প্রতিশ্রুতি রক্ষা

wikishia থেকে

প্রতিশ্রুতি রক্ষা (আরবি: الوفاء بالعهد); ওয়াদা, প্রতিজ্ঞা, চুক্তি ও অঙ্গীকার রক্ষা করা অর্থে, এটি উৎকৃষ্ট ও উন্নত নৈতিক বৈশিষ্ট্যগুলোর অন্যতম, যা সম্পর্কে পবিত্র কুরআন ও রেওয়ায়েতে বিশেষ তাগিদ করা হয়েছে। হাদিসের ভাষায় প্রতিশ্রুতি রক্ষা হলো দ্বীনের ভিত্তি, ইয়াক্বীনের (দৃঢ় বিশ্বাস) আলামত এবং সকল ধর্মের নির্যাস স্বরূপ। পবিত্র কুরআনে এ বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে মহান আল্লাহর প্রশংসা করা হয়েছে এবং হাদিসে নবিগণ (আ.) ও নিষ্পাপ ইমামগণের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

মুফাসসিরদের ভাষায়, মহান আল্লাহ্ পবিত্র কুরআনে প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারীদের প্রশংসা করেছেন এবং তাদেরকে মু’মিন, সত্যবাদি, নামাযি, পরিত্রাণপ্রাপ্ত এবং বেহেশতবাসি হিসেবে পরিচয় করিয়েছেন। কুরআনের আয়াতের ভাষ্যানুযায়ী ‘প্রতিশ্রুতি রক্ষা’ কিয়ামতের দিন মহানবির (স.) সহচর্য লাভের কারণ হবে।

গুরুত্ব

প্রতিশ্রুতি রক্ষা বলতে, কেউ কোন কাজ সম্পাদনের ওয়াদা করলে পূর্ণরূপে সেই কাজ সম্পন্ন করাকে বোঝায়।[১] চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করাকে গুরুত্বপূর্ণ ও উন্নত নৈতিক বিশিষ্ট্যগুলোর একটি এবং প্রতিশ্রুতি ও চুক্তি ভঙ্গ করাকে সর্বনিকৃষ্ট নৈতিক ত্রুটি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।[২]

বিশিষ্ট শীয়া আলেম আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজির ভাষায়, পবিত্র কুরআন ও হাদিসে এ প্রসঙ্গে বিস্তারিতভাবে আলোকপাত করা হয়েছে এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষার বিষয়ে শক্তিশালী বক্তব্য ও তাগিদপূর্ণ ব্যাখ্যার মাধ্যমে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, পাশাপাশি ওয়াদা ভঙ্গকারীকে কঠোরভাবে তিরস্কার ও ভর্ৎসনা করা হয়েছে।[৩]

বিভিন্ন হাদিসে ‘প্রতিশ্রুতি রক্ষা’কে ধর্মের ভিত্তি ও ইয়াক্বীনের[৪] (দৃঢ় বিশ্বাস) চিহ্ন, মহান আল্লাহ্ ও বিচার দিবসের[৫] প্রতি ঈমানের নিদর্শন হিসেবে পরিচয় করানো হয়েছে। পক্ষান্তরে ওয়াদা ভঙ্গ করাকে বে-দ্বীন হওয়ার সমান বলে গন্য করা হয়েছে।[৬] ইমাম সাজ্জাদ (আ.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসের ভিত্তিতে ওয়াদা ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা, সকল ধর্মের ৩ নির্যাসের একটি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।[৭] নাহজুল বালাগা’তে, ‘প্রতিশ্রুতি রক্ষা’ মহান আল্লাহর ধার্যকৃত গুরুত্বপূর্ণ ওয়াজিবকর্মগুলোর অন্যতম বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।[৮]

প্রতিশ্রুতি রক্ষা; মহান আল্লাহ্, নবিগণ ও ইমামগণের বৈশিষ্ট্য

কিছু কিছু মুফাস্সিরের ভাষ্য হল, পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ্ প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারী বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে নিজের প্রসংশা করছেন।[৯] কুরআনে হযরত ইসমাঈলের নাম (صادق الوعد)[১০] (ওয়াদা রক্ষায় (দৃঢ়) সত্যবাদী) হিসেবে স্মরণ করা হয়েছে। শিয়া ইমামদের ক্ষেত্রে বিশেষতঃ ইমাম হুসাইনের (আ.) ক্ষেত্রে যে সকল বৈশিষ্ট্য ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে ‘প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারী’ অন্যতম।[১১]

কুরআনের দৃষ্টিতে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা ওয়াজিব

أَوفوا بِالعُقودِ

অর্থ: ‘প্রতিশ্রুতিসমূহ রক্ষা কর’ (মায়িদাহ : ১)

-এ আয়াতকে প্রমাণ হিসেবে নিয়ে ফকীহগণ সকল অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা ওয়াজিব হওয়া প্রসঙ্গে ফতওয়া প্রদান করেছেন এবং ফিকহি গ্রন্থসমূহে এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।[১২] ফারহাঙ্গে কুরআন গ্রন্থে হাশেমি রাফসানজানি পবিত্র কুরআনের বেশ ক’টি আয়াতকে[১৩] প্রমাণ হিসেবে নিয়ে লিখেছেন যে, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা ওয়াজিব কর্মসমূহের[১৪] অন্যতম এবং মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের কয়েকটি আয়াতে[১৫] স্পষ্টভাবে প্রতিশ্রুতি রক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন। [১৬]

বিশিষ্ট কুরআন গবেষক রেযায়ী ইসফাহানী; উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আয়াতের[১৭] ভিত্তিতে[ লিখেছেন যে, ‘মানুষ তার কৃত প্রতিশ্রুতি ও ওয়াদাগুলোর ব্যাপারে দায়িত্বশীল এবং প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে তাকে জবাবদিহিতা করতে হবে’।[১৮]


কুরআনের ভাষায় প্রতিশ্রুতি রক্ষার প্রভাব

কুরআন গবেষকরা পবিত্র কুরআনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আয়াতের ভিত্তিতে প্রতিশ্রুতি রক্ষার কয়েকটি প্রভাবের কথা উল্লেখ করেছেন যেগুলোর মধ্যে- কিয়ামতের দিন মহানবির (স.) সহচর্য লাভ[১৯], বেহেশতে প্রবেশের নিশ্চয়তা[২০], মহাপুরস্কার প্রাপ্তি[২১], সফলকাম [২২] হওয়ার জন্য যোগ্য হয়ে ওঠা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

প্রতিশ্রুতি রক্ষা বিশ্বজনীন এক আইন

আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজি লিখেছেন, বিভিন্ন রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে প্রতিশ্রুতি রক্ষা বিশ্বজনীন একটি আইন; যা মুসলিম ও কাফের উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।[২৩] তাঁর দৃষ্টিতে, অঙ্গীকার রক্ষায় অটল থাকার বিষয়টি মানুষের সত্তার ফিতরাতের (সত্তার) মাঝেই রয়েছে, এ কারণেই সকল জাতি ও গোত্রের মাঝে -চাই তারা ধর্মে বিশ্বাসী হোক বা না হোক- বিষয়টি অপরিহার্য হিসেবে গণ্য।[২৪] সূরা বাকারা’র ১৭৭নং আয়াতের ভিত্তিতে তিনি বলেন: পবিত্র কুরআনে প্রতিশ্রুতি ও ওয়াদা রক্ষার বিষয়টি নিরঙ্কুশ এবং কোন শর্ত নির্ধারণ ছাড়াই বর্ণিত হয়েছে, সুতরাং সকল প্রকার প্রতিশ্রুতি, ওয়াদা, চুক্তি ও অঙ্গীকার এর সামিল; চাই তা মহান আল্লাহর সাথে কৃত হোক অথবা মানুষের সাথে। মুসলমানের সাথে কৃত চুক্তি হোক বা কাফেরের সাথে। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের কৃত অঙ্গীকার রক্ষা করে চলবে, মুসলমানদেরও উচিত কৃত অঙ্গীকারে অটল থাকা।[২৫]

মালিকে আশতারের উদ্দেশ্যে লেখা ইমাম আলীর (আ.) পত্রে উল্লেখিত হয়েছে, চিন্তা ও পছন্দের ক্ষেত্রে বিশ্বের মানুষের মাঝে মতভেদ থাকা সত্ত্বেও তারা সকলে প্রতিশ্রুতি রক্ষার বিষয়ে মতৈক্য রাখে; এমনকি জাহিলিয়্যাতের যুগের মুশরিকরাও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করত। ঐ পত্রে মালিকে আশতারকে বলা হয়েছে, যেন তিনি কাফেরের সাথে কৃত ওয়াদা রক্ষার ক্ষেত্রেও দৃঢ় থাকেন।[২৬]

প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারীদের বৈশিষ্ট্য

আল্লামা তাবাতায়ী’র ভাষায়, পবিত্র কুরআন ও হাদিসে প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারীদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য উল্লেখিত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে জ্ঞানী ব্যক্তিদের দলভূক্তি, ঐশী সম্পর্ক প্রতিষ্ঠাকারী, খোদাভিরুতা, ধৈর্যশীল হওয়া এবং সৎকর্মের মাধ্যমে অসৎকর্মের মোকাবিলাকারী নামাযিরা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।[২৭] রেযায়ী ইসফাহানী লিখেছেন, পবিত্র কুরআনের বেশ কয়েকটি আয়াতে ওয়াদা রক্ষাকারীদেরকে ‘সৎকর্মশীল[২৮]’ ও ‘ঈমানদার’[২৯] বলে পরিচয় করানো হয়েছে।[৩০]

তথ্যসূত্র

  1. কারাশী, কামুসে কুরআন, ১৪১২ হিঃ।
  2. মাকারেম শিরাজী, আখলাক দার কুরআন, ১৩৭৭ (সৌরবর্ষ), খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা নং-২৪৪।
  3. মাকারেম শিরাজী, আখলাক দার কুরআন, ১৩৭৭ (সৌরবর্ষ), খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা নং-২৪৪।
  4. মাকারেম শিরাজী, আখলাক দার কুরআন, ১৩৭৭ (সৌরবর্ষ), খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা নং-২৫৭।
  5. কুলাইনী, আল-কাফী, ১৪০৭ হিঃ, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা নং-৩৬৪।
  6. মাজলেসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪১০ হিঃ, খণ্ড-৮১, পৃষ্ঠা নং-২৫২।
  7. সাদুক, আল-খিসাল, ১৩৬২ (সৌরবর্ষ), খণ্ড-১, পৃষ্ঠা নং-১১৩।
  8. নাহজুল বালাগা, ১৪১৪ হিঃ, চিঠি নং-৫৩।
  9. সাকাফী তেহরানী, তাফসিরে রাওয়ানে জাভীদ, ১৩৯৮ হিঃ, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা নং-৬২৬।
  10. সূরা মারয়াম-৫৪
  11. সাইয়্যেদ বিন তাভুস, জামালুল উসবুঅ, পৃষ্ঠা নং-৩২, ৪৪২, ৪৯০,৫১২ ও ইবনে শাহর আশুব, আল-মানাকেব,১৩৭৯ হিঃ, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা নং-২ ও তাবারী, দালায়িলুল ইমামাত, পৃষ্ঠা নং-৭৩।
  12. খোমিনী, কিতাবুল বাই, ১৪২১ হিঃ, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা নং-১৮৫।
  13. সূরা মায়িদা-১, সূরা ইসরা-৩৪।
  14. হাশেমী রাফসানযানী, ফারহাঙ্গে কুরআন, ১৩৮৬ (সৌরবর্ষ), খণ্ড-২১, পৃষ্ঠা নং-৩১৬।
  15. সূরা বাকারা-৪০ ও সূরা আনআম-১৫২।
  16. হাশেমী রাফসানযানী, ফারহাঙ্গে কুরআন, ১৩৮৬ (সৌরবর্ষ), খণ্ড-২১, পৃষ্ঠা নং-৩০৪।
  17. সূরা ইসরা-৩৪।
  18. রেযায়ী ইস্পাহানী, কুরআন ও উলুমে ইনসানী, ১৩৯১ (সৌরবর্ষ), পৃষ্ঠা নং-১৭৩।
  19. মাকারেম শিরাজী, আখলাক দার কুরআন, ১৩৭৭ (সৌরবর্ষ), খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা নং-২৫৭।
  20. হাশেমী রাফসানযানী, ফারহাঙ্গে কুরআন, ১৩৮৬ (সৌরবর্ষ), খণ্ড-৬, পৃষ্ঠা নং-৫১৪।
  21. হাশেমী রাফসানযানী, ফারহাঙ্গে কুরআন, ১৩৮৬ (সৌরবর্ষ), খণ্ড-২১, পৃষ্ঠা নং-৩০৪।
  22. হাশেমী রাফসানযানী, ফারহাঙ্গে কুরআন, ১৩৮৬ (সৌরবর্ষ), খণ্ড-১৪, পৃষ্ঠা নং-৫৩৮।
  23. মাকারেম শিরাজী, আখলাক দার কুরআন, ১৩৭৭ (সৌরবর্ষ), খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা নং-২৫৭।
  24. মাকারেম শিরাজী, আখলাক দার কুরআন, ১৩৭৭ (সৌরবর্ষ), খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা নং-২৪৪।
  25. মাকারেম শিরাজী, আখলাক দার কুরআন, ১৩৭৭ (সৌরবর্ষ), খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা নং-২৪৫।
  26. নাহজুল বালাগা, ১৪১৪ হিঃ, চিঠি নং-৫৩, পৃষ্ঠা নং-৪৪২।
  27. শেইখ কুলাইনী, আল-কাফী, ১৪০৭ হিঃ, খণ্ড-১১, পৃষ্ঠা নং-৩৪২-৩৫১।
  28. সূরা বাকারা-১৭৭
  29. সূরা মুমিন-৮ ও সূরা মায়ারিয-৩২।
  30. রেযায়ী ইস্পাহানী, কুরআন ও উলুমে ইনসানী, ১৩৯১ (সৌরবর্ষ), পৃষ্ঠা নং-১৭৩-১৭৪।

গ্রন্থপঞ্জি

  • কুরআন,
  • ইবনে শাহর আশুব, মুহাম্মাদ বিন আলী, আল-মানাকেব, কোম, মুয়াস্সাসাতুল আল্লামা, ১৩৭৯ হিঃ।
  • সাকাফী তেহরানী, মুহাম্মাদ, তাফসিরে রাওয়ানে জাভীদ, তেহরান, ইন্তেশারাতে বুরহান, ১৩৯৮ হিঃ।
  • খোমিনী, সাইয়্যেদ রুহুল্লাহ, কিতাবুল বাই, তেহরান, মুয়াসসেসেয়ে তানযিম ও নাশরে আসারে ইমাম খোমিনী, ১৪২১ হিঃ।
  • রেযায়ী ইস্পাহানী, মুহাম্মাদ আলী, কুরআন ও উলুমে ইনসানী, কোম, নাসিমে হায়াত, ১৩৯১ (সৌরবর্ষ)।
  • সাইয়্যেদ বিন তাভুস, আলী বিন মুসা, জামালুল উসবুঅ, কোম, দারুর রাযা, (প্রকাশের তারিখ অজ্ঞাত)।
  • শেইখ সাদুক, মুহাম্মাদ বিন আলী, আল-খিসাল, কোম, মুয়াসসেসেয়ে নাশরে ইসলামী, ১৪০৩ হিঃ।
  • তাবাতাবাীয়, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হোসাইন, তাফসিরে আল-মিযান, বৈরুত, মুয়াস্সাসাতুল আলামি লিল মাতবুয়াত, ১৩৯০ হিঃ।
  • তাবারী, মুহাম্মাদ বিন জারির, দালায়িলুল ইমামাত, কোম, দারুয যাখায়ির, (প্রকাশের তারিখ অজ্ঞাত)।
  • মাজলেসী, মুহাম্মাদ বাকের, বিহারুল আনওয়ার, বৈরুত, দারু ইহয়ায়িত তুরাসিল আরাবী, ১৪১০ হিঃ।
  • শেইখ কুলােইনী, মুহাম্মাদ বিন ইয়াকুব, আল-কাফী, তাছহিহ: আলী আকবার গাফফারী, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়্যাহ, ১৪০৭ হিঃ।
  • মাকারেম শিরাজী, নাসের, আখলাক দার কুরআন, কোম, মাদরাসাতু ইমাম আলী ইবনে আবি তালিব (আ.), ১৩৭৭ (সৌরবর্ষ)।
  • মাকারেম শিরাজী, নাসের, তাফসিরে নমুনাহ, কোম, ইন্তেশারাতু দারুল কুতুবিল ইসলামী, ১৩৭৪ (সৌরবর্ষ)।
  • হাশেমী রাফসানযানী, আকবার, ফারহাঙ্গে কুরআন, কোম, বুস্তান কিতাব, ১৩৮৬ (সৌরবর্ষ)।