বিষয়বস্তুতে চলুন

৭৩ ফির্কাহ’র হাদীস

wikishia থেকে

নিবন্ধটি ’৭৩ ফির্কাহ’ সম্পর্কে, নাজাতপ্রাপ্ত ফির্কাহ সম্পর্কে জানতে পড়ুন ‘নাজাতপ্রাপ্ত ফির্কাহ’ নিবন্ধটি।

৭৩ ফির্কাহ’র হাদীস; (আরবি: حدیث افتراق) মহানবির (সা.) সাথে সম্পৃক্ত একটি হাদীস। এতে মুসলিম উম্মাহ ৭০ এর অধিক ফির্কায় (দলে) বিভক্ত হওয়ার কথা উল্লেখিত হয়েছে, হাদীসটি ‘হাদীসে ইফতেরাক’ নামেও প্রসিদ্ধ। এ হাদীসের ভাষ্যানুযায়ী মহানবির (সা.) ইন্তেকালের পর মুসলিম উম্মাহ ৭০টির বেশী ফির্কায় বিভিক্ত হবে এবং এর মাঝে মাত্র একটি ফির্কাহ নাজাত পাবে। সেই নাজাতপ্রাপ্ত ফির্কাহ কোনটি এ বিষয়ে বিভিন্ন মাযহাবের আলেম ও মনীষীদের মাঝে মতভেদ রয়েছে। মহানবি (সা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, নাজাতপ্রাপ্ত ফির্কাহটি হল আলী`র (আ.) শিয়ারা (অনুসারীরা)।

হাদীসে ইফতেরাক (বিচ্ছেদের হাদীস) তথা ৭৩ ফিকাহ’র হাদীস এবং এ সংশ্লিষ্ট আলোচনা কালাম শাস্ত্র, ফির্কাহ পরিচিতি শীর্ষক আলোচনা এবং মাযহাবগত পার্থক্য কেন্দ্রীক আলোচনার মাঝে প্রতিফলিত হয়েছে।

বিষয়বস্তু ও ব্যাখ্যা

৭৩ ফির্কাহ’র হাদীসটি হল মহানবি (সা.) থেকে বর্ণিত, বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হাদীসটির শব্দে ভিন্নতা থাকলেও মূল বিষয়বস্তু হল এমন যে, ‘মাজুস (অগ্নি উপাসক) ৭০ দলে বিভক্ত, ইহুদিরা ৭১ দলে, খ্রিষ্টানরা ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছে এবং আমার উম্মত ৭৩ দলে (ফির্কাহ) বিভিক্ত হবে; যার মাঝে শুধু একটি ফির্কাহ নাজাতপ্রাপ্ত[] অবশ্য কিছু কিছু বর্ণনায় এমনও এসেছে যে, ৭২টি ফির্কাহ নাজাত পাবে এবং একটি ফির্কাহ জাহান্নামে যাবে।[]

বিভিন্ন রেওয়ায়েতের বর্ণনায় মুসলিম উম্মাহর ৭৩টি[], ৭২টি[] এবং ৭১টি[] ফির্কায় বিভক্ত হওয়ার কথা উল্লেখিত হয়েছে।

হাদীসে ইফতেরাকের ব্যাখ্যায় এসেছে যে, নাজাতপ্রাপ্ত ফির্কাহটি ছাড়া বাকী ফির্কাহগুলোর বিভ্রান্তির কারণ হল তাদের মধ্যকার আকিদাগত মতবিরোধ, যার পরিণতি হল পরস্পরের সাথে শত্রুতা ও পরস্পরকে তাকফির (অপরকে কাফির আখ্যায়িত করা), কিন্তু ফকীহগণের মাঝে ফিকাহগত বিষয়াদিতে মত পার্থক্যের ক্ষেত্রে পবিত্র কুরআনসুন্নতের শরণাপন্ন হয়ে সত্য বিষয়টি উদ্ঘাটন এবং আহলে নাজাতের অন্তর্ভুক্ত হওয়া সম্ভব।[] আবার কেউ কেউ এ সম্ভাবনাও দিয়েছেন যে, পার্থিব সম্পদ ও ক্ষমতা ইত্যাদি বিষয়ে মুসলমানদের মধ্যকার দ্বন্দ্বের কারণে তারা পরস্পরের শত্রুতে পরিণত হয়, আর এটাই হল মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন দলে বিভিক্ত হওয়ার কারণ।[]

সনদের গ্রহণযোগ্যতা

হাদীসটি শিয়াদের ‘কুতুবে আরবাআ’ ও আহলে সুন্নতের ‘সিহাহ সিত্তায়’ বর্ণিত হয়নি। এছাড়া ফির্কাহ বিষয়ক গবেষক নৌবাখতি তার ‘ফিরাকুশ শিয়া’ গ্রন্থে এবং আবুল হাসান আশআরি তার ‘মাকালাতুল ইসলামিয়্যাহ’তে এ হাদীসের প্রতি ইঙ্গিত বা এটিকে দলীল হিসেবেও উপস্থাপন করেননি। বিশিষ্ট সুন্নি আলেম ইবনে হাযম আন্দুলুসি (মৃত্যু ৪৫৬ হি.) এটিকে সহীহ নয় এবং দলীল হিসেবে উপস্থাপনের অযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন।[] যাইদি মাযহাবের বিশিষ্ট ফকীহ ইবনে ওয়াযীরও (মৃত্যু ৮৪০ হি.) এর শেষ অংশকে (একটি ফির্কাহ ব্যতীত সকল ফির্কাহ জাহান্নামি) জাল ও বানোয়াট বলে উল্লেখ করেছেন।[]

এতদসত্ত্বেও আহলে সুন্নত[১০]শিয়াদের[১১] কিছু কিছু গ্রন্থে এবং মিলাল ওয়ান নিহালের লেখকদের[১২] কেউ কেউ হাদীসটি বর্ণনা ও গ্রহণ করেছেন। আবার আব্দুল কাহের ইবনে তাহের বাগদাদী,[১৩] শাহফুর ইবনে তাহের ইসফারায়েনি,[১৪] এবং ইবনে আব্দুর রহমান মালাতি শাফেয়ীসহ[১৫] অপর ফির্কাহ গবেষকগণ ইসলামি ফির্কাহগুলোকে ৭৩ ফির্কাহ’র হাদীসের ভিত্তিতে শ্রেণীবদ্ধ করেছেন। আর তাই বলা হয়েছে যে, ৭৩ ফির্কাহ’র হাদীসটি শুধু মশহুর ও মুস্তাফিয হাদীসই[১৬] নয়, বরং মুতাওয়াতির[১৭] অথবা মুতাওয়াতিরের কাছাকাছি পর্যায়ের।[১৮]

আয়াতুল্লাহ সুবাহানীর ভাষ্যমতে, হাদীসটির মুস্তাফিয হওয়া এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিয়া ও সুন্নি গ্রন্থে বর্ণনা এর সনদগত দূর্বলতার মিটিয়ে দেয়, আর এ সকল গ্রন্থে বিভিন্ন সনদে হাদীসটি উল্লেখিত হওয়া এর প্রতি আস্থা রাখা ও বিশ্বাসের কারণ হয়।[১৯] একইভাবে ‘আহসানুত তাকাসীম ফি মা’রিফাতিল আকালীম’ গ্রন্থের প্রণেতা মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ মাকদেসী (মৃত্যু ৩৮১ হি.) রেওয়ায়েতটিকে ঐ সকল রেওয়ায়েত অপেক্ষা অধিক প্রসিদ্ধ বলে জ্ঞান করেছেন, যেগুলোতে নাজাত প্রাপ্ত ফির্কাহ’র সংখ্যা ৭২ এবং ধ্বংস হওয়া ফের্কাহ’র সংখ্যা ১ বলে উল্লেখিত হয়েছে। অবশ্য তার মতে দ্বিতীয় রেওয়ায়েতটি অধিক সহীহ।[২০]

নাজাত প্রাপ্ত ফির্কাহ

নাজাত (মুক্তি) প্রাপ্ত ফির্কাহ কোনটি -এ বিষয়ে মাযহাবসমূহের আলেমদের মাঝে মতভেদ রয়েছে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে তারা নিজেদের মাযহাবকে নাজাত প্রাপ্ত এবং অবশিষ্ট ৭২ ফির্কাহকে ধ্বংস প্রাপ্ত বলে জ্ঞান করে থাকেন।[২১] ইমামিয়া মাযহাবের আলেম জামালুদ্দীন রাযী তার ‘তাবছিরাতুল আওয়াম ফি মা’রিফাতি মাকালাতিল আনাম[২২] গ্রন্থে, ইসমাঈলি মাযহাবের আলেম [[[জাফার ইবনে মানসুর আল-ইয়ামান]]তার ‘সারায়ের ওয়া আসরারুন নুতাকা’[২৩] গ্রন্থে এবং বিশিষ্ট সুন্নি আলেম শাহরিস্তানী তার ‘আল-মিলাল ওয়ান নিহাল[২৪] গ্রন্থে নিজেদের মাযহাবকে নাজাত প্রাপ্ত ফির্কাহ বলে উল্লেখ করেছেন।

হিজরী ৪র্থ শতাব্দীর বিশিষ্ট শিয়া মুহাদ্দিস শেইখ সাদুক তার ‘কামালুদ্দীন ওয়া তামামুন নি’মাহ’ গ্রন্থে হাদীসে সাকালাইনের উপর ভিত্তি করে বলেছেন, যারাই কুরআন ও মহানবির (সা.) ইতরাত তথা বংশধরদেরকে আঁকড়ে ধরবে তারাই নাজাত প্রাপ্ত ফির্কাহ।[২৫] একইভাবে আল্লামা মাজলিসী তার বিহারুল আনওয়ার গ্রন্থে ইমাম আলী (আ.) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, ‘আমার শিয়ারা (অনুসারী) নাজাত প্রাপ্ত’।[২৬] আল্লামা হিল্লি বিভিন্ন হাদীসের ভিত্তিতে ১২ ইমাম এবং তাদের অনুসারীদেরকে নাজাত প্রাপ্ত ফির্কাহ’র বাস্তব দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।[২৭] অতঃপর শিয়া মাযহাবের সত্য হওয়ার পক্ষে বিভিন্ন দলীল-প্রমাণ উল্লেখ করেছেন।[২৮]


অপরদিকে আহলে সুন্নাহ অন্যান্য হাদীসের ভিত্তিতে নাজাত প্রাপ্ত ফির্কাহ হিসেবে ‘জামাআত’,[২৯] ‘সংখ্যাগরিষ্ট দল’[৩০] অথবা খোলাফায়ে রাশিদীনের[৩১] অনুসারীদের নাম উল্লেখ করেছেন। হাদীসে ইফতেরাকের আরেকটি বর্ণনায় এসেছে যে, যিন্দিকগণ (বেধর্মী) ব্যতীত সকল মুসলিম ফির্কাহ’র অনুসারীরাই পরিত্রাণ প্রাপ্ত।[৩২]

ধ্বংস প্রাপ্ত ফির্কাহসমূহ

বিভিন্ন ইসলামি মাযহাবের আলেম ও মনীষীগণ নিজের মাযহাব ব্যতীত অপর ৭২ ফির্কাহকে ধ্বংস প্রাপ্ত বলে জ্ঞান করেছেন:[৩৩] অবশ্য মালেকি মাযহাবের বিশিষ্ট আলেম ইব্রাহিম ইবনে মুসা শাতেবী’র (মৃত্যু ৭৯০ হি.) মতে ‘ধ্বংস প্রাপ্ত ফির্কাহগুলোর সংখ্যা ৭২ এর মাঝে সীমাবদ্ধ’ বিষয়টির সপক্ষে বুদ্ধিবৃত্তি ভিত্তিক বা বর্ণনা ভিত্তিক কোন দলীল নেই।[৩৪] বিশিষ্ট সুন্নি আলেম ইবনে হাযম (মৃত্যু ৪৫৬ হি.) তার ফিকাহ ভিত্তিক গ্রন্থ ‘আল-মুহাল্লা বিল আসার’-এ মহানবি (সা.) থেকে বর্ণিত[৩৫] ((...تفترق اُمتی علی بضع وسبعین فرقة اعظمهم فتنة علی امتی قوم یقیسون الامور))-এ হাদিসের ভিত্তিতে ফিকাহ শাস্ত্রে কিয়াসকারীকে ধ্বংস প্রাপ্ত ফির্কাহ’র অন্তর্ভুক্ত বলে উল্লেখ করেছেন।[৩৬]

তথ্যসূত্র

  1. ইবনে হাম্বাল, মুসনাদ, ১৪১৯ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৪৫; ইবনে মাজাহ, সুনান ইবনে মাজাহ, দারুল ফিকর, খণ্ড ২, পৃ. ৩৬৪; আল্লামা মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৪ হি., খণ্ড ২৮, পৃ. ৪।
  2. দ্র: মাকদেসী, আহসানুত তাকাসীম, দারু সাদের, খণ্ড ১, পৃ. ৩৯।
  3. হাকিম নিশাপুরী, আল-মুস্তাদরাকু আলাস-সাহীহাইন, ১৪১১ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৮১; তিরমিযী, সুনান আত-তিরমিযী, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ২৬; তাবরানী, আল-মুঅ'জামুল কাবির, মাতবাআ'তুল আমাহ, খণ্ড ১৮, পৃ. ৫১; ইবনে হাম্বাল, মুসনাদ, ১৪১৯ হি.,খণ্ড ৪, পৃ. ১০২।
  4. হাইসামি, মাজমাউল যাওয়ায়েদ, ১৪০৬ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৬০; তাবরানী, আল-মুঅ'জামুল কাবির, মাতবাআ'তুল উম্মাহ, খণ্ড ১৭, পৃ. ১৩।
  5. দানি, আস-সুনান আল-ওয়ারাদাহ, ১৪১৬ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৬২৪।
  6. বাগদাদী, আল-ফারকু বাইনাল ফিরাক, ১৪০৮ হি., পৃ. ৫-৮; শাতিবী, আল-ই'তিসাম, ১৪২০ হি., পৃ. ৪৪২।
  7. শাতিবী, আল-ই'তিসাম, ১৪২০ হি., পৃ. ৪৬০-৪৬১।
  8. ইবনে হায্ম, আল-ফাযল, ১৪০৫ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ২৯২।
  9. ইবনে ওয়াযীর, আল-আওয়াসিম ওয়াল কাওয়াসিম, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৭০-১৭২।
  10. দ্র: ইবনে হাম্বাল, মুসনাদ, ১৪১৪ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৫৬৯; ইবনে আবি আসিম, আস-সুন্নাহ, ১৪১৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৭৫-৮০; তাবরানী, আল-মু'জামুল কাবির, মাতবাআতুল আমাহ, খণ্ড ১৮, পৃ. ৫১।
  11. দ্র: শেইখ সাদুক, আল-খিছাল, ১৩৬২ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ৫৮৪-৫৮৫; আল্লামা মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ২৮, পৃ. ১৩।
  12. দ্র: বাগদাদী, আল-ফারকু বাইনাল ফিরাক, ১৪০৮ হি., পৃ. ৫-৮; বুহুস ফিল মিলাল ওয়ান নিহাল, মুআস্সাসাতুল নাশরিল ইসলামী, খণ্ড ১, পৃ. ২৫-২৬।
  13. বাগদাদী, আল-ফারকু বাইনাল ফিরাক, ১৪০৮ হি., পৃ. ১১-২১।
  14. ইসফারায়েনি, আত-তাবছীর ফিদ্ দ্বীন, ১৪০৮ হি., পৃ. ২৩-২৫।
  15. মালাতি শাফেয়ী, আত্ তানবীহ ওয়ার্ রাদ, ১৪১৩ হি., পৃ. ১২।
  16. সুবহানী, বুহুস ফিল মিলাল ওয়ান নিহাল, মুআস্সাসাতুল নাশরিল ইসলামী, খণ্ড ১, পৃ. ২৩; মুযাফ্ফার, দালায়েলুস সিদ্ক, ১৪২২ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ২৭৯।
  17. ইবনে তাঊস, আত্ তারায়েফ, ১৪২০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৮৭ এবং খণ্ড ২, পৃ. ৭৪ ও ২৫৯; মিনাউয়ি, ফাইযুল কাদীর, ১৩৯১ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২০।
  18. আল-আমিদী, আল-ইহকাম ফি উসুলিল আহকাম, দারুল কুতুবুল ইলমিয়্যাহ, খণ্ড ১, পৃ. ২১৯।
  19. সুবহানী, বুহুস ফিল মিলাল ওয়ান নিহাল, মুআসসাসাতুল নাশরিল ইসলামী, খণ্ড ১, পৃ. ২৫।
  20. মাকদেসী, আহসানুত তাকাসীম, দারু সাদের, খণ্ড ১, পৃ. ৩৯।
  21. বাগদাদী, আল-ফারকু বাইনাল ফিরাক, ১৪০৮ হি., পৃ. ১১-২১; ইসফারায়েনি, আত-তাবছীর ফিদ্ দ্বীন, ১৪০৮ হি., পৃ. ২৩-২৫; মালাতি শাফেয়ী, আত্ তানবীহু ওয়ার্ রাদ, ১৪১৩ হি., পৃ. ১২।
  22. রাযী, তাবছিরাতুল আওয়াম, ১৩৬৪ ফার্সি সন, পৃ. ১৯৪-১৯৯।
  23. আল-ইয়ামান, সারায়ের ওয়া আসরারুন নুতাকা, ১৪০৪ হি., পৃ. ২৪৩।
  24. শাহরিস্তানী, আল-মিলাল ওয়ান নিহাল, ১৩৬৪ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ১৯-২০।
  25. শেইখ সাদুক, কামালুদ্দীন, ১৩৯৫ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৬৬২।
  26. আল্লামা মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ২৮, পৃ. ১১।
  27. দ্র: আল্লামা হিল্লি, মিনহাজুল কারামাহ, ১৩৭৯ ফার্সি সন, পৃ. ৫০।
  28. আল্লামা হিল্লি, মিনহাজুল কারামাহ, ১৩৭৯ ফার্সি সন, পৃ. ৩৫-১১১।
  29. ইবনে মাজাহ, সুনানে ইবনে মাজাহ, ১৪৩০ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ১২৮-১৩০।
  30. আল-আমিদী, আল-ইহকাম ফি উসুলিল আহকাম, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, খণ্ড ১, পৃ. ২১৯।
  31. ইবনে মাজাহ, সুনানে ইবনে মাজাহ, ১৪৩০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৮-২৯।
  32. দাইলামি, আল-ফেরদৌস বি-মা'সুরিল খিতাব, ১৪০৬ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৬৩; দাইলামি, আল-ফেরদৌস বি-মা'সুরিল খিতাব, ১৪০৬ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৬৩।
  33. বাগদাদী, আল-ফারকু বাইনাল ফিরাক, ১৪০৮ হি., পৃ. ১১-২১; ইসফারায়েনি, আত-তাবছীর ফিদ্ দ্বীন, ১৪০৮ হি., পৃ. ২৩-২৫; মালাতি শাফেয়ী, আত্ তানবীহু ওয়ার্ রাদ, ১৪১৩ হি., পৃ. ১২।
  34. শাতিবী, আল-ই'তিসাম, ১৪২০ হি., পৃ. ৪৮১।
  35. তাবরানী, আল-মু'জামুল কাবির, মাতবাআতুল আমাহ, খণ্ড ১৭, পৃ. ১৩।
  36. ইবনে হাযম, আল-মুহাল্লা বিল আসার, দারুল জীল, খণ্ড ১, পৃ. ৬২।

গ্রন্থপঞ্জি

  • ইবনে আবি আসিম, আহমাদ ইবনে উমর, আস-সুন্নাহ, রিয়াদ, চপে বাসিম ইবনে ফায়সাল জাওয়াবেরা, ১৪১৯ হি./১৯৯৮ খ্রি.।
  • ইবনে হাম্বাল, আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ, মুসনাদ, তাহকিক: আবুল মাআতি নূরী, বৈরুত, আলীমুল কিতাব, বৈরুত, ১৪১৯ হি.।
  • ইবনে হাম্বাল, আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ, ফাযায়েলুস সাহাবা, তাহকিক: মুহাম্মাদ আব্বাস ওয়াসিল্লাহ, বৈরুত, মুআসসাসাতুর রিসালা, ১৪০৩ হি./১৯৮৩ খ্রি.
  • ইবনে মাজাহ, মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াযিদ, সুনানে ইবনে মাজাহ, তাহকিক: মুহাম্মাদ ফাওয়াদ আব্দুল বাকী, বৈরুত, দারুল ফিকর, তারিখ অজ্ঞাত।
  • ইবনে হাযম, আবু মুহাম্মাদ, আল-ফিসাল ফিল মিলাল ওয়াল আহওয়ায়ি ওয়ান নিহাল, বৈরুত, চপে মুহাম্মাদ ইব্রাহিম নাসর ও ওয়া আব্দুর রহমান উমাইরা, ১৪০৫ হি./ ১৯৮৫ খ্রি.
  • ইবনে হাযম, আবু মুহাম্মাদ, আল-মুহাল্লা বিল আসার, তাহকিক: আহমাদ শাকের, বৈরুত, দারুল জীল, তারিখ অজ্ঞাত।
  • ইবনে তাঊস, সাইয়্যেদ আলী, আত-তারায়েফ ফি মা’রিফাতি মাযাহেব আত-তাওয়ায়েফ, বৈরুত, চাপে আলী আশুর, ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.।
  • ইবনে ওয়াযীর, মুহাম্মাদ ইবনে ইব্রাহিম, আল-আওয়াসেম ওয়াল কাওয়াসেম ফিয যাব্বি আন সুন্নাতি আবিল কাসেম, বৈরুত, চপে শুয়াইব আরনাউত, ১৪১৫ হি./১৯৯৪ খ্রি.।
  • আসফারায়নি, শাহফুর ইবনে তাহের, আত-তাবছীরু ফিদ-দ্বীন ওয়া তামীযিল ফিরকাতিন নাযিয়াতি আনিল ফিরাকিল হালেকীন, বৈরুত, চপে মুহাম্মাদ যাহেদ কাওসারী, ১৪০৮ হি./১৯৮৮ খ্রি.।
  • আল-আমিদী, আলী ইবনে মুহাম্মাদ, আল-ইহকাম ফি উসুলির আহকাম, আল-মাক্তাবুল ইসলামী, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাাহ, তারিখ অজ্ঞাত।
  • আল-ইয়ামান, জাফার ইবনে মানসুর, সারায়ের ওয়া আসরার আন-নুতাকা, বৈরুত, চপে মুস্তাফা গালিব, ১৪০৪ হি.।
  • বাগদাদী, আব্দুল কাহের, আল-ফারকু বাইনাল ফিরাক ওয়া বায়ানুল ফিরকাতিন নাজিয়াতি মিনহুম, বৈরুত, দারুল জীল-দারুর আফাক, ১৪০৮ হি.।
  • তিরমিযি, মুহাম্মাদ ইবনে ঈসা, সুনানে তিরমিযী, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪০৩ হি.।
  • হাকিম নিশাপুরী, মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ, আল-মুস্তাদরাক আলাস-সাহীহাইন, তাহকিক: মুস্তাফা আব্দুল কাদির আতা, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, ১৪১১ হি.।
  • দানি, উসমান ইবনে সাঈদ, আস-সুনান আল-ওয়ারাদাতু ফিল ফিতান, তাহকিক: যাল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইদ্রিস মুবারাকফুরী, রিয়াদ, দারুল আছিমাহ, ১৪১৬ হি.।
  • দাইলামি, শিরাওয়াইহ ইবনে শাহরাদার, আল-ফেরদৌস বি মা’সুরিল খিতাব, তাহকিক: সাঈদ ইবনে বাসায়ুনি যাগলুল, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, ১৪০৬ হি./১৯৮৬ খ্রি.।
  • রাযী, জামালুদ্দীন, তাবছিরাতুল আওয়াম ফি মা’রিফাতি মাকালাতিল আনাম, চাপে আব্বাস ইকবাল আশতিয়ানি, তেহরান, আসাতীর, ১৩৬৪ ফার্সি সন।
  • যাইলাঈ, আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ, তাখরিজুল আহাদীসি ওয়াল আসারিল ওয়াকিয়াতি ফি তাফসীরিল কাশশাফি লিল যামাখশারী, রিয়াদ, চাপে সুলতান ইবনে ফাহাদ তাবিশি, ১৪১৪ হি.।
  • সুবহানী, জাফর, বুহুসু ফিল মিলাল ওয়ান নিহাল, মুআসসাসাতুন নাশরিল ইসলামী, তারিখ অজ্ঞাত।
  • শাতিবী, ইব্রাহিম ইবনে মূসা, আল-ই’তিসাম, বৈরুত, দারুল মা’রিফাহ, ১৪২০ হি.।
  • শাহরেস্তানী, মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল কারিম, আল-মিলাল ওয়ান নিহাল, চপে আশ-শারীফ আর-রাযী।
  • শেইখ সাদুক, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, কিতাবুল খিছাল, কোম, চপে আলী আকবার গাফ্ফারী, ১৩৬২ ফার্সি সন।
  • শেইখ সাদুক, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, কামালুদ্দীন ওয়া তামামুন নি’মাহ, তাসহিহ: আলী আকবার গাফ্ফারী, তেহরান, ইসলামীয়া, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৩৯৫ হি.।
  • তাবরানী, আবুল কাসেম, আল-মু’জামুল কাবির, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, ১৪০৪ হি.।
  • তাবরানী, সুলাইমান ইবনে আহমাদ, আল-মু’জামুল কাবির (খণ্ড ১৮), বাগদাদ, মাতবাআতুল আমাহ, তারিখ অজ্ঞাত, তারিখ অজ্ঞাত।
  • আল্লামা হিল্লি, হাসান ইবনে ইউসুফ, মিনহাজুল কারামাহ ফি মা’রিফাতিল ইমামাহ, মুআসসেসেয়ে আশুরা, ১৩৭৯ ফার্সি সন।
  • আল্লামা মাজলিসী, মুহাম্মাদ বাকের, বিহারুল আনওয়ার, বৈরুত, মুআসসাসাতুল ওয়াফা, ১৪০৩ হি.।
  • মুযাফ্ফার, মুহাম্মাদ হুসাইন, দালায়েলুস সিদক, মুআসসেসেয়ে আলুল বাইত (আ.), ১৪২২ হি.।
  • মাকদেসী, মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ, আহসানুত তাকাসীম ফি মা’রিফাতিল আকালীম, বৈরুত, দারু সাদের, তারিখ অজ্ঞাত।
  • মালাতি শাফেয়ী, মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ, আত-তানবীহু ওয়ার রাদ্দু আলা আহলিল আহওয়ায়ি ওয়াল বিদায়ী, কায়রো, মাক্তাবাতু মাদবুলী, ১৪১৩ হি.।
  • মিনাউয়ি, মুহাম্মাদ আব্দুর রাউফ, ফাইযুল কাদীর: শারহুল জামেঅ আল-সাগীর, বৈরুত, ১৩৯১ হি./ ১৯৭২ খ্রি.।
  • হাইসামি, আলী ইবনে আবি বাকর, মাজমাউল যাওয়ায়েদ ওয়া মানবাউল ফাওয়ায়েদ, বৈরুত, দারুল মাআরেফ, ১৪০৬ হি.।