উসমান হত্যাকাণ্ড
উসমান হত্যাকাণ্ড (আরবি: حادثة مقتل عثمان) ৩৫ হিজরিতে মুসলমানদের তৃতীয় খলিফা উসমান ইবনে আফফানের বিরুদ্ধে জনগণের বিদ্রোহ ও তাকে হত্যার ঘটনাকে নির্দেশ করে। আমর ইবনে আস সাহমী-কে মিশরের গভর্নর পদ থেকে অপসারণ ও তার স্থলে আবদুল্লাহ ইবনে আবি সারহ-কে নিয়োগের প্রতিক্রিয়ায় মিশরের অধিবাসীদের পক্ষ থেকে এই বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। অবশ্য উসমানের শাসন পদ্ধতি- যেখানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদসমূহ তার উমাইয়া আত্মীয়-স্বজনদেরকে নিয়োগ দেন এবং বাইতুল মাল থেকে তাদেরকে বিপুল পরিমান অর্থ প্রদান করেন- জনগণের, এমনকি রাসূল (সা.)-এর সাহাবীদের মধ্যেও অসন্তোষ ও প্রতিবাদের সৃষ্টি করেছিল।
মিশরীয় প্রতিবাদকারীরা তাদের প্রতিবাদ জানাতে মদিনায় গমন করেন এবং ইমাম আলী (আ.)-এর মধ্যস্ততা ও সংশোধনের বিষয়ে উসমানের অঙ্গীকারের পরিপ্রেক্ষিতে তারা মিশরে প্রত্যাবর্তন করেন। কিন্তু ফেরার পথে তারা মিশরের গভর্নরের প্রতি উসমানের লেখা একটি চিঠি আবিষ্কার করেন, যাতে তাদেরকে হত্যা ও কারারুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এমতাবস্থায় তারা পুনরায় মদিনায় ফিরে এসে খিলাফত থেকে উসমানের পদত্যাগের দাবি জানান, কিন্তু উসমান তাদের এ দাবি মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে তারা উসমানের বাসভবন ঘেরাও করেন এবং চল্লিশ দিন অবরোধের পর তিনি নিহত হন; তাকে মুসলিম কবরস্থানে দাফন করতেও বাধা প্রদান করা হয়।
মিশরীয় প্রতিবাদকারীরা তাদের অভিযোগ নিয়ে মদিনায় গমন করেন এবং ইমাম আলী (আ.)-এর মধ্যস্ততা ও সংশোধনের বিষয়ে উসমানের অঙ্গীকারের পরিপ্রেক্ষিতে তারা মিশরে প্রত্যাবর্তন করেন। কিন্তু ফেরার পথে তারা মিশরের গভর্নরের প্রতি উসমানের লেখা একটি চিঠি আবিষ্কার করেন, যাতে তাদের হত্যা ও কারারুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এমতাবস্থায়, তারা পুনরায় মদিনায় ফিরে এসে খিলাফত থেকে উসমানের পদত্যাগের দাবি জানান, কিন্তু উসমান তাদের এ দাবি মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে তারা উসমানের বাসভবন ঘেরাও করেন এবং চল্লিশ দিন অবরোধের পর তিনি নিহত হন; তাকে মুসলিম কবরস্থানে দাফন করতেও বাধা প্রদান করা হয়।
এই ঘটনাপ্রবাহে, যদিও ইমাম আলী (আ.) উসমানকে ভুল ও ত্রুটির অধিকারী বলে মনে করতেন, তবুও তিনি তাকে হত্যা করার ব্যাপারে একমত ছিলেন না। এজন্য তিনি ইমাম হাসান (আ.) ও আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের-এর মতো ব্যক্তিদের উসমানের গৃহ রক্ষার নির্দেশ প্রদান করেন।
উসমানের হত্যাকাণ্ড মুসলমানদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব ও গৃহযুদ্ধের সূচনা করে; বিশেষত বনু হাশিম ও বনু উমাইয়ার মধ্যকার পুরনো দ্বন্দ্ব পুনরায় প্রজ্বলিত হয় এবং আয়েশা, তালহা ও যুবায়ের উসমানের রক্তের প্রতিশোধ গ্রহণের অজুহাতে জঙ্গে জামাল (উটের যুদ্ধ) সংঘটিত করেন। এই ঘটনাকে ইসলামী বিশ্বে ফিতনা বা গৃহবিবাদের সূচনাকাল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া, উসমান হত্যাকাণ্ডকে ‘উসমানিয়া’ তথা উসমানপন্থী গোষ্ঠীর উদ্ভবের সূচনাও বলা হয়ে থাকে।
ইসলামের ইতিহাসে গুরুত্ব ও স্থান
উসমান হত্যাকাণ্ড মহানবী (সা.)-পরবর্তী সময়ের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলির মধ্যে অন্যতম। কিছু কিছু গবেষকের মতে, তার হত্যাকাণ্ডের পর ইসলামী ইতিহাস এক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করে।[১] তাছাড়া উসমানের হত্যাকাণ্ড নানাবিধ পরিণতি বয়ে আনে এবং পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ গঠনের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। আহলে সুন্নতের ইতিহাসবিদ ইবনে হাজার আল-আসকালানী (মৃত্যু: ৮৫২ হি.) উসমানের হত্যাকাণ্ডকে ইসলামী বিশ্বে ফিতনা বা গৃহবিবাদের সূচনা বলে চিহ্নিত করেছেন।[২] উসমানের হত্যাকাণ্ডকে উসমানিয়া ফিরকা গঠনের সূচনা[৩] এবং রাজনৈতিক, সামরিক ও জ্ঞানগত—এই তিন অঙ্গনে শিয়াদের সাথে তাদের সংঘাতের সূত্রপাত হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।[৪]
ঘটনার বিবরণ
সূত্র অনুযায়ী, আমর ইবনে আস-কে মিশরের গভর্নর পদ থেকে অপসারণ ও তার স্থলে আবদুল্লাহ ইবনে আবি সারহ-কে নিয়োগের পর, প্রায় ছয়শত মিশরবাসী প্রতিবাদ জানাতে মদিনায় গমন করেন। এটিই ছিল উসমানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সূচনা ছিল।[৫] অন্যদের মতে, বাইতুল মাল থেকে খলিফা কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের সূত্রপাত ঘটায়।[৬] প্রতিবাদকারীরা মদিনার দিকে রওনা হওয়ার পর চিঠির মাধ্যমে অন্যদেরও মদিনায় উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানান।[৭]
প্রতিবাদকারীদের মদিনায় প্রবেশ ও উসমানের তওবা
বিদ্রোহীরা যখন মদিনার নিকটবর্তী পৌঁছান, উসমান ইমাম আলী (আ.)-কে মধ্যস্ত নিযুক্ত করেন, যাতে তিনি তাদেরকে মিশরে প্রত্যাবর্তনে রাজি করান।[৮] সূত্রসমূহের বর্ণনা অনুযায়ী, উসমান প্রতিবাদকারীদের কাছে অঙ্গীকার করেন যে, নির্বাসিত ব্যক্তিগণকে ফিরিয়ে আনা হবে, বাইতুল মাল বন্টনে ন্যায়সংগত বিধান প্রতিষ্ঠিত করা হবে এবং বিশ্বস্ত ও দক্ষ ব্যক্তিবর্গকে দায়িত্বে নিযুক্ত করা হবে।[৯] এছাড়া উসমান মিম্বরে আরোহণ করে তার নিজের কার্যক্রমের জন্য তওবা ও ইস্তিগফার করেন। জনসাধারণকে তার এই ঘোষণার সাক্ষী হিসেবে রাখেন।[১০] অতঃপর প্রতিবাদকারীগণ তাদের স্ব-স্ব নগরীতে ফিরে যান।[১১]
প্রতিবাদকারীদের মদিনায় প্রত্যাবর্তন
প্রতিবাদকারীরা মদিনা থেকে প্রত্যাবর্তনকালে খলিফার এক দাসকে আটক করেন, যিনি একটি পত্র গোপনে বহন করেছিলেন।[১২] এই পত্রটি খলিফার মোহরাঙ্কিত ছিল এবং তাতে বিদ্রোহীদের হত্যা ও কারারুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। বিদ্রোহীরা পত্রটি অধিগ্রহণ করে পুনরায় মদিনায় প্রত্যাবর্তন করেন।[১৩] কুফাবাসীরাও এই সংবাদ প্রাপ্তির পর মদিনার দিকে ফিরে আসে।[১৪] বিদ্রোহীরা ইমাম আলী (আ.)-এর নিকট গমন করেন এবং তাঁকে সঙ্গে করে নিয়ে উসমানের নিকট উপস্থিত হন। উসমান কসম খেয়ে বলেন যে, তিনি এ ধরনের কোনো পত্র লিখেননি অথবা এ বিষয়ে অবগত নন।[১৫] কিন্তু বিদ্রোহীরা সন্তুষ্ট হননি এবং উসমানকে খিলাফত থেকে পদত্যাগ করতে হবে বলে দাবি জানান।[১৬] উসমান তাদের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন, যদিও তিনি তওবা করার জন্য প্রস্তুত বলে ঘোষণা করেন। বিদ্রোহীরা তার পূর্ববর্তী তওবা ও তা ভঙ্গ করার কথা উল্লেখ করে বলেন যে, কেবল উসমানের খিলাফত থেকে পদত্যাগেই তারা সন্তুষ্ট হবেন এবং এই লক্ষ্যে তারা হয় নিজেরা শাহাদাতবরণ করবেন অথবা উসমানকে হত্যা করবেন।[১৭]
উসমানের গৃহ অবরোধ
প্রতিবাদকারীরা উসমানের বাসভবন ঘেরাও করে এবং গৃহাভ্যন্তরে খাদ্য ও পানাহারের সামগ্রী প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে।[১৮] এই অবরোধকারীদের মধ্যে ছিল মিশর, বসরা, কুফা এবং মদিনার একদল অধিবাসী।[১৯] উসমানের গৃহ চল্লিশ দিন পর্যন্ত অবরোধ করে রাখা হয়।[২০] এই সময়কালে উসমান মুআবিয়া ও ইবনে আমিরের নিকট চিঠি লিখে তাদের কাছ থেকে সাহায্য প্রার্থনা করেন।[২১] এছাড়াও ইমাম আলী (আ.)-এর নির্দেশে ইমাম হাসান (আ.) আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের ও মারওয়ান ইবনে হাকামের ন্যায় কতিপয় ব্যক্তিদের সঙ্গে উসমানের গৃহ রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন।[২২]
উসমান ইমাম আলী (আ.), তালহা, যুবায়ের এবং রাসূল (সা.)-এর স্ত্রীগণের নিকট তার জন্য পানি সরবরাহের আবেদন জানান।[২৩] ইমাম আলী (আ.) ও রাসূল (সা.)-এর সহধর্মিণী উম্মে হাবিবা সর্বপ্রথম উসমানের কাছে পানি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করলে, বিদ্রোহীরা তাদেরকে বাধা প্রদান করেন।[২৪] খাদ্য ও পানি প্রবেশে বাধা দেওয়া হলে, ইমাম আলী (আ.) বিদ্রোহীদেরকে ভর্ৎসনা করেন এবং তাদের কর্মকাণ্ডকে না মুমিনদের কর্মকাণ্ডের অনুরূপ, না এমনকি কাফিরদের অনুরূপ বলে উল্লেখ করেন। তিনি জিজ্ঞেস করেন, "তোমরা কোন যুক্তিতে তাকে অবরুদ্ধ ও হত্যা করা বৈধ মনে কর?"[২৫] অবশ্য কোন কোন গোষ্ঠী গোপনে খলিফার কাছে পানি পৌঁছে দেয়। [২৬]
উসমানের হত্যা ও দাফন
উসমানের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিভিন্ন বর্ণনা বিদ্যমান। [২৭] কিছু কিছু বর্ণনা অনুযায়ী, প্রথমে একদল লোক তার বাসভবনে আক্রমণ করলে গৃহরক্ষীরা তাদের বিতাড়িত করে। পুনরায় হামলা করা হয় এবং উক্ত হামলায় উসমান নিহত হনইবনে [২৮] এবং তার স্ত্রী নায়িলার অঙ্গুলিসমূহ কর্তিত হয়।[২৯]
উসমানের হত্যাকাণ্ড ১৮ যিলহজ্জ ৩৫ হিজরিতে সংঘটিত হয় বলে মনে করা হয়।[৩০] ইতিহাসে উসমানের নিহত হওয়ার দিনটি «واقعه یوم الدار» "ওয়াকিআতু ইয়াওম আদ-দার" নামেও পরিচিতি লাভ করে।[৩১] তাবারী কর্তৃক বর্ণিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, উসমানের লাশ তিন দিন পর্যন্ত পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। এরপর কয়েকজন ব্যক্তি তার লাশ বাকী' কবরস্থানের দিকে নিয়ে যান, কিন্তু একদল লোক তাকে বাকী'তে দাফনে বাধা সৃষ্টি করে। এই কারণে তাকে حُشّ کَوکَب (ইহুদিদের কবরস্থান)-এ দাফন করা হয় এবং পরবর্তীতে মুআবিয়া এই স্থানটি বাকী' কবরস্থানের সাথে সংযুক্ত করেন।[৩২]
অসন্তোষ ও বিদ্রোহের পটভূমি
কারও কারও মতে, উসমানের বিরুদ্ধে অসন্তোষ ও বিদ্রোহ হঠাৎ বা আকস্মিকভাবে সৃষ্টি হয়নি, বরং সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন কারণই এই বিরোধিতার সৃষ্টি করে।[৩৩] এই কারণগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খলিফার কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল।[৩৪] যেমন:
বনু উমাইয়াকে বিভিন্ন দায়িত্বে নিযুক্ত করা
ইমাম আলী (আ.) বলেছেন: "তৃতীয় ব্যক্তি (উসমান) ক্ষমতাসীন হল... এবং তার পৈতৃিক গোত্র (বনু উমাইয়া) তার সাথে একত্রিত হয়ে উঠে দাঁড়ালো এবং বসন্তের তাজা ঘাসের উপর উটের যেমন লোভ, তেমনভাবে তারা বাইতুল মাল লুণ্ঠনে প্রবৃত্ত হল। ফলে এ পরিস্থিতি তার পতন ঘটাল এবং তার কৃত কর্মই তার ধ্বংস সম্পন্ন করল।"[৩৫] বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ রাসূল জা’ফারিয়ান (জন্ম ১৯৬৪/১৯৬৫ খ্রি.) উল্লেখ করেছেন যে, উসমান প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহে বনু উমাইয়ার লোকদেরকে এমনভাবে নিযুক্ত করেন, কার্যত সমস্ত ক্ষমতা তাদের হাতে ন্যস্ত করা হয়।[৩৬] বলা হয়ে থাকে যে, বনু উমাইয়াকে দায়িত্ব প্রদানে উসমানের নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, একে "উমাইয়াকরণ" বলে অভিহিত করা যায়।[৩৭] ঐতিহাসিক সূত্রগুলো উসমানের আত্মীয়-স্বজন ও তাদের দায়িত্বসমূহ এভাবে তুলে ধরেছে:
উসমানের আত্মীয়-স্বজনদের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ এবং তাদের শাসনপ্রণালী বহু মুসলমানের প্রতিবাদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।[৩৮] কারণ আবদুল্লাহ ইবনে আমিরের মুরতাদ (ধর্মত্যাগ) হওয়ার ইতিহাস ছিল। [৩৯] ওয়ালিদ ইবনে উকবা কুরআনে ফাসেক হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছিল।[৪০] মারওয়ান ইবনে হাকাম ও তার পিতা উভয়েই রাসূল (সা.) কর্তৃক মদিনা থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিল, অথচ উসমান তাদেরকে মদিনায় ফিরিয়ে আনেন।[৪১]
বাইতুল মাল থেকে অর্থদান
উসমান খিলাফত লাভের পর অত্যন্ত ধনী হয়ে উঠেছিলেন। [৪২] তার সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বাইতুল মাল থেকে অর্থদান।[৪৩] তিনি বনু উমাইয়াদেরকে বিপুল সম্পদ প্রদান করতেন।[৪৪] উদাহরণস্বরূপ, তিনি আফ্রিকা থেকে আগত খুমস (এক-পঞ্চমাংশ) মরওয়ান ইবনে হাকামকে [৪৫] এবং পরবর্তী একটি সময়ে আবদুল্লাহ ইবনে আবি সারহকে প্রদান করেন।[৪৬] এছাড়াও তিনি হারিস ইবনে হাকাম, [৪৭] হাকাম ইবনে আবিল আস, [৪৮] আবদুল্লাহ ইবনে খালিদ ইবনে আসিদ প্রমুখকে প্রচুর সম্পদ দান করেন।[৪৯] বাইতুল মাল থেকে এই সকল অর্থদান, যা উসমানের পূর্ববর্তী খলিফাদের নীতি-বিরুদ্ধও ছিল,[৫০] সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং বহু মানুষের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি করে।[৫১]
আবদুল্লাহ ইবনে সাবা
আহলে সুন্নাতের কোন কোন ইতিহাসবিদের মতে, আবদুল্লাহ ইবনে সাবা উসমানের বিরুদ্ধে প্রচার ও বিদ্রোহ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখেন।[৫২] পক্ষান্তরে, শিয়া [৫৩] ও আহলে সুন্নাতের [৫৪] গবেষকদের একটি দল আবদুল্লাহ ইবনে সাবা নামক কোনো ব্যক্তির অস্তিত্ব নিয়েই সন্দেহ পোষণ করেছেন। এছাড়াও, রাসূল জাফরিয়ানের বক্তব্য অনুযায়ী, ইসলামী সমাজ এতটা দুর্বল ছিল না যে, একজন নবমুসলিম ইহুদির দ্বারা মুসলমানদের খলিফার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ সংঘটিত হতে পারে।[৫৫]
সাহাবায়ে কেরামের ভূমিকা
আহলে সুন্নাতের বিশিষ্ট গবেষক তাহা হুসাইন (মৃত্যু: ১৯৭৩ খ্রি.) মত পোষণ করেন যে, মুহাজির ও আনসার সাহাবীদের মধ্যে কেউই উসমান হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না; তাদের কিছু কিছু উসমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিপক্ষে ছিলেন কিন্তু বাধ্য হয়ে নীরবতা অবলম্বন করেন, কেউ কেউ হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকেন এবং কেউ কেউ মদিনা ত্যাগ করেন।[৫৬] এছাড়াও, তিনি বিশ্বাস করেন যে, উসমানের অবরোধ ও হত্যাকাণ্ডে সাহাবাদের ভূমিকা সম্পর্কে সূত্রগুলোতে যা বর্ণিত হয়েছে, তা দুর্বল।[৫৭] এই ধরনের বিশ্লেষণের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, আহলে সুন্নাতের বিশ্বাস হচ্ছে সকল সাহাবা ন্যায়পরায়ণ, আর খলিফার হত্যাকাণ্ডে সাহাবাদের জড়িত থাকার বিষয়টি হচ্ছে এই বিশ্বাসের পরিপন্থী।[৫৮] তবে বিভিন্ন সূত্র অনুসারে, কিছু সাহাবা উসমানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করেছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, হাশিম ইবনে উতবা ইবনে আবি ওয়াক্কাস উসমানের হত্যাকারীদেরকে মুহাম্মাদ (সা.)-এর সাহাবা, তাদের সন্তান-সন্ততি ইত্যাদি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।[৫৯] এছাড়াও, উসমানের স্ত্রী উসমান হত্যাকাণ্ডের পর মুআবিয়ার কাছে একটি চিঠি লিখেন, যেখানে মদিনাবাসীদেরকে এমন লোক হিসেবে উল্লেখন করেন, যারা উসমানকে তার নিজ গৃহে অবরুদ্ধ করেন।[৬০]
ইমাম আলী (আ.)
ইমাম আলী (আ.) একদিকে উসমানকে «حَمَّالُ الْخَطَایا» (ভুলে ভরা একজন ব্যক্তি) বলে আখ্যায়িত করেন [৬১] এবং তিনি এই বিশ্বাস পোষণ করতেন না যে, উসমান নির্যাতিত হয়ে নিহত হয়েছেন।[৬২] অন্যদিকে, তিনি উসমান হত্যার বিরোধিতা করতেন এবং নিজেকে তার রক্তের ব্যাপারে সর্বাধিক নির্দোষ ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করতেন।[৬৩] এছাড়াও, ইমাম আলী (আ.) বিদ্রোহীদেরকে নসিহত পূর্বক তাদের ভুলগুলো স্মরণ করিয়ে দিতেন।[৬৪] উসমানের গৃহ অবরোধের সময়, কিছু ব্যক্তি ইমাম আলী (আ.)-কে প্রস্তাব দেন, তিনি যেন মদিনা ত্যাগ করেন, যাতে উসমান নিহত হলে তিনি শহরে উপস্থিত না থাকেন। কিন্তু আলী (আ.) তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।[৬৫] ভারতীয় বংশোদ্ভূত ইতিহাসবিদ সৈয়দ হুসাইন মুহাম্মাদ জাফরির বর্ণনা অনুযায়ী, যখন তিনি দেখলেন যে উসমানের প্রাণরক্ষাকারী ব্যক্তিগণ (যেমন হাসান ও হুসাইন) তাদের দায়িত্বে সফল হতে পারেননি, তিনি ক্রোধান্বিত হন এবং তাদের সাথে তিরস্কারপূর্ণ আচরণ করেন। [৬৬]এছাড়াও, ইমাম (আ.) মুআবিয়ার একটি চিঠির জবাবে, যে চিঠিতে তিনি ইমামকে উসমানের হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিলেন, লিখেন: "তুমি আমাকে এমন একটি বিষয়ে অভিযুক্ত করছ যা থেকে আমার হাত ও জিহ্বা সম্পূর্ণ পবিত্র; (উসমান হত্যার প্রতি ইঙ্গিতবাহী) তুমি ও শামের অধিবাসীরা এটিকে অজুহাত বানিয়েছ এবং আমার উপর আরোপ করেছ, এমনকি এতদূর যে, তোমাদের আলেমরা তোমাদের অজ্ঞদেরকে এবং কর্মক্ষেত্রে থাকা ব্যক্তিরা তোমাদের অপদস্থদেরকে এ ব্যাপারে উৎসাহিত করছে।"[৬৭] [টীকা ১]
তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ
মিশরীয় ইতিহাসবিদ তাহা হুসাইন (মৃত্যু: ১৯৭৩ খ্রি.) তালহাকে এমন ব্যক্তি হিসেবে জ্ঞান করেন, যিনি বিদ্রোহীদের প্রতি তার সমর্থন গোপন তো করতেনই না; বরং তাদের একটি দলকে আর্থিক সহায়তাও প্রদান করেন।[৬৮] এছাড়াও, কিছু বর্ণনা অনুসারে, তালহার পরামর্শেই উসমানের গৃহে খাদ্য ও পানাহারের সামগ্রী প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়।[৬৯] ইবনে আবিল হাদীদ মু'তাজিলী কর্তৃক "শারহে নাহজুল বালাগা"-তে বর্ণিত এক রেওয়ায়েত অনুযায়ী, জঙ্গে জামালের সূচনালগ্নে ইমাম আলী (আ.) যুবায়েরের সাথে এক সাক্ষাতে তাকে বলেছিলেন: তুমি ও তালহা উসমানের হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী এবং তোমাদের উচিত ছিল নিজেদেরকে উসমানের ওয়ারিশদের কাছে আত্মসমর্পণ করা।[৭০]
মু'আবিয়া
উসমান যখন অবরুদ্ধ ছিলেন, তখন তিনি মু'আবিয়ার নিকট সাহায্যের আবেদন করে পত্র প্রেরণ করেন। মু'আবিয়া বারো হাজার সৈন্যের একটি বাহিনী প্রেরণ করলেও তাদেরকে শামের সীমান্তে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অবস্থানের নির্দেশ দেন।[৭১]এই বাহিনী মদিনায় পৌঁছে খলিফাকে সাহায্য প্রদানে গড়িমসি করে। যখন শাম থেকে প্রেরিত দূত উসমানের অবস্থা জানতে তার নিকট গমন করেন, উসমান তাকে বলেন, তোমরা আমার হত্যার অপেক্ষায় রয়েছ, যাতে তোমরা আমার রক্তের অধিকারী হিসেবে আবির্ভূত হতে পার।[৭২]
ইমাম আলী (আ.) মু'আবিয়াকে উসমানের হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী মনে করতেন। যখন মু'আবিয়া তাঁকে উসমানের হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন, ইমাম আলী (আ.) তখন উসমানকে সাহায্য প্রদানে মু'আবিয়ার অবহেলা এবং অবরোধের সময় তার উসমানের পক্ষাবলম্বনের কথা স্মরণ করিয়ে দেন।[৭৩]
ইমাম আলী (আ.) বলেন: "কে তার হত্যার পথ প্রশস্ত করে? সেই আলী, যিনি উসমানকে তার পদে বহাল থাকতে ও তার (ভুল) কর্ম ত্যাগ করতে সহায়তা করেছিলেন, নাকি সেই মু'আবিয়া, যার কাছে উসমান সাহায্য চেয়েছিলেন এবং যে সাহায্য প্রদানে বিলম্ব করেছিল, এবং মৃত্যুর সৈন্যবাহিনী তার উপর নিক্ষেপ করেছিল?"[৭৪]
অন্যান্য কিছু সাহাবাও মু'আবিয়াকে সম্বোধন করে তাকে উসমান হত্যাকাণ্ডের অন্যতম দায়ী ব্যক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেন, যে উসমানকে সাহায্য করতে গড়িমসি করেছিল এবং তার হত্যার অপেক্ষায় ছিল।[৭৫]
আয়েশা
মুহাম্মাদ ইবনে জারীর তাবারীর বর্ণনা অনুযায়ী, আয়েশা উসমান সম্পর্কে বলেন:«اُقْتُلُوا نَعْثَلاً فَقَدْ کفَر» "উসমানকে হত্যা কর, কেননা সে কাফের হয়ে গেছে।"[৭৬] [টীকা ২]
যখন বিদ্রোহীরা মদিনায় ছিল, মারওয়ান ইবনে হাকাম, আয়েশা’র কাছে খলিফা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে মধ্যস্থতা করার অনুরোধ করেন। আয়েশা হজ্জের সফরকে অজুহাত দেখিয়ে বলেন যে, তিনি চান উসমানকে টুকরো টুকরো করে সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হোক।[৭৭]উসমানের মৃত্যুর পর আয়েশা তার অবস্থান পরিবর্তন করেন এবং তার রক্তের প্রতিশোধ নেওয়ার দাবি তোলেন।[৭৮] ইবনে আসের কাছে লেখা সা'দ ইবনে আবি ওয়াক্কাসের চিঠিতে উল্লেখ ছিল: উসমানকে এমন এক তরবারি দ্বারা হত্যা করা হয়েছিল যা আয়েশা উঠিয়েছিলেন এবং তালহা তা ধার দিয়েছিলেন।[৭৯] তবে উসমানের হত্যা ও আলী (আ.)-এর নিকট জনগণের বাইয়াতের পর আয়েশা পুনরায় মক্কায় গমন করেন এবং জনসমাবেশে বক্তৃতা করে ইঙ্গিত ও কৌশলের মাধ্যমে ইমাম আলী (আ.)-কে উসমানের হত্যার জন্য দায়ী করেন।[৮০] আয়েশার এই অবস্থান পরিবর্তনের কারণে মহানবী (সা.)-এর স্ত্রী উম্মে সালমা তাকে তিরস্কার করে বলেন: "তুমি মানুষকে উসমান হত্যায় উস্কানি দিতে, অথচ এখন এমন কথা বলছ।"[৮১] আয়েশা জবাবে বলেন: "আমি এখন যা বলছি, তখন যা বলেছিলাম তার চেয়ে উত্তম।"[৮২]
পরিণামসমূহ
হিজরী পঞ্চদশ শতকের বিশিষ্ট আলেম ও হাওযা ইলমিয়া কোমের শিক্ষক মুহাম্মাদ সরূশ মাহাল্লাতী উসমানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকে সমালোচনাযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করেন। তার মতে, যেহেতু এই বিদ্রোহে বিভিন্ন গোষ্ঠী ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে অংশগ্রহণ করে এবং উসমানের বিরুদ্ধে কোনও ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের উপস্থিতি না থাকার কারণে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হয়; যেমনভাবে, ইমাম আলী (আ.)ও এই ঘটনাবলীর অনিশ্চিত পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন।[৮৩] উসমান হত্যাকাণ্ডের কয়েকটি পরিণতি নিম্নরূপ:
- ইমাম আলী (আ.)-এর খিলাফতকালীন সময়ে যুদ্ধসমূহের পটভূমি সৃষ্টি:
ইতিহাসবিদদের মতে, উসমানের রক্তের প্রতিশোধ গ্রহণের অজুহাত দেখিয়ে আয়েশা, তালহা ও যুবায়ের জঙ্গে জামাল (উটের যুদ্ধ) সংঘটিত করেন।[৮৪] তবে ইমাম আলী (আ.) তাদের উদ্দেশ্যে লেখা এক পত্রে, উসমান হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত না থাকা এবং উসমানের রক্তের প্রতিশোধ নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কোন অধিকার নেই বলে উল্লেখ করেন। [৮৫]ইমাম আলী (আ.) তালহা ও যুবায়ের সম্পর্কে আরও বলেন যে, তারা এমন একটি অধিকারের দাবি করছে যা তারা নিজেরাই ত্যাগ করেছে এবং তারা এমন এক রক্তের (উসমানের রক্ত) প্রতিশোধ নেওয়ার অজুহাত দেখাচ্ছে, যা তারা নিজেরাই ঝরিয়েছে।[৮৬]
- বনু উমাইয়া ও বনু হাশিমের মধ্যকার বিরোধ পুনরায় প্রজ্বলিত হওয়া:
বনু উমাইয়া গোত্র উসমানের হত্যাকাণ্ডকে আরবদের মধ্যে তাদের আধিপত্য ও ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।[৮৭] তারা নিজেদেরকে উসমানের রক্তের বদলা দাবি করে এবং আলী (আ.)-কে তার হত্যার জন্য দায়ী সাব্যস্ত করে।[৮৮] রাসূল জাফরিয়ানের মতে, উসমানের মৃত্যু মুআবিয়ার জন্য সর্বাধিক সুবিধা বয়ে এনেছিল।[৮৯] তিনি উসমানের হত্যার পর মিম্বারে উঠে নিজেকে উসমানের রক্তের অধিকারী হিসেবে ঘোষণা করেন।[৯০] আর উসমানের স্ত্রী নায়িলার কর্তিত অঙ্গুলিসমূহ ও উসমানের জামাকে সিরিয়ার জনগণকে উত্তেজিত করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।[৯১]
- নাসেবি মতবাদের উদ্ভব: বলা হয়ে থাকে যে, উসমান হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়েই নাসেবি ধারা সূচনা হয় এবং উমাইয়া শাসনামলে এটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে।[৯২]
সম্পর্কিত নিবন্ধ
তথ্যসূত্র
- ↑ আল-গিবান, ফিতনাতু মাকতালি উসমান বিন আফফান, ১৪১৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৩৮।
- ↑ ইবনে হাজার, আল-ইসাবা, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৩৭৯।
- ↑ নাশি' আল-আকবার, মাসাইলুল ইমামাহ, ১৯৭১ হি., পৃ. ১৫-১৬।
- ↑ মুরুজি তাবাসি, "তাসিরু তাফাক্কুরি উসমানিয়্যাহ আলা ইবনে তাইমিয়্যাহ ফি তাকাবুলি মা' আর-রাওয়াতিন ফাদাইলি আহলিল বাইত (আ.)", পৃ. ১৩৪।
- ↑ ইবনে কাসির, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ১৭০।
- ↑ ইবনে আসির, আল-কামিল, ১৩৮৫ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৬৭।
- ↑ ইবনে খালদুন, তারিখু ইবনে খালদুন, ১৪০৮ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৫৯৪।
- ↑ ইবনে কাসির, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ১৭০-১৭১।
- ↑ শেখ তুসি, আল-আমালি, ১৪১৪ হি., পৃ. ৭১৩; যাহাবি, তারিখুল ইসলাম, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৪৪৩; খলিফা, তারিখু খলিফা, ১৪১৫ হি., পৃ. ৯৯।
- ↑ ইবনে কাসির, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ১৭১-১৭২।
- ↑ ইবনে কাসির, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ১৭০-১৭১।
- ↑ ইবনে আসির, আল-কামিল, ১৩৮৫ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৬৮।
- ↑ যাহাবি, তারিখুল ইসলাম, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৪৪২-৪৪৩।
- ↑ ইবনে খালদুন, তারিখু ইবনে খালদুন, ১৪০৮ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৫৯৯।
- ↑ যাহাবি, তারিখুল ইসলাম, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৪৪২-৪৪৩।
- ↑ ইবনে খালদুন, তারিখু ইবনে খালদুন, ১৪০৮ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৫৯৯।
- ↑ ইবনে আসির, আল-কামিল, ১৩৮৫ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৬৯।
- ↑ ইবনে আসির, আল-কামিল, ১৩৮৫ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৭২।
- ↑ ইবনে আসির, আসাদুল গাবা, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৪৯০।
- ↑ ইবনে আসির, আল-কামিল, ১৩৮৫ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৭২।
- ↑ ইবনে আসির, আল-কামিল, ১৩৮৫ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৭০।
- ↑ ইবনে আবদিল বার, আল-ইসতিয়াব, ১৪১২ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১০৪৬।
- ↑ ইবনে আসির, আল-কামিল, ১৩৮৫ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৭৩।
- ↑ তাবারি, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৩৮৬।
- ↑ তাবারি, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৩৮৬।
- ↑ ইবনে আসির, আল-কামিল, ১৩৮৫ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৭৪।
- ↑ গারিব, খিলাফাতু উসমান বিন আফফান, কায়রো, পৃ. ১৪৯।
- ↑ আ'সাম, আল-ফুতুহ, ১৪১১ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪২৬।
- ↑ ইবনুত তাকতাকি, আল-ফাখরি, ১৪১৮ হি., পৃ. ১০৪।
- ↑ ইবনে সা'দ, আত-তাবাকাতুল কুবরা, ১৪১০ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ২২।
- ↑ ইবনুত তাকতাকি, আল-ফাখরি, ১৪১৮ হি., পৃ. ১০৪।
- ↑ তাবারি, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৪১২।
- ↑ গারিব, খিলাফাতু উসমান বিন আফফান, কায়রো, পৃ. ১০৩।
- ↑ আশ-শেখ, "আসবাবুল ফিতনাহ ফি 'আহদি উসমান", পৃ. ৪৫৫।
- ↑ নাহজুল বালাগাহ, সাবহি সালেহ, খুতবা নং ৩।
- ↑ জাফরিয়ান, তারিখুল খুলাফা, ১৩৮০ ফার্সি সন, পৃ. ১৪৪।
- ↑ বখতিয়ারি, "সাকতজারে সিয়াসি-ই হুকুমতে উসমান", পৃ. ৬৫।
- ↑ গারিব, খিলাফাতু উসমান বিন আফফান, কায়রো, পৃ. ১০৫।
- ↑ গারিব, খিলাফাতু উসমান বিন আফফান, কায়রো, পৃ. ১০৬।
- ↑ ইবনে আবদিল বার, আল-ইসতিয়াব, ১৪১২ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ১৫৫৩।
- ↑ ইবনে আবদিল বার, আল-ইসতিয়াব, ১৪১২ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩৫৯।
- ↑ আশ-শেখ, "আসবাবুল ফিতনাহ ফি 'আহদি উসমান", পৃ. ৪৫৫।
- ↑ ইয়াকুবি, তারিখুল ইয়াকুবি, বৈরুত, খণ্ড ২, পৃ. ১৭৩।
- ↑ ইবনে কাসির, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ১৭১।
- ↑ বালাজুরি, আনসাবুল আশরাফ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৫৮০।
- ↑ গারিব, খিলাফাতু উসমান বিন আফফান, কায়রো, পৃ. ১৫৬।
- ↑ বালাজুরি, আনসাবুল আশরাফ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৫৪১।
- ↑ মাকদিসি, আল-বাদ' ওয়াত তারিখ, বুরসাইদ, খণ্ড ৫, পৃ. ২০০।
- ↑ ইবনুত তাকতাকি, আল-ফাখরি, ১৪১৮ হি., পৃ. ১০২-১০৩।
- ↑ ইবনুত তাকতাকি, আল-ফাখরি, ১৪১৮ হি., পৃ. ১০২-১০৩।
- ↑ আশ-শেখ, "আসবাবুল ফিতনাহ ফি 'আহদি উসমান", পৃ. ৪৫৫।
- ↑ ইবনে কাসির, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ১৬৭; ইবনে খালদুন, তারিখু ইবনে খালদুন, ১৪০৮ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৫৮৭।
- ↑ দেখুন আসকারি, আবদুল্লাহ ইবনে সাবা ওয়া আসাতির উখরা, ১৩৭৫ হি.।
- ↑ তাহা হুসাইন, আল-ফিতনাতুল কুবরা, ২০১২ খ্রি., খণ্ড ২, পৃ. ১০২।
- ↑ জাফরিয়ান, তারিখুল খুলাফা, ১৩৮০ ফার্সি সন, পৃ. ১৫৬।
- ↑ হুসাইন, "আলী ওয়া ফিতনাতুল কুবরা কাতলে উসমান", পৃ. ৪৫।
- ↑ আল-গিবান, ফিতনাতু মাকতালি উসমান বিন আফফান, ১৪১৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৩৭।
- ↑ আল-গিবান, ফিতনাতু মাকতালি উসমান বিন আফফান, ১৪১৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১১৬।
- ↑ তাবারি, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৪৩।
- ↑ ইবনে জাওজি, আল-মুনতাজাম, ১৪১২ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৬১।
- ↑ সাকাফি, আল-গারাত, ১৩৯৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৬।
- ↑ নাসর ইবনে মুজাহিম, ওয়াক'আতু সিফফিন, ১৪০৪ হি., পৃ. ২০২।
- ↑ নাহজুল বালাগাহ, সুবহি সালেহ, পত্র নং ৬।
- ↑ দ্র: ইবনে আসির, আল-কামিল, ১৩৮৫ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ১৭৩।
- ↑ মাজলিসী, বিহারুল আনোয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৩১, পৃ. ৪৮৭; বালাজুরি, আনসাবুল আশরাফ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৫৬৮।
- ↑ জাফরি, তাশাইয়ু' দার মাসিরে তারিখ, ১৩৮০ ফার্সি সন, পৃ. ১১০।
- ↑ মাকারেম শিরাজি, নাহজুল বালাগাহ বা তরজুমেহ ফারসি রাওয়ান, ১৩৮৪ ফার্সি সন, খণ্ড ১, পৃ. ৬৯৭।
- ↑ হুসাইন, "আলী ওয়া ফিতনায়ে বুজুর্গ কাতলে উসমান", পৃ. ৪৫।
- ↑ ইবনে কুতাইবা, আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ, ১৪১০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫৭।
- ↑ ইবনে আবিল হাদিদ, শরহে নাহজুল বালাগাহ, প্রকাশক: মাকতাবাতু আয়াতিল্লাহিল উজমা আল-মার'আশি আন-নাজাফি (রহ.), খণ্ড ২, পৃ. ১৬৭।
- ↑ ইয়াকুবি, তারিখুল ইয়াকুবি, বৈরুত, খণ্ড ২, পৃ. ১৭৫।
- ↑ ইয়াকুবি, তারিখুল ইয়াকুবি, বৈরুত, খণ্ড ২, পৃ. ১৭৫।
- ↑ নাহজুল বালাগাহ, সুবহি সালেহ, পত্র নং ২৮।
- ↑ নাহজুল বালাগাহ, সুবহি সালেহ, পত্র নং ২৮।
- ↑ দ্র: জাফরিয়ান, তারিখুল খুলাফা, ১৩৮০ ফার্সি সন, পৃ. ১৭৪-১৭৫।
- ↑ তাবারি, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৪৫৯।
- ↑ ইয়াকুবি, তারিখুল ইয়াকুবি, বৈরুত, খণ্ড ২, পৃ. ১৭৫।
- ↑ ইবনে খালদুন, দিওয়ানুল মুবতাদা ওয়াল খাবার, ১৪০৮ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৬০৭।
- ↑ আবদুল মাকসুদ, আল-ইমাম আলী বিন আবি তালিব, মাকতাবাতুল আরফান, খণ্ড ২, পৃ. ২৩৬।
- ↑ আবদুল মাকসুদ, আল-ইমাম আলী বিন আবি তালিব, মাকতাবাতুল আরফান, খণ্ড ২, পৃ. ২৬৭।
- ↑ ইবনে আ'সাম, আল-ফুতুহ, ১৪১১ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪৩৭।
- ↑ তাবারি, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ৪৫৯।
- ↑ সরূশ মাহাল্লাতি, জিহাদ ফি ফিকহিল মু'আসিরিশ শিয়া, ১৪০০ ফার্সি সন, পৃ. ১৮০-১৮১।
- ↑ দ্র: ইবনে আসির, আল-কামিল, ১৩৮৫ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ২০৫-২০৮।
- ↑ নাহজুল বালাগাহ, সুবহি সালেহ, পত্র নং ৫৪।
- ↑ নাহজুল বালাগাহ, সুবহি সালেহ, খুতবা নং ২২।
- ↑ গারিব, খিলাফাতু উসমান বিন আফফান, কায়রো, পৃ. ১৬৫।
- ↑ গারিব, খিলাফাতু উসমান বিন আফফান, কায়রো, পৃ. ১৫২।
- ↑ জাফরিয়ান, তারিখুল খুলাফা, ১৩৮০ ফার্সি সন, পৃ. ১৭৮।
- ↑ নাসর ইবনে মুজাহিম, ওয়াক'আতু সিফফিন, ১৪০৪ হি., পৃ. ৮১।
- ↑ ইবনুত তাকতাকি, আল-ফাখরি, ১৪১৮ হি., পৃ. ১০৪।
- ↑ কাউসারী, "বাররাসি রিশেহায়ে তারিখে নাসেবিগারি", পৃ. ৯৯।
গ্রন্থপঞ্জি
- ইবনে আসির, আলী ইবনে মুহাম্মাদ, আসাদুল গাবা ফি মা'রিফাতিস সাহাবা, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪০৯ হি.।
- ইবনে আসির, আলী ইবনে মুহাম্মাদ, আল-কামিল ফিত তারিখ, বৈরুত, দার সাদির, ১৩৮৫ হি.।
- ইবনে আ'সাম কুফি, আহমাদ ইবনে আ'সাম, আল-ফুতুহ, তাহকিক: আলী শিরি, বৈরুত, দারুল আদওয়া, ১৪১১ হি.।
- ইবনুত তাকতাকি, মুহাম্মাদ ইবনে আলী, আল-ফাখরি, তাহকিক: আবদুল কাদের মুহাম্মাদ মায়ো, বৈরুত, দারুল কালামিল আরাবি, ১ম সংস্করণ, ১৪১৮ হি.।
- ইবনুল ইবরি, তারিখ মুখতাসারুদ দুয়াল, বৈরুত, দারুশ শার্ক, ১৯৯২ খ্রি.।
- ইবনে জাওজি, আবদুর রহমান ইবনে আলী, আল-মুনতাজাম, মুহাক্কি: মুহাম্মাদ আবদুল কাদের আতা, মুস্তাফা আবদুল কাদের আতা, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়া, ১ম সংস্করণ, ১৪১২ হি.।
- ইবনে হাজার আসকালানি, আহমাদ ইবনে আলী, আল-ইসাবা ফি তামইজিস সাহাবা, তাহকিক: আদিল আহমাদ আবদুল মাওজুদ, আলী মুহাম্মাদ মুয়াউয়াদ, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়া, ১৪১৫ হি.।
- ইবনে খালদুন, আবদুর রহমান ইবনে মুহাম্মাদ, তারিখ ইবনে খালদুন, তাহকিক খলীল শাহাদা, বৈরুত, দারুল ফিকর, ২য় সংস্করণ, ১৪০৮ হি.।
- ইবনে সা'দ, মুহাম্মাদ ইবনে সা'দ, আত-তাবাকাতুল কুবরা, তাহকিক: মুহাম্মাদ আবদুল কাদের আতা, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়া, ১ম সংস্করণ, ১৪১০ হি.।
- ইবনে আবদিল বার, ইউসুফ ইবনে আবদুল্লাহ, আল-ইসতিয়াব ফি মা'রিফাতিল আস-হাব, তাহকিক: আলী মুহাম্মাদ আল-বাজাউই, বৈরুত, দারুল জাইল, ১ম সংস্করণ, ১৪১২ হি.।
- ইবনে কুতাইবা দিনওয়ারি, আবদুল্লাহ ইবনে মুসলিম, আল-ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ, তাহকিক: আলী শিরি, বৈরুত, দারুল আদওয়া, ১ম সংস্করণ, ১৪১০ হি.।
- ইবনে কাসির দিমাশ্কি, ইসমাইল ইবনে উমর, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪০৭ হি.।
- ইবনে মিসকাওয়াইহ, আবু আলী, তাজারিবুল উমাম, তাহকিক: আবুল কাসিম ইমামি, তেহরান, সুরুশ, ২য় সংস্করণ, ১৩৭৯ ফার্সি সন।
- আশ-শেখ, আবদুল মুন'ইম, "আসবাবুল ফিতনাহ ফি 'আহদি উসমান", মাজাল্লাহ আল-আজহার, সংখ্যা ২২, মুহাররাম ১৩৭০ হি.।
- আল-গিবান, মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ, ফিতনাতু মাকতালি উসমান বিন আফফান, মদিনা, আল-জামি'আতুল ইসলামিয়া, ১৪১৯ হি.।
- বখতিয়ারি, শাহলা, "সখতারে সিয়াসিয়ে হুকুমতে উসমান", মাজাল্লেয়ে কেইহান আন্দিশে, সংখ্যা ৭৭, উর্দি বিহেশত ১৩৭৭ ফার্সি সন।
- বালাজুরি, আহমাদ ইবনে ইয়াহইয়া, আনসাবুল আশরাফ, তাহকিক: সুহাইল যাকার, রিয়াদ যিরিকলি, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১ম সংস্করণ, ১৪১৭ হি.।
- সাকাফি, ইবরাহিম ইবনে মুহাম্মাদ, আল-গারাত, তাসহিহ: জালালুদ্দিন মুহাদ্দিস, তেহরান, আঞ্জুমানে অসারে মিল্লি, ১ম সংস্করণ, ১৩৯৫ হি.।
- জাফরিয়ান, রাসূল, তারিখুল খুলাফা, কুম, দালিলে মা, ১৩৮০ ফার্সি সন।
- জাফরি, হুসাইন মুহাম্মাদ, তাশাইয়ু' দার মাসিরে তারিখ, তরজমা: সৈয়দ মুহাম্মাদ তাকি আয়াতুল্লাহি, তেহরান, দাফতারে নাশরে ফারহাঙ্গে ইসলামি, ১৩৮০ ফার্সি সন।
- হুসাইন, তাহা, "আলী ওয়া ফিতনেয়ে বুযুর্গে কাতলে উসমান", তরজমা: রেজা রাদি, মাজাল্লেয়ে গুলিস্তানে কুরআন, সংখ্যা ১০, উর্দি বেহেশত ১৩৭৯ ফার্সি সন।
- হুসাইন, তাহা, আল-ফিতনাতুল কুবরা, কায়রো, হিন্দাওয়ি, ২০১২ খ্রি.।
- খলিফা ইবনে খিয়াত, তারিখ খলিফা ইবনে খিয়াত, তাহকিক: ফাওয়াজ, বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়া, ১৪১৫ হি.।
- দিনওয়ারি, আহমাদ ইবনে দাউদ, আল-আখবারুত তিওয়াল, কুম, মানশুরাতে রাদি, ১৩৬৮ ফার্সি সন।
- যাহাবি, মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ, তারিখুল ইসলাম, তাহকিক: উমর আবদুস সালাম তাদমুরি, বৈরুত, দারুল কিতাবিল আরাবি, ২য় সংস্করণ, ১৪০৯ হি.।
- সরূশ মাহাল্লাতি, মুহাম্মাদ, জিহাদ দার ফিকহে মু'আসিরে শিয়া, তেহরান, মিরাসে আহলে কালাম, ১৪০০ ফার্সি সন।
- শেখ তুসি, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, আল-আমালি, কুম, দারুস সাকাফাহ, ১ম সংস্করণ, ১৪১৪ হি.।
- শেইখ মুফিদ, মুহাম্মাদ ইবনে মুহাম্মাদ, আল-ইখতিসাস, কুম, কংগ্রেয়ে শেখ মুফিদ, ১ম সংস্করণ, ১৪১৩ হি.।
- তাবারি, মুহাম্মাদ ইবনে জারির, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, তাহকিক: মুহাম্মাদ আবুল ফাদল ইবরাহিম, বৈরুত, দারুত তুরাস, ২য় সংস্করণ, ১৩৮৭ হি.।
- আবদুল মাকসুদ, আবদুল ফাত্তাহ, ইমাম আলী ইবনে আবি তালিব, বৈরুত, মাকতাবাতুল আরফান, তারিখ অজ্ঞাত।
- গারিব, মামুন, খিলাফাতু উসমান বিন আফফান, কায়রো, মারকাযুল কিতাব লিন নাশর, তারিখ অজ্ঞাত।
- কাউসারী, আহমাদ, "বাররাসি রিশেহায়ে তারিখে নাসিবি গারি", দার মাজাল্লেয়ে সিরাজ মুনির, সংখ্যা ১৬, যেমেস্তান ১৩৯৩ ফার্সি সন।
- মাজলিসী, মুহাম্মাদ বাকির, বিহারুল আনোয়ার, বৈরুত, দারু ইহইয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, ২য় সংস্করণ, ১৪০৩ হি.।
- মুরুজি তাবাসি, মুহাম্মাদ মহসিন, "তাসিরে তাফাক্কুরে উসমানিয়্যাহ বার ইবনে তাইমিয়্যাহ দার তাকাবুল বা রেওয়ায়ানে ফাযায়েলে আহলে বাইত (আ.)", দার ফারহাঙ্গে, সংখ্যা ৪৬, বাহার ১৪০০ ফার্সি সন।
- মাকদিসি, মুতাহহার ইবনে তাহির, আল-বাদউ ওয়াত তারিখ, বুর সাইদ, মাকতাবাতুস সাকাফাতিদ দিনিয়া, তারিখ অজ্ঞাত।
- মাকারেম শিরাজি, নাসির, নাহজুল বালাগাহ বা তারজমে-এ ফারসি রাওয়ান, নাশের: মাদ্রাসাতুল ইমাম আলী ইবনে আবি তালিব (আ.), কুম, ১৩৮৪ ফার্সি সন।
- নাশি' আল-আকবার, আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ, মাসাইলুল ইমামাহ, তাহকিক: ইওজেফ ফান এস, বৈরুত, অজ্ঞাত প্রকাশনা, ১৯৭১ হি.।
- নাসর ইবনে মুজাহিম, ওয়াক'আতু সিফফিন, তাসহিহ: আবদুস সালাম মুহাম্মাদ হারুন, কুম, মাকতাবাতু আয়াতিল্লাহিল মার'আশি আন-নাজাফি, ২য় সংস্করণ, ১৪০৪ হি.।
- নাহজুল বালাগা, তাহকিক: সুবহি সালেহ, কুম, হিজরাত, ১ম সংস্করণ, ১৪১৪ হি.।
- ইয়াকুবি, আহমাদ ইবনে আবি ইয়াকুব, তারিখে ইয়াকুবি, বৈরুত, দার সাদির, ১ম সংস্করণ, তারিখ অজ্ঞাত।