মৃত ব্যক্তির উসিলায় দোয়া চাওয়া

wikishia থেকে

নিবন্ধটি ‘মৃত ব্যক্তির উসিলায় দোয়া চাওয়া’ প্রসঙ্গে। তাওয়াসসুল সম্পর্কে অধিক অবগতির জন্য দেখুন ‘তাওয়াসসুল’ নিবন্ধটি।

মৃত ব্যক্তির উসিলায় দোয়া চাওয়া (আরবি : التوسل بالموتى); মহান আল্লাহর দরবারের দোয়া কবুল হওয়ার জন্য দ্বীনের বুজুর্গ ও মহানুভব ব্যক্তিত্বদেরকে উসিলা হিসেবে আনা। যেমন, নিষ্পাপ ইমামগণের (আ.) উসিলায় দোয়া প্রার্থনা করা। মৃত ব্যক্তির উসিলায় দোয়া চাওয়া মুসলমানদের অন্যতম বিশ্বাস বিশেষ করে শিয়াদের; যা মৃত ব্যক্তির শ্রবণ করার ক্ষমতা এবং তাদের বারযাখি জীবন সংশ্লিষ্ট আকিদার উপর প্রতিষ্ঠিত।

শিয়া ও আহলে সুন্নতের বিভিন্ন গ্রন্থে মহানবির (স.) ওফাতের পর তাঁকে উসিলা করে তাঁর আহলে বাইত (আ.) ও তাঁর কিছু কিছু সাহাবাদের দোয়া চাওয়ার ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। ওয়াহাবিরা এবং ইবনে তাইমিয়া মৃত ব্যক্তির উসিলায় দোয়া চাওয়াকে বৈধ ও জায়েয জ্ঞান করেন নি।

মুসলিম আলেমদের দৃষ্টিতে, আল্লাহর ওলীদের জীবদ্দশায় বা তাঁদের মৃত্যুর পর তাঁদের উসিলায় দোয়া চাওয়ার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। যেভাবে আল্লাহর রাসূলসহ (স.) মহান আল্লাহর অন্যান্য ওলীদের নিকট তাদের জীবদ্দশায় দোয়াইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করার জন্য আবেদন জানানো যায়, তেমনি তাদের মৃত্যুর পরও তাদের নিকট এ আবেদন করাতে কোন বাধা নেই।

পরিভাষা পরিচিতি

মৃত ব্যক্তির উসিলায় দোয়া চাওয়ার অর্থ হলো, মহান আল্লাহর দরবারের দোয়া কবুল হওয়ার জন্য দ্বীনের বুজুর্গ ও মহানুভব ব্যক্তিত্বদেরকে উসিলা হিসেবে আনাকে বোঝায়।[১]

মৃত ব্যক্তির শ্রবণ ক্ষমতা ও বারযাখি জীবন

মৃত ব্যক্তির উসিলায় দোয়া চাওয়ার বিষয়টি তখনই গ্রহণযোগ্য হবে যখন তাদের বারযাখি জীবন এবং মৃত অবস্থায় তাদের শ্রবণ করার ক্ষমতা থাকার প্রতি আকিদা পোষণ করা হবে। পাশাপাশি বারযাখে অবস্থানরত রূহগুলোর সাথে জীবিত ব্যক্তিদের যোগাযোগ স্থাপন সম্ভবপর এবং মৃত ব্যক্তিরা জীবিতদের শব্দ শ্রবণ করার ক্ষমতা রাখে এ বিশ্বাস বিশ্বাসী হবে।[২]

বৈধতা

মৃত ব্যক্তির উসিলায় দোয়া চাওয়ার সপক্ষে ৩ ধরনের দলীল উপস্থাপিত হয়। ‘পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াত’ ভিত্তিক, ‘আহলে বাইতের জীবনী’ এবং মুসলমানদের সীরাত।

কুরআন ভিত্তিক দলীল

মৃত ব্যক্তির উসিলায় দোয়া চাওয়া প্রসঙ্গে সূরা নিসার ৬৪নং আয়াতকে দলীল হিসেবে উত্থাপন করা হয়েছে। আয়াতে মহানবির (স.) নিকট মু’মিনদের ইস্তিগফারের (ক্ষমা প্রার্থনা) আবেদন ও সে আবেদনে সাড়া প্রদান প্রসঙ্গে উৎসাহিত করা হয়েছে। বিষয়টি নিরঙ্কুশ ও শর্তহীনভাবে বর্ণিত হওয়ায় মহানবির (স.) জীবদ্দশা ও মৃত্যুর পরবর্তী সময়ও এটির শামিল।[৩] একইভাবে সূরা মায়িদার ৩৫নং আয়াতে নিঃশর্তভাবে তাওয়াসসুলকে জায়েয ঘোষণা করা হয়েছে। আর আয়াত বিদ্যমান শর্তহীনতাকে কাজে লাগিয়ে নবিগণ (আ.) ও মু’মিনগণের রূহের প্রতি তাওয়াসসুল করা যায় তথা তাঁদের মৃত্যুর পরও তাদের উসিলায় দোয়া চাওয়া যায়।[৪]

শিয়া ইমামগণের (আ.) জীবনী

কিছু কিছু সূত্রের ভাষ্যমতে, শিয়া ইমামগণ (আ.) মহানবির (স.) ইন্তেকালের পর তাকে উসিলা দিয়ে দোয়া করেছেন। হযরত আলী (আ.)[৫]ইমাম হুসাইন (আ.)[৬] মহানবির (স.) উসিলায় দোয়া করেছেন। ইমাম সাজ্জাদও (আ.) ১৪ মাসুমকে (আ.) উসিলা করে দোয়া প্রার্থনার ক্ষেত্রে তাঁদের জীবিত আর মৃতদের মাঝে পার্থক্য রাখেন নি।[৭][নোট ১]

একইভাবে আহলে বাইত (আ.) থেকে বর্ণিত দোয়াসমূহ -যেমন দোয়ায়ে সারীউল ইজাবাহ- থেকে প্রমাণিত হয় যে, বুজুর্গ ব্যক্তিত্বের মৃত্যু পর তাঁর উসিলায় দোয়া প্রার্থনা প্রসঙ্গে সুপারিশ করা হয়েছে।[৮]

সাহাবিগণের মাঝে প্রচলন

আহলে সুন্নতের হাদিস ভিত্তিক গ্রন্থসমূহে কিছু কিছু সাহাবামুসলমানদের মহানবির (স.) ইন্তিকালের পর তার উসিলায় দোয়া করার দৃষ্টান্ত উল্লিখিত হয়েছে, উদাহরণ স্বরূপ:

আহলে সুন্নতের দৃষ্টিভঙ্গী

আহলে সুন্নতের বেশীরভাগ আলেমই মৃত ব্যক্তির উসিলায় দোয়া চাওয়াকে জায়েয জ্ঞান করেছেন। তারাও ইসলামে বিশেষ অবস্থানের অধিকারী ব্যক্তিত্বদের উসিলা করে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া চাইতেন। যেমন:

  • হিজরী ১০ম শতাব্দির বিশিষ্ট শাফেয়ী আলেম সামহুদি, মহানবির (স.) উসিলায় দোয়া চেয়ে যাদের দোয়া পূরণ হয়েছে এমন কিছু ঘটনা নিজ ‘ওয়াফাউল ওয়াফা বি-আখবারি দারিল মুস্তাফা’ গ্রন্থে এনেছেন। তার মতে, আল্লাহর রাসূলের (স.) উসিলায় মহান আল্লাহর দরবারে ইস্তিগাসা (আকুতি), শাফায়াত ও দোয়া প্রার্থনা ছিল বিভিন্ন যুগে নবিগণ (আ.) ও সৎকর্মশীল ব্যক্তিদের মাঝে প্রচলিত একটি বিষয়। চাই তা খিলকাতের (সৃষ্টি) আগে হোক বা পরে; তাঁর (স.) জাগতিক জীবনে হোক বা বারযাখি জীবনে।[১৩]
  • আবু আলী খিলাল বলেছেন, যখনই তিনি কোন সমস্যায় পড়তেন ইমাম কাযিমের (আ.) মাজারে যেয়ে তার উসিলায় দোয়া করতেন এবং তার সমস্যা নিরসন হত।[১৪] শাফেয়ী, ইমাম কাযিমের (আ.) কবর (মাজার)-কে ‘নিরাময়ক ঔষধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।[১৫]
  • আলূসী তার তাফসীর গ্রন্থে তাওয়াসসুল সম্পর্কে কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা এবং রেওয়ায়েত উল্লেখপূর্বক বিভিন্ন আলোচনা-পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের পর এ ফলাফলে পৌঁছেছেন যে, আল্লাহর রাসূলের (স.) উসিলা দিয়ে মহান আল্লাহর নিকট দোয়া চাওয়াতে কোন বাধা নেই; তা তাঁর জীবদ্দশায় হোক বা তার রেহলাত গমনের (মৃত্যু) পরে হোক। এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার পর এ কথা স্বীকার করেছেন যে, নবি নন এমন কোন ব্যক্তিত্বের উসিলায় মহান আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনাতেও কোন বাধা নেই, এই শর্তসাপেক্ষে যে, প্রকৃত অর্থেই যেন তিনি মহান আল্লাহর নিকট বিশেষ মাকাম ও সম্মানের অধিকারী হন।[১৬]
  • ইবনে আব্বাসের নিকট উমর ইবনে খাত্তাব কর্তৃক দোয়া ও বৃষ্টি চেয়ে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া প্রার্থনার আবেদনের ঘটনা বর্ণনার পর আসকালানি স্বীকার করেছেন যে, আহলে খাইর ও সালাহকে বিশেষ করে আহলে বাইতকে ইস্তিশফা (استشفع) তথা শাফায়াতকারী হিসেবে উপস্থাপন করা একটি মুস্তাহাব কাজ।[১৭]

ওয়াহাবিদের দৃষ্টিভঙ্গী

মৃত ব্যক্তির উসিলায় দোয়া করাকে ওয়াহাবিরা জায়েয জ্ঞান করে না। ইবনে তাইমিয়ার (ওয়াহাবিরা যার দৃষ্টিভঙ্গীকে প্রমাণ হিসেবে এনে থাকে) বিশ্বাস করতেন, আল্লাহর নবি (স.) ও সৎকর্মশীল ব্যক্তিত্বদের উসিলায় দোয়া চাওয়ার বিষয়টি শুধুমাত্র তাদের জীবদ্দশাতেই সহিহ এবং তাঁদের মৃত্যুর পর তাদের উসিলায় দোয়া করা শিরক[১৮]

উত্তর

তাওয়াসসুলের সমর্থকদের দৃষ্টিতে আওলিয়া-এ ইলাহিগণের উসিলায় দোয়া চাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের জীবদ্দশা বা তাদের মৃত্যুর পরবর্তী সময়ের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। যেভাবে মহানবি (স.) ও অন্যান্য ওলীগণের জীবদ্দশায় তাদের নিকট কারো জন্য দোয়াইস্তিগফারের আবেদন জানানো সম্ভব, একইভাবে তাদের মৃত্যুর পরও তাদের নিকট এই আবেদন জানানো যায়।[১৯] এ সম্পর্কে প্রমাণ হিসেবে (وَلَوْ أنَّهُمْ إذْ ظَلَمُوا أنْفُسَهُمْ جَاءُوک فَاسْتَغْفَرُوا اللهَ وَاسْتَغْفَرَ لَهُمُ الرَّسُولُ لَوَجَدُوا اللهَ تَوَّاباً رَحیماً) (...যখন তারা নিজেদের উপর যুলম করেছিল, তখন যদি তোমার নিকট চলে আসত আর আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হত এবং রসূলও তাদের পক্ষে ক্ষমা চাইত, তাহলে তারা আল্লাহকে নিরতিশয় তাওবাহ কবূলকারী ও পরম দয়ালুরূপে পেত।) [নিসা : ৬৪] -এ আয়াতটিকে আনা হয়েছে এবং মহানবির (স.) জীবদ্দশা ও মৃত্যু পরবর্তীকালীন দু’টো সময়ই আয়াতের অন্তর্ভুক্ত।[২০] এছাড়া, মুসলমানদের সীরাত বিশেষ করে সাহাবাগণের জীবনীতে মৃত ব্যক্তির উসিলায় দোয়া চাওয়ার বিষয়টি ছিল প্রচলিত একটি বিষয়।[২১]

তথ্যসূত্র

  1. সুবহানি, বুহুসুন কুরআনিয়াতুন ফিত তাওহীদি ওয়াশ শিরক, ১৪২৬ হি., পৃ. ৯৩।
  2. সুবহানি, বুহুসুন কুরআনিয়াতুন ফিত তাওহীদি ওয়াশ শিরক, ১৪২৬ হি., পৃ. ১১১।
  3. নাওয়াবী, আল-মাজমু’, ১৪২১ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ২৭৪।
  4. দ্র: মাকারেম শিরাযি, তাফসিরে নেমুনে, ১৩৮০ ফার্সি সন, খণ্ড ৪, পৃ. ৩৬৫।
  5. দ্র: নাহজুল বালাগাহ, হিকমত ৩৫৩, পৃ. ৪৭৯।
  6. ইবনে আ’সাম কুফি, আল-ফুতুহ, ১৪১১ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ১৯।
  7. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৮৪, পৃ. ২৮৫।
  8. কুলাইনি, আল-কাফি, ১৩৬২ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ৫৮৩।
  9. দারিমি, সুনানুল দারিমি, ১৪১২ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২২৭।
  10. সামহুদি, ওয়াফাউল ওয়াফা, ২০০৬ খ্রি., খণ্ড ৪, পৃ. ১৯৫।
  11. সামহুদি, ওয়াফাউল ওয়াফা, ২০০৬ খ্রি., খণ্ড ৪, পৃ. ১৯৫।
  12. সামহুদি, ওয়াফাউল ওয়াফা, ২০০৬ খ্রি., খণ্ড ৪, পৃ. ১৯৫।
  13. সামহুদি, ওয়াফাউল ওয়াফা, ২০০৬ খ্রি., খণ্ড ৪, পৃ. ১৯৫।
  14. বাগদাদি, তারিখে বাগদাদ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৩৩।
  15. কা’বি, আল-ইমামু মুসা বিন আল-কাযিম আলাইহিস সালাম সীরা ওয়া তারিখ, ১৪৩০ হি., পৃ. ২৬১।
  16. আলুসি, রুহুল মাআনি ফি তাফসিরিল কুরআনিল আযিম, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ২৯৭।
  17. আল-আসকালানি, ফাতহুল বারি, ১৩৯৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪৯৭।
  18. ইবনে তাইমিয়া, মাজমুআতুল ফাতাওয়া, ১৪১৬ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৫৯।
  19. দ্র: সামহুদি, ওয়াফাউল ওয়াফা, ২০০৬ খ্রি., খণ্ড ৪, পৃ. ১৯৬-১৯৭।
  20. দ্র: ইবনে তাইমিয়া, মাজমুআতুল ফাতাওয়া, ১৪১৬ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৫৯।
  21. দ্র: সামহুদি, ওয়াফাউল ওয়াফা, ২০০৬ খ্রি., খণ্ড ৪, পৃ. ১৯৫-১৯৭।

গ্রন্থপঞ্জি

  • আলুসি, সাইয়্যেদ মাহমুদ, রুহুল মাআনি ফি তাফসিরিল কুরআনিল আযিম, তাহকিক: আলী আব্দুল বারি আতিয়া, বৈরুত, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৫ হি.।
  • ইবনে আ’সাম কুফি, আল-ফুতুহ, বৈরুত, দারুল আদ্বওয়া, প্রথম সংস্করণ, ১৪১১ হি.।
  • ইবনে তাইমিয়া, আহমাদ বিন আব্দুল হালিম, মাজমুআতুল ফাতাওয়া, তাহকিক শেইখ আব্দুর রহমান বিন কাসিম, আল-মাদিনাতুন নাবাবিয়্যাহ, মাজমাউল মুলক ফাহাদ, লি-তাবাআতিল মাসহাফিশ শারীফ, ১৪১৬ হি.।
  • খাতিব বাগদাদি, আহমাদ বিন আলী, তারিখে বাগদাদ, বৈরুত, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, ১৪১৭ হি.।
  • দারিমি, আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাহমান, সুনানুদ দারিমি, তাহকিক সালিম আসাদ আল-দারিমি, আল-মামলিকাতুল আরাবিয়্যাহ আল-সাউদিয়্যাহ, দারুল মুগনি লিল নাশরি ওয়াত তাওযী’, প্রথম সংস্করণ, ১৪১২ হি.।
  • সুবহানি, জাফর, বুহুসুন কুরআনিয়্যাতুন ফিত তাওহীদি ওয়াশ শিরক, কোম, মুআসসাসাতু ইমাম সাদিক (আ.), তৃতীয় সংস্করণ, ১৪২৬ হি.।
  • সামহুদি, আলী বিন আহমাদ, ওয়াফাউল ওয়াফা বি আখবারি দারুল মুস্তাফা, বৈরুত, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, ২০০৬ খ্রি.।
  • আল-আসকালানি, ইবনে হিজর, ফাতহুল বারি, তা’লিকাতু আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল্লাহ বিন বায, বৈরুত,দারুল মা’রেফাহ, ১৩৯৭ ফার্সি সন।
  • তাবারানি, সুলাইমান বিন আহমাদ, আল-মু’জামুল কাবির, তাহকিক হামদি বিন আব্দুল মাজিদ আল-সালাফি, কায়রো, মাক্তাবাতুন ইবনে তাইমিয়া, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৬ হি.।
  • কা’বি, আলী মুসা, আল-ইমামু মুসা বিন আল-কাযিম আলাইহিস সালাম; সীরা ওয়া তারিখ, মারকাযুর রিসালা, ১৪৩০ হি.।
  • কুলাইনি, মুহাম্মাদ বিন ইয়াকুব, আল-কাফি, তেহরান, ইন্তেশারাতে ইসলামিয়া, ১৩৬২ ফার্সি সন।
  • মাজলিসী, মুহাম্মাদ বাকের, বিহারুল আনওয়ার, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, তৃতীয় সংস্করণ, ১৪০৩ হি.।
  • মাকারেম শিরাযি, নাসের, তাফসিরে নেমুনে, তেহরান, দারুল কুতুব আল-ইসলামিয়্যাহ, ৪১তম সংস্করণ, ১৩৮০ ফার্সি সন।
  • নাহজুল বালাগাহ, তাহকিক আজিজুল্লাহ আতারদি, তেহরান, বুনিয়াদে নাহজুল বালাগাহ, ১৪১৩ হি.।
  • নাবাবি, মাহিউদ্দিন বিন শারাফ, আল-মাজমুউ শারহুল মুহাযযাব, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪২১ হি.।