Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭২১টি
সম্পাদনা
১২৬ নং লাইন: | ১২৬ নং লাইন: | ||
মদিনার প্রতিনিধিরা এ মর্মে তাঁর (সা.) সাথে বাইয়াত করলেন যে, তাঁর শত্রুদের সাথে শত্রুতা এবং তাঁর বন্ধুদের সাথে বন্ধুত্ব পোষণ করবেন। আর যেই তাঁর সাথে যুদ্ধের ঘোষণা করবে তার সাথে যুদ্ধ করবেন। এ কারণে এ বাইয়াতকে ‘[[বাইয়াতুল হারব]]’ও বলা হয়। এই বাইয়াত অনুষ্ঠিত হওয়ার পর মহানবি (সা.) মুসলমানদেরকে ইয়াসরিবে হিজরতের অনুমতি দিলেন।<ref>শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৫৬-৫৯।</ref> | মদিনার প্রতিনিধিরা এ মর্মে তাঁর (সা.) সাথে বাইয়াত করলেন যে, তাঁর শত্রুদের সাথে শত্রুতা এবং তাঁর বন্ধুদের সাথে বন্ধুত্ব পোষণ করবেন। আর যেই তাঁর সাথে যুদ্ধের ঘোষণা করবে তার সাথে যুদ্ধ করবেন। এ কারণে এ বাইয়াতকে ‘[[বাইয়াতুল হারব]]’ও বলা হয়। এই বাইয়াত অনুষ্ঠিত হওয়ার পর মহানবি (সা.) মুসলমানদেরকে ইয়াসরিবে হিজরতের অনুমতি দিলেন।<ref>শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৫৬-৫৯।</ref> | ||
====দারুন | ====দারুন নদওয়ার ষড়যন্ত্র==== | ||
যখন মহানবির (সা.) সাথে ইয়াসরিবের জনগণের বাইয়াত এবং মহানবিকে (সা.) প্রতিরক্ষা ও পৃষ্ঠপোষকতার বিষয়ে তাদের অঙ্গীকারের কথা | যখন মহানবির (সা.) সাথে ইয়াসরিবের জনগণের বাইয়াত এবং মহানবিকে (সা.) প্রতিরক্ষা ও পৃষ্ঠপোষকতার বিষয়ে তাদের অঙ্গীকারের কথা কুরাইশদের কানে গেল তখন তারা গোত্রীয় চুক্তি লঙ্ঘন করে মহানবিকে (সা.) হত্যার ষড়যন্ত্র শুরু করল। তাদের এ কুউদ্দেশ্য বাস্তবায়নের উপযুক্ত উপায় বের করার লক্ষ্যে [[দারুন নদওয়া]]’তে তারা সভায় বসল এবং অবশেষে এ ফলাফলে পৌঁছাল যে, সম্মিলিতভাবে মহানবিকে (সা.) হত্যা করা হবে। এ লক্ষ্যে প্রত্যেকটি গোত্র থেকে একজন করে যুবক এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেবে এবং সকলে মিলে তাঁকে হত্যা করবে। তাঁর হত্যাকারী বিভিন্ন গোত্র থেকে হওয়ায় বনি হাশিম তাঁর রক্তের বদলা নিতে পারবে না। কারণ সব গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে তারা সক্ষম নয় এবং বাধ্য হয়ে তারা রক্তমূল্য নিয়েই সন্তুষ্ট থাকবে। ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের রাতে মহান আল্লাহর নির্দেশে মহানবি (সা.) মক্কা ত্যাগ করলেন এবং শত্রুরা যাতে তাঁর অনুপস্থিতি টের না পায় সেজন্য নিজের বিছানায় [[হযরত আলীর (আ.) ফজিলত|হযরত আলীকে (আ.)]] ঘুমানোর নির্দেশ দিলেন। আলীও (আ.) ৪০ তলোয়ারের আঘাত উপেক্ষা করে মহানবির (সা.) জীবন বাঁচাতে তাঁর বিছানায় নির্বিঘ্নে শুয়ে পড়লেন ([[লাইলাতুল মাবিত]])। মহানবি (সা.) আবু বকর বিন আবু কুহাফার সাথে ইয়াসরিবের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন, এ সময় তারা [[সাওর পাহাড়|সাওর পাহাড়ের]] গুহাতে ৩ দিনের জন্য আত্মগোপন করেছিলেন, যাতে তাঁর সন্ধানে বের হওয়া লোকেরা নিরাশ হয়ে ফিরে যায়। এরপর মহানবি (সা.) অপরিচিত পথ ধরে ইয়াসরিব পৌঁছান।<ref>শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৫৯।</ref> | ||
==হিজরতের সূচনা== | ==হিজরতের সূচনা== |