কারবালার বন্দীরা
কারবালার বন্দীরা (আরবি: سبايا كربلاء) হচ্ছেন কারবালার ঘটনায় ইমাম হুসাইনের (আ.) দলের বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা যেমন শীয়াদের চতুর্থ ইমাম হযরত যয়নুল আবেদীন (আ.) এবং হযরত যায়নাবসহ (সা. আ.) যাদেরকে উমর ইবনে সা’দের লস্কর বন্দী করেছিল। উমর ইবনে সা’দের নির্দেশে মুহাররমের এগার তারিখ রাতে বন্দীদেরকে কারবালায় রাখা হয় এবং এগার তারিখে দুপুরের পর কুফায় উবায়দুল্লাহ ইবনে যিয়াদের নিকট নিয়ে যাওয়া হয়। ইবনে যিয়াদ বন্দীদেরকে পর্দা ও ছাওনি ছাড়া সওয়ারী’র মাধ্যমে শিমার ও তরিক ইবনে মুহাফ্ফাযের ন্যায় ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দলের সাথে শামে (দামেস্কে) ইয়াযিদ ইবনে মুয়াবিয়ার দরবারে প্রেরণ করে। ইমাম যয়নুল আবেদীন (আ.)-এর ন্যায় কিছু ব্যক্তির হাতে ও পায়ে শিকল পরিয়ে দেয়া হয়।
বন্দীকালীন সময়ে ইমাম সাজ্জাদ তথা ইমাম যয়নুল আবেদীন (আ.) এবং হযরত যায়নাব (সা. আ.) কর্তৃক প্রদত্ত বক্তব্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কিছু কিছু মানুষের আত্মিক পরিবর্তন ঘটে এবং তারা অনুতপ্ত হন। কোন কোন বর্ণনানুসারে, ইয়াযিদ (যদিওবা বাহ্যিকভাবে) তার অপরাধ ও কর্মকাণ্ডের জন্য অনুতপ্ত হয়।
শেইখ মুফিদ, শেইখ তুসি এবং মুহাদ্দেস নূরীর ন্যায় আলেমগণ এই আকীদা পোষণ করেন যে, কারবালার বন্দীরা মুক্তি পাওয়ার পর কারবালায় নয়, মদীনায় ফিরে গিয়েছিলেন; কিন্তু লোহুফ গ্রন্থে সাইয়্যেদ ইবনে তাঊসের ভাষ্যানুসারে, বন্দীরা কারবালাতে ফিরে গিয়েছিলেন।
বন্দীত্বের শুরু
আশুরার ঘটনার পর, উমর সা’দের বাহিনী তাদের দলের নিহত সদস্যদেরকে ১১ই মুহাররম দিনের বেলা দাফন করেন এবং ইমাম হুসাইন (আ.)-এর পরিবার এবং সঙ্গী-সাথীগণের মধ্যে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদেরকে কুফার দিকে নিয়ে যায়।[১]
«یا محمداه، یا محمداه! صلی علیک ملائکة السماء، هذا الحسین بالعراء، مرمل بالدماء، مقطع الأعضاء، یا محمداه! و بناتک سبایا، و ذریتک مقتله، تسفی علیها الصبا قال: فابکت والله کل عدو و صدیق»
হে মুহাম্মাদ, হে মুহাম্মাদ! আসমানের ফেরেশতারা তোমার উপর দরুদ পাঠ করে, এই হচ্ছে হুসাইন, রক্তে ভেজা, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিচ্ছিন্ন, মরুভূমিতে পড়ে রয়েছে! হে মুহাম্মাদ, তোমার কন্যারা বন্দী, তোমার বংশধরদের হত্যা করা হয়েছে, যাদের উপর দিয়ে বাতাস বইছে। বর্ণনাকারী বলেন, "আল্লাহর কসম, তিনি বন্ধু এবং শত্রু উভয়কেই কাঁদিয়েছেন।"[২]
দলীলপত্র সংরক্ষণের তারিখ
উমর ইবনে সা’দের বাহিনীর লোকেরা আহলে বাইতের (আ.) নারীদেরকে শহীদদের লাশের পাশ দিয়ে নিয়ে যায়। ইমাম হুসাইন (আ.)-এর পরিবারের নারীরা তখন আর্তনাদ করতে থাকেন এবং নিজেদের মুখে আঘাত করতে থাকেন। যেরূপভাবে কুররাহ ইবনে কায়েস হতে বর্ণিত হয়েছে, হযরত যায়নাব (সা. আ.) যখন তাঁর ভ্রাতা ইমাম হুসাইন (আ.)-এর মৃতদেহের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন তখন অত্যন্ত আর্তনাদ করে এমন সব শব্দ চয়ন করেন যা বন্ধু ও শত্রু উভয়কেই কাঁদিয়েছিল।[৩]
বন্দীদের সংখ্যা ও নাম
এছাড়াও দেখুন: আশুরার ঘটনা
কারবালার বন্দীদের সংখ্যা ও নাম এবং ইমাম হুসাইন (আ.)-এর বেঁচে থাকা আসহাব সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের দেওয়া তথ্যের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে। পুরুষ বন্দীর সংখ্যা, চার, পাঁচ, দশ ও বারো জন উল্লেখ করা হয়েছে। নারী বন্দীর সংখ্যাও চার, ছয় এবং বিশ জন বলে উল্লেখিত হয়েছে।[৪] কেউ কেউ বন্দীদের সংখ্যা ২৫ জন পর্যন্ত উল্লেখ করেছেন।[৫] এরই পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়, কারবালার বন্দীদের সংখ্যা সম্পর্কে সুনিশ্চিতভাবে মত প্রকাশ করা সম্ভব নয়।[৬] যেসব পুরুষ বন্দীদের নাম গ্রন্থসমূহে উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে: ইমাম যয়নুল আবেদীন (আ.), ইমাম বাকের (আ.), ইমাম হুসাইনের (আ.) দুই সন্তান মুহাম্মাদ ও উমর, ইমাম হাসান (আ.)-এর সন্তান যায়েদ এবং নাতী মুহাম্মাদ,[৭] হাসানে মুসান্না যিনি যুদ্ধে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে অজ্ঞান হয়েছিলেন,[৮] কাসেম ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে জা’ফার, কাসেম ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে জা’ফার, মুহাম্মাদ ইবনে আকিল[৯] তারিখে ক্বিয়াম ওয়া মাক্বতালে জামে’ সাইয়্যেদুশ শুহাদা গ্রন্থে ১৭ জন পুরুষের নাম কারবালার বন্দী ও জীবিত হিসেবে উল্লেখিত হয়েছে।[১০] কারবালায় নারী বন্দীদের নামগুলো হচ্ছে: হযরত যায়নাব (সা.আ.), ফাতেমা ও উম্মে কুলসুম[১১] এবং রুকাইয়া[১২] হচ্ছেন ইমাম আলী (আ.)-এর কন্যা, রুবাব ইমাম হুসাইন (আ.)-এর স্ত্রী[১৩] এবং ফাতেমা ইমাম হাসান (আ.)-এর কন্যা,[১৪] সকিনা, ফাতেমা, রুকাইয়া এবং যায়নাব নামের ইমাম হুসাইন (আ.)-এর চার কন্যা।[১৫]
কারবালায় বনু হাশিমের বাইরে যারা জীবিত ছিলেন তারা হচ্ছেন: মুরাক্কে’ ইবনে সুমামাহ আসাদি, সাওওয়ার ইবনে উমাইর জাবেরি, উমর ইবনে আব্দুল্লাহ জুনদায়ী, রুবাবের (ইমাম হুসাইনের (আ.) স্ত্রী) গোলাম উক্ববাহ ইবনে সামআন, যাহহাক ইবনে আব্দুল্লাহ মাশরেকী, মুসলিম ইবনে রিবাহ এবং আব্দুর রহমান ইবনে আব্দে রাব্বিহ আনসারি।[১৬] বনু হাশিমের বাইরের জীবিত ব্যক্তি হিসেবে, সাওওয়ার ইবনে উমাইর, উক্ববাহ, মুসলিম ইবনে রিবাহ এবং আব্দুর রহমান ইবনে আব্দে রাব্বিহ’র গোলাম কারবালার বন্দীদের মধ্যকার হিসেবে গণ্য হন।[১৭]
বন্দীদেরকে যেখানে নিয়ে যাওয়া হয়
কুফায় প্রবেশ
শারহে নাহজুল বালাগা গ্রন্থে ইবনে আবিল হাদিদের উল্লেখানুসারে, কারবালার বন্দীদেরকে খালি উটের পিঠে বসিয়ে কুফায় নিয়ে যাওয়া হয়। লোকজনের দৃষ্টি তাদের উপর নিবদ্ধ হচ্ছিল এবং এমতাবস্থায় কুফার নারীরা বন্দীদেরকে দেখে ক্রন্দন করছিলেন।[১৮]
বলা হয় যে, বন্দীদের কুফায় প্রবেশের সময় সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পূর্বেকার উৎসগুলোতে উল্লেখিত হয়নি।[১৯] তবে শেইখ মুফিদের উল্লেখানুসারে,[২০] কারবালার বন্দীদের কুফায় প্রবেশের সময়কে ১২ই মুহাররম বিবেচনা করা যেতে পারে।[২১]
উমর ইবনে সা’দের বাহিনীর সদস্যরা, বন্দীদেরকে কুফার অলিতে-গলিতে ঘুরানোর পর তাঁদেরকে উবায়দুল্লাহ ইবনে যিয়াদের প্রাসাদে নিয়ে যায়। সেখানে হযরত যায়নাব (সা.আ) এবং ইবনে যিয়াদের মধ্যকার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের কথা উল্লেখিত হয়েছে।[২২] হযরত যয়নাব (সা.আ.)-এর সুপ্রসিদ্ধ উক্তিটি «ما رَأیْتُ اِلّا جَمیلاً » ; “সুন্দর ছাড়া কিছুই দেখিনি ”- এই সমাবেশের সাথে সম্পর্কিত। অনুরূপভাবে ইবনে যিয়াদ ইমাম যয়নুল আবেদীন (আ.)-কে হত্যার নির্দেশ দেয়, কিন্তু হযরত যয়নাব (সা.আ.)-এর কঠোর হুঁশিয়ারি এবং ইমাম যয়নুল আবেদীন (আ.)-এর তেজদীপ্ত ভাষণের পর ইবনে যিয়াদ তাঁকে হত্যা করা হতে বিরত থাকে।[২৩]
শামের রাস্তা

ওবায়দুল্লাহ ইবনে যিয়াদ কারবালার বন্দীদের সাথে শিমার ও তারিক ইবনে মুহাফ্ফেযসহ একটি দলকে শামে প্রেরণ করে।[২৪] কোন কোন সূত্রানুসারে, যাহর বিন কাইসও তাদের সাথে ছিল।[২৫] বন্দীদেরকে কুফা থেকে শামে নিয়ে যাওয়ার সঠিক রাস্তা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় নি; কেউ কেউ মনে করেন যে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর সাথে সম্পর্কিত স্থানগুলোর প্রতি লক্ষ্য রেখে কারবালার বন্দীদেরকে নিয়ে যাওয়ার পথ নিরূপণ করা সম্ভব; যেমন, দামেস্কে ‘মাকামে রা’সুল হুসাইন’ {ইমাম হুসাইনের (আ.) মস্তক মোবারক দাফনের বা রাখার স্থান} ও মাকামে ইমাম যয়নুল আবেদীন আবেদীন (আ.),[২৬] হেমস,[২৭] হামাঅ,[২৮] বাআলবাক,[২৯] হাজার,[৩০] এবং তুরাহ।[৩১]
দানেশনামে-এ ইমাম হুসাইন (আ.) গ্রন্থে এসেছে যে, ঐ সময়ে কুফা এবং শামের মধ্যে চলাচলের জন্য তিনটি মূল রাস্তা (বাদিয়ার রাস্তা, ফুরাতের পাশের রাস্তা এবং দাজলার পাশের রাস্তা) বিদ্যমান ছিল যার প্রত্যেকটিরই আবার বিভিন্ন শাখা প্রশাখা ছিল।[৩২] এই গ্রন্থের লেখকগণ মনে করেন যে সুস্পষ্ট ও সুনিশ্চিত প্রমাণ না থাকার কারণে এই ব্যাপারে সঠিক মতামত ব্যক্ত করা সম্ভব নয়; তবে বিভিন্ন আলামত ও চিহ্ন পর্যালোচনার মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় বন্দীদেরকে খুব সম্ভবত বাদিয়ার রাস্তা দিয়ে কুফা থেকে শামে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।[৩৩]
কিছু কিছু সূত্রানুযায়ী যেমন তারিখে তাবারি, শেইখ মুফিদ এবং তারিখে দামেস্কের তথ্যানুসারে, প্রথমে ইমাম হুসাইনের (আ.) মস্তক মোবারক এবং অন্যান্য শহীদদের মস্তকগুলোকে শামে প্রেরণ করা হয় এবং পরে বন্দীদেরকে পাঠানো হয়; কিন্তু অন্যান্য সূত্রের ভিত্তিতে, শহীদদের মস্তকগুলোকে বন্দীদের সাথেই শামে পাঠানো হয়।[৩৪]
ওবায়দুল্লাহর সৈন্যদের ব্যবহার
ইবনে আ’সাম এবং খাওয়ারেযমি’র বর্ণনানুসারে, ওবায়দুল্লাহ ইবনে যিয়াদের সৈন্যরা কারবালার বন্দীদেরকে কুফা থেকে শাম পর্যন্ত খোলা ও অনাচ্ছাদিত বাহনে এক শহর থেকে আরেক শহরে এবং বাড়িতে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল, যেভাবে তুর্ক (কাফের) ও দায়লাম বন্দীদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।[৩৫] শেইখ মুফিদ কর্তৃক বর্ণিত রেওয়ায়েত অনুসারে, ইমাম যয়নুল আবেদীনকে (আ.) বন্দীদের মধ্যে জিঞ্জির তথা শিকল পরা অবস্থায় দেখা গেছে।[৩৬]
ইমাম যয়নুল আবেদীন (আ.) হতে বর্ণিত একটি রেওয়ায়েতে ইবনে যিয়াদের বাহিনীর আচরণ সম্পর্কে এভাবে উল্লেখ করা হয়েছে: আলী ইবনে হুসাইন (আ.)-কে একটি ক্ষীণকায় ও খোড়া উটের পিঠে গদিবিহীন কাঠের উপর আরোহন করানো হয়; যখন ইমাম হুসাইনের (আ.) মস্তক বর্ষার উপর, নারীরা মাথার পিছনে এবং বর্ষাগুলো তাদেরকে ঘিরে তাক করা ছিল। তাদের কারও চোখ হতে অশ্রু প্রবাহিত হলে, তার মাথায় বর্ষা দিয়ে আঘাত করা করতো, শামে প্রবেশ করা পর্যন্ত এভাবেই চলেছিল।[৩৭]
বন্দীদের শামে উপস্থিতি

বন্দীদের শামে প্রবেশ, তাদের সাথে আচরণের ধরন, তাদের রাখার স্থান এবং কোন কোন বন্দীর ভাষণ প্রদানের ঘটনাসমূহ সম্পর্কে ঐতিহাসিক সূত্রগুলোতে তথ্যসমূহের উল্লেখ রয়েছে। এসব তথ্যানুসারে, শামে শহীদদের মস্তক প্রবেশের তারিখ ছিল পহেলা সফর।[৩৮] এই দিনে বন্দীদেরকে ‘তুমা’ বা ‘সাআত’ প্রবেশদ্বার দিয়ে শহরে প্রবেশ করানো হয় এবং সাহল ইবনে সা’দের ভাষ্যানুসারে, ইয়াযিদের নির্দেশে শহর নজিরবিহীনভাবে সাজানো হয়।[৩৯] কোন কোন সূত্রের তথ্যানুসারে, শহর সাজানোর জন্য বন্দীদেরকে তিন দিন শহরের বাইরে প্রবেশদ্বারের পিছনে আটক রাখা হয়।[৪০]
বন্দীরা শহরে প্রবেশের পর, তাদেরকে উমাভি জামে মসজিদের প্রবেশদ্বারে একটি মঞ্চের উপর স্থান দেওয়া হয়।[৪১] বর্তমানে এই মসজিদে মেহরাব ও মসজিদের মূল মিম্বরের সামনে পাথর ও কাঠের বেড়া দিয়ে তৈরি একটি স্থান রয়েছে যা কারবালার বন্দীদের অবস্থান করার স্থান হিসেবে পরিচিত।[৪২]
কোন কোন সূত্র মতে, ইমাম হুসাইন (আ.)-এর পরিবারবর্গ শামে অবস্থান করেন দুই দিন,[৪৩] এবং ‘খারাবে-এ শাম’ নামে প্রসিদ্ধ ছাদহীন একটি পরিত্যক্ত ভবনে তাদেরকে রাখা হয়।[৪৪] শেইখ মুফিদ বন্দীদের অবস্থানের জায়গাটিকে ইয়াযিদের প্রাসাদের নিকটবর্তী একটি বাড়ি বলে চিহ্নিত করেছেন।[৪৫] শামে বন্দীদের অবস্থানের সময়কাল সম্পর্কে প্রসিদ্ধ মত[৪৬] হচ্ছে তিন দিন, তবে সাত দিন[৪৭] এবং এক মাসও বর্ণিত হয়েছে।[৪৮]মে কারবালার বন্দীদের সম্পর্কে কোন কোন ঐতিহাসিক প্রতিবেদন হচ্ছে:
- ইয়াযিদের প্রাসাদে বন্দীদের প্রবেশ: কারবালার বন্দীরা শামে প্রবেশ করার পর, যাহর ইবনে কাইস অথবা শিমার ইবনে যিল জাওশান[৪৯] কারবালার ঘটনার বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে ইয়াযিদকে অবহিত করে।[৫০] ইয়াযিদ ঘটনার বিস্তারিত শোনার পর, প্রাসাদ সাজানোর, শামের সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের আমন্ত্রণের এবং বন্দীদেরকে প্রাসাদে হাজির করার নির্দেশ প্রদান করে।[৫১]
সূত্রানুসারে, বন্দীদেরকে যখন ইয়াযিদের সভায় হাজির করা হয়, তখন তাদের সকলেই একই দড়িতে বাঁধা অবস্থায় ছিলেন।[৫২]এমতাবস্থায় ইমাম হুসাইন (আ.)-এর কন্যা বলেন: হে ইয়াযিদ! রাসূলুল্লাহর কন্যাদের জন্য বন্দী হওয়াই উপযুক্ত? এ সময় উপস্থিত লোকজন এবং ইয়াযিদের ঘরের লোকেরা ক্রন্দন করেন।[৫৩]
- বন্দীদের সামনে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর মস্তক মোবারকের সাথে ইয়াযিদের আচরণ: ইয়াযিদ বন্দীদের উপস্থিতিতে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর মস্তককে স্বণের পাত্রে রেখে[৫৪] ছড়ি দিয়ে তাতে আঘাত করতে থাকে।[৫৫] ইবনে আসিরের দেওয়া তথ্যানুসারে, ইমাম হুসাইন (আ.)-এর কন্যা সকিনা ও ফাতেমা যখন এই দৃশ্য দেখেন তখন এমনভাবে চিৎকার করে ওঠেন যে ইয়াযিদের স্ত্রীরা এবং মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ানের কন্যারা ক্রন্দন করতে থাকে।[৫৬] শেইখ সাদুক কর্তৃক ইমাম রেযা (আ.) হতে বর্ণিত একটি রেওয়ায়েত অনুসারে, ইয়াযিদ ইমাম হুসাইন (আ.)-এর মস্তককে একটি থালায় রাখে এবং তার উপর খাওয়ার টেবিল রাখে। অতঃপর তার সহযোগিদের সাথে আহারে ব্যস্ত হয় এবং তারপর দাবা খেলার টেবিলকে ঐ থালার উপর রাখে এবং তার সহযোগিদের সঙ্গে দাবা খেলায় মশগুল হয়। বলা হয়, সে যখন খেলায় জয়লাভ করতো তখন মদের (যব থেকে উৎপন্ন মদ) পিয়ালা হতে মদ পান করার পর অবশিষ্ট অংশকে ইমামের (আ.) মস্তক রাখা থালার পাশে মাটিতে ফেলতো।[৫৭]সকিনা (সা.আ) ইয়াযিদ সম্পর্কে বলেছেন: আল্লাহর কসম! ইয়াযিদের চেয়ে কঠিন হৃদয়ের, কাফের ও নির্দয় কাউকে আমি দেখিনি, যে কিনা আয়োজিত মজলিসে আমার পিতার মাথার দিকে তাকাচ্ছিল এবং কবিতা আবৃতি করছিল।[৫৮]
- উপস্থিতিদের প্রতিবাদ: উপস্থিতিদের একাংশ মজলিসে ইয়াযিদের আচরণের প্রতিবাদ করেন; যেমন, মারওয়ান ইবনে হাকামের ভাই ইয়াহইয়া ইবনে হাকাম, যাকে ইয়াযিদ মুষ্টিবদ্ধ করে বুকে আঘাত করে।[৫৯] আবু বারযা আসলামিও প্রতিবাদ করেন এবং ইয়াযিদের নির্দেশে মজলিস থেকে বহিষ্কৃত হন।[৬০]
বন্দীদের খুৎবা পাঠ
কারবালার বন্দীরা কুফায় প্রবেশ করার পর, ইমাম যয়নুল আবেদীন (আ.)[৬১], ও হযরত যয়নাব (সা.আ.) লোকজনের সাথে কথোপকথন করেন এবং ঐতিহাসিক সূত্র অনুসারে, কুফাবাসীদেরকে আশুরার ঘটনায় ইমাম হুসাইন (আ.)-কে সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে অবজ্ঞা প্রদর্শনের কারণে তিরস্কার করেন।[৬২] বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ সাইয়্যেদ জাফর শাহিদি, ইয়াযিদ বাহিনীর কঠোরতা এবং তাদের প্রতি কুফাবাসীদের ভীত সন্ত্রস্ততার উপর ভিত্তি করে কুফায় এরূপ কথোপকথন ও খুৎবাসমূহকে দুঃসাধ্য জ্ঞান করেন।[৬৩]ইমাম হুসাইন (আ.)-এর কন্যা ফাতেমা সোগরা[৬৪] ইমাম আলী (আ.)-এর কন্যা উম্মে কুলসুমকেও কিছু খুৎবা পাঠের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টতা দেয়া হয়েছে।[৬৫]
ইমাম যয়নুল আবেদীন (আ.) ও হযরত যয়নাব (সা.আ.) শামেও খুৎবা প্রদান করেছেন। এই সমস্ত খুৎবার বিষয়বস্তু হচ্ছে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর পরিবারের উপর নির্মম অত্যাচার এবং তাঁদেরকে শহরগুলোতে ঘোরানোর জন্য ইয়াযিদের তিরস্কার,[৬৬]এবং মহানবির (স.) আহলে বাইত এবং আলীর (আ.) ফযিলত বর্ণনা করা।[৬৭] এই বক্তব্যসমূহ ইমাম যয়নুল আবেদীন (আ.)-এর খুৎবা এবং শামে হযরত যয়নাব (সা.আ.)-এর খুৎবা হিসেবে প্রসিদ্ধ।[৬৮]গবেষকরা এই খুৎবাকে কারবালায় ইমাম হুসাইন (আ.)-এর বিপ্লবকে পরিপূর্ণতা দানকারী হিসেবে বিবেচনা করেছেন; কেননা, এই খুৎবাগুলোর দ্বারা কারবালার ঘটনা বিকৃত হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে[৬৯] এবং এই খুৎবাগুলো যদি না থাকতো তবে আশুরার ঘটনার মাহাত্ম্য অনেক মানুষের জন্য পরিষ্কার হতো না।[৭০]
শাম থেকে প্রত্যাবর্তন
অধিক অবগতির জন্য এগুলোও দেখুন: আরবাঈনে হুসাইনী
কারবালার বন্দীরা শাম হতে মদীনা অথবা কারবালায় প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। আর যদি আনুমানিকভাবে ধরেও নেই কারবালায় ফিরে এসেছিলেন তবুও এর সঠিক সময় (প্রথম আরবাঈন, না দ্বিতীয় আরবাঈন, না অন্য সময় ছিল) সম্পর্কে মতপার্থক্য বিদ্যমান।[৭১]শেইখ মুফিদ,[৭২]শেইখ তুসী[৭৩] এবং কাফআমি[৭৪] উল্লেখ করেছেন, আহলে বাইতের (আ.) কাফেলা শাম থেকে কারবালায় নয়, মদীনায় ফিরে গিয়েছিলেন। মুহাদ্দেস নূরী,[৭৫] শেইখ আব্বাস কুম্মি[৭৬] এবং মুর্তাযা মোতাহ্হারীও[৭৭] বন্দীদের প্রথম আরবাঈনে (চল্লিশায়) কারবালায় ফিরে যাওয়া সংক্রান্ত মতটির বিরোধী।
ইকবাল গ্রন্থে সাইয়্যেদ ইবনে তাঊস চল্লিশতম দিনে বন্দীদের ফিরে আসার বিষয়টিকে কারবালায় হোক বা মদীনায় দু’টিকেই অস্বাভাবিক হিসেবে গণ্য করেছেন; কেননা, তাদের কারবালায় বা মদীনায় ফিরতে চল্লিশ দিনের বেশি সময় লেগেছে। তার মতে, যদিওবা হতে পারে বন্দীরা কারবালায় গিয়েছিলেন, তবে তা আরবাঈন তথা চল্লিশার দিন ছিল না।[৭৮]তবে লোহুফ গ্রন্থে সাইয়্যেদ ইবনে তাঊস বর্ণনা করেছেন, কারবালার বন্দীরা যখন শাম থেকে ফেরার পথে ইরাকে পৌঁছান, তাদের পথপ্রদর্শককে বললেন, “আমাদেরকে কারবালায় নিয়ে চলো।” অতঃপর তারা যখন ‘কতলগাহ’-তে (ইমাম হুসাইনকে [আ.] জবাইয়ের স্থান) পৌঁছালেন, তখন জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারি এবং বনি হাশিমের কিছু সদস্যদেরকে দেখতে পেলেন এবং ক্রন্দন ও বেদনার সহিত শোক মজলিসের আয়োজন করলেন এবং কয়েকদিন পর মদীনায় ফিরে গেলেন।[৭৯]সাইয়্যেদ ইবনে তাঊস তাঁদের কারবালায় প্রবেশের তারিখ উল্লেখ করেন নি। মুহাম্মাদ আলী কাজী তাবাতাবায়ীও (১২৯৩-১৩৫৮ ফার্সি সন) তাহকীক দারবারে আউয়ালিন আরবাঈনে হযরত সাইয়্যেদুশ শোহাদা (আ.) গ্রন্থে বন্দীদের কারবালায় ফিরে আসার বিষয়টি প্রমাণ করেছেন।[৮০] হামাসে হুসাইনী গ্রন্থে মোতাহহারী’র ভাষ্য মতে, বন্দীদের কারবালায় ফিরে আসার বিষয়টি শুধুমাত্র ইবনে তাঊসের লোহুফে উল্লেখিত হয়েছে এবং অন্য কোন গ্রন্থে নেই।[৮১]

সাইয়্যেদ ইবনে তাঊসের উল্লেখ অনুসারে, আহলে বাইতের (আ.) কাফেলা মদীনার সন্নিকটে পৌঁছানোর পর শহরের বাইরে তাঁবু স্থাপন করেন। অতঃপর বশির ইবনে হাযলাম তখন ইমাম যয়নুল আবেদীন (আ.)-এর নির্দেশে মদীনায় গমন করেন এবং মসজিদে নব্বী’র পাশে ক্রন্দনের সহিত কবিতা আবৃত্তি করে ইমাম হুসাইনের (আ.) শাহাদাত সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করেন এবং ইমাম যয়নুল আবেদীন (আ.) ও ইমাম হুসাইন (আ.)-এর পরিবারের সদস্যদের মদীনায় প্রবেশের ঘোষণা দেন।[৮২]সাইয়্যেদ ইবনে তাঊস মহানবির (স.) ইন্তেকালের পর ঐ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে তিক্ত দিন হিসেবে বিবেচনা করে উল্লেখ করেন যে, মদীনার সকল নারীরা সেদিন ঘর থেকে বের হয়ে এসেছিলেন, চিৎকার করেছিলেন এবং ঐ দিনের ন্যায় কোন দিন নারী-পুরুষদেরকে ক্রন্দন করতে দেখা যায় নি।[৮৩]
দানেশ নামেয়ে ইমাম হুসাইন (আ.) গ্রন্থের লেখকদের বক্তব্য ভাষ্যানুসারে, ইমাম হুসাইনের (আ.) পরিবারের আন্দোলন মদীনা থেকে শুরু হয় এবং মদীনা গিয়েই শেষ হয়। তাঁরা এই সময়ের কম করে হলেও প্রায় ৪১০০ কিলোমিটার (সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত রাস্তা এবং কারবালায় ফিরে যান নি ধরে নিয়ে) পথ পাড়ি দিয়েছিলেন; ৪৩১ কিলোমিটার পথ মদীনা থেকে মক্কা, ১৪৪৭ কিলোমিটার মক্কা থেকে কারবালা, ৭০ কিলোমিটার কারবালা থেকে কুফা, ৯৩২ কিলোমিটার কুফা থেকে দামেস্ক এবং ১২২৯ কিলোমিটার দামেস্ক থেকে মদীনা।[৮৪]
গ্রন্থ পরিচিতি
- মুহাম্মাদ মোযাফ্ফারী ও সাঈদ জামশিদী রচিত আসীরান ওয়া জানবাযানে কারবালা, কোম, ফারাজ আন্দিশেহ পাবলিকেশন্স, ১৯৮৩ ফার্সি সন।
সম্পর্কিত নিবন্ধ
তথ্যসূত্র
- ↑ তাবারী, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৪৫৫-৪৫৬।
- ↑ আবু মিখনাফ, ওয়াকাআতুত তাফ, ১৪১১ হি., পৃ. ২৫৯; তাবারি, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৪৫৬।
- ↑ আবু মুখান্নাফ, ওয়াকআতুত তাফ, ১৪১৭ হি., পৃ. ২৫৯; তাবারী, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৪৫৬।
- ↑ মুহাম্মাদী রেই শাহরি, দানেশ নামেয়ে ইমাম হুসাইন (আ.), ১৩৮৮ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ২০৪।
- ↑ মুহাদ্দেসী, ফারহাঙ্গে আশুরা, ১৪১৭ হি., পৃ. ৪৯।
- ↑ মুহাম্মাদী রেই শাহরি, দানেশ নামেয়ে ইমাম হুসাইন (আ.), ১৩৮৮ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ২০৪।
- ↑ কাজী নো’মান, শারহুল আখবার, মুআসসিসাতু নাশরিল ইসলামি, খণ্ড ৩, পৃ. ১৯৮-১৯৯; আবুল ফারাজ ইস্ফাহানী, মাকাতিলুত তালিবিয়্যিন, ১৩৮৫ হি., পৃ. ৭৯; ইবনে সা’দ, তারজমাতুল হুসাইন ওয়া মাকতালুহ, ১৪০৮ হি., পৃ. ১৮৭।
- ↑ মুহাম্মাদী রেই শাহরি, দানেশ নামেয়ে ইমাম হুসাইন (আ.), ১৩৮৮ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ২০৫।
- ↑ মুহাম্মাদী রেই শাহরি, দানেশ নামেয়ে ইমাম হুসাইন (আ.), ১৩৮৮ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ২০৬।
- ↑ দ্র: গ্রুহি আয তারিখ পেঝুহান, তারিখে কিয়াম ওয়া মাকতালে জামেঅ সাইয়্যেদুশ শুহাদা, ১৩৯১ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ৪৯৭ ও ৪৯৮।
- ↑ বাইযুন, মাউসুআতু কারবালা, বৈরুত, খণ্ড ১, পৃ. ৫২৮।
- ↑ মাহাল্লাতি, রিয়াহিনুশ শারীয়াহ, ১৩৭৩ ফার্সি সন, খণ্ড ৪, পৃ. ২৫৫।
- ↑ মুহাম্মাদী রেই শাহরি, দানেশ নামেয়ে ইমাম হুসাইন (আ.), ১৩৮৮ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ২৮৩।
- ↑ ইবনে আসাকির, তারিখু মাদীনাতি দিমাশক, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৭০, পৃ. ২৬১।
- ↑ ইবনে শাদ্দাদ, আল-আ’লাকুল খাতীরাহ, ২০০৬ খ্রি., পৃ. ৪৮-৫০।
- ↑ মুহাম্মাদী রেই শাহরি, দানেশ নামেয়ে ইমাম হুসাইন (আ.), ১৩৮৮ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ২১৪-২১৭।
- ↑ দ্র: গ্রুহি আয তারিখ পেঝুহান, তারিখে কিয়াম ওয়া মাকতালে জামেঅ সাইয়্যেদুশ শুহাদা, ১৩৯১ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ৪৯৭ ও ৪৯৮; মুহাম্মাদী রেই শাহরি, দানেশ নামেয়ে ইমাম হুসাইন (আ.), ১৩৮৮ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ২১৪-২১৭।
- ↑ ইবনে আবিল হাদীদ, শারহে নাহজুল বালাগাহ, ১৪০৪ হি., খণ্ড ১৫, পৃ. ২৩৬।
- ↑ দ্র: গ্রুহি আয তারিখ পেঝুহান, তারিখে কিয়াম ওয়া মাকতালে জামেঅ সাইয়্যেদুশ শুহাদা, ১৩৯১ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ৩৯।
- ↑ শেইখ মুফিদ, ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১১৪।
- ↑ দ্র: গ্রুহি আয তারিখ পেঝুহান, তারিখে কিয়াম ওয়া মাকতালে জামেঅ সাইয়্যেদুশ শুহাদা, ১৩৯১ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ৩৯।
- ↑ দ্র: শেইখ মুফিদ, ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১১৫-১১৬; তাবারী, তারিখ, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৪৫৭।
- ↑ ইবনে আ’সাম কুফি, আল-ফুতুহ, ১৪১১ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ১২৩; খাওয়ারিযমী, মাকতালুল হুসাইন, ১৩৬৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪৩।
- ↑ বালাযুরী, আনসাবুল আশরাফ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৪১৬।
- ↑ দীনাওয়ারী, আখবারুত তিওয়াল, ১৪২১ হি., পৃ. ৩৮৪-৩৮৫।
- ↑ ইবনে আসাকির, তারিখু মাদীনাতি দিমাশক, ১৪২১ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩০৪; নাঈমী, আদ দারিসু ফি তারিখি মাদারিস, ১৩৬৭ হি., ফেহরেস্তে জায়েহা।
- ↑ ইবনে শাহরে আশুব, মানাকেব, ১৩৭৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৮২।
- ↑ ইবনে শাহরে আশুব, মানাকেব, ১৩৭৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৮২।
- ↑ মোহাজের, কারওয়ানে গাম, ১৩৯০ ফার্সি সন, পৃ. ৩০।
- ↑ ইবনে শাদ্দাদ, আল-আ’লাকুল খাতীরাহ, ২০০৬ খ্রি., পৃ. ১৭৮।
- ↑ মোহাজের, কারওয়ানে গাম, ১৩৯০ ফার্সি সন, পৃ. ৩০।
- ↑ মুহাম্মাদী রেই শাহরি, দানেশ নামেয়ে ইমাম হুসাইন (আ.), ১৩৮৮ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ২২৬-২২৮।
- ↑ মুহাম্মাদী রেই শাহরি, দানেশ নামেয়ে ইমাম হুসাইন (আ.), ১৩৮৮ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ২৩৪।
- ↑ মুহাম্মাদী রেই শাহরি, দানেশ নামেয়ে ইমাম হুসাইন (আ.), ১৩৮৮ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ২২৫।
- ↑ ইবনে আ’সাম, কিতাবুল ফুতুহ, ১৪১১ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ১২৭; খাওয়ারিযমী, মাকতালুল হুসাইন, ১৩৬৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৫৫-৫৬।
- ↑ শেইখ মুফিদ, আমালী, ১৪০৩ হি., পৃ. ৩২১।
- ↑ সাইয়্যেদ ইবনে তাঊস, আল-ইকবাল, ১৩৭৬ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ৮৯।
- ↑ আবু রায়হান বিরুনী, আসারুল বাকিয়াহ, ১৩৮৬ ফার্সি সন, পৃ. ৫২৭।
- ↑ শেইখ সাদুক, আমালী, ১৪১৭ হি., মাজলিস ৩১, পৃ. ২৩০।
- ↑ কুম্মি, নাফাসুল মাহমুম, আল-মাক্তাবাতুল হায়দারিয়্যাহ, পৃ. ৩৯৪।
- ↑ ইবনে আ’সাম, আল-ফুতুহ, ১৪১১ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ১২৯-১৩০।
- ↑ «محل حضور اسرای کربلا در مسجد اموی», ইকনা বার্তা সংস্থা।
- ↑ সাফ্ফার, বাসায়েরুদ দারাজাত, ১৪০৪ হি., পৃ. ৩৩৯।
- ↑ শেইখ সাদুক, আমালী, ১৪১৭ হি., মাজলিস ৩১, পৃ. ২৩১, হা. ৪।
- ↑ শেইখ মুফিদ, ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১২২।
- ↑ তাবারী, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুম, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৪৬২; খাওয়ারিযমী, মাকতাল, ১৩৬৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৭৪; ইবনে কাসীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ১৩৯৮ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ১৯৫; ইবনে সা’দ, তারজমা আল-হুসাইন ওয়া মাকতালুহ, ১৪১৬ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৮৩।
- ↑ তাবারী, কামিল বাহায়ী, ১৩৩৪ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩০২।
- ↑ সাইয়্যেদ ইবনে তাঊস, আল-ইকবাল, ১৩৭৬ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ১০১।
- ↑ কুম্মি, নাফাসুল মাহমুম, আল-মাক্তাবাতুল হায়দারিয়্যাহ, পৃ. ৩৯৬।
- ↑ তাবারী, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৪৬০।
- ↑ তাবারী, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৪৬১।
- ↑ সাইয়্যেদ ইবনে তাঊস, লোহুফ, ১৪১৭ হি., পৃ. ২১৩।
- ↑ ইবনে নামা, মাসীরুল আহযান, ১৪০৬ হি., পৃ. ৯৯।
- ↑ খাওয়ারিযমী, মাকতাল, ১৩৬৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৬৪।
- ↑ ইয়াকুবী, তারিখ, দারু সাদির, খণ্ড ২, পৃ. ৬৪।
- ↑ ইবনে আসীর, আল-কামিল, ১৪০৫ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৫৭৭।
- ↑ শেইখ সাদুক, উয়ুনু আখবারির রিযা, ১৪০৪ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৫, হা. ৫০।
- ↑ কুম্মি, নাফাসুল মাহমুম, আল-মাক্তাবাতুল হায়দারিয়্যাহ, পৃ. ৩৯৬।
- ↑ তাবারী, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৪৬৫।
- ↑ বালাযুরী, আনসাবুল আশরাফ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৪১৬।
- ↑ ইবনে নামা, মাসীরুল আহযান, ১৪০৬ হি., পৃ. ৮৯-৯০।
- ↑ ইবনে তাইফুর, বালাগাতুন নিসা, ১৩৭৮ ফার্সি সন, পৃ. ২৬।
- ↑ শাহীদী, যেন্দেগানিয়ে আলী ইবনুল হুসাইন (আ.), ১৩৮৫ ফার্সি সন, পৃ. ৫৭।
- ↑ তাবারসী, ইহতিজাজ, ১৪১৬ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১০৮-১৪০।
- ↑ সাইয়্যেদ ইবনে তাঊস, লোহুফ, ১৪১৭ হি., পৃ. ১৯৮।
- ↑ সাইয়্যেদ ইবনে তাঊস, লোহুফ, ১৪১৭ হি., পৃ. ২১৩-২১৮।
- ↑ রব্বানী গুলপায়গানী, “আফশাগারিয়ে ইমাম সাজ্জাদ দার কিয়ামে কারবালা (২)”, পৃ. ১১৯।
- ↑ ইবনে নামা, মাসীরুল আহযান, ১৪০৬ হি., পৃ. ৮৯-৯০; ইবনে তাইফুর, বালাগাতুন নিসা, ১৩৭৮ ফার্সি সন, পৃ. ২৬।
- ↑ রওশান ফিকর ওয়া দানেশে মুহাম্মাদী, “তাহলিলে গোফতেমানে আদাবিয়ে খুতবেহায়ে হযরত যায়নাব (সা.আ.), পৃ. ১৩৪।
- ↑ শাহীদী, “আগার যায়নাব নাবুদ আযমাতে আশুরা জাওদানে নেমি শোদ”, পৃ. ১৪।
- ↑ দ্র: মুহাম্মাদী রেই শাহরি, দানেশ নামেয়ে ইমাম হুসাইন (আ.), ১৩৮৮ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ৩৯৩।
- ↑ মাসাররুশ শিয়া, ১৪১৩ হি., পৃ. ৪৬।
- ↑ তুসী, মিসবাহুল মুতাহাজ্জিদ, ১৪১১ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৭৮৭।
- ↑ কাফআমি, আল-মিসবাহু লিল কাফআমি, ১৪০৫ হি., পৃ. ৫১০।
- ↑ মুহাদ্দেস নূরী, লু’লু’ ওয়া মারজান, ১৪২০ হি., পৃ. ২০৮-২০৯।
- ↑ কুম্মি, মুন্তাহাল আমাল, ১৩৭২ ফার্সি সন, পৃ. ৫২৪-৫২৫।
- ↑ মোতাহ্হারী, হামাসে হুসাইনী, সাদরা, খণ্ড ১, পৃ. ৭১।
- ↑ সাইয়্যেদ ইবনে তাঊস, আল-ইকবাল, ১৩৭৬ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ১০০ ও ১০১।
- ↑ সাইয়্যেদ ইবনে তাঊস, লোহুফ, ১৪১৭ হি., পৃ. ২২৫ ও ২২৬।
- ↑ কাজী তাবাতাবায়ী, তাহকিক দারবারে আউয়ালে আরবাঈন, ১৩৮৩ ফার্সি সন, পৃ. ৬০৮।
- ↑ মোতাহ্হারী, হামাসে হুসাইনী, সাদরা, খণ্ড ১, পৃ. ৭১।
- ↑ সাইয়্যেদ ইবনে তাঊস, লোহুফ, ১৪১৭ হি., পৃ. ২২৬-২২৭।
- ↑ সাইয়্যেদ ইবনে তাঊস, লোহুফ, ১৪১৭ হি., পৃ. ২২৭।
- ↑ মুহাম্মাদী রেই শাহরি, দানেশ নামেয়ে ইমাম হুসাইন (আ.), ১৩৮৮ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ২৩৫।
গ্রন্থপঞ্জি
- ইবনে আবিল হাদীদ, উজ্জুদ্দীন আব্দুল হামিদ, শারহে নাহজুল বালাগা, গবেষণা: মুহাম্মদ আবুল ফজল ইব্রাহিম, দ্বিতীয় সংস্করণ, কোম, মানশুরাতে আয়াতুল্লাহ মারাশি নাজাফি, ১৪০৪ হিজরি।
- ইবনে আসীর, আলী ইবনে মুহাম্মদ, আল-কামিল ফী আল-তারিখ, বৈরুত, দার আল-তোরাস আল-আরাবী, ১৪০৫ হিজরি।
- ইবনে আ’সাম কুফী, আহমদ ইবনে আ’সাম, আল-ফুতুহ, তাহকীক আলী শিরি, বৈরুত, দারুল-আযওয়া, ১৪১১ হিজরি।
- ইবনে সা’দ, "তারজমাতুল হুসাইন ওয়া মাকতালুহ", গবেষণা: সাইয়্যেদ আব্দুল আজিজ তাবাতাবায়ী, ফাসল নামায়ে তারসোনা, তৃতীয় বর্ষ, সংখ্যা ১০, ১৪০৮ হিজরি।
- ইবনে শাদ্দাদ, মুহাম্মদ ইবনে আলী, আল-আ’লাকুল খাতীরাহ ফী জিকরি উমারায়িশ শাম ওয়াল জাজিরা, দামেস্ক, প্রকাশনা অজ্ঞাত, ২০০৬ খ্রি.।
- ইবনে শাহরে আশুব, মুহাম্মদ বিন আলী মাযানদারানী, মানাকিবি আল-আবি তালিব আলাইহিস সালাম, আল্লামা, কোম, ১৩৭৯ হিজরি।
- ইবনে তাইফুর, আবুল ফজল ইবনে আবি তাহির, বালাগাতুন নিসা, কোম, মাক্তবাতুল হায়দারিয়্যাহ, ১৩৭৮ ফারসি সন।
- ইবনে আসাকির, আলী ইবনে হাসান ইবনে হাইবাতুল্লাহ, তারিখু মাদীনাতি দিমাশক, গবেষণা: আলী আশুর, বৈরুত, দারুল ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবী, ১৪২১ হিজরি।
- ইবনে আসাকির, আলী ইবনে হাসান ইবনে হাইবাতুল্লাহ, তারিখু মাদীনাতি দিমাশক, বৈরুত, গবেষণা: আলী শিরি, দারুল-ফিকর, ১৪১৫ হিজরি।
- ইবনে কাসীর, ইসমাইল ইবনে উমর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, গবেষক: খলিল শাহাদাহ, বৈরুত, দারুল-ফিকর, ১৩৯৮ হিজরি।
- ইবনে নামা, জা'ফর বিন মুহাম্মদ, মুসির আল-আহজান, কোম, মাদ্রাসায়ে ইমাম আল-মাহদী, ১৪০৬ হিজরি।
- আবু রায়হান বিরুনী, মুহাম্মদ বিন আহমদ, আসারুল বাকিয়া, অনুবাদক: দানা সারশাত, আকবর, তেহরান, আমির কবির, ১৩৮৬ ফারসি সন।
- আবুল ফারাজ ইস্ফাহানী, মাকাতিলুত তালেবিয়্যিন, কোম, মুআসসেসেয়ে দারুল কিতাব, ১৩৮৫ হিজরি।
- আবু মিখনাফ, লুত বিন ইয়াহিয়া, ওয়াকাআতুত তাফ, কোম, নাশরে জামেয়ে মুদার্রেসিন, তৃতীয় সংস্করণ, ১৪১৭ হিজরি।
- বালাযুরী, আনসাব আল-আশরাফ, গবেষণা: সুহাইল জাক্কার এবং রিয়াজ জারকেলী, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪১৭ হিজরি।
- বাইযুন, লাবিব, মাউসুআতু কারবালা, বৈরুত, আল-আলামি পাবলিশিং হাউস, তারিখ অজ্ঞাত।
- তামিমী মাগরিবী, আবু হানিফা নোমান বিন মুহাম্মদ, শারহ আল-আখবার ফী ফাযায়েল আল-আইম্মা আল-আতহার, গবেষণা: সাইয়্যেদ মুহাম্মদ হুসাইনী জালালি, কোম, মুআসসিসাতুন নাশরিল ইসলামি, তারিখ অজ্ঞাত।
- খাওয়ারিযমী, মুওয়াফাক বিন আহমদ মাক্কী, মাকতালুল হুসাইন, গবেষণা: মুহাম্মদ সামাউই, নাজাফ, মাতবাআ আল-জাহরা, ১৩৬৭ হিজরি।
- দীনাওয়ারী, আবু হানিফা আহমাদ বিন দাউদ, আল-আখবারুত তিওয়াল, গবেষণা: এসাম মুহাম্মদ আলহাজ্ব আলী, বৈরুত, দার আল-কিতাব আল-ইলমিয়া, ১৪২১ হিজরি।
- রব্বানী গুলপায়গানী, আলী, "আফশাগারিয়ে ইমাম সাজ্জাদ দার কিয়ামে কারবালা", মাজাল্লেয়ে নূর আলম, সংখ্যা ৪৬, মোরদাদ ও শাহরিভার ১৩৭১ ফারসি সন।
- সাইয়্যেদ ইবনে তাঊস, আলী ইবনে মুসা, আল-মালহুফ আলা কাতলি আল-তাফুফ, গবেষণা: ফারস তাবরিযিয়্যানের, কোম, দারুল উসওয়া, ১৪১৭ হিজরি।
- সাইয়্যেদ ইবনে তাঊস, আলী বিন মুসা, আল-আকবাল বিল আমাল আল-হাসানা, গবেষণা: জাওয়াদ কাইয়ুমি ইস্ফাহানী, কোম, দাফতারে তাবলীগাতে ইসলামি, প্রথম সংস্করণ, ১৩৭৬ ফারসি সন।
- শাহীদী, সাইয়্যেদ জাফর, জিন্দেগানি আলী ইবনে আল-হুসাইন (আ.), তেহরান, দাফতারে ফারহাঙ্গে নাশরে ইসলামি, ১৩তম সংস্করণ, ১৩৮৫ ফারসি সন।
- সাদুক, উয়ুনু আখবারির রিযা, তাসহিহ: হুসাইন আ’লামী, বৈরুত, আল-আলামী প্রেস ইনস্টিটিউট, ১৪০৪ হিজরি।
- সাদুক, মুহাম্মদ বিন আলী, আল-আমালী, কোম, মুআসসিসাতুল বি’সাহ, ১৪১৭ হিজরি।
- সাফফার কুম্মি, মুহাম্মদ বিন হাসান, বাসায়ের আল-দারাজাত, তাসহিহ: মোহসিন কুচে বাগী, কোম, আয়াতুল্লাহ মারশি নাজাফি লাইব্রেরি, ১৪০৪ হিজরি।
- তাবারসী, আহমদ বিন আলী, আল-ইহতেজাজ, ইব্রাহিম বাহাদুরি এবং মুহাম্মদ হাদিবেহ’র গবেষণা, অধ্যায় ২, কোম, উসওয়া, ১৪১৬ হিজরি।
- তাবারী, এমাদুদ্দীন হাসান বিন আলী, কামিল বাহাই, কোম, পাবলিশিং হাউস, ১৩৩৪ ফারসি সন।
- তাবারী, মুহাম্মদ বিন জারির, তারিখ আল-উমাম ওয়াল মুলুক, গবেষণা: মুহাম্মদ আবুল ফজল ইব্রাহিম, বৈরুত, রাওয়াই' আল-তুরাসিল আরাবী, ১৩৮৭ হিজরি।
- তুসী, মুহাম্মদ বিন হাসান, মিসবাহ আল-মুতাহাজ্জাদ ওয়া সেলাহ আল-মুতাআব্বাদ, বৈরুত, ফিকহ আল-শিয়াহ ফাউন্ডেশন, প্রথম সংস্করণ, ১৪১১ হিজরি।
- কাজী তাবাতাবায়ী, সাইয়্যেদ মুহাম্মদ আলী, তাহকিক দরবার-এ-আউয়াল আরবাঈনে হযরত সাইয়্যেদ আল-শুহাদা, তেহরান, ভেযারাতে ফারহাঙ্গ ওয়া ইরশাদে ইসলামী, সাযেমানে চাপ ওয়া ইন্তেশারাত, ১৩৮৮ ফারসি সন।
- কুম্মি, শেইখ আব্বাস, মুনতাহাল আমাল, তেহরান, হুসাইনী প্রেস, ১৩৭২ ফারসি সন।
- কুম্মি, শেইখ আব্বাস, নাফস আল-মাহমুম ফী মুসিবাতি সাইয়্যিদনা আল-হুসাইন আল-মাজলুম, কোম, আল-মাক্তাবাতুল হায়দারিয়্যাহ, তারিখ অজ্ঞাত।
- কাফআমি, ইব্রাহিম বিন 'আলী আমেলি, আল-মিসবাহ লিল কাফা'মী (জান্না আল-আমান আল-ওয়াকিয়া ওয়া জান্না আল-ঈমান আল-বাকিয়া), কোম, দারুর রাযী, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৫ হিজরি।
- মুহাদ্দেস নূরী, লু’লু’ ওয়া মারজান, গবেষণা: দেরায়াতী, মুস্তাফা, কোম, কনগ্রেয়ে দ্বীনে পেঝুহানে কেশভার, ১৪২০ হিজরি।
- মুহাদ্দেসী, জাওয়াদ, ফারহাঙ্গে আশুরা, কোম, নাশরে মা’রুফ, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪১৭ হিজরি।
- মুহাম্মাদী রেই শাহরি, মুহাম্মাদ, দানেশ নামেয়ে ইমাম হুসাইন (আ.) দার পায়েয়ে কুরআন, অনুবাদক: মাসউদী, আব্দুল হাদী, কোম, প্রকাশক: মুআসসেয়ে দারুল হাদীস, ১৩৮৮ ফারসি সন।
- শেইখ মুফিদ, মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ, আল-ইরশাদ ফী মারেফা হুজাজিল্লাহ আলাল এবাদ, গবেষণা: মুআসসেসেয়ে আলুল বাইত, আল-মু’তামার আল-আলামী আল-আলফিয়া আল-শেখ আল-মুফিদ, ১৪১৩ হিজরি।
- শেইখ মুফিদ, মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ, আমালি, গবেষণা: হুসাইন ওস্তাদ ওয়ালি এবং আলী আকবর গাফফারী, কোম, জামেয়ে মুদাররেসীন, ১৪০৩ হিজরি।
- ইয়াকুবী, আহমাদ বিন ইয়াকুব, তারিখে ইয়াকুবী, বৈরুত, দারু সাদির, তারিখ অজ্ঞাত।
- মুফিদ, মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ, মাসার আল-শিয়াই, কোম, কনগ্রেয়ে শেখ মুফিদ, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৩ হিজরি।
- মুহাজির, জাফর, কারাভানে গাম, সাইয়্যেদ হোসেন মেরশি, তেহরান, মুসাফির পাবলিকেশন্স, ১৩৯০ ফারসি সন।
- নাদিয়ালিয়ান, আহমাদ এবং মেহরান হোশিয়ার, "নাকশেহায়ে আশুরায়ী", দার মাজাল্লেয়ে রাহপুয়ে হোনার, সংখ্যা ৫, বাহার।