আমানতের আয়াত

wikishia থেকে

আমানতের আয়াত (আরবি: آیة الأمانة ) (আহযাব : ৭২); ঐ আমানত সম্পর্কে বলা হয়েছে যা মহান আল্লাহ্ মানুষের নিকট অর্পন করেছেন। এ আয়াত অনুযায়ী, মহান আল্লাহ্ প্রথমে আমানতটিকে আসমান, যমীন ও পর্বতের উদ্দেশ্যে পেশ করলে তারা তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়, কিন্তু মানুষ তা গ্রহণ করে নেয়। এখানে আমানত বলতে কি বোঝানো হয়েছে? কেন আসমান, যমীন এবং পর্বত এটি নিতে অস্বীকৃতি জানালেও মানুষ গ্রহণ করলো? -এ সম্পর্কে মুসলিম মুফাসসিরগণ বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এবং ভিন্ন ভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেছেন।

রেওয়ায়েত ভিত্তিক শিয়া তাফসিরের ভিত্তিতে, এখানে আমানত বলতে মহানবি (স.)শিয়া ইমামগণের (আ.) বেলায়েত ও ইমামতকে বোঝানো হয়েছে। কিন্তু আহলে সুন্নতের মুফাসসিরদের ভাষ্য হল এর অর্থ হলো ধর্মীয় কর্তব্য ও দায়িত্ব (তাকলিফ)। আল্লামা তাবাতাবায়ীর মতে, এখানে আমানত হল আল্লাহর বেলায়েত; সৃষ্টিকূলের মাঝে একমাত্র মানুষই এ আমানত গ্রহণে যোগ্যতা সম্পন্ন, কেননা একমাত্র মানুষের মাঝেই পূর্ণতার সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছানোর প্রতিভা ও সামর্থ রয়েছে।

ইসলামি সংস্কৃতিতে আয়াতের প্রসিদ্ধি

সূরা আহযাবের ৭২নং আয়াতটির প্রতি মুসলিম মুফাসসিরগণ বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। আয়াতে উল্লিখিত আমানত কি? কেন আসমান, যমীন ও পর্বত তা নিতে অস্বীকার করলেও মানুষ তা গ্রহণ করে নিল? -এ প্রসঙ্গে শিয়াসুন্নি মুফাসসিরগণ বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।[১] বিভিন্ন হাদিসেও বিষয়টির উপর আলোকপাত করা হয়েছে।[২]

এর উর্ধ্বে, ইরফান ও সাহিত্যেও হাফেয শিরাজি, জালালুদ্দিন রুমি (মৌলাভি) ও খাজা আব্দুল্লাহ আনসারি’র মত বিশিষ্ট আরেফ ও কবিগণও এ বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।

হাফেয শিরাজি’র একটি কবিতায় এসেছে:

آسمان بار امانت نتوانست کشید             قرعه فال به نام من دیوانه زدند

যে আমানতের বোঝা আসমান উঠাতে ব্যর্থ,        তা উঠানোর লটারি আমার (মানুষের) নামে উঠেছে।[৩]

জালালুদ্দিন রুমি’র কবিতায় বিষয়টি এভাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে:

                       نپذیرفت آسمان بار امانت            که عاشق بود و ترسید از خطایی

আমানতের বোঝা গ্রহণ করে নি আসমান,            প্রেমিক আসমান শঙ্কিত ছিল পাছে কোন ভুল হয়ে যায়।[৪]

খাজা আব্দুল্লাহ আনসারি মহান আল্লাহর দরবারে এক মুনাজাতে এভাবে বলেছেন:

«الهی اگر نه امانت را امینم، آن زمان که امانت می‌نهادی، دانستی که چنینم.»

‘হে প্রভু যদি আমানতের আমানতদার আমি না হয়ে থাকি, যখন আমায় তা সোপর্দ করছিলে তখন তো তুমি জানতে আমি এমনই।’[৫]

মূল আয়াত

إِنَّا عَرَضْنَا الْأَمَانَةَ عَلَى السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَالْجِبَالِ فَأَبَيْنَ أَنْ يَحْمِلْنَهَا وَأَشْفَقْنَ مِنْهَا وَحَمَلَهَا الْإِنْسَانُ إِنَّهُ كَانَ ظَلُومًا جَهُولً

অর্থ: ‘আমরা আসমান, যমীন ও পর্বতের প্রতি (ঐশী) আমানাত পেশ করেছিলাম। কিন্তু তারা তা বহন করতে অস্বীকৃতি জানাল, তারা তাতে আশংকিত হল, কিন্তু মানুষ সে দায়িত্ব নিল। সে বড়ই অন্যায়কারী, বড়ই অজ্ঞ।’ (আহযাব : ৭২)

‘আমানতে’র অর্থ

মুসলিম মুফাসসিররা তাদের গ্রন্থসমূহে ‘আমানত’ শব্দের বিভিন্ন অর্থ উল্লেখ করেছেন। এগুলোর মধ্যে মহানবি (স.)ইমামগণের (আ.) বেলায়েতইমামত,[৬] ধর্মীয় কর্তব্য ও দায়িত্ব (তাকলিফ),[৭] মানুষের উপর আল্লাহর বেলায়েত[৮] আক্বল, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বাক্যের,[৯] অঙ্গ-প্রত্যাঙ্গ,[১০] অন্যরা যে আমানত আমাদের নিকট গচ্ছিত রাখে ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য[১১]

রেওয়ায়েত ভিত্তিক শিয়া তাফসিরগুলোতে মহানবি (স.) ও ইমামগণ (আ.) থেকে বর্ণিত রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে আলোচ্য ‘আমানতে’র অর্থ হল, আহলে বাইতের বেলায়েত ও ইমামত, তাদের আনুগত্য ও তাদের প্রতি মহব্বত পোষণ ইত্যাদি।[১২]আহলে সুন্নতের তাফসিরে আমানত বলতে শরয়ী তাকলিফের কথা বলা হয়েছে, যা মহান আল্লাহ্ মানুষের জন্য ধার্য করেছেন।[১৩] শিয়া মুফাসসির তাবারসি এই মতকে গ্রহণ করেছেন।[১৪]


তাফসিরুল মিযানের রচয়িতা সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হুসাইন তাবাতাবায়ীর মতে, আয়াতে ‘আমানত’ হলো ‘আল্লাহর বেলায়েত’; যা মানুষের কাঁধে অর্পন করা হয়েছে। আর সৃষ্টিকূলের মধ্যে একমাত্র মানুষই সঠিক আকিদা ধারন ও সৎ আমলের মাধ্যমে পূর্ণতার পথ পাড়ি দিয়ে পূর্ণতার সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছুতে পারে, অন্য কোন সৃষ্টি ঐ পর্যায়ে পৌঁছুতে সক্ষম নয়। আর এ কারণেই মানুষের উপর এই আমানত অর্পন করা হয়েছে।[১৫]

আল্লামা তাবাতাবায়ী, ইমাম সাদিক (আ.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে ‘আমানত’ বলতে ইমাম আলীর (আ.) বেলায়েতকে বোঝানো হয়েছে -এ কথা উল্লেখ করে,[১৬] আহলে বাইতের বেলায়েতকে মানুষের উপর অর্পিত আল্লাহর বেলায়েতের একটি বাস্তব দৃষ্টান্ত বলে গন্য করেছেন।[১৭]

আসমান, যমীন ও পর্বতের প্রতি আমানত পেশ

আমানতের আয়াত সম্পর্কে যে সকল প্রশ্ন মুফাসসিরগণ উত্থাপন করেছেন সেগুলোর মধ্যে একটি হল, এখানে আসমান, যমীন ও পর্বতের প্রতি আমানত পেশ করা বলতে কি বোঝানো হয়েছে? এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন মত রয়েছে; কেউ কেউ এখানে (عرض) তথা পেশ করা বা উপস্থাপন করা বলতে হাকিকি (প্রকৃত ও আসল) অর্থ গ্রহণ করেছেন, আবার কেউ কেউ বলেছেন এখানে মাজাযি ও রূপক অর্থে এসেছে:

প্রকৃত অর্থ

রেওয়ায়েত ভিত্তিক শিয়া তাফসিরে যে রেওয়ায়েতটিকে প্রমাণ হিসেবে আনা হয়েছে তার ভিত্তিতে, মহান আল্লাহ্ আসমান, যমীন ও পর্বতকে বললেন: মুহাম্মাদ ও তার আহলে বাইত মানুষের উপর আমার আওলিয়া, বন্ধু এবং হুজ্জাত; আমার কাছে তাদের চেয়ে প্রিয় আর কিছু নেই। আর আমার সৃষ্টিকূলের নিকট তাদের বেলায়েত আমার আমনত স্বরূপ। তোমাদের মধ্যে কে এই বেলায়েতকে গ্রহণ করতে চাও, যাদেরকে আমি বেছে নিয়েছি তারা ব্যতীত? তারা এমন সুউচ্চ মাকাম গ্রহণে শঙ্কিত হল।[১৮] আহলে সুন্নতের কিছু কিছু তাফসিরে এসেছে যে, মহান আল্লাহ্ আসমান, যমীন ও পর্বতকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তোমরা কি এই আমানত (শরয়ী তাকলিফ) রক্ষা করতে পারবে? তারা বললো এই আমানত রক্ষা করলে আমাদের নসিবে কি জুটবে? মহান আল্লাহ বললেন: যদি সঠিক পথে চল তবে পুরুস্কৃত হবে, আর ভুল পথে চললে তোমাদেরকে আযাব প্রদান করা হবে। তারা শরয়ী তাকলিফ পালন করতে না পারার শঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালো, কিন্তু মানুষ তা গ্রহণ করে নিল।[১৯]

রূপক অর্থে

আল্লামা তাবাতাবায়ী বলেন, ‘আমরা এ আমানতকে আসমান, যমীন ও পর্বতের প্রতি পেশ করেছি’ এবারতটি মূলতঃ আসমান, যমীন ও পর্বতের সামর্থের (যোগ্যতা ও প্রতিভা) সাথে মানুষের সামর্থ তুলনা করার উদ্দেশ্যে এসেছে এবং এর অর্থ হল, এত বিশালতার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহর আমানত তথা বেলায়েত গ্রহণ করার ক্ষমতা এদের ছিল না। আল্লাহর বেলায়েতকে গ্রহণ করে পূর্ণতার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছুনোর যোগ্যতা ও সামর্থ একমাত্র মানুষের মাঝেই ছিল।[২০]

আহলে সুন্নতের বিশিষ্ট মুফাসসির আলূসী’র মতে, মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন এখানে উপমা ব্যবহার করেছেন যাতে এর মাধ্যমে তিনি ‘ঐশী আমানতে’র গুরুত্ব তথা ধর্মীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের কষ্টের বিষয়টি স্পষ্ট করতে পারেন। পাশাপাশি এ বিষয়টিও স্পষ্ট করতে পারেন যে, মানুষ স্বেচ্ছায় এ আমানত গ্রহণ করেছে; কেননা আসমান, যমীন ও পর্বত ঐ আমানত গ্রহণে যেভাবে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল, সেভাবে মানুষও চাইলে তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানাতে পারত। আলূসী’র বিশ্বাস, মহান আল্লাহ্ এ তুলনা ও উপমার মাধ্যমে ঐশী আমানতের গুরুত্ব স্পষ্ট করে এ কথাটি বুঝিয়েছেন যে, শরয়ি তাকলিফ আঞ্জাম দানের গুরুত্ব এতটাই যে, যদি আসমান, যমীন ও পর্বতও -যেগুলো শক্তি ও দৃঢ়তার নিদর্শন স্বরূপ- বুদ্ধি ও অনুভূতির অধিকারী হত এবং এ কাজের জন্য নির্দেশিত হত তবুও তারা এ আমানত গ্রহণে অস্বীকৃতি জানাত।[২১]

কেন মানুষকে ‘অন্যায়কারী’ ও ‘মূর্খ’ বলা হয়েছে?

আল্লামা তাবাতাবায়ীর ভাষায়, মহান আল্লাহ্ কর্তৃক মানুষকে ‘অন্যায়কারী’ ও ‘মূর্খ’ হিসেবে স্মরণ করার কারণ হল, মানুষ এ আমানতের গুরুত্বকে উপেক্ষা করে নিজের উপর জুলুম ও অন্যায় করতে পারে, আর সে জানে না এমনটি করলে কত বড় শাস্তি তার অপেক্ষায় রয়েছে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, সকল মানুষই এমন ধরণের; বরং এর অর্থ হল মানুষের মাঝে যেমন জ্ঞানী ও ন্যায়পরায়ণ হওয়ার প্রতিভা রয়েছে, তেমনি মূর্খ ও অন্যায়কারী হওয়ার প্রতিভাও।[২২] সুন্নি মুফাসসির ফাখরে রাযিও একই সম্ভাবনার কথা ব্যক্ত করেছেন।[২৩]

সুন্নি মুফাসসির আলূসী’র মত হল, অন্যায়কারী ও মূর্খ এ দুই বৈশিষ্ট্য মানুষের নামের সাথে জুড়ে দেওয়া এ বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করে যে, মানুষের মধ্যে অনেকেই এই আমানত রক্ষা এবং শরয়ি তাকলিফে আমল করতে পারে না। এ কারণেই পরবর্তী আয়াতে এসেছে যে, আল্লাহ্ মুনাফিক ও মুশরিকদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন এবং মু’মিনদের তওবাহ গ্রহণ করে নিবেন।[২৪]

তথ্যসূত্র

  1. দ্র: তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১৬ পৃ. ৩৪৮-৩৪৯; তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ৫৮৪-৫৮৬; ফখরুদ্দিন রাযি, আল-তাফসিরুল কাবির, ১৪২০ হি., খণ্ড ২৫, পৃ. ১৮৭-১৮৯; আলূসী, রুহুল মাআনি, ১৪১৫ হি., খণ্ড ১১, পৃ. ২৭০-২৭১।
  2. দ্র: কুলাইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১ পৃ. ৪১৩; বাহরানি, আল-বুরহান ফি তাফসিরিল কুরআন, ১৪১৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৮৩-১৮৪; কুম্মি, তাফসিরুল কুম্মি, ১৩৬৩ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ১৯৮।
  3. হাফেয শিরাজি, দিওয়ানে হাফেয, গজল নং ১৮৪।
  4. মৌলাভি, কুল্লিয়াতে শামস, ১৩৬৭ ফার্সি সন, পৃ. ৯৯৩, গজল নং ২৬৭৪।
  5. খাজা আব্দুল্লাহ আনসারি, রেসালেয়ে দেল ওয়া জান, ১৩৮২ হি., পৃ. ৩।
  6. দ্র: বাহরানি, আল-বুরহান ফি তাফসিরিল কুরআন, ১৪১৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৮৩-১৮৪; কুম্মি মাশহাদি, কানযুল দাকায়েক, ১৩৬৮ ফার্সি সন, খণ্ড ১০, পৃ. ৪৫০-৪৫১; কুফি, তাফসিরে ফুরাত আল-কুফি, ১৪১০ হি., পৃ. ৩৪২-৩৪৩।
  7. দ্র: ফখরুদ্দিন রাযি, আল-তাফসিরুল কাবির, ১৪২০ হি., খণ্ড ২৫, পৃ. ১৮৭; আলূসী, রুহুল মাআনি, ১৪১৫ হি., খণ্ড ১১, পৃ. ২৭০; মেইবদি, কাশফুল আসরার, ১৩৭১ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ৯২-৯৩।
  8. তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১৬ পৃ. ৩৪৯।
  9. তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১৬ পৃ. ৩৪৯।
  10. তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ৫৮৪।
  11. তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ৫৮৪।
  12. দ্র: বাহরানি, আল-বুরহান ফি তাফসিরিল কুরআন, ১৪১৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৮৩-১৮৪; কুম্মি মাশহাদি, কানযুল দাকায়েক, ১৩৬৮ ফার্সি সন, খণ্ড ১০, পৃ. ৪৫০-৪৫১; কুফি, তাফসিরে ফুরাত আল-কুফি, ১৪১০ হি., পৃ. ৩৪২-৩৪৩; কুম্মি, তাফসিরুল কুম্মি, ১৩৬৩ ফার্সি সন, খণ্ড ২, পৃ. ১৯৮।
  13. দ্র: ফখরুদ্দিন রাযি, আল-তাফসিরুল কাবির, ১৪২০ হি., খণ্ড ২৫, পৃ. ১৮৭; আলূসী, রুহুল মাআনি, ১৪১৫ হি., খণ্ড ১১, পৃ. ২৭০; মেইবদি, কাশফুল আসরার, ১৩৭১ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ৯২-৯৩।
  14. তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, ১৩৭২ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ৫৮৫।
  15. তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১৬ পৃ. ৩৪৯।
  16. কুলািইনি, আল-কাফি, ১৪০৭ হি., খণ্ড ১ পৃ. ৪১৩।
  17. তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১৬ পৃ. ৩৫৪।
  18. দ্র: বাহরানি, আল-বুরহান ফি তাফসিরিল কুরআন, ১৪১৫ হি., খণ্ড ১, পৃ. ১৮৩-১৮৪; কুম্মি মাশহাদি, কানযুল দাকায়েক, ১৩৬৮ ফার্সি সন, খণ্ড ১০, পৃ. ৪৫০-৪৫১; কুফি, তাফসিরে ফুরাত আল-কুফি, ১৪১০ হি., পৃ. ৩৪২-৩৪৩।
  19. দ্র: ফখরুদ্দিন রাযি, আল-তাফসিরুল কাবির, ১৪২০ হি., খণ্ড ২৫, পৃ. ১৮৭; মেইবদি, কাশফুল আসরার, ১৩৭১ ফার্সি সন, খণ্ড ৮, পৃ. ৯২-৯৩।
  20. তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১৬ পৃ. ৩৪৯।
  21. আলূসী, রুহুল মাআনি, ১৪১৫ হি., খণ্ড ১১, পৃ. ২৭০।
  22. তাবাতাবায়ী, আল-মিযান, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১৬ পৃ. ৩৫০-৩৫১।
  23. ফখরুদ্দিন রাযি, আল-তাফসিরুল কাবির, ১৪২০ হি., খণ্ড ২৫, পৃ. ১৮৮।
  24. আলূসী, রুহুল মাআনি, ১৪১৫ হি., খণ্ড ১১, পৃ. ২৭১।

গ্রন্থপঞ্জি

  • আলূসী, মাহমুদ, রুহুল মাআনি ফি তাফসিরিল কুরআনিল আযিম ওয়াস সাবউল মাসানি, তাহকিক: আলী আব্দুল বারি আতিয়া, গেরদআওয়ারিয়ে ইব্রাহিম শামসুদ্দিন ওয়া সিনা বাযি শামসুদ্দিন, বৈরুত, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৫ হি.।
  • বাহরানি, হাশেম, আল-বুরহান ফি তাফসিরিল কুরআন, তাহকিক: বুনিয়াদ বে’সাত, ওয়াহেদে তাহকিকাতে ইসলামি, কোম, বুনিয়াদে বে’সাত, ওয়াহেদে তাহকিকাতে ইসলামি, প্রথম সংস্করণ, ১৪১৫ হি.।
  • হাফেয শিরাজি, শামসুদ্দিন মুহাম্মাদ, দিওয়ানে হাফেয, তারিখ অজ্ঞাত।
  • খাজা আব্দুল্লাহ আনসারি, মুনাজাত নামেয়ে খাজা আব্দুল্লাহ আনসারি, তাসহিহ মুহাম্মাদ হামাসিয়ান, কেরমান, খেদমাতে ফারহাঙ্গিয়ে কেরমান, প্রথম সংস্করণ।
  • তাবাতাবায়ী, সাইয়্যেদ মুহম্মাদ হুসাইন, আল-মিযান ফি তাফসিরিল কুরআন, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামি, পঞ্চম সংস্করণ, ১৪১৭ হি.।
  • তাবারসি, ফাযল বিন হাসান, মাজমাউল বায়ান ফি তাফসিরিল কুরআন, তেহরান, নাসের খসরু, তৃতীয় সংস্করণ, ১৩৭২ ফার্সি সন।
  • ফাখরে রাযি, মুহাম্মদ বিন উমর, আল-তাফসিরুল কাবির, বৈরুত, দারু ইহিয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, ১৪২০ হি.।
  • ফুরাত কুফি, ফুরাত বিন ইব্রাহিম, তাফসিরে ফুরাত আল-কুফি, তাহকিক ওয়া তাসহিহ: মুহাম্মাদ কাজিম, তেহরান, মুআসসেসেয়ে চাপ ওয়া নাশরে ভেযারাতে ফারহাঙ্গ ওয়া আরশাদে ইসলামি, প্রথম সংস্করণ, ১৪১০ হি.।
  • কুম্মি মাশহাদি, মুহাম্মাদ, কানযুল দাকায়েক ওয়া বাহরুল গারায়েব, তাহকিক: হুসাইন দারগাহি, তেহরান, সাযেমানে চাপ ওয়া ইন্তেশারাতে ভেযারাতে ফারহাঙ্গ ওয়া আরশাদে ইসলামি, প্রথম সংস্করণ, ১৩৬৮ ফার্সি সন।
  • কুম্মি, আলী বিন ইব্রাহিম, তাফসিরে কুম্মি, তাহকিক: তাইয়্যেব মুসাভি জাযায়েরি, কোম, দারুল কিতাব, তৃতীয় সংস্করণ, ১৩৬৩ ফার্সি সন।
  • কুলাইনি, মুহাম্মাদ বিন ইয়াকুব, আল-কাফি, তাহকিক: আলী আকবার গাফ্ফারি ওয়া মুহাম্মাদ আখুন্দি, তেহরান, দারুল কুতুব আল-ইসলামিয়্যাহ, চতুর্থ সংস্করণ, ১৪০৭ হি.।
  • মৌলাভি, জালালুদ্দিন মুহাম্মাদ, কুল্লিয়াতে শামস, তাসহিহ: বদিউজ্জামান, তেহরান, আমির কবির, ১৩৬৭ ফার্সি সন।
  • মেইবদি, আহমাদ, কাশফুল আসরার ওয়া ইদ্দাতুল আবরার, বে হিম্মাতে আলী আসগার হিকমত, তেহরান, আমির কবির, পঞ্চম সংস্করণ, ১৩৭১ ফার্সি সন।