হাদিস লিপিবদ্ধকরণে নিষেধাজ্ঞা
হাদিস লিপিবদ্ধকরণে নিষেধাজ্ঞা (আরবি: منع تدوين الحديث বা منع الحدیث); মহানবী (সাঃ) এর ওফাতের পর থেকে হিজরী প্রথম শতাব্দীর শেষ দশক পর্যন্ত হাদিস লিপিবদ্ধকরণের উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। অর্থাৎ, এই নিষেধাজ্ঞা প্রথম ও দ্বিতীয় খলিফার খিলাফতকালে শুরু হয় এবং উমর বিন আবদুল আজিজের খিলাফত পর্যন্ত, প্রায় ১০০ বছর অব্যাহত ছিল। সুন্নি আলেমগণ মনে করেন যে, প্রথম ও দ্বিতীয় খলিফার এই নীতির কারণ হল, কুরআনের সাথে হাদিসের সংমিশ্রণ রোধ করা, মুসলমানদের মতভেদ দূর করা, কুরআন ব্যতীত অন্য কিছুতে মানুষের আকর্ষিত হওয়ার আশঙ্কা এবং লেখার সাথে হাদিস বর্ণনাকারীদের পরিচিতির অভাব।
শিয়া আলেমগণ বিশ্বাস করেন যে হাদিস লিপিবদ্ধকরণ নিষিদ্ধ করার উদ্দেশ্য হল ইমাম আলী (আ.)-এর গুণাবলী প্রকাশে বাধা দেওয়া এবং খলিফাদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার চেষ্টা। শিয়া সম্প্রদায়ের মতে, হাদিস লিপিবদ্ধকরণে নিষেধাজ্ঞার কারণে জাল হাদিসের সূত্রপাত, সরাসরি মহানবী (সা.) এর পবিত্র মুখুনিঃসৃত প্রথম শ্রেণীর অকাট্য হাদিসের বিলুপ্তি, বিভিন্ন মাযহাবের আবির্ভাব এবং মহানবী (সা.) এর সুন্নাতের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে।
পটভূমি
হাদিসের নিষেধাজ্ঞা বলতে মহানবীর (সাঃ) হাদিস লেখা ও বর্ণনা করার নিষেধাজ্ঞাকে বোঝায়। এই ঘটনা শাইখাইন বা প্রথম ও দ্বিতীয় খলিফার খেলাফতকালে ঘটে।[১] কিন্তু এর আগে, মুসলমানদের মধ্যে হাদিস লিপিবদ্ধকরণ প্রচলিত ছিল এবং নবী (সা.) তাঁর সাহাবীদেরকে হাদিস লিখতে ও বর্ণনা করতে উৎসাহিত করতেন।[২]
আবু বকর তার খেলাফতকালে হাদিস লেখা নিষিদ্ধ করেন এবং অনেক হাদিস ধ্বংস করেন।[৩] এছাড়াও, ঐতিহাসিক সূত্র অনুসারে, দ্বিতীয় খলিফা তার গভর্নরদেরকে নবী (সা.) এর হাদিস বর্ণনা করার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিলেন এবং তাদেরকে কুরআনের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন।[৪] কিছু সুন্নি সূত্রে জানা যায়, উমর বিন খাত্তাব প্রথমে নবীর (সা.) হাদিস সংগ্রহ করে লেখার সিদ্ধান্ত নেন; কিন্তু কিছু সময় পরে, তিনি তা করতে অস্বীকার করেন এবং বলেছিলেন যে এর কারণ ছিল কুরআনের সাথে হাদিসের মিশ্রণের সম্ভাবনা।[৫]
হাদিস বর্ণনায় নিষেধাজ্ঞা
হাদিস লেখার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পরও কিছু সাহাবী লোকদের কাছে হাদিস বর্ণনা করেন। তাই দ্বিতীয় খলিফা বিনা অনুমতিতে সাহাবিদেরকে মদীনার বাইরে[৬] যেতে এবং হাদিস পাঠ করতে নিষেধ করেছিলেন।[৭] তিনি নবীর (সা.) হাদিস বর্ণনা করার অপরাধে আবু দারদা এবং ইবনে মাসউদ-এর মতো সাহাবীদেরকে কারারুদ্ধ করেছিলেন।[৮] কিছু গবেষকের মতে, হাদিস বর্ণনার নিষেধাজ্ঞার পরে হাদিস লেখার নিষেধাজ্ঞা সংঘটিত হয়েছিল।[৯]
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
অষ্টম উমাইয়া খলিফা উমর ইবনে আব্দুল আল-আজিজের (১০১-৬৩ হিজরি) সময় পর্যন্ত হাদিস লেখার এ নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত ছিল। উমর ইবনে আব্দুল আযিয মদিনার গভর্নর আবু বকর বিন হাজেমকে একটি চিঠি লিখে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন এবং তাকে নবীর (সা.) হাদিসগুলো লিপিবদ্ধ করে সংগ্রহ করতে বলেন; কারণ তিনি আশঙ্কা করেন যে এতে জ্ঞান ও তার বাহক বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।[১০]
পক্ষ ও বিপক্ষ
বলা হয়েছে যে জায়েদ বিন সাবিত, আবু মুসা, আবু সাঈদ খুদরী, আবু হুরাইরা এবং ইবনে আব্বাস সহ বেশ কিছু সাহাবী ও তাবেয়ী লিখনকে মাকরুহ কাজ বলে মনে করতেন। পক্ষান্তরে, ইমাম আলী (আ.), ইমাম হাসান (আ.), আবদুল্লাহ ইবনে উমর, আনাস ইবনে মালিক, আতা ইবনে ইয়াসার এবং সাঈদ ইবনে জুবায়ের এর মতো ব্যক্তিগণ এটাকে জায়েয মনে করেছেন।
উদ্দেশ্য এবং কারণ
হাদিস লিপিবদ্ধকরণে বাধা দেওয়ার কারণ সম্পর্কে সুন্নি ও শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। সুন্নি পণ্ডিতরা বলেন, হাদিস লিপিবদ্ধকরণ নিষিদ্ধ করার কারণ হল, কুরআনের সাথে হাদিস মিশ্রিত হওয়ার ভয়[১১], মুসলমানদের মধ্যে মতভেদ দূর করা[১২], হাদিস সংরক্ষণে যথেষ্ট মনোযোগ না দেওয়া এবং শুধুমাত্র লেখার উপর নির্ভর করা[১৩], কুরআন ছেড়ে অন্য কিছুতে মানুষের আকর্ষিত হওয়ার আশঙ্কা, দুর্বল হাদিস প্রচারে বাধা দেওয়া[১৪], কুরআনের পাশাপাশি অন্য একটি কিতাব দাঁড়ানোর উদ্বেগ[১৫] এবং হাদিস বর্ণনাকারীগণের লিখন পদ্ধতির সাথে পরিচিতির অভাব।
কিন্তু "হাদিস সংকলনের নিষেধাজ্ঞা" গ্রন্থে শাহরাস্তানীর মতে, অধিকাংশ শিয়া লেখক বিশ্বাস করেন যে, হাদিস লিপিবদ্ধকরণ নিষিদ্ধের অন্যতম কারণ ছিল ইমাম আলী (আ.)-এর ফজিলত প্রকাশে বাঁধা দেওয়া।[১৬] এর প্রমাণগুলির মধ্যে একটি হল যে, সহিহ সিত্তার অন্যতম লেখক নাসায়ী ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেছেন যে তারা ইমাম আলীর (আ.) প্রতি বিদ্বেষের কারণে মহানবীর (সা.) সুন্নাহ তথা হাদিস ত্যাগ করেছিলেন।[১৭] এছাড়াও, খলিফাদের শাসনকে ধর্মীয় লেবেল প্রদানের প্রচেষ্টা হাদিস নিষিদ্ধ করার অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে।[১৮]
বিদা’ত না সুন্নাত?
হাদিস নিষিদ্ধের পক্ষপাতীরা তাদের দাবি প্রমাণ করার জন্য নবী (সাঃ) এর একটি হাদিস বর্ণনা করেন, যেখানে তিনি (সাঃ) বলেছেন, “যে কেউ আমার থেকে কুরআন ছাড়া অন্য কিছু লিখেছে, সে যেন তা ধ্বংস করে দেয়।”[১৯] অন্যদিকে, হাদিস নিষিদ্ধের বিরোধীরা নবীর (সা.) থেকে এমন রেওয়ায়েত বর্ণনা করেছেন যেখানে নবীর (সা.) হাদিস লেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে; যেমন কিছু বর্ণনায় আবদুল্লাহ ইবনে উমরকে হাদিস লেখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এই বর্ণনার উপর ভিত্তি করে, কুরাইশরা আবদুল্লাহ ইবনে উমরকে নবী (সা.) এর বাণী লিখতে এবং সংরক্ষণ করার জন্য দোষারোপ করেছিল, কিন্তু নবী (সা.) তাকে হাদিস লেখার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন।[২০] হাদিসে এসেছে, নবী (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি আমার কাছ থেকে ইলম (জ্ঞান) বা হাদিস বর্ণনা করবে, যতক্ষণ তা লিখিত অবস্থায় থাকবে তাকে পুরস্কৃত করা হবে।”[২১]
কারো কারো মতে নবীজীর (সা.) জীবদ্দশায় কতিপয় সাহাবী সহিফা শিরোনামে হাদিস সংগ্রহ করেছিলেন; ইমাম আলী (আ.) এবং উবাই বিন রাফির সহিফা যা না শুধু নবীর (সা.) নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়নি, বরং আরোও কতিপয় সহিফা তাঁর অনুমতিক্রমে সংগ্রহ করা হয়েছিল।[২২]
ইগনাস গোল্ডজিহার এর অভিমত
ইগনাস গোল্ডজিহার, একজন ইহুদি ইসলামবিদ, হিজরি দ্বিতীয় শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে ইসলামিক হাদিস সংগ্রহে বিশ্বাস করেন। তিনি মনে করেন যে হাদিস লিপিবদ্ধকরণ ও নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত উভয় ধরনের বর্ণনা জাল এবং প্রকৃতপক্ষে প্রাক-ইসলামের মতের পার্থক্যকে প্রতিফলিত করে।[২৩]
বার্তা
শিয়া আলেমদের মতে, হাদিস লেখায় বাধা ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। যেমন: প্রথম হাদিস গ্রন্থের ধ্বংস, হাদিস জালিয়াতি, নবীর সুন্নাহ পরিবর্তন। হাদিস লিপিবদ্ধকরণে নিষেধাজ্ঞার কারণে জাল হাদিসের সূত্রপাত, সরাসরি মহানবী (সাঃ) এর পবিত্র যবানিতে শ্রুত প্রথম শ্রেণীর অকাট্য হাদিসের বিলুপ্তি, বিভিন্ন মাযহাবের আবির্ভাব এবং মহানবী (সাঃ) এর সুন্নাতের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে।
অকাট্য শ্রেণীর হাদিসের বিলুপ্তি: নবী (সাঃ) এর ঘনিষ্ঠ সাথীদের দ্বারা লিখিত হাদিসগুলি এই সময়ের মধ্যে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।[২৪] আয়েশার বর্ণনা অনুসারে, আবু বকর রাসূল (সাঃ) এর ৫০০টি হাদিস পুড়িয়ে দিয়েছিলেন।[২৫] কিছু হাদিস যা সাহাবায়ে কেরামের স্মৃতিতে ছিল, তা লেখার নিষেধের কারণে লেখা হয়নি এবং হাফিযের (হাদিসের হাফিয) মৃত্যুর সাথে সাথে তা নাগালের বাইরে চলে যায়।[২৬]
জাল হাদিসের সূত্রপাত: হাদিসের নিষেধাজ্ঞার নীতির বাস্তবায়ন এবং মহানবীর (সা.) বর্ণনাগুলি অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে জাল হাদিস বর্ণনা করা এবং সেগুলোকে রাসূল (সাঃ) এর প্রতি সম্পৃক্ত করা সাধারণ ব্যাপার হয়ে উঠেছিল।[২৭] উদাহরণস্বরূপ, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের জন্য তোষামোদির লক্ষ্যে জাল হাদিস তৈরি করে সেগুলোকে মহানবির (সা.) সাথে সম্পৃক্ত করা হতো, এমনকি মহানবির (সা.) হাদিসকে ঐসব ব্যক্তিদের জন্য জাল করা হত যাদের জন্ম নবীর (সা.) ওফাতের পরে হয়েছে।[২৮] জাল হাদিসের সংখ্যা এমন যে, সহীহ বুখারীতে পুনরাবৃত্তি ছাড়া ২,৭৬১ হাদিস রয়েছে যা তিনি প্রায় ৬০০,০০০ হাদিস থেকে বেছে নিয়েছিলেন[২৯] এবং সহীহ মুসলিমে পুনরাবৃত্তি ছাড়া ৪,০০০ হাদিস রয়েছে যা ৩০০,০০০ এর মধ্য থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।[৩০]
সুন্নাতের ব্যাপক পরিবর্তন: কেউ কেউ বলেছেন, হাদিস সংকলনের ওপর নিষেধাজ্ঞার ফলে সমাজে রাসূল (সা.)-এর সুন্নতের পরিবর্তন ঘটেছে।[৩১] এ বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য কিছু ঐতিহাসিক উদ্ধৃতি উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন: শাফেয়ী মাযহাবের প্রধান ইমাম শাফী ওয়াহব বিন কিসান থেকে বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহর রাসূলের সমস্ত সুন্নত এমনকি নামাযও পরিবর্তিত হয়েছিল।[৩২]
বিভিন্ন মাযহাবের আবির্ভাব: সুন্নতের বিলুপ্তি এবং জাল বর্ণনার সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে বিভিন্ন মাযহাব এবং কালামশাস্ত্রীয় ও ফিকাহগত মতবাদের উদ্ভব ঘটে।[৩৩]
গ্রন্থ পরিচিতি
সাইয়্যেদ আলী শাহরাস্তানী রচিত "হাদিস সংকলনের নিষেধাজ্ঞা, কারণ ও ফলাফল" গ্রন্থটি রাসূলের হাদিস রচনায় বাধা দেওয়ার কারণ ও পরিণতি সম্পর্কে। বইটির অনুবাদকের মতে, লেখক এই বইয়ে প্রমাণ করেছেন যে, “ইজতিহাদ ও রায়ের (ব্যক্তিগত মতবাদ) মাযহাব”ছিল হাদিসের নিষেধাজ্ঞার ফল।[৩৪] আরবি ভাষায় লেখা এই বইটি ১৪১৮ হিজরিতে বৈরুতে আল-আলামি ইনস্টিটিউট অফ প্রেস দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল। আহলে বাইতের ওয়ার্ল্ড অ্যাসেম্বলি প্রতিষ্ঠানটি ইংরেজি ও ফার্সি ভাষায় এর অনুবাদলিপি প্রকাশ করেছে।[৩৫]
তথ্যসূত্র
- ↑ মুত্তাকি হিন্দি, কানযুল উম্মাল, ১৪০১ হি., খ:১০, পৃ:২৮৫ ও তাবারী, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, ১৩৮৭ হি., খ:৪, পৃ:২০৪।
- ↑ আবু দাউদ, সুনানে আবু দাউদ, আল-মাকতাবাতুল আসরিয়্যাহ, খ:৩, পৃ:৩১৮।
- ↑ মুত্তাকি হিন্দি, কানযুল উম্মাল, ১৪০১ হি., খ:১০, পৃ:২৮৫।
- ↑ তাবারী, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক, ১৩৮৭ হি., খ:৪, পৃ:২০৪।
- ↑ মুত্তাকি হিন্দি, কানযুল উম্মাল, ১৪০১ হি., খ:১০, পৃ:২৯১-২৯২, হাদিস নং-২৯৪৭৪।
- ↑ আমেলী, আস্-সাহিহু মিন্ সিরাতিন্ নাবিয়্যিল আ’যাম, ১৩৮৫ (সৌরবর্ষ), খ:১, পৃ:৭৭।
- ↑ যাহাবী, তাযকিরাতুল হুফ্ফায, ১৪১৯ হি., খ:১, পৃ:১১-১২।
- ↑ যাহাবী, তাযকিরাতুল হুফ্ফায, ১৪১৯ হি., খ:১, পৃ:১২।
- ↑ শাহরেস্তানী, মানউ তাদভিনুল হাদিস, ১৪১৮ হি., পৃ:৩১-৩২।
- ↑ বুখারি, সহিহ বুখারি, ১৪০১ হি., খ:১, পৃ:৩৩।
- ↑ মুত্তাকি হিন্দি, কানযুল উম্মাল, ১৪০১ হি., খ:১০, পৃ:২৯১-২৯২, হাদিস নং-২৯৪৭৪।
- ↑ যাহাবী, তাযকিরাতুল হুফ্ফায, ১৪১৯ হি., খ:১, পৃ:৯।
- ↑ আবু যুহরেহ, আল-হাদিস ওয়াল মুহাদ্দিসুন, ১৩৭৮ হি., পৃ:১৩।
- ↑ মুত্তাকি হিন্দি, কানযুল উম্মাল, ১৪০১ হি., খ:১০, পৃ:২৮৫।
- ↑ যাহাবী, তাযকিরাতুল হুফ্ফায, ১৪১৯ হি., খ:১, পৃ:৯।
- ↑ শাহরেস্তানী, মানউ তাদভিনুল হাদিস, ১৪১৮ হি., পৃ:৫৭।
- ↑ নাসায়ী, সুনানে নাসায়ী, ১৪০৬ হি., খ:৫, পৃ:২৫৩।
- ↑ শাহরেস্তানী, মানউ তাদভিনুল হাদিস, ১৪১৮ হি., পৃ:৫৪ ও ৮৫-১২৬।
- ↑ মুসলিম, সহিহ মুসলিম, দারু ইহয়াইল আরাবি, খ:৪, পৃ:২২৯৮, হাদিস নং-৩০০৪।
- ↑ আবু দাউদ, সুনানে আবু দাউদ, আল-মাকতাবাতুল আসরিয়্যাহ, খ:৩, পৃ:৩১৮।
- ↑ সুয়ুতী, তারিখুর খুলাফা, ১৪২৫ হি., খ:১; পৃ:৭৭।
- ↑ ইবনে হাব্বান, সহিহ ইবনে হাব্বান, ১৪১৪ হি., খ:১, পৃ:২৬৫।
- ↑ আযামী, দিরাসাতু ফি হাদিসিন নাবাভী ওয়া তারিখিত্ তাদভিনিয়্যাহ, ১৪০৫ হি., খ:১, পৃ:৮২।
- ↑ সুবহানী, ফারহাঙ্গে আকায়েদ ও মাযাহেবে ইসলামি, ১৩৭৮ (সৌরবর্ষ), খ:১, পৃ:৯১।
- ↑ মুত্তাকি হিন্দি, কানযুল উম্মাল, ১৪০১ হি., খ:১০, পৃ:২৮৫।
- ↑ সুবহানী, ফারহাঙ্গে আকায়েদ ও মাযাহেবে ইসলামি, ১৩৭৮ (সৌরবর্ষ), খ:১, পৃ:৯২।
- ↑ হোসাইনী, পায়ামাদহায়ে মানয়ে নাক্বলে হাদিস, পৃ:৬২।
- ↑ সুবহানী, ফারহাঙ্গে আকায়েদ ও মাযাহেবে ইসলামি, ১৩৭৮ (সৌরবর্ষ), খ:১, পৃ:৯৫।
- ↑ খতিব বাগদাদী, তারিখে বাগদাদী, ১৪১৭ হি., খ:২, পৃ:১৪।
- ↑ খতিব বাগদাদী, তারিখে বাগদাদী, ১৪১৭ হি., খ:১৩, পৃ:১০২।
- ↑ হোসাইনী, পায়ামাদহায়ে মানয়ে নাক্বলে হাদিস, পৃ:৬৭।
- ↑ শাফেয়ী, আল-উম্, ১৪১০ হি., খ:১, পৃ:২৬৯।
- ↑ হোসাইনী, পায়ামাদহায়ে মানয়ে নাক্বলে হাদিস, পৃ:৬৮।
- ↑ শাহরেস্তানী, মানউ তাদভিনুল হাদিস, ১৩৯০ (সৌরবর্ষ)।
- ↑ শাহরেস্তানী, মানউ তাদভিনুল হাদিস, ১৩৯০ (সৌরবর্ষ)।
গ্রন্থপঞ্জি
- ইবনে হাব্বান, মুহাম্মাদ বিন হাব্বান, সহিহ ইবনে হাব্বান; শুয়াইব, বৈরুত, মুয়াসসাসাতুর রিসালাহ, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪১৪ হি.।
- আবু যুহরেহ, মুহাম্মাদ, আল-হাদিস ওয়াল মুহাদ্দিসুন, কায়রো, দারুল ফিকরিল আরাবি, ১৩৭৮ হি.।
- আযামী, মুহাম্মাদ মুস্তাফা, দিরাসাতু ফি হাদিসিন নাবাভী ওয়া তারিখিত্ তাদভিনিয়্যাহ, বৈরুত, মাকতাবুল ইসলামিয়্যাহ, ১৪০৫ হি.।
- বুখারি, মুহাম্মাদ বিন ইসমাইল, সহিহ বুখারি, বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪০১ হি.।
- খতিব বাগদাদী, আহমাদ বিন আলী, তারিখে বাগদাদী, বৈরুত, দারুল কুতুবিল আলামিয়্যাহ, ১৪১৭ হি.।
- যাহাবী, মুহাম্মাদ বিন আহমাদ, তাযকিরাতুল হুফ্ফায, বৈরুত, দারুল কুতুবিল আলামিয়্যাহ, ১৪১৯ হি.।
- সুবহানী, জাফর, ফারহাঙ্গে আকায়েদ ও মাযাহেবে ইসলামি, কোম, তাওহিদ, ১৩৭৮ (সৌরবর্ষ)।
- সুয়ুতী, আব্দুর রহমান বিন আবি বাকর, তারিখুর খুলাফা; হামদী, মাকতাবাতু নাযযারে মুস্তাফা আল-বায, ১৪২৫ হি.।
- শাফেয়ী, মুহাম্মাদ বিন ইদ্রিস, আল-উম্, বৈরুত, দারুল মারেফা, ১৪১০ হি.।
- শাহরেস্তানী, সাইয়্যেদ আলী, মানউ তাদভিনুল হাদিস-আসবাব ওয়া নাতায়েজ, বৈরুত, মুয়াসসাসাতুল আলামি লিল মাবতুয়াত, ১৪১৮ হি.।
- তাবারী, মুহাম্মাদ বিন জারির, তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক; তাহকিক-ইবরাহিম, মুহাম্মাদ আবুল ফাযল্, বৈরুত, দারুত তুরাস, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৩৮৭ হি.।
- আমেলী, জাফর মুর্তাজা, আস্-সাহিহু মিন্ সিরাতিন্ নাবিয়্যিল আ’যাম, কোম, দারুল হাদিস, ১৩৮৫ (সৌরবর্ষ)।
- মুত্তাকি হিন্দি, আলী বিন হিসামুদ্দিন, কানযুল উম্মাল; বাকরি হায়ানী ও সাফওয়াতুস সাক্বা, মুয়াসসাসাতুর রিসালাহ, ১৪০১ হি.।
- মুতাহারী, মুর্তুজা, মাজমুয়েয়ে আসারে উস্তাদ শহীদ মুতাহারী, তেহরান, সাদরা, ১৩৭৭ (সৌরবর্ষ)।
- নাসায়ী, সুনানে নাসায়ী; তাহকিক-আব্দুল ফাত্তাহ আবুল গিদ্দাহ, হালাব, মাকতাবাতুল মাতবুয়াতিল ইসলামিয়্যাহ, ১৪০৬ হি.।
- নিশাপুরী, মুসলিম বিন হাজ্জাজ, সহিহ মুসলিম; মুহাম্মাদ ফুয়াদ, বৈরুত, দারু ইহয়াইল আরাবি...