সূরা নাস(আরবি: سورة الناس) পবিত্র কুরআনের সর্বশেষ তথা ১১৪নং সূরা। এটি মক্কী সূরা এবং কুরআনের ৩০তম পারার অন্তর্গত। চার ‘কুল’ বিশিষ্ট সূরার অন্যতম হচ্ছে এটি। আল্লাহ এ সূরাতে রাসূলের (সা.) প্রতি আদেশ দিয়েছেন যে, কুমন্ত্রণাকারী ও গোপন চক্রান্তকারীদের অনিষ্ট থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় কামানা করতে। সুন্নী মাযহাবের বিভিন্ন তাফসীরে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এ সূরাটি তখন নাযিল হয়, যখন জনৈক ইহুদি রাসূলকে (সা.) জাদু করে এবং সে জাদুর কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অতঃপর জিবরাঈল (আ.) সূরা নাস ও সূরা ফালাক নিয়ে নাযিল হন এবং উক্ত সূরাদ্বয়ের আয়াতসমূহ রাসূলকে (সা.) পড়ে শোনান হয়। তখন মহানবী (সা.) উক্ত অসুস্থ অবস্থা থেকে মুক্তি লাভ করেন। কিন্তু শিয়া মাযহাবের মনীষীবর্গ এ ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করে উল্লেখ করেছেন যে, জাদুমন্ত্র কখনও রাসূলুল্লাহর (সা.) কোন ধরনের প্রভাব বিস্তার করতে পারে না।
সূরা নাস ও সূরা ফালাককে মুয়াউজ্জাতাঈন সূরা হিসেবে অভিহিত করা হয় অর্থাৎ এ দু’টি সূরা শত্রুর অনিষ্ট থেকে রক্ষাকবচ বা তাবিয হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ সূরার বিশেষ ফজিলত সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে, যে ব্যক্তি সূরা নাস ও সূরা ফালাক তেলাওয়াত করে, সে সমস্ত নবীগণের (আ.) উপর নাযিলকৃত কিতাবসমূহ পাঠ করেছে। অনুরূপভাবে হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল (সা.) সূরা নাস ও সূরা ফালাককে আল্লাহর নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় সূরা হিসেবে অভিহিত করেছেন।
পরিচিতি
নামকরণ
আলোচ্য সূরাকে ‘সূরা নাস’ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। ‘নাস’ অর্থ হচ্ছে মানুষ বা জনগণ। এ শব্দটি সূরার প্রথম আয়াতের অংশ থেকে নেয়া হয়েছে। এ সূরাকে ‘মুয়াউজ্জাহ’ সূরাও বলা হয়। কারণ শয়তানের প্ররোচনা, কুমন্ত্রণা এবং মানুষের অনিষ্ট হতে রক্ষা পেতে আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনার উদ্দেশ্যে এ সূরাটি পাঠ করা হয়। এছাড়া মানুষ বিভিন্ন উদ্বিগ্নতা, সংকট ও বালা-মুসিবাতের সময় এ অবস্থা হতে মুক্তি লাভ এবং আল্লাহর নিকট আশ্রয় কামনা করে এ সূরা তেলাওয়াত করে। এ কারণে এ সূরাটি দোয়া ও তাবিজ হিসেবে বিশেষভাবে ফলদায়ক। কাজেই সূরা নাস ও ফালাককে মুয়াউজ্জাতাঈন সূরাদ্বয় তথা শত্রুর অনিষ্ট থেকে রক্ষাকবচ সূরা হিসেবেও অভিহিত করা হয়।[১]
নাযিলের স্থান ও ক্রমধারা
সূরা নাস হচ্ছে মক্কী সূরা এবং এটি রাসূলুল্লাহর (সা.) উপর নাযিল হওয়া ২১তম সূরা। এটি কুরআনের বিদ্যমান পান্ডুলিপিতে ক্রমধারা অনুযায়ী ১১৪তম সূরা এবং ৩০ পারার অন্তর্গত। [২] খ্যাতনামা মুফাসসির ও বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ আল মিযানের প্রণেতা আল্লামা সাইয়েদ তাবাতাবায়ী’র দৃষ্টিতে এ সূরাটি সূরা ফালাকের ন্যায় ‘মাদানী’ এবং কিছু হাদীস ও রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে উভয় সূরাই একসাথে রাসূলুল্লাহর (সা.) উপর নাযিল হয়েছে।[৩] অপরদিকে সমকালীন সময়ে শিয়া মাযহাবের অন্যতম মনীষী হযরত জাওয়াদ আমুলী উল্লেখ করেছেন যে, এ সূরাটি মক্কীও হতে পারে অথবা মাদানীও হতে পারে। কেননা সূরার বিষয়বস্তু মদীনার তুলনায় মক্কার অবস্থার সাথে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আয়াতের সংখ্যা ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্যাবলি
সূরা নাসে ৬টি আয়াত রয়েছে এবং এ সূরাটি ২০ শব্দ ও ৭৮ অক্ষর বিশিষ্ট। এ সূরাটি আকৃতির দিক থেকে পবিত্র কুরআনের ছোট আয়াত বিশিষ্ট সূরাসমূহের অন্তর্ভূক্ত। এছাড়া এটি কুরআনে «قُل» ‘কুল’ শব্দের মাধ্যমে সুচনা হওয়া চারটি সূরার অন্যতম।[৪]
বিষয়বস্তু
আল্লাহ তায়ালা সূরা নাসে স্বীয় রাসূলের (সা.) প্রতি মানুষ ও শয়তানের অনিষ্ট এবং তাদের কুমন্ত্রণা ও সংশয়ের প্রভাব থেকে মুক্তির জন্য তাঁর নিকট আশ্রয় প্রার্থনার আদেশ দিয়েছেন। [৫] উভয় সূরাতেই আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়েছে। শুধুমাত্র পার্থক্য হচ্ছে সূরা ফালাকে বিভিন্ন ধরনের অনিষ্ট ও ক্ষতি থেকে মুক্তি ও আশ্রয় কামনা করা হয়েছে। কিন্তু সূরা নাসে আত্মগোপনে থাকা কুমন্ত্রণা দানকারী ও সংশয় সৃষ্টিকারী শয়তান ও মানুষের অনিষ্ট থেকে নিরাপত্তা কামনা করা হয়েছে।[৬]।
সৃষ্টিজগতের ক্রমধারা
প্রখ্যাত মনীষী ও মুফাসসির হযরত আয়াতুল্লাহ জাওয়াদ আমুলী সূরা নাসের তাফসীরকালে এ সূরাতে পুনরাবৃত্তি হওয়া 'রব' (আরবি: ربّ) বা প্রতিপালক শব্দের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেছেন: মানুষ যখন কোন বিপদের সম্মুখীন হয় তখন প্রাথমিক পর্যায়ে স্বীয় অভিভাবক, কর্তা কিংবা দায়িত্বশীলের শরনাপন্ন হয়; কুরআনের ভাষায়- بِرَبِّ النَّاسِ। আর যখন এ পর্যায়ে কোন সুফল পাওয়া না যায় তখন রাজ্যের শাসক, মালিক কিংবা সরকার প্রধানের নিকট আশ্রয় কামনা করে; কুরআনের ভাষায়- مَلِكِ النَّاسِ। যদি এ পর্যায়েও তার সমস্যা ও সংকট না কাটে তাহলে চুড়ান্ত পর্যায়ে বিশ্বজগতের স্রষ্টা ও প্রতিপালক এবং সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিপতি মহান আল্লাহর নিকট সাহায্য ও আশ্রয় কামনা করে; সূরা নাসের ভাষায়- إِلَهِ النَّاسِ।
আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদায়ক শয়তান
খ্যাতনামা হাদীসবেত্তা শেইখ সাদুক তাঁর মহাগ্রন্থ ‘আমালী শেইখ সাদুক’ এ ইমাম জাফর সাদীক (আ.) থেকে উদ্ধৃত একটি হাদীসে উল্লেখ করেন: যখন সূরা আলে ইমরানের ১৩৫নং আয়াতটি নাযিল হয়,
“আর যারা যখন কোন অশ্লীল কাজে লিপ্ত হয় অথবা নিজেদের প্রতি অবিচার করে। অতঃপর আল্লাহকে স্মরণ করে নিজেদের গুনাহসমূহের ক্ষমা প্রার্থনা করে।”
তখন ইবলীস] মক্কার সাবির পর্বতের চূড়ায় আরোহন করে তার সহযোগী দৈত্য-দানব ও শয়তানদেরকে আহ্বান করে। এ সময় উপস্থিত শয়তানরা তাদের সর্দার ইবলীসকে লক্ষ্য করে বলল: হে আমাদের সর্দার! আপনি কি কাজে আমাদেরকে আহ্বান করেছেন? সে বলল: এ আয়াতটি নাযিল হয়েছে, তোমাদের মধ্যে কে এ পথকে (বান্দার ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমকে) রোধ করতে পারবে। এমন সময় জনৈক দৈত্য বলল: আমি এ দায়িত্ব পালন করতে পারব। কিন্তু ইবলীস বলল: তোমার পক্ষে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব না। এমতাবস্থায় খান্নাস শয়তান তথা আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতা শয়তান বলল: এ কাজটি আমার উপর অর্পন করেন। তখন ইবলীস তাকে জিজ্ঞাসা করল যে, তুমি কিভাবে এ দায়িত্ব পালন করবে। উত্তরে সে বলল: আমি তাদেরকে বিভিন্ন প্রলোভন ও প্রতারণার মাধ্যমে গুনাহে প্ররোচিত করব। অতঃপর যখন তারা গুনাহে লিপ্ত হবে, তখন আমি তাদেরকে ক্ষমা প্রার্থনা থেকে বিরত রাখব কিংবা এ বিষয়টি তাদেরকে ভুলিয়ে দিব। এ কথা শোনার পর ইবলীস শয়তান বলল: হ্যাঁ, তুমিই এ কাজটি করতে পারবে। ফলে চিরদিনের জন্য এ দায়িত্ব তার উপর ছেড়ে দেয়া হয়। [৭]
শানে নুযুল
সূরা নাসের শানে নুযুল সম্পর্কে সুন্নী মাযহাবে কিছু রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে; কিন্তু শিয়া মাযহাবের দৃষ্টিতে তা গৃহীত হয়নি।[৮] যেমন: সুন্নী মাযহাবের শীর্ষ তাফসীর গ্রন্থ ‘দুররুল মানসুরে’ বর্ণিত হয়েছে- জনৈক ইহুদি রাসূলকে (সা.) জাদুমন্ত্র করে। ফলে সেই জাদুর কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অতঃপর জিবরাঈল (আ.) মাউজ্জাতাঈন সূরা তথা সূরা নাস ও সূরা ফালাক নিয়ে নাযিল হন এবং রাসূলকে বলেন যে, অমুক ইহুদি আপনাকে জাদু করেছে এবং তা অমুক কুয়াতে আবদ্ধ রেখেছে। রাসূল (সা.) আমিরুল মু’মিনিন আলীকে (আ.) কে কুয়ার নিকট প্রেরণ করেন এবং সে জাদুমন্ত্র আনতে বলেন। উক্ত জাদুমন্ত্র রাসূলের (সা.) নিকট আনার পর তিনি সেটির প্রতিটি গিট উম্মুক্ত করেন এবং এ সময় সূরা নাস ও সূরা ফালাকের আয়াতসমূহ পাঠ করেন। ফলে সে জাদুমন্ত্রের কার্যকারিতা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় এবং তিনি সুস্থতা লাভ করেন। [৯]
কিন্তু শিয়া মাযহাবের শীর্ষ মুফাসসির আল্লামা তাবাতাবায়ী এমন সম্ভাবণাকে প্রত্যাখ্যান করে উল্লেখ করেছেন: রাসূলের (সা.) উপর কোন জাদুমন্ত্র প্রভাব বিস্তারে অক্ষম এবং তিনি এর নেতিবাচক প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। কোন জাদুমন্ত্র তাঁকে অসুস্থ করতে পারবে না। বরং আল কুরআনের ভাষ্যমতে রাসূলুল্লাহর (সা.) শরীর, মন ও অন্তর সব ধরনের জাদুমন্ত্র ও শয়তানি প্ররোচনার উর্দ্ধে এবং এগুলো তাঁকে আদৌ স্পর্শ করতে সক্ষম নয়।[১০]
ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য
- আরোও দেখুন: সূরার ফজিলতসমূহ
রাসূল (সা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, যদি কেউ সূরা নাস ও সূরা ফালাক তেলাওয়াত করে, তা এমন যে সে সমস্ত নবী-রাসূলগণের (আ.) উপর নাযিল হওয়া আসমানি কিতাবসমূহ তেলাওয়াত করেছে।[১১] এছাড়া ইমাম মুহাম্মাদ বাকির (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, যদি কেউ বেতের নামাযে সূরা নাস, সূরা ফালাক ও সূরা এখলাস তেলাওয়াত করে, তবে তাকে জানান হবে যে, হে বান্দা! তোমার প্রতি সুসংবাদ, কারণ আল্লাহ তোমার নামাযকে কবুল করেছেন।[১২] রাসূলুল্লাহ (সা.) সূরা নাস ও সূরা ফালাককে আল্লাহর নিকট পছন্দনীয় সূরা হিসেবে অভিহিত করেছেন।[১৩]
এ সূরার বৈশিষ্ট্য ও কার্যকারিতা সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে: মহানবী (সা.) সূরা নাস ও সূরা ফালাক তেলাওয়াত করে ইমাম হাসান (আ.) ও ইমাম হুসাইনকে (আ.) দোয়া করতেন।[১৪] অপর একটি হাদীসে বর্ণনা করা হয়েছে: রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে ঘুমানোর পূর্বে সূরা এখলাস, সূরা নাস ও সূরা ফালাক ১০ বার পাঠ করবে; সে সমগ্র কুরআন তেলাওয়াতের সওয়াব অর্জন করবে, সে গুনাহ থেকে এমনভাবে মুক্ত হবে যেন সদ্য জন্মগ্রহণ করেছে এবং যদি সে দিনে অথবা রাতে মৃত্যুবরণ করে তবে তার মৃত্যু হবে শাহাদতের মৃত্যু।[১৫]
মূল সূরা ও তার অর্থ
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ ﴿۱﴾ مَلِكِ النَّاسِ ﴿۲﴾ إِلَهِ النَّاسِ ﴿۳﴾ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ ﴿۴
الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ ﴿۵﴾ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ ﴿۶অসীম দয়াময় ও অনন্ত করুণাময় আল্লাহর নামে
(১) বল, ‘আমি মানুষের প্রতিপালকের আশ্রয় কামনা করছি,
(২) মানুষের অধিপতির, (৩) মানুষের উপাস্যের (৪) অতিশয় আত্মগোপনকারী প্ররোচকের (শয়তানের) অনিষ্ট হতে,
(৫) যে মানুষের হৃদয়ে প্ররোচনা দেয় (ও সংশয় সৃষ্টি করে), (৬) জিনের মধ্য হতে অথবা মানুষের মধ্য হতে।’
তথ্যসূত্র
- ↑ দানেশ নামেয়ে কুরআন, খণ্ড ২, পৃ. ১২৭১।
- ↑ আমুযেশে উলুমে কুরআন, খণ্ড ২, পৃ. ১৬৬।
- ↑ আল্লামা তাবাতাবায়ী, তাফসীরে আল-মিযান, খণ্ড ২০, পৃ. ৩৯৫।
- ↑ দানেশ নামেয়ে কুরআন, খণ্ড ২, পৃ. ১২৭১-১২৭২।
- ↑ আল্লামা তাবাতাবায়ী, তাফসীরে আল মীযান, খণ্ড ২০, পৃ. ৩৯৫।
- ↑ আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজী, তাফসীরে নেমুনে, খণ্ড ৫, পৃ. ৫৩৮
- ↑ শেখই সাদুক, আমালী, খণ্ড ১, পৃ. ৫৫১।
- ↑ মুহাম্মাদ খামেগার, সুরেহায়ে কুরআন, পৃ. ৯২।
- ↑ সুয়ুতি, তাফসীরে দুররুল মানসুর, খণ্ড ৬, পৃ. ৪১৭।
- ↑ আল্লামা তাবাতাবায়ী, তাফসীরে আল-মিযান, খণ্ড ২০, পৃ. ৩৯৪।
- ↑ তাবারসী, তাফসীরে মাজমাউল বায়ান, খণ্ড ১০, পৃ. ৪৯১।
- ↑ তাবারসী, তাফসীরে মাজমাউল বায়ান, খণ্ড ১০, পৃ. ৪৯০।
- ↑ আল্লামা মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৯২, পৃ. ৩৬৮।
- ↑ দানেশ নামেয়ে কুরআন, খণ্ড ২, পৃ. ১২৭১।
- ↑ আল-বালাদুল আমীন, পৃ.৩৩।
গ্রন্থপঞ্জি
- কুরআনে কারিম, তরজমা মুহাম্মাদ মাহদি ফুলাদওয়ান্দ, তেহরান, দারুল কুরআনুল কারিম, ১৪১৮ হি./১৩৭৬ ফার্সি সন।
- দানেশ নামেয়ে কুরআন ওয়া কুরআন পেঝুহি, বে কৌশিশে বাহাউদ্দিন খুররামশাহি, খণ্ড ২, তেহরান, দুস্তান-নাহিদ, ১৩৭৭ ফার্সি সন।
- তাবাতাবায়ী, সাইয়েদ মুহাম্মাদ হুসাইন, আল-মিযান ফি তাফসীরিল কুরআন, বৈরুত, মুআস্সেসাতুল আ'লামি লিল মাতবুআ'ত, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৯৭৪ খ্রি.।
- সুয়ুতি, আদ্-দুররুল মানসুর, কোম, কিতাব খানেয়ে উমুমি আয়াতুল্লাহ মারআশি নাজাফি, ১৪০৪ হি.।
- তাবারসী, মাজমাউল বায়ান, তেহরান, মাকতাবাতুল ইলমিয়াহ, প্রথম সংস্করণ, ১৩৮৮ ফার্সি সন।
- আমেলী, ইব্রাহিম বিন আলী, আল-বালাদিল আমিন ওয়াদ-দারউ'ল হাছিন।
- মাজলিসী, মুহাম্মাদ বাকের, বিহারুল আনওয়ার, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামী, ১৪০৩ হি.।
- মা'রেফাত, মুহাম্মাদ হাদি, আমুযেশে উলুমে কুরআন, মারকাযে চাপ ও নাশরে সাযেমানে তাবলিগাতে ইসলামী, প্রথম সংস্করণ, ১৩৭১ ফার্সি সন।
- মাকারেম শিরাজী, নাসের, বারগুযিদে তাফসীরে নেমুনে, আহমাদ আলী বাবায়ী, তেহরান, দারুল কুতুবুল ইসলামিয়াহ, ১৩৮২ ফার্সি সন।