃ. ৩৫১।
  8. শেখ তুসী, আল-খিলাফ, মুয়াসসাসাতুন নাশরিল ইসলামী, খণ্ড ১, পৃ. ২৮৭; নাজাফী, জাওয়াহিরুল কালাম, ১৩৬২ সানি/১৯৮৩ খ্রি., খণ্ড ৯, পৃ. ১১৩।
  9. সাইয়্যিদ মুরতাজা, মাসাইলুন নাসিরিয়্যাত, ১৪১৭ হি., পৃ. ১৮৪; শেখ তুসী, আল-খিলাফ, মুয়াসসাসাতুন নাশরিল ইসলামী, খণ্ড ১, পৃ. ২৮৭।
  10. উদাহরণস্বরূপ দেখুন: হুররে আমেলী, ওয়াসাইলুশ শিয়া, ১৪১৬ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৪২৭।
  11. শহীদ সানী, মাসালিকুল আফহাম, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৯০।
  12. উদাহরণস্বরূপ দেখুন: হুররে আমেলী, ওয়াসাইলুশ শিয়া, ১৪১৬ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৪২৬।
  13. শহীদ সানী, মাসালিকুল আফহাম, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৯০; নাজাফী, জাওয়াহিরুল কালাম, ১৩৬২ সানি/১৯৮৩ খ্রি., খণ্ড ৯, পৃ. ১১৬; একদল লেখক, আল-মাওসুআতুল ফিকহিয়্যা, ১৪২৩ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ১১১।
  14. বাহরানী, আল-হাদায়েকুন নাযিরা, মুয়াসসাসাতুন নাশরিল ইসলামী, খণ্ড ৭, পৃ. ৪২১; একদল লেখক, আল-মাওসুআতুল ফিকহিয়্যা, ১৪২৩ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ১১১।
  15. একদল লেখক, আল-মাওসুআতুল ফিকহিয়্যা, ১৪২৩ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ১১১।
  16. ফাযেল হিন্দী, কাশফুল লিসাম, মুয়াসসাসাতুন নাশরিল ইসলামী, খণ্ড ৩, পৃ. ৩৮৫।
  17. ফাইয কাশানী, মাফাতীহুশ শারায়ে, ১৪০১ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১১৮।
  18. নাজাফী, জাওয়াহিরুল কালাম, ১৩৬২ সানি/১৯৮৩ খ্রি., খণ্ড ৯, পৃ. ১১৬।
  19. কাশিফুল গিতা, কাশফুল গিতা, ১৪২২ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৪৬।
  20. কাশিফুল গিতা, কাশফুল গিতা, ১৪২২ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৪৬।
  21. ইবনে রুশদ, বিদায়াতুল মুজতাহিদ, ১৪২৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৮৯।
  22. শেখ তুসী, আল-খিলাফ, মুয়াসসাসাতুন নাশরিল ইসলামী, খণ্ড ১, পৃ. ২৮৬।
  23. একদল লেখক, আল-মাওসুআতুল ফিকহিয়্যাতুল কুয়েতিয়া, ১৪০৪ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩৬০।
  24. উদাহরণস্বরূপ দেখুন: সারাখসী, আল-মাবসূত, দারুল মা'রিফা, খণ্ড ১, পৃ. ১৩০; শাওকানী, নাইলুল আওতার, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪৬; শিরবীনী, মুগনিল মুহতাজ, দারু ইহইয়ায়িত তুরাসিল আরাবী, খণ্ড ১, পৃ. ১৩৬।
  25. শাহরেস্তানী, আল-আযান বাইনাল আসালাতি ওয়াত তাহরীফ, ১৪২৬ হি., পৃ. ৩৪৩।
  26. হালাবী, আস-সীরাতুল হালাবিয়া, দারুল কুতুবিল ইলমিয়া, খণ্ড ২, পৃ. ১৩৬।
  27. শাহরেস্তানী, আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম, পৃ. ১৫০।
  28. মালিক ইবনে আনাস, আল-মুয়াত্তা, ১৪০৬ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৭২।
  29. ইয়াহইয়া ইবনে হুসাইন, আল-আহকাম (ফিকহুল মাযহাবিয যাইদী), ১৪১০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৮৪।
  30. আবদুর রাজ্জাক, আল-মুসান্নাফ, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৪৭৪।
  31. নূরী, মুসতাদরাকুল ওয়াসাইল, মুয়াসসিসাতে Âলে বাইত (আ.), খণ্ড ৪, পৃ. ৪৪।
  32. উদাহরণস্বরূপ দেখুন: ইবনে মাজাহ, সুনানে ইবনে মাজাহ, দারু ইহইয়ায়িল কুতুবিল আরাবিয়া, খণ্ড ১, পৃ. ২৩৭; দারেমী, সুনানে দারেমী, ১৪১২ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৭৬২।
  33. উদাহরণস্বরূপ দেখুন: বাইহাকী, আস-সুনানুল কুবরা, ১৪২৪ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৬২২।
  34. সুবহানী, সিমায়ে আকায়েদে শিয়া, ১৩৮৬ ফার্সি সন/২০০৭ খ্রি., পৃ. ৩৮৫।
  35. উদাহরণস্বরূপ দেখুন: খাওয়ারেযমী, জামেউল মাসানীদ, ১৪১৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৯৬; ইবনে হাযম, আল-মুহাল্লা, দারুল ফিকর, খণ্ড ২, পৃ. ১৯৪; আবদুর রাজ্জাক, আল-মুসান্নাফ, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৪৭৪।
  36. শাহরেস্তানী, আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম ফিল আযান, ১৪৩৩ হি., পৃ. ২-৩।
  37. মাজমায়ে জাহানিয়ে আহলে বাইত (আ.), মাসআলাহ, আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম, ১৪২৬ হি., পৃ. ৪।

গ্রন্থপঞ্জি

  • ইবনে হাযম, আলী ইবনে আহমাদ, আল-মুহাল্লা বিল আছার, বৈরুত, দারুল ফিকর, তারিখ অজ্ঞাত।
  • ইবনে রুশদ, আবুল ওয়ালীদ মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ, বিদায়াতুল মুজতাহিদ ওয়া নিহায়াতুল মুকতাসিদ, কায়রো, দারুল হাদীস, ১৪২৫ হি.।
  • ইবনে মাজাহ, আবু আবদিল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াযীদ, সুনানে ইবনে মাজাহ, বৈরুত, দারু ইহইয়াইল কুতুবিল আরাবিয়া, তারিখ অজ্ঞাত।
  • ইবনে মানযুর, মুহাম্মাদ ইবনে মুকাররাম, লিসানুল আরব, বৈরুত, দারুস সাদির, ১৪১৪ হি.।
  • বাহরানী, ইউসুফ, আল-হাদায়েকুন নাযিরা ফী আহকামিল ইতরাতিত তাহিরা, কুম, মুয়াসসাসাতুন নাশরিল ইসলামী, তারিখ অজ্ঞাত।
  • বাইহাকী, আহমাদ ইবনে হুসাইন, আস-সুনানুল কুবরা, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়া, ১৪২৪ হি.।
  • একদল লেখক, আল-মাওসুআতুল ফিকহিয়্যাতুল কুয়েতিয়া, কুয়েত, দারুস সালাসিল, ১৪০৪ হি.।
  • একদল লেখক, আল-মাওসুআতুল ফিকহিয়্যা, কুম, দায়রাতুল মা'আরিফিল ফিকহিল ইসলামী, ১৪২৩ হি.।
  • হুররে আমেলী, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, ওয়াসাইলুশ শিয়া, কুম, মুয়াসসেসেয়ে আলুল বাইত (আ.), ১৪১৬ হি.।
  • খাওয়ারেযমী, মুহাম্মাদ ইবনে মাহমুদ, জামেউল মাসানিদ, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, ১৪১৯ হি.।
  • দারেমী, আবদুল্লাহ ইবনে আবদির রহমান, সুনানে দারেমী, সৌদি আরব, দারুল মুগনি, ১৪১২ হি.।
  • যাবিদী, মুরতাযা, তাজুল 'উরুস মিন জাওয়াহিরিল কামুস, বৈরুত, দারুল ফিকর, তারিখ অজ্ঞাত।
  • সুবহানী, জাফর, সিমায়ে আকায়েদে শিয়া, তেহরান, নাশরে মাশআর, ১৩৮৬ সানি/২০০৭ খ্রি.।
  • সারাখসী, মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ, আল-মাবসূত, বৈরুত, দারুল মা'রিফা, ১৪১৪ হি.।
  • শিরবীনী, শামসুদ্দীন, মুগনিল মুহতাজ ইলা মা'রিফাতি মা'আনী আলফাযিল মিনহাজ, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়া, ১৪১৫ হি.।
  • শাওকানী, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, নাইলুল আওতার, কায়রো, দারুল হাদীস, ১৪১৩ হি.।
  • শাহরেস্তানী, সাইয়্যিদ আলী, আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম ফিল আযান, বাগদাদ, মানশুরাতুর রাফিদ, ১৪৩৩ হি.।
  • শাহীদে সানী, যাইনুদ্দীন ইবনে আলী, মাসালিকুল আফহাম, কুম, মুয়াসসাসাতুল মা'আরিফিল ইসলামিয়া, ১৪১৩ হি.।
  • শেখ তুসী, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, আল-খিলাফ, কুম, মুয়াসসাসাতুন নাশরিল ইসলামী, তারিখ অজ্ঞাত।
  • আবদুর রাজ্জাক, আবু বকর আবদুর রাজ্জাক ইবনে হাম্মাম, আল-মুসান্নাফ, ভারত, আল-মাজলিসুল ইলমী, ১৪০৩ হি.।
  • আল্লামা হিল্লী, ইউসুফ ইবনে হাসান, নাহজুল হক ওয়া কাশফুস সিদক, বৈরুত, দারুল কিতাবিল লুবনানী, ১ম সংস্করণ, ১৯৮২ খ্রি.।
  • ফাযেল হিন্দী, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, কাশফুল লিসাম ওয়াল ইবহাম 'আন কাওয়াইদিল আহকাম, কুম, মুয়াসসাসাতুন নাশরিল ইসলামী, তারিখ অজ্ঞাত।
  • ফাইয কাশানী, মুহাম্মাদ ইবনে শাহ মুরতাযা, মাফাতীহুশ শারায়ে', কুম, কিতাবখানেয়ে উমুমিয়ে আয়াতুল্লাহিল উযমা মার'আশী নাজাফী, ১৪০১ হি.।
  • কাশিফুল গিতা, শেখ জাফর, কাশফুল গিতা 'আন মুবহামাতিশ শরীয়াতিল গ়াররা, কুম, দাফতারে তাবলীগাতে ইসলামী, ১৪২২ হি.।
  • মালিক ইবনে আনাস, আল-মুয়াত্তা, বৈরুত, দারু ইহইয়ায়িত তুরাসিল আরাবী, ১৪০৬ হি.।
  • মাজমায়ে জাহানিয়ে আহলে বাইত (আ.), মাসআলাহ, আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম, কুম, মাজমায়ে জাহানিয়ে আহলে বাইত (আ.), ১৪২৬ হি.।
  • নাজাফী, মুহাম্মাদ হাসান, জাওয়াহিরুল কালাম, বৈরুত, দারু ইহইয়ায়িত তুরাসিল আরাবী, ৭ম সংস্করণ, ১৩৬২ সানি/১৯৮৩ খ্রি.।
  • নূরী, হুসাইন, মুসতাদরাকুল ওয়াসাইল ওয়া মুসতানবাতুল মাসাইল, কুম, মুয়াসসেসেয়ে আলুল বাইত (আ.), তারিখ অজ্ঞাত।
  • ইয়াহইয়া ইবনে হুসাইন, আল-আহকাম ফিল হালালি ওয়াল হারাম (ফিকহুল মাযহাবিয যাইদী), স্থান অজ্ঞাত, প্রকাশনা অজ্ঞাত, ১৪১০ হি.।