মালিক ইবনে নুওয়াইরার হত্যাকাণ্ড

wikishia থেকে
নিবন্ধটি মালিক ইবনে নুওয়াইরার হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে; মালিক ইবনে নুওয়াইরা সম্পর্কে অধিক অবগতির জন্য পড়ুন ‘মালিক ইবনে নুওয়াইরা’ নিবন্ধটি।

মালিক ইবনে নুওয়াইরার হত্যাকাণ্ড (আরবি: قتل مالك بن نويرة); আবুবকরের খেলাফতকালীন সময়কার একটি ঘটনা। এতে মহানবি (স.)-এর সাহাবি মালিক ইবনে নুওয়াইরাহ, খালিদ বিন ওয়ালিদের হাতে নিহত হন। ঘটনাটি শিয়াসুন্নি কালাম শাস্ত্রের অন্যতম বিতর্কিত ঘটনা। শিয়া ঐতিহাসিক ও গবেষকগণ খালিদ বিন ওয়ালিদের বিচ্যুত হয়ে এ হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার ঘটনাকে প্রমাণ হিসেবে এনে ‘আদালাতে সাহাবা’ (সাহাবাগণের ন্যায়পরায়ণ হওয়া) তত্ত্বের সমালোচনা ও রদ করেছেন। শিয়া গবেষকদের মতে, আবু বকরের খেলাফতকে বৈধ না মেনে মালিক ইবনে নুওয়াইরাহ তাকে (আবুবকরকে) যাকাত প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানান, আর এ অজুহাতেই তাকে হত্যা করা হয়।

খালিদ বিন ওয়ালিদের কর্মকাণ্ডকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আহলে সুন্নতের কিছু কিছু গ্রন্থকার মালিক ইবনে নুওয়াইরাকে ‘মুরতাদ’ আখ্যায়িত করেছেন। কিন্তু শিয়ারা ও আহলে সুন্নতের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গবেষক, বেশ কয়েকজন সাহাবি কর্তৃক মালিক ইবনে নুওয়াইরা’র ইসলাম গ্রহণের পক্ষে সাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে এবং আবু বকরের পক্ষ থেকে মালিকে’র রক্তমূল্য প্রদানের ঘটনাকে দলিল হিসেবে এনে মালিকের মুরতাদ হওয়ার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন। মালিক ইবনে নুওয়াইরাকে হত্যার কারণে উমর ইবনে খাত্তাব খালিদকে কিসাসের যোগ্য এবং মালিকের স্ত্রী’র সাথে সহবাসে লিপ্ত হওয়ার অপরাধে তাকে সাঙ্গসারের (পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা) যোগ্য মনে করতেন, এর বিপরীতে আবুবকর খালিদের এ অপরাধকে ইজতিহাদগত ভুল হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

মালিক ইবনে নুওয়াইরা ছিলেন জাহেলিয়্যাতের যুগ ও ইসলামের প্রাথমিক যুগে আরবের সম্ভ্রান্ত ও শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের একজন। তিনি আল্লাহর রাসূল (স.)-এর জীবদ্দশায় মুসলমান হন। মহানবি (স.)-এর ওফাতের পর তিনি আবুবকরের খেলাফতের বিষয়ে অভিযোগ তোলেন যে, কেন মহানবি (স.)-এর ঘোষণানুযায়ী খেলাফতকে ইমাম আলী (আ.)-এর হাতে হস্তান্তর করা হয় নি?

শেইখ আব্বাস কুম্মি’র মতে আহলে বাইত (আ.)-এর প্রতি ভালবাসার কারণে ‘মালিক ইবনে নুওয়াইরাহ’ প্রাণ হারিয়েছিলেন।

মালিক ইবনে নুওয়াইরার হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচিত হয়েছে, তম্মধ্যে আলী লাব্বাফ রচিত ‘মা-জেরায়ে কাতলে মালিক ইবনে নুওয়াইরাহ’ গ্রন্থটি উল্লেখযোগ্য।

কালামশাস্ত্রে ঘটনার গুরত্ব

মালিক ইবনে নুওয়াইরার হত্যাকাণ্ড শিয়া ও সুন্নি মাযহাবের কালাম শাস্ত্রবিদদের মাঝে বিতর্কিত একটি বিষয়।[১] খালিদ ইবনে ওয়ালিদ কর্তৃক মালিক ইবনে নুওয়াইরাকে হত্যা এবং তার (মালিক) স্ত্রীর সাথে সহবাসের ঘটনা ‘রিদ্দা’র যুদ্ধগুলোর সাথে সম্পৃক্ত সবচেয়ে বিতর্কিত ঘটনাগুলোর অন্যতম বলে মনে করা হয়।[২] শিয়া গবেষকগণ ঐতিহাসিক এ ঘটনাকে প্রমাণ হিসেবে এনে আহলে সুন্নাতের ‘আদালাতে সাহাবা’ (সাহাবাগণের ন্যায়পরায়ণ হওয়া) শীর্ষক তত্ত্বকে খণ্ডন করেছেন এবং তাদের বিশ্বাস, সাহাবীদের কিছু অন্যায় আচরণ ও কার্যকলাপকে বৈধতা দেওয়ার জন্য এ তত্ত্বটি উপস্থাপিত হয়েছিল।[৩] হিজরি চতুর্থ শতাব্দির বিশিষ্ট ঐতিহাসিক মাকদেসি’র ভাষায় ‘ইমামতে’র বিষয়টির পর মুসলমানদের মধ্যকার এখতেলাফ ‘রিদ্দা’র যুদ্ধে প্রকাশিত হয়; যদিও আবুবকর মনে করতেন আহলে রিদ্দা’র সাথে যুদ্ধ করতে হবে, কিন্তু মুসলমানরা আবুবকরের বিরোধিতা করেছিলেন।[৪]


মালিক ইবনে নুওয়াইরার মুরতাদ হয়ে যাওয়ার যে দাবি করা হয় তা শিয়া গবেষকগণ ও আহলে সুন্নাতের গবেষকদের একটি দল বাতিল জ্ঞান করে তাকে ‘মুসলিম’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।[৫] তার ইসলাম গ্রহণের বিষয়ে কয়েকজন সাহাবির সাক্ষ্য, আবুবকর কর্তৃক তার রক্তমূল্য পরিশোধ, খালিদ ও মালিকের স্ত্রীর বিচ্ছেদের বিষয়ে আবুবকরের নির্দেশ ইত্যাদি বিষয় মালিক ইবনে নুওয়াইরার মুসলমান হওয়ার পক্ষে অন্যতম দলিল।[৬]

এতদসত্ত্বেও মালিকের মুসলমান হওয়া প্রসঙ্গে আহলে সুন্নাতের গবেষক ও ঐতিহাসিকদের দৃষ্টভঙ্গি এক নয়; তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ মালিককে মুরতাদ বলেছেন।[৭] মুহাম্মাদ হুসাইন হেইকাল, খালিদ বিন ওয়ালিদের এমন আচরণের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন: মালিককে হত্যা এবং তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করার ঘটনা, ইসলামি শাসন ব্যবস্থায় খালিদের অবদানের সামনে অতি নগন্য একটি বিষয়।[৮]

মালিক ইবনে নুওয়াইরাহ

মালিক ইবনে নুওয়াইরাহ ইবনে জামারাহ তামিমী ছিলেন, মহানবি (স.)-এর সাহাবি এবং জাহেলিয়্যাত ও ইসলামের প্রাথমিক যুগের একজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিত্ব।[৯] মালিক ছিলেন একজন কবি এবং তার কবিতার একটি দিওয়ানও ছিল।[১০] মহানবি (স.)-এর নিকট ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার[১১] পর যাকাত সংগ্রহের জন্য মহানবি (স.) তাকে তার গোত্রে নিজের প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত করেন।[১২]

হিজরী চতুর্দশ শতাব্দির বিশিষ্ট মুহাদ্দিস শেইখ আব্বাস কুম্মির ভাষায়, আহলে বাইত (আ.)-এর প্রতি মহব্বত ও ভালবাসার কারণেই মালিক ইবনে নুওয়াইরাহ নিহত হন।[১৩]

ফাযল ইবনে শাযানের বর্ণনার ভিত্তিতে, মহানবির (স.) ইন্তিকালের পর মালিক ইবনে নুওয়াইরাহ মদিনায় আসেন; আবুবকরের খেলাফতে আসীন হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি এর প্রতিবাদ জানান যে, কেন রাসুলুল্লাহ (স.)-এর নির্দেশ মোতাবেক খেলাফত আলী (আ.)-কে হস্তান্তর করা হয় নি?[১৪]

রিদ্দা’র যুদ্ধে মালিককে হত্যা

শিয়া ইতিহাস গবেষক আল্লামা আমিনী[১৫]রাসূল জাফারিয়ানের[১৬] মতে, নিঃসন্দেহে খালিদ বিন ওয়ালিদের নৈতিক বিচ্যুতির কারণে মালিক ইবনে নুওয়াইরাহ নিহত হয়েছেন। মালিক ইবনে নুওয়াইরাহ যাকাতের অর্থ আবুবকরের সরকারের নিকট হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানিয়ে তা নিজের গোত্রের মাঝে বন্টন করে দেন।[১৭]আন-নাস ওয়াল ইজতিহাদ’ গ্রন্থের প্রণেতা সাইয়্যেদ আব্দুল হুসাইন শারাফুদ্দিনের মতে, আবুবকরের খেলাফতের বৈধতা এবং তাকে যাকাত প্রদান সঠিক কি না এ বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্থ হওয়ায় মালিক ইবনে নুওয়াইরাহ যাকাতের অর্থ প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।[১৮]

আবুবকরের নির্দেশে খালিদ বিন ওয়ালিদ মালিক ইবনে নুওয়াইরাহ ও তার গোত্রের মুরতাদ হয়ে যাওয়ার উদ্ভট অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তাদের বসবাসের স্থান ‘বুতাহ’ যান।[১৯] আবুবকরের নির্দেশ ছিল, যুদ্ধ শুরু করার আগে তাদের মুরতাদ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার এবং তারা নামায আদায় করে কিনা বিষয়টি যাচাই করার।[২০] মালিক তাদের গোত্রের উদ্দেশে খালিদের আগমন সম্পর্কে অবগত হয়ে নিজের সৎউদ্দেশ্য প্রমাণে এবং তারা সৈন্যবাহিনী গঠন করেছে এমন ভ্রান্ত ধারনা দূর করতে সমবেত হওয়া তার গোত্রের লোকদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেন, যাতে খালিদ ও তার দলবল মনে না করে যে, তারা  সারিবদ্ধ হয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছে।[২০] আনসারদের কেউ কেউ মালিক ও তার গোত্রের লোকদের নামাযের প্রতি আন্তরিকতা ও একনিষ্ঠতার বিষয়টি প্রত্যক্ষ করে খালিদ বিন ওয়ালিদের আক্রমনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে, কিন্তু খালিদ তাদের কথায় কর্ণপাত করেনি।[২১]

মুরতাদ না হয়ে যাওয়ার বিষয়টি মিথ্যা প্রমাণে মালিক নিজের স্ত্রী উম্মে তামিমকে সাথে নিয়ে খালিদের কাছে যান। কিন্তু খালিদ তার সুন্দরী স্ত্রীকে দেখে মালিককে হত্যা করে এবং স্বামীর মৃত্যুর ইদ্দতে থাকা উম্মে তামিমের সাথে ঐ রাতেই সহবাস করে।[২২]

হিজরী তৃতীয় শতাব্দির বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ইয়াকুবি বলেন, উম্মে তামিমকে দেখে খালিদ এই বাক্য বলে তার স্বামী মালিককে হত্যা করে যে, ‘আল্লাহর কসম তোমার নিকট যা রয়েছে তা তোমাকে হত্যা করা ব্যতিত হাসিল করা সম্ভব নয়’ [২৩]

হিজরি দ্বিতীয় শতাব্দির ঐতিহাসিক ওয়াকেদি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগে থেকেই খালিদের দৃষ্টি উম্মে তামিমের উপর ছিল। মালিকও নিহত হওয়ার পূর্বে ‘তার সুন্দরী স্ত্রীর কারণে খালিদ তাকে হত্যা করেছে’ বলে আক্ষেপ করেছিলেন।[২৪] তার মৃত্যুর ঘটনা ১১ হিজরীর ঘটনাগুলোর মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে।[২৫]

মালিক হত্যাকাণ্ডে সাহাবাদের প্রতিবাদ

আবু কাতাদাহ আনসারিআব্দুল্লাহ ইবনে উমরে’র মত আরো অনেক সাহাবা খালিদ বিন ওয়ালিদের শরিয়ত বিরোধী ও অবৈধ এ কাজের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।[২৬]

খালিদ ও তার বাহিনীর তৎপরতার খবর মদিনায় পৌঁছার পর, উমর বিন খাত্তাব খালিদের শরিয়ত বিরোধী অবৈধ এ কাজের বিষয়ে আবু বকরের সাথে আলোচনা করেন এবং খালিদকে সেনাপতির পদ থেকে অপসারণের পরামর্শ দেন।[২৭] মালিককে হত্যার অপরাধে খালিদ বিন ওয়ালিদকে কিসাস এবং মালিকের স্ত্রীর সাথে সহবাসে লিপ্ত হওয়ার অপরাধে তাকে সাঙ্গসার (পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা)-এর যোগ্য বলে মত দিয়েছিলেন উমর বিন খাত্তাব।[২৮]

কিন্তু আবুবকর তার পরামর্শ না মেনে উক্ত কাজে খালিদ ইজতিহাদগত ভুল করেছে, অতএব, ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য বলে ঘোষণা করেন।[২৯] আর তাকে আল্লাহর শত্রুদের বিরুদ্ধে খাপমুক্ত হওয়া মহান আল্লাহর তলোয়ারগুলোর একটি তলোয়ার বলে আখ্যায়িত করেন![৩০]

মালিক ইবনে নুওয়াইরার ভাই মুতাম্মিম ইবনে নুওয়াইরাহ তার ভাইয়ের রক্তের বদলা চেয়ে আবুবকরের নিকট দাবি জানালে আবুবকর বাইতুল মাল থেকে মালিকের রক্তমূল্য পরিশোধের নির্দেশ প্রদানের[৩১] পাশাপাশি খালিদকে মালিকের স্ত্রী থেকে পৃথক হওয়ারও নির্দেশ দেন, কিন্তু খালিদ কখনোই আবুবকরের এই নির্দেশটি মান্য করেন নি।[৩২]

মিসরীয় ঐতিহাসিক মুহাম্মাদ হুসাইন হেইকালের ভাষ্যানুযায়ী, শাসনকার্য পরিচালনায় যতদিন খালিদ বিন ওয়ালিদকে আবুবকরের প্রয়োজন ছিল ততদিন তিনি তাকে কাজে লাগিয়েছেন।[৩৩] কিন্তু উমর বিন খাত্তাব খালিদের ঐ ভুল আচরণকে স্মরণে রেখেছিলেন, এ কারণে আবুবকরের মৃত্যুর পর উমর খলিফা হলে খালিদ বিন ওয়ালিদকে সেনাপতির পদ থেকে বরখাস্ত করেন।[৩৪]

গ্রন্থ পরিচিতি

মালিক ইবনে নুওয়াইরাহ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বেশ কিছু স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচিত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি হলো:

আলী লাব্বাফ রচিত ‘মাজেরায়ে কাতলে মালিক ইবনে নুওয়াইরাহ’; সাইয়্যেদ মুর্তাযা আসকারির বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে সংগৃহীত তথ্যের উপর নির্ভর করে লেখা এ গ্রন্থ ১৩৯১ ফার্সি সনে ‘মুনীর’ প্রকাশনী কর্তৃক তেহরানে প্রকাশিত হয়।[৩৫]

হাসান আলীপুর ওয়াহিদ ‘পেঝুহেশি দার হায়াতে সিয়াসি ও মুবারেযাতি-এ মালিক ইবনে নুওয়াইরাহ’; গ্রন্থটি ১৩৯৫ ফার্সি সনে ৬৮৫ পৃষ্ঠায় দাফতারে ইন্তিশারাতে ইসলামি প্রকাশ করেছে।[৩৬]

হাসান আলীপুর ওয়াহিদ রচিত অপর গ্রন্থটি হলো ‘মালিক ইবনে নুওয়াইরাহ’; এ গ্রন্থে গ্রন্থকার মালিক ইবনে নুওয়াইরা’র ঘটনা আহলে সুন্নাতের বিভিন্ন সূত্র থেকে উল্লেখ ও বিশ্লেষণ করেছেন।[৩৭] ইন্তিশারাতে দালিলে মা গ্রন্থটি ১৪০২ ফার্সি সনে ৬১৬ পৃষ্ঠায় প্রকাশ করেছে।[৩৮]

তথ্যসূত্র

  1. ছিয়ামিয়ান গারজি, ((রিদ্দা, যাঙ্গহা)), পৃ. ৬৯৫।
  2. গুলামি, “যাঙ্গহায়ে এরতেদাদ ওয়া বোহরানে জানেশিনী পাস আয পয়গম্বর (স.)”, পৃ. ৩৯।
  3. নিকযাদ, এদালাতে সাহাবে দার তারাযুয়ে নাকদ, পৃ. ৪২-৪৪।
  4. মাকদেসি, আল-বাদউ ওয়াত তারিখ, মাক্তাবাতুস সাকাফাহ আল-দ্বীনিয়্যাহ, খণ্ড ৫, পৃ. ১২৩।
  5. দ্র: ইবনে আসির, উসদুল গাবাহ, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ২৭৭;গুলামি, “জাঙ্গহায়ে এরতেদাদ ওয়া বোহরানে জানেশিনী পাস আয পয়গম্বর (স.)”, পৃ. ৪০।
  6. দ্র: ইবনে আসির, উসদুল গাবাহ, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ২৭৭;গুলামি, “জাঙ্গহায়ে এরতেদাদ ওয়া বোহরানে জানেশিনী পাস আয পয়গম্বর (স.)”, পৃ. ৪০।
  7. দ্র: ইবনে আসির, উসদুল গাবাহ, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ২৭৭।
  8. হেইকাল, আল-সিদ্দিক আবু বকর, দারুল মাআরেফ, পৃ. ১৪১।
  9. ইবনে আসির, উসদুল গাবাহ, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ২৭৬।
  10. অগাবুযুর্গ তেহরানি, আল-যারিয়াহ, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৯, পৃ. ২৬৪।
  11. যাহাবি, তারিখুল ইসলাম, ১৪১৩ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ৩৩।
  12. ইয়াকুবি, তারিখুল ইয়াকুবি, দারু সাদির, খণ্ড ২, পৃ. ১২২।
  13. কুম্মি, মুন্তাহাল আমাল, ১৩৭৯ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩১১।
  14. ইবনে শাযান, আল-ফাযায়েল, ১৩৬৩ ফার্সি সন, পৃ. ৭৬।
  15. আমিনী, আল-গাদীর, ১৪১৬ হি., খণ্ড ৭, পৃ. ২১৯-২২০।
  16. জাফারিয়ান, তারিখে খোলাফা, ১৩৯৪ ফার্সি সন, পৃ. ৩৮।
  17. ইবনে হাজার, আল-ইসাবাহ, ১৪১৫ হি., খণ্ড ৫, পৃ. ৫৬০।
  18. শারাফুদ্দিন, আল-নাছ ওয়াল ইজতিহাদ, ১৪০৪ হি., পৃ. ১১৮।
  19. ইবনে খালদুন, তারিখ ইবনে খালদুন, ১৪০৮ হি., খণ্ড ২, পৃ. ৪৯৫।
  20. শারাফুদ্দিন, আল-নাছ ওয়াল ইজতিহাদ, ১৪০৪ হি., পৃ. ১১৮-১১৯।
  21. ওয়াকিদি, আল-রিদ্দা, ১৪১০ হি., পৃ. ১০৬-১০৭।
  22. ইয়াকুবি, তারিখুল ইয়াকুবি, দারু সাদির, খণ্ড ২, পৃ. ১৩১-১৩২।
  23. ইয়াকুবি, তারিখুল ইয়াকুবি, দারু সাদির, খণ্ড ২, পৃ. ১৩১।
  24. ওয়াকিদি, আল-রিদ্দা, ১৪১০ হি., পৃ. ১০৬-১০৭।
  25. তাবারি, তারিখে তাবারি, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ২৭৮।
  26. মাকদেসি, আল-বাদউ ওয়াত তারিখ, মাক্তাবাতুস সাকাফাহ আল-দ্বীনিয়্যাহ, খণ্ড ৫, পৃ. ১৫৯।
  27. তাবারি, তারিখে তাবারি, ১৩৮৭ হি., খণ্ড ৩, পৃ. ২৭৮-২৭৯।
  28. আবি আল-ফিদা, তারিখে আবি আল-ফিদা, ১৪১৭ হি., খণ্ড ১, পৃ. ২২২।
  29. ইবনে কাসির, আল-বিদায়াতু ওয়ান নিহায়াহ, ১৪০৭ হি., খণ্ড ৬, পৃ. ৩২৩।
  30. মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, ১৪০৩ হি., খণ্ড ৩০, পৃ. ৪৭১।
  31. ইবনে আসির, উসদুল গাবাহ, ১৪০৯ হি., খণ্ড ৪, পৃ. ২৭৭।
  32. ইবনে হাজার, আল-ইসাবাহ, ১৪১৫ হি., খণ্ড ২, পৃ. ২১৮।
  33. হেইকাল, আল-সিদ্দিক আবু বকর, দারুল মাআরেফ, পৃ. ১৫৭।
  34. হেইকাল, আল-সিদ্দিক আবু বকর, দারুল মাআরেফ, পৃ. ১৩৮।
  35. লাব্বাফ, মাজরায়ে কাতলে মালিক ইবনে নুওয়াইরাহ, ১৩৯১ ফার্সি সন।
  36. আলীপুর ওয়াহিদ পেঝুহেশি দার হায়াতে সিয়াসি ও মুবারেযাতি-এ মালিক ইবনে নুওয়াইরাহ, ১৩৯৫ ফার্সি সন।
  37. আলীপুর ওয়াহিদ, মালিক ইবনে নুওয়াইরাহ, ১৪০২ ফার্সি সন।
  38. আলীপুর ওয়াহিদ, মালিক ইবনে নুওয়াইরাহ, ১৪০২ ফার্সি সন।

গ্রন্থপঞ্জি

  • অগাবুযুর্গ তেহরানি, মুহাম্মাদ মোহসেন, আল-যারিয়াতু ইলা তাসানিফিশ শিয়া, বৈরুত, দারুল আদ্বওয়া, ১৪০৩ হি.।
  • ইবনে আসির, আলী বিন আবি আল কারাম, উসদুল গাবাহ ফি মা’রিফাতিল সাহাবা, বৈরুত, দারু ফিকর, ১৪০৯ হি.।
  • ইবনে হাজার আসকালানি, আহমাদ বিন আলী, আল-ইছাবাতু ফি তামিয আল-সাহাবা, বৈরুত, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, ১৪১৫ হি.।
  • ইবনে খালদুন, আব্দুর রহমান বিন মুহাম্মাদ, তারিখে ইবনে খালদুন, বৈরুত, দারু ফিকর, ১৪০৮ হি.।
  • ইবনে শাযান, ফাযল, আল-ফাযায়েল, কোম, রাযি, ১৩৬৩ ফার্সি সন।
  • ইবনে কাসির, ইসমাঈল বিন উমর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, বৈরুত, দারু ফিকর, ১৪০৭ হি.।
  • আবি আল-ফিদা, ইসমাঈল বিন আলী, তারিখ আবি আল-ফিদা, বৈরুত, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, ১৪১৭ হি.।
  • আমিনী, আব্দুল হুসাইন, আল-গাদীর ফিল কিতাব ওয়াস ‍সুন্নাহ ওয়াল আদাব, কোম, মারকাযুল গাদীর লিদ দিরাসাতিল ইসলামিয়্যাহ, ১৪১৬ হি.।
  • জা’ফারিয়ান, রাসুল, তারিখে খুলাফা, কোম, দালিলে মা, ১৩৯৪ ফার্সি সন।
  • যাহাবি, মুহাম্মাদ বিন আহমাদ, তারিখুল ইসলাম ওয়া ওয়াফিতুল মাশাহির ওয়াল আ’লাম, বৈরুত, দারুল কিতাব আল-আরাবি, ১৪১৩ হি.।
  • সাইয়্যেদ মুর্তাযা, আলী ইবনুল হুসাইন, আশ-শাফি ফিল ইমামাহ, তেহরান, মুআসসাসাতুস সাদিক (আ.), ১৪১০ হি.।
  • শারাফুদ্দিন, সাইয়্যেদ আব্দুল হুসাইন, আল-নাছ ওয়াল ইজতেহাদ, কোম, আবু মুজতাবা, ১৪০৪ হি.।
  • ছিয়ামিয়ান গার্জি, যাহির, “রিদ্দা, জাঙ্গহা”, দার জেলদে দায়েরাতুল মাআরেফ বুযুর্গে ইসলামি, তেহরান, মারকাযে দায়েরাতুল মাআরেফ বুযুর্গে ইসলামি, ১৩৯৮ ফার্সি সন।
  • তাবারি, মুহাম্মাদ বিন জারির, তারিখুল তাবারি, বৈরুত, দারুত তুরাস, ১৩৮৭ হি.।
  • আলীপুর ওয়াহিদ, হাসান, পেঝুহেশি দার হায়াতে সিয়াসি ওয়া মোবারেযাতিয়ে মালিক ইবনে নুওয়াইরাহ, কোম, দাফতারে ইন্তেশারাতে ইসলামি, ১৩৯৫ ফার্সি সন।
  • আলীপুর ওয়াহিদ, হাসান, মালিক ইবনে নুওয়াইরাহ, কোম, দালিলে মা, ১৪০২ ফার্সি সন।
  • গুলামি, আলী, https://www.noormags.ir/view/fa/articlepage/20724/, দার মাজাল্লেয়ে মারেফাত, সংখ্যা ৪০, ফারওয়াদিন ১৩৮০ ফার্সি সন।
  • কুম্মি, আব্বাস, মুন্তাহাল আমাল, কোম, দালিলে মা, ১৩৭৯ হি.।
  • লাব্বাফ, আলী, মাজরায়ে কাতলে মালিক ইবনে নুওয়াইরাহ, তেহরান, মুনির, ১৩৯১ ফার্সি সন।
  • মাকদেসি, মুতাহ্হার বিন তাহের, আল-বাদউ ওয়াত তারিখ, বৈরুত, সাঈদ, মাক্তাবাতুস সাকাফা আল-দ্বীনিয়্যাহ, তারিখ অজ্ঞাত।
  • নিকযাদ, আব্বাস, আদালতে সাহাবা দার তারাযুয়ে নাকদ, দার মাজাল্লে রাওয়াক আনদিশে, সংখ্যা ২৮, ফারওয়ারদিন ১৩৮৭ ফার্সি সন।
  • হেইকাল, মুহাম্মাদ হুসাইন, আল-সিদ্দিক আবু বকর, কায়রো, দারুল মাআরেফ, তারিখ অজ্ঞাত।
  • ইয়াকুবি, আহমাদ বিন আবি ইয়াকুবি, তারিখুল ইয়াকুবি, বৈরুত, দারু সাদর, তারিখ অজ্ঞাত।