রাতের নামাজ

wikishia থেকে

নিবন্ধটি রাতের নামাজ সংশ্লিষ্ট; নামাজ আদায় ও দোয়া পড়ার নিমিত্তে ‘রাত্রি জাগরণ’ সম্পর্কে অধিক অবগতির জন্য তাহাজ্জুদ (রাত্রি জাগরণ) নিবন্ধটি পড়ুন।

রাতের নামাজ (আরবি: صلاة اللیل); সালাতুল লাইল ও নামাযে শাব, মুস্তাহাব নামাজগুলোর একটি। এ নামাজের সময়সীমা শরিয়ত নির্ধারিত মাঝরাতের পর থেকে ফজর উদয়ের আগ পর্যন্ত। মহানবির (স.) জন্য ওয়াজিব হলেও অন্যান্যদের জন্য নামাজটি মুস্তাহাব। এ নামাজ আদায় প্রসঙ্গে বিশেষভাবে তাগিদ প্রদান করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রেওয়ায়েতেও রাতের নামাজের ফজিলত এবং এর বিশেষ প্রভাবের কথা উল্লিখিত হয়েছে, যেমন: রাতের নামাজ হলো সর্বোত্তম মুস্তাহাব নামাজ এবং এ নামাজ আদায় করা প্রকৃত শিয়ার চিহ্নগুলির একটি ইত্যাদি।

রাতের নামাজ মোট ১১ রাকাত; যা ৫টি ২ রাকাত বিশিষ্ট এবং ১টি এক রাকাত বিশিষ্ট নামাজের সমন্বয়ে গঠিত। শেষের ৩ রাকাত বিশেষ ফজিলতের অধিকারী; ২ রাকাত নামাযে শাফ’ (شفع) এবং ১ রাকাত বিতরের নামাজ

ইমাম রেজা (আ.) থেকে বর্ণিত:

‘তোমাদেরকে সালাতুল লাইলের বিষয়ে তাগিদ প্রদান করছি। এমন কোন বান্দা নেই যে, সে শেষ রাতে জেগে ওঠে এবং ৮ রাকাত রাতের নামাজ (নামাযে শাব), ২ রাকাত নামাযে শাফ’ এবং এক রাকাত বিতরের নামাজ আদায় করে কুনুতে ৭০ বার ইস্তিগফার করে, অথচ মহান আল্লাহ্ তাকে কবরের আযাব ও আগুন থেকে নিরাপত্তা দান করেন না, তাকে দীর্ঘায়ূ দান করেন না এবং তার রুজিতে প্রশস্ততা দেন না...। যে সকল গৃহে রাতের নামাজ আদায় হয় সেসকল গৃহ আসমানবাসীর জন্য জ্বলজ্বল করতে থাকে যেভাবে আসমানের নক্ষত্রগুলো পৃথিবীবাসীর জন্য জ্বলজ্বল করে। (কাত্তাল নিশাবুরি, রাওদ্বাতুল ওয়ায়েযীন, খণ্ড ২, পৃ. ৩২০।)

নামাজে শাব পড়ার প্রতি গুরুত্বারোপ

রাতের নামাজ; যে সকল মুস্তাহাব নামাজের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে সেগুলোর অন্যতম। ইমাম আলীর (আ.) উদ্দেশে করা ওসিয়তে মহানবি (স.) রাতের নামাজের বিষয়ে ৩ বার তাগিদ প্রদান করেছেন।[১] একইভাবে তিনি মুসলমানদের উদ্দেশে বলেছেন: রাতের নামাজ আদায় প্রসঙ্গে তোমাদের প্রতি তাগিদ দিচ্ছি, তা অন্তত এক রাকাত হলেও; কেননা রাতের নামাজ মানুষকে গুনাহ থেকে দূরে রাখে, প্রতিপালকের ক্রোধ প্রশমিত করে এবং কিয়ামতের দিন আগুনের উত্তাপকে দূরে সরিয়ে দেয়।[২]

হাদিস ভিত্তিক গ্রন্থসমূহে এ সংশ্লিষ্ট রেওয়ায়েতগুলোকে ‘সালাতুল লাইল’ অধ্যায়ে সংকলিত করা হয়েছে।[৩]

বিশিষ্ট শিয়া মুহাদ্দিস শেইখ সাদুকের (মৃত্যু ৩৮১ হি.) ভাষ্যানুযায়ী, রাতের নামাজ মহানবির (স.) উপর ওয়াজিব ছিল এবং অন্যান্যদের জন্য মুস্তাহাব।[৪] শেইখ মুফিদের দৃষ্টিতে রাতের নামাজ সুন্নাতে মুআক্কাদা’র অন্তর্ভুক্ত।[৫]

আল্লামা তাবাতাবায়ীর উদ্দেশে আয়াতুল্লাহ কাযী বলেছেন: হে আমার সন্তান! যদি দুনিয়া চাও নামাযে শাব পড়; যদি আখেরাত চাও নামাযে শাব পড়।[৬]

রাতের নামাজ পড়ার নিয়ম

রাতের নামাজ মোট ১১ রাকাত; দুই রাকাত বিশিষ্ট ৪টি নামাজ রাতের নফল নামাজের নিয়্যতে, দুই রাকাত নামাযে শাফ’-এর নিয়্যতে এবং ১ রাকাত বিতরের নামাজের নিয়্যতে।[৭]

মুস্তাহাব হলো নামাযে শাফ’-এর প্রথম রাকাতে সূরা হামদের পর সূরা নাস তিলাওয়াত করা এবং দ্বিতীয় রাকাতে সূরা হামদের পর সূরা ফালাক তিলাওয়াত করা। একইভাবে বিতরের নামাজে সূরা হামদের পর ৩ বার সুরা ইখলাস (তাওহিদ), ১ বার সূরা ফালাক ও ১ বার সূরা নাস তিলাওয়াত করা।[৮] এছাড়া বিতরের নামাজের কুনুতে ৪০ জন মু’মিনের জন্য দোয়া অথবা ইস্তিগফার করা মুস্তাহাব।[৯] একইভাবে ৭০ বার  أستغفِرُ اللهَ رَبِّی وَ أَتُوبُ إلَیه (আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বি ওয়া আতুবু ইলাইহি) বলা, ৭ বার هَذَا المَقَامُ العَائِذِ بِکَ مِنَ النَّارِ (হাযা মাকামুল আয়িযি বিকা মিনান্নারি) এবং ৩০০ বার العفو (আল-আফউ) বলা। অতঃপর এ দোয়টি পড়া: رَبِّ اغفِرلِی وَارحَمنِی وَ تُب علیَّ إنَّکَ أَنتَ التَّوَّابُ الغَفُورُ الرَّحِیم (রাব্বি ইগফির লি, ওয়ার হামনি, ওয়াতুব আলাইয়া ইন্নাকা আনতাত তাওওয়াবুল গাফুরুর রাহিম) বলা।[১০] শেইখ তুসি তার মিসবাহুল মুজতাহিদ গ্রন্থে রাতের নামাযান্তে ‘দোয়ায়ে হাযীন’ পড়ার প্রতি তাগিদ প্রদান করেছেন।[১১]

রাতের নামাজের ফজিলত ও প্রভাব

জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ আল-আনসারি মহানবি (স.) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, মহান আল্লাহ্ বিশেষভাবে দু’টি কাজের জন্য ইব্রাহিমকে (আ.) নিজের খলিল ও বন্ধু বানিয়েছেন; মানুষকে খাদ্য প্রদান করার কারণে এবং রাতের নামাজ আদায়ের কারণে যখন সকলে ঘুমিয়ে থাকে। (সাদূক, ইলালুশ শারায়ে, মানশুরাতুল মাকতাবাতিল হায়দারিয়াহ, খণ্ড ১, পৃ. ৩৫।)

উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রেওয়ায়েতে রাতের নামাজের ফজিলত ও প্রভাবের কথা উল্লিখিত হয়েছে। বিহারুল আনওয়ারে উল্লিখিত মহানবি (স.) থেকে বর্ণিত একটি রেওয়ায়েতে বলা হয়েছে, রাতের নামাজ প্রতিপালকের সন্তুষ্টি, ফিরিশতাগণের বন্ধুত্ব, মা’রেফাত অর্জন, গৃহের উজ্জ্বলতা (নূর) বৃদ্ধি, শারীরীক স্বস্তি, শয়তানের প্রতি ঘৃণা, দোয়া কবুল হওয়া, আমল কবুল হওয়া, কবর নূরানী হওয়া এবং শত্রুর মোকাবিলায় সশস্ত্র হওয়া ও প্রস্তুতি গ্রহণের কারণ হয়।[১২]

ইমাম সাদিক (আ.) থেকে বর্ণিত একটি রেওয়ায়েতে বলা হয়েছে, রাতের নামাজ মানুষের চেহারা উজ্জ্বল করে, তাকে উত্তম চরিত্রের অধিকারী বানায় এবং তাকে সুগন্ধি করে দেয়; এছাড়া রুজি বৃদ্ধির কারণ হয়, ঋণ আদায়ের কারণ হয়, দুঃখ দূর করে দেয় এবং দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধির কারণ হয়।[১৩]

ইমাম সাদিক (আ.) থেকে অপর একটি রেওয়ায়েতে বলা হয়েছে যে, সম্পদ ও সন্তান এ দুনিয়ার অলংকার এবং রাতের শেষ ভাগে ৮ রাকাত নামাজ আদায় ও এক রাকাত বিতরের নামাজ আখেরাতের অলংকার স্বরূপ।[১৪]

বিভিন্ন রেওয়ায়েতে উল্লিখিত রাতের নামাজের অপর কিছু ফযিলত:

  • সর্বোত্তম মুস্তাহাব নামাজ,[১৫]
  • মু’মিনের অহংকার,[১৬]
  • এ নামাজ আদায়কারীর সম্পর্কে মহান আল্লাহ্ ফেরেশতাদের উদ্দেশে গর্ব করেন[১৭]
  • এ নামাজ আদায় প্রকৃত শিয়া’র চিহ্নগুলোর একটি।[১৮]

শেইখ সাদুক তার ইলালুশ শারায়ে গ্রন্থে যে সকল রেওয়ায়েত ইমামগণ (আ.) থেকে বর্ণনা করেছেন তার ভিত্তিতে, গুনাহ ও পাপ রাতের নামাজ থেকে বঞ্চিত হওয়ার অন্যতম কারণ।[১৯]

ইমাম সাদিক (আ.) বলেছেন:

الامام الصادق(ع): «شَرَفُ الْمُؤْمِنِ صَلاتُهُ بِاللَّیلِ، وَعِزُّهُ کفُّ الاَذی عَنِ النّاسِ؛ شرافت مؤمن به نماز شب اوست و عزّت و بزرگواری او در خودداری از آزار مردم.»

‘রাতের নামাযে রয়েছে মুমিনের অভিজাত্য এবং মানুষকে কষ্ট দানের ক্ষেত্রে আত্মসংযমের মাঝে তার সম্মান ও মাহাত্ম নিহিত।’ (সাদুক, আল-খিসাল, খণ্ড ১, পৃ. ৬)

রাতের নামাজ সংশ্লিষ্ট কতিপয় বিধান

ফিকাহ বিষয়ক গ্রন্থাবলিতে উল্লিখিত রাতের নামাজ বিষয়ক কতিপয় বিধান:

  • রাতের নামাজের মধ্যে সবচেয়ে ফযিলতপূর্ণ নামাজ হলো নামাযে শাফ’বিতরের নামাজ। আর বিতরের নামাজ শাফ’-এর নামাজ অপেক্ষা অধিক ফযিলতের অধিকারী। রাতের নামাজের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নামাযে শাফ’ ও বিতরের নামাজ পড়া যথেষ্ট; এমনকি শুধু বিতর পড়াও যথেষ্ট বলে উল্লেখিত হয়েছে।[২০]
  • রাতের নামাজের সময়সীমা হলো; শরিয়ত নির্ধারিত মাঝরাত থেকে ফজর উদয় হওয়া হওয়া পর্যন্ত (ফজরের নামাজের সময় আরম্ভ হওয়ার আগ পর্যন্ত)। অন্য যে কোন সময়ে আদায়ের চেয়ে ফজরের উদয়ের আগে এ নামাজ আদায় করা অতি উত্তম।[২১] বিশিষ্ট মারজায়ে তাক্বলিদ সাইয়্যেদ আলী সিস্তানি’র মতে রাতের নামাজের সময় রাতের শুরু থেকেই আরম্ভ হয়।[২২]
  • রাতের নামাজ যদি বসে পড়া হয়, তবে এক্ষেত্রে উত্তম হলো বসে পড়া প্রতি দুই রাকাত নামাজকে এক রাকাত হিসেব করা।[২৩]
  • মুসাফির অথবা যাদের জন্য মাঝরাতের পর রাতের নামাজ আদায় কষ্টকর, তারা রাতের শুরুতে এ নামাজ আদায় করতে পারে।[২৪]
  • যদি কেউ নামাযে শাব পড়তে না পারে, তাহলে সে তা কাযা আকারেও আদায় করতে পারবে।[২৫]
  • রাতের নামাজের কাযা, শরিয়ত নির্ধারিত মাঝরাতের আগে আদায় করা শ্রেয়।[২৬]

গ্রন্থ পরিচিতি

রাতের নামাজ প্রসঙ্গে বিভিন্ন ভাষায় বহু সংখ্যক গ্রন্থ রচিত হয়েছে। রাতের নামাজ সংশ্লিষ্ট গ্রন্থ পরিচিতি বিষয়ক নিবন্ধে ৭০টিরও অধিক গ্রন্থের নাম উল্লেখ করা হয়েছে; যেগুলোকে শিয়া মনীষীরা ফারসি অথবা আরবি ভাষায় রচনা করেছেন।[২৭] সেগুলোর কয়েকটি হলো:

  • মুহাম্মাদ বাকির ফিশারাকি (মৃত্যু ১৩১৫ হি.) রচিত ‘আদাবু সালাতিল লাইল’।
  • আরবি ভাষায় গোলাম রেজা ইরফানিয়ান (মৃত্যু ১৩৮২ হি.) রচিত ‘সালাতুল লাইলি; ফাদ্বলুহা ওয়া ওয়াক্তুহা ওয়া আদাদুহা ওয়া কাইফিয়্যাতুহা, ওয়াল খুছুছিয়াতুর রাজিয়াহ ইলাইহা মিনাল কিতাবি ওয়াস সুন্নাহ।
  • সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ বাকির শাফতি (মৃত্যু ১২৬০ হি.) রচিত ‘আদাবু সালাতুল লাইলি ওয়া ফাযলিহা।’[২৮]

তথ্যসূত্র

  1. সাদূক, মান লা ইয়াহদ্বুরুহুল ফাকীহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৪৮১ এবং খণ্ড ৪, পৃ. ১৭৯।
  2. মুত্তাকি হিন্দি, কানযুল উম্মাল, ১৪১০ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৭৯১, হা. ২১৪৩১।
  3. দ্র: সাদূক, মান লা ইয়াহদ্বুরুহুল ফাকীহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৪৮৪।
  4. দ্র: সাদূক, মান লা ইয়াহদ্বুরুহুল ফাকীহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৪৮৪।
  5. মুফিদ, আল-মুগনিয়াহ, ১৪১৩ হি., পৃ. ১২০।
  6. https://farsi.khamenei.ir/speech-content?id=43304
  7. তাবাতাবায়ী ইয়াযদি, আল-উরওয়াতুল উসকা, ১৪১৯ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২৪৫; ইমাম খোমেনী, তাহরিরুল ওয়াসিলা, ১৪৩৪ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৪৩।
  8. কুম্মি, মাফাতিহুল জিনান, ১৩৮৪ ফার্সি সন, পৃ. ৯৪৯।
  9. কুম্মি, মাফাতিহুল জিনান, ১৩৮৪ ফার্সি সন, পৃ. ৯৪৯।
  10. কুম্মি, মাফাতিহুল জিনান, ১৩৮৪ ফার্সি সন, পৃ. ৯৫০।
  11. শেইখ তুসি, মিসবাহুল মুজতাহিদ, ১৪১১ হি., পৃ. ১৬৩-১৬৪।
  12. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৮৭ পৃ. ১৬১।
  13. হুররে আমেলী, ওয়াসায়েলুশ শিয়া, খণ্ড ৫, পৃ. ২৭২।
  14. সাদূক, মাআনিয়ুল আখবার, দারুল মা'রেফাহ, পৃ. ৩২৪।
  15. মুত্তাকি হিন্দি, কানযুল উম্মাল, ১৪১০ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৭৯১, হা. ২১৩৯৭।
  16. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৮৭ পৃ. ১৪০।
  17. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৮৭ পৃ. ১৫৬।
  18. মুফিদ, আল-মুগনিয়াহ, ১৪১৩ হি., পৃ. ১১৯-১২০।
  19. সাদূক, ইলালুশ শারায়ে' মানশুরাতুল মাক্তাবাতিল হায়দারিয়্যাহ, খণ্ড ২, পৃ. ৩৬২।
  20. ইমাম খোমেনী, তাহরিরুল ওয়াসিলা, ১৪৩৪ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৪৩।
  21. তাবাতাবায়ী ইয়াযদি, আল-উরওয়াতুল উসকা, ১৪১৯ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২৬৫-২৬৬।
  22. https://www.sistani.org/persian/qa/01067/
  23. ইমাম খোমেনী, তাহরিরুল ওয়াসিলা, ১৪৩৪ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৪৪।
  24. তাবাতাবায়ী ইয়াযদি, আল-উরওয়াতুল উসকা, ১৪১৯ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২৬৬।
  25. দ্র: তাবাতাবায়ী ইয়াযদি, আল-উরওয়াতুল উসকা, ১৪১৯ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২৬৬।
  26. তাবাতাবায়ী ইয়াযদি, আল-উরওয়াতুল উসকা, ১৪১৯ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২৬৬।
  27. আনসারি কুম্মি, "কিতাব শেনাছিয়ে নামাজে শাব", পৃ. ১৭০।
  28. আনসারি কুম্মি, "কিতাব শেনাছিয়ে নামাজে শাব", পৃ. ১৭০-১৮৬।

প্রন্থপঞ্জি

  • ইমাম খোমেনী, সাইয়্যেদ রুহুল্লাহ, তাহরিরুল ওয়াসিলাহ (মাওসুআতুল ইমাম আল-খোমেনী ২২ ও ২৩), তেহরান, মুআসসেসেয়ে তানযীম ওয়া নাশরে আসারে ইমাম খোমেনী, তৃতীয় সংস্করণ, ১৪৩৪ হি.।
  • আনসারি কুম্মি, নাসির উদ্দিন, "কিতাব শেনাছিয়ে নামাজ", মাশকু, যেমেস্তান ১৩৭২ ফার্সি সন।
  • হুররে আমেলী, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, ওয়াসেলুশ শিয়া, কোম, মুআসসাসাতু আলিল বাইত আলাইহিমুস সালাম, ১৪০৯ হি.।
  • সাদূক, মুহাম্মাদ বিন আলী, আল-খিসাল, তাসহিহ: আলী আকবার গাফ্ফারী, কোম, জামে' মুদাররেসীন, ১৩৬২ ফার্সি সন।
  • সাদূক, মুহাম্মাদ বিন আলী, ইলালুশ শারায়ে', নাজাফ, মানশুরাতুল মাক্তাবাতিল হায়দারিয়্যাহ।
  • সাদূক, মুহাম্মাদ বিন আলী, মাআনিয়ুল আখবার, দারুল মা'রেফাহ, তারিখ অজ্ঞাত।
  • সাদূক, মুহাম্মাদ বিন আলী, মান লা ইয়াহদ্বুরুহুল ফাকীহ, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামি, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪১৩ হি.।
  • তাবাতাবায়ী ইয়াযদি, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ কাযিম, আল-উরওয়াতুল উসকা, মুআসসেসাতুল নাশরিল ইসলামি, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৯ হি.।
  • তুসি, মুহাম্মাদ বিন হাসান, মিসবাহুল মুজতাহিদ, বৈরুত, মুআসসাসাতু ফিকহ আল-শিয়া, প্রথম সংস্করণ, ১৪১১ হি./১৯৯১ খ্রি.।
  • ফিতাল নিশাবুরি, মুহাম্মাদ বিন আহমাদ, রাওযাতুল ওয়ায়েযিন ওয়া বাসিরাতুল মুতয়িযিন, কোম, ইন্তেশারাতে রাযি, প্রথম সংস্করণ, ১৩৭৫ ফার্সি সন।
  • কুম্মি, শেখ আব্বাস, কুল্লিয়াত মাফাতিহুল জিনান, কোম, মাতবুয়াতে দ্বীনি, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৩৮৪ ফার্সি সন।
  • মুত্তাকি হিন্দি, আলী ইবনে হিসাম উদ্দিন, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআ'ল, তাহকিক: বাকরি হায়ানি, ছাফওয়াতুস সিকা, মুআসসাসাতুর রিসালাহ, পঞ্চম সংস্করণ, ১৪০১ হি./ ১৯৮১ খ্রি.।
  • মাজলিসী, মুহাম্মাদ বাকের, বিহারুল আনওয়ার, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, ১৪০৩ হি.।
  • মুফিদ, মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ, আল-মুগনিয়াহ, কোম, কঙ্গরেয়ে জাহানিয়ে শেইখ মুফিদ, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৩ হি.।