নারীর ইমামতি
নারীর ইমামতিতে নামাজ বা জামাআতবদ্ধ নামাজে নারীর ইমামতি প্রসঙ্গে প্রসিদ্ধ ফকীহগণের মত হচ্ছে, যদি মুসল্লিগণ শুধুমাত্র নারী হয়, তাহলে নারীর ইমামতি সহীহ। তবে যদি মুসল্লিদের মধ্যে কোনো পুরুষ উপস্থিত থাকে, তাহলে ফকীহগণ এ ব্যাপারে একমত যে, নারীর ইমামতি জায়েয নয়।
সাইয়্যেদ আবুল কাসিম খুয়ী ও লুৎফুল্লাহ সাফি গুলপায়গানী-এর মতো ফকীহগণ নারীর ইমামতিকে নারীদের জন্য মাকরূহ হিসেবে গণ্য করেছেন। অন্যদিকে ইমাম খোমেনী ও মুহাম্মাদ ফাযিল লাঙ্কারানী এ বিষয়ে এহতিয়াত (সতর্কতা) অবলম্বন করে একে সহীহ জ্ঞান করেন নি। হিজরী দ্বাদশ শতাব্দীর বিশিষ্ট শিয়া ফকিহ ইউসুফ বিন আহমাদ বাহরানীও নারীর ইমামতিকে শুধুমাত্র এমন মুস্তাহাব নামাজের ক্ষেত্রে সহীহ জ্ঞান করেছেন যা জামাআতের সহিত আদায় করা যায়, যেমন: বৃষ্টির নামাজ। বলা হয়ে থাকে, নারীর ইমামতি সংক্রান্ত মতভেদ হাদীসের ভিন্নতা হতে উৎসারিত।
শরীয়তি হুকুম-আহকাম

জামাআতের নামাজে নারীর ইমামতি একটি ফিকহী মাসআলা, যা ইসলামী মাযহাবসমূহে পর্যালোচনার বিষয়বস্তু।[১] এ ক্ষেত্রে দুটি অবস্থা বিবেচনা করা হয়:[২]
প্রথম অবস্থা, যদি মুসল্লিগণ পুরুষ হয় অথবা নারী-পুরুষ উভয়ে মিলিতভাবে হয়, তাহলে শিয়া[৩] ও আহলে সুন্নত[৪] উভয় মাযহাবের ফকীহগণ একমত যে, পেশ ইমাম নারী হতে পারবেন না। এ কারণে তারা জুম‘আর নামাজে নারীর ইমামতিকেও সহীহ জ্ঞান করেন না।[৫]
দ্বিতীয় অবস্থা, যদি সমস্ত মুসল্লি নারী হয়, তাহলে হিজরী ত্রয়োদশ শতাব্দীর অন্যতম ফকীহ জাওয়াহিরুল কালামের লেখক মুহাম্মাদ হাসান নাজাফি, প্রসিদ্ধ শিয়া ফকীহগণের মত উল্লেখ করে বলেছেন, নারীর ইমামতি জায়েয।[৬] শেখ তুসী (মৃত্যু: ৪৬০ হি.) এ বিষয়ে ইজমা’র (ঐকমত্য) দাবি করেছেন।[৭] তবে, সাইয়্যেদ আবুল কাসেম খুয়ী (মৃত্যু: ১৩৭১ ফার্সি সন) ও লুৎফুল্লাহ সাফি গুলপায়গানীর (মৃত্যু: ১৪০০ ফার্সি সন) ন্যায় কিছু কিছু ফকীহ নারীর ইমামতিকে নারীদের জন্য মাকরূহ বলেছেন।[৮]
অন্য একটি দল, যেমন: হিজরী দ্বাদশ শতাব্দীর শিয়া ফকীহ, হাদায়েকের লেখক ইউসুফ ইবনে আহমাদ বাহরানী মনে করেন, মুস্তাহাব নামাজসমূহে, যেমন: ইস্তিসকার নামাজ (বৃষ্টির নামাজ), ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা’র নামাজে, নারীর ইমামতি জায়েয, কিন্তু ওয়াজীব নামাজগুলোতে সহীহ নয়।[৯] অন্যদিকে, ইমাম খোমেনী ও মুহাম্মাদ ফাযিল লাঙ্কারানী মনে করেন যে, ইহতিয়াতে ওয়াজীবের ভিত্তিতে, নারীদের জামাআতের ইমামও পুরুষ হওয়া আবশ্যক।[১০] আহলে সুন্নতের মাযহাবসমূহের মধ্যেও মালিকী মাযহাব ছাড়া বাকিরা নারীর ইমামতিকে নারীদের জন্য জায়েয বলে মেনে নিয়েছে।[১১]
ফকীহগণের ফতওয়ার দলিল
হিজরী সপ্তম শতাব্দীর শিয়া ফকীহ মুহাক্কিক হিল্লি পুরুষদের জন্য নারীর ইমামতি জায়েয না হওয়াকে আলেমদের ঐকমত্যের বিষয় জ্ঞান করেছেন এবং রাসূলুল্লাহ (স.)-এর একটি হাদীসকে[১২] এর দলিল হিসেবে উল্লেখ করেছেন।[১৩] তিনি মনে করেন, ইসলামে নারীদের লজ্জা ও পর্দা রক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অথচ পেশ ইমাম অবশ্যই প্রকাশ্য ও পরিচিত হতে হবে।[১৪]
বলা হয়েছে যে, নারীদের জন্য নারীর ইমামতি সম্পর্কে মতভেদের কারণ হলো রেওয়ায়েতের ভিন্নতা এবং তিন ধরনের রেওয়ায়েতের উপস্থিতি:[১৫]
- সাধারণভাবে জায়েয ঘোষণাকারী হাদীস: এ ধরনের হাদীস সাধারণভাবে, মুস্তাহাব ও ওয়াজীব নামাজগুলোতে নারীর পিছনে নামাজ পড়াকে জায়েয বলা হয়।[১৬]
- নাজায়েয ঘোষণাকারী হাদীস: এ হাদীসগুলো স্পষ্টভাবে নারীর ইমামতিকে ভুল জ্ঞান করেছে।[১৭]
- তাফসীলকারী হাদীস: এ ধরনের হাদীসে ওয়াজীব ও মুস্তাহাব নামাজগুলোর মধ্যে[১৮] এবং কোন কোন ক্ষেত্রে জানাযার নামাজ ও অন্যান্য নামাজের মধ্যে[১৯] পার্থক্য করা হয়েছে।
তৃতীয় হিজরী শতাব্দীর ঐতিহাসিক ও সীরাত লেখক ইবনে সা‘দ আত-তাবাকাতুল কুবরা গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) উম্মে ওয়ারাকা নামক এক নারীকে তার ঘরের লোকদের জন্য নামাজের ইমামতি করার অনুমতি প্রদান করেছিলেন।[২০] হাসান আস-সাফফার (জন্ম: ১৯৫৮ খ্রি.), কাতিফ শহরের জুম‘আর ইমাম, রাসূল (সা.)-এর এই অনুমতিকে দলিল হিসেবে উল্লেখ করে মত প্রকাশ করেন যে, বর্তমান সময়েও নারীদের নিজস্ব সমাবেশে জামাআতের নামাজে ইমামতির জন্য নারী ইমাম নিয়োগ করা যেতে পারে।[২১]
তথ্যসূত্র
- ↑ দ্র: মুহাক্কিক হিল্লি, আল-মু’তাবার, ১৪০৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪৩৮; ইবনে ইদ্রিস, আস সারায়ের, ১৪১০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৮১; নাজাফি, জাওয়াহেরুল কালাম, ১৪০৪ হি., খণ্ড ১৩, পৃ. ৩৩৬; বনি হাশেমি খোমেনী, তৌযিহুল মাসায়েল মারাজেঅ, ১৪২৪ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৭৯০।
- ↑ রাজাবি, “ইমামতে যান বারায়ে যান দার নামাজে জামাআত আয মানযারে মাযাহেবে ফিকহি”, পৃ. ৭৪ ও ৭৫।
- ↑ দ্র: জাযিরি ও অন্যরা, আল-ফিকহ আলাল মাযাহিবিল আরবাআ, ১৪১৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫৪৭; ইবনে ইদ্রিস, আস সারায়ের ১৪১০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২৮১; নাজাফি, জাওয়াহেরুল কালাম, ১৪০৪ হি., খণ্ড ১৩, পৃ. ৩৩৬; বনি হাশেমি খোমেনী, তৌযিহুল মাসায়েল মারাজেঅ, ১৪২৪ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৭৯০।
- ↑ জাযিরি ও অন্যরা, আল-ফিকহ আলাল মাযাহিবিল আরবাআ, ১৪১৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫৪৭।
- ↑ শহীদ সানি, রাওযুল জিনান, ১৪০৯ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৭৬৮।
- ↑ নাজাফি, জাওয়াহেরুল কালাম, ১৪০৪ হি., খণ্ড ১৩, পৃ. ৩৩৭।
- ↑ শেখ তুসী, আল-খিলাফ, ১৪৯৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫৬২।
- ↑ খুয়ী, মাওসুআতুল ইমাম আল-খুয়ী, ১৪১৮ হি., খণ্ড ১৭, পৃ. ৩৬৯; বনি হাশেমি খোমেনী, তৌযিহুল মাসায়েল মারাজেঅ, ১৪২৪ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৭৯০।
- ↑ বাহরানি, আল-হাদায়েকুন নাযিরাহ, ১৪০৫ হি., খণ্ড ১১, পৃ. ১৮৯; বনি ফাযল, মাদারেকে তাহরিরুল ওয়াসিলা, ১৩৮০ ফার্সি সন, খণ্ড ৩, পৃ. ৫৭৭।
- ↑ বনি হাশেমি খোমেনী, তৌযিহুল মাসায়েল মারাজেঅ, ১৪২৪ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৭৯০।
- ↑ জাযিরি ও অন্যরা, আল-ফিকহ আলাল মাযাহিবিল আরবাআ, ১৪১৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৫৪৭।
- ↑ মুহাদ্দেস নূরী, মুস্তাদরাকুল ওয়াসায়েল, ১৪০৮ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৩৩৩, হাদীস ৩৭১৫।
- ↑ মুহাক্কিক হিল্লি, আল-মু’তাবার, ১৪০৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪৩৮।
- ↑ মুহাক্কিক হিল্লি, আল-মু’তাবার, ১৪০৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪৩৮।
- ↑ রাজাবি, “ইমামতে যান বারায়ে যান দার নামাজে জামাআত আয মানযারে মাযাহেবে ফিকহি”, পৃ. ৭৫-৭৭।
- ↑ দ্র: শেখ তুসী, তাহযিবুল আহকাম, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৩১, হাদীস ২৩; হুররে আমেলি, ওয়াসায়েলুশ শিয়া, তারিখ অজ্ঞাত, খণ্ড ৮, পৃ. ৩৩৪, হাদীস ৪।
- ↑ হুররে আমেলি, ওয়াসায়েলুশ শিয়া, তারিখ অজ্ঞাত, খণ্ড ৮, পৃ. ৩৩৪, হাদীস ৪।
- ↑ দ্র: শেখ সাদুক, মান লা ইয়াহদ্বুরুহুল ফাকীহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩৯৬; হুররে আমেলি, ওয়াসায়েলুশ শিয়া, তারিখ অজ্ঞাত, খণ্ড ৮, পৃ. ৩৩৩-৩৩৪, হাদীস ১।
- ↑ শেখ সাদুক, মান লা ইয়াহদ্বুরুহুল ফাকীহ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩৭৫; হুররে আমেলি, ওয়াসায়েলুশ শিয়া, তারিখ অজ্ঞাত, খণ্ড ৮, পৃ. ৩৩৪, হাদীস ৩।
- ↑ ইবনে সা’দ, আত তাবাকাতুল কুবরা, ১৪১০ হি., খণ্ড ৮, পৃ. ২৩৫।
- ↑ «مفارقة بین التنظیر وواقع المرأة الدینی», মাক্তাবাতুশ শেখ হাসান আল-সাফ্ফার।
গ্রন্থপঞ্জি
- ইবনে ইদ্রিস হিল্লি, আস সারায়েরুল হাউয়ি লি তাহরীরিল ফাতাউয়ি, তাহকিক ও তাসহিহ: মুসাভি হাসান ইবনে আহমাদ, ইবনে মাসিহ, আবুল হাসান, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামি, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪১০ হি.।
- ইবনে সা’দ কাতিব ওয়াকেদি, মুহাম্মাদ ইবনে সা’দ, আত তাবাকাতুল কুবরা, তাহকিক: আতা, মুহাম্মাদ আব্দুল কাদির, দারুল কুতুবিল ইলিমিয়্যাহ, বৈরুত, প্রথম সংস্করণ, ১৪১০ হি.।
- বাহরানি, ইউসুফ ইবনে আহমাদ, আল-হাদায়েকুন নাযিরাহ ফি আহকামিল ইতরাতিত তাহিরাহ, তাহকিক ও তাসহিহ: ইরওয়ানি, মুহাম্মাদ তাকি, মুকাররাম, সাইয়্যেদ আব্দুর রাজ্জাক, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামি, প্রথম সংস্করণ, ১৪০৫ হি.।
- বানি ফাযল, মুর্তাযা, মাদারেকে তাহরীরুল ওয়াসিলাহ, তেহরান, তানযিম ওয়া নাশরে আসারে ইমাম
খোমেনী (রহ.), প্রথম সংস্করণ, ১৩৮০ ফার্সি সন।
- বানি হাশেমি খোমেনী, সাইয়্যেম মুহাম্মাদ হুসাইন, তৌযিহুল মাসায়েল মারাজেঅ, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামি, অষ্টম সংস্করণ, ১৪২৪ হি.।
- জাযিরি, আব্দুর রাহমান, এছাড়াও অন্যান্যরা, আল-ফিকহ আলাল মাযাহিবিল আরবাঅ ওয়া মাযাহিবি আহলুল বাইত ওয়াফকান লি মাযাহিবি আহলুল বাইত (আ.), বৈরুত, দারুস সাকালাইন, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৯ হি.।
- খুয়ী, সাইয়্যেদ আবুল কাসেম খুয়ী, মুআসসিসাতুল ইমাম আল-খুয়ী, কোম, মুআসসিসাতু ইহিয়ায়ি আসারিল ইমামিল খুয়ী, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৮ হি.।
- হুররে আমেলি, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, ওয়াসায়েলুশ শিয়া ইলা তাহসিলি মাসায়েলিশ শারীয়্যাহ, তাহকিক: মুআসসিসাতু আলিল বাইত লি ইহিয়ায়িত তুরাস কোম, মুআসসিসাতু আলিল বাইত লি ইহিয়ায়িত তুরাস, তারিখ অজ্ঞাত (নোসখেয়ে মাদ্রেসে ফকাহাত)।
- রাজাবি, হুসাইন, “ইমামাতে জান বারায়ে জান দার নামাযে জামাআত আয মানযারে মাযাহেবে ফিকহি”, দার নাশরিয়ে পেঝুহেশ নামেয়ে মাযাহেবে ইসলামি, সংখ্যা ১, ১৩৯৩ ফার্সি সন।
- শহীদ সানি, যাইন উদ্দিন ইনে আলী, রাওযাতুল জিনান ফি শারহি ইরশাদিল আযহান, কোম, ইন্তেশারাতে দাফতারে তাবলীগাতে ইসলামি, প্রথম সংস্করণ, ১৪০২ হি.।
- শেখ সাদুক, মান লা ইয়াহদ্বুরুহুল ফাকীহ, তাহকিক ও তাসহিহ: গাফ্ফারি, আলী আকবার, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামি, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪১৩ হি.।
- শেখ তুসি, তাহযিবুল আহকাম, তাহকিক: মুসাভি খোরাসান, হাসান, তেহরান, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়্যাহ, চতুর্থ সংস্করণ, ১৪০৭ হি.।
- শেখ তুসি, মুহাম্মাদ ইবনে হাসান, আল-খিলাফ, তাহকিক ও তাসহিহ: খোরাসানি, আলী, শাহরেস্তানি, সাইয়্যেদ জাওয়াদ, ত্বহা নাজাফ, মাহদী, আরাকি, মুজতবা, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামি, কোম, প্রথম সংস্করণ, ১৪০৭ হি.।
- মুহাদ্দেস নূরী, হুসাইন, মুস্তাদরাকুল ওয়াসায়েল ওয়া মুস্তামবেতুল মাসায়েল, কোম, মুআসসেসেয়ে আলুল বাইত (আ.), প্রথম সংস্করণ, ১৪০৮ হি.।
- মুহাক্কেক হিল্লি, নাজমুদ্দিন জা’ফার ইবনে হাসান, আল-মু’তাবারু ফি শারহিল মুখতাসার, কোম, মুআসসেসেয়ে সাইয়্যেদুশ শুহাদা (আ.), প্রথম সংস্করণ, ১৪০৭ হি.।
- মাক্তাবাতুশ শেইখ হাসান আল-সাফ্ফার, প্রকাশের তারিখ: ৮ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রি., পরিদর্শন তারিখ: ১৩ খোরদাদ ১৪০৪ ফার্সি সন।
- নাজাফি, মুহাম্মাদ হাসান, জাওয়াহেরুল কালাম ফি শারহি শারায়েউল ইসলাম, তাহকিক ও তাসহিহ: কুচানি, আব্বাস, আখুন্দি, আলী, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, সপ্তম সংস্করণ, ১৪০৪ হি.।