Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭৬৭টি
সম্পাদনা
২৮০ নং লাইন: | ২৮০ নং লাইন: | ||
এ আয়াতর প্রতি দৃষ্টি রেখে মহানবির (সা.) আচার-ব্যবহার সম্পর্কে পরিচিতি অর্জনের বিষয়ে মুসলমানরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে।<ref>হাসান, তারিখে তাদভীনে সিরায়ে নাবাভি (সা.), পৃ. ৪৯।</ref> উদাহরণ স্বরূপ কিছু নমুনা এখানে উল্লেখ করা হল: | এ আয়াতর প্রতি দৃষ্টি রেখে মহানবির (সা.) আচার-ব্যবহার সম্পর্কে পরিচিতি অর্জনের বিষয়ে মুসলমানরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে।<ref>হাসান, তারিখে তাদভীনে সিরায়ে নাবাভি (সা.), পৃ. ৪৯।</ref> উদাহরণ স্বরূপ কিছু নমুনা এখানে উল্লেখ করা হল: | ||
==তাঁর (সা.) সুখ্যাতি== | ===তাঁর (সা.) সুখ্যাতি=== | ||
বে’সাতের পূর্বে ৪০ বছর তিনি সাধারণ মানুষের মাঝে জীবন যাপন করেছেন, আর এ সময় তার কাজ-কর্ম ও আচার-আচরণে কোন ধরনের দ্বিমুখিতা, অপছন্দনীয় কোন বৈশিষ্ট এবং তাঁর মাঝে অপ্রীতিকর কোন অবস্থা পরিলক্ষিত হয় নি। মানুষের দৃষ্টিতে তিনি ছিলেন একজন সত্যবাদি ও আমানতদার। পরবর্তীতে মহানবি (সা.) যখন নিজের রেসালাতের প্রচার শুরু করেন তখন মক্কার মুশরিকরা ব্যক্তি মুহাম্মাদকে (সা.) কখনও মিথ্যা প্রতিপন্ন করত না বরং তাঁর আনীত আয়াতকে অস্বীকার করত। আর এ বিষয়টি পবিত্র কুরআনেও এসেছে: ‘তারা তোমাকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করে না বরং (এই) অত্যাচারীরা ঐশী আয়াতগুলোকে অস্বীকার করে।’<ref>আনআম : ৩৩</ref> আবু জাহল থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, সে বলত: আমরা তোমাকে মিথ্যাবাদী মনে করি না বরং তোমার আয়াতগুলোকে আমরা মানি না।<ref>তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, খণ্ড ২, পৃ. ২৯৪।</ref> নিজের দাওয়াত কুরাইশের সামনে উপস্থাপনের আগে মহানবি (সা.) কুরাইশের উদ্দেশ্যে বললেন: ‘যদি তোমাদেরকে বলি, এ পাহাড়ের পেছনে একদল সৈন্য তোমাদের উপর আক্রমনের অপেক্ষায় রয়েছে, তোমরা কি আমার কথা বিশ্বাস করবে? সকলে বললো: হ্যাঁ, আমরা কখনই তোমার থেকে মিথ্যা শুনিনি। তখন মহানবি (সা.) বললেন যে, তিনি (সা.) মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে জনগণকে ভীতি প্রদর্শন ও সতর্ক করার লক্ষ্যে প্রেরিত হয়েছেন।<ref>ইবনে হিশাম, সিরাতুন নাবাভিয়্যাহ, দারু ইহইয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ১, পৃ...।</ref> | বে’সাতের পূর্বে ৪০ বছর তিনি সাধারণ মানুষের মাঝে জীবন যাপন করেছেন, আর এ সময় তার কাজ-কর্ম ও আচার-আচরণে কোন ধরনের দ্বিমুখিতা, অপছন্দনীয় কোন বৈশিষ্ট এবং তাঁর মাঝে অপ্রীতিকর কোন অবস্থা পরিলক্ষিত হয় নি। মানুষের দৃষ্টিতে তিনি ছিলেন একজন সত্যবাদি ও আমানতদার। পরবর্তীতে মহানবি (সা.) যখন নিজের রেসালাতের প্রচার শুরু করেন তখন মক্কার মুশরিকরা ব্যক্তি মুহাম্মাদকে (সা.) কখনও মিথ্যা প্রতিপন্ন করত না বরং তাঁর আনীত আয়াতকে অস্বীকার করত। আর এ বিষয়টি পবিত্র কুরআনেও এসেছে: ‘তারা তোমাকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করে না বরং (এই) অত্যাচারীরা ঐশী আয়াতগুলোকে অস্বীকার করে।’<ref>আনআম : ৩৩</ref> [[আবু জাহল]] থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, সে বলত: আমরা তোমাকে মিথ্যাবাদী মনে করি না বরং তোমার আয়াতগুলোকে আমরা মানি না।<ref>তাবারসি, মাজমাউল বায়ান, খণ্ড ২, পৃ. ২৯৪।</ref> নিজের দাওয়াত কুরাইশের সামনে উপস্থাপনের আগে মহানবি (সা.) কুরাইশের উদ্দেশ্যে বললেন: ‘যদি তোমাদেরকে বলি, এ পাহাড়ের পেছনে একদল সৈন্য তোমাদের উপর আক্রমনের অপেক্ষায় রয়েছে, তোমরা কি আমার কথা বিশ্বাস করবে? সকলে বললো: হ্যাঁ, আমরা কখনই তোমার থেকে মিথ্যা শুনিনি। তখন মহানবি (সা.) বললেন যে, তিনি (সা.) মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে জনগণকে ভীতি প্রদর্শন ও সতর্ক করার লক্ষ্যে প্রেরিত হয়েছেন।<ref>ইবনে হিশাম, সিরাতুন নাবাভিয়্যাহ, দারু ইহইয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, খণ্ড ১, পৃ...।</ref> | ||
এছাড়া তার অবস্থান ও সফলতার নেপথ্যে তার বংশ ও গোত্রের ভূমিকার বিষয়টিও অনস্বীকার্য। আরবদের মাঝে কুরাইশ গোত্র ছিল বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। আর এ মর্যাদার কারণে অনেক গোত্রে নিজেদের উপর তাদেরকে প্রাধান্য দিত এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদেরকে অনুসরণ করত। অপরদিকে মহানবির (সা.) পূর্বপুরুষগণ (কুছাই বিন কালাব, হাশিম ও আব্দুল মুত্তালিব) আরবদের মাঝে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও সম্মানের পাত্র ছিলেন। | এছাড়া তার অবস্থান ও সফলতার নেপথ্যে তার বংশ ও গোত্রের ভূমিকার বিষয়টিও অনস্বীকার্য। আরবদের মাঝে কুরাইশ গোত্র ছিল বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। আর এ মর্যাদার কারণে অনেক গোত্রে নিজেদের উপর তাদেরকে প্রাধান্য দিত এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদেরকে অনুসরণ করত। অপরদিকে মহানবির (সা.) পূর্বপুরুষগণ ([[কুছাই বিন কালাব]], [[হাশিম]] ও [[আব্দুল মুত্তালিব]]) আরবদের মাঝে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও সম্মানের পাত্র ছিলেন। | ||
তৎকালীন জাজিরাতুল আরব অঞ্চলটি ছিল বদ্ধ এবং অন্যান্য অঞ্চলের সাথে তাদের কোন সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ছিল না। আর এ অবস্থার কারণে তাদের মাঝে ‘আরব’ কেন্দ্রীক মনোভাবের উপস্থিতি ছিল প্রবল। আর তাই নিজেদের গণ্ডির বাইরের কারও কথা যেহেতু সে অগান্তুক তাই গ্রহণ করত না। সম্ভবত নিম্নোক্ত আয়াতটি | তৎকালীন জাজিরাতুল আরব অঞ্চলটি ছিল বদ্ধ এবং অন্যান্য অঞ্চলের সাথে তাদের কোন সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ছিল না। আর এ অবস্থার কারণে তাদের মাঝে ‘আরব’ কেন্দ্রীক মনোভাবের উপস্থিতি ছিল প্রবল। আর তাই নিজেদের গণ্ডির বাইরের কারও কথা যেহেতু সে অগান্তুক তাই গ্রহণ করত না। সম্ভবত নিম্নোক্ত আয়াতটি |