Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭২১টি
সম্পাদনা
১৬৭ নং লাইন: | ১৬৭ নং লাইন: | ||
আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন: ‘মূর্খতার চেয়ে বড় দারিদ্রতা আর নেই এবং জ্ঞানের চেয়ে বড় কোন সম্পদ নেই।<ref>কুলাইনি, আল-কাফী, খণ্ড ১, পৃ. ২৬।</ref> | আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন: ‘মূর্খতার চেয়ে বড় দারিদ্রতা আর নেই এবং জ্ঞানের চেয়ে বড় কোন সম্পদ নেই।<ref>কুলাইনি, আল-কাফী, খণ্ড ১, পৃ. ২৬।</ref> | ||
=যুদ্ধ ও সংঘাত= | ==যুদ্ধ ও সংঘাত== | ||
মহানবি (সা.) মদিনায় ইহুদি ও মুশরিকদের সাথে যুদ্ধ সহ নানাবিধ প্রতিকূলতার সম্মখীন হন- | মহানবি (সা.) মদিনায় ইহুদি ও মুশরিকদের সাথে যুদ্ধ সহ নানাবিধ প্রতিকূলতার সম্মখীন হন- | ||
===বদরের যুদ্ধ=== | ===বদরের যুদ্ধ=== | ||
মহানবির (সা.) সাথে মদিনার জনগণের [[আকাবায় দ্বিতীয় শপথ|আকাবায় দ্বিতীয় শপথের]] পর কুরাইশের সাথে মুসলমানদের সংঘাতের বিষয়টি অনুমেয় ছিল।<ref>শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৭২।</ref> ২য় হিজরীর সফর মাসে প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয় যা আবওয়া বা ওয়াদ্দানের যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত।<ref>ইবনে হিশাম, সিরাতুন নাবাভিয়্যাহ, দারু ইহইয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ২, পৃ. ২৪১।</ref> এ ঘটনায় সেনা মোতায়েন হলেও কোন সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। এরপরের যুদ্ধ ছিল [[রবিউল আওয়াল]] মাসে, যা [[বুওয়াত]] নামে পরিচিত তবে এতেও কোন সংঘাত হয়নি। | : ''মূল নিবন্ধ: [[বদর যুদ্ধ]] | ||
'' | |||
মহানবির (সা.) সাথে মদিনার জনগণের [[আকাবায় দ্বিতীয় শপথ|আকাবায় দ্বিতীয় শপথের]] পর কুরাইশের সাথে মুসলমানদের সংঘাতের বিষয়টি অনুমেয় ছিল।<ref>শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৭২।</ref> ২য় হিজরীর সফর মাসে প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয় যা আবওয়া বা ওয়াদ্দানের যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত।<ref>ইবনে হিশাম, সিরাতুন নাবাভিয়্যাহ, দারু ইহইয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ২, পৃ. ২৪১।</ref> এ ঘটনায় সেনা মোতায়েন হলেও কোন সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। এরপরের যুদ্ধ ছিল [[রবিউল আওয়াল]] মাসে, যা [[বুওয়াত]] নামে পরিচিত, তবে এতেও কোন সংঘাত হয়নি। | |||
[[জমাদিউল আওয়াল]] মাসে সংবাদ এল, [[আবু সুফিয়ান|আবু সুফিয়ানের]] নেতৃত্বে কুরাইশের কাফেলা মক্কা থেকে সিরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। মহানবি (সা.) তাদেরকে ধাওয়া করতে ‘[[যাতুল আশিরাহ]]’য় পৌঁছান; কিন্তু কুরাইশের কাফেলা তার আগেই ঐ স্থান অতিক্রম করে চলে যায়। সৈন্য মোতায়েন করেও কোন ফল না পাওয়ার নেপথ্য কারণ ছিল, মদিনার অভ্যন্তরে থাকা গোয়েন্দারা। তারা মহানবির (সা.) সিদ্ধান্ত জেনে মুসলিম বাহিনী রওনা হওয়ার আগেই প্রতিপক্ষের নিকট সংবাদ পৌঁছে তাদেরকে সতর্ক করে দিত।<ref>শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৭৩।</ref> | [[জমাদিউল আওয়াল]] মাসে সংবাদ এল, [[আবু সুফিয়ান|আবু সুফিয়ানের]] নেতৃত্বে কুরাইশের কাফেলা মক্কা থেকে সিরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। মহানবি (সা.) তাদেরকে ধাওয়া করতে ‘[[যাতুল আশিরাহ]]’য় পৌঁছান; কিন্তু কুরাইশের কাফেলা তার আগেই ঐ স্থান অতিক্রম করে চলে যায়। সৈন্য মোতায়েন করেও কোন ফল না পাওয়ার নেপথ্য কারণ ছিল, মদিনার অভ্যন্তরে থাকা গোয়েন্দারা। তারা মহানবির (সা.) সিদ্ধান্ত জেনে মুসলিম বাহিনী রওনা হওয়ার আগেই প্রতিপক্ষের নিকট সংবাদ পৌঁছে তাদেরকে সতর্ক করে দিত।<ref>শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৭৩।</ref> | ||
দ্বিতীয় হিজরীতে মুসলিম ও মুশরিক বাহিনীর মাঝে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সংঘাতের ঘটনা ঘটে যা ‘[[বদরের যুদ্ধ]]’ নামে প্রসিদ্ধ। মুসলিম বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা মুশরিকদের সৈন্যদের তুলনায় কম হলেও মুসলমানরা এ যুদ্ধে বিজয়ী হয় এবং এতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুশরিক সৈন্য নিহত ও [[বন্দী]] হয়।[৭২. ওয়াকেদি, আল-মাগ্বাযি, ১৪০৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৯ এর পর থেকে।] এ যুদ্ধে [[আবু জাহল]]সহ কুরাইশের বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি নিহত | দ্বিতীয় হিজরীতে মুসলিম ও মুশরিক বাহিনীর মাঝে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সংঘাতের ঘটনা ঘটে যা ‘[[বদরের যুদ্ধ]]’ নামে প্রসিদ্ধ। মুসলিম বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা মুশরিকদের সৈন্যদের তুলনায় কম হলেও মুসলমানরা এ যুদ্ধে বিজয়ী হয় এবং এতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুশরিক সৈন্য নিহত ও [[বন্দী]] হয়।[৭২. ওয়াকেদি, আল-মাগ্বাযি, ১৪০৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৯ এর পর থেকে।] এ যুদ্ধে [[আবু জাহল]]সহ কুরাইশের বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি নিহত ও বন্দী হয়। এছাড়া ১৪ জন মুসলিম সৈন্যও বদরের যুদ্ধে [[শাহাদাত|শহীদ]] হন। এতে হযরত আলীর (আ.) হাতে মক্কার বেশ কয়েকজন মুশরিক বীর নিহত হয়।<ref>শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৭৫।</ref> | ||
===ইহুদিদের সাথে সংঘাত=== | ===ইহুদিদের সাথে সংঘাত=== |