শয়তান
শয়তান; এক অবাধ্য, মন্দ, দুষ্টু চরিত্রের নাম। শয়তানের বিশেষ নাম হচ্ছে ইবলীস; যে নবী হযরত আদমকে (আ.) সেজদা করা থেকে বিরত থাকে এবং এ কারণে আল্লাহর নিকট থেকে বিতাড়িত হয়। শয়তানের অস্তিত্বের ধরণ সম্পর্কে আলেমগণের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ মুফাসসিরগণের দৃষ্টিতে শয়তান জিন জাতির অন্তর্ভূক্ত।
শয়তান ও শায়াতীন (শয়তানরা) শব্দদ্বয় ৮৮ বার পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে। এর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ইবলীসকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। কুরআনের আয়াতের বর্ণনা অনুযায়ী শয়তান নবী হযরত আদমকে সেজদা করার ক্ষেত্রে আল্লাহর প্রত্যক্ষ আদেশ অমান্য করে, আর এ কারণে তাকে তার অবস্থান থেকে বিতাড়িত করা হয়। অতঃপর সে আল্লাহর নিকট কিয়ামত পর্যন্ত সুযোগ প্রার্থনা করে এবং আল্লাহ তাকে নির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত সুযোগ দেন। কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ মানুষকে শয়তানের অনিষ্ট সম্পর্কে অবহিত এবং মানুষ যাতে শয়তানের প্ররোচনার শিকার হয়ে ন্যায় ও বন্দেগীর পথ থেকে দূরে সরে না যায় সেজন্য বিশেষভাবে সতর্ক করেছেন।
রেওয়ায়েতসমূহে শয়তান সম্পর্কে অনেক বিষয় যেমন: নবি-রাসূল ও ইমামগণের সাথে শয়তানের বিভিন্ন ঘটনা, শয়তান থেকে দূরে থাকার উপায় এবং শয়তানের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী শয়তান শুধুমাত্র মানুষকে মন্দ ও গুনাহের প্রতি প্ররোচিত ও উদ্বুদ্ধ করতে পারে। কিন্তু মানুষকে মন্দকর্ম ও গুনাহ সম্পাদনে বাধ্য করার ক্ষমতা শয়তানের নেই। অবশেষে শয়তান এবং তার অনুসারীদের স্থান হবে জাহান্নাম।
গুরুত্ব
ইসলামি সংস্কৃতিতে গোমরাহকারী, মন্দ ও গুনাহের প্রতি ইন্ধনদাতা এবং আল্লাহর আদেশের বিরুদ্ধাচারীকে শয়তান বলা হয়; চাই সে মানুষ্যদের থেকে হোক কিংবা জিনদের থেকে। পবিত্র কুরআনে শয়তানকে মানব জাতির চিরশত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে; যে শুধু মানুষকে বিচ্যুতির পথে ইন্ধন দেয়।[১] শয়তান শব্দটি পবিত্র কুরআনে ৮৮ বার উল্লেখিত হয়েছে, এরমধ্যে ৭০ বার একবচন অর্থে (শয়তান) এবং ১৮ বার বহুবচন অর্থে (শায়াতিন) ব্যবহৃত হয়েছে।[২] আল্লামা মাজলিসি স্বীয় বিহারুল আনওয়ার গ্রন্থে শয়তান বা ইবলীস সম্পর্কে মাসুমীন (আ.) থেকে ১৭৭টি রেওয়ায়েত বর্ণনা করেছেন।
আল্লমা তাবাতাবায়ি ‘তাফসীরে আল মিযানে’ উল্লেখ করেছেন: মানুষকে মন্দ ও গুনাহের দিকে প্ররোচিতকারি ও ইন্ধনদাতা শয়তানের অস্তিত্ব হচ্ছে এ সৃষ্টি জগতের অন্যতম রহস্য; যা মানুষের এখতিয়ার ও স্বাধীনতার পরিচয় বহন করে।[৩] (আর এর মধ্যে মানুষের পূর্ণতার দিকে উত্তরণের সম্ভাবনা রয়েছে; কেননা মানুষ যখন শয়তানের প্ররোচনা উপেক্ষা করে নেক আমল সম্পন্ন করবে, তখন সে আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত হবে।) শয়তানের সীমারেখা শরিয়াতের বিধি-বিধানের মধ্যে সীমাবদ্ধ; অস্তিত্ব ও সৃষ্টিতত্ত্বে তার কোন কর্তৃত্ব নেই। কেননা ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী শয়তান শুধুমাত্র মানুষকে মন্দ ও গুনাহের প্রতি প্ররোচনা ও ইন্ধন দিতে সক্ষম। সুতরাং গুনাহের প্রতি প্ররোচনা ছাড়া মানুষের উপর শয়তানের অন্য কোন ক্ষমতা নেই।[৪]
শয়তান ও ইবলীসের মধ্যে সম্পর্ক
শয়তান শব্দটি ইবলীসের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়; যে হযরত আদম (আ.) সৃষ্টির পর যখন তাকে সেজদার আদেশে দেয়া হয়, তখন সে সেজদা করতে অস্বীকার করে। ইবলীস অন্যান্য শয়তানের সহযোগিতায় মানুষকে বিভ্রান্ত ও বিপথগামী করতে ব্যস্ত।[৫] শয়তান শব্দটি পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে বিশেষত সূরা বাকারার ৩৬নং আয়াতে নির্দিষ্টভাবে ইবলীস অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে; আবার কোন কোন ক্ষেত্রে বিশেষত সূরা আনআমের ১২১নং আয়াতে ইবলীসের বাহিনী ও অনুসারী অর্থে বর্ণিত হয়েছে।[৬] আল্লামা তাবাতাবায়ি ও অধিকাংশ মুফাসসিরগণের ভাষ্যমতে কুরআনে বর্ণিত শয়তান শব্দটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইবলীস অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।[৭] আরও উল্লেখ করা হয়েছে: শয়তান শব্দটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ইবলীসের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়েছে।[৮] এ শব্দটি অধিক ব্যবহারের কারণ হচ্ছে এটি ইবলীসের পরিচিত নাম হিসেবে চিহ্নিত।[৯]
জিন ও মানুষ্য শয়তানসমূহ
পবিত্র কুরআন ও হাদীসের বর্ণনায় শয়তানের নিজস্ব কোন প্রকৃতি নেই। শয়তান হচ্ছে মূলত গোমরাহকারী (বিচ্যুতকারী); চাই সে জিন জাত থেকে হোক যেমন ইবলীস ও তার অনুগামীরা অথবা মানুষ্যদের মধ্য থেকেও হতে পারে। আল্লামা তাবাতাবায়ি সূরা নিসার সর্বশেষ আয়াতের (« مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ» ‘জিনের মধ্য হতে কিংবা মানুষের মধ্য হতে’) তাফসীরে উল্লেখ করেছেন: সূরা নিসার সর্বশেষ এ আয়াতটি পূর্বের আয়াতে বর্ণিত «خناس» খান্নাস তথা ‘আত্মগোপনকারী প্ররোচক’ বাক্যের ব্যাখ্যায় এসেছে। অর্থাৎ এটা এ বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত বহন করে যে, কিছু মানুষ শয়তানদের অন্তর্ভূক্ত এবং তাদের মত সংশয় সৃষ্টিকারী। যেমনভাবে সূরা আনআমের ১১২ নং আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, « شَياطِينَ الْإِنْسِ وَالْجِنِّ » অর্থাৎ মানুষ ও জিনদের (মধ্যকার) শয়তান।[১০]
বৈশিষ্ট্যসমূহ
পবিত্র কুরআনের অনেক আয়াতে শয়তানকে মানুষের প্রকাশ্য ও ঘোরতর শত্রু হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।[১১] এছাড়া কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে শয়তানের কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়ছে; যথা: মানুষকে বিচ্যুতকারী (مُضِلٌ مُبین), [১২] সে প্রয়োজনের সময় মানুষকে ত্যাগ করে (خَذول), [১৩] মানুষকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়,[১৪] মানুষকে জাহান্নামের দিকে উস্কে দেয়,[১৫] অবাধ্য ও সীমালংঘনকারী[১৬], আল্লাহর রহমত হতে বিতাড়িত (رجیم),[১৭] মন্দ সঙ্গী,[১৮] ফিৎনাবাজ ও ধোকাবাজ[১৯] এবং ইবলীস ও তার অনুসারীরা অর্থাৎ সমস্ত শয়তানের পরিণতি হচ্ছে তারা সবাই জাহান্নামে প্রবেশ করবে এবং মহান আল্লাহর ক্রোধের শিকার হবে।[২০]
প্ররোচনা ও প্রতারণার কৌশল
পবিত্র কুরআনে মানুষকে বিচ্যুত ও বিপথগামী করার ক্ষেত্রে শয়তানের বিভিন্ন কৌশলের প্রতি ইশারা করা হয়েছে; তম্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- পরস্পরের মধ্যে ক্লেদ ও শত্রুতা গড়ে তোলা,[২১] আল্লাহর স্মরণ থেকে দূরে রাখা বিশেষ করে নামাযের প্রতি উদাসীনতা সৃষ্টি করা,[২২] অভাব ও পার্থিব সমস্যাদিকে বড় করে দেখানো,[২৩] গুনাহকে মানুষের নিকট ছোট করে প্রকাশ করা এবং বাতিল ও ভ্রান্ত চিন্তাধারাকে সুন্দর করে তুলে ধরা[২৪], দুনিয়ার চাকচিক্যকে বড় করে দেখানো এবং স্ত্রী, সন্তানাদি ও ধন-সম্পদের প্রতি আসক্ত করে তোলা,[২৫] উচ্চাকাঙ্খা ও মাত্রাতিরিক্ত মন-বাসনা সৃষ্টি করা,[২৬] গর্হিত ও পাপকর্মের বিস্তার সাধন,[২৭] এ ধরনের আরও অনেক পদ্ধতি ও কৌশলের মাধ্যমে শয়তান মানুষকে পথভ্রষ্ট করে থাকে।
পবিত্র কুরআনের আয়াতে শয়তানের কর্তৃত্ব ও ক্ষমতাকে সীমিত হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।[২৮] অদৃশ্য জগত, আধ্যাত্মিকতা, ঐশ্বরিক বিষয়াদিতে শয়তানের বিন্দুমাত্র কর্তৃত্ব নেই।[২৯] যদি কেউ আল্লাহর নির্দেশিত পথে পরিচালিত হয়, তাহলে শয়তান তার উপর কোন প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম নয়। বরং শয়তান কেবল তাদের উপরই প্রভার বিস্তার করতে সক্ষম, যারা শয়তানের অনুগামী হয়।[৩০] আল্লামা তাবাতাবায়ি এবং আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজী উল্লেখ করেছেন যে, শয়তান নবি, রাসূল ও ইমামগণ (আ.) ব্যতিত যে কোন ব্যক্তি বা বস্তুর আকৃতি ধারন করতে পারে।[৩১]
শয়তান মোকাবেলার পদ্ধতি
আল্লামা বাকির মাজলিসি ‘বিহারুল আনওয়ার’ গ্রন্থে মাসুমগণ (আ.) থেকে বর্ণিত হাদীস ও রেওয়ায়েতের উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করেছেন: আল্লাহর স্মরণ, সমস্ত কাজের শুরুতে যেমন: আহারের পূর্বে,[৩২] সফরের শুরুতে ও বাড়ী হতে বের হওয়ার সময়,[৩৩] ওযু,[৩৪] নামায,[৩৫] এবং স্ত্রী সহবাসের সময়[৩৬] ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ পাঠ করলে শয়তানের অনিষ্টতা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।
শয়তানের ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণ
শয়তানকে কেন সৃষ্টি করা হয়েছে এবং কেন শয়তান মানুষকে বিভ্রান্ত করার ক্ষমতা রাখে? মুসলিম মনীষী ও মুফাসসিরগণ এ প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিয়েছেন।[৩৭]
পবিত্র কুরআনের বর্ণনা অনুযায়ী শয়তান হচ্ছে ইবলীস; যে নবি হযরত আদমকে সেজদা দানে আল্লাহর আদেশকে অমান্য করার কারণে আল্লাহর সান্নিধ্য থেকে বিতাড়িত হয়েছে। সে আল্লাহর নিকট কিয়ামত পর্যন্ত সুযোগ প্রার্থনা করল, কিন্তু আল্লাহ তাকে কিয়ামতের পূর্বে নির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত সময় দিলেন।[৩৮] শয়তানকে অশুভ সত্তা হিসেবে সৃষ্টি করা হয় নি। সে ছয় হাজার বছর পর্যন্ত আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল ছিল। সে ফেরেশতা এবং আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্তদের সান্নিধ্যে ছিল। কিন্তু আল্লাহর আদেশ অমান্য ও দাম্ভিকতার কারণে বিপথগামির শিকার এবং আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হয়।[৩৯] আল্লামা তাবাতাবায়ি তাফসীরে আল মিযানে উল্লেখ করেছেন যে, ইবলীস সত্তাগতভাবে অশুভ ও অকল্যাণ নয়; বরং কল্যাণ ও অকল্যাণের মধ্যে সংমিশ্রিত এক সত্তা।[৪০]
মানুষকে পরিক্ষার মাধ্যম
পবিত্র কুরআনের বর্ণনা অনুযায়ী ইবলীস হচ্ছে মানুষের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যম।[৪১] আল্লাহ তায়ালা শয়তানের ইন্ধন ও প্ররোচনাকে বক্রচিন্তা ও অসুস্থ্ অন্তরের লোকদের যাচাই-বাছাইয়ের জন্য নির্ধারণ করেছেন।[৪২]
তথ্যসূত্র
- ↑ সূরা যুখরুফ, আয়াত ৬২; সূরা ইউসুফ, আয়াত ৫; সূরা কাহাফ, আয়াত ৫০; সূরা ইসরা, আয়াত ৫৩, সূরা বাকারা, আয়াত ১৬৮।
- ↑ আসগারি, মা’না শেনাছি নাভীন আয ওয়াঝে শয়তান, পৃ. ২১৪।
- ↑ আল্লামা তাবাতাবায়ি, আল-মিযান, ১৩৭৪ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ৩৮।
- ↑ সূরা ইব্রাহিম, আয়াত ২২।
- ↑ মাকারেম শিরাজী, তাফসীরে নেমুনে, ১৩৭৫ ফার্সি সন, খণ্ড ২৯, পৃ. ১৯২।
- ↑ আসগারি, মা’না শেনাছি নাভীন আয ওয়াঝে শয়তান, পৃ. ২১৪।
- ↑ তাবাতাবায়ি, আল-মিযান, ১৩৭৪ ফার্সি সন, খণ্ড ৭, পৃ. ৩২১।
- ↑ আলুসি, রুহুল মাআনি, ১৪১৭ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ২০২।
- ↑ শাবেস্তারি, এ’লামুল কুরআন, ১৩৭৯ ফার্সি সন, পৃ. ৮৩।
- ↑ তাবাতাবায়ি, আল-মিযান, আল-নাশের মানশুরাত ইসমাঈলিয়ান, খণ্ড ২০, পৃ. ৩৯৭।
- ↑ সূরা ইয়াসিন, আয়াত ৬০; সূরা কাহাফ, আয়াত ৫০; সূরা ফাতির, আয়াত ৬; সূরা বাকারা, আয়াত ২০৮ ও ১৬৮; সূরা আনআম, আয়াত ১৪২; সূরা ইউসুফ, আয়াত ৫।
- ↑ সূরা কিসাস, আয়াত ১৫; সূরা ছোয়াদ, আয়াত ৮২।
- ↑ সূরা ফুরকান, আয়াত ২৯।
- ↑ সূরা নিসা, আয়াত ১২০।
- ↑ সূরা লুকমান, আয়াত ২১।
- ↑ সূরা মারিয়াম, আয়াত ৪৪।
- ↑ সূরা নাহল, আয়াত ৯৮।
- ↑ সূরা নিসা, আয়াত ৩৮।
- ↑ সূরা আ’রাফ, আয়াত ৭, ২২, ২৭; সূরা তোয়াহা, আয়াত ২০ ও ১২০।
- ↑ সূরা ছোয়াদ, আয়াত ৮৪ ও ৮৫; সূরা ইসরা, আয়াত ৬৩।
- ↑ সূরা মায়েদা, আয়াত ৯১।
- ↑ সূরা কাহাফ, আয়াত ৬৩; সূরা ইউসুফ, আয়াত ৪২।
- ↑ الشَّیطَنُ یعدِکُم الفَقَر (সূরা বাকারা, আয়াত ২৬৮)।
- ↑ قَالَ ربِّ بِما أَغویتَنِی لاَُزَیننَّ لَهم فِی الأَرضِ (সূরা হিজর, আয়াত ৩৯)।
- ↑ সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৪।
- ↑ ولاَُضِلَّنَّهم ولاَُمنِّینَّهم (সূরা নিসা, আয়াত ১১৯); ফাখরে রাযী, আল-তাফসীরুল কাবির, ১৪১১ হি., খণ্ড ১১, পৃ. ৩৮-৩৯; তাবারি, জামেউল বায়ান, ১৪১৪ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৩৮১।
- ↑ و مَن یتَّبِع خُطُوتِ الشَّیطَانِ فإِنّهُ یأمرُ بِالفَحشاءِ والمُنکَرِ (সূরা নূর, আয়াত ২১)।
- ↑ إِنَّ کَیدَ الشَّیطَنِ کانَ ضَعیفاً (সূরা নিসা, আয়াত ৭৬)।
- ↑ و حَفظنها مِن کلِّ شیطن رجیم إِلاَّ مَنِ استَرقَ السَّمعَ فَأَتبَعَهُ شِهابٌ مُبِینٌ (সূরা নিসা, আয়াত ৭৬); সূরা সাফ্ফাত, আয়াত ৬-১০; সূরা মুলক, আয়াত ৫।
- ↑ إِنَّ عِبادِی لَیسَ لَکَ عَلیهِم سُلطَنٌ إِلاَّ مَنِ اتَّبَعکَ مِن الغَاوینَ (সূরা হিজর, আয়াত ৪২); إِنَّ عِبادی لَیسَ لَکَ عَلیهِم سُلطَنٌ و کَفَی بِربِّکَ وَکِیلا (সূরা ইসরা, আয়াত ৬৫); সূরা নাহাল, আয়াত ৯৯।
- ↑ আল্লামা তাবাতাবায়ি, আল-মিযান, ১৩৭৪ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ৬২; মাকারেম শিরাজী, তাফসীরে নেমুনে, ১৩৭৫ ফার্সি সন, খণ্ড ৭, পৃ. ২০২।
- ↑ মাজলিসি, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৬০, বাবে যিকরে ইবলিস ওয়া কেসসে, পৃ. ২০৩, হা. ২৫ ও ২৬।
- ↑ মাজলিসি, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৬০, বাবে যিকরে ইবলিস ওয়া কেসসে, পৃ. ২০১-২০২, হা. ২১।
- ↑ মাজলিসি, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৬০, বাবে যিকরে ইবলিস ওয়া কেসসে, পৃ. ২০৩, হা. ২৭।
- ↑ মাজলিসি, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৬০, বাবে যিকরে ইবলিস ওয়া কেসসে, পৃ. ২০২, হা. ২৪।
- ↑ মাজলিসি, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৬০, বাবে যিকরে ইবলিস ওয়া কেসসে, পৃ. ২০১, হা. ১৯।
- ↑ আল্লামা তাবাতাবায়ি, আল-মিযান, ১৩৭৪ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ৫৪-৬৯।
- ↑ قَالَ رَبِّ فَأَنظِرنِی إِلَی یومِ یبعثونَ قَالَ فَإِنّکَ مِن المُنظَرینَ الی یوم الوقت المعلوم (সূরা হিজর, আয়াত ৩৬ ও ৩৭)।
- ↑ নাহজুল বালাগাহ, তাসহিহ: সোবহি সালেহ, খুতবা ১৯২, পৃ. ২৮৫-২৮৬।
- ↑ আল্লামা তাবাতাবায়ি, আল-মিযান, ১৩৭৪ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ৩৭।
- ↑ و مَا کَانَ لهُ عَلیهم مِن سُلطَن إِلاَّ لِنعلمَ مَن یؤمنُ بِالأَخرةِ مِمّن هُوَ مِنها فِی شَکّ (সূরা সাবা, আয়াত ৫৩)।
- ↑ لِیجعَلَ مَا یلقِی الشَّیطَنُ فِتنةً لِلَّذینَ فِی قلوبِهم مَرضٌ والقَاسِیةِ قُلوبُهم (সূরা হজ্ব, আয়াত ৫৩)।
গ্রন্থপঞ্জি
- কুরআনুল কারিম।
- ইবনে আরাবি মহিউদ্দিন, তাফসীরে ইবনে আরাবি, তাহকিক: সামির মুস্তাফা রুবাব, প্রথম সংস্করণ, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, ১৪২২ হি.।
- বাকলি, রুযবিহান, শারহে শাতহিয়াত, তাসহিহ: হেনরি কার্বন, তৃতীয় সংস্করণ, যাবান ওয়া ফারহাঙ্গে ইরান, তেহরান, ১৩৭৪ ফার্সি সনের বসন্তকাল।
- বেইদ্বাউয়ি, নাসিরুদ্দিন, আনওয়ারুত তানযিল ওয়া আসরারুত তা’উয়িল, বৈরুত, দারুল ফিকর, তারিখ অজ্ঞাত।
- হাসান যাদেহ আমুলি হাসান, ইত্তেহাদে আকেল বে মা’কুল, দ্বিতীয় সংস্করণ, তেহরান, নাশরে হিকমাত, ১৩৬৬ ফার্সি সন।
- হাসান যাদেহ আমুলি হাসান, হেযার ওযা ইয়েক কালেমে, খণ্ড ৪, তৃতীয় সংস্করণ, নাশরে বুস্তানে কিতাব, কোম, ১৩৮১ ফার্সি সন।
- হাল্লাজ হুসাইন বিন মানসুর, তাওয়াসিন, বেকুশেশে মাহমুদ বেহাফরুযি, প্রথম সংস্করণ, ইন্তেশারাতে ইলম, ১৩৮৪ ফার্সি সন।
- শেইখ তুসি, মুহাম্মাদ বিন হাসান, আত-তিবইয়ান ফি তাফসীরিল কুরআন, বৈরুত দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, তারিখ অজ্ঞাত।
- তাবারি, মুহাম্মাদ বিন জারির, জামেউল বায়ান আন তা’য়িল আই আল-কুরআন, বে-কুশেশে জামিল আল-আত্তার সেদকি, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪১৫ হি.।
- আল্লামা তাবাতাবায়ি, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হুসাইন, আল-মিযান ফি তাফসীরিল কুরআন, নাশের: মানশুরাতে ইসমাঈলিয়ান, তারিখ অজ্ঞাত, স্থান অজ্ঞাত।
- আইনুল কাযা হামেদানি, তামহিদাত, বা মুকাদ্দামে তাসহিহ ওয়া তা’লিক আফিফ আসিরান, সপ্তম সংস্করণ, তেহরান, নাশরে মনোচেহরি, ১৩৮৬ ফার্সি সন।
- গাযযালি আহমাদ বিন মুহাম্মাদ, মাজমুয়ে অসারে ফারসি আহমাদ গাযযালি, তেহরান, ইন্তেশারাতে দানেশগাহে তেহরান, ১৩৭৬ ফার্সি সন।
- ফাখরে রাযি, মুহাম্মাদ বিন উমর, আত তাফসীরুল কাবির আও মাফাতিহুল গাইব, খণ্ড ১১, বৈরুত, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, ১৪১১ হি./১৯৯০ খ্রি.।
- গোনাবাদি সুলতান মুহাম্মাদ, তাফসীরে বায়ান আল-সাআদাতু ফি মাকামাতিল ইবাদাহ, দ্বিতীয় সংস্করণ, বৈরুত, মুআসসাসাতুল আ’লামি লিল মাতবুআত, ১৪০৮ হি.।
- মাজলিসি, মুহাম্মাদ বাকের, বিহারুল আনওয়ার, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, ১৪০৩ হি.।
- মোল্লা সাদরা, মুহাম্মাদ, তাফসীরুল কুরআনিল কারিম, তাহকিক: মুহামম্মাদ খাজাভি, দ্বিতীয় সস্করণ, কোম, ইন্তেশারাতে বিদার, ১৩৬৬ ফার্সি সন।
- মাকারেম শিরাজী, নাসের, তাফসীরে নেমুনে, তেহরান, দারুল কুতুব আল-ইসলামিয়্যাহ, ১৩৭৫ ফার্সি সন।
- মেইবাদী রশিদ উদ্দিন, কাশফুল আসরার ওয়া ইদ্দাতুল আবরার, বে-তাহকিকে আলী আসগার হিকমাত, পঞ্চম সংস্করণ, তেহরান, ইন্তেশারাতে আমীর কাবির, ১৩৭১ ফার্সি সন।
- নাহজুল বালাগাহ, তাসহিহ: সোবহি সালেহ, বৈরুত, দারুল কিতাব আল-লুবনানি, ১৯৮০ খ্রি.।