শালমাগানি

wikishia থেকে

মুহাম্মাদ ইবনে আলী ইবনে আবিল আযাকির (আরবি : محمد بن علی بن ابی العزاقر); ‘শালমাগানি’ নামে অধিক পরিচিত। ইমাম মাহদির (আ.) নায়েব ও প্রতিনিধি হওয়ার মিথ্য দাবী করার কারণে ইমাম মাহদির (আ.) পক্ষ থেকে বিশেষ তাওকী (توقیع)-এর মাধ্যমে তার দাবী প্রত্যাখ্যান করা হয়। শালমাগানি ইমাম হাসান আসকারির (আ.) সাহাবীদের একজন এবং গায়বাতে সোগরার যুগের অন্যতম শিয়া ফকীহ। তার সম্পর্কে রেজাল শাস্ত্রবিদদের মত হলো, মিথ্যা প্রতিনিধিত্ব দাবী করার পর সে গুলূ’র (غلو) (ধর্মীয় আকিদায় বাড়াবাড়ি ও অতিরঞ্জন) দিকে ঝুঁকে পড়ে এবং আকিদাগত বিচ্যুতির শিকার হয়। এ সময় একটি দল তার অনুসরণ শুরু করে, ‘শালমাগানিয়্যাহ’ নামে যারা পরিচিত ছিল। হুসাইন বিন রূহে’র পক্ষ থেকে শালমাগানি প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। আর তার দাবী প্রত্যাখ্যানে ইমাম মাহদির (আ.) পক্ষ থেকে যে বিশেষ তাওকীও এসেছে; ঐ তাওকী’তে শিয়াদেরকে শালমাগানির সাথে সম্পর্কচ্ছেদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

শালমাগানি রচিত ‘আত-তাকলিফ’ গ্রন্থটির ২/৩টি বিষয় ছাড়া বাদবাকি বিষয়গুলোকে ‘হুসাইন বিন রূহ’ সত্যায়িত করেছেন। শেইখ তুসীসহ অন্যান্যদের মত হলো, গুলূ’র দিকে ঝুঁকে পড়া এবং আকিদাগত বিচ্যুতির পূর্বে শালমাগানির গ্রন্থ শিয়াদের নিকট নির্ভরযোগ্য ছিল এবং শিয়ারা তার গ্রন্থের ভিত্তিতে আমল করত। শালমাগানি, ৩২৩ হিজরীতে আব্বাসি খলিফা রাযী বিল্লাহ’র নির্দেশে গ্রেপ্তার ও নিহত হয়।

পরিচিতি

শালমাগানি; ইমাম হাসান আসকারির (আ.) একজন সাহাবি এবং গায়বাতে সোগরার (স্বল্পমেয়াদি অন্তর্ধান) যুগে একজন শিয়া মুহাদ্দিস ও ফকীহ।[১] শেইখ তুসী (৪৬০ হি.) তার ‘আল-গাইবাহ’ গ্রন্থে নাওয়াবে আরবায়া’র (ইমাম মাহদির (আ.) ৪ জন খাস নায়েব ও প্রতিনিধি) তৃতীয় নায়েব হুসাইন বিন রূহে’র নিকট শালমাগানি’র অবস্থান প্রসঙ্গে দু’টি মত বর্ণনা করেছেন;[২] প্রথম মতটি হলো: হুসাইন বিন রূহে’র নিকট শালমাগানি বিশেষ স্থানের অধিকারী ছিল। জনগণ এবং হুসাইন বিন রূহের মাঝে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সে দায়িত্ব পালন করত; তার দায়িত্ব ছিল জনগণের আবেদন হুসাইন বিন রূহের নিকট পৌঁছে দেওয়া।[৩] অপর মতটি হলো, হুসাইন বিন রূহ এমন দায়িত্ব তাকে প্রদান করেন নি, বরং সে ছিল একজন শিয়া ফকীহ এবং ইমাম হাসান আসকারির (আ.) সাহাবি।[৪]

আল-আযাকেরি ওরফে শালমাগানি; ইরাকের ওয়াসেত শহরের পার্শ্ববর্তী ‘শালমাগান’ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[৫] তার কুনিয়াত ছিল আবু জা’ফার (ابو جعفر)।[৬] ২০তম আব্বাসি খলিফা রাযী বিল্লাহ আব্বাসির নির্দেশে তাকে গ্রেপ্তার এবং ৩২৩ হিজরীতে তাকে হত্যা করা হয়।[৭]

গুলূ’র প্রবণতা ও ইমাম মাহদি’র প্রতিনিধিত্ব দ্বাবী

বর্ণিত আছে, শালমাগানি আশাবাদী ছিল যে, ইমাম মাহদির (আ.) প্রতিনিধিত্ব তাকে প্রদান করা হবে।[৮] এ কারণেই, হুসাইন বিন রূহকে প্রতিনিধিত্ব অর্পনের পর শালমাগানি তার বিরোধিতা শুরু করে এবং তার প্রতি বিভিন্ন মিথ্যারোপ করে।[৯]

বিশিষ্ট সুন্নি ঐতিহাসিক ইবনে আসিরের (৬৩০ হি.) বর্ণনার ভিত্তিতে, শালমাগানি’র আকিদায় বিচ্যুতি দেখা দেয় এবং সে গুলূ’র (ধর্মীয় বিষয়াদিতে বাড়াবাড়ি ও অতিরঞ্জন) দিকে ঝুঁকে পড়ে।[১০] সে বিশ্বাস করত, আল্লাহর রূহ হযরত আদমের মধ্যে প্রবেশ করেছে এবং তাঁর পর অন্যান্য নবি ও তাঁদের ওয়াছিদের মধ্যে, এভাবে ইমাম হাসান আসকারি (আ.) পর্যন্ত পৌঁছেছে। অতঃপর ইমাম আসকারি (আ.) থেকে তার (শালমাগানি) মাঝে প্রবেশ করেছে।[১১]শালমাগানির দাবী ছিল, সে ইমাম মাহদি’র নায়েব ও প্রতিনিধি এবং এ পদপ্রাপ্তির কথা প্রকাশ্যে ঘোষণার জন্য সে নির্দেশিত হয়েছে।[১২] এ সময় একটি দল তাকে অনুসরণ করা শুরু করে, ‘শালমাগানিয়াহ’ নামে যারা পরিচিত ছিল।[১৩]

শালমাগানির প্রত্যাখ্যানে ইমাম মাহদি’র (আ.) তাওকী’

শালমাগানির ভ্রান্ত আকিদা প্রসঙ্গে অবগতি লাভের পর হুসাইন বিন রূহ তার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করে তাকে লানত করেন এবং শিয়াদেরকে তার থেকে দূরে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন।[১৪] এছাড়া, শালমাগানি’র দাবী প্রত্যাখ্যানে ইমাম মাহদির (আ.) পক্ষ থেকে একটি তাওকী’ (জনগণের উদ্দেশ্যে ইমাম মাহদি’র বার্তা, চিঠি ও লেখা বিশেষ) হুসাইন বিন রূহের নিকট পৌঁছায়; ঐ তাওকী’তে ইমাম শালমাগানির সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করে তাকে মিথ্যাবাদী, ইসলাম থেকে বিচ্যুত ও মুরতাদ বলে আখ্যায়িত করেন এবং শিয়াদেরকে তার সাথে সম্পর্কচ্ছেদের নির্দেশ দেন।[১৫]

শালমাগানি’র সাথে সম্পর্কচ্ছেদ প্রসঙ্গে জারিকৃত তাওকী’র অংশ বিশেষ:

...শালমাগানি ঐ দলের অন্তর্ভুক্ত যার শাস্তি মহান আল্লাহ্ ত্বরান্বিত করুন এবং তাকে যেন ফুরসত প্রদান না করেন। সে ইসলাম থেকে বিচ্যুত হয়েছে, এ ধর্ম থেকে নিজেকে পৃথক করে নিয়েছে এবং আল্লাহর দ্বীন থেকে মুরতাদ হয়ে গিয়েছে...। আমরা তাকে লানত করি এবং মহান আল্লাহর লানত চিরস্থায়ীভাবে তার উপর বর্ষিত হোক; প্রকাশ্যে ও গোপনে, প্রতিটি স্থানে ও ক্ষণে... তার সমর্থক ও তার অনুসারীদের উপর লানত হোক, আর ঐ দলটির উপর যারা এ ঘোষণা শোনার পরও তার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ না করে।[১৬]

রেজাল শাস্ত্রে শালমাগানি’র অবস্থান

খান্দানে নৌবাখতি’ গ্রন্থে ইকবাল আশতিয়ানি’র[১৩৩৪ ফার্সি সন] ভাষ্যমতে, হুসাইন বিন রূহের নিকট শালমাগানি’র বিশেষ অবস্থানের কারণে তার রচনাগুলো -তার মাঝে গুলূ’র (ধর্মীয় বিষয়াদিতে বাড়াবাড়ি ও অতিরঞ্জন) প্রবণতার বহিঃপ্রকাশ ও তার আকিদাগত বিচ্যুতির পূর্বে- শিয়াদের নিকট নির্ভরযোগ্য ছিল এবং তারা তার রচিত গ্রন্থগুলোর শরণাপন্ন হত। কিন্তু তার বিচ্যুতির পর শিয়ারা তার রচনাবলীর নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কের হুসাইন বিন রূহকে জিজ্ঞাসা করলে জবাবে হুসাইন বিন রূহ বলেন, ইমামগণ (আ.) থেকে সে যা কিছু বর্ণনা করেছে তা গ্রহণ কর এবং তার চিন্তা প্রসূত লেখাগুলোকে বর্জন কর।[১৭] এ কারণে অনেকের দৃষ্টিতে বিভ্রান্তির শিকার ও গুলূ’তে বিশ্বাসী হওয়ার আগ পর্যন্ত সে সিকাহ (বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য) ছিল।[১৮] শেইখ তুসী তার আল-ফিহরিস্ত গ্রন্থে বলেছেন যে, শালমাগানি বিভ্রান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত শিয়ারা তার কিতাব অনুযায়ী আমল করত।[১৯]

শালমাগানি’র রচনাবলী

হিজরী ৫ম শতাব্দির বিশিষ্ট শিয়া রেজাল শাস্ত্রবিদ নাজ্জাশী নিজ গ্রন্থে শিয়া লেখকদের যে সকল রচনা ও সংকলনের তালিকা উল্লেখ করেছেন তাতে শালমাগানি’র ১৭টি রচনা ও সংকলনের কথা উল্লেখিত হয়েছে।[২০] ‘আত-তাকলিফ’ সেগুলোর অন্যতম।[২১] এতে সে শিয়া ইমামগণ (আ.) থেকে বিভিন্ন রেওয়ায়েত সংকলন করেছে, গ্রন্থটি গুলূ’ আকিদায় বিশ্বাস পোষণের আগে লেখার কারণে শিয়ারা তার লেখাগুলোর উপর আমল করত।[২২]আল-গাইবাহ’ গ্রন্থে শেইখ তুসীর (৪৬০ হি.) ভাষ্যানুযায়ী, শিয়াদের একটি দল গ্রন্থটিকে হুসাইন বিন রূহে’র নিকট নিয়ে গেলে তিনি তা পুরোপুরি পড়ে এ মর্মে সত্যায়িত করেন যে, কয়েকটি বিষয় ছাড়া বইয়ের বাদবাকি বিষয়গুলো ইমামগণ (আ.) থেকে বর্ণিত রেওয়ায়েতসমূহের সংকলন এবং শরিয়ত বিরোধী কিছু তাতে নেই।[২৩] মুহাম্মাদ তাকী শুশতারি (১৪১৫ হি.) তার ‘কামুসুর রিজাল’ গ্রন্থে এ সম্ভাবনা ব্যক্ত করেছেন যে, ‘ফিকহুর রেযা’ নামক যে গ্রন্থটির একটি কপি আল্লামা মাজলিসী’র যুগে সনাক্ত হয়েছিল তা মূলতঃ শালমাগানি রচিত ‘আত-তাকলিফ’ গ্রন্থটিই।[২৪]

তথ্যসূত্র=

  1. সাফারি ফরুশানি, গলিয়ান (জারিয়ানহা ওয়া বার অয়ান্দহা), ১৩৭৮ ফার্সি সন, পৃ. ১৩৬।
  2. শেইখ তুসী, কিতাবুল গাইবাহ, ১৪১১ হি., পৃ. ৩০৩ ও ৪০৮।
  3. শেইখ তুসী, কিতাবুল গাইবাহ, ১৪১১ হি., পৃ. ৩০৩।
  4. শেইখ তুসী, কিতাবুল গাইবাহ, ১৪১১ হি., পৃ. ৪০৮।
  5. ইবনে আসির, আল-কামেলু ফিত তারিখ, ১৩৮৫ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ২৯০।
  6. খুয়ী, মু’জামু রিজালিল হাদিস, মুআসসাসাতুল খুয়ী আল-ইসলামিয়্যাহ, খণ্ড ১৮, পৃ. ৫০।
  7. শেইখ তুসী, কিতাবুল গাইবাহ, ১৪১১ হি., পৃ. ৪০৬ ও ৪১২।
  8. সাফারি ফরুশানি, গলিয়ান (জারিয়ানহা ওয়া বার অয়ান্দহা), ১৩৭৮ ফার্সি সন, পৃ. ১৩৬।
  9. খুয়ী, মু’জামু রিজালিল হাদিস, মুআসসাসাতুল খুয়ী আল-ইসলামিয়্যাহ, খণ্ড ১৮, পৃ. ৫২।
  10. ইবনে আসির, আল-কামেলু ফিত তারিখ, ১৩৮৫ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ২৯০।
  11. ইকবাল আশতিয়ানি, খান্দানে নৌবাখতি, ১৩৪৫ হি., পৃ. ২২৪-২২৭।
  12. মাশকুর, ফারহাঙ্গে ফারকে ইসলামি, ১৩৭৫ ফার্সি সন, পৃ. ২৫৮।
  13. মাশকুর, ফারহাঙ্গে ফারকে ইসলামি, ১৩৭৫ ফার্সি সন, পৃ. ২৫৯।
  14. শেইখ তুসী, কিতাবুল গাইবাহ, ১৪১১ হি., পৃ. ৪০৬।
  15. শেইখ তুসী, কিতাবুল গাইবাহ, ১৪১১ হি., পৃ. ৪১০-৪১১।
  16. শেইখ তুসী, কিতাবুল গাইবাহ, ১৪১১ হি., পৃ. ৪১১।
  17. ইকবাল আশতিয়ানি, খান্দানে নৌবাখতি, ১৩৪৫ হি., পৃ. ২৩১-২৩২।
  18. খুয়ী, মু’জামু রিজালিল হাদিস, মুআসসাসাতুল খুয়ী আল-ইসলামিয়্যাহ, খণ্ড ১৮, পৃ. ৫৩।
  19. শেইখ তুসী, কিতাবুল গাইবাহ, ১৪১১ হি., পৃ. ২২৪।
  20. নাজ্জাশী, রিজালুন নাজ্জাশী, ১৩৬৫ ফার্সি সন, পৃ. ৩৭৮-৩৭৯।
  21. নাজ্জাশী, রিজালুন নাজ্জাশী, ১৩৬৫ ফার্সি সন, পৃ. ৩৭৮।
  22. সাফারি ফরুশানি, গলিয়ান (জারিয়ানহা ওয়া বার অয়ান্দহা), ১৩৭৮ ফার্সি সন, পৃ. ১৩৭।
  23. শেইখ তুসী, কিতাবুল গাইবাহ, ১৪১১ হি., পৃ. ৪০৯।
  24. শুশতারি, কামুসুর রিজাল, ১৪১৯ হি., খণ্ড ৯, পৃ.৪৪৮।

গ্রন্থপঞ্জি

  • ইবনে আসির, আলী ইবনে মুহাম্মাদ, আল-কামেলু ফিত তারিখ, বৈরুত, দারুস সাদর, প্রথম সংস্করণ, ১৩৮৫ হি.।
  • ইকবাল আশতিয়ানি, আব্বাস, খান্দানে নৌবাখতি, তেহরান, কিতাব খানেয়ে তাহুরি, ১৩৪৫ ফার্সি সন।
  • শুশতারি, মুহাম্মাদ তাকী, কামুসুর রিজাল, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামি, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৯ হি.।
  • হুররে আমেলি, মুহাম্মাদ বিন হাসান, ওয়াসায়েলুশ শিয়া, কোম, মুআসসেসেয়ে আলুল বাইত, ১৪১৬ হি.।
  • খুয়ী, সাইয়্যেদ আবুল কাসেম, মু’জামু রিজালিল হাদিস, কোম, মুআসসাসাতুল খুয়ী আল-ইসলামিয়্যাহ, তারিখ অজ্ঞাত।
  • শেইখ তুসী, মুহাম্মাদ বিন হাসান, কিতাবুল গাইবাহ, কোম, দারুল মাআরেফ আল-ইসলামিয়্যাহ, প্রথম সংস্করণ, ১৪১১ হি.।
  • শেইখ তুসী, মুহাম্মাদ বিন হাসান, আল-ফেহরেস্ত, কোম, মুআসসাসাতু নাশরিল ফুকাহাহ, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৭ হি.।
  • সাফারি ফরুশানি, নি’মাতুল্লাহ, গলিয়ান (কাওশি দার জারইয়ানহা ওয়া বার অয়ান্দহা), মাশহাদ, অস্তানে কুদসে রাযাভি, ১৩৭৮ ফার্সি সন।
  • আল্লামা মাজলিসী, মুহাম্মাদ বাকের, বিহারুল আনওয়ার, বৈরুত, মুআসসাসাতুল ওয়াফা, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৩ হি.।
  • মাশকুর, মুহাম্মাদ জাওয়াদ, ফারহাঙ্গে ফারকে ইসলামি, মাশহাদ, অস্তানে কুদসে রাযাভি, ১৩৭৫ ফার্সি সন।
  • নাজ্জাশী, আহমাদ বিন আলী, রিজালুন নাজ্জাশী, তাহকিক: সাইয়্যেদ মুসা শুবাইরি যানজানি, কোম, মুআসসাসাতুন নাশরিল ইসলামি, ১৩৬৫ ফার্সি সন।