পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহার

wikishia থেকে

পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহার (আরবি: برّ الوالدين/ الإحسان إلى الوالدين); সদয় হওয়া ও অনুগ্রহ করা হচ্ছে, পিতামাতাকে সম্মান করা, তাদের কাছে নত হওয়া এবং তাদের জন্য যে কোনও ভাল কাজ করা। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহর ইবাদতের করার নির্দেশের পরেই পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহারের কথা এসেছে। মুফাসসিরদের মতে, কাফিরমুসলিম, নেককার-বদকার নির্বিশেষে প্রত্যক পিতামাতা কুরআনের এই আদেশের অন্তর্ভুক্ত।

শিয়াসুন্নি হাদিসের সূত্রে, পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহারকে মহান আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম এবং প্রিয় কাজগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। মাসুমিনদের (আ.) হাদিসে পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহারের বিভিন্ন পুরস্কারের কথা বলা হয়েছে; তাদের মধ্যে- জীবিকা বৃদ্ধি, দীর্ঘায়ু, মৃত্যু যন্ত্রণা লাঘব, পাপমোচন এবং কিয়ামতের দিন জান্নাত প্রাপ্তি।

পিতামাতার সাথে ভাল ব্যবহার করা এবং কঠোর না হওয়া, ভালোবাসার দৃষ্টিতে তাকানো এবং তাদের সামনে গলার আওয়াজ উচুঁ না করা পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহারের উদাহরণ হিসেবে গণ্য।

শব্দ পরিচিতি ও গুরুত্ব

পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহার কোরআনে জোর তাগিদ দেওয়া আদেশসমূহের মধ্যে একটি[১] এবং কোরআনের আয়াতে, এটি মহান আল্লাহর ইবাদত করার নির্দেশের পরেই স্থান পেয়েছে। মুফাসসিরগণ এটিকে পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহারের গুরুত্বের লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করেন[২] এবং এই আদেশের প্রতি আনুগত্যকে আল্লাহর নিকট উচ্চতর মর্যাদার লাভের কারণ বলে মনে করেন।[৩]

ফকীহগণও এটাকে সন্তানদের জন্য ওয়াজিব বলে মনে করেছেন।[৪], এছাড়াও কিছু আখলাক বা নৈতিকতা সংক্রান্ত বইয়ে পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহারকে এমন সর্বোত্তম কাজ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যা আল্লাহর নৈকট্য ও জীবনে সুখ বয়ে আনে।[৫]

তাফসীরে নমুনা-এ সূরা ইসরার ২৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে যে তাওহিদ বা একত্ববাদকে পিতামাতার প্রতি সদয় হওয়ার পাশে স্থাপন করা পিতামাতার সাথে সদাচরণের প্রতি কুরআনের জোর তাগিদকে প্রকাশ করে।[৬] পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার পিতামাতার প্রতি চূড়ান্ত আনুগত্য ও নতি স্বীকার হিসাবে বিবেচিত হয়। অনুরূপভাবে, শুধুমাত্র ‘ওয়ালেদাইন বা পিতামাতা’ শব্দ ব্যবহারের কারণে কাফির ও মুসলিম, নেককার-বদকার[৭] নির্বিশেষে প্রত্যক পিতামাতা কুরআনের এই আদেশের অন্তর্ভুক্ত।[৮]

পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করার কারণ ও তাওহিদের সাথে এর সম্পর্ক

মূল নিবন্ধ: পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহার-এর আয়াত'

কিছু মুফাসসির পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহর একত্ববাদ এবং পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহারের আদেশ পাশাপাশি আসা প্রসঙ্গে এভাবে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন যে, মহান আল্লাহ মানুষের অস্তিত্বের আসল কারণ এবং পিতামাতা তার অস্তিত্বের বাহ্যিক কারণ।[৯]

এছাড়াও, মহান আল্লাহর নেয়ামতের জন্য কৃতজ্ঞ হওয়া যেমন ওয়াজিব, তেমনি বান্দাদের নেয়ামতের জন্য কৃতজ্ঞ হওয়াও ওয়াজিব। যেহেতু, সন্তানের জন্য পিতামাতার মতো কেউই এতো কষ্ট সহ্য করেনা এবং সেজন্য পিতামাতার মতো অন্য কেউ এমন কৃতজ্ঞতার যোগ্য নয়।[১০]

কোরআন কেন পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহারের উপর এতো জোর তাগিদ দিয়েছে তার কারণ ব্যাখ্যায় আল্লামা তাবাতাবায়ী এভাবে বলেছেন, পিতামাতা এবং সন্তানদের মধ্যে ভালোবাসাপূর্ণ সম্পর্ক নতুন প্রজন্ম এবং বিগত প্রজন্মের মধ্যে দৃঢ় বন্ধন সৃষ্টি করে এবং পরিবারকে শক্তিশালী করে। আর, সামাজিক সম্পর্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে পারিবারিক স্থিতিশীলতা মানব সমাজের স্থিতিশীলতার কারণ।[১১]

হাদিসের দৃষ্টিতে পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহার

মাসুমিনদের (আ.) হাদিসে পিতামাতার বিশেষ অবস্থান ও তাদের প্রতি সদ্ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। শিয়া ও সুন্নি হাদিস সূত্রসমূহে এর জন্য একটি পৃথক ও বিশেষ অধ্যায় স্থান পেয়েছে।[১২] হাদিসে পিতামাতার সাথে সদাচরণ করা মহান আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম এবং সবচেয়ে প্রিয় কাজগুলির মধ্যে একটি[১৩] এবং এটিকে শিয়াদের অন্যতম গুণাবলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়।[১৪]

এটাও বলা হয়েছে যে পিতামাতার প্রতি [সদয়ভাবে] তাকানো হল ইবাদত [১৫] এবং সন্তানের প্রতি তাদের সন্তুষ্টি ও ক্রোধের মধ্যে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ক্রোধ নিহিত[১৬] এবং পিতামাতার প্রতি সদয় না হওয়ার ব্যাপারে কোনো অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়।[১৭] মহানবির (সা.) জীবনীতে পাওয়া যায় যে তিনি তার দুধ মাকে অত্যধিক সম্মান করতেন[১৮] এবং যারা তাদের পিতামাতার সাথে ভাল ব্যবহার করত তাদেরকেও সম্মান করতেন।[১৯]

হাদিসে, মুসলমানদের তাদের পিতামাতার প্রতি সদয় হতে এবং তাদের যত্ন নেওয়ার কষ্ট সহ্য করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এমনকি পিতামাতা মুশরিক বা বদকার লোক হলেও। অনুরূপভাবে বলা হয়েছে যে যদি তারা জীবিত না থাকে, তবে সন্তানের উচিত তাদের জন্য মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া, তাদের ঋণ পরিশোধ এবং তাদের কাযা ইবাদতগুলো (নামায, রোযা...) আদায় করা।[২০]

মায়ের প্রতি অধিকতর সদয় হওয়ার তাগিদ

সূরা আহকাফের ১৫তম আয়াতে পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহারের আদেশ এবং এর দর্শন প্রকাশ করার পর শুধুমাত্র মায়ের কষ্টের কথা বলা হয়েছে। মুসলিম পণ্ডিতদের মতে, এটি হল মায়ের অধিকার এবং তার প্রতি সদয় হওয়ার উপর জোর তাগিদ।[২১] [[ইমাম ইমাম সাজ্জাদ (আ.)] ‘রিসালাতুল হুকুক্ব’-এ গর্ভাবস্থায় এবং তার পরে সন্তানের শৈশবকালে মা যে কষ্টগুলো সহ্য করেন তার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন এবং বিশেষভাবে সন্তানকে মায়ের কষ্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন।[২২]

এছাড়াও, শেইখ কুলাইনী তাঁর আল-কাফী গ্রন্থে একটি হাদিস এনেছেন যে, এক ব্যক্তি মহানবি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি)-কে জিজ্ঞেস করে যে, আমি কার প্রতি অনুগ্রহ করব? নবীজি বলেন, তোমার মাকে। লোকটি আরও দুইবার এই প্রশ্নটি করে এবং নবীজি বলেন, তোমার মাকে। যখন লোকটি চতুর্থবার জিজ্ঞাসা করে, তখন নবীজি উত্তর দেন, তোমার বাবাকে।[২৩] অন্য বর্ণনায় নবী (সাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, মায়ের প্রতি সদ্ব্যবহার পূর্ববর্তী গুনাহকে মুছে দেয়।[২৪]

ইহসান বা সদ্ব্যবহারের স্বরূপ

সূরা ইসরার ২৩ ও ২৪ নং আয়াতে পিতামাতার প্রতি সদয় আচরণ করার নির্দেশের পর এ বিষয়ে কিছু বাস্তব উদাহরণ উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন- "উফ" শব্দটিও উচ্চারণ না করা এবং তাদের প্রতি সর্বনিম্ন কঠোরতাও প্রদর্শন না করা।[২৫]

হাদিস গ্রন্থসমূহে এসছে যে ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-কে এই আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, এখানে ইহসান দ্বারা কি উদ্দেশ্য করা হয়েছে? তিনি উত্তরে বলেন, পিতামাতার প্রতি ইহসান এর অর্থ হল তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করবে এবং তারা তোমার কাছে কিছু চাওয়ার আগে তাদের জন্য সরবরাহ করবে, এমনকি যদিও তারা নিজেরাই তা সরবরাহ করতে পারে।[২৬]

বর্ণনার ধারাবাহিকতায় বলা হয়েছে যে, আয়াতে বলা হয়েছে যে তাদের প্রতি "উফ" শব্দটিও উচ্চারণ কর না, অর্থাৎ তারা যদি তোমাকে বিরক্ত করে তবুও তাদের সাথে সামান্যতম কঠোর হবে না। আয়াতে বলা হয়েছে, "তাদের সাথে সম্মানের সাথে কথা বল", অর্থাৎ, তারা তোমাকে আঘাত করলেও বলবে, আল্লাহ আপনার প্রতি রহম করুন। আয়াতে আরোও বলা হয়েছে যে, "তাদের সামনে নম্র হও", এর অর্থ হচ্ছে, তাদের দিকে ক্রোধের দৃষ্টিতে তাকাবে না; বরং, তাদের প্রতি দয়া ও করুণার সাথে তাকাবে এবং তাদের উপর তোমার কণ্ঠস্বর উচুঁ করবে না।

এছাড়াও, তাদের কিছু দেওয়ার সময় তাদের হাতের উপরে তোমার হাত রাখবে না এবং হাঁটাচলা বা বসার সময় তাদের উপর অগ্রবর্তী হবে না।[২৭]

পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহারের পুরস্কার

হাদিস গ্রন্থসমূহে পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহারের দুনিয়া ও আখিরাতের বিভিন্ন পুরস্কারের কথা বলা হয়েছে; তাদের মধ্যে- দারিদ্র বিমোচন,[২৮] জীবিকা বৃদ্ধি,[২৯] দীর্ঘায়ু,[৩০] মৃত্যু যন্ত্রণা লাঘব,[৩১] মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পাপমোচন, হিসাব-নিকাশের কাঠিন্য লাঘব এবং কিয়ামতের দিন জান্নাত প্রাপ্তি।

হাদিসে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, পিতামাতার প্রতি সন্তানের সদয় দৃষ্টিভঙ্গি আল্লাহর রহমতের দরজা খুলে দেয় এবং তার জন্য কবুল হজের সওয়াব দেওয়া হয়।[৩২] উসূলে কাফী গ্রন্থে ইমাম জাফর সাদিক (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, সন্তান তার পিতামাতার প্রতি সদয় আচরণ এবং পিতামাতার মৃত্যুর পর তাদের কাযা ইবাদত (নামায, রোযা...) আদায় ও সদকা প্রদানের মতো সৎকাজের বিনিময়ে অনুরূপ সওয়াব পাবে, এমনকি তার চেয়ে আরও বেশি সওয়াব পাবে।[৩৩]

অন্যান্য হাদিস অনুসারে, পিতামাতার প্রতি সদয় আচরণ না করার ফলে মহান আল্লাহর আনুগত্য থেকে বিচ্যুত হওয়া, আল্লাহর নিয়ামতে প্রতি অকৃতজ্ঞ এবং অস্বীকার করা, নির্বংশ বা নিঃসন্তান হওয়া[৩৪] এবং জান্নাত থেকে বঞ্চিত হওয়া[৩৫] এর মতো নেতিবাচাক প্রভাবের হুশিয়ারি এসেছে।

তথ্যসূত্র

  1. মাকারেম শিরাজী, তাফসিরে নমুনাহ, খণ্ড-১২ পৃষ্ঠা নং-৭৪, ১৩৭৩ (সৌরবর্ষ)।
  2. ফখরুদ্দীন রাযী, মাফাতিহুল গাইব, খণ্ড-৩ পৃষ্ঠা নং-৫৮৬, ১৪২০ হিঃ।
  3. ফখরুদ্দীন রাযী, মাফাতিহুল গাইব, খণ্ড-২০ পৃষ্ঠা নং-৩২৩, ১৪২০ হিঃ।
  4. নাজাফী, মুহাম্মদ হাসান, জাওয়াহেরুল কালাম, ১৪০৪ হিঃ, খণ্ড-২১ পৃষ্ঠা নং-২৪।
  5. নারাক্বী, মিরাজুস্ সায়াদাহ, ১৩৭৭ (সৌরবর্ষ), খণ্ড-২ পৃষ্ঠা নং-২৭৩ ও কোমী, আখলাক ও আদাব, ১৩৮৯ (সৌরবর্ষ), পৃষ্ঠা নং-১৫২।
  6. মাকারেম শিরাজী, তাফসিরে নমুনাহ, খণ্ড-১২ পৃষ্ঠা নং-৭৪, ১৩৭৩ (সৌরবর্ষ)।
  7. ইবনে শোবে হুররানী, তুহাফুল উক্বুল, ১৪০৪ হিঃ, পৃষ্ঠা নং-৩৬৭।
  8. মাকারেম শিরাজী, তাফসিরে নমুনাহ, খণ্ড-১২ পৃষ্ঠা নং-৭৪, ১৩৭৩ (সৌরবর্ষ)।
  9. বায়যাভী, আনওয়ারুত্ তানযিল ওয়া আসরারুত্ তা’বিল, ১৪১৮ হিঃ, খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা নং-২৫২ ও ফেইযে কাশানী, তাফসিরুস্ সাফী, ১৪১৫ হিঃ, খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা নং-১৮৫।
  10. ফখরুদ্দীন রাযী, মাফাতিহুল গাইব, বৈরুত, ১৪২০ হিঃ, খণ্ড-২০, পৃষ্ঠা নং-৩২১।
  11. আল্লামা তাবাতাবায়ী, তাফসিরুল মিযান, কোম, ১৪১৭ হিঃ, খণ্ড-৭, পৃষ্ঠা নং-৩৭৪।
  12. শেইখ কুলাইনী, আল্-কাফী, ১৪০৭ হিঃ, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা নং-১৫৭, আল্লামা মাজলেসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হিঃ, খণ্ড-৭১, পৃষ্ঠা নং-২২, বুখারী, সহিহ বুখারী, ১৪২২ হিঃ, খণ্ড-৮, পৃষ্ঠা নং-২।
  13. বুখারী, সহিহ বুখারী, ১৪২২ হিঃ, খণ্ড-৮, পৃষ্ঠা নং-২।
  14. শেইখ কুলাইনী, আল্-কাফী, ১৪০৭ হিঃ, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা নং-৭৪।
  15. শেইখ কুলাইনী, আল্-কাফী, ১৪০৭ হিঃ, খণ্ড-৪, পৃষ্ঠা নং-২৪০।
  16. তিরমিযী, সুনানে তিরমিযী, ১৪০৩ হিঃ, খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা নং-২০৭।
  17. শেইখ কুলাইনী, আল্-কাফী, ১৪০৭ হিঃ, খণ্ড-৪, পৃষ্ঠা নং-১৬২।
  18. আবু দাউদ, সুনানে আবু দাউদ, ১৪১০ হিঃ, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা নং-৫০৭ ও ৫০৮।
  19. শেইখ কুলাইনী, আল্-কাফী, ১৪০৭ হিঃ, খণ্ড-৪, পৃষ্ঠা নং-১৬১।
  20. শেইখ কুলাইনী, আল্-কাফী, ১৪০৭ হিঃ, খণ্ড-৪, পৃষ্ঠা নং-১৫৮ ও মাজান্দারানী, শারহে আল্-কাফী, ১৩৮২ হিঃ, খণ্ড-৯, পৃষ্ঠা নং-১৯।
  21. মাকারেম শিরাজী, তাফসিরে নমুনাহ, ১৩৭৩ (সৌরবর্ষ), খণ্ড-১৭, পৃষ্ঠা নং-৪০।
  22. শেইখ সাদুক, মান লা ইয়াহযুরুহুল ফাকিহ, ১৪১৩ হিঃ, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা নং-৬২১।
  23. শেইখ কুলাইনী, আল্-কাফী, ১৪০৭ হিঃ, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা নং-১৫৯ ও বুখারী, সহিহ বুখারী, ১৪২২ হিঃ, খণ্ড-৮, পৃষ্ঠা নং-২।
  24. শেইখ কুলাইনী, আল্-কাফী, ১৪০৭ হিঃ, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা নং-১৬২।
  25. ফখরুদ্দীন রাযী, মাফাতিহুল গাইব, খণ্ড-২০ পৃষ্ঠা নং-৩২৪, ১৪২০ হিঃ।
  26. শেইখ কুলাইনী, আল্-কাফী, ১৪০৭ হিঃ, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা নং-১৫৭।
  27. শেইখ কুলাইনী, আল্-কাফী, ১৪০৭ হিঃ, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা নং-১৫৭ ও মাজান্দারানী, শারহে আল্-কাফী, ১৩৮২ হিঃ, খণ্ড-৯, পৃষ্ঠা নং-১৯।
  28. শেইখ সাদুক, আমালী, তেহরান, ১৩৭৬ (সৌরবর্ষ), পৃষ্ঠা নং-৩৮৯।
  29. তাবারসী, আলী বিন হাসান, মিশকাতুল আনওয়ার ১৪৮৫ হিঃ, খণ্ড-১৬৬।
  30. তাবারসী, আলী বিন হাসান, মিশকাতুল আনওয়ার ১৪৮৫ হিঃ, খণ্ড-১৬৬।
  31. শেইখ সাদুক, আমালী, তেহরান, ১৩৭৬ (সৌরবর্ষ), পৃষ্ঠা নং-৩৮৯।
  32. ইবনে আবিদ্ দুনিয়া, মাকরিমুল আখলাক, ২০০৪ (ঈসায়ী), পৃষ্ঠা নং-৭৪।
  33. শেইখ কুলাইনী, আল্-কাফী, ১৪০৭ হিঃ, খণ্ড-৪, পৃষ্ঠা নং-১৫৯।
  34. ফেইযে কাশানী, আল্-ওয়াফী, ১৪০৬ হিঃ, খণ্ড-৫, পৃষ্ঠা নং-১০৫৯।
  35. শেইখ কুলাইনী, আল্-কাফী, ১৪০৭ হিঃ, খণ্ড-৪, পৃষ্ঠা নং-৩৪৯।

গ্রন্থপঞ্জি

  • কোরআন কারিম, আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজীর অনুবাদ।
  • ইবনে আবিদ্ দুনিয়া, আব্দুল্লাহ, মাকরিমুল আখলাক, মুহাক্বেক মুজাদ্দী, সাইয়্যেদ ইবরাহিম, কায়রো, মাকতাবাতুল কোরআন, ২০০৪ (ঈসায়ী)।
  • ইবনে শোবে হুররানী, হাসান বিন আলী, তুহাফুল উক্বুল, তাহকিক ও তাছহিহ গাফ্ফারী, আলী আকবার, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামী, দ্বিতীয় প্রকাশ, ১৪০৪ হিঃ।
  • আবুল হোসাইন, মুসলিম বিন হাজ্জাজ, সহিহ মুসলিম, বৈরুত, দারুল ফিকর্, (প্রকাশের তারিখ অজ্ঞাত)।
  • আবু দাউদ, সুলাইমান বিন আশয়াস, সুনানে আবু দাউদ, চপে সাইদ মুহাম্মাদ লিহাম, বৈরুত, ১৪১০ হিঃ।
  • বুখারী, মুহাম্মাদ বিন ইসমাইল, সহিহ বুখারী, তাহকিক মুহাম্মাদ যুহাইর, দামেশ্ক, দারু তুকিন নাজাহ, প্রথম প্রকাশ, ১৪২২ হিঃ।
  • বায়যাভী, আব্দুল্লাহ বিন উমার, আনওয়ারুত্ তানযিল ওয়া আসরারুত্ তা’বিল, বৈরুত, দারু ইহয়ায়িত্ তুরাসিল আরাবী, ১৪১৮ হিঃ।
  • তিরমিযী, মুহাম্মাদ বিন ঈসা, সুনানে তিরমিযী, বৈরুত, চপে আব্দুল ওহাব আব্দুল লাতিফ, ১৪০৩ হিঃ।
  • সাক্বাফী তেহরানী, মুহাম্মাদ, তাফসিরে রাওয়ানে জাভীদ, তেহরান, ইন্তেশারাতে বুরহান, তৃতীয় প্রকাশ, ১৩৯৮ হিঃ।
  • শেইখ সাদুক, মুহাম্মাদ বিন আলী বিন বাবুউয়ে, আমালী, তেহরান, ইন্তেশারাতে কিতাবচি, ষষ্ঠ প্রকাশ, ১৩৭৬ (সৌরবর্ষ)।
  • শেইখ সাদুক, মুহাম্মাদ বিন আলী বিন বাবুউয়ে, মান লা ইয়াহযুরুহুল ফাকিহ, তাহকিক ও তাছহিহ গাফ্ফারী, আলী আকবার, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামী, দ্বিতীয় প্রকাশ, ১৪১৩ হিঃ।
  • আল্লামা তাবাতাবায়ী, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হোসাইন, তাফসিরুল মিযান, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামী, পঞ্চম প্রকাশ, ১৪১৭ হিঃ।
  • তাবারসী, আলী বিন হাসান, মিশকাতুল আনওয়ার ফি গুরারিল আখবার, নাজাফ, মাকতাবুল হায়দারিয়্যাহ, দ্বিতীয় প্রকাশ, ১৪৮৫ হিঃ।
  • ফখরুদ্দীন রাযী, মুহাম্মাদ বিন উমার, মাফাতিহুল গাইব, বৈরুত, দারু ইহয়ায়িত্ তুরাসিল আরাবী, তৃতীয় প্রকাশ, ১৪২০ হিঃ।
  • ফেইযে কাশানী, মুহাম্মাদ মুহিসন বিন শাহ মুর্তুজা, তাফসিরুস্ সাফী, তেহরান, মাকতাবাতুস্ সাদর্, দ্বিতীয় প্রকাশ, ১৪১৫ হিঃ।
  • ফেইযে কাশানী, মুহাম্মাদ মুহিসন বিন শাহ মুর্তুজা, আল্-ওয়াফী, ইস্পাহান, কিতাবখানে ইমাম আমিরুল মুমিনিন আলী (আ.), ১৪০৬ হিঃ।
  • কুতুবুদ্দীন রাওয়ান্দী, সাঈদ বিন হিব্বাতুল্লাহ, আদ্-দায়াওয়াত, কোম, ইন্তেশারাতে মাদরাসায়ে ইমাম মাহদী (আ.), প্রথম প্রকাশ, ১৪০৭ হিঃ।
  • কোমী, আব্বাস, আখলাক ও আদাব, কোম, নুরে মাতাফ, প্রথম প্রকাশ, ১৩৮৯ (সৌরবর্ষ)।
  • শেইখ কুলাইনী, মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব, আল্-কাফী, তাহকিক ও তাছহিহ আলী আকবার গাফ্ফারী ও অখুন্দী, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়্যাহ, চতুর্থ প্রকাশ, ১৪০৭ হিঃ।
  • মাজান্দারানী, মুহাম্মাদ সালেহ, শারহে আল্-কাফী, তেহরান, মাকতাবাতুল ইসলামিয়্যাহ, প্রথম প্রকাশ, ১৩৮২ হিঃ।
  • আল্লামা মাজলেসী, মুহাম্মাদ বাকের, বিহারুল আনওয়ার, বৈরুত, দারু ইহয়ায়িত্ তুরাসিল আরাবী, দ্বিতীয় প্রকাশ, ১৪০৩ হিঃ।
  • মাকারেম শিরাজী, নাসের, তাফসিরে নমুনাহ, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়্যাহ, প্রথম প্রকাশ, ১৩৭৩ (সৌরবর্ষ)।
  • নারাক্বী,মোল্লা আহমাদ, মিরাজুস্ সায়াদাহ, হেজরাত, কোম, পঞ্চম প্রকাশ, ১৩৭৭ (সৌরবর্ষ)।
  • নারাক্বী,মোল্লা মুহাম্মাদ মাহদী, জামেউস সায়াদাত, বৈরুত, আলামী, চতুর্থ প্রকাশ, (প্রকাশের তারিখ অজ্ঞাত)।