বিষয়বস্তুতে চলুন

হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

২৭৯ নং লাইন: ২৭৯ নং লাইন:
==মহানবির (সা.) বিদায় হজ্জ==
==মহানবির (সা.) বিদায় হজ্জ==
: ''মূল নিবন্ধ:[[বিদায় হজ্জ]]''
: ''মূল নিবন্ধ:[[বিদায় হজ্জ]]''
১০ম হিজরীর [[যিলক্বদ]] মাসে মহানবি (সা.) জীবনের শেষ [[হজ্জ]] পালনের উদ্দেশ্যে মক্কা অভিমুখে রওনা হলেন। এ সফরে তিনি মুসলমানদেরকে হজ্জের বিধি-বিধান চাক্ষুষভাবে শিখিয়ে দিলেন। ইসলাম গ্রহণের পূর্বে [[কুরাইশ]] কিছু কিছু বিষয়ে নিজেদেরকে অন্যান্য হাজীদের তুলনায় শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসিয়েছিল। কা’বার চাবীর বাহক, পর্দার সংরক্ষক, হাজীদেরকে পানি পান করানো ও তাদেরকে আপ্যায়ন করা ছাড়াও যিয়ারত সংশ্লিষ্ট কিছু কিছু বিষয়ে অন্য গোত্র থেকে তারা নিজেদেরকে আলাদা করে রাখত। আল্লাহর গৃহ যিয়ারতের ক্ষেত্রে কুরাইশ যে সকল বিষয়ে নিজেদেরকে আলাদা করে রাখত এবং অন্যদেরকে তা থেকে বঞ্চিত করত, মহানবি (সা.) ভিত্তিহীন ঐসব প্রথার ইতি টানলেন। ঐ প্রথাগুলোর মধ্যে ছিল, [[জাহিলিয়্যা]]তের যুগে মানুষের বিশ্বাস ছিল, কা’বার তাওয়াফ অবশ্যই পবিত্র পোশাকে আঞ্জাম দিতে হবে, আর পোশাক তখনই পবিত্র হবে যখন তা কুরাইশের কাছ থেকে নেয়া হবে। এ কারণে যদি কুরাইশ কাউকে পোশাক না দিত তাহলে তাকে নগ্ন অবস্থায় তাওয়াফ করতে হত।  
১০ম হিজরীর [[যিলক্বদ]] মাসে মহানবি (সা.) জীবনের শেষ [[হজ্জ]] পালনের উদ্দেশ্যে মক্কা অভিমুখে রওনা হলেন। এ সফরে তিনি মুসলমানদেরকে হজ্জের বিধি-বিধান চাক্ষুষভাবে শিখিয়ে দিলেন। ইসলাম গ্রহণের পূর্বে [[কুরাইশ]]রা কিছু কিছু বিষয়ে নিজেদেরকে অন্যান্য হাজীদের তুলনায় শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসিয়েছিল। কা’বার চাবির বাহক, পর্দার সংরক্ষক, হাজীদেরকে পানি পান করানো ও তাদেরকে আপ্যায়ন করা ছাড়াও যিয়ারত সংশ্লিষ্ট কিছু কিছু বিষয়ে অন্য গোত্র থেকে তারা নিজেদেরকে আলাদা করে রাখত। আল্লাহর গৃহ যিয়ারতের ক্ষেত্রে কুরাইশরা যে সকল বিষয়ে নিজেদেরকে আলাদা করে রাখত এবং অন্যদেরকে তা থেকে বঞ্চিত করত, মহানবি (সা.) ভিত্তিহীন ঐসব প্রথার ইতি টানলেন। ঐ প্রথাগুলোর মধ্যে ছিল, [[জাহিলিয়্যা]]তের যুগে মানুষের বিশ্বাস ছিল, কা’বার তাওয়াফ অবশ্যই পবিত্র পোশাকে আঞ্জাম দিতে হবে, আর পোশাক তখনই পবিত্র হবে যখন তা কুরাইশের কাছ থেকে নেয়া হবে। এ কারণে যদি কুরাইশরা কাউকে পোশাক না দিত তাহলে তাকে নগ্ন অবস্থায় তাওয়াফ করতে হত।  


অপর বিষয়টি হল আরাফায় যাওয়া ও না যাওয়া নিয়ে। [[আরাফায়]] অবস্থান করার বিষয়টি জরুরী হলেও হারাম এলাকার বাইরে হওয়ায় মক্কার কুরাইশরা আরাফা পর্যন্ত যেত না, তারা [[মুযদালিফা]] থেকেই ফিরে আসত। কিন্তু নিম্নোক্ত আয়াতের মাধ্যমে মহান আল্লাহ্ তাদের এ কুপ্রথাকে বাতিল ঘোষণা করেন;  
অপর বিষয়টি হল আরাফায় যাওয়া ও না যাওয়া নিয়ে। [[আরাফায়]] অবস্থান করার বিষয়টি জরুরী হলেও হারাম এলাকার বাইরে হওয়ায় মক্কার কুরাইশরা আরাফা পর্যন্ত যেত না, তারা [[মুযদালিফা]] থেকেই ফিরে আসত। কিন্তু নিম্নোক্ত আয়াতের মাধ্যমে মহান আল্লাহ্ তাদের এ কুপ্রথাকে বাতিল ঘোষণা করেন;  
ثُمَّ أَفِیضُوا مِنْ حَیثُ أَفَاضَ النَّاسُ
<center>ثُمَّ أَفِیضُوا مِنْ حَیثُ أَفَاضَ النَّاسُ</center>
অতঃপর (কুরাইশের মত আরাফায় না গিয়েই কেবল মুযদালিফা থেকে না ফিরে অন্য) লোকেরা যেখান থেকে ফিরে, সেখান থেকেই (আরাফাত থেকে মুযদালিফায়) ফিরে চল।<ref>বাকারাহ : ১৯৯</ref>  
অতঃপর (কুরাইশের মত আরাফায় না গিয়েই কেবল মুযদালিফা থেকে না ফিরে অন্য) লোকেরা যেখান থেকে ফিরে, সেখান থেকেই (আরাফাত থেকে মুযদালিফায়) ফিরে চল।<ref>বাকারাহ : ১৯৯</ref>  
হাজীরা দেখল যে, মুহাম্মাদ (সা.) নিজে কুরাইশ হয়েও আরাফাত থেকে মুযদালিফার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। এ সফরেই তিনি বললেন; হে লোকসকল! আমি জানি না আগামি বছর তোমাদের মাঝে থাকব কি না। জাহিলিয়্যাতের যুগে যে রক্ত ঝরেছে সেগুলো থেকে চোখ ফিরিয়ে নিচ্ছি। (কিন্তু এরপর থেকে) তোমাদের রক্ত ও সম্পদ পরস্পরের জন্য হারাম।
হাজীরা দেখল যে, মুহাম্মাদ (সা.) নিজে কুরাইশ হয়েও আরাফাত থেকে মুযদালিফার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। এ সফরেই তিনি বললেন; হে লোকসকল! আমি জানি না আগামি বছর তোমাদের মাঝে থাকব কি না। জাহিলিয়্যাতের যুগে যে রক্ত ঝরেছে সেগুলো থেকে চোখ ফিরিয়ে নিচ্ছি। (কিন্তু এরপর থেকে) তোমাদের রক্ত ও সম্পদ পরস্পরের জন্য হারাম।
Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭২১টি

সম্পাদনা