ইস্তিগফার

wikishia থেকে

ইস্তিগফার (আরবি: الاستغفار): গুনাহসমূহের মার্জনার জন্য মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা; মুখে (استغفر الله) বলার মাধ্যমে বা কোন আমল বা কাজের মাধ্যমে। পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াত ও বহু সংখ্যক রেওয়ায়েতে ইস্তিগফারের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে এবং ইস্তিগফারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কুরআনের প্রায় ৩০টি আয়াতে নবিগণের ইস্তিগফারের কথা এসেছে। ইস্তিগফারের প্রভাবগুলোর মধ্যে আল্লাহর আযাব থেকে সুরক্ষা, গুনাহসমূহের মার্জনা, রুজি বৃদ্ধি পাওয়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

‘ইস্তিগফার’কে সর্বোত্তম দোয়াইবাদত হিসেবে জ্ঞান করা হয়েছে এবং এটি মুস্তাহাব কর্মগুলোর মধ্যে অন্যতম; যদিও বিশেষ ক্ষেত্রসমূহে ওয়াজিবও হয়, যেমন- মুহরিম ব্যক্তির কাফফারা হিসেবে। পবিত্র কুরআনের শিক্ষার ভিত্তিতে মুশরিকদের পক্ষে ইস্তিগফার করা মহানবি (স.)-এর জন্য জায়েয নয়।

ইমাম আলী (আ.), অতীতে কৃত গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হওয়া, গুনাহে প্রত্যাবর্তন না করার বিষয়ে দৃঢ় সিদ্ধান্ত গ্রহণ, জনগণকে তাদের অধিকার প্রদান এবং ওয়াজিব কর্মসমূহ সম্পাদন করাকে ইস্তিগফারের শর্তাবলীর অন্যতম বলে উল্লেখ করেছেন।

সর্বক্ষেত্রে এবং সর্বস্থানে ইস্তিগফারের বিষয়ে তাগিদ প্রদান করা হয়েছে; তবে সাহার তথা শেষরাতে ইস্তিগফার করার প্রতি বিশেষ তাগিদ রয়েছে। ইস্তিগফার কখনো ব্যক্তিগত গুনাহ বা নিজের উপর জুলুমের জন্য হয়, আবার কখনো অন্যের বিষয়ে সীমালঙ্ঘন এবং সামাজিক ও দলীয় গুনাহের কারণে হয়।

পরিভাষা পরিচিতি

ইস্তিগফার শব্দটি, মুখে আস্তাগফিরুল্লাহ বলা বা কাজের মাধ্যমে[১] মহান আল্লাহর নিকট গুনাহসমূহের মার্জনা ও ক্ষমা চাওয়ার অর্থে।[২] এর উদ্দেশ্য হলো, গুনাহের কুপ্রভাব ও আল্লাহর আযাব থেকে সুরক্ষিত থাকা।[৩]

কখনো মুখে বলার মাধ্যমে ইস্তিগফার করা হয়, যেমন: আস্তাগফিরুল্লাহ বলা। আবার কখনো কোন কাজের মাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়টি প্রকাশ ঘটানোকে বোঝায়, যেমন: এমন কোন কাজ করা যা মানুষের গুনাহ ক্ষমার কারণ হয়।[৪] মুখে উচ্চারিত ইস্তিগফারের বিষয়টি তাহারাত (পবিত্রতা), নামাজ, রোজা, হজ্জ, ব্যবসা, যিহার (ظِهار) এবং বিভিন্ন গুনাহের কাফ্ফারা’র অধ্যায়ে আলোচিত হয়ে থাকে।[৫]

যেমাখশারিফাখরে রাযী’র মত আহলে সুন্নাতের কিছু কিছু মুফাসসির ‘ইস্তিগফার’ শব্দটিকে পবিত্র কুরআনের কিছু কিছু আয়াতে যেমন সূরা হুদে’র ৫২নং আয়াতে (وَيا قَوْمِ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ) ঈমান অর্থে জ্ঞান করেছেন,[৬] অথবা সূরা আনফালের ৩৩নং আয়াতে (وَما كانَ اللَّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونَ) ‘ইসলাম’ অর্থে তাফসীর করেছেন।[৭] হিজরী পঞ্চম শতাব্দির বিশিষ্ট শিয়া মুফফাসসির তাবারসী, পবিত্র কুরআনের কিছু কিছু আয়াতে আগত ‘ইস্তিগফার’ শব্দটিকে বিভিন্ন রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে ‘নামাজ আদায় করা’ অর্থে তাফসীর করেছেন এবং কাজের মাধ্যমে ইস্তিগফারে’র প্রকারে অন্তর্ভূক্ত বলে উল্লেখ করেছেন,[৮]যেমন- সূরা আলে ইমরানের ১৭নং আয়াত (الصَّابِرِينَ وَالصَّادِقِينَ وَالْقَانِتِينَ وَالْمُنْفِقِينَ وَالْمُسْتَغْفِرِينَ بِالْأَسْحَارِ) ‘তারা (তাক্বওয়াধারীরা) ধৈর্য্যশীল, সত্যবাদী, (আল্লাহর প্রতি) অনুগত, (আল্লাহর পথে) ব্যয়কারী এবং শেষ রাতে ক্ষমাপ্রার্থনাকারী।’

গুরুত্ব ও তাৎপর্য

ক্ষমা প্রার্থনার পরিভাষাটি পবিত্র কুরআনে সর্বমোট ৬৮ বার উল্লেখিত হয়েছে; এর মধ্যে ৪৩ বার (إستغفار) শব্দ থেকে সংগৃহীত শব্দ দ্বারা, ১৭ বার (إغفر) শব্দ দ্বারা, ৩ বার (یغفر), ২ বার (تغفر) এবং একবার (مغفرة) শব্দে দ্বারা উল্লেখ হয়েছে।[৯]

ইস্তিগফারের প্রতি উৎসাহিত করা অথবা ইস্তিগফার করার নির্দেশ প্রদানের বিষয়টি পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, যেমন সূরা বাকারাহ’র ১৯৯নং আয়াতে, সূরা নিসা’র ১১০নং এবং সূরা হুদের ৬১নং আয়াতে,[১০] এছাড়া বেশ কয়েকটি স্থানে যারা ইস্তিগফার করা থেকে বিরত থাকে তাদেরকে তিরস্কার করা হয়েছে।[১১]

পবিত্র কুরআনের ভাষ্যের ভিত্তিতে, ফেরেশতাগণ মু’মিন [১২] ও পৃথিবীবাসীর জন্য ইস্তিগফার করে থাকে[১৩]এবং গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা মুত্তাকী বান্দাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য বলে উল্লেখিত হয়েছে।[১৪] এছাড়া নবিগণ (আ.)-এর নিকট মহান আল্লাহর দরবারে ইস্তিগফার ও ক্ষমা প্রার্থনার জন্য গুনাহগারদের আবেদন ইত্যাদি বিষয়ের মাধ্যমে আল্লাহর বান্দাদের নিকট ইস্তিগফার করার আবেদন শিরক হওয়া প্রসঙ্গে উত্থাপিত সংশয় রদ হয়ে যায়। সুন্নি গবেষকরাও, পবিত্র কুরআনের আয়াতের ভিত্তিতে নবি (স.)-এর নিকট কারো পক্ষে ইস্তিগফারের আবেদনকে শিরক বলে সাব্যস্ত করেন নি।[১৫] ইয়াকুব (আ.)-এর সন্তানরা তাদের ভাই ইউসুফ (আ.)-এর ঘটনার পর স্বীয় পিতার নিকট এ মর্মে আবেদন জানায় যেন তিনি মহান আল্লাহর নিকট তাদের পক্ষে ইস্তিগফার ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং তিনিও (আ.) তাদেরকে এ কাজের প্রতিশ্রুতি দেন। [নোট ১] একইভাবে মহানবি (স.) সম্পর্কেও পবিত্র কুরআনে [নোট ২] উল্লিখিত হয়েছে যে, যে সকল পাপী বান্দারা গুনাহের মাধ্যমে নিজেদের উপর জুলুম করেছে তারা মহান আল্লাহর দরবারে ইস্তিগফার করে এবং মহানবিও (স.) তাদের জন্য মহান আল্লাহর নিকট ইস্তিগফার করেন। পবিত্র কুরআনে উল্লেখিত এ বিষয়টি মহানবি (স.)-এর যিয়ারত নামাতেও বর্ণিত হয়েছে।[১৬] [নোট ৩]

নবিগণ (আ.)-এর ইস্তিগফার সম্পর্কে প্রায় ৩০টি আয়াত রয়েছে।[১৭] এক্ষেত্রে বিশিষ্ট মুফাসসির আল্লামা তাবাতাবায়ী নবিগণ (আ.)-এর ইসমাত তথা নিষ্পাপত্বের বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত পূর্বক তাঁদের মাধ্যমে কোন প্রকার গুনাহে লিপ্ত হওয়াকে তাদের তাবলিগী ওয়াজিফা’র সাথে সাংঘর্ষিক বলে জ্ঞান করে এ সম্ভাবনা ব্যক্ত করেছেন যে, তাঁরা নিজেদের মুবাহ কর্মসমূহকে (যাতে না সওয়াব আছে, আর না আযাব) গুনাহ হিসেবে গন্য করে সেগুলোর জন্য মহান প্রতিপালকের নিকট ইস্তিগফার করতেন।[১৮] এ বিষয়টি (حسنات الابرار سیئات المقربین) (সৎকর্মশীলদের সৎকর্ম; নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দাদের জন্য মন্দ কাজ) শীর্ষক বাক্যের প্রতিফলন বলা যায়। কারো কারো মুবাহ কাজ অপরের জন্য শুধু গুনাহ নয় বরং কারো (আবরার) সৎকর্ম, অপরের (নৈকট্যপ্রাপ্ত) জন্য গুনাহ পরিগণিত হতে পারে।[১৯]

পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াত এবং মাসুম ইমামগণ (আ.) থেকে বর্ণিত বিভিন্ন রেওয়ায়েতে ইস্তিগফারের বিভিন্ন প্রভাবের কথা উল্লেখিত হয়েছে: আল্লাহর আযাব থেকে সুরক্ষা,[২০] গুনাহসমূহের মার্জনা[২১], রুজি ও সন্তান-সন্তুতি বৃদ্ধি[২২] এবং আয়ুস্কাল বৃদ্ধি পাওয়া[২৩] ইত্যাদি সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

একটি রেওয়ায়েতে স্পষ্টভাবে বলা হচ্ছে যে, অত্যধিক ইস্তিগফারের কারণে বান্দার আমলনামা অধিক উজ্জ্বল হয়।[২৪] অপর এক রেওয়ায়েতে, যুরারাহ ইবনে আইয়ান ইমাম সাদিক (আ.) থেকে বর্ণনা করেছেন: ‘কেউ কোন গুনাহে লিপ্ত হলে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য সে সকাল থেকে রাত্র অবধি ফুরসত পায়; যদি সে এ সময়ের মধ্যে ইস্তিগফার করে তাহলে ঐ গুনাহ তার নামে লিপিবদ্ধ করা হয় না।[২৫]

قال رسول الله صلی الله علیه وآله:

«طُوبى لمَن وُجِدَ في صَحيفَةِ عَمَلِهِ يَومَ القِيامَةِ تَحتَ كُلِّ ذَنبٍ : أستَغفِرُ اللّه َ »

আল্লাহ রাসূল (স.) বলেছেন:

‘তার জন্য কতই না মঙ্গলকর, কিয়ামতের দিন যার আমল নামা’য় প্রতিটি গুনাহের নীচে ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ লেখা থাকবে।’[রেই শাহরি, মিযানুল হিকমাহ, খণ্ড ৩, পৃ. ২২৭৪।]

আহকাম

ইস্তিগফার, মূলতঃ মুস্তাহাব একটি কর্ম, কিন্তু বিশেষ কারণে ওয়াজিব অথবা হারাম হয়ে যায়।

১. মুস্তাহাব ইস্তিগফার: ইস্তিগফারকে সর্বোত্তম দোয়াইবাদত হিসেবে গণনা করা হয়েছে এবং সর্বাবস্থায় মুস্তাহাব বলা হয়েছে; যেমন-[২৬] নামাজে দুই সিজদার মাঝখানে,[২৭] তাসবিহাতে আরবাআ পাঠের পর,[২৮] কুনুতে; বিশেষভাবে বিতরের নামাজের কুনুতে,[২৯] শেষরাতে[৩০] এবং রমজান মাসে[৩১]

২. ওয়াজিব ইস্তিগফার: কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইস্তিগফার করা ওয়াজিব হয়ে পড়ে; যেমন মুহরিম ব্যক্তি এক বা দু’বার ঝগড়ায় লিপ্ত হলে ইস্তিগফার করা।[৩২] ৩. হারাম ইস্তিগফার: পবিত্র কুরআনের ভাষ্যানুযায়ী, মুশরিকের পক্ষে মু’মিনের ইস্তিগফার করা জায়েয নয়।[৩৩] ইব্রাহিম (আ.)-এর আব্বা (চাচা বা নানা)-এর জন্য ইস্তিগফার প্রসঙ্গে মুফাসসিরগণের মাঝে মতভেদ রয়েছে, যদিও সে মুশরিক ছিল।[৩৪] তবে কুরআনের ভাষ্যানুযায়ী যেহেতু হযরত ইব্রাহিম (আ.) নিজের আব্বা (চাচা বা নানা) আযার’কে ওয়াদা করেছিলেন, এ জন্য তিনি তার পক্ষে ইস্তিগফার করেছিলেন। কিন্তু  তার ঈমান না আনার বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি তার থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করেন এবং তার জন্য আর ইস্তিগফার করেন নি। সূরা তওবাহ’র ১১৪নং আয়াতে এ ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে: وَمَا كَانَ اسْتِغْفَارُ إِبْرَاهِيمَ لِأَبِيهِ إِلَّا عَنْ مَوْعِدَةٍ وَعَدَهَا إِيَّاهُ فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُ أَنَّهُ عَدُوٌّ لِلَّهِ تَبَرَّأَ مِنْهُ ۚ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ لَأَوَّاهٌ حَلِيمٌ


ইব্রাহিমের আব্বা-এর জন্য ক্ষমা প্রার্থনার ব্যাপারটি কেবলমাত্র তার প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে যা সে তাকে দিয়েছিল। কিন্তু যখন এটা তার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, সে আল্লাহর শত্রু, তখন সে তার থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করল; ইব্রাহিম ছিল অতি কোমল হৃদয়, সহিষ্ণু।

ইস্তিগফারের শিষ্টাচার

মাসুম ইমামগণ (আ.) থেকে বর্ণিত বিভিন্ন রেওয়ায়েতে ইস্তিগফারের বিভিন্ন আদব ও শিষ্টাচারের কথা উল্লেখিত হয়েছে। ইস্তিগফাররত এক ব্যক্তির উদ্দেশ্যে ইমাম আলী (আ.) ইস্তিগফারের হকিকত সম্পর্কে ৬ বৈশিষ্ট্যের কথা বললেন, সেগুলো হলো; অতীতের কৃতকর্ম সম্পর্কে অনুতপ্ত হওয়া, গুনাহে প্রত্যাবর্তন না করার বিষয়ে দৃঢ় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, জনগণকে তাদের অধিকার প্রদান করা, যে সকল ওয়াজিব কর্ম নষ্ট হয়েছে সেগুলোকে আঞ্জাম দেওয়া, হারামের মাধ্যমে যে মাংস শরীরে তৈরি হয়েছে সেগুলো গলিয়ে ফেলার চেষ্টা করা এবং আনুগত্যের কষ্টের স্বাদ শরীরকে প্রদান করা।[৩৫]

ইস্তিগফারের জন্য যদিও কোন স্থান ও কাল নির্দিষ্ট নেই; কিন্তু পবিত্র কুরআনে ইস্তিগফারের জন্য শেষ রাতের সময়ের বিষয়ে অধিক তাগিদ করা হয়েছে। আর এ বিষয়টি সূরা যারিয়াতের ১৫-১৮ নং আয়াতে মুত্তাকী ব্যক্তিদের বৈশিষ্ট্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।[৩৬] (وَبِالْأَسْحَارِ هُمْ يَسْتَغْفِرُونَ)

ইস্তিগফারের প্রকার

ইস্তিগফারকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে:

১. ব্যক্তিগত গুনাহ ও নিজের উপর জুলুম করার জন্য ইস্তিগফার করা (ব্যক্তিগত গুনাহ)।

২. অন্যের বিষয়ে সীমালঙ্ঘন ও অন্যের সাথে সম্পৃক্ত গুনাহ থেকে ইস্তিগফার।

-সামাজিক গুনাহ থেকে ইস্তিগফার (উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ ও সমাজের নেতাদের গুনাহ)।[৩৮]

তথ্যসূত্র

  1. রাগেব, মুফরাদাতুল আলফাযিল কুরআন, ১৪১৬ হি., পৃ. ৬০৯।
  2. ইস্কান্দারানি, কাশফুল আসরার, ২০১০ খ্রি., খণ্ড ২, পৃ. ৪৬।
  3. ইবনে আশুর, আত তাহরির ওয়াত তানভির, ১৪২০ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ২২৩; রাগেব, মুফরাদাতুল আলফাযিল কুরআন, ১৪১৬ হি., পৃ. ৬০৯।
  4. মুআসসেসেয়ে দায়েরাতুল মাআরেফ ফিকহে ইসলামী, ফারহাঙ্গে ফিকহ, ১৩৮২ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ৪৩৯।
  5. মুআসসেসেয়ে দায়েরাতুল মাআরেফ ফিকহে ইসলামী, ফারহাঙ্গে ফিকহ, ১৩৮২ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ৪৩৯।
  6. যেমাখশারি, আল-কাশশাফ, দারুল কিতাব আল-আরাবি, খণ্ড ২, পৃ. ৪০২।
  7. ফাখরে রাযি, আত তাফসিরুল কাবির, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ১৫, পৃ. ১৫৮।
  8. তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ৭১৪।
  9. মারকাযে ফারহাঙ্গ ওয়া মাআরেফে কুরআন, দায়েরাতুল মাআরেফ কুরআনে কারিম, ১৩৮৫ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ১৩৪।
  10. আব্দুল বাকি, আল-মু’জামুল মুফাহরাস, ১৪১২ হি., পৃ. ৫০০।
  11. اَفَلایتوبونَ اِلَی اللهِ ویستَغفِرونَهُ (সূরা মায়িদাহ, আয়াত ৭৪)।
  12. সূরা গাফির, আয়াত ৭।
  13. সূরা শূরা, আয়াত ৫।
  14. সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১৫-১৬; মাকারেম শিরাযি, তাফসিরে নেমুনে, খণ্ড ২, পৃ. ৪৬৩।
  15. «درس‌هایی در مورد وهابیت آیت‌الله سبحانی» মাদরেসেয়ে ফোকাহাত।
  16. কুম্মি, মাফাতিহুল জিনান, যিয়ারাতে হযরত রাসূল (স.); https://miqat.hajj.ir/article_38077.html
  17. মারকাযে ফারহাঙ্গ ওয়া মাআরেফে কুরআন, দায়েরাতুল মাআরেফ কুরআনে কারিম, ১৩৮৫ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ১৩৪।
  18. তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৯০ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ৩৬৭।
  19. ইরবিলি, কাশফুল গুম্মাহ ফি মা’রিফাতিল আয়িম্মাহ, ১৩৮১ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২৫৪।
  20. সূরা আনফাল, আয়াত ৩৩; আলী আল-মুসাভি, শারহে নাহজুল বালাগাহ, ১৪১৮ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ২৬৭; এছাড়াও দেখুন: মাকারেম শিরাযি, তাফসিরে নেমুনে, ১৩৮০ ফার্সি সন, খণ্ড ৭, পৃ. ১৫৪-১৫৫।
  21. সূরা নূহ, আয়াত ১০।
  22. সূরা নূহ, আয়াত ১০-১২।
  23. তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খণ্ড ১০, পৃ. ৫৪৩; ফাখরে রাযি, আত তাফসিরুল কাবির, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ৩০, পৃ. ১৩৭।
  24. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৫০৪।
  25. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪৩৭।
  26. হুররে আমেলি, ওয়াসায়েলুশ শিয়া, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ১৮০।
  27. ইয়াযদি, উরওয়াতুল উসকা, ১৪০৯, খণ্ড ১, পৃ. ৬৮৩।
  28. ইয়াযদি, উরওয়াতুল উসকা, ১৪০৯, খণ্ড ১, পৃ. ৬৫৮।
  29. ইয়াযদি, উরওয়াতুল উসকা, ১৪০৯, খণ্ড ১, পৃ. ৬৯৯।
  30. নাজাফি, জাওয়াহেরুল কালাম, ১৩৬৭ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ৩৩।
  31. হুররে আমেলি, ওয়াসায়েলুশ শিয়া, ১৪০৯ হি., খণ্ড ১০, পৃ. ৩০৪।
  32. তিন বারের কম ঝগড়ায় লিপ্ত হলে ইস্তিগফার করা ব্যতিত কিছু নেই; তবে তিনবার হলে কাফ্ফারা হিসেবে একটি ভেড়া দিতে হবে (মাহমুদি, মানাসেকে উমরেয়ে মুফরাদাহ, ১৩৮৭ ফার্সি সন, পৃ. ৬৯।
  33. সূরা তওবাহ, আয়াত ১১৩।
  34. তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৪১৫ হি, খণ্ড ৫, পৃ. ১৩২।
  35. নাহজুল বালাগাহ, শারহে আব্বাস আলী আল-মুসাভি, হিকমাত ৪১৭, পৃ. ৫০৮।
  36. দ্র: সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১৭; সূরা যারিয়াত, আয়াত ১৮।

গ্রন্থপঞ্জি

  • ইবনে আশুর, মুহাম্মাদ তাহের, আত তাহরির ওয়াত তানভির, বৈরুত, মুআস্সাসাতুত তারিখ, ১৪২০ হি.।
  • ইরবিলি, আলী ইবনে ঈসা, তাহকিক ওয়া তাসহিহ: সাইয়্যেদ হাশেম রাসুলি মাহাল্লাতি, তাবরিয, নাশের বানি হাশেমি, প্রথম সংস্করণ, ১৩৮১ হি.।
  • ইস্কান্দারানি, মুহাম্মাদ বিন আহমাদ, কাশফুল আসরার আল-নূরানিয়্যাহ আল-কুরআনিয়্যাহ, তাসহিহ: আহমাদ ফরিদ আল-মাজিদি, বৈরুত, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ।
  • হুররে আমেলি, মুহাম্মাদ বিন হাসান, তাফসিলু ওয়াসায়েলিশ শিয়া ইলা তাহসিলি মাসায়েলিশ শারিয়্যাহ, কোম, মুআসসাসাতু আলুল বাইত (আ.) লি ইহিয়ায়িত তুরাস, ১৪০৯ হি.।
  • রাগেব ইস্পাহানি, হুসাইন বিন মুহাম্মাদ, মুফরাদাতু আলফাযিল কুরআন, দামেস্ক, দারুল কালাম, ১৪১৬ হি.।
  • যেমাখশারি, মাহমুদ বিন উমর, আল-কাশশাফ আন হাকায়েকি লিত তানযিলি ওয়া উয়ূনিল আকাভিলি ফি ওজুহিত তা’ভিল, বৈরুত, দারুল কিতাব আল-আরাবি, তারিখ অজ্ঞাত।
  • আলী মুসাভি, আব্বাস, শারহে নাহজুল বালাগাহ, বৈরুত, দারুর রাসুল আল-আকরাম, ১৪১৮ হি./১৯৯৮ খ্রি.।
  • তাবারসি, ফাযল বিন হাসান, মাজমাউল বায়ান ফি তাফসিরিল কুরআন, তেহরান, নাসের খসরু, ১৩৭২ ফার্সি সন।
  • আব্দুল বাকি, মুহাম্মাদ ফুয়াদ, আল-মু’জামুল মুফাহরাস লি আলফাজিল কুরআনিল কারিম, বৈরুত, দারুল মা’রিফাহ, ১৪১২ হি.।
  • আল্লামা তাবাতাবায়ী, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হুসাইন, আল-মিযান ফি তাফসিরিল কুরআন, বৈরুত, মুআস্সাসাতুল আ’লামি লিল মাতবুআত, ১৩৯০ হি./ ১৯৭১ খ্রি.।
  • ফুয়াদ আব্দুল বাকি, মুহাম্মাদ, আল-মু’জামুল মুফাহরাস লি আলফাজিল কুরআনিল কারিম, কায়রো, দারুল কুতুব আল-মিসরিয়্যাহ, ১৩৬৪ হি.।
  • ফাখরে রাযি, মুহাম্মাদ বিন উমর, আত তাফসিরুল কাবির, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, তারিখ অজ্ঞাত।
  • কুলাইনি, মুহাম্মাদ বিন ইয়াকুব, উসুলে কাফি, তাসহিহ: আলী আকবার গাফ্ফারি, তেহরান, দারুল কুতুব আল-ইসলামিয়্যাহ, চতুর্থ সংস্করণ, ১৪০৭ হি.।
  • মুআসসেসেয়ে দায়েরাতুল মাআরেফ ফিকহে ইসলামী, ফারহাঙ্গে ফিকহ মোতাবেকে মাযহাবে আহলে বাইত, বা আশরাফ ওয়া নেযারাতে সাইয়্যেদ মাহমুদ হাশেমি শাহরুদি, কোম, মুআসসেসেয়ে দায়েরাতুল মাআরেফ ফিকহে ইসলামী, ১৩৮২ ফার্সি সন।
  • মাহমুদি, মুহাম্মাদ রেজা, মানাসেক উমরেয়ে মুফরাদা: মোতাবেক বা ফতওয়ায়ে হযরত আয়াতুল্লাহিল উযমা ইমাম খোমেনী ওয়া মারাজে’ মুয়াজ্জামে তাকলীদ, তেহরান, মাশআর, ১৩৮৭ ফার্সি সন।
  • মারকাজে ফারহাঙ্গ ওয়া মাআরেফে কুরআন, দায়েরাতুল মাআরেফে কুরআনে কারিম, কোম, মুআসসেসেয়ে বুসতানে কিতাব, ১৩৮৫ ফার্সি সন।
  • মাকারেম শিরাযি, নাসের, তাফসিরে নেমুনে, তেহরান, দারুল কুতুব আল-ইসলামিয়্যাহ, ১৩৮০ ফার্সি সন।
  • নাজাফি, মুহাম্মাদ হাসান বিন বাকের, জাওয়াহেরুল কালাম ফি শারহি শারায়ে’ আল-ইসলাম, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, ১৩৬২ হি.।
  • ইয়াযদি, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ কাযিম, আল-উরওয়াতুল উসকা, বৈরুত, মুআসসাসাতুল আ’লামি লিল মাতবুআত, ১৪০৯ হি.।
  • https://ganjoor.net/naraghi/taghdis/sh143, নারাকি, মোল্লা আহমাদ, তাকদিস।
  • ((দারসে গুফতারে কুরআনে কারিম রুযে ইয়াযদাহোম | লুযুমে ইস্তেগফারে দায়েমি)), https://farsi.khamenei.ir/speech-content?id=20585