বিষয়বস্তুতে চলুন

আবুল জারুদ

wikishia থেকে

যিয়াদ ইবনে মুনযির, যিনি আবুল জারুদ নামে পরিচিত, ছিলেন দ্বিতীয় হিজরি শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট মুফাসসির এবং ইমাম বাকির (আ.)ইমাম সাদিক (আ.)-এর সাহাবী । কিছু সূত্র তাকে ইমাম সাজ্জাদ (আ.)-এর সাহাবী হিসেবেও উল্লেখ করেছে। তিনি কালাম শাস্ত্রে সুপণ্ডিত এবং বিতর্কের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন।

আবুল জারুদ, যায়েদ ইবনে আলীর প্রতি ও যায়েদিয়া ফিরকার দিকে ঝুঁকে পড়েন, যায়েদের বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁর খুতবা ও হাদীসসমূহ বর্ণনা করেছেন। সায়্যিদ আবুল কাসিম খুয়ীর বর্ণনা অনুযায়ী, আবুল জারুদ জীবনের শেষভাগে ইমামিয়া মাযহাবে প্রত্যাবর্তন করেন। যায়েদিয়াদের মধ্যে জারুদিয়া ফিরকার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে জিয়াদ ইবনে মুনযিরকে গণ্য করা হয়।

আবুল জারুদের বর্ণনাসমূহ আল-কাফীকামিলুয যিয়ারাতের ন্যায় কিতাবে উদ্ধৃত হয়েছে। তাঁর সিকা (নির্ভরযোগ্যতা) হওয়া প্রসঙ্গে মতপার্থক্য রয়েছে; কেউ কেউ তাঁকে নির্ভরযোগ্য তথা সিকা বলে আখ্যায়িত করেছেন আবার অন্য একদল তাঁর নিন্দা করেছেন।

তাফসীরে আবুল জারুদ সম্পর্কে বলা হয় যে, এটি ইমাম বাকির (আ.) কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে এবং শিয়া ইমামদের নামে আরোপিত প্রথম তাফসীর গ্রন্থ। এই তাফসীরটি ইমাম বাকির (আ.)-এর নিকট থেকে বর্ণনা করা হয়েছে কিনা, এ বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। বলা হয়ে থাকে যে, তিনি যায়েদিয়া মতাদর্শের প্রতি ঝুঁকার পূর্বে এই তাফসীরটি রচিত হয়; সুতরাং, এর বিষয়বস্তু অন্যান্য মুফাসসিরদের গ্রন্থে, যেমন তাফসীরে আলী ইবনে ইব্রাহীম কুম্মিতে ব্যবহৃত হয়েছে।

সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

যিয়াদ ইবনে মুনযির, আবুল জারুদ বা আবুন নাজম[] নামে পরিচিত, দ্বিতীয় হিজরী শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট মুফাসসির হিসেবে পরিগণিত হন।[] তিনি ইমাম বাকির (আ.)-এর সাহাবী এবং ইমাম সাদিক (আ.) থেকে রেওয়ায়েতসমূহ বর্ণনা করেছেন।[] তবে রেজালে নাজাশি ও অন্যান্য সূত্রে তাকে তিন ইমাম অর্থাৎ ইমাম সাজ্জাদ, ইমাম বাকির ও ইমাম সাদিক (আ.)-এর সাহাবী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।[] কালাম শাস্ত্রে বিশেষ জ্ঞানের অধিকারী আবুল জারুদ ছিলেন মুনাযিরা তথা বিতর্কের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত দক্ষ।[]

যিয়াদ ইবনে মুনযির 'আ'মি [], সাকাফি কুফি[] ও তাবেয়ী[] উপাধিসমূহে ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও নাজাশির[] ন্যায় প্রাচীন রিজাল বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে তাঁকে ইয়েমেনের হামদান গোত্রের খারিফ[১০] বা হারকাহ[১১] বংশের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিওবা তাঁকে 'মাওলা'[১২] বা খুরাসানী[১৩] উপাধি দ্বারা সম্বোধন করার প্রেক্ষিতে তাঁর ইরানী বংশোদ্ভূত হওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়ে থাকে। আবুল জারুদ ছিলেন জন্মান্ধ।[১৪] তাঁর জন্ম প্রথম হিজরী শতাব্দীর শেষভাগে বলে ধারণা করা হয়।[১৫] তিনি ১৫০ হিজরী[১৬] থেকে ১৬০ হিজরী[১৭] সালের মধ্যে ইন্তেকাল করেছেন বলে কথিত আছে; যদিও ১১৮ হিজরী সালও তাঁর মৃত্যুর বছর হিসেবে উল্লেখিত হয়েছে।[১৮] ইবনে নাদীমের বর্ণনা অনুযায়ী, আবুল জারুদ মৃত্যুর পূর্বে মাদক জাতীয় দ্রব্য সেবন করেন এবং কাফিরদের নেতৃত্ব মেনে নেন।[১৯]

প্রখ্যাত আত্মীয়-স্বজন

আবুল জারুদের পিতা, মুনযির ইবনে যিয়াদ, হযরত আলী (আ.)-এর শাসনামলে আযদশীর খুররা অঞ্চলের শাসনকর্তা নিযুক্ত হন,[২০] কিন্তু সরকারী অর্থ তসরুফের অভিযোগে হযরত আলী ইবনে আবি তালিব (আ.)-এর পক্ষ থেকে তাকে থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।[২১]তার উদ্দেশ্যে হযরত আলী (আ.)-এর লেখা পত্র নাহজুল বালাগায় উল্লিখিত হয়েছে।[২২]

তার দাদা, যিয়াদ ইবনে জারুদ, যিনি তাঁর সময়ের একজন বিশিষ্ট ইবাদতগুজার ব্যক্তি ছিলেন, জামালের যুদ্ধ সম্পর্কিত ঘটনাবলীতে ইমাম আলী (আ.)-এর পক্ষ অবলম্বন করেন; যখন নবীপত্নী আয়েশা, তালহা ও যুবায়ের এর সাথে বসরা গমন করেন এবং জামালের যুদ্ধের পটভূমি সৃষ্টি হয় তখন জিয়াদ রবীআ গোত্রের সদস্য এবং ইমাম আলী (আ.)-এর প্রতিনিধি উসমান ইবনে হুনাইফ আনসারীর সাথে একত্রে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।[২৩] ইমাম আলী (আ.)-এর আগমনের পূর্বে এবং জঙ্গে জামাল সংঘটিত হওয়ার আগেই উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এই সংঘর্ষে যিয়াদ ও তাঁর সঙ্গীরা শাহাদতবরণ করেন।[২৪]

যায়েদ ইবনে আলীর প্রতি ঝোঁক

শিয়া মাযহাবের প্রসিদ্ধ ফকীহ শেখ তুসী (ইন্তেকাল: ৪৬০ হি.) ও আল্লামা হিল্লী (ইন্তেকাল: ৭২৬ হি.) এর বর্ণনা অনুযায়ী, আবুল জারুদ যায়েদী মাযহাবের অনুসারী ছিলেন।[২৫]এমনকি তাকে যায়েদিয়া আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।[২৬] বলা হয়ে থাকে, তিনি যায়েদিয়া গুলুকারী (অতি রঞ্জিতকারী) দলের সদস্য ছিলেন[২৭] এবং শিয়া ইমামগণের পথ ও শিক্ষা থেকে দূরে সরে যান।[২৮] ঐতিহাসিক বর্ণনাসমূহ অনুসারে, যায়েদ ইবনে আলীর বিদ্রোহের সময় আবুল জারুদ তার আকীদা পরিবর্তন করেন এবং যায়েদিয়া মতাদর্শের প্রতি ঝুঁকে পড়েন।[২৯] এমনকি তিনি যায়েদ ইবনে আলীর বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলেও উল্লেখ রয়েছে।[৩০] ইমামত বিষয়ে আবুল জারুদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং তাকিয়াহর প্রতি তার অনিহাকে, ইমাম বাকির (আ.) ও ইমাম সাদিক (আ.)-এর থেকে তার দূরে সরে যাওয়ার এবং যায়েদ ইবনে আলীর প্রতি তার ঝোঁকের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।[৩১]

আবুল জারুদ, যায়েদ ইবনে আলীর বিদ্রোহকালীন খুতবা[৩২], পাশাপাশি তার থেকে বর্ণিত হাদীসসমূহ[৩৩] এবং তার পুত্র ইয়াহইয়া ইবনে যায়েদের হাদীসসমূহও বর্ণনা করেছেন।[৩৪] শিয়া ফকীহ ও রিজাল শাস্ত্রবিদ সায়্যিদ আবুল কাসিম খুয়ী এই সম্ভাবনা পোষণ করেছেন যে আবুল জারুদ তার জীবনের শেষ দিকে ইমামিয়া মাযহাবে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন।[৩৫]

জারুদিয়া ফিরকার প্রতিষ্ঠা

বর্ণিত আছে যে, আবুল জারুদ তাঁর কিছু মতবাদ যায়েদ ইবনে আলীর প্রারম্ভিক অনুসারীদের মধ্যে উপস্থাপন করেছিলেন [৩৬] এবং ইমামত সম্পর্কে বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপনের মাধ্যমে তিনি যায়েদিয়া সম্প্রদায়ের একটি দলকে নিজের সাথে একত্রিত করেছিলেন।[৩৭] ফিরকা বিশেষজ্ঞ ও রিজালবিদদের মতে, জারুদিয়া[৩৮] এবং সুরহুবিয়া - যা যায়েদিয়ার একটি শাখা - আবুল জারুদের নামে নামকরণ করা হয়েছে এবং ধারণা করা হয় যে, এগুলি তাঁর মতবাদ দ্বারা প্রভাবিত হয়।[৩৯] জারুদিয়ার অনুসারীরা আবুল জারুদের অনুসরণে বিশ্বাস করতেন যে হযরত আলী (আ.) ছিলেন সাহাবাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সমস্ত মানুষের নেতৃত্বের জন্য সর্বাধিক যোগ্য ব্যক্তি।[৪০] তারা বিশ্বাস করতেন, নবী করিম (স.) হযরত আলী (আ.)-এর ইমামতের প্রতি ইঙ্গিত করেছিলেন বর্ণনার মাধ্যমে, সরাসরি নাম উল্লেখের মাধ্যমে নয়।[৪১]

হাদীস বর্ণনা

আবুল জারুদের নাম বহু হাদীসের সনদে উল্লিখিত হয়েছে, যার সংখ্যা ৯২টি পর্যন্ত পৌঁছেছে।[৪২] তিনি ইমাম সাজ্জাদ (আ.), ইমাম বাকির (আ.) ও ইমাম সাদিক (আ.) থেকে হাদীস বর্ণনা করার পাশাপাশি, যায়েদ ইবনে আলী,[৪৩] ইয়াহইয়া ইবনে যায়েদ,[৪৪] আসবাগ ইবনে নাবাতা, হাসান বসরী, আবদুল্লাহ ইবনে হাসান মুসান্না, আতিয়া ইবনে সা'দ আওফী[[৪৫] এবং আবু সাঈদ উকাইসা আল-তাইমী’র ন্যায় বহু তাবেয়ীন[৪৬] থেকেও হাদীস বর্ণনা করেছেন।[৪৭]

অনুরূপভাবে, অনেক ব্যক্তি তাঁর থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন; উদাহরণস্বরূপ মারওয়ান ইবনে মুআবিয়া, আলী ইবনে হাশিম ইবনে বুরাইদ,[৪৮] আবু মালিক হাযরামী, ইবনে মাসকান, আবান ইবনে উসমান, ইব্রাহিম আশ-শাইবানী, সা'লাবা ইবনে মাইমুন, হাসান ইবনে মাহবুব, রিব'ঈ ইবনে আবদুল্লাহ, আবদুল্লাহ ইবনে সিনান, আবদুল্লাহ ইবনে মুগীরা, উসমান ইবনে ঈসা, উমর ইবনে উযাইনা, মুহাম্মাদ ইবনে আবি হামযা, মুহাম্মাদ ইবনে সালমান আজদী, মুহাম্মাদ ইবনে সিনান, মানসুর ইবনে ইউনুস,[৪৯] ইসমাঈল ইবনে আবান আল-ওয়াররাক, আমর ইবনে আবিল মিকদাম এবং নাসর ইবনে মিযাহিম মিনকারি।[৫০]

আবুল জারুদের বর্ণিত হাদীসসমূহ ইমামিয়া সম্প্রদায়ের গ্রহণযোগ্য গ্রন্থসমূহে ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হয়; যেমন আল-কাফী,[৫১] কামিলুয যিয়ারত,[৫২] তাফসীরে ফুরাতে কুফি[৫৩] এবং তাফসীরে আলী ইবনে ইব্রাহিম কুম্মি।[৫৪]

আবুল জারুদের হাদীসসমূহের বিষয়বস্তু নানাবিধ; যার মধ্যে আখলাক তথা নৈতিকতা বিষয়ক,[৫৫] তাফসীর সংক্রান্ত,[৫৬] ফিকহ বিষয়ক[৫৭] এবং আকীদা সংক্রান্ত বিষয়াবলী - যেমন ইমামত,[৫৮] ইমামগণের মনোনয়ন[৫৯] এবং ইমাম মাহদী সম্পর্কিত।[৬০]। উল্লেখ্য যে, যায়েদিয়া আলেমদের তুলনায় ইমামিয়া আলেমগণ তার থেকে অধিক সংখ্যক হাদীস বর্ণনা করেছেন;[৬১] যদিও তার থেকে বিপুল সংখ্যক রেওয়ায়েত যায়েদী সূত্রসমূহেও পাওয়া যায়।[৬২]

আবুল জারুদের নির্ভরযোগ্যতা (সিকা) সম্পর্কে মতপার্থক্য

আবুল জারুদের নির্ভরযোগ্যতা (সিকা) সম্পর্কে রিজাল বিশেষজ্ঞ আলেমদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে [৬৩] এবং রিজাল বিষয়ক গ্রন্থসমূহে তার স্বপক্ষে ও বিপক্ষে বহু অভিমত লক্ষ্য করা যায় [৬৪] শেখ তুসী তার রিজাল বিষয়ক গ্রন্থে আবুল জারুদের নাম উল্লেখ করলেও তার নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেননি।[৬৫]

অনির্ভরযোগ্যতা

বর্ণিত আছে যে, আবুল জারুদ সম্পর্কে কোন প্রকার নির্ভরযোগ্যতার সনদ উৎসসমূহে বিদ্যমান নেই, বরং তিনি তীব্রভাবে নিন্দিত হয়েছেন।[৬৬] মুহাম্মাদ ইবনে উমর কাশ্শি (ইন্তেকাল: ৩৪০ হি.) এবং আল্লামা হিল্লী (ইন্তেকাল ৭২৬ হি.) কেবল তার সম্পর্কে শিয়া ইমামগণের নিন্দাসূচক বক্তব্য উদ্ধৃত করেছেন। [৬৭] চতুর্থ হিজরীর শিয়া কালামশাস্ত্রবিদ হাসান ইবনে মূসা নৌবাখতি এবং একইভাবে কাশ্শি, ইমাম বাকির (আ.) থেকে বর্ণিত একটি হাদীস অনুসারে, তাঁকে "সুরহুব" (সমুদ্রবাসী অন্ধ শয়তান) উপাধিতে ভূষিত করেছেন [৬৮] ইমাম সাদিক (আ.)-এর বর্ণিত হাদীসসমূহে আবুল জারুদের নাম 'কাফির' ও 'মিথ্যাবাদী' হিসেবে উল্লেখিত হয়েছে [৬৯] এবং তাকে লানত ও অভিশাপ দেওয়া হয়েছে। [৭০]

একই প্রসঙ্গে, আহলে সুন্নতের আলেমগণও তাকে নির্ভরযোগ্য বলে বিবেচনা করেন না এবং তাঁর নিকট থেকে হাদীস বর্ণনাকে জায়েয মনে করেন না। [৭১] আরও উল্লেখ্য যে, আবুল জারুদ কুফার গুলুকারী (অতি রঞ্জনকারী) দলের সদস্য ছিলেন এবং মহানবী (স.)-এর সাহাবীদের সম্পর্কে নিন্দামূলক জাল হাদীস বর্ণনা করতেন, পাশাপাশি আহলে বাইত (আ.)-এর ফজিলত সম্পর্কে অমূলক ফজিলতসমূহ উপস্থাপন করতেন ।[৭২]

নির্ভরযোগ্যতা

বিশিষ্ট শিয়া ফকীহ ও কালামশাস্ত্রবিদ শেখ মুফীদ (ইন্তেকাল: ৪১৩ হিজরি) তাঁর ফিকহী রিসালা "আর-রাদ্দ আলা আসহাবিল আদাদ"-এ আবুল জারুদের একটি হাদীস উদ্ধৃত করেছেন, কিন্তু তার নির্ভরযোগ্যতা বা অনির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেননি।[৭৩]শিয়া ফকীহ ও রিজাল শাস্ত্রবিদ সায়্যিদ আবুল কাসিম খুয়ী তাঁর গ্রন্থ "মুজাম রিজালিল হাদীস"-এ আবুল জারুদের নিন্দা সংক্রান্ত কতিপয় হাদীসের সনদগত ও ঐতিহাসিক দিক নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেন।[৭৪] খুয়ীর বক্তব্য অনুযায়ী, ইমাম বাকির (আ.) কর্তৃক আবুল জারুদকে 'সুরহুব' উপাধি প্রদান সংক্রান্ত বিষয়টি একটি মুরসাল ও অবিশ্বস্ত রেওয়ায়েতের ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত, যা সঠিক নয়; তদুপরি, ইমাম বাকির (আ.)-এর সময়ে আবুল জারুদ তাঁর আকীদা পরিবর্তন করেননি, বরং তাঁর মতাদর্শগত পরিবর্তন শিয়াদের পঞ্চম ইমামের ইন্তেকালের সাত বছর পর সংঘটিত হয়েছিল, সুতরাং ইমাম বাকির (আ.)-এর পক্ষ থেকে এরূপ নামকরণ সম্ভবপর নয়। [৭৫]

আবুল কাসিম খুয়ী-"কামিলুয যিয়ারত" গ্রন্থের সনদসমূহে আবুল জারুদের নামের অন্তর্ভুক্তি [টীকা ১], শেখ সাদুক কর্তৃক তার নিকট থেকে "হাদীসে লাওহ" বর্ণনা, এবং আলী ইবনে ইব্রাহিম কুম্মি কর্তৃক স্বীয় তাফসীর গ্রন্থে উল্লিখিত সকল ব্যক্তির নির্ভরযোগ্যতার প্রতি সাক্ষ্য প্রদান - এই সকল দলিলের ভিত্তিতে আবুল জারুদকে নির্ভরযোগ্য (সিকা) বলে গণ্য করেছেন এবং তার বর্ণিত হাদীসসমূহ ও গ্রন্থকে গ্রহণযোগ্য বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন।[৭৬]

সাইয়্যেদ মুহসিন আমীন আবুল জারুদকে যায়েদী হওয়ার পূর্বে শিয়াদের নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি (সিকা) বলে বিবেচনা করেছেন ।[৭৭] শেখ আব্বাস কুম্মি বিভিন্ন মত উল্লেখ করার পর, তাকে কেবলমাত্র হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য বলে আখ্যায়িত করেছেন।[৭৮]

তাফসীরে আবুল জারুদ

তাফসীরে আবিল জারুদ, যা "কিতাবুল বাকির (আ.)" বা "তাফসীরুল বাকির (আ.)" নামেও পরিচিত।[৭৯], গ্রন্থটি ইমাম বাকির (আ.)-এর, যা আবুল জারুদের মাধ্যমে বর্ণিত হয়েছে।[৮০] এই তাফসীরটি শিয়া ইমামগণের নামে আরোপিত প্রথম তাফসীর গ্রন্থ।[৮১]

এমন একটি মূল গ্রন্থের অস্তিত্ব সম্পর্কে কোনো দ্বিমত নেই, তবে বিভিন্ন কারণে এই তাফসীরটি ইমাম বাকির (আ.)-এর নিকট থেকে বর্ণিত হয়েছে কিনা, তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।[৮২] আহমাদ ইবনে আলী নাজাশি[৮৩] এবং শেখ তুসী[৮৪] এমন একটি তাফসীরের অস্তিত্ব সম্পর্কে অবহিত করেছেন এবং এর জন্য একটি সনদ (বর্ণনাসূত্র) উল্লেখ করেছেন।[৮৫]

এই গ্রন্থের বিষয়বস্তু অন্যান্য মুফাসসিরদের গ্রন্থে উদাহরণস্বরূপ আলী ইবনে ইবরাহীম কুম্মির তাফসীর গ্রন্থে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।[৮৬] কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, আবুল জারুদ তাঁর এই তাফসীরটি যায়েদিয়া মাযহাবে আকৃষ্ট হওয়ার পূর্বে রচনা করেছিলেন এবং ইমাম বাকির (আ.)-এর সময়কালে তিনি শিয়া ইমামিয়ার প্রচলিত আকীদায় বিশ্বাসী ছিলেন। [৮৭] এই ভিত্তি অনুযায়ী, তাঁর মতাদর্শের পরিবর্তন তাঁর তাফসীর সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করবে না।[৮৮] তাফসীর ছাড়াও, আবুল জারুদের নামে আরও একটি রচনা আরোপিত হয়েছে এবং তাকে ‘উসুলে আরবাআ মিয়াহ’-এর অন্যতম একজন লেখক হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।[৮৯]

তথ্যসূত্র

  1. ইবনে-নাদিম, আল-ফিহরিস্ত, বৈরুত, পৃ. ২৫৩; আমিন, আ‘ইয়ান আশ-শি‘আ, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৮৩; মামাকানি, তানকিহুল-মাকাল, ১৪৩১ হি., খণ্ড ২৯, পৃ. ৫৫।
  2. আকিকি বাখশাইশি, তাবাকাতুল-মুফাসসিরিন আশ-শি‘আ, ১৩৮৭ সন, পৃ. ২৪৬।
  3. নাজাশি, রিজাল আন-নাজাশি, ১৩৬৫ সন, পৃ. ১৭০; ইবনে-গাযাঈরি, আর-রিজাল, ১৪২২ হি., পৃ. ৬১; হিল্লি, খুলাসাতুল-আকওয়াল, ১৪১১ হি., পৃ. ২২৩।
  4. নাজাশি, রিজাল আন-নাজাশি, ১৩৬৫ সন, পৃ. ১৭০; আকাবুজুর্গ তেহরানি, আয-যারি‘আ, ১৪০৮ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ২৫১; বাহরানি, ‘আওয়ালিম আল-‘উলুম, ১৪১৩ হি., পৃ. ২৪৮; বাহরানি, আল-বুরহান ফি তাফসির আল-কুরআন, ১৪১৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৬।
  5. সিয়াগি, আর-রাউদ আন-নাদির, বৈরুত, খণ্ড ১, পৃ. ৩৬৪।
  6. বারকি, রিজাল বারকি, ১৩৪২ ফার্সি সন, পৃ. ১৩।
  7. খাফাজি, আল-ইমাম আল-বাকির(আ.) ওয়া আসারুহু ফিত-তাফসির, ১৪২৬ হি., পৃ. ১৫৫।
  8. শেখ তুসি, রিজাল আত-তুসি, ১৩৭৩ সন, পৃ. ১৩৫; হিল্লি, খুলাসাতুল-আকওয়াল, ১৪১১ হি., পৃ. ২২৩।
  9. নাজাশি, রিজাল আন-নাজাশি, ১৩৬৫ সন, পৃ. ১৭০; ইবনে-গাযাঈরি, আর-রিজাল, ১৪২২ হি., পৃ. ৬১।
  10. লাজনাতুল ‘ইলমিয়াহ ফি মুআসসাসাতিল ইমাম আস-সাদিক(আ.), মু‘জাম তাবাকাত আল-মুতাকাল্লিমিন, ১৪২৪ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩০৪।
  11. আমিন, আ‘ইয়ান আশ-শি‘আ, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৮৩।
  12. শেখ তুসি, রিজাল আত-তুসি, ১৩৭৩ সন, পৃ. ২০৮।
  13. মামাকানি, তানকিহুল-মাকাল, ১৪৩১ হি., খণ্ড ২৯, পৃ. ৫৭; আমিন, আ‘ইয়ান আশ-শি‘আ, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৮৩।
  14. নাজাশি, রিজাল আন-নাজাশি, ১৩৬৫ সন, পৃ. ১৭০; ‘উকাইকি বাখশাইশি, তাবাকাতুল-মুফাসসিরিন আশ-শি‘আ, ১৩৮৭ সন, পৃ. ২৪৬; খুই, মু‘জাম রিজাল আল-হাদিস, ১৩৭২ সন, খণ্ড ৮, পৃ. ৩৩৫-৩৩৬।
  15. বাহরামিয়ান, «আবুল-জারুদ», দায়িরাতুল-মা‘আরিফে বুজুর্গে ইসলামি।
  16. গুরুহে ‘ইলমি মুআসসাসে ইমাম সাদিক(আ.), মাউসু‘আত তাবাকাত আল-ফুকাহা, ১৪১৮ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২২০; ‘উকাইকি বাখশাইশি, তাবাকাতুল-মুফাসসিরিন আশ-শি‘আ, ১৩৮৭ সন, পৃ. ২৪৬; খুই, মু‘জাম রিজাল আল-হাদিস, ১৩৭২ সন, খণ্ড ৮, পৃ. ৩৩৫-৩৩৬।
  17. ইবনে-হাজার ‘আসকালানি, তাহযিব আত-তাহযিব, ১৩২৫ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৩৮৭।
  18. শুশতারি, কামুস আর-রিজাল, ১৪১০ হি., খণ্ড ১১, পৃ. ২৪৯।
  19. ইবনে-নাদিম, আল-ফিহরিস্ত, বৈরুত, পৃ. ২৫৩।
  20. সান‘আনি, নাসমাতুস-সাহর, ১৯৯৯ খ্রি., খণ্ড ১, পৃ. ৫২৮।
  21. সাকাফি, আল-গারাত, ১৩৯৫ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৮৯৭।]
  22. শরিফ আর-রাদি, নাহজুল-বালাগাহ, ১৪১৪ হি., পৃ. ৪৬১-৪৬২।
  23. সান‘আনি, নাসমাতুস-সাহর, ১৯৯৯ খ্রি., খণ্ড ১, পৃ. ৫২৮।
  24. সান‘আনি, নাসমাতুস-সাহর, ১৯৯৯ খ্রি., খণ্ড ১, পৃ. ৫২৮।
  25. শেখ তুসি, আল-ফিহরিস্ত, ১৪২০ হি., পৃ. ৭২; হিল্লি, খুলাসাতুল-আকওয়াল, ১৪১১ হি., পৃ. ২২৩।
  26. ইবনে-নাদিম, আল-ফিহরিস্ত, বৈরুত, পৃ. ২৫৩; লাজনাতুল ‘ইলমিয়াহ ফি মুআসসাসাতিল ইমাম আস-সাদিক(আ.), মু‘জাম তাবাকাত আল-মুতাকাল্লিমিন, ১৪২৪ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩০৪।
  27. ইবনে-কানি‘ বাগদাদি, মু‘জাম আস-সাহাবাহ, ১৪২৪ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ১৮১৬; মা‘রিফাত, তারিখুল কুরআন, ১৩৮২ সন, পৃ. ১৭৫।
  28. মা‘রিফাত, সিয়ানাতুল কুরআন মিন আত-তাহরিফ, ১৩৮৬ সন, পৃ. ৮৯।
  29. নাজাশি, রিজাল আন-নাজাশি, ১৩৬৫ সন, পৃ. ১৭০।
  30. আবুল-ফারাজ ইসফাহানি, মাকাতিল আত-তালিবিয়িন, ১৪১৯ হি., পৃ. ১৩৩; হিল্লি, খুলাসাতুল-আকওয়াল, ১৪১১ হি., পৃ. ২২৩; নৌবাখতি, ফিরাকুশ-শি‘আ, বৈরুত, পৃ. ৫৫।
  31. বাহরামিয়ান, «আবুল-জারুদ», দায়িরাতুল-মা‘আরিফ বুজুর্গে ইসলামি।
  32. ইবনে-হারুন, তায়সির আল-মাতালিব, ১৪২২ হি., পৃ. ২৭৭।
  33. ফুরাতে কুফি, তাফসির, ১৪১০ হি., পৃ. ১৫১।
  34. সিয়াগি, আর-রাউদ আন-নাদির, বৈরুত, খণ্ড ১, পৃ. ৩৬৪, খণ্ড ২, পৃ. ১৭১; আহমাদ ইবন ‘ইসা, রা'ব আস-সাদ‘, ১৪২৮ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৯৭।
  35. খুয়ী, মু‘জাম রিজাল আল-হাদিস, ১৩৭২ সন, খণ্ড ৮, পৃ. ৩৩৫-৩৩৬।
  36. তাকি-জাদেহ দাওয়ারি, তাসভিরে আইম্মায়ে শি‘আ দার দায়িরাতুল-মা‘আরিফে ইসলাম, ১৩৮৫ সন, পৃ. ২৪৬।
  37. আগা নূরী, খাস্তগাহে তাশাইয়ু‘ ও পয়দায়েশে ফিরকাহায়ে শিয়া দার আসরে ইমামান, ১৩৮৫ ফার্সি সন, পৃ. ২৭০।
  38. আশ‘আরি, মাকালাত আল-ইসলামিয়িন, ১৪০০ হি., পৃ. ৬৬; শাহরিস্তানি, আল-মিলাল ওয়া আন-নিহাল, ১৩৬৪ সন, খণ্ড ১, পৃ. ১৮৩; শাইখ তুসি, রিজাল তুসি, ১৩৭৩ সন, পৃ. ১৩৫; ইবনে-দাউদ, রিজাল ইবনে-দাউদ, ১৩৪২ সন, পৃ. ৪৫৫; হিল্লি, খুলাসাতুল-আকওয়াল, ১৪১১ হি., পৃ. ২২৩।
  39. কাশশি, রিজাল আল-কাশশি, ১৪০৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২২৯; তাফরাশি, নাকদ আর-রিজাল, ১৩৭৭ সন, খণ্ড ২, পৃ. ২৭৯; ‘উকাইকি বাখশাইশি, তাবাকাতুল-মুফাসসিরিন আশ-শি‘আ, ১৩৮৭ সন, পৃ. ২৪৬।
  40. নৌবাখতি, ফিরকুশ-শi‘আ, বৈরুত, পৃ. ৫৫; লাজনাতুল ‘ইলমিয়াহ ফি মুআসসাসাতিল ইমাম আস-সাদিক(আ.), মু‘জাম তাবাকাত আল-মুতাকাল্লিমিন, ১৪২৪ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩০৫।
  41. সাম‘আনি, আল-আনসাব, ১৩৮২ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৬৮; লাজনাতুল ‘ইলমিয়াহ ফি মুআসসাসাতিল ইমাম আস-সাদিক(আ.), মু‘জাম তাবাকাত আল-মুতাকাল্লিমিন, ১৪২৪ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩০৫; সিয়াগি, আর-রাউদ আন-নাদির, বৈরুত, খণ্ড ১, পৃ. ৩৬৪।
  42. খুয়ী, মু‘জাম রিজাল আল-হাদিস, ১৩৭২ সন, খণ্ড ২২, পৃ. ৮১।
  43. আল্লামা হিল্লি, রিজাল আল-আল্লামা আল-হিল্লি, ১৪১১ হি., পৃ. ২২৩; ফুরাতে কুফি, তাফসির, ১৪১০ হি., পৃ. ১৫১।
  44. সিয়াগি, আর-রাউদ আন-নাদির, বৈরুত, খণ্ড ১, পৃ. ৩৬৪, খণ্ড ২, পৃ. ১৭১; আহমাদ ইবন ‘ইসা, রা'ব আস-সাদ‘, ১৪২৮ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৯৭।
  45. লাজনাতুল ‘ইলমিয়াহ ফি মুআসসাসাতিল ইমাম আস-সাদিক(আ.), মু‘জাম তাবাকাত আল-মুতাকাল্লিমিন, ১৪২৪ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩০৪।
  46. মা‘রিফাত, তাফসির ওয়া মুফাসসিরুন, ১৩৭৯ সন, খণ্ড ২, পৃ. ১৬০।
  47. খুয়ী, মু‘জাম রিজাল আল-হাদিস, ১৩৭২ সন, খণ্ড ২২, পৃ. ৮১।
  48. নাজাশি, রিজাল আন-নাজাশি, ১৩৬৫ সন, পৃ. ১৭০।
  49. খুয়ী, মু‘জাম রিজাল আল-হাদিস, ১৩৭২ সন, খণ্ড ২২, পৃ. ৮১।
  50. লাজনাতুল ‘ইলমিয়াহ ফি মুআসসাসাতিল ইমাম আস-সাদিক(আ.), মু‘জাম তাবাকাত আল-মুতাকাল্লিমিন, ১৪২৪ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩০৫।
  51. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১১।
  52. ইবনে-কুলুয়াইহ, কামিল আয-যিয়ারাত, ১৩৫৬ সন, পৃ. ৪৭।
  53. ফুরাতে কুফি, তাফসীর, ১৪১০ হি., পৃ. ১৮৭।
  54. কুম্মি, তাফসির আল-কুম্মি, ১৩৬৩ সন, খণ্ড ১, পৃ. ১০২।
  55. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৪১; খণ্ড ২, পৃ. ৯০; শাইখ মুফিদ, আল-ইখতিসাস, ১৪১৩ হি., পৃ. ২২৬।
  56. কুম্মি, তাফসীর আল-কুম্মি, ১৩৬৩ সন, খণ্ড ১, পৃ. ১০২।
  57. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৩৬২, খণ্ড ৬, পৃ. ৪৭৭।
  58. মাস‘উদি, ইসবাতুল-ওয়াসিয়াহ, ১৪২৬ হি., পৃ. ১৭৯; ইবনে-বাবুয়াইহ, আল-ইমামাহ ওয়াত-তাবসিরাহ, ১৪০৪ হি., পৃ. ১৩৭; শাইখ মুফিদ, আল-ইখতিসাস, ১৪১৩ হি., পৃ. ২৬৯; তাবারসি, আল-ইহতিজাজ, ১৪০৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩২৪।
  59. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৯৮, ৩০৩, ৫৩২।
  60. মাস‘উদি, ইসবাতুল-ওয়াসিয়াহ, ১৪২৬ হি., পৃ. ২৬২।
  61. ইবনে-গাযাঈরি, আর-রিজাল, ১৪২২ হি., পৃ. ৬১; তাফরাশি, নাকদ আর-রিজাল, ১৩৭৭ সন, খণ্ড ২, পৃ. ২৭৯।
  62. ইবনে-হারুন, তায়সির আল-মাতালিব, ১৪২২ হি., পৃ. ৬৪, ১৫৬।
  63. কুম্মি, আল-কুনা ওয়া আল-আলকাব, ১৩৬৮ সন, খণ্ড ১, পৃ. ৩৪।
  64. খাফাজি, আল-ইমাম আল-বাকির ‘আলাইহিসসালাম ওয়া আসারুহু ফিত-তাফসির, ১৪২৬ হি., পৃ. ১৫৫-১৫৮।
  65. শেখ তুসি, রিজাল আত-তুসি, ১৩৭৩ সন, পৃ. ২০৮।
  66. মামাকানি, তানকিহুল-মাকাল, ১৪৩১ হি., খণ্ড ২৯, পৃ. ৬৪, ‘তালখিসুল-মাকাল’ থেকে উদ্ধৃত।
  67. কাশশি, রিজাল আল-কাশশi, ১৪০৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২২৯-২৩০; ‘আল্লামাহ হিল্লি, রিজাল আল-‘আল্লামাহ আল-হিল্লi, ১৪১১ হি., পৃ. ২২৩।
  68. কাশশি, রিজাল আল-কাশশি, ১৪০৯ হi., খণ্ড ১, পৃ. ২২৯; নাওবাখতি, ফিরকুশ-শি‘আ, বৈরুত, পৃ. ৫৫।
  69. কাশশি, রিজাল আল-কাশশি, ১৪০৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৩০।
  70. ইবনে-নাদিম, আল-ফিহরিস্ত, বৈরুত, পৃ. ২৬৭।
  71. ইবনে-কানি‘ বাগদাদী, মু‘জাম আস-সাহাবাহ, ১৪২৪ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ১৮১৫-১৮১৬।
  72. ইবনে-কানি‘ বাগদাদি, মু‘জাম আস-সাহাবাহ, ১৪২৪ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ১৮১৬।
  73. শেখ মুফিদ, আর-রাদ্দ ‘আলা আসহাব আল-‘আদ্দ, ১৪১৩ হি., পৃ. ৩০।
  74. খুয়ী, মু‘জাম রিজাল আল-হাদিস, ১৩৭২ সন, খণ্ড ৮, পৃ. ৩৩২-৩৩৪।
  75. খুয়ী, মু‘জাম রিজাল আল-হাদিস, ১৩৭২ সন, খণ্ড ৮, পৃ. ৩৩৪।
  76. খুয়ী, মু‘জাম রিজাল আল-হাদিস, ১৩৭২ সন, খণ্ড ৮, পৃ. ৩৩২-৩৩৬।
  77. আমিন, আ‘ইয়ান আশ-শি‘আ, ১৪০৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১২৫।
  78. কুম্মি, আল-কুনা ওয়া আল-আলকাব, ১৩৬৮ সন, খণ্ড ১, পৃ. ৩৪।
  79. ইবনে-নাদিম, আল-ফিহরিস্ত, বৈরুত, পৃ. ৩৭।
  80. নাজাশি, রিজাল আন-নাজাশi, ১৩৬৫ সন, পৃ. ১৭০।
  81. ইবনে-নাদিম, আল-ফিহরিস্ত, বৈরুত, পৃ. ৫০; শাবর, আল-জাওহার আস-সামিন, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১০।
  82. বাবাঈ, মাকাতিবে তাফসিরi, ১৩৮১ সন, খণ্ড ১, পৃ. ১০১-১০২।
  83. নাজাশি, রিজাল আন-নাজাশি, ১৩৬৫ সন, পৃ. ১৭০।
  84. শেখ তুসি, আল-ফিহরিস্ত, ১৪২০ হি., পৃ. ৭২।
  85. হুসাইন-জাদেহ, «বাররাসি-ই তাফসির-ই আবিল-জারুদ»
  86. আসকারি, আল-কুরআন আল-কারিম ওয়া রিওয়ায়াত আল-মাদ্রাসাতাইন, ১৩৭৪ সন, খণ্ড ৩, পৃ. ৬৩।
  87. আগা বুজুর্গ তেহরানি, আয-যারি‘আ, ১৪০৮ সন, খণ্ড ৪, পৃ. ২৫১।
  88. খুয়ী, মু‘জাম রিজাল আল-হাদিস, ১৩৭২ সন, খণ্ড ৮, পৃ. ৩৩৪; আকিকি বাখশাইশি, তাবাকাতুল-মুফাসসিরীন আশ-শি‘আ, ১৩৮৭ সন, পৃ. ২৪৬।
  89. শেখ তুসি, আল-ফিহরিস্ত, ১৪২০ হি., পৃ. ৭২; ইবনে-শাহরআশুব, মা‘আলিমুল ‘উলামা, ১৩৮০ হি., পৃ. ৫২; আমিন, আ‘ইয়ান আশ-শি‘আ, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৮৪।

গ্রন্থপঞ্জি

  • আগা বুজুর্গ তেহরানি, মুহাম্মদমুহসিন, আয-যারি‘আ ইলা তাসানিফ আশ-শি‘আ, কুম, ইসমাঈলিয়ান, ১৪০৮ হি.
  • আগা নুরি, ‘আলি, খাস্তগাহে তাশাইয়ু‘ ও পয়দায়েশে ফিরকাহ-ই শি‘আ দার ‘আসরে আইম্মাহ, কুম, পেঝুহেশগাহে ‘উলুম ও মা‘আরিফে ফারহাঙ্গে ইসলামি, ২য় সংস্করণ, ১৩৮৫ ফার্সি সন।
  • আবুল-ফারাজ ইসফাহানি, ‘আলি ইবন হুসাইন, মাকাতিল আত-তালিবিয়িন, বৈরুত, মুআসসাসাতুল আ‘লামি লিল-মাতবু‘আত, ৩য় সংস্করণ, ১৪১৯ হি.।
  • ইবনে-বাবুয়াইহ, ‘আলি ইবন হুসাইন, আল-ইমামাহ ওয়াত-তাবসিরাহ, কুম, মাদ্রাসাতুল ইমাম আল-মাহদি(‘জ), ১৪০৪ হি.।
  • ইবনে-হাজার ‘আসকালানি, আহমাদ ইবন ‘আলি, তাহযিব আত-তাহযিব, বৈরুত, দার সাদির, ১৩২৫ হি.।
  • ইবনে দাউদ, হাসান ইবন ‘আলি ইবন দাউদ, রিজাল ইবনে-দাউদ, তেহরান, দানিশগাহে তেহরান, ১৩৪২ হি.।
  • ইবনে শাহর আশুব, মুহাম্মাদ ইবন ‘আলি, মা‘আলিমুল ‘উলামা ফি ফিহরিস্ত কুতুবিশ-শি‘আ ওয়া আসমাউল-মুসান্নিফিন মিনহুম কাদিমান ওয়া হাদিসান, নাজাফ, আল-মাতবা‘আতুল হাইদারিয়াহ, ১৩৮০ হি.।
  • ইবনে-গাযাঈরি, আহমাদ ইবন হুসাইন, আর-রিজাল, কুম, মুআসসাসে ‘ইলমি ফারহাঙ্গি দারুল-হাদিস, ১৪২২ হি.।
  • ইবনে-কানি‘ বাগদাদি, ‘আবদুল বাকি, মু‘জাম আস-সাহাবাহ, বৈরুত, দারুল-ফিকর, ১৪২৪ হি.।
  • ইবনে-কুলুয়াইহ, জা‘ফার ইবন মুহাম্মাদ, কামিল আয-যিয়ারাত, নাজাফ, দারুল-মুরতাজাবিয়াহ, ১৩৫৬ ফার্সি সন।
  • ইবনে নাদিম, মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক, আল-ফিহরিস্ত, বৈরুত, দারুল-মা‘রিফাহ, তারিখহীন।
  • ইবনে হারুন, ইয়াহইয়া ইবন হুসাইন, তায়সির আল-মাতালিব ফি আমালি আবি তালিব, সানা, মুআসসাসাতুল ইমাম যায়দ ইবন ‘আলি আস-সাকাফিয়াহ, ১৪২২ হি.।
  • আহমাদ ইবন ‘ইসা, রা'ব আস-সাদ‘, সম্পাদনায়: ‘আলি ইবন ইসমাইল সান‘আনি, বৈরুত, দারুল-মাহজাতুল বায়দা, ১৪২৮ হি.।
  • আশ‘আরি, আবুল-হাসান, মাকালাত আল-ইসলামিয়িন ওয়াখতিলাফ আল-মুসাল্লিন, ভিসবাডেন, ফ্রান্স শ্টাইনার, ১৪০০ হি.।
  • আমিন, মুহসিন, আ‘ইয়ান আশ-শি‘আ, বৈরুত, দারুত-তা‘আরুফ লিল-মাতবু‘আত, ১৪০৩ হি.।
  • ইরওয়ানি, মুহাম্মাদ-বাকির, দুরুস তামহিদিয়াহ ফি আল-কাওয়ায়েদ আর-রিজালিয়াহ, কুম, ইন্তিশারাতে মাদিন, ১৪৩১ হি.।
  • বাবাঈ, ‘আলি-আকবার, মাকাতিবে তাফসিরি, কুম, মারকাজে তাহকিক ও তৌসে‘য়ে ‘উলুমে ইনসানি, ১৩৮১ ফার্সি সন।
  • বাহরানি ইসফাহানি, ‘আবদুল্লাহ ইবন নুরুল্লাহ, ‘আওয়ালিম আল-‘উলুম ওয়া আল-মা‘আরিফ ওয়া আল-আহওয়াল মিন আল-আয়াত ওয়া আল-আখবার ওয়া আল-আকওয়াল, তাহকিক: মুহাম্মাদ-বাকির মুওয়াহহিদ, কোম, মুআসসাসে ইমাম মাহদি (আ.ফা.), ১৪১৩ হি.।
  • বাহরানি, হাশিম ইবন সুলাইমান, আল-বুরহান ফি তাফসির আল-কুরআন, কুম, মুআসসাসাতুল বা‘সাহ, ১৪১৫ হি.।
  • বারকি, আহমাদ ইবন মুহাম্মাদ, রিজাল বারকি, তেহরান, দানিশগাহে তেহরান, ১৩৪২ ফার্সি সন।
  • বাহরামিয়ান, ‘আলি, «আবুল-জারুদ», দায়িরাতুল-মা‘আরিফে বুজুর্গে ইসলামি, তারিখে দারজে মতলাব: ২১ খোরদাদ ১৩৯৯ ফার্সি সন, তারিখে বাজদিদ: ৩১ তীর ১৪০৪ ফার্সি সন।
  • তাফরাশি, মুস্তাফা ইবন হুসাইন, নাকদ আর-রিজাল, কুম, মুআসসাসাতে আলে বাইত(আ.) লি-ইহইয়াই আত-তুরাস, ১৩৭৭ ফার্সি সন।
  • তাকি-জাদেহ দাওয়ারি, মাহমুদ, তাসভিরে আইম্মায়ে শি‘আ দার দায়িরাতুল-মা‘আরিফে ইসলাম, কুম, মুআসসাসে শি‘আ-শিনাসি, ১৩৮৫ ফার্সি সন।
  • সাকাফি, ইবরাহিম ইবন মুহাম্মাদ ইবন সা‘ইদ ইবনে হিলাল, আল-গারাত অথবা আল-ইস্তিনফার ওয়া আল-গারাত, তেহরান, আনজুমানে আসারে মিল্লি, ১৩৯৫ হি.।
  • হুসাইন-জাদেহ, ‘আলি, «বাররাসি-ই তাফসির-ই আবিল-জারুদ», দার মাজাল্লাহ-ই পژুহিশ-হায়ে কুরআনি, সংখ্যা ৫ ও ৬, মোরদাদ ১৩৭৫ ফার্সি সন।
  • খাফাজি, হিকমাত ‘উবাইদ, আল-ইমাম আল-বাকির(আ.) ওয়া আসারুহু ফিত-তাফসির, বৈরুত, মুআসসাসাতুল বালাগ, ১৪২৬ হি.।
  • খুয়ী, সাইয়্যেদ আবুল-কাসিম, মু‘জাম রিজাল আল-হাদিস ওয়া তাফসিল তাবাকাত আর-রুওয়াত, কুম, মারকাজে নাশর আস-সাকাফাহ আল-ইসলামিয়াহ, ৫ম সংস্করণ, ১৩৭২ ফার্সি সন।
  • সাম‘আনি, ‘আবদুল কারিম ইবনে মুহাম্মাদ, আল-আনসাব, হায়দারাবাদ হিন্দ, মাতবা‘আত মজলিসে দায়িরাতুল-মা‘আরিফ আল-‘উসমানিয়াহ, ১৩৮২ হি.।
  • সিয়াগি, হুসাইন, আর-রাউদ আন-নাদির শারহ মাজমু‘ আল-ফিকহ আল-কাবির, বৈরুত, দারুল-জিল, তারিখহীন।
  • শুবার, ‘আবদুল্লাহ, আল-জাওহার আস-সামিন ফি তাফসির আল-কিতাব আল-মুবিন, কুয়েত, শারিকাতে মাকতাবাতুল আল-ফাইন, ১৪০৭ হি.।
  • শরীফ আর-রাদি, মুহাম্মাদ ইবন হুসাইন, নাহজুল-বালাগাহ (লিস-সাবহি সালিহ), কুম, হিজরাত, ১৪১৪ হি.।
  • শুশতারি, মুহাম্মাদ-তাকি, কামুস আর-রিজাল, কুম, মুআসসাসাতুন নাশর আল-ইসলামি, ২য় সংস্করণ, ১৪১০ হি.।
  • শাহরিস্তানি, মুহাম্মাদ ইবন ‘আবদুল-কারিম, আল-মিলাল ওয়া আন-নিহাল, তাহকিক: মুহাম্মাদ বাদরান, কুম, শরিফ রাদি, ৩য় সংস্করণ, ১৩৬৪ ফার্সি সন।
  • শেখ তুসি, মুহাম্মাদ ইবন আল-হাসান, রিজাল তুসি, তাহকিক: জাওয়াদ কিয়ুমি ইসফাহানি, কুম, মুআসসাসাতুন নাশর আল-ইসলামি, ১৩৭৩ ফার্সি সন।
  • শেখ তুসি, মুহাম্মাদ ইবন আল-হাসান, ফিহরিস্ত কুতুবিশ-শি‘আ ওয়া উসুলিহিম ওয়া আসমাউল-মুসান্নিফিন ওয়া আসহাবিল-উসুল, তাহকিক: ‘আবদুল-‘আজিজ তাবাতাবাঈ, কুম, মাকতাবাতুল মুহাক্কিক আত-তাবাতাবাঈ, ১৪২০ হি.।
  • শেখ মুফিদ, মুহাম্মাদ ইবন মুহাম্মাদ ইবন নু‘মান, আল-ইখতিসাস, কুম, কংগ্রেহে শাইখ মুফিদ, ১৪১৩ হি.।
  • শেখ মুফিদ, মুহাম্মাদ ইবন মুহাম্মাদ ইবন নু‘মান, আর-রাদ্দ ‘আলা আসহাব আল-‘আদ্দ: জাওয়াবাতু আহলিল-মাউসিল ফিল-‘আদ্দি ওয়ার-রু'য়া, কুম, কংগ্রেহে জাহানী-ই হাজারাহ-ই শাইখ মুফিদ, ১৪১৩ হি.।
  • সান‘আনি, ইউসুফ ইবন ইয়াহইয়া, নাসমাতুস-সাহর বি-যিকর মান তাশায়য়া‘আ ওয়া শা‘আর, বৈরুত, দারুল-মুআররিখ, ১৯৯৯ খ্রি.।
  • তাবারসি, আহমাদ ইবন ‘আলি, আল-ইহতিজাজ, মাশহাদ, নাশরে মুরতাজা, ১৪০৩ হি.।
  • আসকারি, মুরতাজা, আল-কুরআন আল-কারিম ওয়া রিওয়ায়াত আল-মাদ্রাসাতাইন, কুম, কলিয়াতে উসুল আদ-দিন, ১৩৭৪ ফার্সি সন।
  • ‘উকাইকি বাখশাইশি, ‘আবদুর-রাহিম, তাবাকাতুল-মুফাসসিরিন আশ-শি‘আ, কুম, দাফতারে নাশরে নওয়েদে ইসলাম, ৪র্থ সংস্করণ, ১৩৮৭ ফার্সি সন।
  • আল্লামা হিল্লি, হাসান ইবন ইউসুফ, রিজাল আল-‘আল্লামাহ আল-হিল্লি, তাহকিক: মুহাম্মাদ সাদিক বাহরুল-‘উলুম, নাজাফ, দারুয-যাখাইর, ১৪১১ হি.।
  • ফুরাতে কুফি, ফুরাত ইবন ইবরাহিম, তাফসির ফুরাত আল-কুফি, তাহকিক: মুহাম্মাদ-কাজিম মাহমুদি, তেহরান, সাজমানে চাপ ও ইন্তিশারাতে ভিজারাতে ইরশাদে ইসলামি, ১৪১০ হি.।
  • কুম্মি, ‘আব্বাস, আল-কুনি ওয়া আল-আলকাব, তেহরান, মাকতাবাতুস-সাদর, ৫ম সংস্করণ, ১৩৬৮ ফার্সি সন।
  • কুম্মি, ‘আলী ইবনে ইব্রাহিম, তাফসির আল-কুম্মি, কুম, দারুল-কিতাব, ১৩৬৩ ফার্সি সন। *কাশশি, মুহাম্মাদ ইবন ‘উমার, রিজাল আল-কাশশি, তাহকিক: হাসান মুস্তাফাভি, মাশহাদ, মুআসসাসে নাশরে দানিশগাহে মাশহাদ, ১৪০৯ হি.।
  • কুলাইনি, মুহাম্মাদ ইবন ইয়া‘কুব ইবন ইসহাক, আল-কাফি, তেহরান, দারুল-কুতুব আল-ইসলামিয়াহ, ৪র্থ সংস্করণ, ১৪০৭ হি.।
  • গুরুহে ‘ইলমি মুআসসাসে ইমাম সাদিক (আ.), মাউসু‘আত তাবাকাত আল-ফুকাহা, কুম, মুআসসাসাতুল ইমাম আস-সাদিক(আ.), ১৪১৮ হি.।
  • লাজনাতুল ‘ইলমিয়াহ ফি মুআসসাসাতিল ইমাম আস-সাদিক(আ.), মু‘জাম তাবাকাত আল-মুতাকাল্লিমিন, কুম, মুআসসাসাতুল ইমাম আস-সাদিক(আ.), ১৪২৪ হি.।
  • মামকানি, ‘আবদুল্লাহ, তানকিহুল-মাকাল ফি ‘ইলমির-রিজাল, কুম, মুআসসাসাতে আলে বাইত(আ.) লি-ইহইয়াই আত-তুরাস, ১৪৩১ হি.।
  • মাস‘উদি, ‘আলি ইবন হুসাইন, ইসবাতুল-ওয়াসিয়াহ, কুম, আনসারিয়ান, ১৪২৬ হি.।
  • মা‘রিফাত, মুহাম্মাদ হাদি, তারিখুল কুরআন, তেহরান, সামত, ৫ম সংস্করণ, ১৩৮২ ফার্সি সন।
  • মা‘রিফাত, মুহাম্মাদ হাদি, তাফসির ওয়া মুফাসসিরুন, কুম, আত-তামহিদ, ১৩৭৯ ফার্সি সন। *মা‘রিফাত, মুহাম্মাদ-হাদি, সিয়ানাতুল কুরআন মিন আত-তাহরিফ, কুম, আত-তামহিদ, ১৩৮৬ ফার্সি সন।
  • নাজ্জাশি, আহমাদ ইবন ‘আলী, রিজাল আন-নাজ্জাশি, কুম, মুআসসাসাতুন নাশর আল-ইসলামি, ১৩৬৫ ফার্সি সন।
  • নৌবাখতি, হাসান ইবন মুসা, ফিরাকুশ-শিয়া, বৈরুত, দারুল-আদওয়া, তারিখহীন।