বিষয়বস্তুতে চলুন

হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

৭৭ নং লাইন: ৭৭ নং লাইন:
হিজরী ৪র্থ শতাব্দির বিশিষ্ট শিয়া [[আলেম আবুল কাসেম কুফি]] ও হিজরী পঞ্চদশ শতাব্দির বিশিষ্ট শিয়া গবেষক সাইয়্যেদ জাফার মুর্তাজা আমেলির মতে যায়নাব, রুকাইয়া ও উম্মে কুলসুম মহানবি (সা.) ও হযরত খাদিজা দম্পত্তির সন্তান নন, বরং তারা ছিলেন পালিত সন্তান।<ref>আমেলি, আস্ সাহিহ মিন সিরিতিন নাবিয়্যিল আ’যাম, ১৩৮৫ সৌরবর্ষ, খণ্ড ২, পৃ. ২১৮; আমেলি, বানাতুন নাবি আম রাবায়েবুহু?, ১৪১৩ হি., পৃ. ৭৭-৭৯; কুফি, আল-ইস্তিগাসাহ, খণ্ড ১, পৃ. ৬৮।</ref>
হিজরী ৪র্থ শতাব্দির বিশিষ্ট শিয়া [[আলেম আবুল কাসেম কুফি]] ও হিজরী পঞ্চদশ শতাব্দির বিশিষ্ট শিয়া গবেষক সাইয়্যেদ জাফার মুর্তাজা আমেলির মতে যায়নাব, রুকাইয়া ও উম্মে কুলসুম মহানবি (সা.) ও হযরত খাদিজা দম্পত্তির সন্তান নন, বরং তারা ছিলেন পালিত সন্তান।<ref>আমেলি, আস্ সাহিহ মিন সিরিতিন নাবিয়্যিল আ’যাম, ১৩৮৫ সৌরবর্ষ, খণ্ড ২, পৃ. ২১৮; আমেলি, বানাতুন নাবি আম রাবায়েবুহু?, ১৪১৩ হি., পৃ. ৭৭-৭৯; কুফি, আল-ইস্তিগাসাহ, খণ্ড ১, পৃ. ৬৮।</ref>


==হাজারুল আসওয়াদ স্থাপনের ঘটনা==
===হাজারুল আসওয়াদ স্থাপনের ঘটনা===
[[জাহিলিয়্যাতের যুগ|জাহিলিয়্যাতের যুগে]] একবার কা’বার অভ্যন্তরে পানি প্রবেশের কারণে এর দেওয়ালেও ফাঁটলের সৃষ্টি হয়। কুরাইশ [[কা’বা|কা’বার]] দেয়াল সংস্কার করার পর ‘[[হাজারুল আসওয়াদ]]’ স্থাপনের বিষয়ে গোত্রপতিদের মাঝে বিপত্তি বাধে; কে এই পবিত্র ও সম্মানিত পাথর স্বস্থানে স্থাপন করবে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হল। সকল গোত্রের প্রধানই চাচ্ছিল এ সৌভাগ্য যেন তার নসীবে জোটে। গোত্রপতিরা রক্তপূর্ণ পাত্র এনে তাতে হাত ডুবিয়ে নিল; এ ছিল এক প্রকার কসম ও অঙ্গীকার এর ফলে বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত যুদ্ধ করতে হত। অবশেষে তারা এ সমাধানে পৌঁছাল এবং সবাই তা মেনেও নিল যে, প্রথম যে ব্যক্তি ‘বনি শাইবা’ দরজা দিয়ে [[মসজিদ|মসজিদে]] প্রবেশ করবে সে যে সমাধান দেবে তা সবাইকে মানতে হবে। মহানবি (সা.) মসজিদে প্রবেশ করলেন। তারা মহানবির (সা.) সিদ্ধান্ত মেনে নিল। মহানবি (সা.)-এর নির্দেশে একটি কাপড়ের মাঝখানে হাজারুল আসওয়াদ রাখা হল এবং সকল গোত্র প্রধানরা ঐ কাপড়ের একেকটি পাশ ধরে কাপড়টি উঁচু করল, আর মহানবি (সা.) নিজের হাত মোবারক দিয়ে হাজারুল আসওয়াদকে স্বস্থানে স্থাপন করলেন।<ref>শাহিদী, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৪০।</ref>
[[জাহিলিয়্যাতের যুগ|জাহিলিয়্যাতের যুগে]] একবার কা’বার অভ্যন্তরে পানি প্রবেশের কারণে এর দেওয়ালেও ফাঁটলের সৃষ্টি হয়। কুরাইশরা [[কা’বা|কা’বার]] দেয়াল সংস্কার করার পর ‘[[হাজারুল আসওয়াদ]]’ স্থাপনের বিষয়ে গোত্রপতিদের মাঝে বিপত্তি বাধে; কে এই পবিত্র ও সম্মানিত পাথর স্বস্থানে স্থাপন করবে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হল। সকল গোত্রের প্রধানই চাচ্ছিল এ সৌভাগ্য যেন তার নসীবে জোটে। গোত্রপতিরা রক্তপূর্ণ পাত্র এনে তাতে হাত ডুবিয়ে নিল; এ ছিল এক প্রকার কসম ও অঙ্গীকার, এর ফলে বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত যুদ্ধ করতে হত। অবশেষে তারা এ সমাধানে পৌঁছাল এবং সবাই মেনে নিল যে, প্রথম যে ব্যক্তি ‘বনি শাইবা’ দরজা দিয়ে [[মসজিদ|মসজিদে]] প্রবেশ করবে এবং সে যে সমাধান দেবে তা সবাইকে মানতে হবে। মহানবি (সা.) মসজিদে প্রবেশ করলেন। তারা মহানবির (সা.) সিদ্ধান্ত মেনে নিল। মহানবি (সা.)-এর নির্দেশে একটি কাপড়ের মাঝখানে হাজারুল আসওয়াদ রাখা হল এবং সকল গোত্র প্রধানরা ঐ কাপড়ের একেকটি পাশ ধরে কাপড়টি উঁচু করল, আর মহানবি (সা.) নিজের হাত মোবারক দিয়ে হাজারুল আসওয়াদকে স্বস্থানে স্থাপন করলেন।<ref>শাহিদী, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৪০।</ref>


=নবুয়্যত ঘোষণা (বে’সাত)=
=নবুয়্যত ঘোষণা (বে’সাত)=
Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭৬২টি

সম্পাদনা