৭৩ ফির্কাহ’র হাদীস

wikishia থেকে

নিবন্ধটি ’৭৩ ফির্কাহ’ সম্পর্কে, নাজাতপ্রাপ্ত ফির্কাহ সম্পর্কে জানতে পড়ুন ‘নাজাতপ্রাপ্ত ফির্কাহ’ নিবন্ধটি।

৭৩ ফির্কাহ’র হাদীস; (আরবি: حدیث افتراق) মহানবির (সা.) সাথে সম্পৃক্ত একটি হাদীস। এতে মুসলিম উম্মাহ ৭০ এর অধিক ফির্কায় (দলে) বিভক্ত হওয়ার কথা উল্লেখিত হয়েছে, হাদীসটি ‘হাদীসে ইফতেরাক’ নামেও প্রসিদ্ধ। এ হাদীসের ভাষ্যানুযায়ী মহানবির (সা.) ইন্তেকালের পর মুসলিম উম্মাহ ৭০টির বেশী ফির্কায় বিভিক্ত হবে এবং এর মাঝে মাত্র একটি ফির্কাহ নাজাত পাবে। সেই নাজাতপ্রাপ্ত ফির্কাহ কোনটি এ বিষয়ে বিভিন্ন মাযহাবের আলেম ও মনীষীদের মাঝে মতভেদ রয়েছে। মহানবি (সা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, নাজাতপ্রাপ্ত ফির্কাহটি হল আলী`র (আ.) শিয়ারা (অনুসারীরা)।

হাদীসে ইফতেরাক (বিচ্ছেদের হাদীস) তথা ৭৩ ফিকাহ’র হাদীস এবং এ সংশ্লিষ্ট আলোচনা কালাম শাস্ত্র, ফির্কাহ পরিচিতি শীর্ষক আলোচনা এবং মাযহাবগত পার্থক্য কেন্দ্রীক আলোচনার মাঝে প্রতিফলিত হয়েছে।

বিষয়বস্তু ও ব্যাখ্যা

৭৩ ফির্কাহ’র হাদীসটি হল মহানবি (সা.) থেকে বর্ণিত, বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হাদীসটির শব্দে ভিন্নতা থাকলেও মূল বিষয়বস্তু হল এমন যে, ‘মাজুস (অগ্নি উপাসক) ৭০ দলে বিভক্ত, ইহুদিরা ৭১ দলে, খ্রিষ্টানরা ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছে এবং আমার উম্মত ৭৩ দলে (ফির্কাহ) বিভিক্ত হবে; যার মাঝে শুধু একটি ফির্কাহ নাজাতপ্রাপ্ত[১] অবশ্য কিছু কিছু বর্ণনায় এমনও এসেছে যে, ৭২টি ফির্কাহ নাজাত পাবে এবং একটি ফির্কাহ জাহান্নামে যাবে।[২]

বিভিন্ন রেওয়ায়েতের বর্ণনায় মুসলিম উম্মাহর ৭৩টি[৩], ৭২টি[৪] এবং ৭১টি[৫] ফির্কায় বিভক্ত হওয়ার কথা উল্লেখিত হয়েছে। হাদীসে ইফতেরাকের ব্যাখ্যায় এসেছে যে, নাজাতপ্রাপ্ত ফির্কাহটি ছাড়া বাকী ফের্কাহগুলোর বিভ্রান্তির কারণ হল তাদের মধ্যকার আকিদাগত মতবিরোধ, যার পরিণতি হল পরস্পরের সাথে শত্রুতা ও পরস্পরকে তাকফির (অপরকে কাফির আখ্যায়িত করা), কিন্তু ফকীহগণের মাঝে ফিকাহগত বিষয়াদিতে মত পার্থক্যের ক্ষেত্রে পবিত্র কুরআনসুন্নতের শরণাপন্ন হয়ে সত্য বিষয়টি উদ্ঘাটন এবং আহলে নাজাতের অন্তর্ভুক্ত হওয়া সম্ভব।[৬] আবার কেউ কেউ এ সম্ভাবনাও দিয়েছেন যে, পার্থিব সম্পদ ও ক্ষমতা ইত্যাদি বিষয়ে মুসলমানদের মধ্যকার দ্বন্দ্বের কারণে তারা পরস্পরের শত্রুতে পরিণত হয়, আর এটাই হল মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন দলে বিভিক্ত হওয়ার কারণ।[৭]

সনদের গ্রহণযোগ্যতা

হাদীসটি শিয়াদের ‘কুতুবে আরবাআ’ ও আহলে সুন্নতের ‘সিহাহ সিত্তায়’ বর্ণিত হয়নি। এছাড়া ফির্কাহ বিষয়ক গবেষক নৌবাখতি তার ‘ফিরাকুশ শিয়া’ গ্রন্থে এবং আবুল হাসান আশআরি তার ‘মাকালাতুল ইসলামিয়্যাহ’তে এ হাদীসের প্রতি ইঙ্গিত বা এটিকে দলীল হিসেবেও উপস্থাপন করেননি। বিশিষ্ট সুন্নি আলেম ইবনে হাযম আন্দুলুসি (মৃত্যু ৪৫৬ হি.) এটিকে সহীহ নয় এবং দলীল হিসেবে উপস্থাপনের অযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন।[৮] যাইদি মাযহাবের বিশিষ্ট ফকীহ ইবনে ওয়াযীরও (মৃত্যু ৮৪০ হি.) এর শেষ অংশকে (একটি ফির্কাহ ব্যতীত সকল ফির্কাহ জাহান্নামি) জাল ও বানোয়াট বলে উল্লেখ করেছেন।[৯]

এতদসত্ত্বেও আহলে সুন্নত[১০]শিয়াদের[১১] কিছু কিছু গ্রন্থে এবং মিলাল ও নিহালের লেখকদের[১২] কেউ কেউ হাদীসটি বর্ণনা ও গ্রহণ করেছেন। আবার আব্দুল কাহের ইবনে তাহের বাগদাদী,[১৩] শাহফুর ইবনে তাহের ইসফারায়েনি,[১৪] এবং ইবনে আব্দুর রহমান মুলতি শাফেয়ীসহ[১৫] অপর ফির্কাহ গবেষকগণ ইসলামি ফির্কাহগুলোকে ৭৩ ফির্কাহ’র হাদীসের ভিত্তিতে শ্রেণীবদ্ধ করেছেন। আর তাই বলা হয়েছে যে, ৭৩ ফির্কাহ’র হাদীসটি শুধু মশহুর ও মুস্তাফিয হাদীসই[১৬] নয়, বরং মুতাওয়াতির[১৭] অথবা মুতাওয়াতিরের কাছাকাছি পর্যায়ের।[১৮]

আয়াতুল্লাহ সুবাহানীর ভাষ্যমতে, হাদীসটির মুস্তাফিয হওয়া এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিয়া ও সুন্নি গ্রন্থে বর্ণনা এর সনদগত দূর্বলতার মিটিয়ে দেয়, আর এ সকল গ্রন্থে বিভিন্ন সনদে হাদীসটি উল্লেখিত হওয়া এর প্রতি আস্থা রাখা ও বিশ্বাসের কারণ হয়।[১৯] একইভাবে ‘আহসানুত তাকাসীম ফী মা’রিফাতিল আকালীম’ গ্রন্থের প্রণেতা মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ মাকদেসী (মৃত্যু ৩৮১ হি.) রেওয়ায়েতটিকে ঐ সকল রেওয়ায়েত অপেক্ষা অধিক প্রসিদ্ধ বলে জ্ঞান করেছেন, যেগুলোতে নাজাত প্রাপ্ত ফির্কাহ’র সংখ্যা ৭২ এবং ধ্বংস হওয়া ফের্কাহ’র সংখ্যা ১ বলে উল্লেখিত হয়েছে। অবশ্য তার মতে দ্বিতীয় রেওয়ায়েতটি অধিক সহীহ।[২০]

নাজাত প্রাপ্ত ফির্কাহ

নাজাত (মুক্তি) প্রাপ্ত ফির্কাহ কোনটি -এ বিষয়ে মাযহাবসমূহের আলেমদের মাঝে মতভেদ রয়েছে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে তারা নিজেদের মাযহাবকে নাজাত প্রাপ্ত এবং অবশিষ্ট ৭২ ফির্কাহকে ধ্বংস প্রাপ্ত বলে জ্ঞান করে থাকেন।[২১] ইমামিয়া মাযহাবের আলেম জামালুদ্দীন রাযী তার ‘তাবছিরাতুল আওয়াম ফি মা’রিফাতি মাকালাতিল আনাম[২২] গ্রন্থে, ইসমাঈলি মাযহাবের আলেম [[[জাফার ইবনে মানসুর আল-ইয়ামান]]তার ‘সারায়ের ওয়া আসরারুন নুতাকা’[২৩] গ্রন্থে এবং বিশিষ্ট সুন্নি আলেম শাহরিস্তানি তার ‘আল-মিলাল ওয়ান নিহাল[২৪] গ্রন্থে নিজেদের মাযহাবকে নাজাত প্রাপ্ত ফির্কাহ বলে উল্লেখ করেছেন।

হিজরী ৪র্থ শতাব্দীর বিশিষ্ট শিয়া মুহাদ্দিস শেইখ সাদুক তার ‘কামালুদ্দীন ওয়া তামামুন নি’মাহ’ গ্রন্থে হাদীসে সাকালাইনের উপর ভিত্তি করে বলেছেন, যারাই কুরআন ও মহানবির (সা.) ইতরাত তথা বংশধরদেরকে আঁকড়ে ধরবে তারাই নাজাত প্রাপ্ত ফির্কাহ।[২৫] একইভাবে আল্লামা মাজলিসী তার বিহারুল আনওয়ার গ্রন্থে ইমাম আলী (আ.) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, ‘আমার শিয়ারা (অনুসারী) নাজাত প্রাপ্ত’।[২৬] আল্লামা হিল্লি বিভিন্ন হাদীসের ভিত্তিতে ১২ ইমাম এবং তাদের অনুসারীদেরকে নাজাত প্রাপ্ত ফির্কাহ’র বাস্তব দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।[২৭] অতঃপর শিয়া মাযহাবের সত্য হওয়ার পক্ষে বিভিন্ন দলীল-প্রমাণ উল্লেখ করেছেন।[২৮]


অপরদিকে আহলে সুন্নাহ অন্যান্য হাদীসের ভিত্তিতে নাজাত প্রাপ্ত ফির্কাহ হিসেবে ‘জামাআত’,[২৯] ‘সংখ্যাগরিষ্ট দল’[৩০] অথবা খোলাফায়ে রাশিদীনের[৩১] অনুসারীদের নাম উল্লেখ করেছেন। হাদীসে ইফতেরাকের আরেকটি বর্ণনায় এসেছে যে, যিন্দিকগণ (বেধর্মী) ব্যতীত সকল মুসলিম ফির্কাহ’র অনুসারীরাই পরিত্রাণ প্রাপ্ত।[৩২]

ধ্বংস প্রাপ্ত ফির্কাহসমূহ

বিভিন্ন ইসলামি মাযহাবের আলেম ও মনীষীগণ নিজের মাযহাব ব্যতীত অপর ৭২ ফির্কাহকে ধ্বংস প্রাপ্ত বলে জ্ঞান করেছেন:[৩৩] অবশ্য মালেকি মাযহাবের বিশিষ্ট আলেম ইব্রাহিম ইবনে মুসা শাতেবি’র (মৃত্যু ৭৯০ হি.) মতে ‘ধ্বংস প্রাপ্ত ফির্কাহগুলোর সংখ্যা ৭২ এর মাঝে সীমাবদ্ধ’ বিষয়টির সপক্ষে বুদ্ধিবৃত্তি ভিত্তিক বা বর্ণনা ভিত্তিক কোন দলীল নেই।[৩৪] বিশিষ্ট সুন্নি আলেম ইবনে হাযম (মৃত্যু ৪৫৬ হি.) তার ফিকাহ ভিত্তিক গ্রন্থ ‘আল-মুহাল্লা বিল আসার’-এ মহানবি (স.) থেকে বর্ণিত[৩৫] ((تفترق اُمتی علی بضع وسبعین فرقة اعظمهم فتنة علی امتی قوم یقیسون الامور...)) -এ হাদিসের ভিত্তিতে ফিকাহ শাস্ত্রে কিয়াসকারীকে ধ্বংস প্রাপ্ত ফির্কাহ’র অন্তর্ভুক্ত বলে উল্লেখ করেছেন।[৩৬]


তথ্যসূত্র

  1. ইবনে হাম্বাল, মুসনাদ, ১৪১৯ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৪৫; ইবনে মাজাহ, সুনান ইবনে মাজাহ, দারুল ফিকর, খণ্ড ২, পৃ. ৩৬৪; আল্লামা মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৪ হি., খণ্ড ২৮, পৃ. ৪।
  2. দ্র: মাকদেসী, আহসানুত তাকাসীম, দার সাদির, খণ্ড ১, পৃ. ৩৯।
  3. হাকিম নিশাপুরী, আল-মুস্তাদরাক আলাস-সাহীহাইন, ১৪১১ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৮১; তিরমিযী, সুনান আত-তিরমিযী, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ২৬; তাবরানী, আল-মুঅ'জামুল কাবির, মাতবাআ'তুল উম্মাহ, খণ্ড ১৮, পৃ. ৫১; ইবনে হাম্বাল, মুসনাদ, ১৪১৯ হি.,খণ্ড ৪, পৃ. ১০২।
  4. হাইসামি, মাজমাউল যাওয়ায়েদ, ১৪০৬ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৬০; তাবরানী, আল-মুঅ'জামুল কাবির, মাতবাআ'তুল উম্মাহ, খণ্ড ১৭, পৃ. ১৩।
  5. দানি, আস-সুনান আল-ওয়ারিদাহ, ১৪১৬ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৬২৪।
  6. বাগদাদী, আল-ফারক বাইন আল-ফিরাক, ১৪০৮ হি., পৃ. ৫-৮; শাতিবী, আল-ই'তিসাম, ১৪২০ হি., পৃ. ৪৪২।
  7. শাতিবী, আল-ই'তিসাম, ১৪২০ হি., পৃ. ৪৬০-৪৬১।
  8. ইবনে হায্ম, আল-ফাযল, ১৪০৫ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ২৯২।
  9. ইবনে ওয়াযীর, আল-আওয়াসিম ওয়াল কাওয়াসিম, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৭০-১৭২।
  10. দ্র: ইবনে হাম্বাল, মুসনাদ, ১৪১৪ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৫৬৯; ইবনে আবি আসিম, আস-সুন্নাহ, ১৪১৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৭৫-৮০; তাবরানী, আল-মু'জামুল কাবির, মাতবাআতুল উম্মাহ, খণ্ড ১৮, পৃ. ৫১।
  11. দ্র: শেইখ সাদুক, আল-খিছাল, ১৩৬২ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ৫৮৪-৫৮৫; আল্লামা মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ২৮, পৃ. ১৩।
  12. দ্র: বাগদাদী, আল-ফারক বাইন আল-ফিরাক, ১৪০৮ হি., পৃ. ৫-৮; বুহুস ফিল মিলাল ওয়ান নিহাল, মুআস্সেসাতুল নাশর আল-ইসলামি, খণ্ড ১, পৃ. ২৫-২৬।
  13. বাগদাদী, আল-ফারক বাইন আল-ফিরাক, ১৪০৮ হি., পৃ. ১১-২১।
  14. ইসফারায়েনি, আত-তাবছীর ফিদ্ দ্বীন, ১৪০৮ হি., পৃ. ২৩-২৫।
  15. মুলতি শাফেয়ী, আত্ তানবীহ ওয়ার্ রাদ, ১৪১৩ হি., পৃ. ১২।
  16. সুবহানী, বুহুস ফিল মিলাল ওয়ান নিহাল, মুআস্সিসাতুল নাশর আল-ইসলামী, খণ্ড ১, পৃ. ২৩; মুজাফ্ফার, দালায়েলুস সিদ্ক, ১৪২২ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ২৭৯।
  17. ইবনে তাউস, আত্ তারায়েফ, ১৪২০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৮৭ এবং খণ্ড ২, পৃ. ৭৪ ও ২৫৯; মুনাউয়ি, ফেইয আল-ক্বাদীর, ১৩৯১ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২০।
  18. আল-আমিদী, আল-আহকাম ফি উসুলিল আহকাম, দারুল কুতুবুল ইলমিয়াহ, খণ্ড ১, পৃ. ২১৯।
  19. সুবহানী, বুহুস ফিল মিলাল ওয়ান নিহাল, মুআস্সিসাতুল নাশর আল-ইসলামী, খণ্ড ১, পৃ. ২৫।
  20. মাকদেসী, আহসানুত তাকাসীম, দার সাদির, খণ্ড ১, পৃ. ৩৯।
  21. বাগদাদী, আল-ফারক বাইন আল-ফিরাক, ১৪০৮ হি., পৃ. ১১-২১; ইসফারায়েনি, আত-তাবছীর ফিদ্ দ্বীন, ১৪০৮ হি., পৃ. ২৩-২৫; মুলতি শাফেয়ী, আত্ তানবীহ ওয়ার্ রাদ, ১৪১৩ হি., পৃ. ১২।
  22. রাযী, তাবছিরাতুল আওয়াম, ১৩৬৪ ফার্সি সন, পৃ. ১৯৪-১৯৯।
  23. আল-ইয়ামান, সারায়ের ওয়া আসরারুন নুতাকা, ১৪০৪ হি., পৃ. ২৪৩।
  24. শাহরিস্তানি, আল-মিলাল ওয়ান নিহাল, ১৩৬৪ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ১৯-২০।
  25. শেইখ সাদুক, কামালুদ্দীন, ১৩৯৫ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৬৬২।
  26. আল্লামা মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ২৮, পৃ. ১১।
  27. দ্র: আল্লামা হিল্লি, মিনহাজুল কিরামাহ, ১৩৭৯ ফার্সি সন, পৃ. ৫০।
  28. আল্লামা হিল্লি, মিনহাজুল কিরামাহ, ১৩৭৯ ফার্সি সন, পৃ. ৩৫-১১১।
  29. ইবনে মাজাহ, সুনানে ইবনে মাজাহ, ১৪৩০ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ১২৮-১৩০।
  30. আল-আমিদী, আল-আহকাম ফি উসুলিল আহকাম, দারুল কুতুবুল ইলমিয়াহ, খণ্ড ১, পৃ. ২১৯।
  31. ইবনে মাজাহ, সুনানে ইবনে মাজাহ, ১৪৩০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৮-২৯।
  32. দেইলামি, আল-ফেরদৌস বি-মা'সুরিল খিতাব, ১৪০৬ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৬৩; দেইলামি, আল-ফেরদৌস বি-মা'সুরিল খিতাব, ১৪০৬ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৬৩।
  33. বাগদাদী, আল-ফারক বাইন আল-ফিরাক, ১৪০৮ হি., পৃ. ১১-২১; ইসফারায়েনি, আত-তাবছীর ফিদ্ দ্বীন, ১৪০৮ হি., পৃ. ২৩-২৫; মুলতি শাফেয়ী, আত্ তানবীহ ওয়ার্ রাদ, ১৪১৩ হি., পৃ. ১২।
  34. শাতিবী, আল-ই'তিসাম, ১৪২০ হি., পৃ. ৪৮১।
  35. তাবরানী, আল-মু'জামুল কাবির, মাতবাআতুল উম্মাহ, খণ্ড ১৭, পৃ. ১৩।
  36. ইবনে হাযম, আল-মুহাল্লা বিল আসার, দারুল জীল, খণ্ড ১, পৃ. ৬২।

গ্রন্থপঞ্জি