ক্রোধ সংবরণ

wikishia থেকে

ক্রোধ সংবরণ (আরবি : کظم الغیظ); উৎকৃষ্ট নৈতিক গুণাবলীর অন্যতম এবং রাগ নিয়ন্ত্রণ ও সংবরণ করা অর্থে। সূরা আলে ইমরানের ১৩৪নং আয়াতে ক্রোধ সংবরণকে সৎকর্মশীলদের বৈশিষ্ট্য হিসেবে গন্য করা হয়েছে। বিভিন্ন রেওয়ায়েতে ক্রোধ সংবরণের প্রভাব হিসেবে ঐশী আযাব থেকে পরিত্রাণ, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ইত্যাদি বিষয়ের কথা উল্লেখিত হয়েছে। নৈতিকতা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ আলেমগণ এ প্রসঙ্গে ‘ক্রোধ’ শিরোনামের আওতায় আলোচনা করেছেন এবং এ বৈশিষ্ট্য অর্জনের বিভিন্ন পন্থা উপস্থাপন করেছেন।

শিয়াদের সপ্তম ইমাম হযরত মুসা ইবনে জাফার (আ.) ক্রোধ সংবরণের কারণে ‘কাযিম’ (کاظم) উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।

পরিভাষা পরিচিতি ও অবস্থান

(غَیظ) হলো ক্রোধের সর্বোচ্চ পর্যায় এবং ঐ উষ্ণতাকে বলা হয় যা রক্ত সঞ্চালনের কারণে মানুষের হৃৎপিণ্ডে সৃষ্টি হয়।[১] আর (کظم) হলো নিঃশ্বাস ধরে রাখা অর্থে। (کظم غیظ) একটি নৈতিকতা বিষয়ক পরিভাষা; এর অর্থ হলো ক্রোধ তথা রাগ নিয়ন্ত্রণ ও সংবরণ করা এবং তা প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকা।[২] আর অধিক ক্রোধ সংবরণকারী ব্যক্তিকে কাযিম (کاظم) বলা হয়।[৩]

ক্রোধ সংবরণ, হিলম (সহিষ্ণুতা)সহ অন্যান্য নৈতিক ও আখলাকি ফজিলতের কাছাকাছি অর্থের অধিকারী; আর হিলমের সাথে কাযমে গাইযে’র পার্থক্য হল, কাযমে গাইয ঐ ব্যক্তি দ্বারা সংঘটিত হয় যে এখনো হিলম বৈশিষ্ট্যে অভ্যস্ত হয় নি এবং রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটার সম্ভাবনা যার মাঝে রয়েছে, কিন্তু সে নিজের চেষ্টায় নিজেকে সংবরণের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।[৪] রেওয়ায়েতের ভাষায় কাযমে গাইয (ক্রোধ সংবরণ ও গিলে ফেলা) এবং ধৈর্য (সাবর) ও হিলমে’র (সহিষ্ণুতা) মাঝে সম্পর্ক রয়েছে। ইমাম সাদিক (আ.) থেকে বর্ণিত একটি রেওয়ায়েতে রাগ নিয়ন্ত্রণকে মহান আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় ঢোক হিসেবে আখ্যায়িত করে বলা হয়েছে: চরম ক্রোধের মুহূর্তে বান্দা নিজের ক্রোধকে যে ঢোকের মাধ্যমে গিলে ফেলে ও সংবরণ করে তার চেয়ে মহান আল্লাহর নিকট প্রিয় ও পছন্দনীয় ঢোক আর কিছুই নেই।[৫][নোট ১]

পবিত্র কুরআনে ক্রোধ সংবরণকে মুত্তাকি ব্যক্তিদের বৈশিষ্ট্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষের ভুল-ত্রুটিগুলোকে ক্ষমা করে দেয়, বস্তুত আল্লাহ সৎর্মশীলদেরকেই ভালোবাসেন।’[৬] একইভাবে বিভিন্ন রেওয়ায়েতে ক্রোধ সংবরণের বিষয় একটি উৎকৃষ্ট নৈতিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে উল্লিখিত হয়েছে এবং ইমামগণ (আ.) এ বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। কুলাইনি তার আল-কাফী গ্রন্থে কিতাবুল ঈমান ওয়াল কুফর অধ্যায়ে ‘কাযমে গাইয’ প্রসঙ্গে ১৩টি রেওয়ায়েত উল্লেখ করেছেন।[৭] সাহিফায়ে সাজ্জাদিয়া’র দোয়ায়ে ‘মাকারেমুল আখলাকে’ও ক্রোধ সংবরণের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।[৮] বিভিন্ন রেওয়ায়েতে ক্রোধ সংবরণের প্রভাব হিসেবে সম্মান ও মহানুভবতা, আল্লাহর আযাব থেকে পরিত্রাণ পাওয়া এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ইত্যাদি বিষয় উল্লেখিত হয়েছে।[৯]মহানবি (স.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, যে নিজের ক্রোধ ও রাগকে সংবরণ করে আল্লাহ্ তার উপর থেকে নিজের আযাব তুলে নেন।[১০] ইমাম সাজ্জাদ (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, ক্রোধ সংবরণ করা তথা ক্রোধকে গিলে ফেলার মত প্রিয় ঢোক আমার কাছে আর কিছুই নেই যে, সেটাকে আমি গিলে ফেলে প্রতিপক্ষকে শাস্তি প্রদান করা থেকে নিজেকে সংযত রাখব। অপর একটি রেওয়ায়েতে এসেছে যে, ক্রোধের ঢোক এবং বিপদের সময় দুঃখ-দুর্দশার ঢোক গিলে ফেলাকে মহান আল্লাহর নিকট সবচেয়ে উত্তম ঢোক হিসেবে গন্য করা হয়েছে।[১১][নোট ২]

ক্রোধ নিয়ন্ত্রণের পন্থা

আখলাক তথা নৈতিকতা বিষয়ক গ্রন্থসমূহে ‘ক্রোধ সংবরণ’ প্রসঙ্গে নৈতিক ত্রুটি ও অপছন্দনীয় গুণাবলী এবং ক্রোধ সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে।[১২] আখলাক শাস্ত্রের আলেমগণ রাগ নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন পন্থা বর্ণনা করেছেন।[১৩]

ফাইয কাশানি তার আল-মুহাজ্জাতুল বাইদ্বা’ গ্রন্থে ক্রোধ সংবরণ, সহিষ্ণুতা (হিলম) ও ক্ষমার ফযিলতে যে সকল রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে সেগুলোর প্রতি চিন্তা করা, ঐ রেওয়ায়েতগুলোতে ক্রোধ সংবরণের জন্য যে সকল পুরস্কারের কথা বর্ণিত হয়েছে সেগুলো সম্পর্কে ভাবা, মহান আল্লাহর ক্রোধ ও শক্তিকে স্মরণ করা, ক্রোধের মন্দ ও নিন্দনীয় অবস্থার পরিণতি সম্পর্কে চিন্তা করা এবং প্রতিশোধ পরায়ণতাকে তিরস্কার করা ইত্যাদি বিষয়কে রাগ নিয়ন্ত্রণ করার অন্যতম পন্থা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।[১৪]

একইভাবে ফাইয কাশানি ক্রোধ সংবরণ করতে ইস্তিআযাহ (আউযু বিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম বলা) ও যে অবস্থায় রাগান্বিত ব্যক্তি রয়েছে তা পরিবর্তন করা ক্রোধ সংবরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন। তার ভাষায়, যদি ইস্তিআযাহ কার্যকর না হয়, তবে যদি মানুষ দণ্ডায়মান অবস্থায় রাগান্বিত হয় তার উচিত বসে পড়া, আর যদি বসা অবস্থায় থাকে তাহলে তার উচিত হেলান দিয়ে বসা অথবা শুয়ে পড়া। এছাড়া, ক্রোধকে আগুনের সাথে তুলনা করে বলা হয়েছে, পানি ব্যতীত আগুন নেভানো সম্ভব নয়; অতএব, ক্রোধান্বিত ব্যক্তির উচিত ওজু করা।[১৫]

আল্লাহর রাসূল (স.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি ক্রোধান্বিত হয়েছে তার উচিত তার মুখমণ্ডলকে (চিবুক) মাটির সাথে লাগানো। ওয়াররাম ইবনে আবি ফিরাস বলেছেন, আল্লাহর রাসূল (স.) যে সিজদা করতে বলেছেন তার উদ্দেশ্য হলো, সে সিজদা করবে এবং নিজের হীনতা ও নিচুতা অনুভব করবে, আর এভাবে তার ক্রোধ দূরীভূত হবে।[১৬] ইমাম বাকির (আ.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে ক্রোধ সংবরণ সম্পর্কে এসেছে, যদি কেউ দণ্ডায়মান অবস্থায় কারো উপর ক্রোধান্বিত হয়, তার উচিত তৎক্ষণাৎ বসে পড়া; যাতে শয়তানের কুমন্ত্রণা ও অনিষ্ট তার থেকে দূর হয়ে যায়। আর যদি কেউ তার কোন আত্মীয়ের উপর রাগান্বিত হয়, তার উচিত তার কাছে যেয়ে তাকে স্পর্শ করা (যেমন তার হাতে হাত ঘসা বা তার সাথে করমর্দন করা), কেননা কেউ তার কোন আত্মীয়ের শরীরে স্পর্শ করলে স্বস্তি পায়।[১৭]

ইমাম কাযিম (আ.) ও ক্রোধ সংবরণ

ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ ও সংবরণের কারণে ইমাম মুসা কাযিমকে (আ.) কাযিম (کاظم) উপাধি প্রদান করা হয়েছে।[১৮] বিভিন্ন গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে যে, ইমাম কাযিম (আ.) নিজের শত্রু এবং যারা তার বিষয়ে অন্যায় আচরণ করেছে তাদের  বিপরীতে নিজের ক্রোধকে সংবরণ করতেন।[১৯] যেমন বর্ণিত হয়েছে যে, উমর ইবনে খাত্তাবের জনৈক বংশধর ইমাম কাযিমের (আ.) সম্মুখে হযরত ইমাম আলী ইবনে আবি তালিবকে (আ.) অবমাননা করলে ইমামের সাথীরা তার উপর আক্রমন করতে চাইল। ইমাম তাদেরকে বাধা দিলেন। অতঃপর তিনি ঐ ব্যক্তির কৃষিক্ষেত্রে গেলেন। লোকটি ইমাম কাযিমকে (আ.) দেখে চিৎকার শুরু করলো যাতে তিনি তার ক্ষেতের ফসল নষ্ট না করেন। ইমাম তার কাছে গিয়ে হাস্যোজ্জল মুখে জিজ্ঞেস করলেন ফসলের পেছনে তোমার কত খরচ হয়েছে? উত্তরে লোকটি বললো: ১০০ দিনার! তিনি (আ.) আবার জিজ্ঞেস করলেন: কি পরিমাণ অর্থের ফসল বিক্রি করবে বলে তুমি আশা করছ? উত্তরে লোকটি বললো: আমি তো গায়েবের খবর রাখি না। ইমাম কাযিম (আ.) বললেন: আমার উদ্দেশ্য তুমি কত দিনারের ফসল বিক্রি করতে পারবে বলে আশা করছ? লোকটি উত্তরে বললো: ২০০ দিনার! ইমাম তাকে ৩০০ দিনার দিয়ে বললেন: এই ৩০০ দিনার তোমার এবং ফসলও তোমার। অতঃপর তিনি মসজিদের দিকে চলে গেলেন। লোকটি দ্রুত ইমামের (আ.) আগে মসজিদে পৌঁছে ইমামকে (আ.) দেখে উঠে দাঁড়িয়ে এই আয়াতটি উচ্চস্বরে বলতে লাগলো: (اللَّه أَعْلَمُ حَيْثُ يَجْعَلُ رِ‌سَالَتَهُ) ‘আল্লাহ খুব ভালভাবেই জানেন তাঁর রিসালাতের দায়িত্ব কোথায় দিতে হবে।’ (আনআম ১২৪)[২০]

তথ্যসূত্র

  1. রাগেব ইস্পাহানি, মুফরাদাত, ১৪১২ হি., পৃ. ৬১৯।
  2. রাগেব ইস্পাহানি, মুফরাদাত, ১৪১২ হি., পৃ. ৭১২।
  3. নারাকি, জামেউস সাআদাত, মুআসসাসাতুল আ’লামি লিল মাতবুআত, খণ্ড ১, পৃ. ৩৩৩; গাযযালি, ইহইয়া-উ উলুমিদ্দিন, দারুল মা’রেফা, খণ্ড ৩, পৃ. ১৭৬।
  4. নারাকি, জামেউস সাআদাত, মুআসসাসাতুল আ’লামি লিল মাতবুআত, খণ্ড ১, পৃ. ৩৩৩; গাযযালি, ইহইয়া-উ উলুমিদ্দিন, দারুল মা’রেফা, খণ্ড ৩, পৃ. ১৭৬।
  5. কুলাইনি, কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১১১।
  6. সুরা আলে ইমরান, ১৩৪ নং আয়াত।
  7. কুলাইনি, কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১০৯-১১১।
  8. সাহিফায়ে সাজ্জাদিয়া, ২০তম দোয়া।
  9. কুলাইনি, কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১০৯-১১১।
  10. ফাইয কাশানি, আল-মুহাজ্জাতুল বাইদ্বাহ, মুআসসাসাতুল নাশর আল-ইসলামি, খণ্ড ৫, পৃ. ৩০৬-৩০৭।
  11. মাজলিসী, মুহাম্মাদ বাকের, বিহারুল আনওয়ার, মুআসসাসাতুল ওয়াফা বৈরুত, খণ্ড ৪৭, পৃ. ৩০১; আল-আরুসি আল-হুওয়াইযি, তাফসিরে নুরুস সাকালাইন, খণ্ড ১, পৃ. ৩৯০।
  12. ওয়াররাম, মাজমুয়ে ওয়াররাম, ১৪১০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১২৩-১২৪।
  13. ফাইয কাশানি, আল-মুহাজ্জাতুল বাইদ্বাহ, মুআসসাসাতুল নাশর আল-ইসলামি, খণ্ড ৫, পৃ. ৩০৬-৩০৭।
  14. ফাইয কাশানি, আল-মুহাজ্জাতুল বাইদ্বাহ, মুআসসাসাতুল নাশর আল-ইসলামি, খণ্ড ৫, পৃ. ৩০৬-৩০৭।
  15. ফাইয কাশানি, আল-মুহাজ্জাতুল বাইদ্বাহ, মুআসসাসাতুল নাশর আল-ইসলামি, খণ্ড ৫, পৃ. ৩০৬-৩০৭।
  16. ওয়াররাম, মাজমুয়ে ওয়াররাম, ১৪১০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১২৪।
  17. কুলাইনি, কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৩০২।
  18. ইবনে আসির, আল-কামিল, ১৩৮৫ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ১৬৪; ইবনে জাওযি, তাযকিরাতুল খাওয়াছ, ১৪১৮ হি., পৃ. ৩১২; শেইখ সাদুক, উয়ূনু আখবারির রিযা, খণ্ড ২, পৃ. ১০৩।
  19. মুফিদ, আল-ইরশাদ, ১৪১৩ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২৩৩; কারাশি, হায়াতুল ইমাম মুসা বিন জা’ফার, ১৪২৯ হি., খণ্ড ২, পৃ. ১৬০-১৬২।
  20. বাগদাদি, তারিখে বাগদাদ, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১৩, পৃ. ৩০।

গ্রন্থপঞ্জি

  • সাহিফায়ে সাজ্জাদিয়া।
  • ইবনে আসির, আলী বিন মুহাম্মাদ, আল-কামিলু ফিত তারিখ, বৈরুত, দারু সাদর, ১৩৮৫ হি.।
  • ইবনে জাওযি, সাবত, তাযকিরাতুল খাওয়াছ, কোম, মানশুরাতে শারিফ আল-রাযি, ১৪১৮ হি.।
  • বাগদাদি, খাতিব, তারিখে বাগদাদ, তাহকিক মুস্তাফা আব্দুল কাদির আতা, বৈরুত, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, ১৪১৭ হি.।
  • রাগেব ইস্পাহানি, হুসাইন বিন মুহাম্মাদ, মুফরাদাতু আলফাযিল কুরআন, তাসহিহ সাফওয়ান আদনান, দামেস্ক, দারুল কালাম-আদ দারুশ শামিয়্যাহ, ১৪১২ হি.।
  • গাযযালি, মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ, ইহইয়া-উ উলুমিদ্দিন, বৈরুত, দারুল মা’রেফাহ, তারিক অজ্ঞাত।
  • কারাশি, বাকের শরীফ, হায়াতুল ইমাম মুসা বিন জা’ফার (আ.), তাহকিক মাহদী বাকের কারাশি, মেহের দিলদার, ১৪২৯ হি.।
  • ফাইয কাশানি, মুহাম্মাদ বিন মুর্তাযা, আল-মুহাজ্জাতুল বাইদ্বা ফি তাহযিবিল ইহইয়া, তাসহিহ আলী আকবার গাফ্ফারী, কোম, মুআসসাসাতুল নাশর আল-ইসলামি, তারিখ অজ্ঞাত।
  • কুলাইনি, মুহাম্মাদ বিন ইয়াকুব, আল-কাফি, তাসহিহ আলী আকবার গাফ্ফারী ও মুহাম্মাদ আখুন্দি, তেহরান, দারুল কুতুব আল-ইসলামিয়্যাহ, ১৪১৩ হি.।
  • মুফিদ, মুহাম্মাদ বিন নোমান, আল-ইরশাদ ফি মা’রিফাতি হুজাজ আল্লাহ আলাল ইবাদ, কোম, কংগ্রেয়ে শেইখ মুফিদ, ১৪১৩ হি.।
  • ওয়াররাম, ইবনে আবি ফাররাস, মাজমুয়ে ওয়াররাম, মাক্তাবাতু ফিকহিয়্যাহ, কোম, ১৪১০ হি.।
  • নারাকি, মুহাম্মাদ মাহদি, জামেউস সাআদাত, বৈরুত, মুআসসাসাতুল আ’লামি লিল মাতবুআত, তারিখ অজ্ঞাত।